নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমীর কুমার ঘোষ

লেখা এমন একটা বিষয় যেটা লেখার উদ্দ্যেশে চিন্তা করার থেকে যখন মনে যা আসে তখনই লিখে ফেলা উচিৎ

সমীর কুমার ঘোষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুন্দর জীবনের ১০ উপায়.. :-B

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২



সুন্দর একটি জীবনের প্রত্যাশা মানুষের আজন্ম। তবে সে জীবন চাইলেই তো পাওয়া যায় না। তার জন্য প্রয়োজন সাধনারও। সে সাধনা বা উপায়গুলোই খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে এখানে...



শারীরিক সুস্থতা

স্বাস্থ্যই আমাদের বড় সম্পদ। আপনার শরীর যদি সব ধরনের ব্যথা ও অস্বস্তি থেকে মুক্ত থাকে, শরীরের সব কিছু যদি পরিপূর্ণভাবে কাজ করে তাহলেই সেটাকে সুস্থ বলা চলে। শরীর যদি রোগ বা দুর্বল স্বাস্থ্য থেকে দূরে থাকে— সেটা সীমিত সময়ের জন্য নয়, সারাজীবনের জন্য, তাহলে সেটাকেও আমরা সুস্থ ও কাজের উপযোগী বলতে পারি। শারীরিক অসুস্থতা কেবল দেহকেই নয়, মনকেও প্রভাবিত করে। কারো স্বাস্থ্য যদি কাজের অনুপযোগী হয়, তাহলে সে কিছুতেই দৈনন্দিন কাজে ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারবে না। মূল্যবান সম্পদ রক্ষার জন্য যেমন যত্ন নিতে হয়, সচেতন থাকতে হয়, তেমনি শরীর নামের এ সম্পদকে রক্ষার জন্যও যত্ন নেয়া প্রয়োজন। পরিমিত খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত হাঁটাহাঁটি, সময়মতো ঘুম আপনার শরীরকে সুস্থ রাখবে। আজকে আপনি যে নিয়ম মেনে শরীরের যত্ন নেবেন, কাল তার সুফল ভোগ করবেন। সঙ্গে সঙ্গে মনকে সতেজ রাখার চেষ্টা করুন, নিজের আবেগ, ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। সবসময় ইতিবাচক বিষয় চিন্তার চর্চা করুন। ভালো ফল পাবেন। আপনি কখন বিরক্ত হন কিংবা খারাপ বোধ করেন, সেটা আপনার কাছের মানুষগুলোকে বুঝতে দিন, তারা আপনাকে ভালো থাকতে সাহায্য করবে। ক্রোধে থাকা অবস্থায় কোনো রকম সিদ্ধান্ত নেবেন না বা কোনো কাজ করবেন না। প্রচুর হাসুন। হাসার ভান করুন।



অর্থনৈতিক পরিকল্পনা

সুন্দর একটি অর্থনৈতিক পরিকল্পনা আপনার জীবনকে পাল্টে দেবে। কী খরচ করবেন আর কী জমা করবেন সে বিষয়ে পূর্ণ ধারণা রাখুন। দেখবেন সীমিত অর্থের মধ্যেই সবকিছু হয়ে যাচ্ছে। অর্থ খরচের সুন্দর একটি পরিকল্পনা বিপদের সময় আপনার জন্য আশীর্বাদ হবে। আপনি যদি অর্থ খরচের বিষয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তাহলে দেখবেন পরের দিনগুলোয় আপনাকে অর্থ নিয়ে ভাবনায় পড়তে হচ্ছে না। সিদ্ধান্ত নিন কী পরিমাণ টাকা আপনার বিপদের সময় বা অবসরের জন্য প্রয়োজন। সেভাবে পদক্ষেপ নিন। অভিজ্ঞরা দীর্ঘ মেয়াদে সঞ্চয়কে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। বাড়তি অর্থ প্রয়োজনীয় খরচে না লাগলে সেটাকে জমা রাখুন। আপনার সন্তানকেও এটা শিক্ষা দিন। কীভাবে অর্থ ব্যয় করছেন, কীভাবে সুন্দর একটি পরিকল্পনা করছেন, সেটা আপনার সন্তানকে তার ভবিষ্যৎ জীবন গড়তে সাহায্য করবে।



কাজ

অধিক কাজ জীবনকে ক্লান্ত ও দুর্বল করে দিতে পারে। এর থেকে বের হওয়ার সহজ উপায় হলো নিজের কাজকে উপভোগ করুন। যা-ই করছেন আনন্দের সঙ্গে করার চেষ্টা করুন। সহজভাবে বলতে গেলে, আপনি যা করে আনন্দ পান তা-ই করার চেষ্টা করুন। যদি এমন হয়, আপনি যে কাজ পছন্দ করেন না তেমন একটা কাজ পেয়ে গেলেন, তাহলে অন্য কোনো উপায়ে সে কাজকে আনন্দময় করে তোলার চেষ্টা করুন। আপনার সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান। তারা আপনার কাজকে আনন্দময় করে তুলতে সাহায্য করবে। বাসাকে কাজের ক্ষেত্রে আর কাজকে বাড়িতে আনবেন না।





বিনোদন

বিনোদন আপনার শরীর আর মনকে প্রফুল্ল রাখবে। যেকোনো কাজে পরিপূর্ণ অংশগ্রহণ এবং প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন কাজ আর কাজের ধারণা আপনার বিনোদনকে দ্বিগুণ করে তুলবে। বিনোদন কিংবা শখের বিষয় নিয়ে মেতে থাকলে কখনোই আপনাকে অলসতা কিংবা স্থবিরতা স্পর্শ করবে না। শখের বিনোদন আপনার শরীরকে সবসময় সুস্থ আর দীপ্তিময় রাখবে।





পরিবার

দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর কাজ শেষে আপনার জন্য অপেক্ষায় থাকা পরিবারের লোকদের কাছে ফিরে যাওয়ার মতো আরামদায়ক আর কিছুই হতে পারে না। আধুনিক জীবনযাত্রায় ব্যস্ত সময়ের ভিড়ে নিজের কাছের মানুষকে সময় দেয়া সত্যিকার অর্থেই কঠিন। এক্ষেত্রে সহজ উপায় হলো, রুটিন মাফিক নিজের কাজগুলো সেরে পরিবারের মানুষটির জন্য সময় বের করা। সপ্তাহের একটা দিন আপনার বাবা-মার সঙ্গে দীর্ঘ সময় পার করুন, সন্তানদের নিয়ে কোথাও খেতে যান কিংবা বাড়িতেই ভালো কিছুর আয়োজন করুন, আপনার স্ত্রীকে মধুর একান্ত একটু সময় দিন। একটি সুন্দর স্বাভাবিক পরিবার আপনার জীবনকে উন্নতির কয়েক ধাপ সামনে নিয়ে যাবে।





সামাজিক দায়িত্ববোধ

সামাজিক দায়িত্ববোধ আপনার জীবন আরো সুন্দর করে তুলবে। আপনি কলা খেয়ে খোসাটা রাস্তায় ছুড়ে মারলেন কিংবা চিপসের প্লাস্টিক প্যাকেটটি যত্রতত্র ফেললেন। এতে আপনার পরিবেশকে যে আপনিই ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। এ বিষয়ে যদি আপনার একটু দায়িত্ববোধ থাকে, তাহলে কাজটা আপনি করতে যাবেন না। আপনার দায়িত্ববোধ থেকে যদি কারো জন্য ছোট্ট একটি মহৎ কাজও করেন, তাহলেও সেটা আপনার মনকে তৃপ্ত রাখবে, নিজের ওপর আস্থা বাড়বে।





আবেগি স্বাস্থ্য

যারা মানসিকভাবে তৃপ্ত, তারা চিন্তাভাবনা, আবেগ-আচরণকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিকভাবে নিজেদের সমস্যাকে চিহ্নিত করতে পারেন। সুস্থ মানসিকতা আপনার উপভোগের সময়কে যথাযথ করবে। মনকে প্রফুল্ল রাখার চেষ্টা করুন। এটা দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনার জীবনকে ভালোভাবে প্রভাবিত করবে।

পরিতৃপ্ত মন আর সুস্থ শরীর পরস্পরের সঙ্গে বাঁধা। সুস্থ শরীর ছাড়া সুস্থ মনের অধিকারী হওয়া যাবে না। আবার সুস্থ মন ছাড়া সুস্থ শরীর আশা করা যায় না। ফলে দুটোর দিকেই মনোযোগ দিতে হবে।





বন্ধুত্ব

বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য কিছু সময় বের করুন। সপ্তাহের নির্ধারিত একটা সময় তাদের সঙ্গে কাটান। হাসুন প্রাণ খুলে, গল্প করুন, বন্ধুদের সঙ্গে সময়কে উপভোগ করার চেষ্টা করুন। কোনো বিতর্কে না জড়িয়ে শুধু সম্ভাবনার বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করুন। প্রতিদিন যাদের সঙ্গে আপনার দেখা হচ্ছে— অফিসের পিয়ন থেকে শুরু করে, রিকশাচালক, ট্যাক্সিচালক, আপনার অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার সঙ্গে সমানুপাতে শ্রদ্ধার সঙ্গে কথা বলুন, সদাচরণ করুন। এটা আপনার মনকে বিভিন্ন উত্তেজনা থেকে দূরে রাখবে। আপনার ব্যক্তি অহংকারকে দমন করুন। এটা আপনার জীবনকে পেছনে ঠেলে দেবে। বিনয়ী হওয়ার চেষ্টা করুন।





আধ্যাত্মিকতা, ধ্যান, ইয়োগা

প্রত্যেকের জীবনেই নিজেকে চালিয়ে নেয়ার জন্য আলাদা আলাদা পথ ঠিক করা আছে। আমাদের সবার বিশ্বাস একই রকম হবে এ আশা করা কঠিন। দিনে একবারের জন্য হলেও নিজের মুখোমুখি হন। সুন্দর একটা মুহূর্তে ভালো কিছু চিন্তা করে নিজের ভেতর ডুবে যান। মনের ছবিতে জীবনের সফলতাগুলোকে বারবার তুলে ধরুন, সেটা নিয়ে চিন্তা করুন। দেখবেন মনের ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে।





নিজেকে আবিষ্কার

প্রতি মুহূর্তে নিজেকে আবিষ্কার করার চেষ্টা করুন। আপনি হয়তো জানেন না অসচেতনতায়-অযত্নে স্রষ্টা আপনার ভেতর যে ক্ষমতা দিয়ে দিয়েছে, সেটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হয়তো ভুলেই যাচ্ছেন কত কিছু করার ক্ষমতা আপনার ছিল। আপনার হয়তো অনেক কিছুই করার কথা ছিল কিন্তু কাজ আর ব্যস্ততা সেগুলোকে ভুলিয়ে দিয়েছে। মনে করুন, কলেজ জীবনে আপনি ভালো গান গাইতেন কিংবা ছবি আঁকতেন অথবা ভালো গল্প লিখতেন। এখন আবার সেগুলো করার চেষ্টা করুন। নিজেকে আবার আবিষ্কার করুন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আপনার খুব ভালো একটা গল্পের বই লেখার আগ্রহ ছিল কিংবা আপনি হয়তো শুরুও করেছিলেন। কিন্তু নানা কারণে সেখান থেকে সরে এসেছেন। এখন আবার সেটাকে শুরু করার চেষ্টা করুন। দেখবেন জীবনের নতুন এ আবিষ্কারে আপনি বেঁচে থাকার আগ্রহ খুঁজে পাবেন। জীবন আবার অর্থবহ হয়ে উঠবে।



[কালেক্টড]





মন্তব্য ১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

তৌফিক আনজাম বলেছেন: ভালো লিখেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.