![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইদানীং সংসদ এখন বিনোদনের কেন্দ্র হইয়া গেছে । অনেকেই সংসদ দেখে আর এটা নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে। আমি সময় পেলেই অন্য সব অন্য চ্যানেল বাদ দিয়ে সংসদ টিভিই দেখে থাকি (তথ্য পাওয়ার আশায়)। একঘায়ামি তেল দেয়া কথাবার্তা শুনতে শুনতে আর ভালো না লাগায় তখন চেঞ্জ করি কিন্তু বিরোধী দল আসায় এখন বেশ জমেছে। এর মধ্যে দেখছি এখনও একটি বড় দলের প্রধানের জন্ম নিয়ে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে। আবার এটা কোথায় লেখা আছে সে বইও দেখানো হয়। যাকে নিয়ে বলা হয় সামনে তিনি হয়তো আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন!
এটা নিয়ে লিখতাম না কিন্তু মনে পড়লো বেশ কিছুদিন আগে একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো এখন থেকে সংসদে একটি গ্যালারী থাকবে শুধুমাত্র্র শিশুদের জন্য। তারা সরাসরি এটা দেখবে এবং এ থেকে ঐ শিশুরা কি শিথবে এটা আমার বোধগম্য নয়। যদি এটা হয়েই থাকে তাহলে শিশুরা ‘চুদুরবুদুর’ শব্দটি কথায় কথায় ব্যবহার করত। যদিও আমাদের কাছে এটা অনেকটা অশ্লীল।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত বাংলা একাডেমীর অভিধান থেকে উদ্ধৃত করে এবং রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, লেখক, গবেষক ও ভাষাবিদ অধ্যাপক পবিত্র সরকারের বক্তব্যের ভিত্তিতে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘চুদুরবুদুর’ গ্রাম্য শব্দ, অশ্লীল নয়। আর এ থেকে স্থায়ী হলো ‘চুদুরবুদুর' শব্দ। এর মানে এটা বলা যাবে ! আচ্ছা ধরুন এটা সবাই বলছে আর তখন কি আমাদের হাসি পাবে না! ভাষা বিজ্ঞানীরা এখন সংসদে উচ্চারিত ভাষা নিয়ে গবেষনার কাজ পেয়ে যাবেন।
আরও একটা বিষয় , বিরোধী দলের একজন সংসদ সদস্য সংসদে বলেছেন ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম আওয়ামী লীগের বাপের নাম’
ঐ সংসদ সদস্য ইচ্ছা করলেই মজার ছড়াকার হতে পারবেন।
ইদানিং একজনের মা নিয়ে আবার দেখি বাপ নিয়েও মজার মজার উক্তি।
যাইহোক অনেকের কাছেই এটা বিনোদন এর ব্যাপার। আমরা যদি একটু মন প্রান খুলে হাসতে পারি তাহলে উপকারতো আমাদেরই হবে। তাই ধন্যবাদও তাদের প্রাপ্য।
এখানে তবুও আমরা তাদের প্রশংসাই করবো কারন শুধুতো ভাষার ব্যবহার তারা করেছেন , চুলাচুলি তো আর করেননি। অনেক সভ্য দেশের সংসদেই দেখা যায় মারামারি করতে।
বিঃদ্রঃ ভাষা নিয়ে জ্ঞানার্জন করতে হলে নিয়মিত সংসদ দেখুন।
কৃতজ্ঞতা : সূত্র
সূত্র.
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: খাপে খাপ মঞ্জুর বাপ। ভালইতো মিলাইলেন
যাইহোক, যাদের মূখে এমন সুন্দর ভাষা তারা কিন্তু জনগনের ভোটে নির্বচিত না। ৪৫ জন ছিলো আরও ৫ জন এখন ৫০ জন মোট। এদের সিলেকসনটা হয় হয়তো এমন দেখেই যারা এইসব বলায় পটু।
ভালো থাকবেন
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: যেমন কর্ম তেমনই ফল। এইসব চুদুরভুদুর গুলারে সংসদে পাঠাইসে কে? আমরাইতো আবাল বাঙ্গালরাই দলে দলে ভোট দিয়া নির্বাচিত করসি। তাইলে এখন কেদে কেটে কি লাভ? ভোট দেবার সময় মনে থাকে না? ডঃ ইউনুস ড কামাল দের কেউ ভোট দেয় না। আমাদের পছন্দ এইসব বাল সাল নেতা নেত্রী। আমরাই টিভিতে এইসব তামশা দেখে দাত কেলায় হাসি। সব ঠিকই আসে। খাপে খাপ মঞ্জুর বাপ।