![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বের বাঘা বাঘা অর্থনীতিবিদদের অনেকেই ভারতের, কাজেই বিষয়টা অন্যরকমই বটে।
এ প্রসঙ্গে একটা কথা মনে পরল সময়টা ২০০৬ সালের দিকে হবে (সঠিক মনে করতে পারছি না)। উল্লাপাড়া রেলষ্টেশন, সিরাজগঞ্জ এ দাড়িয়ে আছি এর মধ্যে দেখতে পেলাম নিকটেই একটু ভীর। কাছে গিয়ে দেখলাম এমন একটি যন্ত্র যেটি দিয়ে মাটির উপরিভাগ না খুড়ে নিচ দিয়ে যন্ত্রের সাহায্যে সঠিক রাস্তায় বিশেষ ধরনের হলুদ পাইপ যার ভিতর দিয়ে তার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আর এ কাজটি করছে ভারতীয় কতিপয় ব্যক্তি। সম্ভবত সারা দেশের রেল যোগাযোগ নেটওয়ার্ক উন্নত করতেই এই উদ্যোগ ছিলো।
কাজের একটি মহূর্তে সেই ভারতীয় ব্যক্তিদের কথোপকোথোন, তাদের মতে এ দেশে কোনো শিক্ষিত লোক নেই। শুধু জনসংখ্যা, চারিদিকে তাকালে শুধুই মাথা দেখতে পাওয়া যায়। আর এ কথাগুলো বলার সময় তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসা হাসি করছে। কথাগুলো শুনে একজন বাংলাদেশী হয়ে অনেক খারাপ লাগছিলো। আমাদের দেশে কি এমন প্রোকৌশলী নেই
যাই হোক যেটা বলছিলাম , আজকে মনে পড়ছে সেই কথাগুলো কারন আমাদের আছে দক্ষ ব্যবস্থাপনা , দক্ষ ব্যক্তি, দক্ষ ব্যবস্থাপনা নীতি (মুদ্রানীতি)। যার কারনে দেশে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থাকা স্বত্বেও আমরা আমাদের মূল্যস্ফীতি ধরে রাখতে পেরেছি। দেশে এখন রেকর্ড পরিমান বৈদেশিক মূদ্রা রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (যা প্রায় আমাদের ৭ মাসের আমদানী ব্যায় মিটাবে)। এটা অনেক ভালো । অলস টাকার পরিমান বেরে যাওয়ায় কিছু ব্যাংকে সুদের হার কিছুটা কমানে হয়েছে। আর এই সব হয়েছে দক্ষ অর্থনীতিবিদদের কারনে।
আর এখন সেই ভারতীয় প্রোকৌশলীদেরকে বলতে ইচ্ছা করছে এই বিষয়গুলো। আমাদের অর্থনীতিবিদরা কত্ত সফল। আমরা তোমাদের চেয়ে অনেক ভালো আছি।
বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা যায় আমাদের দেশের অনেকেই পন্য আমদানী-রপ্তানীর নামে বিদেশে পাচার করছে কোটি কোটি টাকা। ভারতের সঙ্গেও আমাদের রয়েছে বড় বানিজ্য। বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদনে দেখতে পাওয়া যায় বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে অনেকই ভারতে চলে যাওয়ার প্রবনতা লক্ষ্য করা গেছে। আর এতে টাকা পাচার হওয়ার সম্ভবনা প্রচুর। কারন আগের তুলনায় এখন বাংলাদেশী টাকা দিয়ে বেশী পরিমান ভারতীয় টাকা পাওয়া যাবে।
কাজেই আমাদের প্রশাসন সহ সবাইকে এ ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে যেনো কোনোভাবেই টাকা ভারতে পাচার না হয়ে যায়।
কৃতজ্ঞতা ডিডাব্লিউ.ডিই
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৯
সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, কষ্ট করে পড়ে মন্তব্যের জন্য।
ভালো থাকবেন।
২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৬
নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: কিছু রুপি কিনে রাখলে কেমন হয়?
৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৯
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আরেকটা দিক- দর কম থাকায় আমাদের দেশীয় পণ্যের তুলনায় ভারতীয় পণ্যের দিকে বাধ্য হয়েই আমাদের আরো প্রবল ভাবে ঝুঁকতে হতে পারে।
৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪৪
ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: চিন ইচ্ছাকৃতভাবে কৃত্তিমভাবে তার টাকার মূল্য কম বানিয়ে রাখে, কারণ রপ্তানী বেশী হয়। জুলিয়ান সিদ্দিকী ভাই যেটা বলছেন সেটা কিন্তু ভাববার বিষয়। এতে ভারতের রপ্তানী বাড়বে আর আমরা আরও বেশী পণ্য আমদানীতে ভারতের দিকে ঝুকবো।
৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: @জুলিয়ান সিদ্দিকী - এটা ব্যালান্স হয়ে যাবে, ভারত পন্য তৈরী করতে বেশি দাম দিয়ে কাঁচামাল আমদানী করবে, পন্য তৈরীর জন্য জ্বালানী কিনতে বেশি খরচ করতে হবে ওদের, পন্যের দাম নিশ্চিত ভাবেই বাড়বে।
৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: উপরে যেটা বলা হচ্ছে , আমদানিকারকরা ভারতের দিকে ঝুঁকতে পারে , কারন ডলারের বিপরিতে বেশি পাচ্ছে ।
দেখতাম অর্থনীতিবিদের স্বপ্ন, কিন্তু সেটা অনেক দূর
আমার মত ।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৪
সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক বড় একজন অর্থনীতিবিদ হোন, এটাই কামনা থাকলো।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩২
রাখালছেলে বলেছেন: হুম ....ভাল লাগল ।