নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমীর কুমার ঘোষ

লেখা এমন একটা বিষয় যেটা লেখার উদ্দ্যেশে চিন্তা করার থেকে যখন মনে যা আসে তখনই লিখে ফেলা উচিৎ

সমীর কুমার ঘোষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পহেলা বৈশাখে পান্তা ইলিশ কেনো....!

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:০৫



আমরা ছোট বেলায় মুরুবীদের কাছ থেকে শিখেছি বছরের প্রথম দিনটা অন্তত ভালো হয়ে থাকা, কোনো দুষ্টুমী না করা। কারন এইদিন ভালো থাকলে সারা বছর ভালো থাকা যাবে। বছরের এইদিন যেভাবে যায় সারা বছর তেমনি ভাবে যাবে।

তারা ঐ কথা বললেও হয়তো এটার কোনো ভিত্তি নেই। তাদের কথার সত্যতার হয়তো কোনো প্রমানও নেই তবুও এটা মেনে চলা উচিৎ আমাদের। আমরা মেনে চলতে চেষ্টা করি। আগেকার সময়ে তাদের অনেক কথাই এখন বিজ্ঞান সম্মত/পরীক্ষীত। যদিও অনেকে কুসংস্কার বলে এড়িয়ে চলে।

তারা সবারই ভালে চাইত আর তাই তারা ভাবতো এই একটি দিনকে ভিত্তি ধরে সবাই সারা বছরে ভালো থাকতে চেষ্টা করুক।

পান্তা ইলিশ খাওয়ার সংস্কৃতি কবে থেকে শুরু এটা হয়তো আমরা কেউ-ই সঠিক বলতে পারবো না। পান্তা স্বাভাবিক যে নিয়মে করা হয়ে থাকে (আগের দিনের ভাতে পানি দিয়ে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করা) কিন্তু এই দিনে আমরা দেখতে পাই অতিরিক্ত চাহিদার কারনে ভাত রান্না করে ততক্ষনাৎ গরম ভাতে পানি দিয়ে পান্তা বানিয়ে বিক্রী করা হয়ে থাকে। আর সবচেয়ে বড় বিষয়টি হলো ঢাকাতে যেমন ভালো খাবার পানির সমস্যা আর সেখানে কি পানি ব্যবহার করা হচ্ছে সেটা না দেখে খাওয়া।

তারপরও সংস্কৃতি বলে কথা! পান্তা খেতেই হবে...



আপনি যদি আজকে পান্তা-ইলিশ না খান তাহলো সার দিনই আপনার মাটি হয়ে যাবে। যদি কেউ আপনাকে জিজ্ঞাসা করে আজকে পান্তা ইলিশ খেয়েছেন কি-না আর যদি আপনি না উত্তর দেন তাহলে আপনি তার কাছে ছোট হয়ে যাবেন, আপনার ইজ্জত কমে যাবে। এটাই বাস্তব। কিন্তু ধরুন আপনার যে বন্ধুটি পান্তা-ইলিশ খেয়েে গর্ব করে বলে বেড়াচ্ছে সবার কাছে হতেও পারে তার পেটের কোনো অসুখ ; আর তখন কিন্তু আপনি ভালই থাকবেন।

আর বছরের প্রথম দিন আপনি ভালো থাকলে সারা বছর ভালই থাকবেন ;)

কাজেই পান্তা ইলিশ বানিজ্যিক ভাবে যারা বিক্রী করছেন সেখানে না খেয়ে বাড়ীতে খেতে পারেন আর যদি খাওয়ার কোনো সুযোগ নাই থাকে তাহলে ঐ যে ঐটা চিন্তা করুন না খেয়েই আপনি বছরের প্রথমদিন অনেক সুস্থ আছেন...



সবাইকে শুভ নববর্ষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। অনেক অনেক ভালো কাটুক এই দিনটি আমাদের সবার।

শুভ নববর্ষ ১৪২১...



মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:২৯

তাসজিদ বলেছেন: আর এই পান্তা কালচার যে কোথা থেকে এলো তা আমার মাথায় ধরে না। আমি গ্রামেই বড় হয়েছি। আমি কখনো কাওকে পান্তা খেতে দেখিনি কিংবা শুনিনি।

আচ্ছা, পান্তার সাথে ইলিশের স্বাদ কেমন হবে? আমি কখনো খাই নি। তবে জঘন্য হবে যে তাতে কোন সন্দেহ নেই

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৪

সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: ভাই আমিও আপনার মতই গ্রামে বড় হয়েছি। আমরাও দেখিনি। তবে মজা করতে শুনেছি যে, এক বছরের ভাত অন্য বছরে কেউ খেয়েছে কি-না!
এখন বিষয়টা সম্পূর্ন বানিজ্যিক পর্যায়ে চলে গেছে। দেখেন না সামন্য একটু ভাত, আলু ভর্তা, ডাল ভর্তা, এক টুকরো ইলিশ মাছ ভাজা, একটি কাচা লঙ্কা, একটি পেঁয়াজ... এইসব দাম ২০০-৪০০ টাকা! আহ! কি বানিজ্য রে ভাই।
এরপর বাড়তি যেটা ফ্রি সেটা হলো বড়ই আনন্দিত সবাই। দেখা যাক ভবিষ্যতে এই পান্ত-ইলিশ সংস্কৃতি পরিবর্তন হয়ে কোন পর্যায়ে যায় সেটাই দেখার অপেক্ষায় থাকলাম...
শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল।
ভালো থাকবেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩

উদাস কিশোর বলেছেন: আপনার সাথে সহমত
নববর্ষের শুভেচ্ছা ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: ধন্যবাদ।
আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা।

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১২

নাসীমুল বারী বলেছেন: শুভ নববর্ষ ১৪২১।
পান্তা-ইলিশ বাংলার বা বাংলা বর্ষ পরিক্রমার কোনো অংশ না। ১৯৮৩ সালে হঠাৎ কজন তরুণ আর সৃষ্টিশীল মানুষের আচনিক চিন্তায় মজা করার মতই পান্তা-ইলিশের আগমন ঘটে আমাদের বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে। আজ এটি যেন আমাদের সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এভাবেই কৃষ্টির উদ্ভব হয় সংস্কৃতিতে। যেমন 'ভালবাসা দিবস'। এটিও আমাদের দেশে আমদানী হয় ১৯৯৪ সালে 'যায় যায় দিন'এর শফিক রেহমানের চিন্তা থেকে।
এসব নতুন কৃষ্টি গ্রহণযোগ্যতা পায় এর অনুভূতিক চৈতন্যে।

আমার ব্লগে আমন্ত্রণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.