![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রোববার সকাল ৬ টা থেকে চলছে রাজশাহী বিভাগে মালিক-শ্রমিকদের একটানা পরিবহন ধর্মঘট। আমরা সাধারন যাত্রীরা পরেছি চরম র্দুভোগে। ভেবেছিলাম পরিবহন ধর্মঘট ডেকে নির্দিষ্ট কিছু সময় পরেই বিষয়টি মিটে যাবে। এর আগেও তাই-ই হয়েছে। কিন্তু আজকে আবার ঘোষনা এটা চলবে অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত!
একটি স্বাধীন গনতান্ত্রিক দেশে এমন প্রতিবাদ হতেই পারে। সেক্ষেত্রে গনতান্ত্রিক সরকারকেও জনগনের কথা ভেবে পদক্ষেপ নিতে হয়। কিন্তু আমরা এখনও এর কোনো সমাধান পেলাম না।
আমাদের অফিসে যেতে হয় এই গন পরিবহনেই। আজকে অফিসে যাবার সময় দেখলাম সকল যাত্রীই অসহায়ের মত তাকিয়ে আছে কখন একটি টেম্পু, সিএনজি এসে তাদের নিয়ে যাবে। বিশেষ করে মহিলারা বেশি অসহায়।
মালিক শ্রমিকদের যে দাবী সেটা যুক্তি যেমন আছে তেমনি আবার এটা একটি গনতান্ত্রিক দেশের জন্য বিরোধ বটে।
তাদের দাবী রাস্তায় রেজিষ্ট্রি বিহীণ নছিমন/করিমন/ভুটভুটি ইজিবাইক চলতে পারবে না, আবার নিদিষ্ট দুরত্ব এলাকায় ইজারা নেয়া বিআরটিসি বাসও চলতে পারবে না... আরও অনেক কারন...
একজন গ্রামের কৃষক একটি নছিমন-করিমনে অল্প টাকা ভাড়া দিয়ে তার জমির ফসল সহজেই হাটে নিয়ে বিক্রী করতে নিয়ে যান। যেটা আগে সম্ভব হতো গরুর গাড়ী করে। (যুগের পরিবর্তনে সেই গরুর গাড়ী আর নেই। ) মালিক-শ্রমিক সহ আমরা সেই হাট থেকেই সকল পন্য কিনে খাই। একটি গনতান্ত্রিক দেশে সরকার জনগনের পরিবহন সংকট মেটাতে বিআরটিসি বাস সার্ভিস পদক্ষেপ নিতেই পারে। যদি আন্দোলনের মুখে এইসব বন্ধ হয় তাহলে ক্ষতিটা কাদের আর লাভবান কারা এটা নিরুপন করা কঠিন।
আমার মতে বাংলাদেশে যত সংগঠন আছে এর মধ্যে পরিবহন সেক্টরটা সবচেয়ে কঠিন সংগঠন। তারা ইচ্ছে করলেই সারাদেশের পরিবহন অচল করে দেয়। তাদের একতাও অনেক শক্তিশালী।
আজকে যেসব সিএনজি/টেম্পু চলছে তারাও কিন্তু ঐ সংগঠনেরই তাদের কাছে বিষয়টা ভিন্ন। তারা পেটের দায়ে কাজ করে খায়। আর না থকেতে পেরে এত প্রতিকূল পরিবেশেও গাড়ী নিয়ে বেরিয়েছে। কাজেই মালিক যারা তাদের তেমন কিছু না হলেও শ্রমিকদের জন্য এটা অনেক ক্ষতিকর বলা যায়।
সবকিছুর পরেও একটি দেশের সরকারকে এমন সমস্যার মুখোমুখি দাড়াতেই হয় আর এর সমাধানও তার হাতেই।
তাই আশা করছি বিষয়টি বর্তমান সরকার গুরুত্বের সঙ্গেই দেখবে।
©somewhere in net ltd.