![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উৎসবটা যখন ঈদ আর তখন বাড়ী যাওয়া হবে না! এইটা হয় কখনও? আর তাই তারা এত ঝুঁকি নিয়েও চলছে গ্রামের বাড়ীতে ঈদ করতে। এরা বেশির ভাগই নিম্ন আয়ের মানুষজন। এদের ১৫-২০ ঘন্টা লম্বা সময় ধরে লাইনে দাড়িয়ে টিকেট কাটার সাময় নেই। কারন এই সময়ে তারা ব্যস্ত অর্থ উপার্জনে। কারন এই টাকা নিয়ে্ই যেতে হবে বাড়ী। আর সেখানে পরিবারের সকলকে নিয়ে ১-২ দিন সেমাই, গোস্ত সহ ভালো খাবার খাওয়া। কারন এই উৎসবেই একটু ভালো খাওয়ার চেষ্টা।
বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলে আইলা বিধ্বস্ত এলাকায় একবার প্রিয় শাইখ সিরাজ স্যার গিয়েছিলেন ঈদ এর প্রতিবেদন করতে। সেখানকার কৃষকরা বললেন তারা বছরের এই উৎসবেই শুধু গোস্ত খেয়ে থাকেন! আর সারা বছর অত্যন্ত সাধারন মানের খাবারেই চলে যায়।
যেহতু বাড়ী যেতে হবে তাই এই ঝুকি নেয়া। ট্রেনের ছাদে চলা অত্যন্ত বিপদজনক। প্রতিবারই আমরা দেখি রেলের ব্রীজে ধাক্কা লেগে উপর থেকে পড়ে মৃত্যু এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক কারন সেইসব পরিবারে ঈদের আনন্দের পরিবর্তে থাকে কান্নার রোল
অনেকে তাদের নিজেদের প্রাইভেট কার নিয়ে ছুটে চলছেন গ্রামে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে। কিন্তু যত কষ্ট তত আনন্দ। এইটাতো আমরা জানি। তাই, এই ঈদে তারাই বেশি আনন্দ করবে যারা কষ্ট করে এই কড়া রোদেও ট্রেনের ছাদে সুস্থভাবে বাড়ী পৌছবে।
সকলের যাত্রাই শুভ হোক। সকলেই ঈদের দিনটি পরিবারের সবার সঙ্গে ভালোবাসার মাখামাখি নিয়ে কাটাক এই কামনাই থাকলো।
সকলকেই ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা।
২৬ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩০
সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।
আনন্দ করতে গেলে একটু কষ্ট সহ্য করাই লাগবে তাই মেনে নেয়া ...
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কমেন্টের জন্য।
আর সঙ্গে অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: দেশে ঘন্টায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ উৎপাদিত হচ্ছে, কি করা! আশি লাখের মত মানুষ ঢাকা ছাড়ে এই ঈদের আগে। এত মানুষকে নরমাল ট্রান্সপোর্ট দিতে গেলে সারাদেশ খালি বাস ট্রেনে ভরে যাবে, চলবেনা একটাও সব দাড়িয়ে থাকবে।