![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে যখন চাকরীরর সময় হয় তখন অন্যরকম এক অনুভূতি। একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হয়ে একটি সেক্টর চালাবো। লোকে স্যার স্যার বলবে। এইটা ভাবতেকার না ভালো লাগে।
কিন্তু চাকরীর বাজার বড়ই গরম। এখানে দুর্বলদের কোন স্থান নেই (স্বাভাবিকভাবে, তবে মামা-খালু, মন্ত্রী ওয়ালাদের ক্ষেত্রে ভিন্ন কথা)।
চাকরীর বেশির ভাগই যখন পরীক্ষা ঢাকাতে হয় আর ঢাকার বাইরে যারা থাকে তাদের প্রতি শুক্রবার একটি না একটি পরীক্ষা থাকেই আর সেজন্য মাস্টার্স শেষ করে রেজাল্টের পর চলে আসলাম ঢাকাতে। এখন বুঝেছি ঢাকাতে না আসলে হয়ত চাকরী আর পাওয়া হত না।
ঢাকার জীবনটা এমনই যে এখনে বসে থেকে সময় নষ্ট করার মত কেউ নেই। আমার মত যারা চাকরী প্রার্থী তারা খেয়ে না খেয়ে সারা দিন রাত্রি কারেন্ট এ্যাফেয়ারস্/কারেন্ট ওয়ার্ল্ড সহ কতই না বই নিয়ে দিনের পর দিন কাটিয়ে দিচ্ছে। এই সব দেখেও পড়ার প্রতি সবাই আরও মনোযোগী হয়।
নিয়েগটাতো সব সময় হয় না, দীর্ঘ ৬-৮ মাস চাকরীর পড়া পড়ে প্রস্তুতি নিয়ে মাত্র একদিন ১-৩ ঘন্টার জন্য পরীক্ষা দেয়া। আর সেদিন ভালো হলে ভালো আর যদি খারাপ হয় তাহলে আরও একটি বছর অপেক্ষা! এটা ভাবলে একটি চিন্তা (অনেকটা হতাশাও) কাজ করে। এভাবেই চাকরী প্রার্থীদের চলে জীবন যাপন।
এইভাবে চাকরী নিয়ে সবাই ছাড়তে থাকে ঢাকা। কারন ঢাকাতে থাকতে কার ভালো লাগে? তবুও এখানে না থাকলে জীবনের মূল্যায়নটা হয় না, এখানেই থাকতে হয় , থাকতে ইচ্ছা হয় একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। স্বাভাবিকভাবেই হল একটি বেসরকারী ব্যাংকে চাকরী। জয়েন করলাম।থাকলাম ৬ মাস।এরপর হল আরেকটি সরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংকে চাকরী বর্তমানে এখানেই আছি।
এইবার চাকরী পরবর্তীতে লেখাপড়া। এক্ষত্রেও বিভাগীয় পরীক্ষা থাকে। যেগুলো পাশ না করলে প্রমোশন থাকবে আটকে। যে এখানেও লেখাপড়া চালিয়ে যাবে সেই হবে বেশি সফল। কাজেই এখানেও রিল্যাক্স নেই।
যেহেতু ব্যাংকে আছি আর সেইজন্য ডিপ্লোমা টা বিশেষ মূল্যবান এখানে। ব্যাংকের চাকরী এমনিতেই অনেক চ্যালেঞ্জিং। সারাদিন জব করে আর পড়ার প্রতি এনার্জি থাকে না। তবু এর মধ্যেও যে পড়বে সেই এগিয়ে যাবে। ১ম পার্টে ৫/৬ টি পাশ করলেও একটি বিষয় এ্যাকাউন্টিং হচ্ছেই না। ৪ বার দিলাম। এইবারও ফেল। এতদিন পরীক্ষা দিয়েছি হেসে-খেলে। কিন্তু এখন যখন প্রমোশন এর সময় এসেছে তখন একটু চিন্তা (একটু হতাশাও বলা যায় ) হচ্ছে বেশি।
আর এই জন্য আজ থেকে শুরু করলাম সেই স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাকরীর জন্য যেমন ভাবে লেখাপড়া করতে হয়েছে একটু হলেও বেশি করে। হিসাববিজ্ঞান এমন একটি বিষয় যাদের কাছে অনেক সহজ , যারা সহজেই এটি পাশ করেছে তাদের পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতে ইচ্ছা করছে। অনেকগুলো বই সংগ্রহ করে আজ থেকে পুরোদমে শুরু করলাম মহান সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরন করে লেখাপড়া। সবাই একটু দোয় করবেন যেন এইবার অবশ্যই পাশ করতে পারি। (পরীক্ষা ডিসেম্বরে)
ভালো থাকুন সবাই, সবাইকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.