![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৩০ নভেম্বর ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী দেওয়ার সময় শেষ হবে। এর আগেই সব করদাতার বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন দিতে হবে। এবার একটু ভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে চাকরিজীবীদের। বেসরকারি চাকরিজীবীদের বাধ্যতামূলক ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই–টিআইএন) নিতে হচ্ছে।
চাকরিজীবীদের করজালে আনতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা, প্রশাসনিক ও তদারকির পর্যায়ে চাকরিজীবীদের ই–টিআইএন নিতে হবে। তবে করযোগ্য আয় না থাকলে রিটার্ন জমা দিতে হবে না। অন্যদিকে, সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে যাঁদের মূল বেতন ১৬ হাজার টাকার বেশি, তাঁদের অবশ্যই ই–টিআইএন নিয়ে রিটার্ন জমা দিতে হবে।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। গত অর্থবছর পর্যন্ত ই–টিআইএনধারী মানে, করজালে ছিলেন মাত্র ১৯ লাখের মতো। চলতি অর্থবছরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের ই–টিআইএন নেওয়া বাধ্যতামূলক করায় নতুন ই–টিআইএনধারী ব্যাপক হারে বেড়েছে। সুফল পেতে শুরু করেছে এনবিআর। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে ৩ লাখ নতুন করদাতা বা ই–টিআইএনধারী খুঁজে বের করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ৭ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ ই–টিআইএনধারী পাওয়া গেছে। এর সিংহভাগই সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী। চলতি অর্থবছরে ই–টিআইএনধারীর সংখ্যা ২৫ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন এনবিআরের কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, যাঁদের করযোগ্য আয় নেই (বছরে আড়াই লাখ টাকার কম আয়), তাঁদের রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক নয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ প্রথম আলোকে বলেন, এটি ভালো উদ্যোগ। কিন্তু ই–টিআইএনধারী বাড়লেও মৌলিক করদাতা বাড়বে, এটা বলা যায় না। চাকরির স্বার্থেই অনেক বেসরকারি চাকরিজীবী ই–টিআইএন নিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এনবিআর কীভাবে বুঝবে ই–টিআইএনধারী বেসরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে কারা করযোগ্য আয় করেন, কারা করেন না। ওই চাকরিজীবীকে রিটার্ন দিয়েই প্রমাণ করতে হবে তাঁর করযোগ্য আয় নেই।
তবে এনবিআরের মাঠপর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা টিআইএন নিয়েছেন, কিন্তু করযোগ্য আয় থাকায় রিটার্ন দেননি, এমন করদাতাদের সরাসরি চিহ্নিত করা যাবে না। যেহেতু তাঁরা আগে কখনো কর দেননি। তবে তিনি (টিআইএনধারী) যে প্রতিষ্ঠানে কর দেন, সেই প্রতিষ্ঠানের নথিপত্র দেখে কোন কর্মীর করযোগ্য আয় আছে, সহজেই বের করা যাবে।
টিআইএনধারী বাড়াতে বাজেটে এ বিষয়ে একটু ঘুরিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক ছাড়া যেকোনো কোম্পানির বেতনভুক্ত কর্মীদের ই–টিআইএন থাকতে হবে।
শ্রমিক ছাড়া সাধারণত একটি প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা, প্রশাসনিক ও তদারকি পর্যায়ে বিভিন্ন পদমর্যাদার বহু বেতনভুক্ত কর্মী থাকেন। বেতনভুক্ত কোনো কর্মীর ই–টিআইএন না থাকলে ওই সব কোম্পানির ওপর খড়্গ পড়বে। আয়কর অধ্যাদেশের ৩০ ধারায় সংশোধন করে বলা হয়েছে, কোনো বেতনভুক্ত কর্মীর ই–টিআইএন না থাকলে ওই কর্মীকে যে বেতন দেওয়া হবে, তা কোম্পানি বেতন খাতে খরচ হিসেবে দেখাতে পারবে না। তাই চলতি অর্থবছর শুরুর পর থেকেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ তাগিদেই তাদের কর্মীদের ই–টিআইএন করতে উদ্বুদ্ধ করছে।
এবার আসা যাক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে। এনবিআর বাজেটে নতুন আইন করেছে যে, যদি কোনো সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা বা এর বেশি হয়; তবে বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দিতে হবে। নতুন বেতনকাঠামো অনুযায়ী, দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তাদেরও আয়কর বিবরণী জমা দিতে হবে। এ ছাড়া বেতনকাঠামোর দশম বা সমতুল্য গ্রেড বা এর বেশি গ্রেডের বেতনধারীদের ই–টিআইএন নেওয়া তো বাধ্যতামূলক। এমনকি সরকারি উৎসের এমপিওভুক্তির আওতায় কোনো চাকরিজীবীর মূল বেতন যদি ১৬ হাজার টাকা কিংবা এর বেশি হলেও ই–টিআইএন থাকতে হবে।
করযোগ্য আয় করেন এমন সব সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীর বেতন থেকে প্রতি মাসেই অগ্রিম আয়কর কাটার ওপর জোর দিচ্ছে এনবিআর। যদিও আগে থেকেই এ নিয়মটি ছিল। চলতি অর্থবছরে পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এ নির্দেশ প্রচার করা হয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী, অগ্রিম করের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য বার্ষিক আয়, বিনিয়োগের অনুমানভিত্তিক পরিমাণ হিসাব করতে হবে। বিনিয়োগে কর রেয়াত বাদ দিয়ে যে পরিমাণ আয় অবশিষ্ট থাকবে, সেটাকে ধরে প্রদেয় কর হিসাব করতে হবে। এ অনুমিত করের পরিমাণকে ১২ দিয়ে ভাগ করে প্রতি মাসে তা বেতন থেকে কেটে রাখা হবে। অগ্রিম করের অর্থ কেটে রেখে কর্মীদের বেতন-ভাতা দিতে হবে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানকে।
এ বিষয়ে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, বেতন থেকে অগ্রিম আয়কর নিলে চাকরিজীবী করদাতা ও নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান—উভয়ের আয়-ব্যয়ের হিসাবের স্বচ্ছতা আসবে। যেহেতু এ অগ্রিম কর নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানই জমা দেবে; তাই এনবিআরের উচিত হবে প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিকভাবে অগ্রিম করের অর্থ জমা দিচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করা।
৩০ নভেম্বর ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী দেওয়ার সময় শেষ হবে। এর আগেই সব করদাতার বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন দিতে হবে। এবার একটু ভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে চাকরিজীবীদের। বেসরকারি চাকরিজীবীদের বাধ্যতামূলক ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই–টিআইএন) নিতে হচ্ছে।
চাকরিজীবীদের করজালে আনতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা, প্রশাসনিক ও তদারকির পর্যায়ে চাকরিজীবীদের ই–টিআইএন নিতে হবে। তবে করযোগ্য আয় না থাকলে রিটার্ন জমা দিতে হবে না। অন্যদিকে, সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে যাঁদের মূল বেতন ১৬ হাজার টাকার বেশি, তাঁদের অবশ্যই ই–টিআইএন নিয়ে রিটার্ন জমা দিতে হবে।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। গত অর্থবছর পর্যন্ত ই–টিআইএনধারী মানে, করজালে ছিলেন মাত্র ১৯ লাখের মতো। চলতি অর্থবছরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের ই–টিআইএন নেওয়া বাধ্যতামূলক করায় নতুন ই–টিআইএনধারী ব্যাপক হারে বেড়েছে। সুফল পেতে শুরু করেছে এনবিআর। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে ৩ লাখ নতুন করদাতা বা ই–টিআইএনধারী খুঁজে বের করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ৭ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ ই–টিআইএনধারী পাওয়া গেছে। এর সিংহভাগই সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী। চলতি অর্থবছরে ই–টিআইএনধারীর সংখ্যা ২৫ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন এনবিআরের কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, যাঁদের করযোগ্য আয় নেই (বছরে আড়াই লাখ টাকার কম আয়), তাঁদের রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক নয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ প্রথম আলোকে বলেন, এটি ভালো উদ্যোগ। কিন্তু ই–টিআইএনধারী বাড়লেও মৌলিক করদাতা বাড়বে, এটা বলা যায় না। চাকরির স্বার্থেই অনেক বেসরকারি চাকরিজীবী ই–টিআইএন নিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এনবিআর কীভাবে বুঝবে ই–টিআইএনধারী বেসরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে কারা করযোগ্য আয় করেন, কারা করেন না। ওই চাকরিজীবীকে রিটার্ন দিয়েই প্রমাণ করতে হবে তাঁর করযোগ্য আয় নেই।
তবে এনবিআরের মাঠপর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা টিআইএন নিয়েছেন, কিন্তু করযোগ্য আয় থাকায় রিটার্ন দেননি, এমন করদাতাদের সরাসরি চিহ্নিত করা যাবে না। যেহেতু তাঁরা আগে কখনো কর দেননি। তবে তিনি (টিআইএনধারী) যে প্রতিষ্ঠানে কর দেন, সেই প্রতিষ্ঠানের নথিপত্র দেখে কোন কর্মীর করযোগ্য আয় আছে, সহজেই বের করা যাবে।
টিআইএনধারী বাড়াতে বাজেটে এ বিষয়ে একটু ঘুরিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক ছাড়া যেকোনো কোম্পানির বেতনভুক্ত কর্মীদের ই–টিআইএন থাকতে হবে।
শ্রমিক ছাড়া সাধারণত একটি প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা, প্রশাসনিক ও তদারকি পর্যায়ে বিভিন্ন পদমর্যাদার বহু বেতনভুক্ত কর্মী থাকেন। বেতনভুক্ত কোনো কর্মীর ই–টিআইএন না থাকলে ওই সব কোম্পানির ওপর খড়্গ পড়বে। আয়কর অধ্যাদেশের ৩০ ধারায় সংশোধন করে বলা হয়েছে, কোনো বেতনভুক্ত কর্মীর ই–টিআইএন না থাকলে ওই কর্মীকে যে বেতন দেওয়া হবে, তা কোম্পানি বেতন খাতে খরচ হিসেবে দেখাতে পারবে না। তাই চলতি অর্থবছর শুরুর পর থেকেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ তাগিদেই তাদের কর্মীদের ই–টিআইএন করতে উদ্বুদ্ধ করছে।
এবার আসা যাক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে। এনবিআর বাজেটে নতুন আইন করেছে যে, যদি কোনো সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা বা এর বেশি হয়; তবে বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দিতে হবে। নতুন বেতনকাঠামো অনুযায়ী, দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তাদেরও আয়কর বিবরণী জমা দিতে হবে। এ ছাড়া বেতনকাঠামোর দশম বা সমতুল্য গ্রেড বা এর বেশি গ্রেডের বেতনধারীদের ই–টিআইএন নেওয়া তো বাধ্যতামূলক। এমনকি সরকারি উৎসের এমপিওভুক্তির আওতায় কোনো চাকরিজীবীর মূল বেতন যদি ১৬ হাজার টাকা কিংবা এর বেশি হলেও ই–টিআইএন থাকতে হবে।
করযোগ্য আয় করেন এমন সব সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীর বেতন থেকে প্রতি মাসেই অগ্রিম আয়কর কাটার ওপর জোর দিচ্ছে এনবিআর। যদিও আগে থেকেই এ নিয়মটি ছিল। চলতি অর্থবছরে পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এ নির্দেশ প্রচার করা হয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী, অগ্রিম করের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য বার্ষিক আয়, বিনিয়োগের অনুমানভিত্তিক পরিমাণ হিসাব করতে হবে। বিনিয়োগে কর রেয়াত বাদ দিয়ে যে পরিমাণ আয় অবশিষ্ট থাকবে, সেটাকে ধরে প্রদেয় কর হিসাব করতে হবে। এ অনুমিত করের পরিমাণকে ১২ দিয়ে ভাগ করে প্রতি মাসে তা বেতন থেকে কেটে রাখা হবে। অগ্রিম করের অর্থ কেটে রেখে কর্মীদের বেতন-ভাতা দিতে হবে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানকে।
এ বিষয়ে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, বেতন থেকে অগ্রিম আয়কর নিলে চাকরিজীবী করদাতা ও নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান—উভয়ের আয়-ব্যয়ের হিসাবের স্বচ্ছতা আসবে। যেহেতু এ অগ্রিম কর নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানই জমা দেবে; তাই এনবিআরের উচিত হবে প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিকভাবে অগ্রিম করের অর্থ জমা দিচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করা।
[সূত্রঃ প্রথম আলো ১৫.১১.২০১৬]
©somewhere in net ltd.