![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বৃত্তান্ত সবটুকুই বৃত্তে ঘেরা। কেন যেন এটাকে ভেঙ্গে চলে যেতে পারি না।
আজ সকাল ৭-৩০, ঘুম ভেঙ্গে দেখি বাইরেটা এখোনো কুয়াশায় ঢাকা। ভাবলাম আরেকটু ঘুমিয়ে নিই। আর ৫ মিনিট ঘুমালে কিছুই হবে না। ব্যস ৫ মিনিট পর ঘুম থেকে উঠে দেখি ৮-৪০ বাজে।
তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে হালকা কিছু মুখে দিয়ে অফিসের দিকে ছুট। তাড়াতাড়ি যেনো বাস ধরতে পারি তাই রিকশা নিয়ে ছুটলাম। আমার রিকশা টা বাস কাউন্টারে পৌছানোর সাথে সাথে বাস টা ছেড়ে চলে গেলো। ভাবলাম আরেকটা বাসে উঠি। কিন্তু সেই বাসের দিকে তাকাতেই ওটাও দেখলাম ছেড়ে দিলো।
কি আর করা। খালি বাসে উঠে চুপচাপ বসে থাকলাম আর ওটা ছাড়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম। আমি জেনেশুনে ই বাসের ছিট এ বসেছিলাম। হঠাথ করে এক জন এসে মহিলা ছিট ছেড়ে দিতে বলল। বিনা কারণে রাগারাগি করা শুরু করল। যাই হোক, তাকে মহিলা সিট এর সংখ্যা ও বিন্যাস সম্পরকে আরেকবার বুঝালাম। সে আর কিছু বলল না। আমি ও বিজয়ীর ভংগী তে বসে রইলাম।
যাই হোক লেট করে অফিসে ঢুকেই মনে হলো সবাই যেন কেমন করে তাকাচ্ছে !! ফটাফট পিসি তা ওপেন করে কাজ করা শুরু করলাম। ভাবলাম আজকে সব কিছু দ্রুত করে সময় মতো বেরোবো।
কাজ করা শুরু করলাম। একটা শেষ করি। আরেকটা ঝামেলা এসে হাজির হয়। ঝামেলা গুলো ক্রমে ক্রমে শত্রুর মতো মনে হতে লাগলো। মনে হলো এরা বোধহয় আমাকে আজ সময় মতো বের হতে দিবে না। অবশেষে আমি আটকা পড়লাম... আটকা পড়লাম মাইক্রোসফট এর ব্রাউজারের কাছে। সে আমাকে উঠতে দিলো না। আমাকে বসায়ে রাখলো রাত ৯-৩০ পর্যন্ত। কোনোমতে কাজগুলো সার্ভারে তুলে ছুটলাম ৩৬ নং এর বিশাল বাস এর লাইনের উদ্দেশ্যে। মনে মনে একটা ই আশা, যেন একটু তাড়াতাড়ি বাসায় পৌছাতে পারি। বিশাল লম্বা লাইন। সাথে ২ জন কলিগ। লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। হঠাথ একটা হাল্কা ভিড়ের "বাহন" বাস দেখে ভাবলাম উঠে পরি। কিন্তু ওঠার পর বুঝলাম যতটা হালকা ভেবেছিলাম ভিতরে ততটা হাল্কা না।
যাই হোক শত ভিড়ের মধ্যে, শীতের মধ্যে, ঘামতে ঘামতে, ঝুলতে ঝুলতে আসতে থাকলাম।
হঠাথ মনে হলো আমার কলিগ দের কি খবর। ফোন করলাম। শুনে মন টা আরো খারাপ হয়ে গেলো। আমি বাসে চলে আসার পর পরই নাকি তারা একটা খ্যাপ এর গাড়ি পেয়ে যায় এবং তারা মহা আরামে যাচ্ছে। কি আর করা। বাসের মধ্যে আমার পাশে দাঁড়ানো এক রুপসী ললনা কে দেখেই নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করতে থাকলাম। আর মনে মনে ভাবলাম যে আজকের দিন টা কে আর ভালো করতে পারলাম না। কেমন করে যেনো সারাটা দিন খারাপ গেল। এটা ভাবতে ভাবতে ই সেই নারী নেমে গেলেন কল্যানপুরে। পাশাপাশি আমি ও একটা বসার সিট পেয়ে গেলাম। দুঃখ আর আনন্দের মিশ্র অনুভুতি নিয়ে বসে পড়লাম। এক সময় এসে মিরপুর ১ এ নেমে ও গেলাম।
মনে মনে শুধু একটা চিন্তাই ঘুরছে। সারা দিনটাকে কন্ট্রোল ই করতে পারলাম না। যাই হোক। হেটে হেটে বাড়ির দিকে আসছি। বাসার গলির সামনে দেখি একটা মিনি বাস কে ঘিরে অনেক গুলো লোক দাঁড়িয়ে এবং অনেকে ছোটাছুটি করছে। এক জন কে জিজ্ঞাসা করলাম এবং শুনে আমি নিশ্চিত হলাম যে আজকের দিনটা আসলেই খারাপ ছিলো। মিনি বাস টা নাকি এক জন কে চাপা দিয়েছে কিছুক্ষণ আগে। লোকটার অবস্থা খুব খারাপ। তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ঈশ্বর তার মঙ্গল করুন।
হাটতে হাটতে চলে আসলাম বাড়ি তে। ভাবলাম আমার মনের এই অবস্থা সামুর মামুদের না জানালেই নয়। হাজার হলেও সামুতে আসলে মন টাই ভালো হয়ে যায়। লেখা প্রায় শেষ। ১২ টাও বাজতে গেলো। দেখি বাকি সময় টা কেমন কাটে। দোয়া করবেন, কাল যেনো ভালো করে কাটাতে পারি।
সবাই ভালো থাকবেন। শুভ রাত্রী।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫৪
সমীরণ পাল বলেছেন: হ্যা রে ভাই, নিয়মিত লেখা হয় না। বাংলা পড়া ও বলার চেয়ে ডিজিটালি লেখা অনেক কঠিন। তাও তো অভ্র টা হয়ে এখন অনেক সুবিধা হয়েছে।
তুমি ঠিক ই বলেছো। চাপা পড়া লোকটা আমি ও হতে পারতাম। কিন্তু হইনি সেই জন্য আসলেই সৌভাগ্যভান। তোমাকে ধন্যবাদ আমাকে সৌভাগ্যভান করে দেয়ার জন্য। হ ম ম ম তোমার এই কথাটা ভাবলেও ভয় লাগছে এখন।
যাই হোক!! কেমন চলছে তোমার ??
২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২৩
চাঙ্কু বলেছেন: মাঝে মাঝে কিছু কিছু দিন চরম খারাপ যায় । এইটাই মনে হয় জীবন
৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭
বড় বিলাই বলেছেন: খারাপ দিনগুলো জীবনে আসে বলেই তো ভালো দিনের কদর বোঝা যায়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:১৬
শিবলী বলেছেন: সমিরন ভাই, তোমার দিনটা দেখি আসলেই খারাপ গেছে।
সামুর হিটও কম
তবে ঐ বাস চাপা লোকটা তুমি নও - সেটাই বা কম সৌভাগ্যের ব্যাপার নয়।
নিয়মিত লেখ না ক্যান?