নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১০) সমকামিতা ১৮++

১৯ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

আগের পর্বগুলোতে অনেকবার বলেছি, আমি মফস্বল শহরে বেড়ে ওঠা মেয়ে। আমাদের মফস্বল শহরগুলোতে একটু বড় হতে হতে মেয়েদেরকে ওড়না, বোরখা পরিয়ে দেওয়া হয়। ফিসফিস করে মা, খালারা বলেন এখন বড় হয়েছ। রেখেঢেকে চলতে হবে, ছেলেদের সাথে খেলবেনা, তাকাবেনা। মোটামুটি বিয়ের আগে ছেলে মেয়ের মেলামেশা অবৈধই ধরা হয়। সেই আমি এমন এক দেশে এসে পড়লাম, যেখানে ছেলে মেয়ে তো কিছুই না, ছেলে ছেলে, মেয়ে মেয়ে প্রেম, বিয়ে সব করে ফেলে!! সমকামিতার সাথে আমার পরিচয় মূলত কানাডায় এসে। নিঃন্দেহে সবচেয় বড় কালচার শক এটাই ছিল। সেসব অভিজ্ঞতা নিয়েই আজকের পর্ব।

আগের পর্বগুলো:
কানাডার স্কুলে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (২য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (৩য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (চতুর্থ পর্ব)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৫)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৬) ১৮+
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৭) আমার ভারতীয়, পাকিস্তানী অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৮) কিছু ভারতীয় যে কারণে বাংলাদেশকে ছোট করে দেখে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৯): কেন প্রবাসি বাংলাদেশি বাচ্চারা কানাডিয়ান/ভারতীয় হয়ে যাচ্ছে

তখন আমি সদ্য কিশোরি, কানাডায় কয়েকমাসই হয়েছে। আমাদের স্কুল শেষ হত দুপুর ৩ টায়। সময়টা গরমকাল ছিল। কানাডার গরম ভয়ংকর সুন্দর। ঘাম হয়না, ধুলাবালি নেই। সোনালি রোদে ঝিকিমিকি আলোয় ভরে যায় চারিদিক। স্কুল থেকে আসার পথে একটা ঢালু মতো জায়গায় পায়ের কাছে কিছু হলুদ বুনো ফুল গজিয়ে থাকত। আমি স্কুলে যাওয়ার, এবং আসার সময় একটা তুলে খেলতে খেলতে যেতাম। আবার স্কুলে, এবং বাড়িতে ঢোকার সময় ফেলে দিতাম। সেদিনও নরমাল একটা দিন ছিল। আমি ফুল হাতে নিয়ে নিজের মনেই হাসতে হাসতে বাড়ি যাচ্ছি। বাড়ির কাছাকাছি জায়গায় এসে দেখলাম, একটা কাপল খুব অন্তরংগভাবে ঘাসের ওপরে শুয়ে আছে।

চোখ সরিয়ে নিলাম, কয়েক মাসে শিখে গেছি এখানে এসব ওপেনলি হয়, আর তাকিয়ে থাকাটা অভদ্রতা। কিন্তু চোখ সরাতে গিয়েই আবার চোখ চলে গেল। একি? এরাতো দুজনেই ছেলে!!! ও আল্লাহ এ আমি কি দেখলাম! তাকানো উচিৎ না জেনেও আবার তাকালাম, এবং অপলক কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে রইলাম। ভালো করে খেয়াল করে বুঝলাম আসলেই দুজনেই ছেলে। আমার হাত থেকে ফুলটা ফসকে পরে গেল। ঘামতে লাগলাম ভেতরে ভেতরে। এসবও হয়? আগে অল্পবিস্তর মুভিতে এসব দেখেছি, এবং ভেবেছি মুভিতে তো কত কিছুই দেখায়! কমিক রিলিফের জন্যে দিচ্ছে বোধ হয়। কিন্তু আসলেই এসব হয়?

বাড়িতে কাপতে কাপতে আসলাম। মা জিগ্যেস করলেন কি হয়েছে? আমি বললাম মা আমাদের স্কুল থেকে ঐ ঢালু রাস্তাটা পার হয়ে বাড়ির কাছে এসে দেখলাম দুইটা ছেলে কেমন.... বলতে বলতে থেমে গেলাম। এসব কি বলা যায়? মা বলল কি? ডিস্টার্ব করছিল? আমি বললাম না, দুইটা ছেলে সিগারেট খাচ্ছিল। মা বললেন এ আর এমন কি? এই দেখেই এরকম অবস্থা। এখানে আরও কত কিছু দেখতে হবে!
আমার মা জানতেন না আমি আসলেই অনেক কিছু দেখে এসেছি! তারপরে কোনরকমে হাত মুখ ধুয়ে, খাবার খেয়ে ল্যাপটপে ঝাপিয়ে পরলাম। দেখলাম এই গে, লেসবিয়ান কমুনিটি সত্যিই আছে, এবং পক্ষে বিপক্ষে অনেক তর্কও আছে। নিজেক মূর্খ মনে হল! কোন দুনিয়ায় থাকি আমি? দুনিয়া কোথায় চলে গেছে, আর আমি কোথায় পরে আছি। সারাজীবনই কি এত বোকা থাকব আমি?

আপনারা ওপরের প্যাড়া পরে ভাবছেন কানাডায় গে, লেসবিয়ান কোন ইস্যুই না? ডালভাত ব্যাপার? সব ওপেনলি হয়? আসলে অনেকটা তাই, তবে এটা একসময় অনেক বড় ইস্যু ছিল। অনেকেই মেনে নিতে পারত না। বলত এটা ইভ এবং আডামের পৃথিবী, স্টিভ এবং আডামের না। অনেকে স্কুলে খারাপভাবে বুলিড হত গে হওয়ার কারনে। একজন আমেরিকান বাচ্চাকে তার সহপাঠি খুন পর্যন্ত করেছিল গে হওয়ার দোষে। চার্চগুলো কোমড় বেধে নেমে পরেছিল এদের নির্মূল করতে। কেননা তাদের মতে বাইবেল এসব নোংরামি সাপোর্ট করেনা। তবে এসব সমস্যা এখন অনেকটাই কমে গেছে। মানুষজন সহজেই মেনে নিচ্ছে আজকাল।

একবার স্কুলে আমার কিছু সহপাঠি ঝগড়া করছিল। এমন সময়ে একজন আরেকজনকে গে হিসেবে সম্মোধন করল। টিচার সেটা খেয়াল করে বললেন এটা কখনো গালি হিসেবে ব্যবহার করবে না। এধরনের অনেক মানুষ আমাদের সমাজে আছে যারা আসলেই গে, এভাবে তাদেরকে অপমান করা হবে। ওরা মাথা ঝাকিয়ে ব্যাপারটা বুঝল।
আমার এক ব্রাজিলিয়ান বান্ধবী "J"র কথা বলেছি ৬ পর্বে। ওর ব্রাজিলে থাকা এক বান্ধবীর মা বাবা লেসবিয়ান বলে ওকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল। সে তখন থেকে নিজের গার্লফ্রেন্ডের সাথে লিভ টুগেদার করছে! মা বাবার সাথে ৭ বছর ধরে কোন কনট্যাক্ট নেই। আমার কাছে আসল সমস্যা এসব না। আসল সমস্যা অনেক বড়!

গে/লেসবিয়ানরা নিজের সেক্সুয়ালিটি বুঝে অনেকের সাথে মিশে। তারপরে নিজের মধ্যে ডিফারেন্স অনুভব করে। কিন্তু এভাবে করে সবাই আজকাল কনফিউজড হয়ে যাচ্ছে। পার্টিতে কোন সেম জেনডারের মানুষের সংগ ভালো লাগছে? ব্যস নিজেকে প্রশ্ন আমি কি গে? কেউ যেন শিউর না কি চায়, কেন চায়। এখানে অনেকে যেকোন জেন্ডারের সাথে নির্দ্বিধায় সম্পর্ক করছে যাতে নিজের সেক্সুয়ালিটি নিয়ে কোন দ্বিধা না থাকে! নিজেকে খোজার চেষ্টায় যেন হারিয়ে ফেলছে নিজেকে। নিজেকে জানতে না পারা, নিজের প্রায়োরিটিস না জানতে পারাটা যে কি এক দূর্বিষহ যন্ত্রনা! যারা এসবের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তারাই ভালো বলতে পারবে।

আমাদের দেশে মা বাবাদের সবচেয়ে বড় ভয় সন্তান পড়াশোনা করেনা, অথবা প্রেম করে বেড়াচ্ছে। এখানে মা বাবাদের সবচেয়ে বড় ভয় কোন এক সকালে নাস্তার টেবিলে মেয়ে শান্ত গলায় বলবে, "আমার আবার ব্রেকআপ হয়েছে। আমি আসলে অন্যরকম। আমার ছেলেদের না মেয়েদের ভালো লাগে!" মা বাবা জানেন এসবের গ্রহণযোগ্যতা হলিউডে যতই থাকুক না কেন বাস্তব জীবনে কত কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় এদেরকে। কিছু কিছু মা বাবা সাপোর্ট করেন, আর কেউ কেউ এসব করলে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার, পকেটমানি কেটে নেওয়ার হুমকি দেন!
এতো গেল বাচ্চাদের কথা! আজকাল অনেক বয়স্ক মানুষ তাদের ২০/৩০ বছরের পুরোনো হাসবেন্ড/ওয়াইফকে ডিভোর্স দিয়ে সেম সেক্স ম্যারেজে ঢুকে পরছেন। আর বলছেন এতদিন সমাজের ভয়ে চুপ ছিলেন, কিন্তু এখনকার আধুনিক সমাজে নাটক করার দরকার নেই। We all finally have got the right to be ourselves. তা দেখে গে এক্টিভিস্টরা আরও জোর পায়। বলে বহুযুগ থেকে তাদের দাবিয়ে রাখা হয়েছে, আর না! আর চার্চগুলো বলে, এসব গে এক্টিভিস্টরা হাজারটা সুখের সংসার নষ্ট করছে। সময় থাকতেই এদের বের করে দিতে হবে। আর সরকার পরে যায় গেড়াকলে, কোন দিকে যায়? যদিও এসব গন্ডগোল কালের স্রোতে এখন অনেক কমে এসেছে, এবং কানাডার চেয়ে আমেরিকায় বেশি হয়।

একবার আমাদের E.S.L. ক্লাসে এক ফিলিপাইনের ছেলে নিজের জাপানিজ বন্ধুদের সাথে হাসতে হাসতে বলছিল কানাডায় প্রায় সবাই গে। আমাদের ফিলিপাইনে এসব নেই। সেটা শুনতে পেয়ে কানাডিয়ান টিচার বিরক্ত হয়ে হেটে এসে বললেন, "তোমাদের দেশেও অনেক আছে, কিন্তু কানাডার মতো আইনত সুযোগ সুবিধা, সামাজিক বৈধতা না থাকায় তারা সবার সামনে ওপেনলি বলতে পারেনা। এবং এটা বেশিরভাগ এশীয়ান দেশের জন্যে সত্যি।" তারপরে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, "ব্যাংলাদেশেও তাই না?" আমি প্রশ্নটার জন্যে মেন্টালি প্রস্তুত ছিলাম না। কিছুটা থতমত খেয়ে আমি বললাম, "বাংলাদেশ স্বাধীন, গণতান্ত্রিক দেশ, সেখানে সবাই নিজের মতো করে বাচতে পারে।" শুনে উনি হালকা হাসলেন।

আমার উত্তরটা জঘন্য একটা উত্তর ছিল। আমি কথা ঘুরিয়ে কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং বলেছিলাম। কেননা আমাদের দেশে এই বিষয়ে ভালো খারাপ কোন আলোচনাই শুনিনি আমি। কি বলতাম আর? আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভার‌তে এসব নিয়ে কথা শুরু হয়ে গেছে! ছোটবেলা থেকেই দেখছি কোন জিনিস ভালো হোক আর খারাপ হোক, প্রথমে আমেরিকায় শুরু হয়, তারপরে বিভিন্ন দেশ ঘুরে ভারতে, আর তারপর আমার দেশের মানুষ তা লুফে নেয়। কখনো তা ভালো ফল বয়ে আর কখনো খারাপ!
আজকাল ব্লগে মাঝেমধ্যে এসব নিয়ে পোস্ট আসে। আমি অনুভব করতে পারি ঝড় আসছে, জানি ব্লগের টুকরো আলোচনাগুলো একসময় চায়ের কাপের আড্ডায়, টিভিতে টকশোতে, মুভিতে রেগুলারলি হবে। বুঝি যে সমস্যা উন্নত বিশ্ব প্রায় সলভ করে এনেছে, তা আমাদের দেশে সবে মাত্র শুরু হতে যাচ্ছে। অথবা অলরেডি শুরু হয়ে গেছে, কিন্তু বৃহৎআকারে প্রকাশ পাবে জলদি। আমি কামনা করি অন্য সব ঝড়ের মতো যেমন যুুদ্ধ, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, দারিদ্রতার সাথে লড়াই করেও মাথে উচু করে বাচা এ জাতি যেন এ ঝড়টাও পার করে ফেলতে পারে গৌরবের সাথে। এবং বাংলাদেশকে নিয়ে বহুল প্রচলিত সেই কথাটা আবার যেন প্রমানিত হয়,

সারা বিশ্ব অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়,
জ্বলে পুড়ে ছাড়খার তবুও মাথা নোয়াবার নয়।

বিশেষ কথা: ১৮++ ট্যাগ দিয়েও ১৮-- পাঠকদের আটকাতে পারব না জানি। তোমরা যারা পড়ছ তাদের বলছি, জেনেছ খারাপ কিছু হয়নি। না জানলে আমার মতো বোকা ভাবতে নিজেকে। কিন্তু খবরদার এডভেন্চারের লোভে এসব বাস্তবে এপ্লাই করবেনা। আমার লেখা পড়ে নিজের মাথা দয়া করে ঘুরিয়ে ফেলনা। অবশ্য আজকালকার দিনে ১৮- হয়েও তোমরা এ লেখার চেয়েও হাজারগুন ম্যাচিউর লেখা পড়ছ, দেখছ, শুনছ তা আমি জানি। তবুও লেখিকার কর্তব্য পালন করলাম আর কি!

আর সকল পাঠক, আমি এখানে কোন কিছুর পক্ষে বিপক্ষে বলছিনা। আমি শুধু নিজের অভিজ্ঞতা লিখেছি।
আমি কিছুটা ভয়ে ভয়ে একরম একটা ইস্যু নিয়ে লিখেছি। ইন্নোসেন্ট কোন বিষয় নিয়ে লিখলেও দু একজন ব্লগবাড়িতে বয়ে এসে ঝাড়ি দিয়ে যান। আর এবারেতো সত্যিই বিতর্কিত ব্যাপার নিয়ে লিখেছি!
তবে আবারো বলব আমি শুধু তাদের জন্যই লিখি যারা প্রতি পর্বে বলেন "সাথে আছি, চালিয়ে যান।" আপনারা বলবেন পরের পর্বে কি কি জানতে চান, এবং এই পর্ব কেমন লাগল? ধন্যবাদ।

এ বিষয়ে একটা মজার ভিডিও দিয়ে শেষ করছি।

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

Safin বলেছেন: গে-লেসবিয়ান এগুলা সব মানসিক রোগ। আমি শুনেছি, ছেলেদের ক্ষেত্রে সিলিকন আর মেয়েদের ক্ষেত্রে সালফারের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে সেম জেন্ডারের প্রতি আকর্ষন বৃদ্ধি পায়। এই মানসিক রোগ যেন আমাদের দেশে না ছড়ায়। :)


লেখা বরাবরের মতই ভালো লাগলো। :D

১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সবসময় পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

ভাল থাকবেন।

২| ১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:০১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ভালোই লিখেছেন। আর আমার ভালো লেগেছে। আর এই জাতি যেন এসব বালামুছিবত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।
আপনাকে ধন্যবাদসহ একরাশ শুভেচ্ছা।

১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: "আর এই জাতি যেন এসব বালামুছিবত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।"
সেটাই ভাই, সব ধরনের সমস্যামুক্ত থাকুক বাংলাদেশ।

আপনাকেও একরাশ শুভেচ্ছা।

৩| ১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:২৭

সিলা বলেছেন: আপি আমি আপনার সব গুল লিখাই পড়েছি, সবসময়।
আপনার লিখার স্টাইল টা আমার ভাললাগে, সাধারণ একটা ঘটনাও কিসুন্দর করে গুছিয়ে ললিখেন!!
কিন্তু ব্লগে আইডি খুলিনি কখনো লিখতে ভাললাগেনা তাই।
আজ হঠাত খুল্লাম সবাইকে কমেন্ট করব বলে। :)
আপনার কানাডার লিখা গুল আরো জানাবেন আমাদের কে পরের পর্বর আপেক্ষায় রইলাম :)

১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: স্বাগতম আমাদের ব্লগ পরিবারে।
আপনার ব্লগ জার্নি শুভ হোক, হয়ত একদিন ঠিকই লিখতে ভাল লাগবে এই ব্লগের কারনেই।

সব পর্বে সাথে থাকার জন্য, আনন্দ নিয়ে পড়ার জন্য আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। পরের পর্বেও সাথে থাকবেন জানি।
অনেক ভাল থাকবেন আপনি।

৪| ১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

চিত্রনাট্য বলেছেন: একসময় এগুলো আসলেই ঠেকানো যাবে না। তবে সত্যিটা ভেবে খারাপই লাগছে। খারাপটা কত সহজে ঢুকে যাচ্ছে!

১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। খারাপ ভালোর সবার আলাদা ডেফিনিশন থাকার কারনেই বিশ্বব্যাপি এটা নিয়ে এত হট্টগোল। এত তর্ক বিতর্ক। দেখা যাক ভবিষ্যৎ কি লিখে রেখেছে বাংলাদেশের কপালে!

আপনাকে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সাবলীল লেখনি আর ভাবনার সাবলীলতা দুয়ে মিলে দারুন টেনে চলছেন।

মাঝে একটা মনে হয় ফসকে গেছে :P দেখে নিতে হবে।

ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে এই স্বাধীনতা মানবতার কতটা ক্ষতি করে তাই দেখার অপেক্ষা!

সূরা লুতে এই মন্দ স্বভাব এবং তার শাস্তি বর্ণিত আছে। বিশ্বাসী হিসাবে এর বাইরে কোন স্বাধীনতা অজুহাত দোহাই আমার কাছে গ্রহনযোগ্য নয়। :)

দারুন সিরিজে +++++++++++

১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৫২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ফসকে গেছে? কিভাবে? আপনার কাছ থেকে এটা আশা করিনি! যান জলদি পড়ে আসুন, হাহা।

কোরআনসহ বাইবেলেও এসবের বিরুদ্ধে অনেক কথা লেখা আছে! তাই এখানকার ধর্মপ্রান খৃষ্টানরাও মেনে নিতে পারেনা ব্যাপারটা।

এতগুলো প্লাসের জন্য এবং প্রতি পর্বে পাশে থাকার জন্য আপনাকে এতগুলো ধইন্যাপাতা।

৬| ১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

সিলা বলেছেন: ভাল জিনিস প্রচার প্রসার হতে খুব সময় নেয় ঝামেলা হয়।
কিন্তু খারাপ জিনিস প্রচার প্রসার হতে তেমন সময় ও নেয়না কস্ট ও করা লাগেনা, এম্নেতেই সংক্রামীত হয়ে জায়।
যেমন আগাছা জন্মাতে কোন পরিচরচা করতে হয়না এম্নেতেই হতে থাকে কেটেও কুল্পাওয়া জায়না কিন্তু ফসল বা ফল গাছ দেখেন কত কস্ট করে জন্তন নিতে হয় পানি সার......!!

১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: "যেমন আগাছা জন্মাতে কোন পরিচরচা করতে হয়না এম্নেতেই হতে থাকে কেটেও কুল্পাওয়া জায়না কিন্তু ফসল বা ফল গাছ দেখেন কত কস্ট করে জন্তন নিতে হয় পানি সার......!!"
উদাহরনটা সুন্দর দিয়েছেনতো আপনি! তবে ডিপেন্ড করে যুগের ওপরে, কিছু যুগে ভালোটা বেশি ছড়ায় আর কিছু যুগে খারাপটা!

৭| ১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

সিলা বলেছেন: :) দেখতে হবেনা উদাহরণ টা কার,
আমার আম্মু আমাকে সবসময় এই উদাহরণ টাই দেয়।
আর আমি জদি যুগের কথা বলি তাহলে বলে, ভালো খারাপ নিজের কাছে প্রত্তেকটা জিনিসেই ভালো আর খারাপ দিক আছে, আল্লাহ্‌ তোমাকে বুদ্ধি দিয়েছে তুমি ই বুঝে নাও কোনটা তুমি চাও, তোমার সামনে ২টাই খোলা আছে।

১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ও খালাম্মার উদাহরনতো ভাল হবেই! তারা জীবন দেখেছেন আমাদের চেয়ে বেশি!

সেটাই আমার কথা, সবাই নিজের পথ নিজে বানিয়ে নিক নিজের সুবুদ্ধিতে। কিন্তু দুইটা পথ খোলা থাকার কারনে মানুষ দুইদিকে যায়। আর তর্ক বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। আমরা যদি আমাদের চেয়ে আলাদা ভাবনার মানুষদের সম্মান করতে পারতাম তাহলে দুনিয়ায় এতো মারামারি হানাহানি হতো না!

৮| ১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:৫৩

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:

weLL written.
beparta amar kache disgusting Lage, kintu jar jemonta howar shey omon hoyei gese. gay theke straight howar nojir painai.
btw apni nije 18+ to?

২০ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:০৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: না অনেকেই আজকাল অপারেশনের মাধ্যমে নিজের জেন্ডার চেন্জ করছে, ট্রান্স জেনডার ইউ নো? সেটা আরেক বিতর্কের ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।

কি? আপনার মনে হয় আমি নিজে ১৮+ না হয়ে এই ট্যাগে পোস্টও দিয়ে দেব? হাহা। ইউ আর ওয়ান ফানি গাই।

কিন্তু মুন সাহেব আপনি এই পোস্টে ঢুকলেন কেন? ১৮++ ট্যাগটা চোখে পড়েনি? আপনিতো মন থেকে ১৪ বছর বয়সের আপনার কথা অনুযায়ী। এইসব পড়লেতো আপনার শিশুর মতো কোমল মন গরমকালের আমের মতো পেকে যাবে! খালাম্মাকে তো জানাতে হয় ব্যাপারটা!

৯| ২০ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:৪৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: মনে হয় এই প্রথম আপনার ব্লগে এলাম। ভাল লাগল আপনার কানাডা কথন।

আল্লাহর গজব আসার আগেই যেন এরা শোধরানোর সুযোগ পায় সেই দোয়া রইল। আমাদের দেশও যেন এই অসুস্থতা থেকে বেচে থাকে।

২০ শে মে, ২০১৬ রাত ১:২০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে। ভাল লাগাতে পেরে আনন্দিত।

ভাল থাকবেন।

১০| ২০ শে মে, ২০১৬ সকাল ৯:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি অনুভব করতে পারি ঝড় আসছে --আমিও পারি, প্রবল ঝড়!

২০ শে মে, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ঝড় আসাটা চেন্জ করতে পারব না আমরা কিন্তু ঝড়টা যেন সাফল্যের সাথে কাটিয়ে উঠতে পারি সেই কামনা করি।

ভাল থাকবেন।

১১| ২০ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫

কাজী নজরুলের ছাত্র বলেছেন: আমি এ ব্যাপারে কিছুদিন আগে থেকে জানতে পেরেছি, আমার আশেপাশে কিছু মানুষ আছে এমন, তারা বেশিরভাগ ফিলিপিনো, চাইনিজ, আবার এদের মধ্যে নেপালিও আছে কিছু।
আপনার লিখার সাথে আমার কিছুটা অভিজ্ঞতা মিলে গেছে।

০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ৮:০০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আসলে আমার সব লেখাই জীবনের পাতা থেকে উঠিয়ে এনেছি। এজন্যে অনেকের সাথেই মিলবে।
আপনি কোন দেশে থাকেন ভাই? জাস্ট কিউরিওসিটি!

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

১২| ২০ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমি খুব একরোখা।

যেটা অন্যায়/অপরাধ সেটা দুনিয়ার সবাই করলেও সেটা ন্যায় হয়ে যায়না।
ভাল কাজের জন্য যেমন সন্তানদের পুরস্কৃত করা দরকার, খারাপ কাজের জন্য তেমনি তিরস্কৃত করা দরকার - সব বিষয়ে গণতন্ত্রের কথা বলে প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়াটা ঠিক হবেনা।

আমেরিকা/কানাডা আমাদের কাছে স্বপ্নের দেশ, তাই তাদের সবকিছুই আমরা লুফে নেই। পার্থিব জীবনটা অতি প্রিয় হওয়ার কারণেই আমরা এমনটা করছি বলে আমার বিশ্বাস। তাদের খারাপটা আমাদের বর্জন করা উচিত।

আপনার অভিজ্ঞতা পড়লাম - অবস্থা ভয়াবহ বলে মনে হলো।

ভাল থাকুন। সবসময়।

০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ৮:০৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: শামছুল ভাই, শুধু আপনিই না সবাই এ ব্যাপারটার পক্ষে বিপক্ষে অনেক একরোখা। অন্যের যুক্তি শুনতে চায়না। এজন্যে এ ব্যাপারটা নিয়ে বিশ্বজুড়ে এত প্রতিবাদ, বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সব ঠিক হয়ে শান্তির পায়রা উড়ুক সে আশা করি।

প্রতিবারই ভাবি বলব কিন্তু এবার বলেই ফেলি। আমার চেয়ে বয়সে বড়ই হবেন, তাই তুমি করে ডাকবেন।

আপনি আমার সব পর্বে পাশে থাকেন। অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৩| ২০ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:০৩

বিপ্লব06 বলেছেন: আপনার সিরিজটার খবর একটু দেরিতে পাইলাম। আপনার লেখা নির্বাচিত পাতায় আসে না দেখে একটু দুঃখ পাইছি। মডু ভায়ারা একটু নজর দিলেই পারেন।

গোড়া থেকে শুরু করে এক টানে কমেন্টসহ শেষ কইরা ফালাইলাম। এক কথায় অসাধারণ(পড়তে হবে মাইরালা হইছে!!!)!!!

ইংরেজি নিয়ে আপনার স্ট্রাগল আর সব ইমিগ্রান্টদের মতই সিমিলার, যদিও সবার গল্পই ইউনিক। আপনার সাবলীল লেখা ব্যাপারগুলাকে জীবন্ত করে তুলে ধরেছে। চার নাম্বারটা পইড়া তো পিচিক কইরা হাইসা ফালাইছি!!!

এই কয়েকটা পর্বেই স্পষ্ট কইরা ফালাইছেন, আপনি অনেক বদলাইয়া গেছেন। এই দেশগুলা সবাইরে একটু বেশিই সেলফ-ডিপেন্ডেন্ট কইরা ফালায়।

মনে হইতেছে সিরিজটারে সিরিয়াস মোডে নিয়া যাইতেছেন। ইমিগ্র্যান্ট লাইফের অকওয়ার্ড কাহিনীগুলা নিয়া লিখতে পারেন...। মনে কইরা নিজেও বিনুদিত হইবেন, আমাদেরকেও একটু ভাগ দিলেন!

যাই লিখেন আছি সাথে। ভাল থাকবেন :)

০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এ সিরিজের বেশ কিছু পর্ব নির্বাচিত পাতায় এসেছে। নজরটা মডু না আপনারই দেওয়া উচিৎ ছিল। হাহা। জাস্ট জোকিং।

হাহা কি মজার কথা। কমেন্টও পড়ে শেষ। অনেক ধন্যবাদ দেরিতে হলেও প্রতিটি পর্বে পদধূলি দেওয়ার জন্যে।
না আমি বদলাইনি। বয়সের সাথে সাথে কিছুটা ম্যাচিউরিটি এসেছে যেটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমার না বদলানো এবং কানাডিয়ানদের এক্সেপ্ট করে নেওয়াই সিরিজটার মূলবানী ছিল।
হ্যা একদম ঠিক সিরিজটা আস্তে আস্তে সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছে। আপনার এই কথা থেকে পরের পর্বের আইডিয়া পেলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কথা দিয়েছেন কিন্তু! সাথে এখন থাকতেই হবে পরের পর্বেও।

প্রচন্ড সুন্দর কমেন্টের জন্যে ধন্যবাদ। আপনিও অনেক ভাল থাকবেন।

১৪| ২১ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:১৫

ছায়া-মানুষ বলেছেন: আপনার প্রতিটা পর্বই পড়া। শুধু ভাললাগাটা জানাতে এলাম। চলুক এই সিরিজটা।

০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রতিটা পর্বে সাথে থাকার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার মতো পাঠক সাথে থাকলে চলবে সিরিজটা।
ভাল থাকবেন।

১৫| ২১ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:১৬

নিহান ওয়াহিদ বলেছেন: দশটা লেখাই এক বৈঠকে পড়লাম। মাঝে মাঝে বিজ্ঞাপন বিরতির মত ছোট ছোট বিরতি নিতে হয়েছে। পড়ার সময় আপনাকে অনেক আবেকপ্রবণ, বিনয়ী ও মার্জিত মনে হয়েছে। নিঃসন্দেহে ভালো গুন। এবং আপনার আর মুন সাহেবের কথোপকথন বেশ উপভোগ্য লেগেছে।
দেশের প্রতি আপনার যে মমতা প্রকাশ পেয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ। এই দেশটার একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়ার পেছনে আপনাদের এই মমতার অবদানটা অনেক। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি প্রত্যেক প্রবাসীই দেশের এক একজন রিপ্রেজেন্টেটিভ, এক একজন প্রমোটকারী। সে হিসেবে আমরা আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। একটা আবদার, এমন কিছু করবেন না যার দায়ভার ষোলকোটি মানুশের উপর এসে পড়ে। আপনার মায়ের ভাষায় বিদেশে কিছু করলে বদনাম হয় দেশের।
আপনার লেখায় জানতে পারলাম, প্রতিবেশী দেশীয় কেউ কেউ এদেশীয়দের ঘৃণা করে। অতি স্বাভাবিক। আসলে প্রতিবেশীদের প্রতি খিটমিটে আচরন প্রায় সকল দেশেই লক্ষ করা যায়।
গে লেসবিয়ানদের বিষয়টা আমার কাছে ক্লিয়ার না। একবার মনে হয় এরা মানসিক রোগী, আবার মনে হয় এটা প্রকৃতিগত।
আমি প্রবাসী নই। যদি কখনো হই, তাহলে আপনার অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বেশ। সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বোন।

০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রথমেই অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা কমেন্টের জন্যে।

আপনি আমার সব লেখা একবারে পড়েছেন জেনে ভাল লাগল। আনন্দিত করতে পেরেছি আশা করি।
অন্য যে গুনগুলো বললেন তা আছে কিনা জানিনা তবে আবেগী আমি অনেক। চোখ দিয়ে টপটপ করে আবেগ পরতে বেশি সময় নেয়না!
জী প্রতিবেশিদের ব্যাপারে একমত।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই। কোনদিন কানাডায় আসলে যোগাযোগ করবেন, দাওয়াত দেব। :)

১৬| ২৫ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অন্যরকম একটা বিষয় অথচ কি সাবলীল ভাবে লিখে গেলেন । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১:১২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ এটা বলার জন্যে। আমি অনেক ভয়ে ছিলাম অন্যরকম বিষয় হওয়ার কারনে। খারাপ কিছু লিখে না ফেলি আবার! কিন্তু ব্লগার বন্ধুরা আবারো উৎসাহ দিয়েছেন সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ!

১৭| ২৭ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

Ishrat Jahan Shima বলেছেন: হুম একটা সাহসী পদক্ষেপ। সময় উপযোগী, কিন্তু বিতর্কিত টপিক। কারণ এর বিরোধিতা করলে অনেকেরই ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হচ্ছে মনে হতে পারে, নাকি বলবে ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে।

আমার মনে হয় অনেকে এটা নিজেকে অন্যদের চেয়ে একটু আলাদা করার জন্যেও করে। মনে হচ্ছে এটা এখন একটা ট্রেন্ডে পরিনত হয়েছে – যাদের মোটো হচ্ছে - আই ওয়ান্ট টু বি মোর কুল।

আবার যখন ব্যাসিক নিডস পূরণ হয়ে যায় তখন মানুষের চাহিদা হয় জীবনকে উপভোগ করার। আর যে জীবনে কখনও স্ট্রাগলই করেনি তার কাছে সাধারণ আনন্দগুলোও পার্ট অফ ব্যাসিক নিডস, যা তাকে অর্জন করতে হয়নি। আর তাদের জীবনেই এক্সট্রা কিক-এর জন্যেই এইসব কিছু। pervert people pervert thinking – pervert way of seeing life. সম্পূর্ণরূপে আমার নিজস্ব মতামত।

আশা করি আমাদের এখানকার অবস্থা ততোটা খারাপ হবে না। শুধু আশাই করা যায় তাই না। এখনও তোমার চোখে দেখা তোমার যাপন করা কানাডা কথন পড়তে খুবই ভালো লাগছে। পরবর্তী পর্বের আশায় রইলাম।

০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১:১৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সময় উপযোগী, কিন্তু বিতর্কিত টপিক। কারণ এর বিরোধিতা করলে অনেকেরই ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হচ্ছে মনে হতে পারে, নাকি বলবে ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে।
একদম এটাই ঠিক। তর্ক বিতর্কটা এভাবেই হচ্ছে। আশা করি সবকিছু জলদি মিটে যাবে।

শুধু আশাই করা যায় তাই না।
জি একদম তাই। তবে মানসিকভাবে ঝড়ের জন্যে প্রস্তুুত থাকতে হবে।
জ্বী পরবর্তী পর্ব জলদিই আসবে। লেখা প্রায় শেষ। একটু বাকি।

সুইট আপুটাকে প্রতিটি পর্বে সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ।

১৮| ৩০ শে মে, ২০১৬ সকাল ১০:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ফিলিপিনো ছেলেটার মত আমিও ভাবতাম, এসব শুধু পশ্চিমা বিশ্বে দেখা যায়। আমাদের এখানে এসব তেমন নেই। ভুল ভাঙছে। ঝড় আসছে...

০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১:১৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুম। ঝড় আসছে।

১৯| ৩০ শে মে, ২০১৬ সকাল ১০:১৬

রানার ব্লগ বলেছেন: ১৮++ দেখে ভাবলাম না জানি কি !! কিন্তু ১৮++ এর মত কিছুই পাইলাম না। ভাল লেগেছে। গল্পের ঢঙে পুর ব্যাপারটা আপনি ভালই সামলিয়েছেন।

০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আসলে ১৮++ এর ডেফিনিশন সবার কাছে আলাদা হতে পারে। টপিকটা বিতর্কিত, এবং আমি ছোটদেরকে ভুল দিকে মোটিভেট করতে চাইনি। এডভেন্চারের লোভে আমার লেখা পড়ে যদি কেউ খারাপ কিছু করে বসে তবে নিজেকে মাফ করতে পারতাম না। তাই!

ধন্যবাদ আপনাকে।

২০| ০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ১১:১২

গন্ডোলার মাঝি বলেছেন: আপনার বিচার হবে।আপনার পোষ্ট গুলো কেন আগে চোখে পড়েনি??? আপনার ১০ টি পর্ব আমার ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট গত করে ফেলেছে।কিন্তু গত হ ও য়া সময় গুলো সার্থক। চালিয়ে যান।
:D :D

০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১:২২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ইস! নিজের চোখে পরেনি আর আমার বিচার করতে এসেছে! বিচার আপনার হবে! বুঝেছেন?

এত লিখে ফেলেছি আমি? দের ঘন্টার মতো লাগল! জানানোর জন্যে ধন্যবাদ। পাঠে আপনি আনন্দ পেয়েছেন সেটা বুঝতে পেরে ভাল লাগছে।

ও বিচারের শাস্তি শুনলেন না? শাস্তি হচ্ছে এখন থেকে প্রতিটা পর্ব পড়ে কমেন্ট করতে হবে। নাহলে.... ;)

২১| ০৩ রা জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩

গন্ডোলার মাঝি বলেছেন: অবশ্যই :D

০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: খুশি মনে প্রথমবার কাউকে সাজা নিতে দেখলাম হাহা।
শুভকামনা।

২২| ০৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

বিপ্লব06 বলেছেন: বদলানো বলতে আমি আপনার ম্যাচুরেশনটাকেই বুঝাইছিলাম। লাইনের শেষে হিন্টও দিছিলাম!!!

যাইহোক, ভালো থাকবেন। :)

০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এই কয়েকটা পর্বেই স্পষ্ট কইরা ফালাইছেন, আপনি অনেক বদলাইয়া গেছেন। এই দেশগুলা সবাইরে একটু বেশিই সেলফ-ডিপেন্ডেন্ট কইরা ফালায়।
না আপনি ম্যাচিউরিটি শব্দটা বলেননি। বলেছেন সেলফ ডিপেন্ডেন্ট। দুটো পুরোপুটি এক না। রিলেটেড খুব বেশি হলে।
আর সেলফ ডিপেন্ডেন্টটা তো এখনও হওয়া হলোনা। এই ধারী বয়সেও (ভার্সিটি) পরীক্ষা খারাপ হলে বাড়িতে এসে সোজা মায়ের কোলে মুখ গুজি। ক্লাস/ল্যাব/এক্সাম সন্ধার পরে, অতি ভোরে হলে বাবা নিয়ে যান সাথে করে। এটা আমাদে অন্ধকার রুল। যে সময়ে বাইরে অন্ধকার কেউ না কেউ সাথে যাবে!
আমি একটা পর্বে বলেছিলাম বন্ধু ছাড়া থাকতে পারব। সেটা ঠিক (যদিও থাকতে হয়না) কিন্তু পরিবারের প্রতি অনেক বেশি ডিপেন্ডেন্ট এখনো।
যাই হোক ভাল থাকুন আপনিও। অনেক ভাল থাকুন।

২৩| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৬

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: সমকামিতা কোন মানসিক রোগ নয়, আপুনি। মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় কোন ছেলের অথবা মেয়ের ভেতর হরমোনের তারতম্য হলে সমকামিতার অনুভূতি আসে। অনেকে বলে থাকে যে মাত্রা বুঝে হরমোন প্রয়োগ করলে সমকামিতা দূর করা সম্ভব। কিন্তু হরমোন প্রয়োগে শুধু আচরণগত পরিবর্তনই হয়, মানসিক অবস্থার পরিবর্তন নয়। আর মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা সমকামীদের মন থেকে সমকামিতার ব্যাপারগুলো দূর করতে পেরেছেন এমনটাও শুনিনি। আবার শৈশবের যৌন হয়রানির শিকার হয়ে অনেক সময় (বিশেষ করে ছেলেরা) শৈশবের সৃতিকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়ে তারা সমকামি হয়ে ওঠে।
সব শেষে এটাই বলবো যে একজন মানুষের সমকামি হয়ে ওঠার পেছনে তার নিজের কোন হাত নেই।

২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৫৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভাইয়ু এ বিষয়ে মতামত শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ।

তবে আমি এর পক্ষে বিপক্ষে পোষ্টে যেমন কিছু বলিনি, এখনও বলব না। কেননা এটা ঠিক বেঠিক সেটা কথা না, আমার কিশোরি বয়সের শক, কানাডিয়ানরা এসব নিয়ে কিভাবে ভাবে সেটাই পোষ্টের মূল বক্তব্য। আর এর পক্ষ, বিপক্ষের ঝগড়া উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও কোন অশান্তি যেন না সৃষ্টি করে সেটাও আমি চেয়েছি।

সময় করে বড় মন্তব্য করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়ু ভাল থাকুক অনেক।

২৪| ২৬ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: হুম আপুনি, তোমার লেখা পুরোটাই পড়েছি। তুমি পক্ষ বা বিপক্ষে যাওনি।
আমি আমার মতবাদ জানালাম আর কি। :)

২৭ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: না আমি বলিনি যে আপনি আমার পোষ্ট পড়েননি এবং নিজের মতামত দিয়েছেন। আমি শুধু আপনার মতামতের পিঠে নিজের মতামত না দেবার কারনটা জাস্টফাই করেছি। আর কিছুনা।

ভাইয়ুটা অনেক ভাল থাকুক আমার।

২৫| ২৭ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২২

শহিদুল ইসলাম মৃধা বলেছেন: এসব সমস্যা থেকে শুধুমাত্র ধর্মই আমাদেরকে রক্ষা করতে পারে। আল্লাহ্ আমাদের সহায় হোক।

২৭ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ ভাই।

২৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:৩৯

আবুল হায়াত রকি বলেছেন: "বাংলাদেশ স্বাধীন, গণতান্ত্রিক দেশ, সেখানে সবাই নিজের মতো করে বাচতে পারে।" শুনে উনি হালকা হাসলেন।
টিচারের হাসির কারণটা ঠিক ছিল আপুনি। উনারা কি করে যে নির্ভুল থাকেন।

এসব বিষয় তুলে দড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুম টিচাররা সবই বোঝেন জানেন বলেই তো আমাদের টিচার।

ধন্যবাদ আপনাকেও।

২৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:৪০

আবুল হায়াত রকি বলেছেন: আজকে পর্ব ১০ পর্যন্ত ।। পৃষ্টাতে দাগ কেটে গেলাম।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা, আচ্ছা কালকে ১১ থেকে শেষ করবেন ভাই।

ভালো থাকুন, শুভকামনা।

২৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:১২

আরভিন বলেছেন: আমি ১৮- :৩

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:২৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমমম, তাই না? হাহা।

২৯| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:১৪

আরভিন বলেছেন: আর হ্যা,সব গুলো পর্ব পড়তেসি।পরে কমেন্ট করবো।আপনি খুব ভালো গুছিয়ে লিখেন।কোন সন্দেহই নেই!শুভকামনা রইলো!

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:২৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: উরে বাবা এত প্রশংসা!! অনেক ধন্যবাদ। সব পর্ব পড়ে কমেন্ট করুন। আমি প্রতিউত্তর করার অপেক্ষায় থাকব।
ভালো থাকুন, শুভকামনা!

৩০| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:০০

আরভিন বলেছেন: এহেম এহেম এখনো ১৮ হয়নি! :৩ :৩ হবে হবে ভাব।তবে আমার মোচ উঠসে! (লজ্জার ইমো হবে রে! :৩ )

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হবে হবে ভাব যখন আরেকটু অপেক্ষা করে কয়দিন পরেই পড়তেন নাহয়! (হাসির ইমোর হবে)

ভালো থাকুন।

৩১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩

আরভিন বলেছেন: এহেম এহেম....এগুলা আগে জানলে ও সমস্যা নাই আপু! :৩ :৩ :৩

যাকগে, ভাল থাকুন আর আমাদের জন্যে নিত্য নতুন স্মৃতির ঝুলি নিয়ে হাজির হউন!

৩১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:০০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনিও অনেক অনেক ভালো থাকুন। পরের পর্বগুলোতেও পাশে থাকুন।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.