নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১১) - কিশোরিবেলায় কানাডার প্রথম ভালোলাগা - এক গ্রিক দেবতারূপী সুদর্শন কানাডিয়ান ছেলে

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

আগের বেশ কিছু পর্বের চেয়ে অনেক আলাদা এ পর্বটা। তাই অন্য পর্বের মতো শুরুতেই ভূমিকা করে বলবনা কি নিয়ে লিখছি। পড়েই দেখুন না কি আছে! অবশ্য টাইটেলেই অনেক কিছু বলে দিয়েছি!

আগের পর্বগুলো:
কানাডার স্কুলে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (২য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (৩য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (চতুর্থ পর্ব)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৫)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৬) ১৮+
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৭) আমার ভারতীয়, পাকিস্তানী অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৮) কিছু ভারতীয় যে কারণে বাংলাদেশকে ছোট করে দেখে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৯): কেন প্রবাসি বাংলাদেশি বাচ্চারা কানাডিয়ান/ভারতীয় হয়ে যাচ্ছে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১০) সমকামিতা ১৮++

কাহিনি একদম স্কুলের প্রথমদিনের প্রথম ম্যাথ ক্লাসে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমি অনেক নার্ভাস, রুমের এদিক সেদিক তাকাচ্ছি। কোন বাংলাদেশি পাই কিনা। মেয়েদের ড্রেস দেখে তাজ্জব বনে যাচ্ছি। কি অদ্ভুত চুল, চেহারা! কিসব খটমটে ভাষায় একে অপরের সাথে কথা বলছে সবাই! মনে হচ্ছিল আজব এক চিড়িয়াখানায় আমি। চিড়িয়াটা কি আমি না অন্যরা সেটা বুঝতে পারছিলাম না। আমি দ্বিতীয় সারিতে বসা এবং একটা ছেলে একদম সামনের রোয়ের মাঝখানের চেয়ারটায় বসা। এদিক সেদিক অবাক চোখে ঘাড় ঘোরাতে ঘোরাতে ছেলেটার দিকে চোখ পরল। অন্যদিকে ফিরিয়ে নিতেই আবার ঘুরে গেল ঘাড়।

একি দেখলাম আমি! টকটকে ফর্সা, খাড়া নাক, কোকড়ানো বাদামি চুল, লম্বা একটা ছেলে! শুধু চোখটা ছোট ছোট ছিল কিন্তু তাছাড়া বিশ্বাস করুন গ্রিক দেবতার মতো দেখতে। এতো সুন্দর আমি আর কখনো দেখিনি। আমি হা হয়ে তাকিয়ে থাকলাম কিছুক্ষন। হঠাৎ করে মায়ের বলা কথা মনে পরল। বাংলাদেশে সেভেনে এ উঠতে উঠতে মা বলেছিলেন "ছেলেদের দিকে তাকাবে না আর ওরা তাকালে নরমাল থাকবে। পাত্তা দেবেনা। ভাল মেয়েরা পাত্তা দেওয়া নেওয়ার মধ্যে থাকেনা। বুঝেছ? বেশি বুঝনা কিন্তু আবার!" মনে পরতেই লজ্জায় চোখ সরিয়ে নিলাম।

সুদর্শন ছেলেটি গুনীও ছিল। কদিনেই বুঝে গেলাম স্কুলের ম্যাথ গুরু। সব সাবজেক্টেই ভাল কিন্তু ম্যাথটাকে নিজের আর্ট বানিয়ে রেখেছেন জনাব। ক্লাসের সবাই টিচারের আগে ওর কাছে হেল্প চাইত। আর টিচাররাও জানতেন ছেলে জিনিয়াস। আর এদিকে আমি! ইংরেজী না জানা মফস্বলের বাংলা মিডিয়ামে পড়া মেয়ে। কোনমতে ফেল ঠেকাচ্ছি ক্লাস টেস্টগুলোতে। টিচাররা সাপোর্ট করছে, সিমপ্যাথি ফিল করছে। বলছে এত হার্ড ওয়ার্ক করছ, সব জলদিই ঠিক হয়ে যাবে। আমি টিচারকে বলতাম লেকচারের অনেককিছুই বুঝতে পারিনা, খুব জলদি বলেন। আসলে জলদি বলতেন না, কানাডিয়ান ইংলিশ না বোঝার কারনে তা মনে হত। টিচার আমাকে বলতেন, " wish I could speak your language!" এত সুইটনেসের কারনেই খাটতে লাগলাম মনের জোর করে।

আর আড়চোখে দেখতে লাগলাম প্রতিবার হায়েস্ট পাওয়া গ্রিক দেবতা এরিককে। প্রথমদিনের ভাল লাগাটা কমে যেতে লাগল। রাগে গা জ্বলে যেত যখন ক্লাসের সব মেয়েরা ন্যাকা সুরে ওর আশেপাশে "এরিক! একটু দেখিয়ে দেওনা" বলত। আরে আমার না হয় ভাষা সমস্যা, তোমাদের কি? নিজের ব্রেইন খরচ করে করোনা। একটা ছেলের সামনে এভাবে বারবার হেল্প চাইতে আসতে হবে কেন? মেয়েদের বুদ্ধি ছেলেদের চেয়ে হাজারগুন বেশি, ওদের সামনে হেল্প চাওয়া/মাথা নোয়ানো কি লজ্জার ব্যাপার! আর এরিক প্রচন্ড ডাট নিয়ে হেল্প করত। কারও সাথে আগ বাড়িয়ে কথা বলতনা। নিজের মনে একা একা হুইসেল বাজাত এবং চেহারা দেখে বোঝা যেত যে নিজেকে বেস্ট ইন স্কুল ভাবে।

জেদ চেপে গেল আরো। এই নাক খাড়া অহংকারী ছেলেকে দেখিয়ে দিতে হবে। ভাবতে ভাবতেই কিভাবে যেন একবার আমি একটা ক্লাস টেস্টে হাইয়েস্ট মার্ক পেয়ে গেলাম। টিচারতো আমার চেয়েও দ্বিগুন খুশি। অবশেষে হার্ডওয়ার্কের পুরষ্কার পেল মেয়েটা, পিঠ চাপড়ে বললেন হায়েস্ট ইন ক্লাস। আর সেবারই এরিক কিছুটা খারাপ করল। ৮০র মধ্যেই কিন্তু ওর ৯০ না পাওয়া আর কেয়ামত আসা একই ব্যাপার। আমি আনন্দের সাথে নিজের টেস্টের দিকে তাকিয়ে ছিলাম এসময়ে আমার নাম নিয়ে বলল, "..... তোমার টেস্টটা একটু দেখি?" হায় কিযে খুশি হয়েছিলাম আমি! এত ফ্যামাস ও আমার নাম জানে! কিভাবে? দিলাম ওকে। ভাংগা ইংলিশে মাতব্বরি করে বোঝানোরও চেষ্টা করলাম। সেদিন বাড়িতে আসার সময় পুরো রাস্তা ওর কন্ঠে আমার নেওয়া নামটা কানে বাজছিল। পরে বুঝেছিলাম আমার নাম জানার রহস্য। আমার আলাদা সাজপোশাক আর টিচারের সাথে অধিক কথোপকথনের কারনে কোন বন্ধু না থাকলেও সবাই আমার নাম জানত!
প্রথম সেমিস্টার কষ্টে শিষ্টে শেষ হল। সেমিস্টার শেষে যথারীতি এরিক হায়েস্ট আর আমি ৮৫% পেলাম। ৮৬% এ A হয়, টিচার বললেন এত হার্ডওয়ার্ক করেছ। তুমি A ডিসার্ভ করো। উনি মার্ক বাড়িয়ে দিলেন। এখানে টিচার চাইলে কয়েক পার্সেন্ট বাড়িয়ে দিতে পারেন। কেননা তারা স্টুডেন্টকে কাছ থেকে দেখেন। তাই তাদের ডিসিশনকে সম্মান করা হয়। অনেক টিচারই কয়েক পার্সেন্ট বাড়িয়ে লেটার গ্রেড বাড়িয়ে দেন কাছাকাছি মার্ক থাকলে। খুব আনকমন না ব্যাপারটা তবে আমি অনেক স্পেশাল ফিল করেছিলাম সেদিন ওনার মমত্ববোধে।

ওর কথা ভুলতে ভুলতেই আবার ওপরের ক্লাসে ওর সাথে ম্যাথ পরল। আমার এক কানাডিয়ান বান্ধবী (বেস্ট ফ্রেন্ড) হয়ে গিয়েছিল ততদিনে। কানাডায় খুব কমই কানাডিয়ান বন্ধু হয়েছে আমার। কেন জানি বিদেশিদের সাথে মিশতে বেশি ভাল লাগে। যে দুএকজন কানাডিয়ান বন্ধু হয়েছে "বি" তার মধ্যে অন্যতম। ভাষা বেশ কিছুটা বুঝতে শুরু করলাম। মোটামুটি বেটার পরিস্থিতি। আমার বান্ধবী "বি" খুব খাটত কিন্তু মোটামুটি করত। ব্রেইন অত ভাল ছিলনা। আর এরিক না খেটেও অনেক ভাল করত। এজন্যে খুব হিংসা করত ওকে। আমিও ওর অহংকারি স্বভাব দেখতে পারতাম না। দুইজনে মিলে ওর তাকানো, কথা বলা মিমিক্রি করে আড়ালে হাসাহাসি করতাম। যাই হোক প্রথম ক্লাস টেস্ট আসল। প্রতিটা কথার অংক। অনেক না জানা কঠিন শব্দের কারনে প্রশ্নই বুঝতে পারলাম না। আমি কিছুক্ষন ট্রাই করে টিচারকে বলে দিলাম পারবনা। টিচার অনেক হিন্ট দিলেন, কিছু লিখে জমা দিলাম। কোনমতে পাশ। এরিক এবারও হায়েস্ট!

কিন্তু দিন চেন্জ হল। সেই পরীক্ষাটা শেষ ফেইলিউর ছিল। এরপরের ক্লাসটেস্টগুলোতে আমিই হায়েস্ট/সেকেন্ড হায়েস্ট পেতে শুরু করলাম। ততদিনে ওদের দেশের পড়ার সিস্টেমটা বুঝে গিয়েছিলাম। পাঠ্যবই থেকে কিছুই আসবেনা তাই ইন্টারনেট থেকে আরো প্র্যাকটিস করতাম। কথার অংক না থাকলে কে ঠেকায়! এরিকও ভাল করত। আর হাওয়ায় হাওয়ায় জেনে গেলো আগের গ্রেডে ফ্লুকে একবার হায়েস্ট পাওয়া মেয়েটা আসলেই ভাল করছে! এখানে প্রতিটি স্টুডেন্টের স্টুডেন্ট নাম্বার থাকে যা শুধু টিচার এবং সেই স্টুডেন্টই জানে। মার্ক লিস্টে স্টুডেন্ট নাম্বারের পাশে মার্ক লেখা থাকে। তাই একজনের মার্ক অন্যজন জানেনা। তবে কে ভাল কে খারাপ তা টিচারের কথায়, বা স্টুডেন্টের চালচলনে ঠিকই সবাই বুঝে যায়। এরিক ওর নাম্বারটা লিস্টে হায়েস্ট না হলে আমাকে আমার মার্ক জিগ্যেস করতো। কে হায়েস্ট পেয়েছে এটা জানার ইচ্ছা আরকি! আমি বলতাম না। বলতাম ১-১০০ এর মধ্যে যেকোন কিছু। আমার বান্ধবী "বি" তো খুব খুশি। নিজে না পারলেও অন্যকেউ এরিককে টেক্কা দিল!

ফাইনাল হল। আমি হায়েস্ট পেলাম। আর এরিক জীবনে প্রথমবারের মতো ৯০ এর নিচে ফাইনাল মার্ক পেল। টিচারও অবাক। যদিও ও অনেক মেধাবী ছিল। একটা দূর্ঘটনা ছিল মাত্র। হায়েস্ট আমি পেয়েছি এটা ও জেনেও গেল টিচারের মুখে। এরিকের মুখটা হাসি হাসি ছিলো কিন্তু মন যে খুব খারাপ তা বুঝতে পারছিলাম। অন্য স্টুডেন্টরা অবাক চোখে ওর দিকে তাকাচ্ছে। ওদের অংক গুরুর একি হাল! সেদিন আমাকে অবাক করে দিয়ে ও দুষ্টুমি করল আমার সাথে। হয়ত অকওয়ার্ডনেস কাটাতেই। বোর্ডে আমার নাম লিখে তার পাশে নাম্বারটা লিখল। জোরে বলল "হায়েস্ট ইন ক্লাস!" আমি উঠে যেয়ে মুছে দিলাম আর দুষ্টুমি করে ওর নাম্বারটা লিখলাম সেই জায়গায়। এখনোও মনে আছে ৮৮% পেয়েছিল ও। ও আবার আমারটা লিখল। এভাবে একটু পরে দেখলাম পেন/ ডাস্টার নিয়ে ওর পেছনে দৌড়াচ্ছি, খিলখিল করে হাসছি। যেন কতদিনের বন্ধু আমার! এরিকও প্রানখুলে আমার সাথে হাসল, মিশলো। এখনো অবাক হই ভেবে হঠাৎ করে এত ফ্রি কি করে হলাম আমরা সেদিন? অনেক দৌড়াদৌড়ি, খুনসুটির পরে টিচার থামতে বললেন। আমরা নিজেদের চেয়ারে বসে পরলাম। সেই ক্লাসের শেষ দিন ছিল ওটা। হয়তো সেজন্যেই একটা সুন্দর বন্ধুত্ব হতে হতে হলনা!

এরপরে বছরখানেক পেরিয়ে গেছে। সিনিয়ার ইয়ারে পদার্পন করেছি। গ্রিক দেবতাকে মাঝেমাঝে হাটতে দেখি স্কুলের এদিক সেদিকে। বেখেয়ালি চোখ ঠিকই চলে যায়। আমার সাথে আর কোন ক্লাস পরেনি। আমি তখন স্কুলের টিএ, টিউটরিং ক্লাবের সদস্য, ভাল ছাত্রী। পায়ের তলার মাটি অনেক শক্ত। আমার এক থাই ছাত্রী ছিল যার ক্লাসের টি.এ. এবং ব্যক্তিগত টিউটর দুটোই ছিলাম। মেয়েটা ইংলিশ তেমন পারতনা। ভয়ে ভয়ে থাকত খুব। পুরোন আমাকে দেখতে পেতাম ওর মধ্যে। জান প্রান দিয়ে হেল্প করতাম তাই। ওকে ওর এক টিচারের কাছে নিয়ে গেলাম ও কিছু প্রশ্ন করবে বলে। আমি সাথে থাকলে সাহস পাবে। ওর ভাংগা ভাংগা ইংলিশ টিচারকে বুঝিয়ে দিতে পারব আমি।
সেই ক্লাসে এরিকও ছিল। আমার কাছে এসে বলল, "..... তুমি একটু হেল্প করতে পারবে এই অংকটাতে?" আমিতো থ! এখনো আমার কথা মনে আছে ওর! আর অংকে হেল্প চাইছে! এমনভাবে বলছে যেন কালকেরই কথা ছিল আমাদের শেষ দিনটা। থাই মেয়েটাকে টিচারের সাথে লাগিয়ে ওর অংক দেখতে লাগলাম। এখনও আমার জীবনে অনেক বড় দুঃখ যে সেই অংকটা আমি পারলাম না। অনেক চেষ্টা করেও ওকে হেল্প করতে পারলাম না। ও বলল, "Thanks for trying, I will ask the teacher later." এরিকের সাথে সেটাই শেষ কথা ছিল।

বাড়িতে আসার পরে খুব গিল্ট ফিল হল সেদিন। যে ছেলেটাকে এত অহংকারী ভাবতাম সেকি অবলীলায় আমার কাছে হেল্প চাইল! ওর শান্ত স্বভাবকে আমি বোধহয় ভুল বুঝেছিলাম। কি সম্মান ছিল আমার মেধার ওপরে ছেলেটার যে এতদিন পরেও ভোলেনি! আমার খটমটে বাংলা নামটা ঠিকই মনে রেখেছে স্পষ্ট করে। আমি মেয়ে বলে ওতো হেল্প চাইতে দ্বিধা করল না! আমি কত কিছু ছেলে মেয়ের ভেদাভেদ মনে পুষে রাখতাম। সহপাঠিদের মধ্যে আবার ছেলে মেয়ে কি? আমি আগে কখনো পড়াশোনা বা কোনকিছুতে ছেলেদের হেল্প নেওয়াটা মানহানিকর মনে করতাম। কিন্তু তারপর থেকে এখন পর্যন্ত এভাবে মনে করিনা। এমন অনেক ছেলে আছে আমার চেয়ে মেধাবী, তাদের থেকে কিছু শিখতে পারলে আমারই তো লাভ। গ্রিক দেবতা আমার জীবন থেকে যেতে যেতে অনেক বড় একটা শিক্ষা দিয়ে গেলেন আমাকে। আমি হয়তো ওর জন্যে বেটার মানুষ হতে পেরেছিলাম।

পাঠক, এরিক আমার জীবনের প্রথম ভালবাসা ছিলনা। অতি সুন্দর চেহারা দেখে প্রেমে পরার মতো স্টুপিড সেদিনও ছিলাম না, আজও নেই। তবে হ্যা তাকিয়ে থাকতে ভাল লাগত গ্রিক দেবতার দিকে, সুন্দর ভয়ংকর সুন্দর কোনকিছু ইগনোর করা যায় না। আর অহংকারী, বেখেয়ালি ওর পাত্তা পেতেও ভাল লাগত। যার কাছে সবাই হেল্প চাইত সে আমার কাছে হেল্প চাইলে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ হত। কিন্তু ওর সাথে সম্পর্ক করব এটা কখনো ভাবিনি। এতকিছু বুঝতামও না সে বয়সে। শুধু মায়ের কথা কানে বাজত তাই আর কিউপিড বেল বাজাতে পারেনি হয়তো!
তবে ও আমার জীবনের প্রথম সমবয়সী ছেলে ছিল যে ছেলেদেরকে সম্মান করতে শিখিয়েছে। মফস্বলে ছেলেরা যখন হাফপ্যান্ট পরে মাঠে মজা করে খেলত আমাকে সালোয়ার কামিজ পরে টিভি, বইয়ে মুখ গুজে থাকতে হত। কাজিন ভাইয়েরা মাছ, মাংসের সেরা টুকরোটা পেত। মফস্বলের মধ্যবিত্ত্ব আমি ছোটবেলা থেকেই বুঝে গিয়েছিলাম ছেলেদের ছেলেমানুষ হতে আপত্তি নেই। কিন্তু মেয়েদের জন্যে মেয়েমানুষ শব্দটা একটা গালি! মা খালাদের বোঝানোতে বুঝতাম যে ছেলেরা কম বোঝে বলেই ওদেরকে বেশি সুবিধা দেওয়া হয়। সে বোঝাটা তৃপ্তি দিত। এজন্যে বেশি সুবিধা পাওয়া পুরুষজাতিকে একটু অসম্মানের চোখেই দেখেছি সবসময়। কিন্তু এই ছেলে আমার চিন্তা চেতনা পাল্টে দিয়েছিল। সম্মান পেয়ে নিজেও সম্মান করতে শিখেছিলাম। তাই ওকে প্রথম ভাললাগা তো বলাই যায়!
তবে কানাডাতেও ছেলে মেয়ের বৈষম্য রয়েছে। একদিন সময় করে লিখব সেসব।

শেষ কথা: বেশ কিছুদিন ব্লগে পাসওয়ার্ড সমস্যার কারনে ঢুকতে না পারায় এই পর্ব দিতে দেরি হল, এবং একই কারনে অনেকের কমেন্টের জবাবও দেরিতে দিয়েছি।

"বি" এখন আর্কিটেকচারিং এ পড়ছে।
এরিক সফটওয়্যার ইংজিনিয়ার হতে চাইত। জানি না এখন কোথায়? যেখানেই থাকুক ভাল থাকুক।

আগের পর্বে একজন কমেন্ট করেছিলেন যে আস্তে আস্তে সিরিয়াস বিষয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছি পর্বগুলো। ফিরে গিয়ে পড়লাম সব পর্বগুলো আবারো। মনে হল তাইতো। প্রথম পর্বে সদ্য কিশোরির ইন্নোসেন্স ছিল, ছোট ছোট সমস্যা ছিল কিন্তু আস্তে আস্তে কত সিরিয়াস বিষয় যেমন প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক, প্রবাসি বাচ্চা, সমকামিতা নিয়ে লিখে ফেললাম! সেগুলো আমার কিশোরিবেলার ভাবনাচিন্তা ছিল না। বরং সেই অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে ভার্সিটি পড়ুয়া আমার সাবালক মস্তিষ্কের বিশ্লেষন ছিল। আজকে তাই আবারো কিশোরি বনে গেলাম, হালকা বিষয় নিয়ে লিখলাম যা সেই সময়ে খুব জরুরি ছিল। জানি না পাঠকের কেমন লাগবে হঠাৎ করে আবার ছোট হয়ে যাওয়া আমাকে!

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: লিখা টা পড়লাম ভাল লাগল ।

ভাল থাকুন এ শুভ কামনা থাকল ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনিও ভাল থাকুন ভাই।

২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: :)

৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: আপনার এই সিরিজ আমি নিয়মিত পড়তে পারিনি।
তাই তাল কেটে গিয়েছে।

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুম! সেটাতো খুব খারাপ বিষয়। তবে আমি সিরিজগুলো এমনভাবে লিখেছি যে র‌্যানডম কোন পর্ব পড়লেও মোটামুটি ধারনা পাওয়া যাবে। একটা টপিক নিয়ে শুরু করে সেই পর্বেই টপিকটা শেষ করে দেই। পরের পর্ব আগের পর্বের কন্টিনিউশন না বরং নতুন কোন ভাবনা নিয়ে আবারো আসে। বিশেষ করে আজকেরটা তো প্রথমদিকের কথা ভেবেই শুরু।

তাও আপনি অসুবিধা বোধ করলে সব পর্বই পড়ে ফেলুন না! তালটা আবারো ফিরে পাবেন। :)
অনেক শুভকামনা।

৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ৮:১২

গন্ডোলার মাঝি বলেছেন: যাক আজকের পর্ব টা সামু তে ঢূকতেই চোখে পড়লো।ভালো লাগলো ।চালিয়ে যান
:D

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ৮:২১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: শাস্তি মাথা পেতে নিচ্ছেন দেখি! হাহা।
অনুপ্রেরনা দেবার জন্যে ধন্যবাদ। সাথে থাকুন, চালিয়ে যাব।

৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: আগের একটাও পড়া হয়নাই। এটা পড়ে ভালোলাগলো। বর্ননা শুনে এরিককে তো সতি অন্যরকম মনে হলো। ফার্স্ট ইয়ারে এমন আকর্ষণ অস্বাভাবিক কিহু না। আমার তো মন কি যে চাইতো কিছুই বুঝতাম না, যারে সুন্দরী দেখতাম তারেই ভালোলাগলো। কিন্তু আপনি যেহেত তেমন কিছুই অনুভব করেননাই, কিংবা করলেও ধামাচাপা দিতে পারছেন, আপনি পুরা মানুষ না। উঠতি বয়সের প্রেম অবলীলায় ধামাচাপা দিতে পারে যেইজন, কে বলে মানুষ তারে অর্ধেক রোবট সেইজন =p~

শুভকামনা রইলো মাদাম ফ্রম কাননাডডা :)

০৫ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৫২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি ধামাচাপা দিইনি সার ফ্রম বাংলাদেশ।
প্রথম লাইনগুলো পড়তে পড়তে ভাবছি টিজিং কিছু তো ছেলেটা লিখবেই। হতাশ করেননি। তৃতীয় লাইনেই লিখলেন। আপনার কথায় মনে হল প্রথম সত্যিকারের ভালো লাগা একদিন সত্যিই ব্লগে শেয়ার করব। তাহলে এই ধামাচাপা দেবার মিথ্যে অপবাদ ঘুচে যাবে।
শুধু ফার্স্ট ইয়ার না জীবনের যেকোন সময়ে এধরনের মানুষের সাথে পরিচয় হওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।
সুন্দরী দেখলে আপনার মন কি চাইত আপনি না বুঝলেও আমি ঠিকই বুঝতে পারছি হাহা।

আর আমি রোবট না প্রচন্ড আবেগী একটা মেয়ে।
কথায় কথায় স্বল্প পরিচয়ে টিজ করে যেইজন, কে বলে মানুষ তারে অর্ধেক পাগল সেইজন। :)
আপনাকেও শুভকামনা সার ফ্রম বাংলাদেশ।

৬| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৮

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: হ্যা, এইবার ইভটিজার ট্যাগও খাই এই ব্লগে। এইটাই বাকী ছিলো। =p~

জীবনে এতবার প্রেমে পরলাম, হাত পা ভাংলাম, আহত নিহত হইলাম, সেইসব চমৎকার স্মৃতির কথা লিখে রাখা দরকার। কেউ পড়ূক না পড়ুক, বোকামী দেখে জনতার পাশাপাশি ঈশ্বর আল্লা যীশু সবাই মিলে হাসুক, তাও ওই মেমোরীগুলী রিকালেক্ট করতে লেখা দরকার। তবে ভালোবাসা অন্যরকম হয়, আবার প্যারালাল ভালোবাসাও সম্ভব। আমার বেলায় তা সত্যি ছিল। তবে ভালোবাসায় অন্য কোনও একটা ব্যাপার থাকে। একটা খুব সিম্পল এক্স ফ্যাক্টর। কিন্তু সেটা যে কি তা বলে বোঝানো যাবে না। বলা গেলে সেটা আর যাই হোক, ভালোবাসা হবে না মাদাম।

আমিও আবেগী, সব আবেগ ঠাসঠাস উঠে আর নামে। আর খোঁচা দেয়া সম্ভবত আমার একটা বাজে অভ্যাস, এইটা আপ্রাণ চেষ্টা করেও বাদ দিতে পারছিনা। যাইহোক, ভাবছি সিরিজ শুরু করেই দিব। অতীতে ফিরে দেখাও অনেকসময় খুব আনন্দের।

শুভকামনা আবারও। টাটা :)

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ৯:২১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: যান ইভ টিজার না ফ্রেন্ড টিজার উপাধি দিলাম আপনাকে।

সবচেয়ে সুন্দর কথা এখন বললেন আপনি।
জীবনে এতবার প্রেমে পরলাম, হাত পা ভাংলাম, আহত নিহত হইলাম, সেইসব চমৎকার স্মৃতির কথা লিখে রাখা দরকার।
প্রেমে পড়লে আহত নিহত হয়ে কষ্ট পাবার স্মৃতিগুলোও কি চমৎকার হয়ে যায়! ফিরে ফিরে দেখলে মুখে আলতো হাসি এসেই যায়! সবাই পারেনা কিন্তু যারা এভাবে ভাবতে পারে তারা ভাগ্যবান। আপনি ভাগ্যবান।
আসলেই একটা এক্স ফ্যাক্টর! ব্যস তাতেই হয়ে যায় সর্বনাশ।

আপনি যেভাবে হাত পা ভাংগার কথা বলছেন বুঝতে পারছি দারুন একটা সিরিজ পেতে যাচ্ছি। আমার অতি সাধারন গল্পটা তাই আর সাহস করে লিখব না। বাদ দিন।
আপনার মাদাম ডাকটা প্রথমদিনে গায়ে রাগে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল। আজকে অনেক মিষ্টি লাগছে। সো কন্টিনিউ কলিং মি মাদাম।

আমার আবেগ যদি নামত কখনো, সবসময় উঠেই থাকে! :( না খুব বাজে অভ্যাস না, লিমিট ক্রসিং কোনকিছু করেননি এখনো। আর খোচা দিতে দিতে অনেক কঠিন সত্যিও অবলীলায় বলে ফেলেন। সো কন্টিনিউ দিস এটিটিউড এজ ওয়েল।

স্যার ফ্রম বাংলাদেশের কাছে আর বিদায় নেবনা। জলদি আবার আপনার সিরিজে দেখা হবে সে আশায়......।

৭| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ৯:১১

অসভ্য রাইটার বলেছেন: আপনি এখন কি করেন ?

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ৯:২২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি ইংজিনিয়ারিং পড়ছি।
ধন্যবাদ।

৮| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩২

অসভ্য রাইটার বলেছেন: অাপনার ২টা বাদে প্রতিটা কানাডার কাহিনী পড়সি । প্লিজ অারও বিস্তারিত লিখবেন । সবগুলো ঘটনা লিখবেন । অাপনার লেখা খুব ভাল লাগে । ক্লাসটেনের ছোটোভাই হিসাবে বিশেষ অনুরোধ ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: উরে বাবা ছোট ভাই! এই একটা জিনিসই বাকি ছিল ব্লগে পাওয়া। বড় ভাই বোন তো অনেক পেয়েছি এবার ছোট ভাইও।
ব্লগের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব আমি।
দুইটা বাদে মানে ১৮+ গুলো পড়নি। অসাধারন ব্যাপার এটা। ১৮+ ব্যাপারগুলো থেকে দূরে থেক।

আরে ভাইডি আমার বিস্তারিত লিখলে বেশি করে লিখতে হয়। বেশি লিখলে পাঠক বোরড হয়ে যায় এবং বিরক্তি ঝাড়ে। তাই মিডিয়াম সাইজে যতটুকু লেখার লিখে ফেলি।

ছোট সুইট ভাইয়ের অনুরোধ অবশ্যই রাখব। ভালো থেকো, অনেক ভাল থেকো।

৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪১

অসভ্য রাইটার বলেছেন: যেটা ভাল হয় করেন , কিন্তু পর্ব লেখা চালিয়ে যান ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওক্কে ছোট ভাই। :)

১০| ০৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

বিপ্লব06 বলেছেন: ঊফফফ... একটুর জন্য পিরিত মিস হইয়া গেল!!! এরিক বাছাধন, তুমি ভাবটা একটু কম নিলেই পারতা!!!

কিন্তু আল্টিমেটলি, এরিক আপনারে একটা মেজর লাইফ লেসন দিয়া গেছে, ওর কাছ থেকে কিছু শিখছেন দেখে ভাল লাগছে।

আমি দুঃখিত আপনি ছোটবেলায় কিছু নেগেটিভ এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে বড় হইছেন, কিন্তু আমার মনে হয় এইটা আমাদের সমাজের একটা অংশ। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত সমাজ এইটার শিকার। পরিবারে বোন না থাকায় আপনার সিচুয়েশনটা দেখা হয় নি, সো ব্যাপারটা পুরা বুঝি সেইরকম কিছু বলতে পারব না। কিন্তু আমার মাকেও দেখছি আমাদের জন্য সেরাটা রেখে দিতে যেইটা তখন বুঝতাম না, কিন্তু এখন বুঝি। আমি পারসোনালি এইটাকে কেয়ার এবং ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসাবেই দেখছি। যদি আপনার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু আলাদা।

আপনার পোস্ট থেকে মনে হইল, ব্যাপারটা স্টিল আপনার মধ্যে আছে (পিউর স্পেকিউলেশন)। যদি তাই হয়, তাইলে আপনি ছেলেমানুষকে সহজে বিশ্বাস করতে করতে পারবেন না যেইটা মাঝে মাঝে ঝামেলা করতে পারে। পারসোনালই আমি মনে করি, ছেলে-মেয়েদের প্রতিযোগী না হয়ে সহযোগী হওয়া উচিত।

কিন্তু এইটাও ঠিক মেয়েমানুষ হবার কিছু আপসাইড ও আছে। অনেকগুলার মধ্যে এই যেমন ধরেন, সামুতে সেইম মানের একটা ছেলের পোস্টের তুলনায় আপনার পোস্টে হিট এবং কমেন্ট বেশি পড়বে । হয়ত আমিও এর ব্যাতিক্রম না(ইন মাই ডিফেন্স, আমি নরমালি সিরিজগুলাতে চোখ রাখি, আর বিদেশ রিলেটেড হইলে তো কথাই নাই!)

হোপফুলি আপনার ফাইনালগুলা ভালোই হইছে!

০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:১০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: খুব ভাব নিত একদম ঠিক ধরেছেন। হয়ত সেজন্যেই অতি সুদর্শনেও প্রেমে পড়িনি। তবে ভাব না নিলেও প্রেম হত বলে মনে হয় না।
বোন থাকলেও কিছুই বুঝতেন না। ছেলেরা অনেককিছুই চোখের সামনে দেখেও বোঝে না। আমার কাজিন ভাইরেরা কি সে বয়সে কিছু বুঝত? আপনার মতো ভালবাসা মনে করত। তবে অনেক ছেলেই একটা পার্টিকিউলার বয়সে এসে বোঝে। পেছনের সব পাজলগুলো মিলিয়ে বোঝে যে ছোট ব্যাপারগুলোতেও কি ভীষন বৈষম্য ছিল!

১০০% ভুল স্পেকিউলেশন। সেদিন থেকে পারফেক্ট হইনি। তবে ইংজিনিয়ারিং পড়তে যেয়ে যেখানে ছেলে মেয়ের রেশিও ৮০:২০ এরকম কিছু ভাবার জো নেই। বেশিরভাগ ল্যাবে চারজনের গ্রুপে আমি হয়ত একাই মেয়ে! আর আমি ল্যাব ছেলেদের সাথে করতেই বেশি পছন্দ করি। আপনারা ছেলেরা সবদিক থেকে পারফেক্ট না (মেয়েরাও না) তবে ল্যাব পার্টনার হিসেবে অসাম। কত কিছু শিখেছি তাদের কাছে থেকে! আপনাকে ভুল প্রমান করতে পেরেছি এখন?
পারসোনালই আমি মনে করি, ছেলে-মেয়েদের প্রতিযোগী না হয়ে সহযোগী হওয়া উচিত।
সহমত, ১০০% সহমত।

তবে বিশ্বাস আমি সহজে করিনা এটা ঠিক। যেমন একটা ছেলের সাথে ল্যাব ঠিকই করব, গ্রুপ স্টাডিও করব কিন্তু ভার্সিটির চৌকাঠের মধ্যেই। নিজের বাড়িতে ডাকলে মরে গেলেও যাব না। আমার চেনা হাজারটা ছেলের মধ্যে একটাও যদি খারাপ হয়! একটা ছোট ভুলে সারাজীবন নষ্ট হয়ে যাবে। নিজের শালীনতা, সেফটি নিজের কাছে। তার জন্য যদি ব্যাকডেটেড, সন্দেহপ্রবন হতে হয় হলাম।

হুম, কার যেন "ইডিয়টস জার্নি টু আম্রিকা!!!" অনেক হিট সিরিজ যাচ্ছে? তার অন্তত এমন কথা বলা উচিৎ না। কেন আপনি ছেলে হওয়ার পরেও তো আপনার অভিজ্ঞতা পড়তে ভাল লোক সমাগম হচ্ছে! লাইক পরছে, কমেন্ট পাচ্ছেন।

আর মেয়ে হওয়ার সবচেয়ে বড় আপসাইড ব্লগে, ফেসবুকে লাইক পাওয়া না। সবচেয়ে বড় আপসাইড একজন মা হতে পারা। একটা জীবনকে নিজের মধ্যে অনুভব করা। কি ভীষন সম্মান উপরওয়ালা নারীদের এবং শুধু নারীদেরই দিয়েছেন! বুঝলেন জনাব?
আর ডাউনসাইডগুলো আমি এ পর্বে যা লিখেছি সেগুলোতো কিছুই না। একদিন পর্ব করে লিখব জঘন্য কিছু সমস্যা নিয়ে।

ইন মাই ডিফেন্স!!
হুম, চোরের মন পুলিশ পুলিশ। না চাইতেই জবাবদিহিতা! আমার মাথায় তো এমন কিছু আসেই নি! হাহা।

কিসের ফাইনাল? স্কুল তো কবে শেষ। ভার্সিটির কথা জিগ্যেস করলে বলব হয়েছে। আপনি তো কমেন্টও পড়ে শেষ করে ফেলেন এজন্যে যা লিখি তার চেয়েও অনেক বেশি জেনে ফেলেন হাহা।

আপনার কমেন্টগুলো খুব ভাল লাগে। সময় নিয়ে বড় কমেন্ট করেন, যা মনে আসে লিখে ফেলেন। আগের পর্বে কথা দিয়েছিলেন যাই লিখি সাথে আছেন। কথা রাখলেন। ধন্যবাদ।
অনেক ভাল থাকুন।

১১| ০৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: ভাল লাগলো এ পর্বটাও । এরিক আপনার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পেয়ে আপনাকে যে সম্মান করেছে বা আপনার সাহায্য চেয়েছে এটা আসলে পশ্চিমের উন্নত সমাজের মানুষদের একটা সহজাত বৈশিষ্ট । আপনি কোন বিষয়ে এক্সপার্ট হলে তারা সেটা রিকগনাইজ করবে, আপনার কাছে পরামর্শ চাইবে; তা আপনি কালো, বেটে, লম্বা, চিকন, এশিয়ান, আফ্রিকান যাই হোন না কেন ।

শুভকামনা রইলো ।

০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:১২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার কমেন্টগুলো আমার খুব ভাল লাগে এ কারনে যে যা মেইনলি বোঝানোর জন্যে লিখি সেটাই বোঝেন। এটাই আমার পয়েন্ট ছিল। আমাকে এক্সপার্ট মনে করেছে ব্যাস হেল্প চেয়েছে। আর কিছু ওর মাথায়ই আসেনি। এটা ওদের সহজাত, ভেতর থেকে আসে।

অনেক শুভকামনা। ভাল থাকুন।

১২| ০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অম্লমধুর সম্পর্ক এবং উপলব্ধির গল্প। ভালো লাগলো। শুভ হোক।

০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অম্লমধুর সম্পর্ক
একদম তাই ছিল। আমাদের সম্পর্কটাকে আমিও ডেসক্রাইব করার জন্যে শব্দ খুজতাম। আপনি দিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন অনেক।

১৩| ০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বরাবরের মতই ভাল লাগল... :)

০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ জনাব! ভাল আছেন আশা করি।

বরাবরের মতোই পাশে থাকার জন্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা।

১৪| ০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কিউপিড বেল বাজলোনা! :((

দারুন স্মৃতিকথায় মুগ্ধতা।

পরিবেশ মানুষকে কতখানি মানুষ করে তোলে সেগুলো ঐ সব দেশে বোঝা যায়! আমাদের কত কত মেধা যে সিস্টেমের কারণে ঝড়ে যাচ্ছে কে রাখে তার হিসাব। পূর্ন বিকশিতই বা হতে পারে ক'জনা!

+++++++++++

০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা অনেককেই হতাশ করলাম মনে হয়। সব কিউপিডের দোষ!

হুম ঠিক। মেধাগুলো যেন না ঝড়ে, বরং আরো ফুটে ওঠে সে আশায়...

প্লাস, সুন্দর কমেন্ট, এবং প্রতি পর্বে হাজিরা দেবার জন্যে কৃতজ্ঞ।

১৫| ০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: গল্পে গল্পে ১১-তে এসে পড়লেন।

এটাও অন্যগুলোর মত সুখপাঠ্য হয়েছে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুম অনেক লিখে ফেলেছি। যতদিন অনুপ্রেরনা পাব লিখতে থাকব।

আপনিও অনেক ভাল থাকুন শামছুল ভাই।

১৬| ০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:০৯

টেরিয়াল ডয়েল বলেছেন: ফাঈঈঈঈনন ফাঈঈঈঈনন

০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:১৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হায় কি সুন্দর ছবি! অনেক ধন্যবাদ। এই ছবিটা আপনার জন্যে।



ভাল থাকুন।

১৭| ০৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:১২

সিকদার বাড়ীর পোলা বলেছেন: ভালো লাগা :)
+++++++++++++++++

০৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৫৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: উরে বাবা এতোগুলো প্লাসের বন্যায় তো আমি ভেসেই যাব! হাহা।

ভাল লাগাতে পেরে আনন্দিত।
ভাল থাকুন।

১৮| ০৬ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪০

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
চমৎকার লাগসে আপনার স্মৃতিচারণ।

এরিকের আচরণ আমার ভাল লেগেছে।

এই পোস্টে একজনকে মিসাতেসি.......... :)

০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মিস করছেন মানে? কাকে মিস করছেন? বলে যান প্লিজ!

শুভকামনা!

১৯| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪

Ishrat Jahan Shima বলেছেন: হুম পুরনো কিশোরীকে খুঁজে পেলাম আবার। তোমাকেই মিন করেছি। আহারে বেচারা এরিক। মজা করে বললাম। নিজের কিশোরিবেলার কথা মনে পরে গেল। মনে হয় বেশির ভাগ মায়েরাই মেয়েদের এই রকম কথা বলে থাকেন। আমার মাও বলেছিলেন।

আমি প্রেমে পরতাম গল্পের বইয়ের নায়কদের। এখন মনে হলে নিজের অজেন্তেই হাসি। চুপ চুপ করে বলি এখনও পরি। আমার কাজিনরা বলেছে এইজন্য আমি রিয়েল লাইফে প্রেমে পরি নাই। বলেছে সবসময়ে স্বপ্নের জগতে থাকি। আমি অ্যাক্টরদের প্রেমেও পরেছি। হ্যারিসন ফোর্ড ছিল আমার প্রথম ক্র্যাশ, প্রথমে দ্যা ফিউজিটিভ দেখে, তারপরেই হ্যারিসন ফোর্ডের ইনডিয়ানা জোন্স সিরিজ আর অন্যান্য মুভি দেখেছি। কিন্তু আমার হিরো বুড়ো হয়ে যাওয়াতে কষ্টও পেয়েছি। তারপর টম ক্রুজ, কিয়ানু রিভস্, আরও আছে। লম্বা তালিকা ছিল।

সিরিজ ভাল লাগছে। পরেরটাও পরেছি। ওটার কমেন্ট ওখানেই করব। তোমার প্রথম সত্যিকারের ভালো লাগা শেয়ার করার অপেক্ষায় থাকবো। আমি কিন্ত বিস্তারিত লিখলে বিরক্ত হই না। যত বড় পোস্ট তত মজা পড়তে।

০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ আপু! কতোদিন পরে! পাসওয়ার্ড সমস্যার কারনে লং টাইম নো সি! তবে এখন হারিয়ে যাওয়া বোন আবার এক হল! :)

আমাকেই মিন করছেন না বললে তো ভাবতাম নিজের কথা বলছেন হাহা।
প্রথম ভালোলাগা, হুম লিখব। তবে আশেপাশের কম ছেলেকেই ভাল লাগে। আমিও আপনারই মতো অনেক ক্রিকেটার/এক্টরের প্রেমে পরি। কখনো প্রেমে পরবেন আশা করি। রিয়াল লাইফেও ভাইটামিন সমৃদ্ধ প্রেমের প্রয়োজন আছে। :)

আরেহ এক হিরো বুড়ো হলে আরেকজন আসবে, ব্যাপার না। ;)

অনেকে বিরক্ত হয়, খেই হারিয়ে ফেলে, ব্যস্ত জীবনে এত সময় কোথায়। আপনি বিস্তারিত পড়তে ভালোবাসেন দেখে ভালো লাগল। সবাই এরকম হলে আমাকে ডজন ডজন এডিটিং করতে হতো না। :(

অনেক ভাল থাকুন আপু, পরের পোস্ট কমেন্টের অপেক্ষায়।

২০| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:২৩

আমি তুমি আমরা বলেছেন: এর আগে সিরিজের একটা পর্বই পড়েছিলাম। ভারতীয় আর পাকিস্তানীদের নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা। এই পর্বটাও পড়লাম। বেশ ভাল লেগেছে। এরিককে নিয়ে আপনার শেষ দিককার উপলব্ধিটা ভাল লেগেছে।

১০ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার পড়ে ভাল লেগেছে মানে লিখে কিছুটা সার্থক হলাম।

অনেক ভাল থাকুন।

২১| ২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:০৫

নূর মোহাম্মদ প্রধান বলেছেন: আপনার লেখা সিরিজগুলি সিরিয়াল অনুসারে পড়ছি।নিজের ভিতর থেকে কথা টেনে বের করা,নিজেকে এভাবে বিশ্লেষণ করা সত্যিই অনেক প্রশংসার দাবি রাখে।চালিয়ে যাও আপু...

২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:১৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: শুনে ভাল লাগল সব সিরিয়ালি পড়ছেন। কমেন্ট করে নিজের উপস্থিতি জানান দেওয়ার জন্যে ধন্যবাদ ভাইয়া।

আসলে কানাডায় যেয়ে একটা বড় অংশ নিজেকে কাটাছেড়া করে, বিশ্লেষণ করেই কেটেছে। তারই প্রতিফলন লেখায় আসছে।

বাকিগুলোও পড়ে ফেলুন, ভাল থাকুন।

২২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯

আপনার আপন বলেছেন: ENJOYABLE TIME JOURNEY..........

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আসলেই পেছনে তাকালে সময়গুলোকে অনেক রংগিন মনে হয়।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আবারো। বাকি কয়টা পর্বও পড়বেন আশা রাখি।
ভালো থাকুন।

২৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:০২

পথহারা মানব বলেছেন: সামু পাগলা বলেছেন...
এখনও আমার জীবনে অনেক বড় দুঃখ যে সেই অংকটা আমি পারলাম না

হা হা হা.....
অবশেষে একদম ঠিক সময়ে অংক দেবী অংকটা পারলা না......

ভাই এরিক (গ্রীক দেবতা) তুমি বেঁচে গেলা অংক দেবীর হাত থেকে...না হলে মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে কয় ডলারে কয়টা আইসক্রিম পওয়া যাবে সে হিসাাব করতে করতে জীবন ছারখার হয়ে যেত!!!!!!!!!! B-)

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:০০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভাইয়া আমি অনেক সরি আপনার এই মন্তব্যের জবাব দিতে অনেক বেশি দেরী হয়ে গেল! দেখেছিলাম আগেই। কিন্তু তখন একটু সিক থাকায় ইচ্ছে করছিলনা প্রতিউত্তর করতে। পরে ভুলেই গিয়েছিলাম। আজকে মনে পরায় করছি।

এত মজার কমেন্ট করে হাসানোর জন্যে অনেক ধন্যবাদ। সিক থাকা অবস্থাতেও অনেক হেসেছিলাম এই কমেন্টটি পড়ে।

ইশ! বললেই হলো। ওর সাথে আমার কোনকালেই কিছু ছিলনা। অংক পারলেই কি আর না পারলেই কি? হাহা।

ভালো থাকবেন অনেক।

২৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:১৮

মূর্খ বন মানুষ বলেছেন: আপনার দেখি সব খালি ভাললাগালাগি, মায়ের লক্ষ্মী মেয়ের মত ভালবাসাবাসি নাই! নাকি আছে? ব্লগবাসিদের জানাচ্ছেন না সে কাহিনী। অতীতে থাকলে বা এখন থাকলে সেই কাহিনী ব্লগ বাসিদের বলে ফেলেন মশাই।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মতো কি রে? আমি তো আসলেই মায়ের লক্ষ্মী মেয়ে! হাহাহা।

নাহ নেই। আমার ছদ্মবেশে লেখার মূল কারন যেন মনখুলে সববব কিছু শেয়ার করতে পারি ও হনেস্ট থাকতে পারি; নাম, ছবি, স্থান ইত্যাদি জানিয়ে দিলে অনেক রাখঢাক করা লাগত। এই লেখাটাও লিখতে পারতাম না। হনেস্টলি বলছি সিরিয়াস "ভালোবাসা" হয়নি, তবে অনেককেই ভীষননন ভালো লেগেছে, :`> আবার ভুলেও গিয়েছি। এমন আরো কিছু ভালোলাগার গল্প লিখব নাহয় কোনদিন! :)

আবারো ধন্যবাদ পুরোন লেখাটিতে মন্তব্য করার জন্যে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.