নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডার স্কুলে একদিন (পর্ব ২০) - জানি না আজকের পর্বের নাম কি হওয়া উচিৎ? অনেক ভেবেও কোন নাম খুঁজে পাইনি!

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আজকের পর্বটা একটু অন্যরকম। পড়লেই বুঝবেন কেন আমি নাম দিতে অপারগ ছিলাম?

আগের পর্বগুলো:
কানাডার স্কুলে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (২য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (৩য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (চতুর্থ পর্ব)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৫)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৬) ১৮+
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৭) আমার ভারতীয়, পাকিস্তানী অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৮) কিছু ভারতীয় যে কারণে বাংলাদেশকে ছোট করে দেখে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৯): কেন প্রবাসি বাংলাদেশি বাচ্চারা কানাডিয়ান/ভারতীয় হয়ে যাচ্ছে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১০) সমকামিতা ১৮++
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১১) - কিশোরিবেলায় কানাডার প্রথম ভালোলাগা - এক গ্রিক দেবতারূপী সুদর্শন কানাডিয়ান ছেলে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১২) - বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বাংলাদেশকে কিভাবে দেখে এবং আমার স্কুল জীবনে তার প্রভাব
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৩) - কানাডায় বিয়ে, লিভ টুগেদার, ডিভোর্স এবং কিশোরি আমি (১৮+)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৪) - বাংলাদেশীদের বিয়ে ভাবনা নিয়ে বিদেশীদের দৃষ্টিকোন এবং আমার নারী জীবন
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৫) - মায়ের বয়ফ্রেন্ড ও অত্যাচারিত মেয়েটি এবং অবাক, অসহায় আমি (কঠিনভাবে ১৮++)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৬) - পশ্চিমি অনেক নারীর ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স নীরবে সহ্য করার কারন এবং বোকা আমি
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৭) : কানাডায় আমার প্রথম হ্যালুইন, ভ্যালেন্টাইন্স ডে vs এক আবেগী জাতির পাগলামি
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৮) : পশ্চিমের গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড কালচার vs মফস্বলের প্রেম এবং চমকে যাওয়া আমি!
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৯) : কানাডিয়ান কৈশোর জীবনের কিছু উচ্ছৃঙ্খলতা এবং মফস্বলের বোকা মেয়েটি

আজ গল্প অনেক পিছে থেকে শুরু হবে। সেই শুরু থেকে যা কানাডা কাব্য শুরু করেছিল আমার জীবনে! একটা কিশোরি মেয়ের ছুটির সকাল দিয়ে। মেয়েটা রোজ অনেক ভোরে উঠত কিন্তু সেদিন ফজরের নামায পরে আবারো শুয়ে ১০ টা বাজিয়ে ফেলল ঘুমাতে ঘুমাতে! চোখ একটু একটু করে খুলে দেখল মা পাশে বসে চুলে বিলি কেটে আল্লাদ করছেন। মায়ের মুখটা কি ভীষন সুখী সুখী! মেয়েটা আস্তে আস্তে বলল, "কি হয়েছে?" মা ফিসফিস করে কানের কাছে বললেন, "আমরা কানাডা যাচ্ছি!" মেয়েটার বুকটা ধক করে উঠল। সবে তো বাবা বদলি হয়ে আসলেন নতুন জায়গায়, দুটো ভালো বান্ধবী হয়েছে! আবারো নতুন জায়গা! কিন্তু মেয়েটার ছোটবেলা থেকে অভ্যাস ছিল কোন এক সকালে বা দুপুরে মা বাবা বলবেন নতুন জায়গায় যাচ্ছি। সে তাই বেশি মাথা ঘামাল না, উঠে নাস্তা করে নরমাল দিন পার করল।

মেয়েটা আমি ছিলাম তাতো বুঝতেই পারছেন, আমিতেই ব্যাক করি। সেদিন অতকিছু বুঝতে না পারলেও কয়েকদিনেই মাথায় আকাশ ভেংঙ্গে পরল এটা বুঝতে পেরে যে এবার জায়গা না দেশ ছাড়ছি! বাংলাদেশকে ছাড়া আমি কি করে থাকব? ভাষা জানিনা, স্কুলে তো সব সাবজেক্টে ফেইল করব। তখন আমি জানতাম কানাডায় ফ্রেঞ্চও জানতে হয়। ইলিংশ কিছুটা পারলেও ফ্রেঞ্চ? পড়াশোনায় সিরিয়াস আমাকে ফেইল করার ভয়টা কাঁপিয়ে দিয়েছিল। পোশাক আশাক? না বাবা। আমি ব্যাটা ছেলেদের জিন্স প্যান্ট পরতে পারবনা। আর বরফের দেশে জমে যাব নাতো? এরকম ছোট থেকে বড় হাজারটা ভয়ে, দুশ্চিন্তায় সারাদিন লম্বা বারান্দাটায় মনমরা হয়ে পায়চারি করতাম। চিন্তায় চিন্তায় প্লেইন চালিয়ে কানাডায় চলে আসি এখন!

যা যা চিন্তা করেছিলাম তার অনেককিছুই সহ্য করতে হয়নি। ফ্রেঞ্চ জানতে হয়নি বা ব্যাটা ছেলেদের পোশাকও পরতে হয়নি। তবে অনেক ধরনের কল্পনাতীত স্ট্র্যাগল করে একপর্যায়ে মানিয়েই নিলাম! সবে মানিয়ে নিয়েছি এমন এক সময়ের গল্প বলি। সেদিন আমাদের সোশাল স্টাডিস ক্লাসে একটা ক্লাস টেস্ট ছিল। টেস্টটা ইজি হওয়ায় সবাই আধা ঘন্টা আগেই শেষ করে বসে আছে। টিচার বললেন আমি আজকের জন্যে অন্যকিছু প্ল্যান করিনি। সবাই ভাবছে বাকি আধাঘন্টা কিভাবে কাটাবে? টিচার বললেন, "একটা মজার খেলা খেলি চল। আমি প্রজেক্টরে একটা করে ছবি দেব বিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত জায়গার। তোমাদেরকে বলতে হবে জায়গাটির নাম কি? যে আগে বলতে পারবে সে পয়েন্ট পাবে।" কেউ কেউ খুশি হলো, কেউ কেউ কানে এয়ারফোন লাগিয়ে বসে থাকল। তারা এসবে ইন্টারেস্টেড না। সেদিন আমি কিছু কারনে একটু মনমরা, প্রানহীন ছিলাম। আমি শুন্য দৃষ্টিতে স্ক্রিনে একটার পরে একটা ছবি দেখে যাচ্ছি। কিছু বলার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছিনা, অনেকগুলো জানতাম ও না। কেউ কেউ জবাব দিচ্ছে, অনেকগুলো কয়েকজন একসাথে বলে উঠছে। হঠাৎ করে তাজমহলের ছবি ভেসে উঠল। অতি পরিচিত স্থানটি দেখে আমি আনমনেই বলে উঠলাম "আগ্রার তাজমহল!"

আমার পেছনে বসত জেফ নামের এক দুষ্টু, চঞ্চল কানাডিয়ান ছেলে যে আমার পিছে খুব লাগত। অশালীন কিছু না ব্যাস কিছু চটুল কথাবার্তা আমার দৃষ্টি আকর্ষনের জন্যে। প্রথম প্রথম অস্বস্তি লাগলেও একটা পর্যায়ে বুঝে গেলাম খারাপ ছেলে না। ব্যাস ক্লাসের সময়টুকু হার্মলেস কিছু দুষ্টুমি করে, এরপরে আর কোন কথা বলে না বা বিরক্ত করেনা। আমি উত্তরটা বলার সাথে সাথে ও প্রায় হাততালিই দিয়ে উঠল, আর মিসেস ভিকে জোরে জোরে জানাল যে আমি উত্তর দিয়েছি। মিসেস ভি মুচকি হাসতে হাসতে বললেন, "জেফফ! আমি শুনতে পাই! তোমার এত জোরে জোরে কে উত্তর দিচ্ছে না দিচ্ছে তা আমাকে বলতে হবে না! পারলে নিজের উত্তরটা বল!" ক্লাসের অন্য সবাই বুঝতে পারল দুষ্টুমিটা কোথায় যাচ্ছে। একজন বলে উঠল, "কি বলছ জেফ? ও তো উত্তর দেয়নি, জশ দিয়েছে!" জেফ তো প্রমান করেই ছাড়বে, বারবার আমার নাম নিয়ে বলে যাচ্ছে যে আমিই উত্তরটা দিয়েছি। একবার টিচারের দিকে আরেকবার অন্যসবার দিকে তাকিয়ে বলছে, "ট্রাস্ট মি গাইস!" যেন এটা জীবন মরন ব্যাপার! সবাই হাসি হাসি মুখ করে মজা দেখছে এমনকি টিচারও! এভাবে চলতে চলতে একটা ছেলে তো বলেই ফেলল, "জেফফ! স্টপ ফ্লার্টিং উইথ হার, উত্তর কে দিয়েছে আমরা সবাই শুনেছি!" এই ফ্লার্টিং এর কথা শুনে আমি বেশ লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকলাম। হাসছিলামও মুচকি মুচকি কেননা পরিবেশটা খুবই হিউমারাস ছিল। এই হাসি মজা করতে করতেই ছুটির ঘন্টা বেজে গেল।

আর আমি মজাটুকু ভুলে আবারো আগের মতো আনমনা হয়ে গেলাম। কিছু একটা আমাকে খুব অশান্তিতে রাখছিল, এবং আমি বুঝতেও পারছিলাম না। দেখতে গেলে আমার জীবনে সবই ঠিক চলছে। তখন কানাডায় বছর খানেকেরও বেশিই হয়ে গিয়েছে। এডজাস্ট করে নিয়েছি পুরোপুরি। ভাষা প্রায় পুরোপুরি আয়ত্বে, পড়াশোনায় মনমতো মার্ক পাচ্ছিলাম। বন্ধু খুব বেশি ছিলনা তখনো, তবে একাও ছিল না। কিছু ভালো বন্ধু হয়ে গিয়েছিল বিভিন্ন দেশের। সবমিলিয়ে আমার জীবনটাকে পারফেক্ট মনে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমি ভীষন এক শুন্যতায় পরে গেলাম! আমার মন যেন একটা পাখি যে সন্ধ্যায় নীড়ে ফেরার সময় সকল সাথী হারিয়ে পথ ভুলে হন্যে হয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে আকাশের চতুর্দিক! পথ জানা নেই ব্যাস গন্তব্য জানা আছে! রাতগুলো অবাক শুন্যতায় ভরা। কি হয়েছে আমি বুঝতেই পারছিলাম না। অনেক ভাবতে ভাবতে একদিন বুঝলাম দেশের জন্যে মন কাঁদছে। আমি আর থাকতে পারছিনা কানাডায়!

আসলে একবার কানাডায় মোটামুটি এডজাস্ট করে নেওয়ার পরে আর মন টিকত না। জানি অবাক লাগছে শুনে। বেশিরভাগেরই প্রথমদিকে বেশি কষ্ট হয়, কিন্তু আমার পরের দিকে বেশি কষ্ট হতো। প্রথমদিকে হাজারটা কালচার শক, ভাষা সমস্যা, পড়াশোনার স্ট্র্যাগল, বন্ধু বানানোর চেষ্টা সবমিলিয়ে আমি দেশ ছাড়ার আসল বড় কষ্টটাকেই মুহূর্তের জন্যে ভুলে ছিলাম। কিন্তু অন্য সবকিছু সামলে ওঠার পরে আসল কষ্টটা বুক চেপে ধরে নিঃশ্বাস আটকে ফেলল! কাউকে সবকিছু বলতে হবে। বাবা মাকে এসব বলে লাভ হবেনা, তাদের কানাডা মুগ্ধতা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। অনেক কষ্ট করে আমাকে এখানে এনেছেন, এখন ভালো লাগছে না বললে মনে কষ্ট পাবেন। বন্ধুদেরও বলিনি কেননা নিজের এই ভার্নাবিলিটি আমি সমসবয়সীদের দেখাতে তখন সাচ্ছন্দ্য বোধ করিনি।

আমি আমার কাউন্সিলরের সাথে এপয়েন্টমেন্ট করলাম। কানাডায় প্রতিটি স্টুডেন্টের কাউন্সিলর থাকে। তাদের দায়িত্ব ওয়ান ও ওয়ান সময় দিয়ে স্টুডেন্টকে বিভিন্ন একাডেমিক এবং পারসোনাল পরামর্শ দেওয়া। আমার কানাডিয়ান কাউন্সিলার মিসেস ডি একজন অসাধারন মহিলা ছিলেন। কানাডায় আমি টিকে থাকতে পেরেছিলাম ওনার কারনে। এর চেয়ে বেশি আর কি বলব প্রশংসায়? উনি একজন কানাডিয়ান, মধ্যবয়স্কা নারী ছিলেন। ছোটখাটো, ববকাট সোনালি চুল, চশমা পরা, নীল চোখ, পুতুল পুতুল চেহারা। মাঝেমাঝে লং স্কার্ট পরতেন, মনে হত আমাদেরই বয়সী! কি নরম গলা, বিনয়ী ব্যবহার! আমি বৈদেশের বৈরিতায় ওনার হাতই পরম বিশ্বাসে ধরে ছিলাম। যখনই ডিপ্রেসড হতাম ওনার কাছে যেতাম।

ওনার ছোট্ট অফিসরুমটা বেশ সাজানো গোছানো থাকত বিভিন্ন ছোট ছোট রঙিন ডেকোরেশন পিস দিয়ে। সেটুকু রুমে পা দিলেই বোঝা যাবে যে মহিলা রুচিসম্পন্না! ওনার টেবিলের ওপরে কম্পিউটার এবং জরুরি কাগজপত্র। তার সামনে ওনার চেয়ার এবং পাশে আরো দুটো চেয়ার। আমি অনুমতি নিয়ে একটা চেয়ারে বসে পরলাম। উনি জানতে চাইলেন প্রানবন্ত হাসিতে "কি সমস্যা?"
আমি বললাম যে সব ঠিক আছে। আমার পড়াশোনা, বন্ধু বান্ধব। কিন্তু আমি খুশি না। উনি কৌতুহলি চোখে ভুরু কুঁচকে তাকালেন। আমি অস্থির ভাবে মাথা নাড়াতে নাড়াতে বললাম বাংলাদেশকে ভীষন মিস করছি। আমার কিছু ভালো লাগছে না। আমি বুঝতে পারছিনা কি করব? এটুকু বলার পরে নীরব হয়ে গেলাম। মনে মনে ভেবেছিলাম ওনার কাছে গেলে কথার বন্যা বইয়ে দেব, মনে অনেককিছু জমে আছে। কিন্তু কিছুটা বলার পরে প্রবল এক শব্দহীনতা আমাকে জাপটে ধরল! চুপ হয়ে আছি আমি এবং মিসেস ডিও। ছোট রুমটা নীরব নিঃশ্বাসে ভারী হয়ে এলো!

কিছুক্ষন পরে মিসেস ডি হালকা একটা নিঃশ্বাস নিয়ে, বোঝার শব্দ করে বললেন, "আ আ, আই সি! লুক, তুমি বুদ্ধিমতী, স্মার্ট একটা মেয়ে। তুমি নিজের মনকে এনালাইজ করে তার অবস্থান বুঝতে পার। এটা দারুন একটা ব্যাপার! তোমার জন্যে এটা সহজ না। আমি একসময় কিছু বছরের জন্যে এমেরিকায় ছিলাম এবং হোম খুব মিস করতাম। আমেরিকা এবং কানাডার অনেক মিল তাও। আর আমি অনুমান করছি ব্যাংলাদেশ কানাডার চেয়ে অনেক আলাদা!" আমি উদাস নয়নে মাথা নাড়তে লাগলাম, কানাডা এবং বাংলাদেশ কত আলাদা তা তো আমি ভালোমতই জানি! এরপরে বললেন, "দুটো দেশ এত আলাদা হওয়ায় তোমার খুশি হওয়া উচিৎ!" আমি অবাক হয়ে তাকালাম। উনি হাত দুটো একসাথে এনে বললেন, "Look these two wonderful countries are very different to each other and you are lucky to have both of them! এত ভিন্ন দুটো কালচার তোমাকে কতকিছু শেখাবে, মানুষ হিসেবে গড়বে! তোমাকে খুশিমনে সবকিছুকে এমব্রেস করতে হবে, এবং তুমি তা ভালোভাবেই করতে পারবে!"

আমি জীবনের সেই সময়টাতে এত এলোমেলো ছিলাম যে সেভাবে বুঝতেই পারিনি উনি কি ভীষন সুন্দর সব কথা বলে চলেছেন! কি সহজ ভাবে উনি বুঝিয়ে দিলেন যে দুটো ভীষন সুন্দর দেশই আমার! আমার তো চিন্তার কিছু নেই! ওনার কথা শুনতে শুনতে আনমনে অফিস রুমের জানালা দিয়ে বিষন্ন তুষারপাত দেখে যাচ্ছিলাম। আকাশের বিষন্নতার সাথে নিজের মনের কি ভীষন এক মিল খুঁজে পেয়েছিলাম! উনি আমাকে আরো অনেককিছু বোঝালেন। তারপরে হালকা কথাবার্তা বললেন। সোশাল স্টাডিস টিচার ওনাকে জেফ কীর্তির গল্পটা বলেছিল। আমাকে সেটা নিয়ে একটু টিজও করলেন। আমি হেসে ফেললাম। বিদায় নিলাম মন হালকা করে। ওনার সাথে কথা বললেই মন হালকা হয়ে যেত। সত্যি বলতে আমার জীবনে তখন এসব গভীর ব্যাথা শেয়ার করার মতো আর কেউ ছিলনা! সেদিনের প্রতিটি শব্দ, কথা, বডি ল্যাংগুয়েজ আমার চোখে এখনো ছবির মতো ভাসে!

অনেকদিন কেটে গেল সে ঘটনার পরে। দেখতে দেখতে সিনিয়ার ইয়ার চলে এলো। মি: এমের E.S.L. ক্লাসের গল্প করি। তিনি একজন কানাডিয়ান, মধ্যবয়স্ক পুরুষ ছিলেন। ভীষন ভালো, জ্ঞানী ও বিনয়ী একজন মানুষ! সেই সেমিস্টারে আমি দ্বিতীয়বারের মতো মি: এমের টি.এ. হলাম এবং পরম আনন্দের সাথে দেখলাম জেরও একই সেকশনে ক্লাস পরেছে। আগেরবার তিনজনে অনেক মজা করেছিলাম, এবারও করব ভেবে প্রথমদিনেই ভীষন খুশি হয়ে গেলাম। একটা মজার ঘটনা বলি।

একদিন জে বলছে, "কানাডায় বয়ফ্রেন্ডকে বেবি বলে, আমার উইয়ার্ড লাগে! নিজেদের বেবী হলে বেবীকে কি বলে এরা কে জানে!" আমি বললাম তোমাদের কালচারে কি বলে বয়ফ্রেন্ডকে? ও বলল, "আমোর" (লাভ) বেশি বলে।" আমাকে জিজ্ঞেস করলে বললাম, আমাদের কালচারেও বাবু বলে যার মানে বেবী। আমারও অদ্ভুত লাগে। তবে আরো ডাক আছে যেমন জান বলে যার মানে লাইফ। ও খুব অভিভূত হল। বলল, "ওয়াও লাইফ!" এটা অনেক রোমান্টিক মনে হল ওর কাছে। লিখে নিল ডায়েরিতে নিজের বয়ফ্রেন্ডকে ডাকবে বলে।
মি: এম আমাদের সব কথা শুনছিলেন সেটা আমরা জানতাম না। বেশ দূরে নিজের টেবিলের কাছে দাড়িয়ে এসব ফিসফিসানি কিভাবে শুনে ফেললেন জানিনা। রক্ষে আছে আর? হাটতে হাটতে আমাদের ডেস্কের কাছে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, "তো তুমি লাইফই ডাকো না?" আমি বললাম, মি: এমমমম আমি নিজের কথা বলছিনা। অন্যরা ডাকে। জে বলল, "তুমি কি ডাকো?" আমি চোখ কটমট করে বললাম, জেএএ তুমি জানো আমি সিংগেল। কেন জিজ্ঞেস করছ? লজ্জায় লাল হয়ে গেলাম। মি: এম হাসতে হাসতে জে কে বললেন, "শি ইজ ব্লাশিং! সামথিং ইজ রং!" আমি একদম কপালে বাড়ি মেরে "হায় আল্লাহ!" বললাম। জে তো চেয়ার থেকে পরে যায় হাসতে হাসতে এমন অবস্থা! ওরা দুজনেই আমার স্বভাব জানত। অন্য বিষয়ে হিউমার সামলাতে পারলেও এসব বিষয়ে করা জোক যে আমার ওপরে ভারি পরে জেনেই পেছনে লাগা। বুঝলাম দুজনেই পেছনে লাগার মেজাজে আছে। এখন যাই বলি না কেন সেটাকে হাসির খোরাক বানিয়ে আরো ফাঁসিয়ে দেবে। আমি তাই অন্য একটা স্টুডেন্টকে হেল্প করার বাহানা করে সরে আসলাম। কিন্তু রুমের অন্য কর্নারে গিয়েও ওদের তুমূল হাসাহাসির আওয়াজ পিছু ছাড়ছিল না!

এভাবেই মজা করতে করতে সেমিস্টার শুরু হয়ে গেল। কানাডিয়ান স্কুলের ক্লাসগুলোতে ডেস্কের সামনে চেয়ার থাকে। স্কুলের শেষ ক্লাসটি হবার পরে প্রতিটি স্টুডেন্টকে নিজের চেয়ার নিয়ে গিয়ে রুমের কর্নারে পাইল করে রাখতে হয়। আবার পরেরদিন প্রথম ক্লাসে পাইলড চেয়ারগুলো থেকে একটা নিয়ে ডেস্কের সামনে এনে বসতে হয়। কানাডায় ক্লাসের শেষে টিচারেরা গলা উঁচিয়ে বারবার বলতে থাকেন, "গাইস! ডোন্ট ফরগেট টু স্ট্যাক ইওর চেয়ারস বিফোর লিভিং!" এই নিয়মটি করা হয়েছে যাতে স্কুল ক্লিনারদের ফ্লোর ক্লিন করতে কোন কষ্ট না হয়। এই নিয়মটা পৃথিবীর সব দেশে থাকেনা। এজন্য E.S.L. ক্লাসের অনেক স্টুডেন্টই ভুলে ব্যাগ গুছিয়ে ক্লাস থেকে বের হয়ে যায়। প্রথম প্রথম এরকম ভুল হলেও পরে আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়ে যায় ব্যাপারটিতে। টি.এ. হিসেবে আমি যদি দেখতাম অনেকে ভুলে গিয়েছে চেয়ার স্ট্যাক করতে, আমি করে দিতাম। এমনই একদিন কাজ করতে করতে জেও আমার সাথে লেগে গেল। আমি বললাম তুমি যাও, বাস ধর, সমস্যা নেই আমি করে ফেলব। এটাতো আমার কাজ। ও হেসে হাত নাড়িয়ে বলল, "না আমি হেল্প করে দেই।" আমিও হেসে সায় দিয়ে চেয়ার স্ট্যাক করতে করতে গল্প করতে থাকলাম ওর সাথে।

মি: এমও একটা ডেস্কের কাছে দাড়িয়ে এসাইনমেন্ট পেপারগুলো ফাইলে গুছিয়ে রাখছিলেন। ফাঁকা রুমে শুধু আমি, জে এবং মি: এম। সবকিছু গুছিয়ে রাখছি শেষবেলায়। একটা চেয়ার নিতে নিতে জে আমাকে লাইটলি জিজ্ঞেস করল, "আমার কয়মাসেই ব্রাজিল ছাড়া থাকতে থাকতে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তুমি এত বছর নিজের দেশকে ছেড়ে কি করে আছো? বাংলাদেশকে মিস করো না?" আমার বুকটা ধক করে উঠল প্রশ্নটায়। কেমন তীর ঢুকিয়ে দেওয়া একটা প্রশ্ন! কিভাবে আছি আমি? এতটা বছর কিভাবে আছি আমি? আমি আস্তে করে হাতের চেয়ারটা নামিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় ওকে বললাম, সারাদিন সবার সাথে অনেককিছু ভুলে থাকি জে। কিন্তু রাতগুলো খুব কঠিন হয়। কিছু কিছু রাত ভীষন কান্নাভেজা, নিঃসংগ হয়! খুব অস্থির লাগতে থাকে আমার! এটা বলে দূরে দাড়িয়ে থাকা মি: এমের দিকে চোখ পরল। দেখলাম ভীষন গম্ভীর মুখে, ঠায়ে দাড়িয়ে আমাদের কনভার্সেশন ফলো করছেন। ওনার এত সিরিয়াস চেহারা আমি আগে কখনো দেখিনি। বুঝলাম আমার তীব্র কষ্ট ভেতর থেকে অনুধাবন করতে পারছেন।

উনি আমার দিকে তাকিয়ে নরম গলায় বোঝানোর ভংগিতে বললেন, "একটা ব্যাপার কি জানো? কখনো কখনো আমরা জীবনে বেটার কিছু পাওয়ার আশায় হাতে থাকা বস্তুটিকে ছেড়ে দেই। কিন্তু নতুন জিনিসটি নিয়ে অতিরিক্ত আশা থাকার ফলেই হয়ত এক পর্যায়ে সকল আশা পূরন না হয়ে আশাহত হতে হয়! মনে হয় সবচেয়ে দামী জিনিসটিই হারিয়ে মরিচিকার পেছনে ছুটেছি! কিন্তু পেছনে ফিরে পুরোন জিনিসটির কাছে ফিরে যাওয়ার পথ ততদিনে বন্ধ হয়ে যায়! তাই সামনে এগিয়ে নতুন জিনিসটিকে আকড়ে ধরাই তখন বুদ্ধিমানের কাজ হয়। সেটা না করতে পারলে ভীষন এক শুন্যতা জাপটে ধরে!" ইংলিশে বলা কথাগুলোর অনুবাদ করে আমি কিছুটা হয়ত পাল্টে ফেলেছি। তাই উনি বলার সময় যতোটা সুন্দর মনে হয়েছিল ততটা হয়ত হয়নি। উনি যে কি ভিষন সুন্দর ভাবে কথাগুলো বলেছিলেন! ধীরে ধীরে, পারফেক্ট পজ নিয়ে, রিল্যাক্সড দাড়ানোর ভংগিতে, সহানুভূতিসম্পন্ন চোখে তাকিয়ে! মনে হলো একটা শিল্পকর্ম দেখলাম আমি!

আমি পুরো একটা ঘোরের মধ্যে ওনার সব কথা শুনলাম। ঘোর লাগা অবস্থায় বাকি চেয়ারগুলো জায়গায় রেখে জে, মি: এমের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে লকার থেকে জ্যাকেট, গ্লভস পরে বরফ মারিয়ে বাড়ির দিকে রওয়ানা হলাম। পুরোটা পথ ওনার কথাগুলো ভাঙ্গা রেকর্ডের মতো কানের কাছে বেজে আমার অস্তিত্বকে ভেংঙ্গেচূড়ে দিচ্ছিল। ওনার কথার মানে ছিল বাংলাদেশে জলদিই ফেরা হচ্ছেনা, তাই এখন কানাডায় প্রকৃত সুখ খুঁজে নাও। নয়ত কষ্টের সাগরে পরে যাবে। কি সুন্দর বিশ্লেষন ছিল ওনার পুরো পরিস্থিতির! আমার জন্যে কি ভালো তা রূপক অর্থে বুঝিয়ে দিলেন। কিন্তু পোড়ামন তো বোঝেনা। সেতো পিছেই ছুটে যেতে চায়!

মোট কথা: প্রবাসীদের মধ্যে এমন অনেকেই থাকেন যারা দুমাসের মধ্যেই দেশীয় কালচার এবং দেশকে পুরোপুরি ভুলে যায়। তারা দেশীয় নামটাও চেন্জ করে ফেলে, বাংলাদেশকে ব্যাংলাদেশ বলা শুরু করে দেয়! তবে বেশিরভাগ প্রবাসী ২০ বছর হোক বা ৪০ বছর দেশকে কখনো ভুলতে পারেনা। এরা উন্নত বিশ্বের হাজারটা সুযোগ সুবিধা ভোগ করে কিন্তু বুকে এক তীব্র হাহাকার নিয়ে জীবন কাটায়! অনেকে বাড়িঘর বেঁচে বিদেশে আসে। দীর্ঘ দিন বাইরে থাকার ফলে দেশে আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধবের সাথে যোগাযোগ নাই হয়ে যায়। বারবার ফিরে যেতে চেয়েও বিদেশের সাজানো জীবন থেকে ফিরে আসতে পারেনা। ভয় পায় যে দেশে তো আবারো জীবন নতুন করে গড়তে হবে! লজিকালি দ্যাট ডিসিশান জাস্ট ডাস নট মেক এনি সেন্স! কিন্তু আবেগের তীক্ষ্ণ খোঁচা এই মানুষগুলোকে শান্তিতে থাকতে দেয়না। অনেক প্রবাসী সহ্য করতে না পেরে দেশে ফিরেও যান! সবাই মনে করে পাগল নাকি? অতো উন্নত জীবন ছেড়ে চলে এসেছে? কিন্তু সেই পাগলামীটুকু না করলে যে বেঁচে থাকা দুষ্কর হয়ে যেত সেটা কে বুঝবে?

আমার কথা: এখনো নিজেকে প্রশ্ন করি যদি মা বাবা নিজে না আনতেন আমি কি বিদেশে আসার চেষ্টা করতাম? গল্পের শুরুর সেই সকালটা কি আমার জীবনের সবচেয়ে স্বর্নালী সকাল ছিল না নীলচে বেদনার? অনেকে অনেক কিছু বলবে, দেশের এই অবস্থা সেই অবস্থা! পাগল হয়ে যেতাম বিদেশে আসার জন্যে, এসে কদর করছিনা। কিন্তু আমার মন সজোরে বলে না না না! আমি আবেগী মানুষ, কখনো উন্নত বিশ্বে উন্নত জীবন গড়ার কথা মাথাতেই আসত না! মগজের খোরাক মেটাতে গিয়ে আবেগকে অবহেলা করতে পারতাম না! কে জানে আমার মন ঠিক বলে না ভুল?

আমি বাংলাদেশের মানুষকে ভীষন মিস করি। মানুষ বলতে শুধু আত্মীয়, স্বজন বলছিনা। মানুষ বলতে সেই পরিচিত দোকানদারের কথা বলছি যিনি দেখলেই জিজ্ঞেস করতেন, "মামনী ভালো আছো?" কানাডাতেও জিজ্ঞেস করে "হাও আর ইউ ডুয়িং?" কিন্তু রোবটিক মনে হয়, সেই মামনী ডাকের আন্তরিকতা পাইনা। এখনো চোখে ভাসে, রিকশাওয়ালা মামাটা বারবার বলতেন "আম্মা ওড়নাডা ঠিক করেন, চাকার সাথে আটকাইয়া না যায়!" বান্ধবীদের মারা একদম নিজের মেয়ের মতো স্নেহ দেখাতেন। মফস্বলে এত আন্তরিকতা, ভালোবাসা নিয়ে বড় হয়েছি যে যান্ত্রিকতায় দমবন্ধ লাগে। আমি বেশ ক্রিকেট পাগল। যখন বাংলাদেশ দল ক্রিকেটে যেতে, আমি শূন্য চোখে দেশের মানুষের উল্লাস দেখি অনলাইনে, ভাবি যদি আমিও থাকতাম! আমি ভুলতেই পারিনা কিছু! বৃষ্টিতে শিলা কুড়ানো থেকে রিকশায় চড়া! রাস্তার ধারে দাড়িয়ে ফুচকা খাওয়া থেকে ঘরের তৈরি গরম ভাপা পিঠা! বানিজ্য মেলা থেকে বই মেলা। বৈশাখের রং থেকে থেকে ঈদের তারাবাতি। সবকিছুকে মিস করি সেই প্রথমদিনের মতোই! আবার এটাও ঠিক যে আমি দেশে না থাকাতে খারাপ অনেককিছুও মিস করছি কানাডায় কল্যানে! কানাডা আমাকে নতুন ভাষা শিখিয়েছে, বিশ্বের প্রায় সকল দেশের মানুষের সাথে ওঠাবসার সুযোগ দিয়েছে। কতকিছু শিখেছি আমি এই মাটিতে! দেশটি যে আমাকে অকল্পনীয় এক উন্নত জীবনব্যবস্থা দিয়েছে, সে তো এক অনস্বীকার্য ধ্রুব সত্যি! উফফ! মন মগজের এ যুদ্ধে যেদিকেই যাই হার যে শেষ পর্যন্ত আমারই হবে!

তবে সবকিছুর পরেও আমার এখনো আগের মতো ছন্নছাড়া, অস্থির লাগে কিনা? হ্যা, লাগে। মনে হয় ধুর ছাই! কেন আমি নিজের দেশে থাকতে পারবনা? আমার কেন এটুকু অধিকারও থাকবে না? সব থেকেও যেন কিছুই নেই আমার! এত বছর পরেও বুকের পাজরের মধ্যে থেকে আগত দমবন্ধ সেই হাহাকারটি তাড়াতে পারিনি! বিশ্বের এত দেশের মানুষের ভীড়ে নিষঙ্গ মনের একাকীত্বময় খোঁচা পাগল করে দেয় প্রতিনিয়ত! বিরক্তি, তীব্র বিরক্তি! নিজের ওপরে, নিজের ঠুংকো আবেগের ওপরে। একটু মানিয়ে নিয়ে, মনকে বোঝালে আমার চেয়ে সুখী আর কে হত? নিজের অপারগতায় রাগ জন্মায়। যদি দেশকে মিস না করতাম তবেও মনে হত আমি আবেগহীন পাষান। যেই দেশটা জন্ম দিয়ে ঋনী করল তার জন্যেই মন কাঁদে না? অভিমান, ভীষন অভিমান সেই সকালটার ওপরে যে দেশ ছাড়ার খবর নিয়ে আমার জীবনে এসেছিল! উফফ! কি করি আমি? কোনদিকে যাই? যাই করি, যেদিকেই যাই নিজের ওপরে অসন্তুষ্টির তীক্ষ্ণ যন্ত্রনা বয়ে বেড়াতেই হবে! কত নির্ঘুম রাত যে এমন যায় হা হয়ে সিলিং এর দিকে তাকিয়ে থাকি। দেশে থাকার সময়কার ছোট ছোট আনন্দময় স্মৃতিগুলো জীবন্ত দেখতে পাই! চোখের কোন দিয়ে পানি পরে বালিশ ভিজে যায়!
শুধু আমি না অনেক প্রবাসীরই এমন হয়! মিসেস ডির কথাটা এখনো কানে বাজে, "You are lucky to have both of them!" আচ্ছা আমি কি কোন দেশেরই হতে পেরেছি? এক দেশে শারীরিকভাবে নেই, আরেক দেশে মন টেকে না! অন্যায় করছি যেন দুটো পবিত্র, অসাধারন দেশের প্রতি! মি: এমের কথা ঠিকই ছিল। ভুলে নতুন জিনিসটাকে আকড়ে ধরতে না পারলে ভীষন এক শুন্যতা জাপটে ধরে! এই অন্তহীন শুন্যতার শুরু হলেও শেষ নেই! কোন শেষ নেই! তবে বিদেশি এই মানুষগুলো আমার শুন্যতাকে অনুধাবন করে যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করেছেন প্রতিটি পদে সেই প্রাপ্তিতেই অনেককিছু ভুলে থাকতে পারি। দুটো দেশের মানুষই ভীষনরকম আন্তরিকতা, মমতার চাদরে সর্বদা আমাকে জড়িয়ে রেখেছে, রাখছে! হয়ত সেকারনেই সকল অতৃপ্তি একপাশে সরিয়ে হেসে উঠতে পারি আমি!

শেষ কথা: আজকের পর্বটির নাম আসলেই বুঝতে পারছিলাম না। কেননা এটা কানাডিয়ান জীবনব্যবস্থার কোন বিশেষ দিক নিয়ে ছিলই না। আমার মনের কিছু প্রবাসীয় দ্বন্দ নিয়ে ছিল। সেই অন্তহীন দ্বন্দকে এক লাইনে সামারাইজ করে টাইটেলে বসানো আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। নতুন পেন আনলে সেটা কিছু সময় মসৃণ ভাবে লেখেনা, এজন্যে খাতার ওপরে হিজিবিজি এঁকে নরম করা হয়। আজ আমি যেন কিবোর্ড ব্যবহার করে হিজিবিজি কিছু লিখে নিজের দ্বন্দকে তুলে এনেছি। এলোমেলো এই পর্বটা লিখতে গিয়ে কত গ্যালন চোখের পানি খরচ হয়েছে তা আর নাইবা বললাম। তবে ভালো লাগে আপনাদের সাথে এসব শেয়ার করে। পর্ব বিশ পর্যন্ত আপনাদের ভীষন রকমের অনুপ্রেরনায় টেনেছি। সাধারন আমার সাধারন গল্পগুলো যারা আগ্রহ নিয়ে পড়েন তাদের কাছে আমি ভীষনভাবে কৃতজ্ঞ! আশা করি সামনেও সাথেই থাকবেন।

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৪০

সুলতানা সালমা বলেছেন: ভুলে নতুন জিনিসটাকে আকড়ে ধরতে না পারলে ভীষন এক শুন্যতা জাপটে ধরে! এই অন্তহীন শুন্যতার শুরু হলেও শেষ নেই! কোন শেষ নেই! ওহহ,মন খারাপ করা পোস্ট! :|

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমাকে মাফ করে দেবেন আপু। মন খারাপ করার উদ্দেশ্য ছিলনা। তবে এ যে আমার জীবনের গল্প! যা প্রচন্ড সুখ থেকে প্রচন্ড দুঃখ সবকিছু নিয়ে যাপিত হয়েছে, হচ্ছে! এজন্যেই এমন লেখা।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সর্বদা।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:১৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্তব্ধ হয়ে বসে আছি!!

অনুভব গুলো যেন থির দিয়ে আছে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

প্রথম বাবার কর্মস্থলে শিফট হবার সময় সব হারােনার বেদনাটা যেন ঝলকে চাকুর মতো খোঁচা দিয়ে গেল!!!

আবার পড়তে হবে।

অসাধারন এক অনুভবের মাঝে যেন ডুবে আছি--------

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমার সখা যেহেতু কবি তাই বেশ আবেগসম্পন্ন। তাকে এই লেখাটা তাই আবেগী করে দেবে হয়ত একটু বেশিই! আমাকে মাফ করে দেবেন চাকুর খোঁচা দেবার উদ্দেশ্য ছিলনা। মনকে বেদনার নীল রং এ রাঙাতেও চাইনি। নিজের দুঃখ সবার সাথে শেয়ার করে হালকা হতে চেয়েছিলাম, কিন্তু যখনই কেউ লেখাটা পড়বে, তার মনও যে দুঃখী হয়ে যাবে স্বার্থপর মন সেটা ভাবেনি! আই এম সরি!

পাঠ ও সুন্দর আবেগপ্রবন মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
সখা আমার অনেক ভালো থাকুক, হাসতে থাকুক সর্বদা।

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:২৪

শুভ_ঢাকা বলেছেন: বেশ ভালই লিখেছে। আপনার লিখার স্টাইল হচ্ছে সহজ করে লিখা। আপনার লিখা পড়তে মাথায় stress দিতে হয় না। লম্বা সোফায় আরাম করে শুয়ে মোবাইল দিয়ে পড়লাম। computer এর hard disc আর laptop এর mother board ভোগে গেছে। এখন মোবাইল ই ভরসা। any way, লিখাতে যে শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করেছেন, তা বেশ ভাল মানেরই ছিল। তবে সব অতি উচ্চ মার্গের বলবো না। তবে vulnerability, weird, baby, amour এই শব্দগুলো ইংরেজী (বাংলা উচ্চারনে) লিখায় আমার কাছে ভাল লেগেছে। Student councillor এর চেহারার এবং অফিসের বর্ননা ভাল লেগেছে। প্রবাসী বাংগালীদের মনের মধ্যে যে দেশ ও প্রবাস জীবন নিয়ে একটা দ্বন্দের মধ্যে থাকে, সেটা ভালই বলেছেন।

আপনার লিখা পড়ে পাঠক আনন্দিত।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:২২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার বিশ্লেষনধর্মী মন্তব্যে প্রথমেই ধন্যবাদ। কষ্ট করে মোবাইলে এতকিছু লিখেছেন সেজন্যে কৃতজ্ঞতা।

শব্দচয়ন সহজ সরল হবার কারন এটি সাধারন আমার সাধারন জীবনকাহিনী। আমার সাধারন ধ্যান, জ্ঞান, ভাবনা, চিন্তা সরল, সহজ ভাষায় লেখাই আমি বেশি গ্রহনযোগ্য বোধ করেছি। আপনার কাছে এই সাধারন, সরল লেখনীই সুখপাঠ্য বলে বিবেচিত হয়েছে বলে আমি অনেক ঋনী।

সর্বদা ভালো থাকুন।
শুভকামনা শুভসাহেব!

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০৩

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: প্রথমেই বলছি খুব সুন্দর উপস্থাপনা।
যে প্রকৃতপক্ষে দেশ কে ভালবাসে সে পৃথিবীর কোথাও গিয়ে টিকতে পারেনা।
আঘাতের প্রথম পর্যায়ে অনেক কিছুই টের পাওয়া যায়না, কিন্তু ব্যথাটা পরে টের পাওয়া যায়। মেয়েটিও পরে বুঝেছিল নিজের দেশের মর্ম।
আসলেই তো ভাল কিছু পাবার আশায় হাতের মুঠোর জিনিস টিকে আমরা অনেক সময়ই ফেলে দিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়ি।
এক কথায় চমৎকার লিখেছেন।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ আপুু! এ সিরিজে বোধহয় প্রথম আপনাকে পেলাম। সুস্বাগতম!

আঘাতের প্রথম পর্যায়ে অনেক কিছুই টের পাওয়া যায়না, কিন্তু ব্যথাটা পরে টের পাওয়া যায়।
খাঁটি কথা বলেছেন। একদম ষোল আনা খাঁটি কথা। আমার সাথেও তাই হয়েছিল। হঠাৎ বলা নেই কওয়া নেই দমবন্ধ হয়ে আসতে লাগল অজানা দুঃখে! উফফ! কি দিন গিয়েছে। আইরোনিক্যালি, বিদেশীদের সাহায্যেই আমি দেশ ছাড়ার তীব্র কষ্টটা সামলে উঠেছিলাম।

পাঠ, মন্তব্য, প্রশংসায় অনেক ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৫৮

নিওফাইট নিটোল বলেছেন: "পাওয়া না-পাওয়ার হিসাবে অসমাপ্ত দ্বন্দ্ব"......অামি হলে বোধহয় এরকম কোন শিরোনামই দিতাম ;)

অামি যদি এডভেঞ্চারের স্বাদ নিতে চাই, তাহলে ঘরের বাইরে সব ছেড়ে কদম ফেলতেই হবে.....প্রথম যখন মফস্বল ছেড়ে জ্ঞানের ভান্ডার বাড়াতে ঢাকায় কলেজে অাসি- মা'র সেকি কান্না....শাড়ি দিয়ে চোখ চেপে সেই ভারী কান্না পরে অামিও করেছিলাম- হোস্টেলের বাথরুমে বসে......অদ্ভুত ব্যাপার- সেটাও পুরো ফ্যামিলির জন্য না- ঢাকায় মাঝে মধ্যে অামার সাথে দেখা করতে অাসা বাবার সাথে একবার শুধু সময়মত দেখা করতে না পারার অজানা অাশঙ্কায়- প্রাণভরে কষ্টগুলো ঝেড়ে ফেলেছিলাম ঐ সময়.....বাথরুমে বসেই!!

বাবার বদলির সুবাদে অনেক জায়গার ফ্রেন্ড পেয়েছি দেশের ভিতরেই......হুম, পুরনো জিনিসে একধরনের পরম নির্ভরতা-বিশ্বস্ততা চলে অাসে, কিন্তু নতুনকে চেনার এডভেঞ্চারও দুর্দান্ত.....ওই অতটুকুন বয়সেও জানতাম, চোখের জলে ভিজে মফস্বলের যেই ভাড়া বাসাটা ছেড়ে যাচ্ছি- সারা জীবনে হয়তো কখনোই অার পা ফেলতে অাসবো না- কিন্তু সেই অসীম কষ্টের মাঝেও এতদিনের পার করে অাসা সুন্দর অতীতের জন্য খানিকটা সুখবোধও হত......কী জানি, তখন যতটা অাঘাত পেতাম একেকবারের বদলিতে, হয়তো তা না হলে খুব দীর্ঘ সময় ওখানে পড়ে থাকলে চাপা একটা বিরক্তিও চলে অাসতে পারত :|

তাই সামনে এগিয়ে নতুন জিনিসটিকে আঁকড়ে ধরাই তখন বুদ্ধিমানের কাজ হয়
মি: এম রিয়েলি পোড় খাওয়া মানুষ বলে মনে হয়......কারণ এই অপূর্ব সুন্দর সত্যিটা ফেইস না করলে এতটা কনভিন্সিং হয়ে বলা যায় না.....দেরিতে হলেও অামি জিনিসটা বুঝতে পেরেছি এবং সে সময়টাও পার করছি......সবচেয়ে সুন্দর সৌভাগ্যটা সবচেয়ে অাপন কিছুকেই স্যাক্রিফাইস হিসেবে চায়.....অতীত জীবনে অাসেই, তো ক্ষতি কী সেই অতীতটা যদি সোনালী অতীত হয়- হাজারবার ভাবলেও সোনালী সময়গুলো কিন্তু ফিকে হবে না- অথচ নি:শব্দ কান্নায় ভবিষ্যতে সেগুলো মনের ভেতরে অারো কাল্পনিক ডালপালা ছড়াবে.......খারাপ অতীতের বেলায় যেটা কখনোই সম্ভব না!!!

ভারী বর্ষায় ভরা পুকুরে উদ্দাম দাপাদাপির মজা অার নি:স্তব্ধ সকালে ঝরা তুষারের সাগরের স্থিরতা- দু'টোই অালাদা, অসাধারণ.....সুযোগ হলে অামি দু'টোই পেতে টাই!!

এখনো নিজেকে প্রশ্ন করি যদি মা বাবা নিজে না আনতেন আমি কি বিদেশে আসার চেষ্টা করতাম?
এটার উত্তর বোধকরি কখনোই পাবেন না......খুব অল্প সময়েই বোধের স্তরটা পুরো পার হবার অাগেই মাটির মায়া ত্যাগ করছেন- এই সময়ে এসে মায়া অতটা বর্ণিল না-ও থাকতে পারত.....কি বলেন? :P

হাসছিলামও মুচকি মুচকি কেননা পরিবেশটা খুবই হিউমারাস ছিল
এই অভাগা বান্দার এরকম দারুন কিছু চেহারা দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল ভার্সিটিতে গিয়ে......নানা পোংটামির সুবাদে এইরকম কিছু অসামান্য মুহূর্ত রসিয়ে উপভোগের করেছিলাম- লজ্জায় লাল কাকে বলে, না দেখলে জানতামই না!! ......তবে সব ঐ পর্যন্তই শ্যাষ.....অার কিছুই জোটে নাই কপালে :``>>

*************************
রংগিন- রঙিন/রঙ্গিন; নিঃসংগ- নিষঙ্গ; অপারগত্বতে- অপারগতায় (এই অাজিব বানানটা অাপনে কই পাইলেন জানাইয়েন তো.....অারেকটু হইলে তো ভিরমি খাইয়া চেয়ার থিকা পর্তে নিছিলাম...."শুভ_ঢাকা"-র মত অারাম করেই পর্তেছিলাম কিনা :D )

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:২৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ মাস্টার সাহেব!! ভালো আছেন আশা করি।

আরেহ মাস্টারসাহেব, আপনি যেখান থেকে আজব কে আজিব লেখা শিখেছেন, একদম সেখান থেকেই এমন বানান পেয়েছি আমি। ;)
আবারো বানান ঠিক করে দেবার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমার মাথাতেও অনেক টাইটেল এসেছিল, কিন্তু কোনটাই পছন্দ হয়নি। কিছু কিছু জিনিস সামারাইজ না করাই হয়ত ভালো!

তখন যতটা অাঘাত পেতাম একেকবারের বদলিতে, হয়তো তা না হলে খুব দীর্ঘ সময় ওখানে পড়ে থাকলে চাপা একটা বিরক্তিও চলে অাসতে পারত
আমি এটা বেশ ছোটবেলাতেই সামলে উঠেছিলাম। বাবার বদলির কষ্টটা। নার্সারি থেকে ১ এ এক জায়গায় ছিলাম। হঠাৎ দেখি কি আমার অন্য জায়গায় যাচ্ছি! কিছু বুঝতে না পেরে কেঁদেছিলাম। দ্যাটস দা ফার্স্ট এন্ড লাস্ট টাইম। এরপর থেকে আবেগহীন হয়ে গেলাম এট লিস্ট এই একটা ব্যাপারে। বদলির খবরে বাকি বন্ধুরা কষ্ট পেত, যে ওদের ছেড়ে চলে যাব। কিন্তু প্রচন্ড অভ্যস্ত আমি কিছু অনুভব করতে পারতাম না। এক দু সেকেন্ড মন একটু ভারী হত, কিন্তু পলকেই স্বাভাবিক! বরং ভালোই লাগত, নতুন নতুন জায়গায় নতুন নতুন বাড়ি, স্কুল, বন্ধু ইত্যাদি! কাইন্ডা ফেল্ট লাইক এন এডভেঞ্চার!

মি: এম রিয়েলি পোড় খাওয়া মানুষ বলে মনে হয়......কারণ এই অপূর্ব সুন্দর সত্যিটা ফেইস না করলে এতটা কনভিন্সিং হয়ে বলা যায় না হাজারবার ভাবলেও সোনালী সময়গুলো কিন্তু ফিকে হবে না- অথচ নি:শব্দ কান্নায় ভবিষ্যতে সেগুলো মনের ভেতরে অারো কাল্পনিক ডালপালা ছড়াবে.......খারাপ অতীতের বেলায় যেটা কখনোই সম্ভব না!!!
মি: এমের জীবনবোধ এত উচ্চপর্যায়ের ছিল যে আমি ভাষায় বর্ণনা করতে পারবনা। আমার পরম সৌভাগ্য ছিল ওনার মতো মানুষের সংস্পর্শে আসা।
আপনার বাকি কথাগুলো মারাত্নক পরিমানে সাবলীল, পরিপক্ক। আপনার জীবনবোধও আমাকে অনেক মুগ্ধ করে। কি ভীষন পরিষ্কারভাবে সবকিছু ব্যাখ্যা করতে পারেন আপনি! জীবনে অনেককিছু দেখেছেন, নয়ত আপনার কথামতোই এতটা কনভিন্সড হয়ে বলা যায় না!

ভারী বর্ষায় ভরা পুকুরে উদ্দাম দাপাদাপির মজা অার নি:স্তব্ধ সকালে ঝরা তুষারের সাগরের স্থিরতা- দু'টোই অালাদা, অসাধারণ.....সুযোগ হলে অামি দু'টোই পেতে টাই!!
আপনি দুটো না এমন হাজারো ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ পাবেন সে কামনাই করি।

এটার উত্তর বোধকরি কখনোই পাবেন না......খুব অল্প সময়েই বোধের স্তরটা পুরো পার হবার অাগেই মাটির মায়া ত্যাগ করছেন- এই সময়ে এসে মায়া অতটা বর্ণিল না-ও থাকতে পারত.....কি বলেন?
কি জানি! সহমত, দ্বিমত কিছুই পোষন করতে পারছিনা আপনার কথায়। জানিনা আসলেই! আবার প্রচন্ডভাবে জানিও!

লজ্জায় লাল কাকে বলে, না দেখলে জানতামই না!! ......তবে সব ঐ পর্যন্তই শ্যাষ.....অার কিছুই জোটে নাই কপালে
হাহা! হুমম যতোই লুকান জাতি ঠিকই বুঝে নেবে কতকি জুটেছিল আপনার কপালে! :D

আপনি আমার কতটা প্রিয় পাঠক তাতো আর নতুন করে বলতে হবেনা। আমি ভীষনভাব ধন্য আপনার মতো পাঠক পেয়ে। আরেকটি অসাধারন সুন্দর মন্তব্যে কৃতজ্ঞ করলেন আবারো!
মাস্টারসাহেব সর্বদা ভালো থাকুক, সুখে থাকুক।

৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৩৯

বিপ্লব06 বলেছেন: আর মিস্টার এম এঁর কথার সাথে পুরোপুরি একমত।

"আচ্ছা আমি কি কোন দেশেরই হতে পেরেছি?" এই ফিলিংটা ভয়াবহ, মাঝেমাঝেই কামড়াইতে আসবে। এমনকি বছর দশেক পরেও! স্পেশালি যখন আপাতদৃষ্টিতে কোন কারণ ছাড়াই নির্ঘুম রাত কাটবে।

আর এই ব্যাপারগুলা নিয়ে কারো সাথে ইন-পারসন ডিসকাস করাও যায় না। দুনিয়াটা বড়ই আজিব!

ভালো থাকবেন!

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৫২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুম মিস্টার এমের সব কথাই এখনো মন, মগজে ভালোমত আটকে আছে। কত শিক্ষনীয় ছিল ওনার প্রতিটি বানী, উপদেশ!

ঠিকই বলেছেন। দশ বছর তো কিছুই না বিদেশের অক্সিজেন ধার করে যতোদিন বাঁচব ততদিন এই শুন্যতা অনুভব করব! এর শুরু থাকলেও কোন শেষ যে নেই!

হ্যা একদম। এগুলো কাউকে বলা যায়না। নিজের মধ্যে রেখে দিতে হয় এমনভাবে যেন দেশ ছাড়াটা কোন কষ্টের ব্যাপারই না! আর বলতে গেলেও কিইবা বলবেন? কোন শব্দ যে কম পরে যায় এমন ব্যাথা বর্ণনায়। আর নিজের চয়েসে দেশ ছাড়ার পরে অনেকের কাছে এসব কথা ন্যাকামিপূর্ণ, লোক দেখানো আবেগও মনে হয় বৈকি! এজন্যে নিজের মধ্যে দমবন্ধ হয়ে জ্বলে পুড়ে যেতে হয়!

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন!

৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৪৭

প্রামানিক বলেছেন: আপনার প্রত্যেকটা পর্বই ভালো লাগে। এ পর্বও মনোযোগসহকারে পড়লাম। ভালো লাগল। ধন্যবাদ

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনি প্রতিটি পর্ব পছন্দ করেছেন বলে আমি কৃতজ্ঞ। পাঠক পছন্দ করলেই লেখকের লেখা স্বার্থকতা পায়।
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সর্বদা!

৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার যে কী হবে! আমার স্ত্রী বিদেশে যাবার জন্যে জোর করছে। কিন্তু আমি বাংলাদেশ ছেড়ে যাবার কথা ভাবতেই পারি না। যদি কখনও চলেই যাই, আমার অবস্থা হয়তো বা আপনার চেয়েও খারাপ হবে। এ বাসা থেকে ও বাসায় এক রাতের জন্যে গেলেই আমার ঘুম হয় না, আর বিদেশে থিতু হওয়া! ভাবতেই পারি না।

কানাডার স্টুডেন্ট কাউন্সিলরের কাজটা খুব পছন্দ হয়েছে। আমার সেই সময়ে কত বিচিত্র সমস্যা ছিলো! একজন গার্ডিয়ান এ্যাঞ্জেল থাকলে কত উপকারই না হতো!

শুভ দিন।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভাবী যখন চাচ্ছেন হয়ত যেতেই হবে হাসান ভাই। বউয়ের কথা অমান্যি করার সাহস তো বড় বড় মহারথি, মহাপুরুষেরও হয়না! :)
যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন সে দোয়া মন থেকে করি। আমার চেয়ে খারাপ তো দূরের আমার মতো অবস্থাও যেন আপনার না হয়!
হ্যা আসলেই সেই কাউন্সিলার ছাড়া আমার যে কি হত! উনি না থাকলে নিজেকে সামলাতেই পারতাম না কোনভাবে! আল্লাহ ওনাকে সর্বদা সুখে রাখুন, ভালো রাখুন।

এখানে রাত। তবে আপনাকে শুভ দিন!
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা রাশি রাশি!

৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩২

পথহারা মানব বলেছেন: র্বাক....তবুও কিছু বলতে হয়!!

বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ সেমিস্টারে একদিন এক টিচার এসে বলল, এয়ারপোর্টে তোমাদের এক বড় ভাইয়ের সাথে দেখা যে কিনা M.S না করেই দেশে ফিরে আসছে।
জানতে চাইলাম কেন স্যার?

সে নাকি সন্ধ্যা বেলা চায়ের দোকানে বন্ধুদের সাথে আড্ডা মিস করে!!!
মনে মনে বললাম, শালা পাগল নাকি?
ভাবতে লাগলাম ইস! আমি যদি একবারের জন্য যেতে পারতাম আর কখনও ফিরে আসতাম না। এই দেশে এত্ত এত্ত সমস্যা..এখানে মানুষ বাস করে।

বিধাতা ভুলটা ভাঙ্গতে বেশি সময় দিলেন না!
যেদিন ইমগ্রেশনের কাউন্টারটা পার হলাম মনে হল কেউ মনে হয় আমার শরীর থেকে কিছু একটা রেখে দিল :``>>
দেশে আসার পর মনে হল আহ! কি সুন্দর ট্রাফিক জ্যাম!!! (অনেক হ্য়ত পাগল ভাবতে পারেন)

আমি অনেক বাংলাদেশীর সাথে কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম...দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম দেশের জন্য তাদের পাগলামী। পরের দিন ভোরে অফিস, ক্লাস জেনেও কিভাবে সারারাত বসে ক্রিকেট খেলা দেখতে পারে!! কিছুটা অনুভব করতে পেরেছিলাম কিভাবে প্রবাসে থাকা একজন মানুষের মন দেশের জন্য ব্যাকুল থাকতে পারে!!

ট্রানজিটের সময় এয়ারপোর্টে বসে দেশে ফিরত আসা কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কেন দেশে ফিরে যাচ্ছেন? দেশে গিয়ে কি করবেন?
যা বলল তাতে আবারও বাকরুদ্ধ হলাম! অশ্রু ধরে রাখতে পারলাম না!

ভাই দরকার হলে কামলা দিমু, রিকশা চালায়া খামু তবুও আর বিদেশে থাকতে বইলেন না..!!

বোন ইউ আর লাকি এনাফ যে তুমি তোমার ফ্যামিলির সাথে আছ! তোমার এই লেখাটা অনেক প্রবাসীকেই কাঁদাবে, যদিও তুমিও অনেক কেঁদেছ। কি আর করা..দগ্ধ হৃদয়ের রক্তক্ষরনতো কান্নাই!

জানিনা আর কতদিন এই দেশের আলো, বাতাস নেওয়ার সুযোগ পাব!! বাস্তব বড় নির্মম!!!
সশ্রদ্ধ সালাম অনেক অনেক ভালবাসা যারা এই দেশের জন্য সমস্তকিছুর মায়া ছেড়ে প্রবাসে জীবন কাটাচ্ছে।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৫১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভাইয়ায়ায়া!! আপনাকে দেখে ভীষন খুশি হয়েছি। কিছু সময়ের জন্যে না পেয়েই মিস করতে শুরু করেছিলাম!

লেখার সময় তো কেঁদেছিই, যতোবার এডিট করতে গিয়ে পড়েছি আবারো চোখ ভিজে গিয়েছে। আপনার মন্তব্যটা পরে পোড়াচোখ আবারো....

হ্যা আসলেই, মধ্যরাত পর্যন্ত না ঘুমিয়ে ক্রিকেট ম্যাচ দেখে, বাংলাদেশ বাংলাদেশ চিৎকার করে গলা ফাটিয়ে পরের দিন আবারো কর্মব্যস্ত দিন কাটানো! মনেই হয়না যে কোন কষ্ট করছি। মনে হয় এই তো স্বাভাবিক!

ভাই দরকার হলে কামলা দিমু, রিকশা চালায়া খামু তবুও আর বিদেশে থাকতে বইলেন না..!!
অনেক প্রবাসিই এভাবে ভাবেন! অনেক সম্মান তাদের এই ভাবনার প্রতি।

আমি এয়ারপোর্টের স্মৃতি একদিন শেয়ার করব ডিটেইলে, আপনার সাথে মিল আছে এটুকু বলে রাখি এখন।

বোন ইউ আর লাকি এনাফ যে তুমি তোমার ফ্যামিলির সাথে আছ!
হুম ১০০% ঠিক বলেছেন। যারা পরিবার ছাড়া থাকে তারা কি করে বাঁচেন তাই ভাবি!

যেসকল বাংলাদেশী দেশে বিদেশে নিজ নিজ গুনে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করে যাচ্ছে তাদেরকে শতকোটি সালাম!

পাঠ এবং এত সুন্দর মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাইটা আমার সর্বদা ভালো থাকুক, বোনের এই দোয়া!

১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:১১

অগ্নিবেশ বলেছেন: আপনারা কেন যে এত ভাবেন, বুঝি না, যেইদেশে যাবেন সেই দেশের লোকদের ধরে ধরে বন্ধু পাতাইবেন, নতুন আসবে তাদের হেল্প করবেন, সপ্তাহে সপ্তাহে ইভেন্ট করবেন, আনন্দ করবেন, গান করবেন, নাচ করবেন, বাংলাদেশ বানাইয়ে ফেলবেন, দলে লোক বাড়তে বাড়তে যখন দুই পাচশ হবে, তখন টের পাইবেন একাকিত্ব কারে কয়। হালায় এখন একটু ঘুমানোর টাইম পাইনা, ইভেন্টের ঠেলায়, বিদেশে ১৪ বছর। পৃথিবীর সব দেশই আমার দেশ, আমার পৃথিবী, সব ভালো লোকই আমার বন্ধু। এইহানে কিয়ের দুঃখ বুঝলাম না। খাবার দাবার নিয়ে সমস্যা হলে নিজে রান্না করবেন, শিখে গেলে আর কিছু লাগে নাকি? হাড়ি পাতিল আর সংগীত নিয়ে নদীর পাড়ে গেলেই হল। ভাত ছড়াইলে কাকের অভাব হয় না। বনভোজনে মাইনষের অভাব হয় না, কি দেশে কি বিদেশে, দেশী ভাই নাই এমন দেশ আছে নাকি?

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:২৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি যে এরিয়ায় থাকি সেখানে বাংলাদেশী কম। বিশেষ করে আমার ভার্সিটি ডিপার্টমেন্টে কোন বাংলাদেশী নেই। আর আমিতো বলেছিই দোকানদার, রিকশাওয়ালার আন্তরিকতাও মিস করি। সেটা বিদেশে কিভাবে পাব বলুন? হুম বলতে পারেন এসব আবেগের কোন মানে হয়না। দেশে থাকলে এভাবে ভাবতামও না। বিদেশে বসে দরদ দেখাচ্ছি। হয়ত ঠিক হয়ত ভুল কে জানে!

আর আমার কাছে একটু পরে পরে বাংলাদেশীদের সাথে পার্টি করা, হৈ হট্টগোলই বাংলাদেশ না। নানুর কাঁধে মাথা রেখে শান্ত হয়ে টিভি দেখা, নানীর সাথে খিলখিল করে হাসতে হাসতে লুডু খেলা। কাজিনদের সাথে রাজ্যের যতো গল্প করা! রিকশায় চড়া, বৃষ্টিতে শিলা কুড়ানো, দেশের মাটিতে দাড়িয়ে ক্রিকেট দেখা। উৎসবের প্রতিটি রং মেখে সবার সাথে মিশে যাওয়া! এসব কোন কাক তো না যে ভাত ছিটিয়ে পাব! মানছি আমি সংকীর্নমনা। আপনার মতো করে ভাবতে পারিনা।

আপনার ভাবনায় মুগ্ধ হয়েছি। পুরো দুনিয়াকে নিজের দেশ, আপন ভাবেন। বিশ্বায়নের যুগকে আপনার মতো মানুষরাই এগিয়ে নিয়ে যাবেন। এতো সুন্দর ভাবনায় সম্মান প্রদর্শন করছি।
পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
সর্বদা ভালো থাকুন!

১১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: আপনি এক রকম ভাবেন আমি অন্যরকম ভাবি, মাঝে মাঝে কোনটা ঠিক কোনটা বেঠিক বুঝে উঠতে পারি না, আর এখন বুঝতেও চাই না। সবাই তার মত ভালো থাকলেই হল। শুধু বুঝি বাগানে অনেক ফুল, সবাই এক এক দিক দিয়ে সুন্দর। তাই আফ্রিকা বা পাহাড়ের উর্ধাংগ অনাবৃত বুড়িমাও ভালো লাগে। ভালো লাগে সিন্নি, পান্তাভাত, রথের মেলার ধুলোয় পড়ে থাকা বাতাসা।
আপনি এমনিতে খুব ভালো মনের মানুষ। শুধু পরিবারকে একটু বড় করলেই আরও অনেক আনন্দ পাবেন।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমার পরিবার অনেক বড়। বিশ্বের প্রায় সব দেশের মানুষের সাথে আমার বন্ধুত্ব। পর্বগুলোতে দেখুন কিভাবে অবলীলায় সবার সাথে কথা বলি! আই হ্যাভ ব্লেন্ডেড ইন ওয়েল। আফ্রিকা বা পাহাড়ের উর্ধাংগ অনাবৃত বুড়িমা আমারও ভালো লাগতে পারে। কিন্তু পান্তাভাত, রথের মেলার ধুলোয় পড়ে থাকা বাতাসা যে পাইনা! ওগুলোর সাথে যে আমার প্রানের সম্পর্ক! কি বোঝাই? কাকে বোঝাই!

আপনি এমনিতে খুব ভালো মনের মানুষ।
এমনভাবে বললেন যেন কতদিন ধরে চেনেন আমায়! ধন্যবাদ।

আপনার কথাই রিপিট করি। সবাই তার মত ভালো থাকলেই হল। বাগানে অনেক ফুল, সবাই এক এক দিক দিয়ে সুন্দর। তীব্রভাবে একমত এই কথাগুলোর সাথে।

আপনি নিজের মতো করে অনেক ভালো থাকবেন সে দোয়াই করি।
শুভকামনা রাশি রাশি!

১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: পোড়ামন.. দারুণ একটা শব্দ ব্যবহার করেছেনঃ

//পুরোটা পথ ওনার কথাগুলো ভাঙ্গা রেকর্ডের মতো কানের কাছে বেজে আমার অস্তিত্বকে ভেংঙ্গেচূড়ে দিচ্ছিল। ওনার কথার মানে ছিল বাংলাদেশে জলদিই ফেরা হচ্ছেনা, তাই এখন কানাডায় প্রকৃত সুখ খুঁজে নাও। নয়ত কষ্টের সাগরে পরে যাবে। কি সুন্দর বিশ্লেষন ছিল ওনার পুরো পরিস্থিতির! আমার জন্যে কি ভালো তা রূপক অর্থে বুঝিয়ে দিলেন। কিন্তু পোড়ামন তো বোঝেনা। সেতো পিছেই ছুটে যেতে চায়!//

//অনেকে অনেক কিছু বলবে, দেশের এই অবস্থা সেই অবস্থা! পাগল হয়ে যেতাম বিদেশে আসার জন্যে, এসে কদর করছিনা। কিন্তু আমার মন সজোরে বলে না না না! আমি আবেগী মানুষ, কখনো উন্নত বিশ্বে উন্নত জীবন গড়ার কথা মাথাতেই আসত না! মগজের খোরাক মেটাতে গিয়ে আবেগকে অবহেলা করতে পারতাম না! কে জানে আমার মন ঠিক বলে না ভুল?// -- কোন যেন আপনার জন্য খুব মায়া হচ্ছে। আপনি দেশকে ভুলে গেলে, যেমন অন্যরা ভুলে যায়, আপনার প্রতি সহানুভূতি জাগত না। আবার দেশের কথা ভেবে এতো কষ্ট পাচ্ছেন দেখে ইচ্ছে করছে, একটা যাদু দিয়ে আপনার মনে বাংলাদেশ সম্বন্ধে একটা বিরূপ মনোভাব তৈরী করি।

//এলোমেলো এই পর্বটা লিখতে গিয়ে কত গ্যালন চোখের পানি খরচ হয়েছে তা আর নাইবা বললাম।// - আপনার খরচ করা কয়েক গ্যালন চোখের পানি কারো কারো চোখকে একটু হলেও সজল করেছে !!!

ভাল থাকুন। সবসময়। দু'টি দেশকেই আপন করে !!!



৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নারে ভাই এমন কোন যাদু তো নেই যা আমার মনে বাংলাদেশকে নিয়ে বিরূপ মনোভাব তৈরী করবে! এতদূরে বসে অদেখা আমার জন্যে মায়া অনুভব করে কৃতজ্ঞ করেছেন, ঋনী করেছেন!

আপনার শেষ কামনাটি পূরণ যেন করতে পারি।

পাঠ ও অসাধারন সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।
পরিবার পরিজন নিয়ে সর্বদা ভালো থাকুন।

১৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

এম এ মুক্তাদির বলেছেন:





১৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রবাসে দেশপ্রেম: অন্তরালে অন্ত:ক্ষরন

আবার পড়লাম।
অনুভব করলাম। এরপর উপরের শিরোনামটাই মনে পড়ল :)

ভাবুক মানুসদের নিয়ে এই কষ্ট। সবকিছূ তীব্র ভাবেই অনুভব করে। তারচে আটপৌড়ে সাধারণ মানুষেরাই বেশি সূখি হয়;)
চলমান সময়ের সাথে গা ভাসিয়ে ভেসে চলে। অন্ত: অনুভব হীন।
তারা কেবলই সমসাময়িক বর্তমানে থাকে, খায়, চলেও যায়! অবশিষ্ট কিছূ থাকে না। তারা খোঁজেও না!
আর ভাবুকরা কষ্ট পায়, তীব্র অন্ত দহনে জ্বলে... এরপর এমন সুন্দর এক লেখনি দিয়ে অনন্তকালের পথে নিজের জায়গা করে নেয় :)

শুভেচ্ছা সখি অধমেরে সখা বলে অনন্ত পথে কিছু বলার বিশাল স্পেস রাখায় :)






৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সখা, একটা মজার জিনিস খেয়াল করেছেন? আমার খুব সাদামাটা লেখাগুলোর কমেন্ট আপনি অসাধারন সব শব্দশৈলিতে করেন। আর আমি আপনার কঠিন কঠিন শব্দশৈলীময় পোষ্টে সরল কিছু কথামালা রেখে আসি! হাহা। ও ম্যান উই আর টু ভেরি ডিফারেন্ট পিপল! কিন্তু একে অপরের পোষ্টে ইন্টারেস্ট খুঁজে পাই! ফানি হেই?

যাই হোক, আপনি আবারো পড়েছেন এজন্যে অনেক ধন্যবাদ। আজ ভালো প্রতিশোধ নিয়েছি। আপনার কঠিন শব্দের কবিতাগুলো আমাকে বেশ কবার পড়ে বুঝতে হয়। যদিও সেগুলো সুখপাঠ্য বলে মজা করেই পড়তে পারি।

আমিও তো আটপৌড়ে সাধারণ মানুষ! তবে আমি কেন.....

না সখী অধমকে তো সখা বলিয়া ডাকে না, যোগ্যতা বিবেচনা করিয়া জ্ঞানী, আন্তরিক, ভালো মানুষটিকেই বাছিয়া নিয়াছে! :)

আবারো ঘুরে এসেছেন সেজন্যে ধন্যবাদ। আরেকবার আসলে দানে দানে তিন দান হবে। ;) কিডিং।

পোষ্ট অনেকের মন খারাপ করে দিচ্ছে, আপনারও। তাই মজার কমেন্ট করলাম। আর ভারী কথা ভালো লাগছিল না।
ভালো থাকুন, হাসতে থাকুন।

১৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

ঢে্উটিন বলেছেন: সাথে থাকলাম।

শুধু লিখে যান। আপন কারো থেকে দুরে গেলেই বোঝা যায়, সে কতটা আপন।

আপনার কষ্ট উপলব্ধি করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। মাসের শেষের দিকে বলে অনেক ব্যাস্ততা, এর জন্যে বিস্তারিত কমেন্ট করতে পারলাম না।

ভালো থাকবেন।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ব্যস্ততা একপাশে কিছু সময়ের জন্যে সরিয়ে কমেন্ট করেছেন বলে অনেক ধন্যবাদ।

আপন কারো থেকে দুরে গেলেই বোঝা যায়, সে কতটা আপন।
হ্যা আসলেই ঠিক বলেছেন।

সাথে থাকুন, লিখতে থাকব।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভকামনা জানবেন।

১৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১২

র‍্যাশ বলেছেন: পৃথিবীতে অনেক ধরনের অভিবাসন লক্ষ্য করা যায় তবে সবচেয়ে বেশি যেটা ঘটে তা হচ্ছে অর্থনৈতিক অভিবাসন। পৃথিবীর সব জায়গায় তুলনামূলক দারিদ্রপীড়িত অঞ্চলের মানুষ অপেক্ষাকৃত সম্পদশালী অঞ্চলে অভিবাসী হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে শ্রমিক হিসেবে যাচ্ছে। তাদের অধিকাংশেরই লক্ষ্য থাকে বিদেশে কঠোর পরিশ্রম করে কিছু টাকা জমিয়ে দেশে ফিরে নিজের দারিদ্রতা থেকে মুক্ত হওয়া। সমস্যাটা তৈরী হয় মূলত তুলনামুলক শিক্ষিত পেশাজীবীদের (ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার কিংবা অন্য কোন পেশাজীবি) নিয়ে। বাংলাদেশ গরীব দেশ। এদেশের প্রতিটা উচ্চ শিক্ষিত নাগরিকের পিছনে রাষ্ট্রের যথেষ্ট ইনভেষ্টমেন্ট থাকে। যেখানে একজন উচ্চ শিক্ষিত নাগরিকের দেশ থেকে চলে যাওয়াই রাষ্ট্রের জন্য মারাত্নক ক্ষতিকর সেখানে এই শিক্ষিত শ্রেণীর একটা বড় অংশই অর্থনৈতিক অভিবাসনের নামে দেশ ছাড়ছে। বাংলাদেশের শীর্ষ ইউনিভার্সিটিগুলোর ছাত্রছাত্রীদের একটা বড় অংশই কিভাবে বিদেশে যাওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে তা স্বচক্ষে দেখার অভিজ্ঞতা আছে। যদিও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এদের অধিকাংশেরই আর্থসামাজিক অবস্থা যথেষ্টই ভাল তবুও মূলত লোভ বা উচ্চাশাই এদের দেশ ত্যাগ করার প্রধান কারণ। পাশাপাশি দুইশ বছরের উপনিবেশিক শাসনের ফলে সৃষ্ট অধঃস্তন মনস্তত্ব অর্থাৎ সাদা পশ্চিমাদের সব কিছু ভাল এই জাতীয় ভাবনাও এদের মধ্যে কাজ করে। এদের একটা অংশ নুতুন নুতুন বিদেশে যেয়ে সবকিছুতে মুগ্ধ হয় কিংবা মুগ্ধ হওয়ার অভিনয় করে , দেশের নানা সমস্যার কথা বলে অর্থাৎ দেশটা একেবারে জঘণ্য , দেশ ছেড়ে এসে খুব ভাল করেছি এইসব বলে এরা নিজেদের স্বান্তনা দেয়, নিজেদের এই স্বার্থপরতাকে জাষ্টিফাই করার চেষ্টা করে। এদের দেশ প্রেম আবদ্ধ হয় শুধু ক্রিকেট ম্যাচে বাংলাদেশকে সাপোর্ট আর বিশেষ দিন গুলোতে ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার জাতীয় পতাকায় রাঙ্গানোর মধ্য দিয়ে। এই সুখ কিংবা মেকি সুখটুকুকে পুঁজি করেই এরা এদের সমগ্র জীবনটাকে অতিবাহিত করতে থাকে। মানুষের মনস্তত্ব আসলে কতই না অদ্ভুত!!

সত্যি বলতে কি প্রত্যেকেরই নিজের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল খুঁজে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। কাজেই এই দিক দিয়ে দেখলে এই অভিবাসন দোষের কিছু নয় বরং এটা ঐ ব্যক্তির অধিকারের পর্যায়ে পড়ে কিন্ত সামাজিক দৃষ্টি কোন থেকে দেখলে এটা অবশ্যই স্বার্থপরতা। মানুষ সমাজবদ্ধ জীব, একক ব্যক্তি হিসেবে সমাজের কাছে আমার কোন মুল্য নেই , সমাজের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তার সামাজিক স্বার্থ। কাজেই এটার প্রশ্নই উঠে আসবে সবার আগে।

প্রতিটা দেশই সুন্দর, প্রতিটা দেশের মানুষ সুন্দর কিন্তু আমি যে সমাজ ব্যবস্থায় বেড়ে উঠেছি, যে সামাজিক ক্রিয়া-প্রক্রিয়া গুলোতে অংশ গ্রহণ করেছি সেই সমাজের প্রতি আমার এক ধরনের টান থাকবে, আমার কাছে এই টানটাই দেশ প্রেম। দেশ প্রেম বলতে আমি দেশের মানুষের প্রতি এই প্রেমটাকেই বুঝি , নদী-নালা, পাহাড় পর্বত কিংবা অন্য কোন জড় বস্তুর প্রতি আমার কোন আকর্ষণ নেই। মানুষের জীবন একটাই, মৃত্যুর পরেও কোন জীবন নেই। তাই প্রতিটা মানুষের উচিত তার হৃদয়ের কথা শোনা, হৃদয়ের কথা শুনে এই ছোট জীবনেই সুখের অনুসন্ধান করা। এটা অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে আমার জীবন দর্শন, সবাইকে এর সঙ্গে একমত হতে হবে এমন কোন কথা নেই।

পারফেক্ট দেশ বলে আসলে পৃথিবীতে কিছু নেই , ছিলও না কোনকালে। এই পারফেক্ট বিবেচনাবোধও আপেক্ষিক ব্যাপার স্যাপার। জার্মানি ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ, সেদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ক্রমশ নিম্নমুখী। জার্মান সংস্কৃতির টিকে থাকাই এখন হুমকির মুখে। জাপান এশিয়ার সবচেয়ে সমৃদ্ধ দেশ গুলোর একটি কিন্ত আত্নহত্যায় তারা পৃথিবীর শীর্ষ সারিতে। কেউ যদি এসব দেশকে তাদের ভাষায় ‘পারফেক্ট’ দেশ বলে মনে করে তবে এটাও বুঝতে হবে সেই দেশটাকে পারফেক্ট তাদের মত ইমিগ্রান্টরা করেনি , করেছে সে দেশের মানুষেরাই। তারা যদি দেশ ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেত তবে তাদের দেশ আজকে এই অবস্থায় পৌঁছাত না। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে বাংলাদেশে কি সমস্যা নেই ? অবশ্যই আছে কিন্ত সেই সমস্যার সমাধান আমাদেরই করতে হবে , বাইরের কেউ এসে করে করে দিয়ে যাবে না। প্রতিবছর অনেকেই বিদেশ থেকে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে দেশে ফিরছে। এরা এবং যারা দেশে থাকছে তাদের বদৌলতে দেশ টিকে আছে ইনফ্যাক্ট বেশ ভাল ভাবেই টিকে আছে এবং ভবিষ্যতেও না থাকার কোন কারণ নেই। শেষ করার আগে রং দে বাসন্তী সিনেমার একটা সংলাপ উদ্ধৃত করি- No country is perfect, we have to work to make it perfect





৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ ধৈর্য্য ধরে কষ্ট করে এত বড় এবং সুন্দর কমেন্ট করার জন্যে!
মুগ্ধ হয়ে পড়েছি পুরোটা। সহমত পোষন করছি প্রতিটি কথায়।

প্রতিটা দেশই সুন্দর, প্রতিটা দেশের মানুষ সুন্দর কিন্তু আমি যে সমাজ ব্যবস্থায় বেড়ে উঠেছি, যে সামাজিক ক্রিয়া-প্রক্রিয়া গুলোতে অংশ গ্রহণ করেছি সেই সমাজের প্রতি আমার এক ধরনের টান থাকবে, আমার কাছে এই টানটাই দেশ প্রেম।
এড করার কিছু নেই। প্রতিটি অক্ষর আমার মন থেকে টেনে এনে লিখেছেন।

দেশের নানা সমস্যার কথা বলে অর্থাৎ দেশটা একেবারে জঘণ্য , দেশ ছেড়ে এসে খুব ভাল করেছি এইসব বলে এরা নিজেদের স্বান্তনা দেয়, নিজেদের এই স্বার্থপরতাকে জাষ্টিফাই করার চেষ্টা করে।
১০০% রাইট। প্রবাসিরা বেশিরভাগই দেশকে ভালোবাসে। কিন্তু কেউ কেউ বাংলাদেশকে নিয়ে পার্টি, গেট টুগেদারে এত বাজে সব কথা বলে যে মনে হয়! মনে হয় বাংলাদেশের সাথে তাদের কোন শত্রুতা আছে। কি যে রাগ লাগে! একটু পরে পরে বাংলাদেশের এই খারাপ সেই খারাপ না বললে শান্তি হবেনা! অবশ্যই আমাদের খারাপ দিকগুলো নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে উন্নত করতে হবে দেশটাকে। কিন্তু তাদের সমালোনায় উন্নত করার পন্থা থাকেনা, ব্যাস বাংলাদেশের যে কোন উন্নতি সম্ভব না সেটা প্রমান করতে পারলেই খুশি।

No country is perfect, we have to work to make it perfect
একদম। কথাটা ভীষনভাবে ঠিক। কানাডাও অনেক খারাপ সময় দেখেছে। দারিদ্র, দূর্যোগ, বেকারত্ন, ডিপ্রেশন, সহ আরো অনেককিছু! আস্তে আস্তে গড়েছে দেশটা নিজেকে। আমাদেরকেও তাই করতে হবে।

মানুষ সমাজবদ্ধ জীব, একক ব্যক্তি হিসেবে সমাজের কাছে আমার কোন মুল্য নেই , সমাজের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তার সামাজিক স্বার্থ।
অসাধারন ভাবে বলেছেন। আমি আসলেই বুঝতে পারছিনা এড কি করব? কেননা আপনি সবই বলে দিয়েছেন! নিজের মতামতটা পরিষ্কার ভাবে যুক্তিসহকারে তুলে ধরেছেন। এর পরে কোন কথা থাকেনা!

আবারো এত সুন্দর, বিশ্লেষনধর্মী মন্তব্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা রাশি রাশি!

১৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
দানে দানে তিনদান
হয়েই যাক পূরণ - সুখবরে
ব্লগবাস্টার লিষ্টে
সামু পাগলা বেষ্ট!(২) আহা কি খুশিরে :)

দশটি অসাধারণ ওয়েবসাইটস যেগুলো ছাড়া ভার্চুয়াল জীবন বৃথা! তাই সামুপাগলা হাজির উইথ লিংক/রিভিউ! ট্রাই না করলে মিস! (পর্ব ২)
অবস্থানঃ- (২) স্কোরঃ-১৪.২০, প্রিয়ঃ- ২৭, লাইকঃ-২২, মন্তব্যঃ- ৫৬, পঠিতঃ- ১১৮০

অভিনন্দন :)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাহানা তো সব জানি আমি
সুখবর এ আর এমন কি?
ব্যাস ওৎ পেতে থাকা
কিভাবে সখীর বাড়িতে পা যায় রাখা! ;)

মানলাম তোমায় সখা
আসা যাবার কারণ তবু কেন খোঁজা?
দানে দান তিন দান কথার কথা
ঘুরে ঘুরে আসবে বারবার অযথা! :)

কেমন কবিসাহেব? ঋনশোধ হলো অবশেষে! আফসোস, দানে দানে চার দান হয়না!! :D ;)
আচ্ছা কাব্য, মজা সবই হলো। এবারে ধন্যবাদও জানিয়ে দেই। আন্তরিকতার চূড়ান্ত করে কৃতজ্ঞ করেছেন।
আপনি অনেক ভালো থাকবেন, অনেক অনেক ভালো!

১৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

পবন সরকার বলেছেন: আপনার লেখা খুব ভালো লাগল।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো লাগানোতেই তো লেখার স্বার্থকতা!

ভালো থাকুন সর্বদা!

১৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাহানা তো সব জানি আমি
সুখবর এ আর এমন কি?
ব্যাস ওৎ পেতে থাকা
কিভাবে সখীর বাড়িতে পা যায় রাখা! ;)

মানলাম তোমায় সখা
আসা যাবার কারণ তবু কেন খোঁজা?
দানে দান তিন দান কথার কথা
ঘুরে ঘুরে আসবে বারবার অযথা! :)

:) :) :)

মুগ্ধ হলাম
আনন্দ খুশি-
অপার অসীম,
পেয়েছি এমন সখী ।

বড় মানুষের এইতো ধরন
বিশাল খবরে বলে এ কি আর এমন
আমরাতো মাথা কুটে মরি
দুই তো দূরস্ত কুড়ির আশেপাশে ঘুড়ি ;)

ওৎপেতে থাকা
তা বলেছ বেশ
নইলে কেমন সখা
মনে যদি না রয় রেশ :)

লোক, নিন্দা ভয়
এই তিনে ভদ্রতা বেঁচে রয় ;)
পেলুম অনেক ভরসা
বিজ্ঞাপনের মনমে লাড্ডু ফুটা :P B-) =p~ =p~

ছড়ায় ছড়ায় অনেক মজা হল- এবার সিরিয়াস (সিরিয়াসনেসের ইমো কই? ) :)

আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ অনেক শুভকামনায় :)
ভাল থাকুন । লিখতে থাকুন। অনেক অনেক ঋদ্ধ হই আমরা :)

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সুখ, আনন্দ নয় কম আমার ও তো
তোমার মতো সখা জোটে কজনার বলোতো?
সর্বদা সখীর পাশে পাশে থাকো নিয়ে
কতশত উৎসাহ, অনুপ্রেরনা, প্রশংসার মেলা বসিয়ে! :)

কুড়ির আশেপাশে ঘোর জানে সখী ভালোই
তবে তা সামুর ব্লগবাস্টার তো নয়ই
শেষ নায়িকার খোঁজে খোঁজে
মন গলির ভাজে ভাজে! :P

ইশ! কি ন্যাকামি!
প্রতি পোষ্টে যার লাইক কমেন্টের বহে সুনামি
সে নাকি মরে মাথা কুটে,
সখীর বকা খেলে অতিবিনয় যাবে ছুটে! X((

সখার বিচরন, আগমন
মনকে দেয় পরম সুখের আস্বাদন
ব্লগবাড়ি আমাদের ব্যাস এক ক্লিক পেরিয়ে
তবু মনে হয় কত যুগ, মাইল দূরে দূরে!! :(

ক্লাস শুরু হতে যাচ্ছে। খুব নিয়মিত লিখতে পারবনা। কিছু ড্রাফট আছে সেগুলো শেষ করে পোষ্ট করব শুধু। যাই হোক, সখা সখীর সাক্ষাতে ছেদ পরবে এর চেয়ে দুঃখের আর কি হতে পারে? আপনি মাঝেমাঝেই পোষ্ট দিয়েন, আমি অন্তত আপনার ব্লগবাড়িতে বেড়িয়ে আসব। :)

জোকস আপার্ট এন্ড উইথ অল সিরিয়াসনেস, ইউ আর রিয়ালি আ নাইস, ট্যালেন্টেড, নলজেবল গাই! হ্যাভন্ট সিন ম্যানি পিপল লাইক ইউ! ইউ আর ওয়ান অফ আ কাইন্ড! সো অলওয়েস বি ইওরসেল্ফ এন্ড এনজয় ইওরসেল্ফ! বি হ্যাপি এন্ড কিপ আদারস হ্যাপি! মে আল্লাহ ব্লেস ইউ!

২০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সখি!!!!
এত্ত এত্ত প্রশংসায় তো ভেসে গেলাম :) হাত বাড়িয়ে ধরে রেখো, ভাসতে ভাসতে হারিয়ে যাবার আগেই ;)
(:) )
এক পোষ্টে মাস পার- ইরাম রেসিপি চললেতো আমরা পুষ্টিহীনতায় ভুগবো ;)

ঈদ শুভেচ্ছার নতুন পোষ্ট না পেয়ে পুরানোতেই ফিরে এনু :)

ঈদ মোবারক :)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ সখা!! ভালো আছেন আশা করি।

ইশ! হাত বাড়াতে আমার বয়েই গেছে, সখা ভাসতে ভাসতে শেষ পর্যন্ত যে সখির বাড়িতেই এসে পরবে তাতো সখি ভালোই জানে। :)

আরেহ আমি সিজনাল ব্লগার! ছুটি শেষ, লেখালেখিও! শুধু কয়েকটা আংশিক ড্রাফট আছে, কোনদিন মুড হলে সেগুলো শেষ করেই বিদায় নেব। সখার যে সখিবিহনে কি অবস্থা হবে তাই ভাবি! ;)

আমি আড্ডাপোষ্ট ঈদের শুভেচ্ছা, এবং অনেক খানা খাদ্যের আয়োজন করেছি। ঘুরে আসবেন নাহয়। :) view this link

ঈদ মোবারক আপনাকেও, অনেক ভালো ঈদ কাটুক আপনার।
সফলতা, সমৃদ্ধি পান জীবনের পরতে পরতে সে কামনাই করে সখি!

২১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪১

মাদিহা মৌ বলেছেন: অফ টপিকে মন্তব্য করার জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

আমাদের ভালো সময়ের আর দেরি নেই। আপু শুনেছ? তাসকিন সানি বৈধ! দেখো, আমরা আসন্ন দুইটা সিরিজেই ভালো করব। তুমি দেখে নিও।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধুর অফ টপিক কি? আমাদের মতো ক্রিকেট পাগলীদের জন্যে, ক্রিকেট ব্যাতীত বাকি সবকিছুই অফটপিক। ;)

হ্যারে পড়েছি।

ক্রিকেট আড্ডা এখানে চলছে, view this link

২২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

নেবুলাস বলেছেন: হুমম।মন খারাপ হয়ে গেল।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সরিরে, নিজের মন খারাপ শেয়ার করতে গিয়ে সব পাঠকের মন খারাপ করে দিয়েছি।

পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
সর্বদা মন ভালো করে হাসিমুখে থাকুন সে কামনাই করি।

২৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:১৪

রাতু০১ বলেছেন: আমাদের চোখ ষে লাল হয়ে আছে তা গোপন নয়
তোমরা যদি কেঁদে থাকো তাহলে আমরাও কেঁদেছি।

ছোটবোন র্জামানি যাচ্ছে,যাওয়ার আগেই কান্না শুরু, লেখা সুন্দর কিন্তু মন খারাপ।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আহারে! মন খারাপ করে দেবার জন্যে সরি।

ছোটআপুর জন্যে অনেক অনেক শুভকামনা রইল। নতুন দেশে সুন্দর, সুখী জীবন গড়ে নিন উনি।
আপনার জন্যেও অনেক শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.