নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেলা! মেলা! মেলা! দেশের অজানা, অদ্ভুত, ব্যতিক্রমী সব মেলার মেলা! সবাই মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে... :)

১১ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪

বাংলাদেশের এক প্রাচীন ঐতিহ্য মেলা! গবেষকদের মতে, "গ্রামীণ হাট" থেকেই এর উৎপত্তি। অতীতে রাজা-জমিদারেরা মেলার আয়োজন করতেন যা বিশেষত ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে হত। তবে এখন মেলা বাঙালির সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেও আয়োজিত হয়। একটি পরিসংখ্যান মতে, বাংলাদেশে গ্রাম ও শহর জুড়ে প্রতিবছর পাঁচ হাজারের অধিক মেলা অনুষ্ঠিত হয়! এতসব মেলার মধ্যে থেকে কিছু ব্যতিক্রমী মেলায় ঘুড়ে আসি চলুন! :)

১) সাকরাইন মেলা

এ মেলাটি বাংলা পৌষ মাসের শেষ দিনে এবং ইংরেজী মাসের জানুয়ারি ১৪ অথবা ১৫ তারিখে পুরান ঢাকায় পালিত হয়। এ দিনটিকে পৌষ সংক্রান্তি এবং সংক্ষেপে সক্রান্তিও বলা হয়ে থাকে। পুরান ঢাকার মানুষের ভাষায় যাকে বলা হয় সাকরাইন!



ঘুড়ি মেলা হিসেবেও পরিচিত এ মেলাটিতে মানুষজন তাদের ছাদে গিয়ে বা রাস্তায় ঘুড়ি ওড়ায়। ঘুড়ি কাটাকাটির প্রতিযোগিতা হয় এবং একে অন্যের ঘুড়ি কাটার চেষ্টা করে। ঢাকাইয়াদের ভাষায় ঘুড়িকে বলে ঘুড্ডি বা গুড্ডি। পুরান ঢাকার ঘরে ঘরে মুড়ির মোয়া, ভেজা বাখরখানি আর পিঠা বানানো হয় উৎসবটিকে কেন্দ্র করে।




রাতে আতশবাজির আলোয় উজ্জ্বলিত হয় পুরান ঢাকা। আগুন মুখে নিয়ে খেলাও দেখানো হয়। কেউ কেউ ফানুস ওড়ায় রাতের আকাশে। রংগিন ঘুড়ি ও আলোকছটায় স্বর্গপুরি হয়ে ওঠে উৎসবমুখর রাতের পুরান ঢাকা!
বাংলাদেশী সংস্কৃতির এই রংগিন উৎসবটিকে মৈত্রী ও একতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।

২) বউ মেলা

জ্বি হ্যা বউ মেলা! নাহ নাহ, এটিতে বই মেলার মতো বউ বিক্রি হয়না। বরং মেলায় শুধু নারীরা অংশগ্রহন করতে পারেন বলে এটিকে বউ মেলা বলা হয়ে থাকে। বউ মেলা হলেও ছোট বড় যেকোন বয়সের নারীকেই আসতে দেখা যায় মেলায় ক্রেতা ও বিক্রেতা হিসেবে। মেলায় যদিও কিছু পুরুষ বিক্রেতা দেখা যায়, তবে আগত দর্শনার্থীরা সবাই নারী। সকাল থেকে লোক সমাগম হতে হতে দুপুরে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে মেলার কোনা কোনা।



বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পূর্বে ইছামতি নদীর কাছে মাঘ মাসের শেষ বুধবারে সন্ন্যাসী পূজা উপলক্ষ্যে পোড়াদহ মেলা সংঘটিত হতো। ২০০ বছর পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই পোড়াদহ মেলায় শুধুমাত্র পুরুষেরাই যেতে পারতেন। নিরাপত্তা এবং বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় সে মেলায় নারীরা প্রবেশ করতে পারতেন না। এজন্যেই একসময়ে পোড়াদহ মেলার পরদিনই এই বউ মেলার প্রচলন শুরু হয় যাতে শুধুমাত্র নারীরাই প্রবেশাধিকার পান।



মেলায় চুড়ি, ফিতা, দুল, মালা, আংটিসহ সব ধরনের ইমিটেশন গয়না বিক্রি হয়। নারীদের সাথে সাথে তাদের শিশুরাও আসতে পারেন বিধায় শিশুদের খেলনাও বিক্রি হয় মেলায়। তবে মূলত নারীদের নানা প্রসাধনী সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় গৃহস্থালীর জিনিসপত্র শোভা পায় মেলায়।

৩) দুবলা রাস মেলা

এই মেলাটি শুধু বাগেরহাটেরই নয়, পুরো বাংলাদেশের মধ্যেই অন্যতম বৃহৎ একটি মেলা। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের পাশে ছোট্ট একটি দ্বীপ দুবলার চরে উদযাপিত হয় মেলাটি। বাংলা অগ্রহায়ন মাসে, পূর্নিমার সময়ে ৫ থেকে ৭ দিন ধরে মেলাটি হতে থাকে। বিদেশী পর্যটকদের জন্যে অন্যতম একটি আকর্ষন এই মেলাটি।



১৯২৩ সালে রাস পূর্ণিমায় প্রথমবার মেলাটি উদযাপিত হয়। ঠাকুর হরিচাঁদের অনুসারী হরি ভজন নামে এক হিন্দু সাধু এই মেলা শুরু করেছিলেন। এই সাধু চব্বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সুন্দরবনে গাছের ফলমূল খেয়ে জীবনযাপন করেছিলেন। তার স্মরনেই মেলাটি প্রতি বছরে উদযাপিত হয়ে থাকে।





উৎসবটিকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার জেলে দুবলা এবং আশেপাশের দ্বীপে মাছ ধরেন। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে জেলেরা এখানে শুঁটকি তৈরি করেন। এ এক অনন্য মেলা যার কানায় কানা অ্যাডভেঞ্চারপূর্ণ! জলে কুমির, ডাঙ্গায় বাঘ। বনের প্রতিটি রহস্য আর রোমাঞ্চঘেরা মুহূর্ত ভয় আর শিহরনে মাতিয়ে তোলে দর্শনার্থীদের!



মেলাকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার লোকের সমাগমে নীরব সুন্দরবন যেন লোকালয় হয়ে জেগে ওঠে। বনের বুক চিরে জালের মতো ছড়ানো নদীগুলোতে লঞ্চ, ট্রলার-ইঞ্জিন নৌকার অবিরাম চলে ভটভট আওয়াজ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অভাবনীয় রূপের পসরা সাজিয়ে বসে এ মেলাটি!


৪) সাগরদাঁড়ির মধুমেলা

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেশবপুরের কপোতাক্ষ নদের তীরের সাগরদাঁড়িতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিামাঞ্চলের সর্ববৃহৎ মধুমেলা অনুষ্ঠিত হয়। ২১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২৭ জানুয়ারি তে সপ্তাহব্যাপী মেলা শেষ হয়।



সপ্তাহজুড়ে লাখো মধুভক্ত এবং ভ্রমণার্থীর পদচারণায় মেলাঙ্গন সরব হয়ে ওঠে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মেলাটি চলতে থাকে। মেলার মাঠে মধুমঞ্চে মন্ত্রী, এমপি ও দেশবরেণ্য কবি সাহিত্যিকেরা মধুসূদনের জীবন ও সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।



অন্য নানা মেলার মতো যাত্রা, সার্কাস এবং নাগরদোলার ব্যবস্থা রাখা হয় মেলাটিতে। মেলায় স্টলগুলোতে শিশুদের খেলনা, নারীরদের সাজগোজের নানা সামগ্রী বিক্রি হয়। মিষ্টির দোকানগুলোয় ভাজা চানাচুর, মোয়া-মুড়ি, নানা জাতীয় মিষ্টির পাশাপাশি এক থেকে দেড় কেজি ওজনের রসগোল্লা বিক্রি হয়।



এই মেলাটিকে কেন্দ্র করে মধুমঞ্চের নানা গুনী ও জ্ঞানী মানুষের বক্তব্য আমাদের বাংলা সাহিত্যে মধুসূদনের অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে ভূমিকা পালন করে।

৫) প্রজাপতি মেলা:

২০১০ সাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের উদ্যোগে ধারাবাহিকভাবে এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। সাধারনত সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত চলতে থাকে মেলাটি।





মেলার দিনব্যাপী নানা আয়োজন হয়ে থাকে শুধুমাত্র প্রজাপতিকে কেন্দ্র করে। যার মধ্যে রয়েছে জীবন্ত প্রজাপতি প্রদর্শন, প্রজাপতি বিষয়ক ডকুমেন্টারি ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, শিশু কিশোরদের জন্যে প্রজাপতি বিষয়ক ছবি অঙ্কন প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, নানান প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা, অরিগামি প্রজাপতি, প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি উড্ডয়ন, এবং পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান।

শুধু জাবিই নয়, দেশের নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতি বছরে পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা তৈরিতে নানা ধরণের মেলার আয়োজন করে থাকে।


৬) ঘোড়দৌড় মেলা


চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় প্রতি বছর মাঘ মাসের রোববারে এ মেলাটি বসে। উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সুখছড়ী গ্রামে প্রায় অর্ধ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বসে মেলার স্টল। শতবর্ষেরও অধিক সময় ধরে চলে এসেছে মেলাটি।



এলাকার প্রখ্যাত আলেম হযরত মাওলানা মোফাজ্জলুর রহমান (রহঃ) এ মেলার প্রবর্তন করেন। কেননা তখন এলাকায় বিভিন্ন মেলা বসত যাতে জুয়া খেলাসহ আরো অনৈতিক কার্যকলাপে মানুষ জড়িয়ে পড়ত। অপসংস্কৃতি থেকে উদ্ধারের জন্য তিনি এই গ্রামে প্রতিবছর ধর্মীয় সভা ও ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা প্রচলন শুরু করেন।





মেলার প্রধান আকর্ষন ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। এছাড়াও মেলার নানা স্টলে চারুকারু, কাঠ-বাঁশ, প্রসাধনী, বেত আসবাবপত্র, তৈজষপত্র, মিষ্টি মাছসহ রকমারি পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা।
আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাজার হাজার লোক সমাগম হয় এই মেলায়। দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী এই মেলাটিকে ঘিরে প্রতি বছর এলাকায় উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়।

৭) জামাই মেলা!

বউ মেলা থাকবে আর জামাই মেলা থাকবে না তা কি করে হয়? ;) এই মেলাটিকে মাছ মেলাও বলা হয়ে থাকে।

গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বিনিরাইল গ্রামে এটি অনুষ্ঠিত হয়। মেলাটি প্রথম অনুষ্ঠিত হতো খুবই ক্ষুদ্র পরিসরে। অগ্রহায়ণের ধান কাটা শেষে পৌষ-সংক্রান্তি ও নবান্ন উৎসবে আয়োজন করা হতো। স্থানীয়রা প্রায় ২৫০ বছর ধরে মেলার আয়োজন করে আসছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ মেলাটি একটি সার্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে।



তো এ মেলার নাম জামাই মেলা কেন? কারণ, এ মেলাকে ঘিরে এলাকার জামাইদের মধ্যে চলে এক মজার প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতা হচ্ছে, কোন জামাই সবচেয়ে বড় মাছটি কিনে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যেতে পারেন। এটি এমনই সম্মানের অনেকের কাছে যে কোন কোন জামাই দরদাম ওঠাতে ওঠাতে লাখ টাকাও খরচ করে ফেলেন একটি মাছ কিনতে! মাছের মেলায় সামুদ্রিক চিতল, বাঘাড়, আইড়, বোয়াল, কালি বাউশ, পাবদা, গুলসা, গলদা চিংড়ি, বাইম, কাইকলা, রূপচাঁদা মাছের পাশাপাশি স্থান পায় নানা রকমের দেশি মাছও।





মেলার প্রধান আকর্ষন নানান জাতের মাছ এবং বিশেষ করে বড় মাছ। তবে মেলায় মাছ ছাড়াও আসবাবপত্র, খেলনা, মিষ্টি ইত্যাদির পসরাও বসে।

মাছের মেলাটি এ অঞ্চলের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে বহন করে চলেছে বহু বছর ধরে!

৮) বৈসাবি মেলা

বাংলা বছরের শেষ দুদিন এবং পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণের উদ্দেশ্যে উদযাপিত মেলার নাম বৈসাবি। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান তিনটি আদিবাসী গোষ্ঠী; চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমাদের মধ্যে এ উৎসব যথাক্রমে বৈসুক, সাংগ্রাইন ও বিজু নামে পরিচিত। যাদের প্রথম অক্ষর নিয়েই ‘বৈ-সা-বি’ নামটি এসেছে।



মেলায় রাঙামাটি, বান্দরবান ও ভারত থেকে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক দল নিজ নিজ ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন। এছাড়াও শিশু কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন খেলাধুলার ও পাঁচন রান্না প্রতিযোগিতা, চাকমা নাটক, পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর জীবনধারার ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।



পাহাড়ের ১০ ভাষাভাষি ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি। এজন্যে মেলার সব স্টলে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো, বম, চাক, পাংখোয়া, লুসাই, খুমী ও খিয়াং নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি, সংষ্কৃতি, খাবার, নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্যাদি ও বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বেচাকেনা হয়।
ছেলেমেয়েরা সবাই মিলে প্রতিবেশীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ঘুরে ঘুরে নানা ধরনের খাবার খেয়ে থাকে। প্রতি বাড়িতে পাঁচন, পিঠা, পায়েস, সেমাই, শরবত ইত্যাদি নানা ধরণের খাবার ও পানীয়য়ের আয়োজন থাকে। ন্যূনতম পাঁচ পদের সবজির সংমিশ্রণে রান্না করা তরকারিকে পাঁচন বলা হয়। পাঁচ অন্ন থেকেই পাঁচন শব্দের উৎপত্তি।



জনপ্রিয় পানি খেলাটিও বৈসাবী মেলারই একটি অংশ। এ উৎসবে আদিবাসীরা সবাই সবার দিকে পানি ছুঁড়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন যেন গত বছরের সকল দুঃখ, পাপ ধুয়ে যায়।

মেলাটি ঘিরে পাহাড়ি ও বাঙালিসহ সব ধর্ম, বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সম্প্রীতির মিলন মেলা তৈরী হয়। পাহাড়ি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য প্রদর্শন ও রক্ষায় এ মেলাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
বাংলাদেশী সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে মেলা। প্রতি জেলায় গ্রামে হয়ে থাকে নানা ধরনের মেলা। কিছু কিছু মেলা যেমন বৈশাখী মেলা, বই মেলা, বানিজ্য মেলা সবার মুখে মুখে ঘোরে। তবে এছাড়াও হাজার হাজার ব্যাতিক্রমধর্মী মেলা আমাদের সংস্কৃতিকে ধারন করে আসছে ঐতিহ্য ও গৌরবের প্রতীক হয়ে। নানা ধরনের সচেতনতা তৈরি করে যাচ্ছে জনসাধারনে। আজকে সেইসব মেলাকে জানা ও জানানোর জন্যেই এই লেখাটি লিখেছি। আশা করি পাঠকের ভালো লেগেছে।

সূত্র: অন্তর্জালের অলিগলি!

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো এতগুলো মেলার খবর জেনে। আমি দুতিনটি মেলার খবরই জানতাম। আজ অনেক গুলো জানা হলো।


১১ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ নয়নসাহেব!

নতুন কিছু জানাতে পেরে আনন্দিত।
মন্তব্য করে ভালো লাগা জানিয়েছেন এজন্যে কৃতজ্ঞ।

আপনার ও আপনার পরিবারের জন্যে অনেক শুভকামনা রইল!

২| ১১ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা আপু, আমি সত্যিই আনন্দিত। এতপ্রকার মেলা দেখার বা জানার সময় আমার হয়নি। পানি মেলাটা বান্দরবান দেখেছিলাম চাকরির খাতিরে আর গোড়া দৌড় তো সব এলাকাতেই হয়, আর একটা ছিল তা অষ্টমী বলাতাম ছোট সময়।

আপনার জন্যও শুভকামনা আপু সবসময়।

১১ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ও ওয়াও! বেশ কিছু ভালো মেলা দেখেছেন তবে।
পুনরায় এসে শেয়ার করে যাবার আন্তরিকতায় কৃতজ্ঞ।

শুভকামনা আবারো!

৩| ১১ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

জামাই মেলাটা দারুণ লাগলো! সত্যি চ্যালেঞ্জিং।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

১১ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম, সত্যিই বেশ মজার। সবচেয়ে বড় মাছ কেনা নিয়ে এক সম্মানের লড়াই! খুব ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে আমার কাছে।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা!

৪| ১১ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক দিন পর, কেমন আছেন?

১১ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি অনেকদিন পরে।

আল্লাহর রহমতে ভালো আছি! আপনি?

৫| ১১ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট, সবই বুঝলাম, তবে দুবলা রাস মেলা একটু ভালোই অদ্ভুত লাগলো।

১১ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমার কাছে দুবলা রাস মেলাটি অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে। অনন্য এক রোমাঞ্চময় মেলা!

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা!

৬| ১১ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বউ মেলার নাম শুনেই চেয়ারে নড়ে চড়ে বসেছিলাম। কিন্তু পরে বউ মেলার বর্ণনা পড়ে হতাশ হলাম। যা ভেবেছিলাম, তা' নয়। আর জামাই মেলার বড় বড় মাছের ছবি প্রতি বছরই পত্রিকায় দেখি আর আফসোস করি। আমার মেয়ে নাই।

পাহাড়িদের বৈসাবি মেলা একবার স্বচক্ষে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে। খুবই কালারফুল উৎসব। আমার ভালো লেগেছিল।

চমৎকার ও ব্যতিক্রমী পোস্টের জন্য ধন্যবাদ সামু পাগলা ০০৭।

১১ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেনাভাই! পোষ্টে পেয়ে ভীষন আনন্দিত হলাম।

আমি জানতাম বউ মেলা নিয়ে এমনকিছু ভাববেন। এজন্যে প্রথমেই বলে দিয়েছিলাম যে, "বই মেলার মতো বউ বিক্রি হয়না!" হাহাহা।

ইয়েস, আই ক্যান ইমাজিন। পাহাড়িদের কালচার তো এমনিতেই কালারফুল, ওদের যেকোন উৎসব মেলা নিশ্চই অনেক রংগিন হবার কথা।

আপনাকেও মজার ও সুন্দর মন্তব্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
অসংখ্য শুভকামনা!

৭| ১১ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:১২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: হায় হায় এখানে দেখি মেলার মেলা!
কত্ত মেলারে এত্তো মেলার খবর পাইলেন কোথায় আপনি। জিনিয়াস তাকেই বলে। আপনি সত্যি দারুণ সব মেলার তথ্য তুলে ধরে বেশ কয়টি মেলার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সুজন ভাই!
মেলার মেলায় এসে ধন্য করেছেন।

নতুন কিছুর সাথে পরিচয় করানোই পোষ্টের উদ্দেশ্য ছিল!

পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞ।
অনেক শুভকামনা!

৮| ১১ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:১৮

শুভ_ঢাকা বলেছেন: অনেক দিন পর লেখিকা আপনার লেখা পড়ার সুযোগ হল। আপনি কানাডার সিরিজ ছাড়াও নানান বিষয় নিয়ে লিখেন। পাঠক হিসাবে এই বৈচিত্রতা আমার ভাল লাগে। এবার আসা যাক আপনার আজকের লেখা প্রসঙ্গে লেখা, বর্ণনা, শব্দ চয়ন ভাল ছিল প্লাস ঝকঝকে যথার্থ ছবি লেখাকে অনেক আকর্ষণীয় করেছে। আপনার উল্লেখিত অনেক মেলার কথা জানা ছিল, অনেকগুলো মেলার কথা জানতামও না। পুরাণ ঢাকার বাসিন্দা হিসাবে সাকরাইন মেলার সাথে আমি শুধু পরিচিতই নই, আমি অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে অংশ নিতাম স্কুল জীবনে। সারা বছর প্রতীক্ষায় থাকতাম এই দিনটির জন্য। জ্বী আপনি ঠিকই বলেছেন পুরাণ ঢাকার লোকেরা ঘুড়িকে গুড্ডি বলে আর ভোকাট্টাকে বাক্কাট্টা বলে।

রাতে আতশবাজির আলোয় উজ্জ্বলিত হয় পুরান ঢাকা। আগুন মুখে নিয়ে খেলাও দেখানো হয়। কেউ কেউ ফানুস ওড়ায় রাতের আকাশে। রংগিন ঘুড়ি ও আলোকছটায় স্বর্গপুরি হয়ে ওঠে উৎসবমুখর রাতের পুরান ঢাকা!

আর তার সাথে বাড়ীর ছাদে উচ্চস্বরে মিউজিক সিস্টেম গান বাজায়।

পুরান ঢাকার ঘরে ঘরে মুড়ির মোয়া, ভেজা বাখরখানি আর পিঠা বানানো হয় উৎসবটিকে কেন্দ্র করে।


আপনার উল্লেখিত খাবার ছাড়াও বাজার থেকে তীলা কদমা আনা হয় অনেকের বাড়িতে।

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:০৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ কষ্ট করে বড় ও ডিলেইলড মন্তব্য করায়। অনুপ্রাণিত হলাম।

জ্বি পুরান ঢাকার বাসিন্দা হিসেবে সাকরাইন আপনার খুব স্মৃতিময় মেলা হবার কথা। হ্যা ঠিক জোরে গান বাজনা হয়। আর অনেক ধরনের খাবারের আয়োজন তো আছেই।

শুনেছি আগেকার দিনে শ্বশুরবাড়ি থেকে ঘুড়ি পাঠানো হতো জামাইদের কাছে। অনেক ধুমধাম করে পালন করা হতো আগে। এখন একটু মিইয়ে গেলেও অসাধারণ একটু উৎসব আসলেই!

অনেক শুভকামনা রইল!

৯| ১২ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:০৭

পুলক ঢালী বলেছেন:




বাহ্! মেলা নিয়ে বেশ ব্যাতিক্রমী পোষ্ট দিয়েছেন! অনেক পরিশ্রম করে তথ্যবহুল পোষ্টটা হাজির করে বেশ চমক তৈরী করেছেন। একবার রাস মেলায় কুয়াকাটা ছিলাম। বৈসাবী মেলার পানি ছিটানোর উৎসবে বর কনে পছন্দ করার একটা ব্যাপার আছে।

চট্টগ্রামের লালদিঘী মাঠে বৈশাখ মাসের ১২ তারিখে তিন দিনের জন্য বিরাট একটা মেলা বসে নাম জব্বারের বলীখেলা

১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বদরপাতি এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর এই প্রতিযোগিতার সূচনা করেন। তার মৃত্যুর পর এই প্রতিযোগিতা জব্বারের বলী খেলা নামে পরিচিতি লাভ করে।
বলীখেলাকে কেন্দ্র করে লালদিঘী ময়দানের আশে পাশে প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে বৈশাখী মেলার আয়োজন হয়। এটি বৃহত্তর চট্টগ্রাম এলাকার সবচেয়ে বৃহৎ বৈশাখী মেলা।
ঝালকাঠিতেও একমাস ব্যাপী বিরাট একটা মেলা হয় নাম মনে পড়ছেনা তবে এটা হিন্দু কোন পূজার উৎসব উপলক্ষ্যে হয়ে থাকে বলে মনে হয়। আসলে বাংলার আনাচে কানাচে কত উপলক্ষ্যে কত মেলা হয় আমরা তার কতটুকু জানি? তবে আপনার সৌজন্যে অনেক মেলার সাথে পরিচিত হলাম :)
ভাল থাকুন।


১২ ই মে, ২০১৭ ভোর ৪:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পুলক ভাইই! পোষ্টে আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগল।

পরিশ্রম আর কি? যে কাজে আনন্দ লাগে তাকে পরিশ্রম বা কাজ মনে হয় না। :)
চমক লাগাতে পেরে আনন্দিত।

বৈসাবী মেলার পানি ছিটানোর উৎসবে বর কনে পছন্দ করার একটা ব্যাপার আছে।

তাই নাকি? ইন্টারেস্টিং। এটা জানতাম না!

জব্বারের বলীখেলা বেশ বিখ্যাত। আগেও এর কথা শুনেছি। এত ডিটেইলে জানানোর জন্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।

সেটাই, এসব তো আমাদের সংস্সকৃতির আনাচে কানাচে পরে থাকা মনিমানিক্য! অনেকসময়েই আমাদের চোখের আড়াল হয়ে যায়। জানতে ও জানাতে তাই ভালো লাগে।

সুন্দর মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
অনেক শুভকামনা রইল!

১০| ১২ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:১০

উম্মে সায়মা বলেছেন: বাহ আপনার এখানেতো মেলার মেলা বসেছে! খুব সুন্দর। উপরের মন্তব্য থেকে জানলাম আপনি আপু। নিক দেখে আমি ভেবেছিলম ভাইয়া। আপনার নিক তো সামু পাগলি হওয়া উচিৎ ছিল B-)

১২ ই মে, ২০১৭ ভোর ৪:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার মন্তব্যে অনেক অনুপ্রাণিত হলাম সায়মা আপু।

হাহা, হুম নিক নেইমে অনেকে কনফিউজড হয়। ব্যাপারস না! ;) আসলে যখন একাউন্ট খুলেছিলাম এতকিছু ভেবে খুলিনি। পরে এত স্মৃতি জড়িয়ে গেল নিক নেমটির সাথে যে পরিবর্তন করার ইচ্ছেও হয়নি। :)

পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
সদা সর্বদা ভালো থাকুন!

১১| ১২ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যেন যুগান্ত পরে সূর্যোদয়...
আঁধার অমানিশা কেটে বৈশাখি পূর্ণিমায়
জোৎস্নায় থৈ থৈ প্রান্তর..
বিস্ময়ে হতবাক হৃদয়!!!! :)

শীতনিদ্রা শেষে ;) পুনরাগমনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা :)

মেলাপিডিয়ায় নিজের এলাকার মেলার খবরে ভালই লাগল :)

অন্তহীন শুভেচ্ছা

১২ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই কবিসাহেব! কতদিননন পরে হলো দেখা তোমাতে আমাতে... ;)

এমন আন্তরিক ছন্দময় শুভেচ্ছায় ভীষন খুশি হলাম!

শীতনিদ্রা চলাকালিন সময়ে ব্লগকে খুব মিস করি। ফিরতে পেরে আমার আনন্দ আপনাদের চেয়ে বেশি হয়।

আপনার ভালো লাগায়, আমার লেখা সার্থক হলো। :)

অসংখ্য শুভেচ্ছা আপনার জন্যেও!

১২| ১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৪০

কিশোর মাহমুদ বলেছেন: চমৎকার লেখা!নতুন অনেক কিছু জানলাম।
যদিও বৈসাবি মেলায় যাবার সৌভাগ্য আমার একবার হয়েছিল!

১৩ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ও ওয়াও! এমন কালারফুল সুন্দর একটি মেলা দেখা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার!

আপনার মন্তব্যে আনন্দিত হলাম।
শুভকামনা রইল অনেক!

১৩| ১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ২:৫১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এই নিয়েই আমাদের দেশ।। এসব ছাড়া ভাবাই যায় না বাংলাদেশেকে।। দেশের গায়ের অলংকারই যে এইসব মেলা আর পার্বন।।

১৩ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:৫০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সচেতনহ্যাপী! ভালো আছেন আশা করি।

একদম মনের কথা টেনে এনেছেন। এই তো আমাদের বাংলাদেশ। কত রং, কত রূপের বাহার! এইসবই আমাদের সংস্কৃতির একেকটি মনি মুক্তা! আমাদের অহংকার, আমাদের গৌরব!

সুন্দর মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
শুভকামনা জানবেন!

১৪| ২৫ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: কত রঙ এবং আনন্দে ভরপুর আমাদের দেশ! আমরা তার কতটুকুই বা জানি! সুন্দর পোস্ট।

২৫ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ হাসান ভাই! পোষ্টে পেয়ে অনেক খুশি হলাম।

জ্বি একদম ঠিক বলেছেন। অনেককিছুই জানি না আমরা। সেই সব রং, উৎসব, মেলার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্যেই লেখাটি লিখেছি।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.