নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বের সেরা দশটি বৃহৎ, অতিমানবীয় রহস্য এবং রহস্যজট খোলার যাত্রায় পাওয়া মনি মানিক্য! (শেষ কিস্তি)

১৫ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪

দয়া করে পোষ্টটি পড়বেন না যদি পরিচিত কোন রহস্যকে রহস্য হিসেবেই মনের মধ্যে রেখে দিতে চান। ধন্যবাদ!

রহস্যে পরিপূর্ণ পৃথিবীর ভাজে ভাজে লুকিয়ে রয়েছে হাজার হাজার রহস্য। অনেক রহস্যের কোন উত্তর মানুষ এখনো খুঁজে পায়নি। তবে অনেক রহস্যের জট কিন্তু বিজ্ঞানের সহায়তায় মানুষ খুলে ফেলেছে! সেসব কিছু রহস্য এবং রহস্যভেদের অসাধারন ও অকল্পনীয় গল্পগুলো আজকে বলব!

আগের পর্বের লিংক: বিশ্বের সেরা দশটি বৃহৎ, অতিমানবীয় রহস্য এবং রহস্যজট খোলার যাত্রায় পাওয়া মনি মানিক্য! (প্রথম কিস্তি)

৫) মায়ান সভ্যতার রহস্য!


সেই বিখ্যাত মায়ান সভ্যতা! খ্রিস্টপূর্ব ২৬০০ বছর আগে যা গড়ে উঠেছিল। চার হাজার বছর আগের অন্যতম উন্নত এক সভ্যতা! পৃথিবীর মানুষ সেসময়ে বাড়িঘর তৈরী করতেই হিমশিম খেত। কিন্তু মায়া জাতি মৃতদেহের ওপরে সমাধি নির্মাণ থেকেই পিরামিড ও মমি তৈরীর ধারণা পেয়ে যায়। তারা প্রকান্ড সব ঘড়বাড়ি, মূর্তি তৈরী করত! পুরো আমেরিকা মহাদেশজুড়ে মায়ান সভ্যতাই একমাত্র প্রাচীন সভ্যতা, যাদের নিজস্ব লেখা ভাষা ছিলো। তারা সুন্দর করে পড়তে ও লিখতে জানতো। তাদের জ্যোতির্বিদ্যার ও গণিত জ্ঞান অসাধারণ ছিল। একটি উন্নত ক্যালেন্ডার পর্যন্ত তৈরী করেছিল নিজেদের ভাষায়! তাদের চিকিৎসা বিদ্যাও আধুনিক ছিল। শরীরের ক্ষত মানুষের চুল দিয়েই সেলাই করে ফেলতো। দাঁতের গর্ত পূরণ করা, এমনকি নকল পা লাগানোতেও দক্ষ ছিলো তারা। তারা প্রকৃতি থেকে ব্যথানাশক সংগ্রহ করতো। শুধু তাই নয়, তারা গান গাইত, কবিতা লিখত, সর্বোপরি সাহিত্য চর্চা করতো! কিন্ত এই স্বপ্নের মতো সুন্দর ও উন্নত জাতি ধ্বংস হয়ে যায় একসময়ে! এত অকল্পনীয় সুন্দর স্থাপত্য, শহর, রাস্তা সবকিছুকে যেন কোন এক দৈত্য তাড়া করেছিল, এবং মায়া জাতি পালাতে পালাতে ছোট ছোট গ্রামে ছড়িয়ে গিয়েছিল! একটি পতিত সভ্যতার আদর্শ উদাহরণ মায়ান সভ্যতা! এতটা আধুনিক একটি সভ্যতা, যা যুগের চেয়ে হাজার কদম এগিয়ে ছিল ধ্বংস কিভাবে হলো? কিভাবে বিপন্ন হলো মায়া জাতি?



ব্যাখ্যা: মায়ান সভ্যতা তিলে তিলে গড়ে তোলা মায়া জাতি নিজেরাই নিজেদেরকে ধ্বংস করেছিল! এরিযনা স্টেট ইনিভার্সিটির রিসার্চারেরা ২০১২ সালে মায়া সভ্যতার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো পরীক্ষা ও বিশ্নেষন করে ব্যাখ্য দেন এ রহস্যের। তারা পরিবেশের অবস্থা গবেষনা করে কিছু এভিডেন্স পান যা তাদের পূর্ববর্তী নানা গবেষকদের মতে মোহর লাগাতে সহায়তা করে। তারা আবিষ্কার করেন যে মায়া জাতি অতিমাত্রায় গাছ ও বনজংগল কেটে ও পুড়িয়ে ফেলেছিল। তারা এসব কাটত জমি পরিষ্কার করে শস্য উৎপাদনের উদ্দেশ্যে, স্থাপত্য নির্মাণে, এবং পোড়াত জ্বালানি কাঠ সংগ্রহে! তাদের এই কর্মকান্ড জমির সৌর বিকিরণ সহ্যশক্তিকে কমিয়ে দেয়। এর কারণে মেঘ, বৃষ্টি পরিবেশ থেকে কমে যেতে থাকে, এবং তাপমাত্রা মারাত্মক ভাবে বেড়ে যেতে থাকে। এসকল কর্মকান্ড প্রকৃতিগতভাবে আসা খরাকে বহুগুণে ভয়াবহ করে দেয়। এই ভয়াবহ খরা মায়া জাতির কৃষিকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়। খাবারের অভাবে মৃত্যু এড়াতে মায়া জাতি নানা গ্রামে ছড়িয়ে যায়।
এমন একটি উন্নত জাতি অবশ্যই শুধুমাত্র একটি কারণে ধ্বংস হতে পারেনা। আরো অনেক কারণ ছিল যার সবই খরার কারণে সৃষ্ট ও বর্ধিত হয়েছিল। যেমন নাগরিকদের মধ্যে অশান্তি, যুদ্ধ, খাদ্যাভাব, এবং নানা ধরণের রোগ!

মায়া সভ্যতা বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ এর সকল সভ্যতার জন্যে একটি উদাহরণ! প্রকৃতির ওপরে অত্যাচার করে মানুষ নিজেরই ধ্বংস ডেকে আনে। প্রতিটি জাতি যেন মায়া জাতি থেকে শিক্ষা নেয়!

৬) মনারখ প্রজাপ্রতি মাইগ্রেশন রহস্য!


প্রতি শরৎ এ মনারখ প্রজাপতিরা দক্ষিন-পশ্চিমে কানাডা থেকে মেক্সিকো মাইগ্রেট করে। একে প্রকৃতির সবচেয়ে বিখ্যাত ভ্রমণ বলা হয়ে থাকে। পতঙ্গদের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা সফর তৈরী করে এই প্রজাপতিরা, যা প্রায় ২০০০ মাইলের ও বেশি পথ! কিভাবে এত লম্বা পথ ছত্রভঙ্গ না হয়ে পাড়ি দেয় এরা? কোথায়, কখন যেতে হবে, মনারখদের ব্রেইন কিভাবে এই তথ্য গ্রহণ ও সংরক্ষন করে?



ব্যাখ্যা: এই বিষয়টি নিয়ে বহুদিন ধরে রিসার্চ হয়েছে, এবং শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছুতে পেরেছেন। ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন এর প্রফেসর এবং এ রহস্যের লিড রিসার্চার এলি শ্লিজারম্যান ব্যাখ্যা দেন এই রহস্যের। মনারখ তাদের বড়, জটিল চোখ কম্পাসের মতো ব্যবহার করে থাকে। তাদের চোখে বিশেষ ফটোরেসেপিটার্স (এটি আলোর উপস্থিতি বুঝতে পারে এমন কোষ) থাকে যা তাদেরকে আকাশে সূর্যের অবস্থান বুঝিয়ে দেয়। এভাবে তারা দক্ষিন দিক কোনদিকে তা বুঝতে পারে। কিন্তু দু মাসের লম্বা দলবদ্ধ সফর তৈরি করতে শুধু এই তথ্যই যথেষ্ট নয়। তাদেরকে সময়ও জানতে হবে।
মানুষসহ অন্যান্য নানা প্রাণীর মতো, মনারখদেরও একটি ইন্টারনাল ক্লক থাকে। যাকে সার্কাডিয়ান ঘড়িও বলা হয়, যা সময়ে সম্পর্কে অন্তর্নিহিত একটি ধারণা। এই ঘড়ি দৈনিক শারীরিক অভ্যাস এবং আচরণের ওপরে একটি প্যাটার্ণ তৈরি করে। ২৪ ঘণ্টার চক্রে আমাদের দেহকে নির্দেশ দিয়ে থাকে ঘুমানো, খাদ্য গ্রহণ এবং জেগে উঠার ব্যাপারে। মনারখদের মাথার সরু শুঁড়টিতে এই ইন্টারনাল ক্লকটি থাকে। এটি তাদের দিনের সময় বুঝিয়ে দেয়। তারা সবসময় দুটি তথ্য পাশাপাশি মিলিয়ে দেখে, এক সময় এবং দুই সূর্যের অবস্থান। এই দুটি ম্যাচ করে তারা বুঝতে থাকে ঠিক পথেই আছে কিনা!

মনারখদের এই ভ্রমণ সূত্রকে ব্যবহার করে এমন প্রজাপতি রোবট বানানো সম্ভব যারা সূর্যের শক্তিকে ব্যবহার করে যাত্রা করবে! এদেরকে মনারখদের পেছনে স্পাই হিসেবে লাগিয়ে দিলে আরো অনেক অজানা তথ্য বেড়িয়ে আসবে! এই প্রজাপতিদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, তাই এ সকল আবিষ্কার তাদের রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস!

৭) টাঙ্গুস্কা বিস্ফোরণ!


১৯০৮ সালে, জুনের ৩০ তারিখে রাশিয়ার সাইবেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমের দুর্গম পার্বত্য এলাকা টাঙ্গুস্কা নদীর কাছে, আকাশে কয়েক মাইল জুড়ে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এ বিস্ফোরণ হিরোশিমার পারমাণবিক বোমার চেয়ে ১০০০ গুণ বেশি শক্তিশালী ছিল! এটি ঐ স্থানের আশেপাশের ২১৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে আনুমানিক ৮ কোটি গাছকে ধ্বংস করে দেয়! শব্দের তীব্রতা এতই ছিল যে তা ঐ স্থান থেকে ৩০০ কি.মি. দূরের মানুষকেও এক ধাক্কায় ফেলে দিয়েছিল। বাড়ি ঘরের সব জানালার কাঁচ ভেঙ্গে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়েছিল। বিস্ফোরনে পুড়ে যাওয়ার পর কয়েকদিন ধরে ঐ স্থানে কালো ছাইয়ের বৃস্টি হয়েছিল। কোন কারণ ছাড়াই হুট করে হওয়া এমন বিস্ফোরণ মানুষকে অবাক করে দেয়! নানা জনে নানা ধরণের ব্যাখ্যা দিতে থাকে। প্রাকৃতিক গ্যাস, বোমা, ব্ল্যাক হোল, এলিয়েন থেকে শুরু করে কোনকিছুই পালাতে পারেনি মানুষের অসীম কল্পনাশক্তিকে ভেদ করে!



ব্যাখ্যা: বিজ্ঞানীদের ১০০ বছর লেগে যায় এ রহস্যটি সমাধান করতে এবং প্রকৃত কারণ খুঁজতে! উল্লেখ্য, ঐ স্থানের আশেপাশের অধিবাসীদের কাছ থেকে জানা যায়, প্রথমে তারা আকাশে একটি সূর্যের মত উজ্জ্বল নীলাভ আলোর রেখা ছুটে যেতে দেখে। এর ১০ মিনিট পর ঐ স্থানটিতে উজ্জ্বল আলোক শিখা দেখতে পায় এবং এর সাথে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসে। ২০০৯ সালে কর্নেল ইউনিভার্সিটির রিসার্চারেরা সেদিনের জ্বলন্ত আকাশের ব্যাখা দেন। একটি বরফপূর্ণ ধূমকেতু বায়ুমণ্ডলে প্রচন্ডভাবে ধাক্কা খায়। যার ফলে পৃথিবী পৃষ্ঠের পাঁচ থেকে দশ কিলোমিটার ওপরে বায়ু বিষ্ফোরিত হয়! আর এমন ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি করে।

৮) নাজকা লাইন (কেন?)!

সাউথইস্ট পেরুতে নাজকা সভ্যতা গঠিত হয় প্রায় ১০০ বি.সি.ই. তে এবং পতিত হয় ৭৫০ সি.ই. তে। রাজধানী লিমা থেকে প্রায় ৪০০ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিত নাজকা ও পালপা শহরের মাঝখানে প্রায় ৪০০ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে দীর্ঘ আর রহস্যময় নাজকা লাইন বিস্তৃত। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নাজকা সভ্যতার মানুষজন এই বিশাল ভৌগলিক রেখাগুলো ৪০০-৬৫০ খ্রিস্টাব্দে তৈরি করেছিল। শুধু লাইনই নয় নানা জ্যামিতিক আকৃতি যেমন ট্র্যাপিজয়েড, চতুর্ভুজ, ত্রিভুজ, বর্গ এবং নানা প্রানী পাখি, মাকড়শা, বানরের ছবিও খোদাই করা! এটাই পৃথিবী বিখ্যাত নাজকা লাইন! এর মধ্যে ৮০০ টি লাইন, ৩০০ টি জ্যামিতিক আকৃতি, ৭০ টি পশুপাখি ও গাছগাছালির নকশা আঁকা রয়েছে। কিছু কিছু স্ট্রেইট লাইন ৩০ মাইলেরও বেশি জমি জুড়ে এবং পশুপাখির আকৃতি ৫০-১২০০ ফিট পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল! ৮০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রহস্য হয়ে আছে এই নাজকা লাইন! আবিস্কৃত হওয়ার পর লাইনগুলোর রহস্য উদঘাটনের জন্য অনেক গবেষণা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে প্রচলিত রয়েছে অনেক তত্ত্ব।
প্রথম রহস্য হচ্ছে কি উদ্দেশ্য ছিল এসব লাইনের? কেন তৈরি করা হয়েছে এদের এত কষ্ট করে?



ব্যাখ্যা: রহস্য সমাধানে দুনিয়ার বাইরের কোন শক্তিকে কারণ হিসেবে দাড় করাতে অনেকে পছন্দ করলেও দুনিয়ার এই রহস্যের পেছনের কারণ দুনিয়ার ভেতরেই রয়েছে! পেরুর নাজকা শহরে পানির ভীষন অভাব ছিল! পানি ভীষন গুরুত্বপূর্ণ এক সম্পদ ছিল সেখানে! ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এক্সপ্লোরার জোহান রেইনহার্ড বলেন, পরিস্থিতি বিশ্লেষন করে বোঝা যায় যে লাইন এবং জ্যামিতিক শেইপগুলো পানির সাথে যুক্ত। তবে লাইনগুলো এমন জায়গায় নিয়ে যায় না যেখানে পানি পাওয়া যায়। বরং এমন জায়গায় নিয়ে যায় যেখানে পানি ও উর্বর শস্যের জন্যে অনুষ্ঠান হতো দেব দেবতার কাছে পানির ভিক্ষা চেয়ে! সেসময়ে মাকড়শাকে বৃষ্টির প্রতীক, হামিংবার্ড কে উর্বরতার প্রতীক মনে করা হত। আর বাঁদর পাওয়া যেত আমাজনে যা ছিল পানিতে পরিপূর্ণ! এসব কিছুই ব্যাখ্যা করে সেসব লাইনের কারণ।

৯) নাজকা লাইন (কিভাবে?)!

নাজকা লাইন সম্পর্কিত আরেকটি বৃহৎ রহস্য হ্চ্ছে, কিভাবে প্রাচীন জুগে এমন সব বৃহৎ নকশা মাটিতে তৈরী করা হয়েছিল? কিভাবে তা এতদিন পর্যন্ত সংরক্ষিত হলো? এলিয়েন বা ভৌতিক শক্তি বা নাজকা জাতির দেব দেবীদের কাজ নয়তো?



ব্যাখ্যা: গবেষনায় জানা যায়, মরুভূমির উপরের স্তরের আয়রন-অক্সাইডযুক্ত শিলা সরিয়ে নাজকা লাইনগুলো তৈরি করা হয়েছে। নাজকা পৃথিবীর অন্যতম শুষ্ক এলাকা, সারা বছর জুড়ে তাপমাত্রার তারতম্য খুব কম। এ এলাকায় বাতাসের প্রবাহও খুব কম। এ কারণে লাইনগুলো শতাব্দীর পর শতাব্দী জুড়ে সুরক্ষিত রয়েছে। লাইনগুলো তৈরী করতে নাজকা মানুষেরা সাধারন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেছিল। রিসারচারেরা কিছু কিছু লাইনের শেষে কাঠের পোষ্ট বা খুঁটি খুঁজে পেয়েছিল। যা এই থিয়োরিকে সাপোর্ট করে। নাজকা প্রান্তর টেবিলের ওপরের মতোই সমান! স্ট্রেইট লাইনগুলো বানানো তাই ততটাও কঠিন হবার কথা নয়। লম্বা সব দড়ি খুঁটির মধ্যে বিছিয়ে রাখা হতো নাজকা লাইন তৈরি করার জন্যে। ১৯৮২ সালে ইনিভার্সিটি অফ কেনটাকির জো নিকেল একটি নাজকা শেইপ তৈরী করেন। তার সাথে ছিল তার বাবা, দুজন কাজিন, একজন বন্ধু, একজন ১১ বছরের ভাইপো। ৪৪০ ফুট একটি প্রানীর ডিসাইন তারা বাড়ির পাশের একটি মাঠে আঁকেন যা নাজকাদের তৈরিকৃত ডিসাইনের অবিকল প্রতিরূপ ছিল! এটি তৈরি করতে তারা দেড় দিনের মতো সময় নিয়েছিলেন। তারা ব্যাবহার করেছিলেন সেসব জিনিসপত্র যা প্রাচীন যুগে নাজকাদের কাছে থাকতে পারত। দড়ি, কাঠের পোষ্ট বা খুঁটি, এবং একটি টি-স্কোয়ার যা দুটি কাঠের টুকরো দিয়ে তৈরি করেছিলেন তারা।

তাদের এই কাজ প্রমান করে যে কোন এলিয়েন নয় সুপরিচালিত প্ল্যানিং ও সরল যন্ত্রপাতি দিয়ে নাজকা লাইন তৈরী সম্ভব ছিল! তবে হ্যা, এত বিস্তৃত সব লাইন এত বিশাল জমি জুড়ে কনস্ট্রাক্ট করা সহজ নয়। অনেক সময়, পরিকল্পনা ও পরিশ্রম নিশ্চই লেগেছিল নাজকাদের। তবে এই রহস্যজট খুলে এটা প্রমানিত হয় যে এটি অসম্ভব ছিলনা প্রাচীন যুগে! তবে হ্যা, এমন গাঢ় রহস্যের এমন সহজ সমাধান রহস্যপ্রেমীদের হতাশ করারই কথা!

১০) রক্তাক্ত সমুদ্র!

রাশিয়ার নরিলস্ক শহরের দালদিকান নদীর রং হঠাৎ একদিন বদলে যায়। নদীর পানি রক্তাক্ত লাল হয়ে ওঠে। অবস্থা দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। যদিও শুধু রাশিয়াই নয়, নদীর লাল হয়ে যাওয়া আর আনকমন কোন ঘটনা নয়। পৃথিবীর নানা প্রান্তে নদী, জলাশয় লাল হবার ঘটনা প্রায়ই শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এমন কেন হবে? এত বিপুল পরিমাণ পানি কিভাবে লাল হতে পারে? এত রক্ত কোথা থেকে এলো? কোন মারাত্মক ক্রাইম বা কল্পনার অতীত ভৌতিক ঘটনা ঘটছে না তো?



ব্যাখ্যা: রাশিয়ার অন্যতম শিল্প শহর হল নরিলস্ক যার জনসংখ্যা ১ লক্ষের কিছু বেশি। এই শহর জনবহুল ও শিল্পোন্নত হওয়ায় বাড়ছে দূষণের মাত্রা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিকেল প্রস্তুতকারক নাদেঝদা মেটালারজিক্যাল প্ল্যান্ট লদিকান নদীর তীরে অবস্থিত। মেটালারজিক্যাল প্ল্যান্টের থেকে বের হওয়া রাসায়নিক বিষক্রিয়ায় নদীর রং পাল্টে গিয়েছে। হয়ত পাইপ লাইনের কোনও জায়াগা লিক হয়ে ক্যামিকেল মিশছে নদীর জলে।

তবে শুধু মানুষই নয়, এর পেছনে অনেক প্রাকৃতিক কারণ রয়েছে! কোন নদীতে ক্ষয়ের মাধ্যমে প্রচুর পরিমানের মাটি জমা হলে পানি লাল বর্ণ ধারন করতে পারে যদি মাটিরও একই রং থাকে। তবে মাটির এভাবে নদীতে মেশার জন্যে অনেক বেশি বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন। লাল স্রোতও এর পেছনের একটি বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। সমুদ্র বা নদীর জলজ উদ্ভিদ বিস্ফোরনের মতো দ্রুতগতিতে নদীতে ছড়িয়ে গেলে লাল স্রোত উৎপন্ন হয়। এই লাল স্রোত জীব ও উদ্ভিদের শরীরে উৎপন্ন প্রাকৃতিক বিষ নদীতে ছড়িয়ে দেয়। এটি পানিতে অক্সিজেনে পরিমান কমিয়ে দেয়। সবমিলিয়ে পানির রং লাল করে দেয়!

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

এই ছিল বিশ্বের বৃহৎ কিছু রহস্য এবং তাদের জট খোলার কাহিনী! অনেকে রহস্যের ব্যাখ্যা ঠিকভাবে মেনে নিতে পারেন না। রহস্য ব্যাখ্যার মধ্যেও আরো রহস্য খুঁজে পান! যা রহস্যের আরো গভীরে নিয়ে যায় আমাদের! মজার ব্যাপার হচ্ছে, রহস্যগুলো যত জনপ্রিয় হয়, উত্তরগুলো ততটা নয়। কেননা রহস্য ভীষন পছন্দ করে কৌতুহলী মানবজাতি! অনেকের কাছে, সহজ কোন ব্যাখ্যা নয় এলিয়েন, ভূতপ্রেত এর লিংক থাকলে আরো বেশি ইন্টারেস্টিং হয় পুরো বিষয়টা! ;) তবে নিরস বিজ্ঞান তো নিজের গতিতে বাস্তবিক ব্যাখ্যা দিয়েই চলেছে! বিশ্বাস করি সামনেও আরো অনেক রহস্যের জট বিজ্ঞান খুলে দেবে.....

সূত্র: অন্তর্জাল!

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

শুভ_ঢাকা বলেছেন: ফার্স্ট হয়েছি। ব্লগার সাদা মনের মানুষ হলে বলতেন। এক কাপ চা দেন। :)

১৫ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রথম হওয়ায় আপনাকে অভিনন্দন!
হাহা, ঠিক উনি তাই বলতেন!

পুরষ্কার হিসেবে চা নিন এক কাপ :)

২| ১৫ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু জানলাম।

১৫ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জানতে ও জানাতে পারাই ব্লগিং এর উদ্দেশ্য। তাই আপনার মন্তব্যে আনন্দিত হলাম।
অনেক শুভকামনা রইল!

৩| ১৫ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪

আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: রহস্য সমাধান না হলেই ভালো। আপনার আমার মত রহস্য প্রিয় মানুষ এগুলা নিয়ে ব্যাস্ত থাকতে পারি। আর কিছু গবেষক দের পেট ও চলে এর দ্বারা।
ভালোলাগা রেখে গেলাম। আরও রহস্য পোস্ট দিতে থাকুন। ধন্যবাদ

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:০৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা, ঠিক ঠিক! রহস্য না থাকলে আপনি আমি, গবেষকদের মনের ও পেটের খোরাক আসবে কোথা থেকে? ;)

তবে এও ঠিক যে পৃথিবী রহস্যে পরিপূর্ণ! সব রহস্য সলভ করা সম্ভব নয়। একটি রহস্য সমাধান করলে আরো পাঁচটি এসে যাবে। আর আমার রহস্য যতো ভালো লাগে, এর পেছনের ব্যাখ্যা জানতে তার চেয়েও বেশি ভালো লাগে! :)

আরো রহস্য পোষ্ট? আমি তো ভেবেছিলাম এটাই শেষ! দেখি অন্য পাঠকেরাও চাইলে দেব নিশ্চই!

সুন্দর মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা ফেলো রহস্যপ্রেমী! ;)
শুভকামনা রইল!

৪| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:১৯

সত্যের ছায়া বলেছেন: বিজ্ঞানীরা যতই ব্যাখ্যা দাড় করাক এগুলো নিয়ে মানুষের ভাবতে ভাল লাগে। কল্পনায় ২৬০০০ পূর্বের মায়ান সভ্যতায় ফিরে গিয়ে শিহরিত হয়।

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:২২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। ২৬০০ বছর পূর্বের এত উন্নত মায়ান সভ্যতা নিয়ে ভাবতেই কেমন যেন লাগে!

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন!

৫| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:২৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: এত সুন্দর করে ঐতিহাসিক বিষয়গুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গেলাম।
ভালো হল জানতে পেরে।

আপনি প্রিয়তে থাকুন।

শুভকামনা সবসময়।

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমিও কৃতজ্ঞ যে আপনি সুন্দর করে পড়েছেন ও জেনেছেন!

আন্তরিক পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা আপনার জন্যেও!

৬| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৪

সোহানী বলেছেন: ভালো লাগলো রহস্যভেদ...+++

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সোহানী আপু!!!!
অনেক ভালো লাগল আপনাকে পোষ্টে পেয়ে!

পাঠ, মন্তব্য ও প্লাসে কৃতজ্ঞতা।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৭| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:১৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: রহস্যগুলো ভেদ হয়ে গেলে মজা আর থাকে না। :| সেই রহস্যগুলো'র আছে বলেই না মানুষ বেঁচে থাকায় এতো আনন্দ পায়!

ঘুটঘুটে অন্ধকারে পড়বাড়িতে নড়াচড়ার আওয়াজ, নীল আকাশে সাদা রেশ লাগিয়ে ঝকমকে কোন অজানা উড়োযানের আগমন, শনির কোন চাঁদে প্রাচীন কোন বাড়ির প্রতিচ্ছায়া.....

এসব রহস্যই কি মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় রহস্যময়ী আমাদের এই পৃথিবীতে আইজাক আসিমভ, আর্থার সি ক্লার্ক আর ডঃ জাফর ইকবালদের জন্ম দেয়নি!

কিন্তু্‌, তাই বলে রহস্য ভেদের যে আনন্দ তা থেকে রহস্যভেদী মানুষ কি আর বসে থাকে!

রহস্যগুলো ভেদের সংবাদগুলো দেওয়ার জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।

শুভ কামনা।

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রথমেই সুন্দর মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ!

কিন্তু্‌, তাই বলে রহস্য ভেদের যে আনন্দ তা থেকে রহস্যভেদী মানুষ কি আর বসে থাকে!
লাখ কথার এক কথা বলেছেন! রহস্যের ব্যাখ্যা জেনে যাবার পরে আর রহস্যটি আকর্ষনীয় মনে হয়না। তবে আবিষ্কারের আনন্দ যে স্বর্গীয়! আর একটি রহস্যভেদের পরে মানুষ আরেকটি রহস্যের দিকে ছোটে। রহস্যময়ী দুনিয়ার এই রহস্যভেদের খেলা তো চলতেই থাকে!

আপনার জন্যেও অনেক শুভকামনা রইল!

৮| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ১) বাংলাদেশে আমরা যেভাবে চলছি, তাতে মায়ান সভ্যতার মতো একদিন যে আমরা ধংস হয়ে যাবো না সে কথা বলা যাবে না।

২) প্রজাপতি মাইগ্রেশনের তথ্যটি সত্যিই বিস্ময়কর। বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা থেকে বুঝা যায় ক্ষুদ্র প্রাণীর মধ্যেও সৃষ্টিকর্তা অসামান্য ক্ষমতা দান করেছেন।

৩) টাঙ্গুস্কা বিস্ফোরণ সম্পর্কে আগেও জানা ছিল। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো এই পোস্টে বিস্ফোরণের যে ছবিটি দেখানো হয়েছে, সেটি কী প্রকৃতপক্ষে ওই বিস্ফোরণের ছবি? নাকি একটি প্রতীকধর্মী এনিমেশন পিকচার?

৪) লাল পানির স্রোতে এক ধরণের লাল রঙের অতি ক্ষুদ্র শৈবালের উপস্থিতির কারণে এরকম হয় বলে শুনেছি।

রহস্যগুলো আসলে কোন রহস্যই নয়। সব রহস্যেরই উপযুক্ত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে। হয়তো কোন রহস্যের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষা এখনো শুরু বা শেষ হয়নি। তাই সেটা রহস্য।

চমৎকার পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭।

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৩৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ডিটেইলে অসাধারণ মন্তব্যটির জন্যে ধন্যবাদ হেনাভাই।

হুমম, আমি মায়ান সভ্যতার শেষ কটি লাইনে এই ইংগিতটিই দিয়েছিলাম। দেশে ও পৃথিবীর নানা দেশে সেই একই ভুল মানুষ করে যাচ্ছে! ধ্বংসের দিকে ছুটছে টাকার লোভে! আশা করি মায়ান সভ্যতার উদাহরণ দেখে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এর মানুষেরা কিছু শিখবে!

সেই ছবিটি উদাহরণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, আসল পরিস্থিতি বোঝানোর জন্যে। প্রকৃত ছবি নয়!

হুমম, বিজ্ঞান ব্যাখ্যা দেবার আগে রহস্যই মনে হয়, পরে মনে হয় কিছুই না! হাহা।

অনেক সুস্থ্য ও সুখী থাকুন হেনাভাই!

৯| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৪০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম।

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জানাতে পেরে সার্থক বোধ করছি!

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইল রাশি রাশি!

১০| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: "জীবন " পুরোটাই এক রহস্যের আধার! পরতে পরতে যার রহস্য!
জন্ম, মৃত্যু, চক্র বা পুনরুত্থান
বিশ্বাস, অনুভব, বোধ
কি জটিল রহস্যের একেক ডাইমেনশন!

স্রষ্টাও বোধকরি তাই সত্তর হাজার পর্দার রহস্য জালে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন ;)
জেনে গেলে সব বদলে যায় যে,
না জানাতেই কত আনন্দ, সূখ, স্বপ্ন! নয়?

হা হা হা
কি কান্ড!!! সখির বিজ্ঞান মনস্ক পোষ্টে এক বস্তা আবেগী বিষয়ের অবতারনা করলাম! নয়?

রহস্য ভেদী পোষ্টে ভাল লাগা একরাশ। যদিও কিছু কিছু ব্যাখ্যা মনকে পুরো তৃপ্ত করতে পারেনি!
তারপরও অনেক ধন্যবাদ অবহিত করনে :)

শুভেচ্ছা অন্তহীন


১৬ ই মে, ২০১৭ ভোর ৬:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা মনকে তৃপ্ত করবে কি করে?
আবেগ পূর্ণ মন যে বাঁধা শুধু আপ্তবোধের ডোরে ! ;) :)

হুমম, থাক কিছু আবেগের ছোঁয়া রহস্যভেদী পোষ্টেও! মানব আবেগের চেয়ে বেশি রহস্যময় পৃথিবীতে আর আছে কি শুনি? হাহা।

সুন্দর কমেন্টে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।
অনেক শুভকামনা রইল!

১১| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালো লেগেছে অজানা অনেক কিছু জানলাম !
শুভ কামনা :)

১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:৫৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে ভীষন আনন্দিত হলাম।
আপনার জন্যেও অনেক শুভকামনা মনিরা আপা!

১২| ১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



//সত্যের ছায়া বলেছেন: বিজ্ঞানীরা যতই ব্যাখ্যা দাড় করাক এগুলো নিয়ে মানুষের ভাবতে ভাল লাগে। কল্পনায় ২৬০০০ পূর্বের মায়ান সভ্যতায় ফিরে গিয়ে শিহরিত হয়।//

-সহমত।

পোস্টে ধন্যবাদ।

কিন্তু, আপনি কি শুধু আডডাটা নিয়েই সময় কাটাবেন?

নতুন পোস্ট পাচ্ছি না কেন?

এমন হলে কেমনে চলে?

রাগ করতে ইচ্ছে করে কিন্তু!

যাক আজ আর রাগ টাগ করব না।

কিন্তু, শর্ত নিয়মিত নতুন পোস্ট নিয়ে মাঝে মাঝে হাজিরা দিতে হবে।

ঠিক আছে তো?

ভাল থাকুন নিরন্তর।

১৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই কেমন আছেন? আশা করি ভালো।

আড্ডার সাথে সাধ নেই রে। কিছু ব্যস্ততায় দূরে ছিলাম। পোষ্ট লেখার সময় ছিলনা, অনেকদিন আড্ডাঘরেও যেতাম না ব্যস্ততায় আর গেলেও একটা কমেন্ট করে যেতাম শুধু।

যাক আজ আর রাগ টাগ করব না।

যাক প্রাণটা বাঁচল! রাগ না করে কৃতার্থ করলেন! :)

কিন্তু, শর্ত নিয়মিত নতুন পোস্ট নিয়ে মাঝে মাঝে হাজিরা দিতে হবে।

নতুন একটি পোষ্ট কদিন আগে দিয়েছিলাম: view this link
ভবিষ্যৎ এ রেগুলারলি পোষ্ট দেবার চেষ্টা থাকবে। অবশ্য না দিয়ে উপায় কি? রাগ করবেন তো নাহলে! হাহাহা।

আন্তরিক মন্তব্যে ভীষন কৃতজ্ঞ।
আমার সকল শুভকামনা রইল!

১৩| ১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০

শুভ_ঢাকা বলেছেন: মায়া সভ্যতা সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলাম। কিন্তু কেন ধ্বংস হয়েছিল তা জানা ছিল না। আপনার লেখা পড়ে অবচেতন মনে লুকায়িত সেই কৌতূহল পূরণ হল। আর যেই করনে মায়া সভ্যতা ধ্বংস হয়েছিল তা যেন পুনরাবৃত্ত না হয়, সেই দিকে মানুষ যেন সচেতন থাকে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। উদাত্ত আহ্বান। কিন্তু সাধারণত দেখা যায় মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না। অন্যান্য রহস্যগুলো ও তার সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যাও কিছু ইন্টারেস্টিং আর কিছু মামুলী ছিল। নিগূঢ় রহস্য ভেদ করার মধ্যে একটা অপার্থিব আনন্দ পাওয়া যার।

চা এবং সুন্দর একটা পোষ্টের জন্য লেখিকাকে ধন্যবাদ।

১৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম মায়ান সিভিলায়জেশন ইজ রিয়েলি ফ্যাসিনেটিং!

একদম ঠিক বলেছেন। মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না, নিলে দুনিয়াটা আরো সুন্দর হতো!
আমি রহস্য নিয়ে লিখেই এত আনন্দ পাই, যারা আসলে ভেদ করেছিল রহস্যগুলো তারা কতটা আনন্দ পেয়েছিলেন তাতো বোঝাই যায়!

আপনাকেও অতিথি আপ্যায়নের সৌভাগ্য দেওয়ায় এবং পাঠে অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা শুভসাহেব!

১৪| ১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:১৯

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: আপুনি, কেমন আছো? সেই জানুয়ারি তে শেষ পোস্ট দিয়েছিলে। তারপর এতদিন গায়েব ছিলে। যাই হোক, পোস্টটা পড়লাম। আগেরটাও পড়লাম। অনেক কিছু জানা ছিল না। তোমার পোস্টের কল্যাণে জানলাম। অনেক ধন্যবাদ এমন পোস্টের জন্য। অনেকদিন তোমার কানাডার সিরিজগুলা দাও না। মিস করি পোস্টগুলো।

ভালো থেকো। অনেক অনেক শুভ কামনা। :)

১৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভাইয়ুউউউ! অনেক মিস করেছি তোমাকে! কতদিন পরে!
আল্লাহর রহমতে ভালো আছি, আর তুমি?

জানুয়ারিতে না রে, শেষ পোষ্ট দিয়েছি ১১ ই মে, এটি, view this link
আর তার আগে জানুয়ারিরটা। এভাবে ব্রেইকে ব্রেইকেই লিখি রে আমি।

নতুন কিছু জানাতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।

কানাডা সিরিজ? হুমমম, চলমান সিরিজে হঠাৎ ব্রেইক পরলে আবার ফিরে আসা কঠিন। তবে ভাইয়ু যখন বলেছে আমি চেষ্টা অবশ্যই করব! :)

তোমার জন্যে অনেক শুভকামনা।
ভাইটা আমার ভালো থাকুক, সুখে থাকুক!

১৫| ১৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

৫) মায়ান সভ্যতার রহস্য!

ব্যাখ্যায় ভুল আছে; মায়ানরা আমেরিকায় সংখ্যার দিক থেকে বর্তমান ২ আমেরিকার লোক সংখ্যার সমান ছিলো না; এখন যেই পরিমাণ বনভুমি এলাকাকে পরিস্কার করা হয়েছে, যে পরিমাণ "পলুশান" করা হয়েছে, মায়াদের সময়ে ১০০ ভাগের ১ ভাগ পরিমাণও করা সম্ভব হয়নি; তারা এখনকার মতো কেমিক্যাল, প্লাস্টিক ও গ্যাস তৈরি করেনি; ফলে খরা সেখান থেকে আসেনি; ফলে, বর্তমান ব্যাখ্যা ভুল।

১৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম বেশিরভাগ রিসার্চারেরা এই মতবাদই ব্যক্ত করেন যে প্রচুর পরিমানে গাছ গাছালি ধ্বংস করাই মায়া জাতির ধ্বংসের শুরু। মায়া জাতি প্রকান্ড সব বাড়িঘর, মূর্তি, পিরামিড তৈরি করত। সেসব স্থাপত্যের একটি ক্ষুদ্র অংশ তৈরিতেও প্রচুর পরিমাণে কাঠের প্রয়োজন হতো। এমন সব এভিডেন্স পাওয়া যায় যাতে বোঝা যায় তারা গাছের পর গাছ কেটে গিয়েছে, বন জংগল ধ্বংস করেছে! উপরন্তু সেসময়ে একটি ভয়াবহ খরা হতো সে এলাকায়। আর মায়া জাতির এমনভাবে গাছ কেটে ফেলার কারণে সেই খরা মারাত্মক এক রূপ নেয়। তাপমাত্রা সহনশক্তির বাইরে চলে যায়, কৃষি ধ্বংস হয়।
আর আমি লেখায় যা বলেছি, আবারো বলছি। "এমন একটি উন্নত জাতি অবশ্যই শুধুমাত্র একটি কারণে ধ্বংস হতে পারেনা। আরো অনেক কারণ ছিল যার সবই খরার কারণে সৃষ্ট ও বর্ধিত হয়েছিল। যেমন নাগরিকদের মধ্যে অশান্তি, যুদ্ধ, খাদ্যাভাব, এবং নানা ধরণের রোগ!"
বন জংগল ধ্বংসই একমাত্র কারণ নয়, তবে সেটি অন্যসব কারণকে মারাত্মক ভাবে বাড়িয়ে তুলেছিল। এজন্যেই মায়ান সভ্যতার ধ্বংসের প্রধাণ কারণ হিসেবে বন জংগল ধ্বংসকে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।

তবে তবে, সবাই একমত হবেন এতে তার কোন কারণ নেই। সবারই নিজস্ব মতামত থাকবে। কারো কাছে ঠিক তো কারো কাছে ভুল মনে হতেই পারে! মেজোরিটি অফ রিসার্চারস কোনকিছু বলে ফেললেই সেটি শুদ্ধ বা অশুদ্ধ হয়ে যায় না। ভবিষ্যৎ এ হয়ত আরো শুদ্ধ ব্যাখ্যা দেবে বিজ্ঞান যা সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে!

গভীরে ভাবার জন্যে, এবং মন্তব্য করার জন্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা!

১৬| ১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: বেশ কিছূ তথ্য নতুন করে জানলাম। ধন্যবাদ শেয়অর করার জর্ন

১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যে।
ভীষন ভালো থাকুন ও সবাইকে ভালো রাখুন!

১৭| ১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



'হেই' মানে কি?

আবারও রাগ করব কিন্তু!

আচ্ছা, থাক বলেছিলাম আজকে রাগ করব না।

প্রতিমন্তব্যে কৃতজ্ঞতা আবারও।

ভাল থাকুন অহর্নিশ।

১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই ইজ হেই! হাই হ্যালোর মতোই কিছু!

হায় হায়, এত রাগারাগির কথা আসছে কেন? আজকে সেইফ থাকলেও কালকে কপালে দুঃখ আছে মনে হয়! হাহাহা।

আপনাকেও পুনরায় আগমনে কৃতজ্ঞতা জানাই।

আপনিও ভালো থাকুন!

১৮| ১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



'হেই' আমি বুঝেছি আগেই। জাস্ট একটু মজা করা। আপনার সম্বোধনটা অপূর্ব ছিল এই জন্য।

ভাল থাকবেন।

১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমিও বুঝতে পেরেছিলাম যে আপনি ফাজলামি করছেন।
তাই নাকি? আগে কখনো সম্বোধনে কম্প্লিমেন্ট পেয়েছি বলে মনে হয়না! খুবই ভালো লাগল! হাহা।

হেই, ভালো থাকবেন! :)

১৯| ১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



হেই, আপনিও ভাল থাকবেন কিন্তু।

১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা, গুড ওয়ান! :)


২০| ১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: রহস্যের জট তাহলে খুলেই দিলেন আপি!!!:)


১০ নম্বর ছাড়া বাকি ৫টা সম্পর্কে জানা ছিল না!:)


রহস্যজট খুলে দেয়া পোস্টে ++

১৭ ই মে, ২০১৭ ভোর ৪:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ, আপনি! আপনাকে আমার পোষ্টে পেয়ে অনেক ভালো লাগল। :)

নতুন কিছু জানাতে পারলেই পোষ্ট সার্থক!

পাঠ, মন্তব্য, ও প্লাসে অনেক ধন্যবাদ।

দোয়া করি অনেক ভালো থাকুন। ও হ্যা, আর সেই একই দোয়া আপনার জন্যেও। আমার ব্লগে যেন বারবার আসতে পারেন! ;)

২১| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৫৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: শুভ ভাইতো আগে এসে চা নিয়ে নিল। আমার কপালে কিছু কি আছে? তবে না পাইলেও আফসোস নেই বিশাল তথ্যভান্ডারে ডুব দিতে পেরেছিলাম এই পোস্টে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো তথ্যসমৃদ্র পোস্টটি উপহার দেওয়ার জন্য।

১৭ ই মে, ২০১৭ ভোর ৪:১৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অবশ্যই আছে সুজন ভাই। আপনি কি খাবেন বলুন? চা কফি জুস? ;)

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যে।
অজস্র শুভকামনা রইল!

২২| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:০২

নীল-দর্পণ বলেছেন: খুবই সুন্দর পোষ্ট

১৮ ই মে, ২০১৭ ভোর ৪:২৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যে।
শুভকামনা রইল!

২৩| ১৮ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



হেই, আজকের সময়গুলো কেমন কাটাচ্ছেন?

১৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই, ভালো আছেন আশা করি।

আমার সময়? সামার ব্রেইক চলছে। সময় কাটছে বেশ আলসেমীতে আসলে। তেমন কিছুই করছিনা। জাস্ট রিল্যাক্সিং এজ পিপল ডু অন ভ্যাকেশনস। এককথায়, ভালোই কাটছে সময়।

আপনার সময়গুলোও ভালো কাটুক সে কামনাই করি। :)
ভালো থাকবেন।

২৪| ১৯ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: রহস্য সমাধান না হলেই ভালো। আপনার আমার মত রহস্য প্রিয় মানুষ এগুলা নিয়ে ব্যাস্ত থাকতে পারি। আর কিছু গবেষক দের পেট ও চলে এর দ্বারা।
ভালোলাগা রেখে গেলাম। আরও রহস্য পোস্ট দিতে থাকুন। ধন্যবাদ[/sb


আমার কথাগুলোই বলে গেলেন। :)

১৯ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: তবে তো আমাকেও সেই একই প্রতিমন্তব্য করতে হয়। ;)

হাহা, ঠিক ঠিক! রহস্য না থাকলে আপনি আমি, গবেষকদের মনের ও পেটের খোরাক আসবে কোথা থেকে? ;)

তবে এও ঠিক যে পৃথিবী রহস্যে পরিপূর্ণ! সব রহস্য সলভ করা সম্ভব নয়। একটি রহস্য সমাধান করলে আরো পাঁচটি এসে যাবে। আর আমার রহস্য যতো ভালো লাগে, এর পেছনের ব্যাখ্যা জানতে তার চেয়েও বেশি ভালো লাগে!

আরো রহস্য পোষ্ট? আমি তো ভেবেছিলাম এটাই শেষ! দেখি অন্য পাঠকেরাও চাইলে দেব নিশ্চই!

সুন্দর মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা ফেলো রহস্যপ্রেমী! ;)
শুভকামনা রইল!

২৫| ১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:১৬

বিষাদ সময় বলেছেন: আপনার রহস্য এবং ব্যখ্যা পড়ে খুব ভাল লাগলো। তবে এসব ব্যখ্যা নিয়ে এত বিতর্ক থাকে যে এ গুলো দেখলেই একটা কৌতুক মনে পড়ে যায়, হয়তো আপনার জানা আছে তারপরও কৌতুকটা বলার লোভ সামলাতে পারছি নাঃ

কৌতুক:

এক বাঙালী প্রত্নতাত্ত্বিক আর এক উন্নত বিশ্বের প্রত্নতাত্ত্বিক একত্রে মিলিত হয়েছেন-

উন্নত বিশ্বের প্রত্নতাত্ত্বিক গর্বের সাথে বললেন, "আমাদের দেশের মাটি খুড়ে এক সভ্যতায় হাজার বছর আগের টেলিফোন লাইন পাওয়া গেছে।"

বাঙালী প্রত্নতাত্ত্বিক, " তাতে কি প্রমাণ হয়?"

উন্নত বিশ্বের প্রত্নতাত্ত্বিক," এতে প্রমাণ হয় যে হাজার বছর আগেও আমাদের দেশে টেলিফোনের ব্যবহার ছিলো।"

বাঙালী প্রত্নতাত্ত্বিক, "অথচ আমাদের দেশের এরকম একটি হাজার বছর আগের সভ্যতায় কোন টেলিফোন তারের অস্তিত্ত্বই পাওয়া যায়নি।"

উন্নত বিশ্বের প্রত্নতাত্ত্বিক," এতে কি প্রমাণ হয়?"

বাঙালী প্রত্নতাত্ত্বিক, " এতে প্রমাণ হয় হাজার বছর আগেই আমাদের দেশে মোবাইলের ব্যবহার শুরু হয়েছিল।"

২০ শে মে, ২০১৭ ভোর ৪:২৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহাহা! আমি আসলে পড়িনি আগে কৌতুকটি। ভীষণভাবে হেসে ফেললাম। অনেক ধন্যবাদ শেয়ারে।
শুভকামনা জানবেন।

২৬| ২২ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনার দেয়া লিংক ঘুরে এলাম । দুঃখিত দেরিতে আসার জন্য , কিছুদিন ধরে প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।

লেখার প্রতিটার বিষয় বস্তু খুব আকর্ষণীয় । আমার সবচেয়ে বেশী ভাল লাগল মায়ান সভ্যতার রহস্যের ব্যাপারে জেনে । খ্রিস্টপূর্ব ২৬০০ বছর আগের একটা সময়ে মানুষের চুল দিয়ে সেলাই করা , দাঁতের গর্ত পূরণ এবং নকল পা লাগানোর-মত দক্ষতা ছিল ভেবে সত্যিই অবাক হচ্ছি । তাদের পতন বর্তমানের জন্য একটা উদাহারন হয়ে আছে তারপরও তারা যেই ভুল গুলো করেছিল আমরাও বর্তমানে তাই করে চলছি ।

আমি প্রথম মনারখ প্রজাপতির ভ্রমণের ব্যাপারে জেনেছিলাম একটা ইংলিশ বইয়ে, পড়ে ভাল লেগেছিল বিদায় সেটা পরে অনুবাদ করে ব্লগে দিয়েছিলাম । আপনি রহস্য এর ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন পড়ে তৃপ্তি পেলাম।

রক্তাক্ত সমুদ্র আমাদের বর্তমান বিশ্বের জন্য খুব খারাপ উদাহারন হয়ে থাকবে। প্রশাসনের এই দূষণ রোধে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ ।

পোষ্ট সুস্বাধু হয়েছে । ধন্যবাদ তথ্যমূলক পোষ্টের জন্য ।

২২ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ আপনি! অনেক আনন্দিত হলাম আপনাকে দেখে। ধুর, দুঃখিত হবার কি আছে? এসেছেন তাতেই খুশি। লেইট ইজ বেটার দ্যান নেভার! :)

মায়ান সভ্যতা আমাকে দারুন ফ্যাসিনেট করে। অসাধারণ উন্নত একটি জাতি ছিল! তাদের ভুলের মধ্যে আমাদের জন্যে কত বড় শিক্ষা লুকিয়ে! সবাই যদি অনুধাবন করতে পারত তবে দুনিয়াটা অনেক বেশি সুন্দর একটি জায়গা হতো।

আপনি তৃপ্ত হয়েছেন জেনে খুশি হলাম। আপনার কল্যানেই মনারখ প্রজাপতি নিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করার সুযোগ পেলাম। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই!

অসাধারন বিস্তারিত মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা জানবেন।

২৭| ২৫ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: টাঙ্গুস্কার বিস্ফোরণ হিরোশিমা-নাগাসাকির চেয়ে ১০০০ গুণ শক্তিশালী ছিলো, এই তথ্যের ব্যাপারে কি আপনি নিশ্চিত?

২৫ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ বাহ! আপনাকে এতগুলো পোষ্টে পেয়ে ভীষন ভালো লাগছে। সকাল সকাল মনটাই ভালো হয়ে গেল। :)

এই তথ্যটি আমি একটি সোর্সে পড়েছিলাম প্রথমে, এবং আমার বিশ্বাসযোগ্য মনে না হওয়ায় আমি লিখিই নি। এত বড় বিষ্ফোরণ তবুও হিরোশিমা-নাগাসাকির মতো বিখ্যাত না! তা কি করে হয়? এমনটাই ভেবেছিলাম। পুরো লেখা শেষ, তখন হুট করে সেই তথ্যটি মনের ভেতরে খচখচ করতে লাগল। এমন তথ্য কেন লেখা ছিল? এজন্যে আরো নানা সোর্স দেখতে লাগলাম। যেই সোর্সেই চেক করি, দেখি এই তথ্যটি সঠিক! সবখানে একই কথা লেখা। এজন্যে শেষে এড করে দিয়েছি। তো বলতে পারেন নিজের মনের সন্দেহ দূর করতেই নিশ্চিত হতে হয়েছে এবং হ্যা আমি মোটামুটি নিশ্চিত।

পাঠ ও মন্তব্যে আবারো ধন্যবাদ।
অজস্র শুভকামনা!

২৮| ২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:১৩

নিওফাইট নিটোল বলেছেন: মায়ান, নাজকা অার রক্ত নিয়ে অনেক অাগে কৌতুহলী ছিলাম.......কিন্তু অালস্যের কারণে অাগ্রহের খোলা জানালায় অনভ্যাসের মরচে ধরে গেছে......সহজে উঠবার না......তবে রহস্য মন থেকে হারিয়ে যায় নি......এসব নিয়ে পড়তে ভালোও লাগে অাবার সময়ও লাগে.......টিউবে ভিডিও দেখি মাঝেমাঝে ;)

পোষ্টটা পাবলিশের সময়ই পড়েছিলাম......তবে উপরের কেইসগুলো যেহেতু পুরোপুরি এখন অার মনে নাই তাই দ্রুত শুধু চোখ বুলিয়ে গেছিলাম........অাঙুলে প্রেশার দিতে মন চাইতেছিল না তখন......এখনও তাই অার কমেন্ট করলাম না......পরে কোন এক সময় না হয় =p~

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ একদিনে এতবার আপনার দেখা পেলাম! অসাধারণ ব্যাপার তো! হাহা।

ওহো, আমি জানতাম না যে আপনি বেশ আগেই পড়েছেন কিছুটা বা জানেন পোষ্টটির ব্যাপারে। এজন্যেই লিংকটি দিয়েছিলাম। আমার আহবানের কারণে আপনাকে আবার কষ্ট করে অাঙুলে প্রেশার দিতে হলো। সরিরে। ;) :D

অনেক ভালো থাকুন। হাসতে থাকুন সবসময়!

২৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আবার এসে হাজির হলাম কিছু তথ্যের জন্যে।

০১ লা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রতিমন্তব্য করতে বেশ দেরী করে ফেললাম। নানা সমস্যায় ব্লগে অনেকদিন আসা হয়নি। সরি ফর দ্যাট।

নতুন কিছু জানানোই এমন পোস্টের উদ্দেশ্য।

কৃতজ্ঞতা রইল মন্তব্যে।
শুভেচ্ছা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.