নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৮) - কানাডার প্রথম খারাপ অভিজ্ঞতা!

২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪

পূর্বের সারসংক্ষেপ: কানাডিয়ান স্কুলে ভর্তির পরে কাউন্সিলর আমাকে পুরো স্কুল ঘুরে দেখালেন আন্তরিকতার সাথে। তারপরে ওনার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে স্কুল থেকে বাড়ির পথে রওয়ানা দিলাম বাবা মার সাথে।

পূর্বের পর্বগুলোর লিংক:
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১) - প্রথমবার প্রবাসে প্রবেশের অনুভূতি!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (২) - জীবনের গল্প শুরু হলো এইতো!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৩) - সুখে থাকতে কিলায় ভূতে! (কুইজ বিজেতা ঘোষিত)!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৪) - বাংলাদেশ ভার্সেস কানাডার দোকানপাট, এবং বেচাকেনার কালচার! (কুইজ সলভড)!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৫) - কেমন ছিল কানাডিয়ান স্কুলে ভর্তি হবার প্রস্তুতি পর্ব?!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৬) - কানাডিয়ান স্কুলে ভর্তির ইন্টারভিউ অভিজ্ঞতা!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৭) - কানাডার স্কুল ভ্রমণ এবং দেশীয় মফস্বলের স্কুলের টুকরো স্মৃতি!
পূর্বের সিরিজের লিংক: কানাডার স্কুলে একদিন এবং কানাডার স্কুলে একেকটি দিন

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

স্কুল থেকে ভীষনই আনন্দিত মনে আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছি। যাবার সময়ে দম আটকে আসছিল পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে, কিন্তু ফেরার সময়ে খুবই সহজ মনে হচ্ছে পথটা। স্কুলের মানুষজনের আন্তরিকতায় প্রভাবেই হয়ত, হালকা মিষ্টি রোদময় পাহাড়ি এলাকাটাকে হুট করে বেশ নিজের মনে হলো।

বাড়ি ফিরতে ফিরতে বাবা মা আমাকে বারবার জিজ্ঞেস করছে, "কাউন্সিলর কি কি বললেন? তুই ঠিকঠাক জবাব দিতে পেরেছিস সবকিছু?"
আমিও খুব ভাব দেখাচ্ছি, যে একা একাই বিদেশী কাউন্সিলরকে সামলেছি! ইংলিশে কথা বলেছি! কি কথা হয়েছে বলব না! আমি হাসছি, তারা হাসছে! এভাবে হাসতে খেলতে বাড়ির দরজার সামনে দাড়িয়ে সবাই অবাক হয়ে গেলাম।

দরজা খোলা, হালকা করে ভেড়ানো! আমরা প্রথমে একটু অবাক হয়ে পরক্ষনেই ভাবলাম ভুল ফ্ল্যাটের সামনে চলে এসেছি। বহুতলবিশিষ্ট ভবনটির সব গলি, সব ফ্ল্যাট একই রকম। নতুন নতুন ভুল হতেই পারে। সেটা ভেবে দরজার ফ্ল্যাট নাম্বারটা আবারো চেক করে দেখে চমকে উঠলাম! এটাতো আমাদেরই ফ্ল্যাট!

আমি আর মা বাবা মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে করতে ফ্ল্যাটের দরজা খুলে ভেতরে গেলাম। কিচেনে গিয়ে দেখলাম, আমাদের এপার্টমেন্ট ম্যানেজার কিচেনের টেবিলটপে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে, আর অন্য আরেক লোক ঘরটির ব্লাইন্ডস বা পর্দা ঠিক করার কাজ করছে।

আমরা অবাক হয়ে গেলাম! আমরা বাড়িতে না থাকা অবস্থায় এরা ঢুকল কেন? কিভাবে?
বাবাকে দেখে এপার্টমেন্ট ম্যানেজার হেসে, "হ্যালো! হাই ইজ ইট গোয়িং!?" বললেন।

বাবা ওনাকে বলল, "আপনারা এখানে?"
তিনি বললেন, "তুমি বলেছিলে তোমার ফ্ল্যাটের ব্লাইন্ডসটা ঠিকমতো খুলছেনা, তাই ঠিক করতে চলে এলাম।"
বাবা বলল, "কিন্তু আপনি তো কোন টাইম দেননি, আগে থেকে বললে আমরা থাকতে পারতাম!"
উনি হেসে বললেন, "ডোন্ট ওয়ারি এবাউট ইট! ইটস ওকে!"

আরেহ কে কাকে ওকে বলে? আমরা কি সরি বলছি নাকি?

বাবা এবারে একটু গম্ভীর ভাবে বললেন, "কিন্তু আমাদের না জানিয়ে আমাদের ফ্ল্যাটে এভাবে ঢুকেছেন......."
তিনি এবারে ভুরু কুঁচকে ফেললেন, আমরা যে অস্বস্তিতে পড়েছি, সেটা বুঝতে পারলেন। তার মুখের হাসি সরে গেল, গম্ভীর হয়ে বললেন, "ডোন্ট ওয়ারি, আই এম নট গনা স্টিল ইওর স্টাফ! অনেকদিন ধরে কাজটি করছি! এই পুরো পাড়ার সব ফ্ল্যাটের দায়িত্ব আমার। আমি জানি আমার কাজ!"
সরল বিশ্বাসী কানাডিয়ানদের কেউ অবিশ্বাসের চোখে দেখলে ওনারা ভীষনই আহত হন। সারাক্ষন কথায় কথায় হাসতে থাকা কানাডিয়ানরা কখনো মুখ গম্ভীর করে ফেললে কেমন যেন অদ্ভুত লাগে! অবিনয়সুলভ কিছু ওদেরকে একদম মানাতেই চায়না।
ওনার বলার ভঙ্গিতে বাবা একটু চমকে, "ওকে ওকে!" বলে চলে আসলেন একটু দূরে দাড়িয়ে থাকা আমার আর মায়ের কাছে!

মা ইশারা করে জিজ্ঞেস করল কি কথা হলো?
এপার্টমেন্ট ম্যানেজারের কথাগুলো আমি বুঝতে পারিনি, ওনার ইংলিশ একসেন্ট একদম ধরতে পারতাম না। বাবা আস্তে আস্তে ওনার কথাগুলো জানালেন। বলতে বলতে ওনাদের কাজও শেষ হয়ে গেল, ওনারা চলে গেলেন।

কানাডায় এসে বেশ কিছু শহরে, ইভেন বেশ কিছু প্রভিন্সে থাকার সৌভাগ্য হয়েছে। অনেকবার ফ্ল্যাট পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সবখানেই এই নিয়মই দেখেছি। কোন কাজ থাকলে এপার্টমেন্ট ম্যানেজার এসে কয়েকবার নক করবেন দরজায়, বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পরেও যদি কেউ দরজা না খোলে তবে তার কাছে সব ফ্ল্যাটের চাবি থাকে। সেই চাবি দিয়ে ঢুকে পড়েন এবং ফ্ল্যাটের কোন কাজ থাকলে সেটা করে চলে যান!

ওনারা যাবার পরে মা তো ভীষনই বিরক্ত! বাবাকে বলছে, "তুমি "ওকে ওকে" বললে কিসে? এটা কেমন নিয়ম? যখন তখন লোকজন নিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়বে আমাদের অনুপস্থিতিতে!? বাহ! ভালোই রাজত্ব, লুটপাট করতে তো কোন কষ্টই করতে হবেনা!"
আর এপার্টমেন্ট ম্যানেজারের দায়িত্ব নাহয় আছে, বুঝলাম। কিন্তু আরো যাকে সাথে করে আনছে সেও তো খারাপ হতে পারে। কিছু চুরি হয়ে গেলে? সবেধন নীলমনি কিছু টাকার ওপরেই এখানে জীবন চলছে, তোমার চাকরি পাবার আগে সেগুলোর কিছু হয়ে গেলে? আমরা এখানে বিদেশী, কেইবা সাহায্য করবে!?"
মা বলে চলল, "শুধুই কি টাকার ব্যাপার? ধরো আমি বা তোমার মেয়ে ঘুমিয়ে আছে, দরজার নক শুনতে পেলাম না। বাইরের কোন লোক বাড়িতে ঢুকে পড়ল! কেমন বাজে না ব্যাপারটা? প্রাইভেসিরও তো ব্যাপার আছে!"

বাবাও চিন্তায় পড়ে গেল মায়ের কথায়! মা বাবাকে বলল, "তুমি ওনাকে কড়া করে কিছু বলতে পারলে না?"
বাবা বলল, "আমি কি বলব? ওদের যা নিয়ম সে অনুযায়ী না থাকলে তো চলে যেতে হবে এখান থেকে। তখন কোথায় যাবে বলো!?"
মা আর কথা খুঁজে পেল না।

আমার সবাই কিছুক্ষন চুপ করে বসে থাকলাম। আমার মনে পড়ে গেল দেশের একটা ঘটনার কথা। একদিন আমি আমার কাজিনের সাথে দৌড়ে খেলে বেড়াচ্ছি। মামী ডাকল ইশারা করে। আমরা গেলাম, আমাদেরকে বলল, "ঘরে বসে থাক। একটুও নড়বি না আমি না আসা পর্যন্ত।" আমরা খুব বিরক্ত, খেলায় বাঁধা পড়ল! বসার ইচ্ছে নেই জানিয়ে দুজনেই চলে আসতে লাগছিলাম, তিনি আটকালেন, আর কড়া করে বসতে বললেন! মামী এভাবে কখনোই বলেন না, আমরা সিরিয়াস কিছু বুঝতে পেরে ভয়ে বসে পড়লাম।

একটু পরে ঘরে কাজের লোক এলো ঘর মুছতে। সে মুছে চলে গেল, আমরা বসে আছি তো আছি, ভীষন বোরড। বেশ কিছুক্ষন পরে মামী এলো, এসে বলল, "এখন তোরা যা, খেল। আসলে, মতির মায়ের চুরির অভ্যাস আছে, ড্রেসিং টেবিলে তো কিছু রাখাই যায়না, তোদেরকে পাহারায় বসিয়েছিলাম।"
আমরা বেশ অবাক হয়ে গেলাম! খালা চোর! আমাদের সাথে কত মজা করে সুন্দর ভাবে কথা বলে। যাই হোক, সেদিন থেকে আমি আর আমার কাজিন কেউ বলুক না বলুক, উনি এবং অন্য কোন কাজের মানুষ কাজ করলে নজর রাখতাম। শার্লক হোমস বনে গেলাম দুজনে, যদিও হাতেনাতে কখনোই ধরতে পারিনি কাউকে।
মিস্ত্রী বাড়িতে এলেও দেখতাম মা বা বাবা কেউ একজন দাড়িয়ে থাকত। একা একা ছাড়ত না। সন্দেহগুলো অমূলকও ছিলনা, অনেকসময়েই বাইরের কেউ কাজ করে যাবার পরে বাড়িতে ছোটখাট জিনিস মিসিং যেত!

নীরবতা ভেঙ্গে মা বলল, "চলো এখনই ব্যাংকে যাব। সব টাকা জমা দিয়ে আসব, আমি শান্তি পাচ্ছিনা। আমরা তো সারাদিন নানা কাজে বাইরে বাইরেই থাকি। কখন কি হয়! চলো।"

আমি ওদিকে স্কুলে ভর্তির চিন্তায় সারারাত ঘুমাইনি, খুবই ক্লান্ত। ঘুমিয়ে পড়ব এমন অবস্থা। মাকে বললাম, "মা তোমরা যাও, আমি একটু ঘুমাবো।"
মা বলল, "তোমার মেয়েটার কোন সেন্স হলো না! দেখলি না কি হলো? তোকে এখন একা রেখে যাব? টাকা পয়সা রাখতেই ভরসা পাচ্ছিনা, আর তুই তো আমাদের মেয়ে! চল! রেডি তো হয়েই আছিস, বের হয়ে যাই সবাই।"

মায়ের যেই কথা সেই কাজ। সবাই মিলে চলে গেলাম ব্যাংকে। ব্যাংকে গিয়ে মনে হলো, মিস্টার ওয়ার্ল্ড কম্পিটিশনে এসেছি! নানা ডেস্কে বসে থাকা অথবা আশেপাশে হাঁটতে থাকা একেকটা অফিসার যা হ্যান্ডসাম! নারী কর্মীরাও বেশ ফিটফাট, পরিপাটি মেকআপে বসে আছে। পুরুষগুলো বেশিরভাগই মারাত্মক লম্বা এবং নীল চোখ তো এখানে ডালভাত! আচ্ছা হ্যান্ডসাম এন্ড বিউটিফুল হওয়া কি ব্যাংকারদের জব রিকোয়ারমেন্টের মধ্যে পড়ে?

ওখানে গিয়ে রিসিপশনে বাবা কিছু কথা বলল, রিসিপশনিস্ট মহিলা একজনকে ফোন করলেন। মহিলা ফোনে কথা বলতে বলতে আমি আশেপাশে চোখ বোলাতে লাগলাম। ব্যাংকটি বেশি বড় ছিলনা, তবে বেশ ছিমছাম করে সাজানো ছিল। জায়গায় জায়গায় ইউনিক ডিজাইনের সোফা, চেয়ার। বাস্তবের চেয়েও বেশি বাস্তবিক বড় বড় কৃত্রিম ফুল, গাছ কোণায় কোণায়।

কথা শেষে আমাদেরকে সামনের একটি অফিসে যেতে বলা হলো। ছিমছাম ছোট অফিসটিতে গেলাম। গিয়ে দেখলাম আরেক সুদর্শন পুরুষ বসে আছে। টেবিলে তেমন একটা ফাইলপত্র ছিল না, ভদ্রলোক কাজ টাজ তেমন করেন না মনে হয়!
দাড়িয়ে আমাদেরকে ওয়েলকাম করলেন। বললেন কি বিষয়ে সাহায্য লাগবে। বাবা সব বলল, তিনি নানা ডকুমেন্টস চাইলেন। সবই আমরা সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম, উনি বলা মাত্রই বের করে দেওয়া হলো। উনি বেশ খুশি হয়ে গেলেন। কম্পিউটারে আমাদের কিসব ডাটা এন্টার করালেন। খুব অল্প টাইমেই ব্যাংকের কাজটা হয়ে গেল। তেমন একটা অপেক্ষা করতে হলোনা।

বাসায় আসার পরেও মা মুখ গোমড়া করে রাখল। যখন তখন বাড়িতে লোক ঢুকে পড়তে পারে বিষয়টি মা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেনা। বাবা অনেক বোঝালো যে এতে যদি কারো ক্ষতি হতো তবে কখনোই এমন নিয়ম করত না ওরা। তুমি চিন্তা করোনা।

আমারো স্কুলে ভর্তি হবার আনন্দটা পানসে লাগছে, মায়ের মুুখে চিন্তা দেখলে আমার মাথার ঠিক থাকেনা। মাকে আমিও বাবার মতো বোঝাতে গেলাম, এবং বেশ ভালোমতো বকা খেয়ে ফিরে এলাম। বাইরের লোকের বকা ঘরের লোককেই খেতে হয়!

মন খারাপ করে রাতের বেলায় নিজ ঘরের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছিলাম একমনে। রাতের পাহাড় যে কি সুন্দর হয়! কানাডায় এসে বেশ কিছুদিন হবার পরেও আমার বিশ্বাস হয়না আমার ঘরের জানালা দিয়ে সহজেই এমন স্বর্গীয় সৌন্দর্যে ডুবে থাকা যায়! আকাশটা নীল ও কালোর মিশেলে একটা অবর্ণনীয় রং এর আবরণে ঢাকা। রংটি আলো ও অন্ধকারকে একসাথে চোখের সামনে এনে দেয়! সেই আবছা উজ্জ্বল আকাশের নীচে গভীর কালো ত্রিকোণ আকৃতির উঁচু নিচু ছায়া। পাহাড়ের শরীরের ভাঁজে ভাঁজে থাকে সূক্ষ্ণ সব প্রাকৃতিক কারুকাজ; সেসব শিল্প রাতের আড়ালে গা ঢাকা দিয়েছে। পাহাড়ের বুকে নানা বাড়ি, এবং আশপাশ দিয়ে কতশত রাস্তা বয়ে যায়! বাড়ি, গাড়ির আলোগুলো দূর থেকে পাহাড়ের বুকে ছোটছোট তারার ফুলের মতো ফুটে আছে। ঘোরলাগা চোখে কতক্ষন যে তাকিয়ে আছি নিজেরও খেয়াল নেই। উফফ! সবকিছু এত অসহ্য সুন্দর কেন?

কানাডায় এসে এ পর্যন্ত প্রতিটি দিনই ঘটনাবহুল ছিল। এ কয়েকদিনেই কতকিছু দেখে ফেললাম যেন! কত রং, চলন, বলনের মানুষ আছে পৃথিবীতে। আর প্রকৃতি মাও অপরূপা সাজে শহরটিকে রাজরানী হয়ে আগলে রাখেন। অদ্ভুত সব নিয়ম কানুনের সাথেও পরিচয় ঘটছে। ঘুম নাকি একধরণের মৃত্যু! সে হিসেবে প্রতি রাতে মানুষ মরে এবং সকালে নতুনভাবে জন্ম নেয়। কে জানে! এই রাতের পরের নতুন জীবনের নতুন সূর্যটি কি নিয়ে অপেক্ষা করে আছে........

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২১

শামচুল হক বলেছেন: পুরোটাই পড়লাম। এ পর্বটিও ভালো লাগল। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ সিরিজটিতে পাশে পাশে থাকার জন্যে।

ভালো লাগায় উৎসাহিত হলাম পরের পর্ব লেখার। সাথে থাকুন।
শুভকামনা সকল!

২| ২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একেক দেশের একেক আচার । ভালো লাগলো আপনার আজকের পর্বটি।

শুভ কামনা রইল।

২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: একেক দেশের একেক আচার ।
এক্স্যাক্টলি ঠিক কথাটি ধরেছেন। যা আমাদের কাছে খারাপ অথবা অস্বস্তিদায়ক তা অন্য অনেক দেশে স্বাভাবিক এবং উল্টোটাও ঠিক।

ভালো লাগা জানিয়ে কৃতজ্ঞ করেছেন। আন্তরিক ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যে।
শুভেচ্ছা রইল।

৩| ২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তোমাদের ফ্ল্যাটের ঘটনাটি সিম্পলি সততা ও অসততার মধ্যে ভেদ রেখা এবং ওদের কালচার ও আমাদের কালচারের মধ্যে পার্থক্যের ব্যাপার। আমাদের দেশে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার নামে কসম খেয়েও মানুষ চুরি চামারির কথা অস্বীকার করে, এটা তো ওদের কল্পনাতেও আসবে না। মোদ্দা কথা, জাতি হিসাবে উই আর নট ইয়েট সিভিলাইজড এ্যান্ড আওয়ার ভ্যালুস আর ফেক। বাট দে আর নট অফ দ্যাট কাইন্ড।

ভালো লিখেছ। ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭।

২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেনাভাই! পোষ্টে পেয়ে অনেক ভালো লাগল।

তোমাদের ফ্ল্যাটের ঘটনাটি সিম্পলি সততা ও অসততার মধ্যে ভেদ রেখা
অনেকাংশে সহমত, তবে এটা শালীনতা এবং ভদ্রতারও ব্যাপার। বাড়ির মধ্যে নারীরা থাকেন, তারা ঘুমিয়ে আছে এমন সময়ে কোন পুরুষমানুষ ঘরের মধ্যে ঢোকাটা আমাদের সংস্কৃতিতে অসম্মানজনক। ব্যাপারটি আমার এখনো ভালো লাগেনা। প্রাইভেসিতে আঘাত লাগে।
হ্যাঁ এটা ঠিক যে ওরা চুরি করবে না, কিন্তু তাই বলে এভাবে কারো বাড়িতে ঢুকে পরাও ভদ্রতার মধ্যে পড়ে না। অন্তত আমার তাই মনে হয়।

তবে কানাডিয়ানরা ব্যাপারটাকে সরল, সুন্দর বিশ্বাসের জায়গা থেকেই দেখে, সেটা ঠিক।

ভালো লিখেছি বলে প্রচুর উৎসাহ দিলেন। পাঠ ও মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ হেনাভাই।
সবসময় সুখী থাকুন।

৪| ২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আসলেইতো! বেশ অদ্ভুতুরে নিয়ম!
ঘরে কেউ নাই , তার অনুমতি নাই- একজন ঘর েঢুকে কাজ করছে! বাহরে! চিন্তাতো হবারই কথা!
যেই দেশে যেই নিয়ম!
সততা যখন সন্দেহাতীত তখন অমুলক ভাবনা অমূলকই বটে!
আবার আমাদের মতো সন্দেহবাতিক দেশে থেকে গেলে তাতে ভরসা করাটাও কষ্টেরই বৈকি! ;)

দারুন আরেকটি পর্ব পেয়ে অনেক ভাল লাগল।
জীবনের মোড়ে মোড়ে কত অভিজ্ঞতা! কত শেখার আর কত জানার! সখির বাড়ী এলে মনে হয় বুোঝা যায়!
প্রতি পর্বেই নতুন নতুন অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ হচ্ছি :)

অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর অন্তহীন শুভকামনা :)


২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সখা! আজ ফ্রন্টেই পেয়ে গেলাম! বাহ! :)

হ্যাঁ, নিয়মটি কেমন যেন। জানিয়ে আসা তো কঠিন কিছু নয়!

যেই দেশে যেই নিয়ম! সততা যখন সন্দেহাতীত তখন অমুলক ভাবনা অমূলকই বটে!
লাইনগুলো জোশশশ!

আসলেই, সব মানুষের জীবনই একেকটা বই, সেই বইতে কতশত অভিজ্ঞতা যে সাক্ষী হয়ে থাকে!

এই পর্বেও সখাকে পেয়ে আমার অনেক ভালো লাগল।
এমন সুন্দর মন্তব্য পেলে এনার্জি ড্রিংকের মতো এনার্জি পেয়ে যাই পরের পর্ব লেখার! :)

অবশ্যই সবসময় হাসতে থাকবেন, ভালো থাকবেন।

৫| ২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৭

সিগন্যাস বলেছেন: যতক্ষণ পড়ছিলাম ততক্ষণ মনে হচ্ছিল আমার নিজের সাথেই যেন এইসব ঘটছে।এতো সুন্দর করে লিখেছেন(আপনার হাতের লেখা কিরকম?) যে পড়ার সময় ডুবে যেতে হয়।কানাডার স্কুলিং সিস্টেম কিরকম?তাদেরও কি সিলেবাস ধরে ধরে পড়ানো হয়?

২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: যতক্ষণ পড়ছিলাম ততক্ষণ মনে হচ্ছিল আমার নিজের সাথেই যেন এইসব ঘটছে।
কথাটি পড়ে মনে আনন্দের অনুভূতি বয়ে গেল। অনেক উৎসাহিত হলাম।

হাতের লেখা একদম ছবির মতো না, তবে চলে। বোঝা যায়। আজকাল আর কাগজে কলম ছোঁয়ানো হয়না বললেই চলে। পড়াশোনা হোক বা ব্লগ সবকিছু কম্পিউটারেই করা হয়ে থাকে। টাইপিং স্পিড বেশ ভালোই, তাই আরো বেশি যন্ত্রের ওপরে নির্ভরশীল লেখার ব্যাপারে।

কানাডার স্কুলিং সিস্টেম কিরকম?তাদেরও কি সিলেবাস ধরে ধরে পড়ানো হয়?
এসব প্রশ্নের উত্তর ডিটেইলে পেতে সাথে থাকুন পরের পর্বগুলোতেও। :)

পাঠ ও মন্তব্যে অশেষ ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা সকল!

৬| ২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

নাজিম সৌরভ বলেছেন: আমি কানাডা যেতে পারলে সোসাইটি/এপার্টমেন্ট ম্যানেজারের চাকরি নেবো ! ;)
এশিয়ানরা কি এধরনের কাজ পায় ? :)

২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহাহা!

আসলে এখানে এশিয়ান বা অন্য কোন দেশের মানুষের জন্যে ভেদাভেদ নেই। আপনি যে দেশেরই হোন আপনার যদি কানাডিয়ান ডিগ্রী না থাকে তবে ছোটখাট পার্টটাইম জবই পাওয়া যায় শুধু। তবে কোনভাবে ছোটখাট হলেও একটা কানাডিয়ান ডিগ্রী পেয়ে গেলে, অন্য দেশের ডিগ্রী ও অভিজ্ঞতার দাম দেয় ওরা। তখন ভালো চাকরি পাওয়া যায়।

ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যে।
শুভকামনা জানবেন!

৭| ২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: বিদেশীদের রেওয়াজ আললাদা জানতাম, তবে এখানে অনেকটাই আলাদা। ভাল লাগলো।

২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সেটাই, একেক দেশে একেক নিয়ম!

ভালো লাগা জানিয়ে আনন্দিত করেছেন। অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

৮| ২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৯

লাবণ্য ২ বলেছেন: এই পর্বটি আরও সুন্দর আপু।

২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: লাবণ্য আপু, ভালো আছেন আশা করি।

তাই? দোয়া করবেন, যেন পরের পর্বও আরো সুন্দর হয় এবং প্রত্যেকটি পর্ব আগেরটার চেয়ে বেটারই হয়। :)

কৃতজ্ঞতা রইল পাঠ ও মন্তব্যে।
ভালো থাকুন, অন্যকে ভালো রাখুন।

৯| ২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তুমি যে প্রাইভেসির কথা বলছ, সেটা ওদের কালচারে নেই। এ জন্যেই আমি আমার প্রথম মন্তব্যে শুধু সততা ও অসততা নয়, কালচারের পার্থক্যের কথাও বলেছি। আমাদের কালচারে এই প্রাইভেসি খুব কঠোরভাবে মেনে চলা হয়, সেটা হয়তো ওরা জানেই না। এটা পশ্চিমা কালচারের আরও অনেক বিচ্যুতির মধ্যে একটি। আমি নিজেও এভাবে হুট করে কারো অনুপস্থিতিতে তার বাসায় বা ঘরে ঢুকে পড়ার পক্ষপাতি নই। আমাদের এই মূল্যবোধই সঠিক। ওদেরটা নয়। কিন্তু কী আর করা! যস্মিন দেশে যদাচার।

২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেনাভাই, সততা ও অসততার মধ্যে ভেদ রেখা এবং ওদের কালচার ও আমাদের কালচারের মধ্যে পার্থক্যের ব্যাপার। এই বাক্য পড়ে আমি ভেবেছি পার্থক্য বলতে সেই বিশ্বাস অবিশ্বাসের ব্যাপারটিকেই মিন করেছেন। আবারো এসে ক্লিয়াল করে দেবার জন্যে থ্যাংকস এ লট।

আপনি সব ঠিক কথাই বলেছেন। আমারো মনে হয় এ ব্যাপারে আমাদের ভাবনাই ঠিক। কিন্তু কিছু করার নেই, যে দেশের যে নিয়ম সেটা মেনে নিতেই হয়। আর ফর মোস্ট পার্ট কানাডার নিয়মগুলো ভালো ও ন্যায়সঙ্গত, এবং সেগুলো মানতে কারোরই কষ্ট হয়না। এমন দু একটা অসুবিধাজনক ব্যাপারে তাই মানিয়ে নেওয়াই যায়। :)

১০| ২২ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১০

নতুন নকিব বলেছেন:



হেই! দেখে গেলাম। যথারীতি সুন্দর। ধন্যবাদ কি এখনই দিতে হবে, না পরে এসে দেব!

২২ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই!

তখন যেহেতু দেননি, এখন এসে দিয়ে যেতে হবে! এতে আর এত ভাবাভাবির কি আছে? ;)

আন্তরিক ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যে। উৎসাহিত হলাম।
সকল শুভেচ্ছা রইল।

১১| ২২ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

সনেট কবি বলেছেন: দু’দেশের মানুষের অমিল থেকে বুঝাগেল, উন্নত ও অনুন্নত হওয়ার কিছু কারণ।

২২ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাহ! আপনি এক লাইনে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা বলে গেছেন। হয়ত সরল বিশ্বাসী হওয়া এবং বিশ্বাসযোগ্য হবার কারণেই কানাডিয়ানদের জীবন এত বেশি সরল, সুন্দর!

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা!

১২| ২২ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

কাইকর বলেছেন: ভাল লাগলো পড়ে এই পর্ব। তবে, আগের পর্বগুলো পড়া ছিল না দেখে তেমন একটা মজা পেলাম না।

২২ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভালো লাগায় কৃতজ্ঞতা জানাই প্রথমেই।

আমি প্রতিটি পর্ব স্বাধীনভাবে লেখার চেষ্টা করি, মানে একটি পড়তে অন্যটির সাহায্য লাগেনা। আর প্রতি পর্বে সারংসক্ষেপও থাকে পূর্বের ব্যাপারে ধারণা দেবার জন্যে। তাই পূর্বের পর্বগুলো না পড়া খুব বড় একটা সমস্যা হবার কথা না। বাট টু ইচ দেয়ার ওন। সময় হাতে থাকলে আরো কয়েকটি পর্ব পড়ে ফেলবেন আশা করি।

ভীষন ভালো থাকুন।

১৩| ২২ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: প্রবাসী জীবন আপনার আনন্দময় হোক।

২২ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার স্বদেশ জীবন আনন্দময় হোক! :)

মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা রইল।

১৪| ২২ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক দূর দেশে বসেও কানাডা সম্পর্কে জানতে পারছি । আমার একটা বিষয় জানতে ইচ্ছে করছে । পশ্চিমা দেশগুলোতে বসবাসরত অনেক বাংলাদেশি পশ্চিমাদের রেসিজম দেখে বেশ বিরক্ত হয়ে আছেন । কানাডাতে কি রেসিজম আছে ? সেখানে সাদা কালোদের পারস্পরিক সম্পর্ক কেমন ? ভবিষ্যতে আপনি এই টপিক নিয়ে লিখবেন বলে আশা করছি ।

২২ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই হৃদি আপু! ভালো আছেন আশা করি।

হুমম, প্রচুর পশ্চিমা দেশ আছে যেখানে রেসিজম চরম আকার ধারণ করে, তবে কানাডা কিভাবে যেন এর বাইরে! রেজিসম তেমন একটা নেই বললেই চলে। খুব বয়স্ক মানুষদের মনে হালকা কিছু স্টেরিওটাইপ থাকে নানা জাতি নিয়ে। তবে তারাও অসম্মান করে কথা বলেনা। আর ইয়াংরা তো কে কোন দেশের সেসব নিয়ে ভাবার সময়েই পায়না।
সাদা কানাডিয়ান এবং কালো কানাডিয়ানদের মধ্যেও কোন সমস্যা দেখিনি।

আর কানাডায় রেসিজম আছে কি নেই তা অলরেডী লেখায় অনেকটা বোঝা যায়। আমরা যেখানেই যাচ্ছি সে ইমিগ্র্যান্ট সার্ভিস সেন্টার হোক, অথবা স্কুল, ব্যাংক, মার্কেটই হোক, কোথাও আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। সবখানে কানাডায় ওপেনলি স্বাগতম জানানো হয়েছে। সবাই যথাসাধ্য সাহায্য করেছে। আমাদের সালোয়ার কামিজ দেখে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে কতজনে প্রশংসা করেছে! অন্য কালচার এবং মানুষের প্রতি এদের সম্মানের শেষ নেই।

তবে কানাডারও রেসিজমের ইতিহাস আছে, সে অনেক আগের কথা। সেসব নিয়ে অবশ্যই লেখা আসবে, এবং সেই ইতিহাসের কারণে তারা বর্তমানে কি সমস্যা ফেস করছে তাও আসবে সামনে। সাথে থাকুন আপু।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।
শুভকামনা আপু!

১৫| ২২ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

কাজী শীপু বলেছেন: কি সুন্দর সাবলীল বর্ণনাটা...... আরো চাই কিন্তু...!!

২২ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই পাঠ ও মন্তব্যে।

এভাবেই সাথে থাকুন, অবশ্যই সামনে আরো পর্ব আসবে আপনাদের উৎসাহে।

শুভেচ্ছা রইল!

১৬| ২২ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এ যেনো শীর্ষেন্দুকে পড়ছি না তার চেয়ে উন্নত লিখনী। সত্যি ম্যাডামা আপনার লিখনীর কোমলতা পাঠককে স্তব্ধ করে। প্রতিটি স্তবক সাজানো গোছানো বাস্তবতার ছাপে সরল উপস্থাপন পাঠক মাত্রই মুগ্ধ হবেন। এবারের পর্বটিও অন্যান্য পর্বের চেয়ে কম গুরুত্ব বহন করেনি তবে এই পর্বের হঠাৎ কারোর বাসায় বিনা অনুমতিতে ঢুকা মোটেও ভদ্রতার কাতারে পরে আমার বোধগম্য হয়না।তবে সততার উদহারণ বটে।

২২ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সুজন ভাই! এত বড় সব কম্প্লিমেন্টের জবাবে কি বলতে হয় তা আমার জানা নেই। এগুলোকে বোনের প্রতি ভাইয়ের স্নেহ, মমতার অংশ হিসেবে ধরে নিলাম। আপনার কথাগুলো সামনের পর্বগুলোতে বা যেকোন লেখাতেই প্রেরণা জুগিয়ে যাবে।

হঠাৎ কারোর বাসায় বিনা অনুমতিতে ঢুকা মোটেও ভদ্রতার কাতারে পরে আমার বোধগম্য হয়না।তবে সততার উদহারণ বটে
একদম সুজন ভাই, ঠিক বলেছেন। এই ব্যাপারটির পজিটিভ নেগেটিভ দুটো সাইডই আছে। একদিকে অভদ্রতা অন্যদিকে সততার উদাহরণ! খুব সুন্দর করে আমার লেখাটিকে সামারাইজ করে দিলেন যেন!

পাঠ ও মন্তব্যে আনন্দিত করলেন ভাই।
ভীষন ভালো থাকুন।

১৭| ২২ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

নিওফাইট নিটোল বলেছেন: প্রথমদিকের দিনগুলো তাহলে বেশ ঘটনাবহুলই ছিল বলা যায়.......তবে অামার গেসটাও প্রায় কাছাকাছিই ছিল কিন্তু- আমিও ভেবেছিলাম অনাহুত কেউ হয়তো এসেছিল.....তবে এমন (অ)ভদ্র লোকের কথা ভাবিনি :D

প্রাইভেসিরও তো ব্যাপার আছে!
আজকের এক্সপিরিয়েন্সটা আসলেই সেই লেভেলের ছিল- অন্য বেশ কিছু ব্লগেও ম্যানেজার/ওউনারদের কাছে চাবি থাকার কথা শুনেছি.......কিন্তু তালা ভেঙে খেদমত করার মত অস্থির কাহিনি কখনো পড়েছি বলে মনে পড়ে না :D .......আই মিন ওয়েস্টার্নরা প্রাইভেসিকে রীতিমতো শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে- ওদেরটা দেখেই বরং অনেক জায়গায় বিশেষত আমাদের সাব-কন্টিনেন্টেও সুশীল সমাজ এটা আমদানি করেছে বেশী দিনও হয়নি- আর সেখানে এমন স্বত:প্রণোদিত সৎ লঙ্ঘন!! =p~ .......মানে যতবার ভাবছি ঠিক বুঝতে পারছি না......জাপানের অনেষ্টিও দেখছি এদের কাছে ফেইলড!! ......যতক্ষণ ম্যানেজারের হাতে ফ্ল্যাট, ততক্ষণ নির্ভয়ে টেন্যান্ট :#)

......আশেপাশে হাঁটতে থাকা একেকটা অফিসার যা হ্যান্ডসাম!
দারুন একটা জায়গা 'দুষ্টামি' করার.....তখন করলে কেউ পাত্তা দিত না হয়তো- আর এখনতো আপনার বসন্ত :)

রাতের পাহাড়ের যেই মনোমুগ্ধকর বর্ননা দিলেন, আমি ওয়ালপেপার দেখেও ওরকম হুবহু অনুভব করতে পারি- পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা দৃশ্যমান সৌন্দর্যের প্রতিটা দিকই চোখে পড়ে যেন- সামনে থেকে দেখলে মনে হয় পাগল হয়ে যেতাম......আমারও মনে হয়- ঘুমটা না থাকলে রাতের রূপ আরও দীর্ঘ সময়জুড়ে গোগ্রাসে আস্বাদন করা যেত......সেই ঘোরলাগা সৌন্দর্যের শুভেচ্ছা থাকল পোষ্টে :)

২২ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই মাস্টারসাহেব!

আসলেই! উফফ! প্রথম কয়েকবছর যা গেছে! জীবনটা একরকম ড্রামা সিরিয়াল হয়ে গিয়েছিল। প্রতিদিন কিছু না কিছু লেগেই আছে!

গেসটা আগে জানালে মূল্য থাকত, এখন পর্ব দেবার পরে জানিয়ে লাভ নেই। হাহা।

তালা ভাঙ্গতেও হয়না, চাবি থাকে, নিজের বাড়ির মতো ঢুকে পড়ে! হাহা। এখানে যদি কমপ্লেইন দেওয়া হয় যে ফ্ল্যাটে এই সমস্যা, তবে বলে রাখবে যে সামনের সপ্তাহ বা এই সপ্তাহের মধ্যে যাব। অনেকসময়েই এক্স্যাক্ট টাইম দেয়না, কয়েকদিন হাতে রেখে বলে। কেননা অন্য লোক মানে মিস্ত্রী খুঁজে আনতে হয় কাজের জন্যে। এজন্যে ভাড়াটে যে বাড়িতেই থাকবে সেসময়ে সেটা সবসময় সম্ভব হয়না। ওরা নক করে এসে পেলে ভালো, না পেলে ঢুকে কাজ করে চলে যাবে।

দারুন একটা জায়গা 'দুষ্টামি' করার.....তখন করলে কেউ পাত্তা দিত না হয়তো- আর এখনতো আপনার বসন্ত :)
হাহা! আর বইলেন না, তখন বাচ্চা ছিলাম আর ওমন একটা ব্যাংক ছিল কাছে। একটু বড় হবার পরে এমন শহরে মুভ করলাম যেখানকার ব্যাংকে বেশিরভাগই নারী কর্মী, আর একজন টাক মাথার পুরুষ দেখেছিলাম। আমার কপালটাই খারাপ! হাহা হোহো!

আমার অনুভূতির অনুভব ওয়ালপেপারে হুবুহু আসবে না। আসলেই সামনে দেখা অন্যরকম, পাগল হয়ে যাবেন। আমাদের দেশেও প্রচুর সুন্দর সুন্দর পাহাড়, সমুদ্র আছে। আশা করি আপনি ঘুরে দেখেছেন সব, না দেখে থাকবে অবশ্যই প্রচুর বেড়াবেন। বিদেশেও বেড়াবেন। আপনি খুব কৌতুহলী, প্রকৃতি প্রেমী মানুষ !আপনার চোখ জোড়া সৃষ্টিই হয়েছে নানা জায়গার নানান রকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সংস্কৃতি দেখার জন্যে।

অশেষ ধন্যবাদ পাঠ ও বরাবরের মতোই সুন্দর মন্তব্যে।
পাহাড়ি এলাকার বৃষ্টি নিয়ে কোন একদিন লিখব, সেই বৃষ্টির আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখলাম।

১৮| ২৩ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৫:৫২

জাতির বোঝা বলেছেন: আহা, মানুষ গুলো কত সৎ। আমাদের দেশের হলে খবর ছিল। আমি জানি না আমরা কবে সভ্য হতে পারব।

২৩ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৬:৫১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমাদের দেশেও অনেক ভালো, সৎ মানুষ আছে। তবে কেউ কেউ অভাবের দায়ে অনেক খারাপ কিছুতে জড়িয়ে পড়ে। তবে সব জাতিরই প্লাস মাইনাস পয়েন্ট থাকে। আমাদের বাংলাদেশীদেরও অনেক ভালো গুণ আছে, আবার খারাপ কিছু অভ্যাসও আছে। সবমিলিয়েই আমরা বাংলাদেশী।

পাঠ ও মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভকামনা অশেষ!

১৯| ২৩ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৬:৩৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এটা আমার আপুমণি লিখেছে। এটার মজাই অন্যরকম। কেননা, আমার আপুমণির লেখায় কোন খুঁত থাকে না। সে যে তুষার দেশের ভাষায় পড়াশোনা করে তার লেখায় তা বুঝা যায় না। বাংলার যে কোন লেখকের চেয়ে আমার আপুমণির লেখা সুন্দর।

২৩ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৬:৫৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওও আমার সাজ্জাদ ভাইয়া কত্ত সুইট! থ্যাংকস এ লট ভাইয়া। এতসব আন্তরিক কথায় মনটা ভিজে গেল। সামনের লেখাগুলোতেও আপনার মন্তব্য অনুপ্রেরণার ছোঁয়া হয়ে থাকবে।

নিজের শরীর স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখবেন। আপনজনদের নিয়ে অনেক ভালো থাকবের।

২০| ২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমেরিকাও এরকমই সিস্টেম।
যদি রিপেয়ার রিকোয়েস্ট / কমপ্লেইন দেওয়া হয়, লিজিং অফিসে প্রতি ফ্ল্যাটের চাবি থাকে, নিজের বাড়ির মতো ঢুকে পড়ে। কখনওই চুরি হয়েছে শুনিনি।

তাই বলে এসব দেশে প্রাইভেসি নেই সেটাও ভাবা ভুল। ভাড়া নেয়ার আগে এগ্রিমেন্ট পেপারে আপনি ঢুকার অনুমতি দিয়ে সাইন করেছেন, তাই ওরা ঢুকতে পারছে।
আপনি ইচ্ছা করলে অনুমতি নাও দিতে পারেন।
কিন্তু একাজ কেউ করে না, কাজ ডিলে হয়।

২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আচ্ছা আচ্ছা! হ্যাঁ, আমিও চুরি হয়েছে এমন শুনিনি কখনো। আর যে ঘরে কাজ সে ঘর ব্যতীত অন্যকোন ঘরে যাবে সেটাও আমার মনে হয়না।

প্রাইভেসি অবশ্যই আছে, এবং নানা ক্ষেত্রে ভীষনই জরুরি। কিন্তু এ ব্যাপারটা কেমন যেন।

আমি তো পেপার গুলো পড়িনি বা সাইন করিনি কখনো, আমার বাবাই করে থাকেন। সেখানে কিভাবে কথাটি লেখা থাকে জানিনা। এ ব্যাপারে বলতে পারছিনা।

তবে আমার মনে হয়, একটা বাড়িতে আগে থেকে টাইম দিয়ে রাখা যে অমুক দিনে এতটায় যাব কঠিন কিছু না। তাহলেই তো কেউ থাকতে পারে বাড়িতে। আসলে ওরা কারো ঝামেলা করতে চায়না। নিজের সময়মতো নিজের কাজটি করে ফেলে।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।
অনেক ভালো থাকবেন।

২১| ২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বদলে যাও। বদলে দাও।

২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওলে ওলে আপনার প্রোফাইল পিকের পরীটা কে হেনাভাই? কোন দেশের পরী গো? যে দেশেরই হোক তাকে এত এত গুলুগুলু আদর!

সর্দারজীর সাথে গলা মেলালাম।

বদলে যাও। বদলে দাও।

২২| ২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার স্বদেশ জীবন আনন্দময় হোক! :)

মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা রইল।


নিজের দেশে না খেয়ে থাকলেও আনন্দ আছে।

২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: স্বদেশে অন্যরকম মায়া জড়িয়ে থাকে, সেই মায়ার পরশ আসলেই অন্যরকম। কিন্তু অনেককে জীবনে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা কারণে প্রবাসে পারি দিতে হয়। যাই হোক, স্বদেশী হোক বা প্রবাসী, সকল বাংলাদেশী সুখ ও শান্তিতে থাকুক!

শুভেচ্ছা!

২৩| ২৩ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

ছাসা ডোনার বলেছেন: আপু, আমি জানি না আপনি কি করেন,কতদিন যাবত কানাডায় আছেন, তবে ওখানে থেকে আপনি কানাডাকে কতটুকু ভালবাসতে পেরেছেন? আপনে কি বাংলাদেশের মত ঐ দেশকে ভালবাসতে পেরেছেন? আপনার কি কখনো কখনো মনে হয় যে এটা বিদেশ? আপনার লেখা সবগুলোই পড়েছি খুব সুন্দর লিখতে পারেন। আমার কাছে ভাল লাগে আপনার সাবলিল বর্ননা, আপনার হাতে এত সময় সবাইকে উত্তর দেন।

২৩ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি কানাডাকে ভীষন ভালোবাসি, আর ভালোবাসার চেয়েও বেশি সম্মান করি। কানাডার মতো সুযোগ সুবিধা অনেক দেশেই আছে, তবে এখানকার মতো ভালো মানুষ, সরল মানুষ খুব কমই দেখা যায়। উন্নত দেশের মানুষদের অনেক অহংকার থাকে, কানাডায় আসা অন্যান্য উন্নত দেশের নানা মানুষের সাথে মিশে সেটা আমার মনে হয়েছে। কিন্তু কানাডিয়ানরা তেমন না। ওরা নিজ দেশ নিয়ে গর্ব করে, কিন্তু অন্য দেশকেও ভীষন সম্মান করে। এই গুণটার কারণে এবং ওদের ভালোমানুষীর কারণে আমি কানাডাকে ভালোবাসি ও সম্মান করি। কানাডা আমাকে অনেককিছু দিয়েছে, এজন্যে দেশটির কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

না, আমি বাংলাদেশের মতো ভালোবাসতে পারিনি।
এই ব্যাপারটা উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, আপনার আপন মা আপনার আপন মা। সৎ মা যদি ভীষন ভালোও হয়, তবুও তাকে আপন মায়ের মতো ভালোবাসা যায়না। যদি কানাডা এবং বাংলাদেশের কোন ক্রিকেট বা অন্যকোন ম্যাচ হয়, আমি নির্দ্বিধায় বাংলাদেশকে সাপোর্ট করব। কেননা সিটিজেনশিপ অনেক দেশেরই পাওয়া যায়, কিন্তু জন্ম শুধু একটি দেশেই হয়। আর বাংলাদেশ আমাকে অনেককিছু দিয়েছে। সুখ দিয়েছিল রে দেশটা, প্রকৃত সুখ! আর কানাডা দিয়েছে সুযোগ সুবিধা!
দুটো দেশই অসাধারণ, দুটো জাতি অসাধারণ। আমার জন্মভূমি বলে বাংলাদেশের জন্যে যে অনুভূতি আছে সেটা অন্যকোন দেশের জন্যে হবেনা। আবার কানাডার জন্যে যে অনুভূতি সেটা কোন তৃতীয় দেশের জন্যে হবেনা।

নাহ! ফর মোস্ট পার্ট আমার নিজ জায়গাই মনে হয় কানাডাকে। একটা জায়গায় অনেকদিন থাকলে এমনিও সেটাকে আপন মনে হতে শুরু করে। আর এখানে সবাই অনেক আপন করে নেয়, কখনো বিদেশী ফিল করায় না, তাই ভীষন কমফরটেবল ফিল করি। আমাকে কানাডায় রাস্তায় খুব স্বাধীনভাবেই হাঁটতে, চলতে দেখবেন। তবে বিদেশ মনে না হলেও, কানাডাকে তো বাংলাদেশ মনে করা সম্ভব হয়না। আর কষ্টটা সেটাই। নিজের দেশে নেই তার চেয়ে বেশি বাংলাদেশ নামক নিজ দেশটিতে নেই সেই কষ্টটা হয়।

ওমা তাই! আন্তরিক ধন্যবাদ সবগুলো লেখার পড়ার জন্যে। ভীষনভাবে অনুপ্রাণিত হলাম।
সবসময় হাতে সময় থাকেনা, আমি পোস্ট তখনই করি যখন সময় থাকে। পোস্ট লিখে মন্তব্যের উত্তর না দেওয়াকে ক্রাইম মনে করি।

ধন্যবাদ পাঠ ও অন্যরকম মন্তব্যে।
ভীষন ভীষন ভালো থাকবেন।

২৪| ২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩৬

ছাসা ডোনার বলেছেন: আপু ,ধন্যবাদ আপনাকে । আসলে আমি ব্যক্তিগত ভাবে ইউরোপের সব দেশ ঘুরেছি , জীবনের অনেকটা সময় বিদেশে কাটয়েছি, অনেক টাকা পয়সা রোজগার করেছি কিন্তু জন্মভুমির মত মজা কোথাও অনুভব করিনি। আমি যদি কোনদিন কানাডা বেড়াতে আসি আপনার সাথে দেখা করবো যদি আপনার কোন আপত্তি বা অসুবিধা না থাকে। ভাল থাকবেন । নতুন কোন অভিগ্গতা নিয়ে লিখবেন প্লিজ।

২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাহ! নানা দেশ বিদেশ ঘোরা মানুষ আপনি! নিশ্চই অনেক জ্ঞান কুড়িয়েছেন জীবনের নানা অভিজ্ঞতায়।

আমার কৌতুহল হচ্ছে জানার, বাংলাদেশের বাইরের কোন দেশ আপনার সবচেয়ে পছন্দের?

আসলেই, জন্মভূমিতে মজা বা আনন্দটা লাগে। আর অন্য দেশে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকা যায়। সুখ আর স্বাচ্ছন্দ্য দুটো আলাদা ব্যাপার।

যদি আপনারা পাশে থাকেন, তবে অবশ্যই লিখতে থাকব।
শুভেচ্ছা।

২৫| ২৭ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: দেরিতে হলেও পড়ে গেলাম!

২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:১০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে, সময় করে বাসি লেখায় তাজা মন্তব্য করে যাবার জন্যে। অনেক খুশি হলাম আমি।

শুভেচ্ছা।

২৬| ২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

ছাসা ডোনার বলেছেন: আপু দেশের বাহিরে আমার অনেক দেশই ভাল লেগেছে, কিন্তু শুধু মাত্র ভ্রমনের জন্য,কারন বিদেশ বিদেশই । আপনি কোন সময়ই মন থেকে ফিল করবেন না যে এটা আপনার দেশ। ইউরোপের প্রতিটা দেশেই আছে নাৎসি গ্রুপ যাদের স্লোগানই হল যেমন জার্মান শুধু জার্মানিদের জন্য এক কথায় বিদেশি হটাও। মনে করেন আপনি রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছেন কেউ যদি আপনাকে বলে এই ব্ল্যাক
তুমি আমাদের দেশে কি কর? চলে যাও নিজ দেশে, আপনার কি ভাল লাগবে?
ভাল থাকুন আপু !!!

২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:১৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি সেটাই জানতে চেয়েছিলাম যে কোন দেশে বেড়াতে সবচেয়ে আনন্দ পেয়েছিলেন! ভিনদেশকে তো আর নিজের দেশ ভাবা যায়না।

ইউরোপের প্রতিটা দেশেই আছে নাৎসি গ্রুপ যাদের স্লোগানই হল যেমন জার্মান শুধু জার্মানিদের জন্য এক কথায় বিদেশি হটাও। মনে করেন আপনি রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছেন কেউ যদি আপনাকে বলে এই ব্ল্যাক
তুমি আমাদের দেশে কি কর? চলে যাও নিজ দেশে, আপনার কি ভাল লাগবে?

আমি বিশ্বাসই করতে পারছিনা এমন হয়! জার্মানিতে প্রচুর ইমিগ্র্যান্ট যায়। এমন অবস্থায় তারা সার্ভাইব করে কি করে? আমার কিছু জার্মান বন্ধু আছে, তাদেরকে এমন গোড়া মনে হয়নি। কানাডায় তো এসব ভাবাই যায়না! সবাই সবাইকে সম্মান করে।

ধন্যবাদ প্রতিমন্তব্যের জবাব দিয়ে যাবার জন্যে।
আপনিও ভীষন ভালো থাকবেন।

২৭| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪১

ছাসা ডোনার বলেছেন: আপু , শুধু জার্মান না ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, রাশিয়া, প্রতিটা দেশেই আছে।

০২ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওমা! সত্যিই? মানে মুখের ওপরেই বিদেশীদের অপমান করে? তাদের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ করে?

ইংল্যান্ডে কিছু পরিচিত আছেন, তারা তো কখনো বলেন নি এমন কোন অভিজ্ঞতার কথা!

২৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: হুট করে অপরিচিত লোক ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়াটা আসলেই অস্বস্তিকর! তবে যে দেশে থাকবেন সে দেশের নিয়ম তো মানতেই হবে?

আরেকটা ব্যাপার, আপনার জানালা থেকে দেখা অপূর্ব সুন্দর পাহাড়ের কিছু ছবি দিলে মনে হয় পোস্টটা আরও ভালো জমত।
পোস্টে প্লাস! এগিয়ে যান।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুট করে অপরিচিত লোক ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়াটা আসলেই অস্বস্তিকর! তবে যে দেশে থাকবেন সে দেশের নিয়ম তো মানতেই হবে?
সেটাই রে। আপনি সবই বলে দিলেন।

রাতের পাহাড়ের ছবিগুলো একদমই ফুটত না দূর থেকে। ছায়া ছায়া গাঢ় কালো পাহাড়গুলোকে শুধু খেয়াল করে অনুভব করা যায়। হারিয়ে যাওয়া যায়। ক্যামেরা কি ক্ষমতা তাকে বন্দি করার!? হাহা।

পাঠ, সুন্দর মন্তব্যে এবং প্লাসে কৃতজ্ঞতা জানাই।
একই কথা বলব, সাথে থাকুন, এগিয়ে যাব অবশ্যই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.