নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৯) - আবারো দুটিতে একসাথে, প্রেমের পথে... :`> (কুইজ সলভড)

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

পূর্বের সারসংক্ষেপ: স্কুল থেকে এসে এপার্টমেন্ট ম্যানেজার এবং তার আনা মিস্ত্রীকে দেখে আমরা অবাক হয়ে গেলাম।
কানাডায় এপার্টমেন্ট ম্যানেজার বাড়ির কাজে ভাড়াটিয়ার অনুপস্থিতিতে আসতে পারেন। কয়েকবার নক করেন, যদি ভেতরে ভাড়াটে না থাকে ঢুকে পড়েন।

পূর্বের পর্বগুলোর লিংক:
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১) - প্রথমবার প্রবাসে প্রবেশের অনুভূতি!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (২) - জীবনের গল্প শুরু হলো এইতো!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৩) - সুখে থাকতে কিলায় ভূতে! (কুইজ বিজেতা ঘোষিত)!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৪) - বাংলাদেশ ভার্সেস কানাডার দোকানপাট, এবং বেচাকেনার কালচার! (কুইজ সলভড)!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৫) - কেমন ছিল কানাডিয়ান স্কুলে ভর্তি হবার প্রস্তুতি পর্ব?!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৬) - কানাডিয়ান স্কুলে ভর্তির ইন্টারভিউ অভিজ্ঞতা!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৭) - কানাডার স্কুল ভ্রমণ এবং দেশীয় মফস্বলের স্কুলের টুকরো স্মৃতি!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৮) - কানাডার প্রথম খারাপ অভিজ্ঞতা!
পূর্বের সিরিজের লিংক: কানাডার স্কুলে একদিন এবং কানাডার স্কুলে একেকটি দিন

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
কানাডায় এসে প্রথম প্রথম একটা তীব্র ঘ্রাণ নাকে এসে লাগত। ঘ্রাণটি ভালোও না খারাপও না; সুগন্ধ, দূর্গন্ধ ক্যাটাগরিতে ফেলার মতো না। ব্যাস অপরিচিত একটা স্মেল। আমাদের বারান্দার একটু সামনেই অনেক গাছ গাছালি ছিল। মা বলত সেসব থেকেই বোধহয় আসে। আমি এটাকে "বিদেশ" ঘ্রাণ বলি। বারান্দায় দাড়ালে তো তীব্রভাবে বোধ করিই, তাছাড়া বাইরে কিছুক্ষন হাঁটলেও এর উপস্থিতি টের পাই। আমি বাংলাদেশ ও কানাডায় মাটির কাছে বসে অনেক সময় কাটিয়েছি। দু দেশের ঘাস ও মাটির গন্ধটা আলাদা। এটার বৈজ্ঞানিক, ভৌগোলিক কারণ অবশ্যই আছে। তবে আমি অতো কিছু ভাবিনা, শুধু জানি, "দেশ" ও "বিদেশ" ঘ্রাণ। একটি ফেলে আসা পরিচিত, আপন, আদুরে ঘ্রাণ, আরেকটি নাকের কাছে আসা অচেনা, তীব্র, কৃত্রিম একটি ঘ্রাণ।

তখন কানাডায় মাসের কিছু কম সময় হয়েছে। আমি প্রথম সপ্তাহে "বিদেশ" ঘ্রাণ যতটা তীব্রভাবে অনুভব করতাম, এখন আর করিনা। সয়ে এসেছে। দিনগুলো কেটে যাচ্ছে কোনভাবে। কোনদিন বাবা মার সাথে ইমিগ্র্যান্টদের সাহায্য অথবা ডকুমেন্টস রিলেটেড অফিস, ব্যাংক, মার্কেটে যেয়ে। আর যদি বাড়িতে থাকার সৌভাগ্য হয় তবে ইউটিউবে নাটক, সিনেমা দেখে। স্কুল শুরু হতে বেশ কিছুদিন বাকি। সেই যে এডমিশনের জন্যে গেলাম, এরপরে আর যাওয়া হয়নি। যখনই মনে হচ্ছে সেই উদ্ভট ড্রেস ও চুলের ছেলেমেয়েদের সাথে ক্লাস করতে হবে, ভয় পেয়ে যাচ্ছি। দিনগুলোতে এক ধরণের অবসাদ, বিষণ্ণতার ছোঁয়া লেগে আছে। দেশীয় মায়ামাখা পরিবেশ, আপনজন ও "দেশ" ঘ্রাণকে খুব মনে পড়ে। কানাডাতেও এমনকিছু মজা হচ্ছেনা। শুধু কাজ আর কাজ!

যদিও একটা বিষয় আমি খুব উপভোগ করছি। আমার বাবাকে জীবনে প্রথমবার বাসন মাজতে দেখলাম এখানে এসে! বাংলাদেশে কাজের লোক ছিল মা কে সাহায্য করার জন্যে। এজন্যে বাবা কখনো রান্নাঘরে পা রাখেনি। রান্নাঘরে কোথায় কি আছে কিছুই জানত না। একটু পানি আনতে গেলেও মা অথবা কাজের লোক জলদিই এনে দিত। যেন বাবা রান্নাঘরের কোন কাজ করলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে!
কিন্তু কানাডায় আসার পরে "বাবা ঘরের কাজ করতে পারবেনা" এই অলিখিত নিয়মটা হুট করেই উধাও হয়ে গেল! বাবা মাঝেমাঝেই বাসন মেজে দেয়। রান্নায় মা কে সাহায্য করে। মা কে আবার আইডিয়া দেয়, মাংসের সাথে এই সবজিটাও দিয়ে দাও, বা ডালে এই মশলাটাও ভালো লাগবে। মা গরম চোখে তাকায়, "তুমি বেশি জানো? এমন কম্বিনেশনে রান্না হয়?" বাবা অসহায় হয়ে বলে, "ট্রাই করতে দোষ কি?" মায়ের রাগান্বিত চেহারা দেখেও বাবা হতাশ না হয়ে আইডিয়া দিতেই থাকে। তবে সেসব উদ্ভট রেসিপি মায়ের কল্যাণে কখনো খেতে হয়নি।

দেশে রান্নাঘরটা ছিল ঘরের এক কোণায়। ডাইনিং ও ড্রয়িং রুম থেকে অনেক দূরে। কানাডায় ডাইনিং এবং কিচেন একই সাথে। ড্রয়িং রুম ও কিচেনের মধ্যেও আলাদা কোন দরজা নেই। ওপেন কিচেন কনসেপ্ট আরকি। মা খুবই রাগ করে। কি নিয়ম! মেহমানের সামনেই ঘাম, মশলায় মাখামাখি হয়ে রান্না করতে হবে! যত্তসব! আমি মায়ের কথা শুনে হেসে দেই।

মা যতোই রাগ করুক এই ওপেন কিচেন কনসেপ্ট সবার মনটাকে ওপেন করে দিয়েছে।

দেশে থাকতে হুমায়ুন আহমেদের একটা লেখায় পড়েছিলাম, পরিবারের বাবা মনে মনে বলছেন, সংসারে দুটো গ্রুপ হয়ে গেছে। মা ও মেয়েদের একটি গ্রুপ এবং আরেকটি গ্রুপ বাবার।
পড়ে মনে হয়েছিল, সত্যিই তো! বাবার বলা অফিসের গল্পগুলোও খুব বোরিং লাগে, কিন্তু মায়ের সাথে সারাক্ষন গুজুর গুজুর চলতেই থাকে। বাবা সকাল থেকে রাত কাজে বাইরে থাকার কারণে সন্তানদের কাছে যেন অপরিচিত হয়ে যান। যেকোন টিভি অনুষ্ঠান মা, মেয়ে একসাথে দেখে, বাবা খবর ও খেলা দেখেন একা একা। বাবাকে সেভাবে পাওয়াই যায় না তাই মাই হয় সন্তানের বেস্ট ফ্রেন্ড। বেচারা বাংলাদেশী বাবারা, সংসারের জন্যে খেটে সংসার থেকেই যেন আলাদা হয়ে পড়েন!

আমাদের পরিবারও ভিন্ন কিছু ছিলনা। দেশে থাকতে বাবা মা দুটো দল হয়ে কাজ করত। মানে মা সংসারের সামলাবে ঘরের অভ্যন্তরীণ সব, আর বাবা সামলাবে বাইরের সব কিছু। কিন্তু বিদেশে আসার পরে তারা এক দল হয়ে গেল। বাবা নতুন দেশের কোন জায়গা চেনে না, চাকরি নেই। মাও ভিনদেশে অস্বস্তি বোধ করে। দুজনে মিলে দুজনকে হেল্প করতে শুরু করে দিল সবকিছুতে! বাবার যেকোন কাজে মাও সাথে সাথে বাইরে যাচ্ছে, বাবাও সারাক্ষন রান্নাঘরে ঘুরঘুর করছে। বহুদিন পরে মেয়ে, স্ত্রীর সাথে সময়ে পেয়ে বাবার চোখেমুখে একটা পরিতৃপ্তি দেখতে পাই। আর মা? সেই একই, মেজাজ দেখায় সবকিছুতে, কিন্তু মনে মনে নিশ্চই এই পরিবর্তনে সেও খুশি।

আমি যারপরনাই মজা নিচ্ছি পুরো ব্যাপারটাতে। বাবা মা যেন আমি হবার আগের টাইমটাতে চলে গিয়েছে। একদম নতুন করে সংসার শুরু করার টাইমে! দুজনেরই কপালে চিন্তার ভাজ যে এই নতুন দেশে দাড়াতে পারবে কিনা। আবার একই সাথে একধরণের রোমাঞ্চ দেখতে পাই তাদের চোখেমুখে।

ওপরের কথাগুলো ভাবতে ভাবতে অনুভব করলাম বাস থেমে গেছে। মানে পৌঁছে গেছি! বাস থেকে নেমে কিছু দূর হেঁটে একটা বিশাল বিল্ডিং এর সামনে এলাম। কাঁচের দরজা পেরিয়ে ভেতরে ঢুকে রিসিপশনে গেলাম, সেখান থেকে যার সাথে এপয়েন্টমেন্ট ছিল তার কাছে।

চশমা পরিহিতা, কোকড়ানো চুলের এক বয়স্কা কানাডিয়ান মহিলা হেসে নিজের রুমে ঢোকার পারমিশন দিলেন। বাবা তাকে জানালেন যে ইমিগ্র্যান্ট সার্ভিস সেন্টার এখানে রেকমেন্ড করেছে। তিনি সাথে সাথেই যেন ব্যাপারটা বুঝে গেলেন! বাবা মা এবং আমাকে আমাদের পড়াশোনা, পেশার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। বলা হলো সব।

তিনি বাবা মার দিকে তাকিয়ে বললেন, "বাহ! তোমরা তো হাইলি এডুকেটেড!"
তিনি জানালেন, "আমাদের প্রতিষ্ঠানে কোর্স আছে যেটা সরকার ফ্রি করে দিয়েছে জবলেস কানাডিয়ান এবং ইমিগ্র্যান্টদের সাহায্যে। সি, ডিফারেন্ট কান্ট্রিস হ্যাভ ডিফারেন্ট ওয়েজ অফ রাইটিং রেজুমেস এন্ড এটসেটরা। আমাদের এখানে কানাডিয়ান সিস্টেমে রেজুমে লেখা, ইন্টারভিউ্যুতে কথাবার্তা, ম্যানারস, জব মার্কেট সম্পর্কে শেখানো হয়। নানা দেশের মানুষের পাশাপাশি কানাডিয়ানরাও এই কোর্সটিতে ভর্তি হয়।" থেমে আরো যোগ করলেন, "এটা একটা ক্র্যাশ কোর্স, মানে প্রতিদিন লম্বা সময় ক্লাস চলবে, কয়েক মাসে শেষ হয়ে যাবে, এবং অনেক বিষয় কভার করবে ইনস্ট্রাকটরেরা।"

ফ্রিতে এমন সাহায্যে বাবা খুবই খুশি হয়ে গেল। বাবা সাথে সাথে ভর্তি হতে চাইল।
সেই মহিলা বললেন, "তুমি আর তোমার ওয়াইফ ভর্তি হয়ে যাও। তোমাদের মেয়ে যখন স্কুল শুরু করবে এসব স্কুল থেকেই শিখে যাবে।" বলে আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হাসলেন। আমিও হাসিতে রসগোল্লা, কালোজাম মিশিয়ে ফেরত দিলাম।

মা বাবার দিকে তাকিয়ে ইশারা করছে। মা চাচ্ছে বাবা যেন বলে যে মা কোর্স করবে না। বাবা কিছুই বলছে না! মা নিজেও গুছিয়ে বলতে পারেনা ইংলিশ, কি বলবে না বলবে বুঝতে না পেরে চুপ করে আছে।

বাড়িতে আসতে আসতে আমি তো হেসেই বাঁচিনা। সেই মহিলা ভেবেছেন মায়ের মতো উচ্চশিক্ষিত মানুষও নিশ্চই জব করবে। এজন্যে আর জিজ্ঞেসও করেনি! নিজেই সবকিছু বলে গেলেন, ভর্তি করে দিলেন। মায়ের চেহারা যা হয়েছে! দেখার মতো! হিহি।

বাসায় এসেই মা বাবাকে বলল, "তুমি বললে না কেন যে আমি ভর্তি হবো না? আমি তো বাড়িতেই থাকি, এসব শিখে আমার কি হবে!?"
বাবা বলল, "আহা বোঝার চেষ্টা করো, এখানে দুজনকেই জব করতে হতে পারে। বাড়ি ভাড়া আর মাসিক খরচ কত দেখছই তো। ফ্রিতেই এমন একটা শেখার সুযোগ হাতছাড়া করবে কেন? আর কিছু না হোক সবার সাথে উঠতে বসতে পারবে সহজে। এত জড়তা থাকলে তো হবেনা এদেশে।"
মা বলল, "আমি এতদিন ঘরের মধ্যে বন্দি, এখন হুট করে বললে তো হবেনা। দেশেও তো চাকরি করতাম না, পড়াশোনা শেষ করে কত বছর হয়ে গেল। এখন এই বয়সে এসে, ভিনদেশে, সম্ভব এটা?"
বাবা বলল, "লক্ষ্মী তুমি একটা দিন যাও, ভালো না লাগলে ওরা তো আর ধরে রাখবেনা। আর ফ্রিইতো! ওদের সরকার কতো হেল্পফুল ভাবো একবার!"
মা রেগে বলল, "রাখো তোমার ফ্রি, ফ্রিতে পেলে তুমি আলকাতরা খেয়ে ফেলবে। আমি যাব না, ওদের ভাষাই তো বুঝিনা, যেয়ে কি করব? বোকা হয়ে বসে থাকব? তুমি এসব নাটক দেখতে আমাকে এখানে নিয়ে এসেছ?"
এসব শুনতে শুনতে বোরড হয়ে আমি আমার ঘরে চলে গেলাম। তাদের আলোচনা চলতেই থাকল। শেষমেশ মা হ্যাঁ বলল। একদিন যাবে শুধু বাবাকে সাপোর্ট দিতে, এই শর্তে। সব ঠিকঠাক।

আমি তো খুবই এক্সাইটেড। বাবা আর মা আবারো পড়বে! তাও আবার একসাথে! অনেকে ক্লাসমেটের সাথে প্রেম করে বিয়ে করে, আর আমার বাবা মা বিয়ের এতদিন পরে ক্লাসমেট হতে যাচ্ছে! হাহাহা!

ডিনার করতে করতে মা হুট করে বলল, "একটা বড় সমস্যা আছে! এটা তো আমি ভাবিইনি! না আমি যাচ্ছিনা কোনভাবেই। তুমিই যাও ট্রেনিং নিতে।"

বাবা আর আমি মুখ চাওয়াচাওয়ি করলাম, আবার কি হলো????

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

কুইজ: মা কোন সমস্যাটির কারণে বিশেষভাবে যেতে চাইছেন না?
কুইজটি সহজ, পাঠক পারবেন আশা করছি।

আগেভাগে এটাও বলে দিচ্ছি শেষ পর্যন্ত তাকে বুঝিয়ে পাঠানো হয়! একজন গৃহবধুর জন্যে নিজ দেশেও হুট করে বাইরের দুনিয়ায় জব বা পড়াশোনা করাটা ভীষনই চ্যালেঞ্জিং। আমার মা বিদেশে সেই চ্যালেঞ্জ ফেস করেছেন। এজন্যে তাকে নিয়ে গর্ব করি। মায়ের মতো অন্যসব প্রবাসী নারীদের প্রতিও সম্মান থাকল। আমার স্কুল দিনগুলোর কথা তো আগের সিরিজে জেনেছেন কিছু কিছু, পরের পর্বে আমার মায়ের কানাডিয়ান ক্লাসের দিনগুলোর ব্যাপারে জানবেন। তার প্রথম দিন কেমন গেল এবং প্রথম দিনটির পরে আরো দিন ছিল কিনা সেসব নিয়ে লিখব। টিল দেন বাই! :)

কুইজের উত্তর ৩০ নাম্বার মন্তব্যে দেওয়া হয়েছে, কৌতুহলী পাঠক চেক করে নেবেন। :)

মন্তব্য ৬৩ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৬৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমার আপুস‌নি!

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপুমনি বলতে চেয়েছেন নিশ্চই। প্রথম হবার জন্যে অভিনন্দন ভাইয়া। আপনাকে পোস্টে পেয়ে এবং প্রথমেই পেয়ে ভীষনই খুশি হলাম। :)

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

সিগন্যাস বলেছেন: প্রথম হয়েছি?

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নাহ হননি!
ভেংচি! :)

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমার আপুম‌নি, তু‌মি খুব ভা‌লো লেখ। চো‌খে সামান্য সমস্যার কার‌ণে লিখ‌তে ভুল হয়। মোবাই‌লে বাংলা লেখা সহজ কাজ নয়।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: থ্যাংকস এ লট ভাইয়া, অনেক খুশি হলাম।

হ্যাঁ, কঠিনই, মোবাইলে তো আমি কখনো লিখিইনা বাংলা। যারা মোবাইলে লিখে ব্লগে লম্বা লম্বা পোস্ট করে বা মন্তব্য করে তাদেরকে লটস অফ রেসপেক্ট। আমি পারবই না এত ধৈর্য্যের কাজ করতে।

ভালো থাকুন।

৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

সোহানী বলেছেন: আমার লাস্ট ব্লগে একজন কমেন্ট করেছে যে আাম বা তুমি একে অপরের পোস্টে কমেন্টস করি না। হাহাহাহাহাহা........... আমার জবাবটা দেখে এসো।

বরাবরের মতই ভালোলাগা। অবশ্যই নতুনদের জন্য একটি গাইডেন্স।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা! পড়ে এলাম আপু। উফফ! পিপললল! যে পোস্টে কমেন্টটি করা হয়েছে সেখানে আমার লাইকও আছে। পোস্টটি দেবার প্রায় সাথে সাথেই পড়ে লাইক দিয়েছিলাম। সে পোস্ট না তবে আপনার কয়েকটি পোস্টে কমেন্ট করেছি, পড়েছি প্রায় সব পোস্টই। অনেকসময় কমেন্ট করা হয়না কেননা পোস্ট নিয়ে যা মতামত দেবার তা আমার কোন না কোন লেখায় দেওয়া হয়ে যায়। যেমন আপনি যা লিখেছেন প্রবাসীদের নিয়ে তার কাছাকাছি কিছু আমিও লিখেছিলাম। তাই আর আলাদা করে হয়ত সেভাবে বলা হয়না অতোকিছু। কিন্তু পড়ে, অথবা লাইক দিয়ে পাশে থাকা হয়। আর আপনিও আমার ব্লগে মাঝেসাঝেই কমেন্ট করেন। কদিন আগেই সুন্দর একটি কমেন্ট করে গেলেন। মানুষজন যে কি খেয়াল করে আর কি ভাবে!

ওপরের কথাগুলো আপনার জন্যে না, ওনার মতো এমন কনফিউশন যাদের আছে তাদের জন্যে। আর আপনি যে প্রতিমন্তব্য করেছেন তাতে লাইক। কানাডা নিয়ে অনেকেই লিখে থাকেন, এভাবে আমাদেরকে নিয়ে কথা উঠল কেন বুঝলাম না। যাই হোক, যে যা ভাবুক, আই লাভ ইউ আপু! :)

ভালোলাগায় আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। অনেক উৎসাহ পেলাম।
ভালো থাকুন।

৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

সিগন্যাস বলেছেন:
সমস্যা নাই :P

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অবশ্যই সমস্যা আছে। দুনিয়া প্রথমদেরই মনে রাখে, দ্বিতীয় বেস্টদের কথা কারো মনে থাকেনা। ;)

৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

লাবণ্য ২ বলেছেন: ভালো লাগল আপু।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: লাবণ্য আপু, প্রতি পর্বে অনুপ্রেরণা হয়ে পাশে থাকার জন্যে থ্যাংকস এ লট। আপনাদের মতো মানুষদের জন্যেই লিখে যাবার আগ্রহটা থাকে।

শুভেচ্ছা।

৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: হেই মিস বোকামতী! কেমন আছেন? আপনার আগের সব পর্ব ঠিকমত পড়া হয়নি। তবে সময় বের করে পড়ে নেয়ার সুতীব্র ইচ্ছা রাখি। এই পর্বটা সকাল সকাল দেখতে পেয়ে চোখ বুলিয়ে নিলাম। আপনি যে খুব ভালো লিখেন তা কি নতুন করে বলতে হবে?

আপনার মা’র অনীহা সম্ভবত বাসার রান্নার সমস্যার কারণে। উনি সেই কোর্স করতে গেলে রান্না করবে কে? আমি বাপু অতটা মগুজে লোক নই তাই উত্তর ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। আশা করি ভুল হলেও বকা খাবো না? :)

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই মিস্টার বোকা! ভালোই, আপনি কেমন আছেন?

আমিও সুতীব্র ইচ্ছে রাখিতেছি যে আপনি সময় বের করিয়া একটু একটু করিয়া অন্য কটি পর্বও দয়া করে পাঠ করিয়া আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করিবেন। :D

আপনি যে খুব ভালো লিখেন তা কি নতুন করে বলতে হবে?
হ্যাঁ, অবশ্যই বলতে হবে। আরেহ! আমি নতুন নতুন লেখা লিখব আর পাঠক শুধু একবার প্রশংসা করে যাবে? কেমনে কি? হাহাহা, জাস্ট কিডিং।
থ্যাংকস এ লট ফর দ্যা কম্প্লিমেন্ট।

গ্রেইট গেস! এটা সঠিক উত্তর কিনা সেটা জানার জন্যে একটু অপেক্ষা করতে হবে। ধন্যবাদ অনেক কুইজটি ট্রাই করার জন্যে।

আমি যদি ভুল উত্তর পেয়ে পাঠকদের বকতে শুরু করি, তবে আর কেউ ভয়ে আমার ব্লগে আসবে না। তাই মিস্টার বোকা, খাবেনা বকা! হাহাহা।

পাঠ ও মজার মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা।

৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: আহা !!

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আহা! একশব্দের এই মন্তব্যটির ঠিক মানে বোঝা একটু কঠিন। কিন্তু ধন্যবাদ মন্তব্যে।
শুভেচ্ছা।

৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:২২

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: ভালো লাগলো আপু, আপনি, আপনার বাবা ও মা এর গল্প পড়ে । আসলে আমাদের মা এ রা এমন ই হয়।

তবে আপনার মা কেন শেষ পর্যন্ত ক্লাস করতে যেতে চাইলো না তা তো ধরতে পারলাম না :P একটু বলে দিলে ভালো হতো আপু :P

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:২৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই কথা আপু! পোস্টে পেয়ে ভীষন খুশি হলাম।

আসলেই, এটা আমার বাবা আর মারই গল্প! ঠিক বলেছেন।

হাহা, অবশ্যই বলে দেব, ঠিক সময় এলে। ;)

পাঠ ও মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভকামনা!

১০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

গরল বলেছেন: ট্রেনিং কি শুধুই ফ্রি, কিছু হাত খরচও দেয় বলে শুনেছি।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম, শুধুই ফ্রি ছিল সেখানে। আসলে একেক দেশে এবং একেক শহরে একেক ধরণের প্রতিষ্ঠান ও সুযোগ সুবিধা থাকে। সবখানে এক নিয়ম তো হয়না।

মন্তব্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা!

১১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪

নাজিম সৌরভ বলেছেন: আপু আপনার লেখা পড়ে মনে হয় যেন মধ্যযুগের কবি মুকুন্দদাসের কবিতা পড়ছি । মুকুন্দদাসের লেখার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য ছিল সহজবোধ্যতা । কাহিনীর দীর্ঘসুত্রিতা নেই, সাহিত্যিক জটিলতা বা গম্ভীরতা নেই । সহজ সরল গতিতে শেষ বাক্যে এসে উপস্থিত হন । পড়ে ভালো লাগে । তবে আপনার ঘটনা তো শেষ হয়েও হইল না শেষ । পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাপরে বাপ! এতসব প্রশংসা! এমন তুলনা! কি বলা উচিৎ জানিনা। ভীষন ভীষন উৎসাহ পেলাম আপনার কথায়। ধন্যবাদ অজস্র আন্তরিক মন্তব্যে।

শেষ হইয়াও শেষ না হওয়া ঠিক না, ঘটনা শেষ হয়নি একদমই, জীবনের গল্পের শেষ তো মৃত্যুতে হয়! এ গল্পে অনেককিছুই বাকি এখনো। এটা ছোটগল্প না, ধারাবাহিকের মতো, তাই শেষ বহুদূর! :)

পরের পর্ব সময়মতো এসে যাবে, সাথে থাকুন........

১২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

চেনা মুখ, অচেনা ছায়া বলেছেন: ভিন্ন একটা দেশের নানা রকম অভিজ্ঞতা নিয়ে আপনার লেখাগুলো পড়তে ভালোই লাগছে। শুধু একটা ব্যাপারে অভিযোগ না করে পারছি না। কাহিনী সুন্দর মত চলতে চলতে হুট করে ব্রেক দ্যান আর একটা করে কুইজ ধরায়ে দ্যান, বড় বিরক্ত লাগে। পড়ার ফ্লো-টা নষ্ট হয়ে যায়।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার মন্তব্যে বুঝতে পারছি আমার বেশ কয়েকটি লেখাই পড়েছেন। সেজন্যে প্রথমেই আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

পাঠকের মন্তব্য পাবার দুটি উপায়, একতো তাকে মুগ্ধ করো, নয়ত তাকে বিরক্তির শেষ সীমায় নিয়ে যাও। আমি দ্বিতীয়টি করতে সফল হয়েছি। হাহাহা।

আসলে মনে রাখতে হবে এটা ধারাবাহিকের মতো, একটি সিরিজ! অবশ্যই আমার পক্ষে সবকিছু এক পর্বে লেখা সম্ভব না। আর আমি যদি বড় পর্ব লিখেও ফেলি, ব্যস্ত জীবনে কারোরই এত সময় নেই যে সেটা ধৈর্য্য ধরে বসে বসে পড়বে। লেখাগুলোকে ছোট থাকতেই থামাতে হয় পাঠকেরই সুবিধার্থে। আর কুইজগুলো দেওয়া হয় সামনের পর্বের হিন্ট হিসেবে। প্রথমে যেমন পেছনের গল্প দিয়ে শুরু হয়, শেষে থাকে সামনের ঝলক। একেবারে ট্রাডিশিনাল ধারাবাহিক যেমন হয় তেমনই আরকি।

মোরাল: স্মুদ রাস্তায় স্পিড ব্রেকার না থাকলে ড্রাইভার ঘুমিয়ে এক্সিডেন্ট করতে পারে, তাই আমি দায়িত্ব নিয়ে কাজটি করি। ;)

পরের পর্বে আবারো চলে আসবেন। ফ্লোটা ফিরে পাবেন আশা করি, আবারো হারানোর জন্যে অবশ্য! :)

ভীষন ভালো থাকবেন।

১৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

চেনা মুখ, অচেনা ছায়া বলেছেন: বিরক্তিটা নেতিবাচক ভাবে নিয়েন না প্লীজ। আসলে পড়তে পড়তে এমন ব্রেক হলে ভালো লাগে না। সেটাই প্রকাশ করতে চেয়েছি মাত্র।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ না না নেতিবাচক ভাবে কেন নেব? আমি তো ব্যাস মজা করেছি। আর আপনি যে পজিটিভ পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে বলেছেন সেটা আন্তরিক মন্তব্যে সহজেই ধরা যায়।
ব্রেকে ভালো না লাগার অতৃপ্তি থেকেই তো আবারো আসবেন, তাই না? হাহাহা।

শুভেচ্ছা।

১৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:০৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপুর পোস্টে প্রথম মন্তব্যকারি হতে দেখছি প্রতিযোগিতা চলে । আপনি এমন সময়ে পোস্ট দেন যখন আমি সামুর আশেপাশেও থাকি না । অতএব আমি কখনো প্রথম মন্তব্যকারি হবোও না । :(
এনিওয়ে, শিরোনাম দেখে ভেবেছিলাম আপনি নিজের এফেয়ারজনিত কিছু একটা লিখেছেন । তাই খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম এবং কিছুটা হতাশ হলাম । :P
হতাশ হলেও পড়ে মজা পেতে বাধ্য হয়েছি । 8-|
আপনি এমনভাবে লেখা শেষ করেন পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকা ছাড়া কিছুই করার থাকে না ।

অফটপিকে আপনার কাছে ছোট একটি পরামর্শ চাইব । আমি ব্লগে আসার পর হতে বিরক্তিকর একটি সমস্যার মুখে পড়েছি । আমার পোস্টে প্রায়ই অযাচিত কিছু মন্তব্য পড়ছে । কোন কোন ব্লগার এমন একটা এটিচ্যুড দেখান যেন ব্লগে থাকতে হলে আমাকে প্রমাণ করতে হবে আমি একটা মেয়ে । মজার ব্যপার হল যারা আমার মেয়ে হবার প্রমাণ চান তাদের নিজেদের প্রোফাইল দেখে বোঝা যায় না উনারা কি ছেলে না মেয়ে, মানুষ না পশু । বাজে মন্তব্যকারি প্রত্যেকটা ব্লগার ছদ্মনামের অধিকারী । আমি এমন মন্তব্য দেখে একদিন কষ্ট পেয়ে রাগ করে আমার একটা পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছিলাম । এরপর আবারো একই ধরনের মন্তব্য পেয়ে কয়েকদিন মন্তব্যগুলো ডিলিট করেছি । ডিলিট করে করে আমি ক্লান্ত । কি করতে হবে বুঝতে পারছি না ।
আপনি যে ছেলের মত নিক এবং ছবি দিয়ে ব্লগিং করেন আপনার কাছে কি কেউ এভাবে মেয়ে হবার প্রমাণ চাইত/চায় ? ঐ অবস্থায় আপনি কি করেন ?
আশা করি আমার সমস্যাটা বুঝতে পেরেছেন । প্লিজ যদি আমাকে বলতেন আমার কি করা উচিৎ অনেক উপকার হত ।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হৃদি আপু! পোস্টে পেয়ে ভীষন ভালো লাগল।

আরেহ যে প্রতিযোগিতায় পুরষ্কার নেই, সেখানে জেতা হারা নিয়ে এত মন খারাপের কি আছে? :)

এনিওয়ে, শিরোনাম দেখে ভেবেছিলাম আপনি নিজের এফেয়ারজনিত কিছু একটা লিখেছেন । তাই খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম এবং কিছুটা হতাশ হলাম।

জাতির মনের কথা খুব সরল, সুইট করে বলে দিলেন আপু। ;)

আরেহ! এই সমস্যায় আমি যতোটা পড়েছি আর কেউ হয়ত পড়েনি। আমাকে ভীষন বাজে বাজে, নোংরা কমেন্ট করা হতো। কেউ কেউ তো এমনও বলত হয়ত আমি ছেলে মেয়ে না মাঝামাঝি কিছু, নাহলে এমন নিক কিভাবে হয়? আরো ভীষনই নোংরা সব কথা।

আমিও রাগে আপনার মতো পোস্ট ডিলিট করতাম, কমেন্ট ডিলিট করতাম। যেটা একদমই ঠিক হয়নি। ব্লগে কমেন্ট ডিলিট করলে মারাত্মক ক্যাচালের মধ্যে পড়তে হয়। যার কমেন্ট ডিলিট করবেন, সে রেগে আপনাকে পুরোপুরি টার্গেট বানিয়ে ফেলবে এবং প্রতি পোস্টে আপনার পেছনে লাগবে। বারবার বাজে কমেন্ট করবে। এজন্যে আমি নিজে থেকে কারো কমেন্ট ডিলিট করিনা আর।

আমার ছয় বছর পূর্তি পোস্টে এসব নিয়ে ডিটেইলে লিখেছি। কিছুটা তুলে ধরলাম।

আপনি মেয়ে, কিন্তু আপনার নিক নেম এমন কেন? সামু পাগলী নয় কেন? একটা মেয়েলি প্রোফাইল পিকচার রাখতে পারেন না?
এই প্রশ্নটি আমি কোটিবার পেয়েছি, সামনে আরো কোটিবার পাব সেটাও জানি।
আমি যখন ব্লগ একাউন্ট খুলি অনেক ছোট ছিলাম। তখন এতকিছু বুঝিনি। পাগলা লিখলে সবাই ছেলে ভাববে আর কনফিউজড হয়ে আমাকে বকাবকি করবে (প্রথমদিকের মতো), এবং অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে এই বিষয়টি মাথায় আসেনি।
মাশরাফি ভাইয়া আমার জানের জান। মানুষ হিসেবে ওনার ১% ও হতে পারলে জীবন ধন্য হতো! এজন্যে ওনার ছবি দিয়েছি। এটা আমার মাথাতেও এসেছিল যে একটা ন্যাকা ন্যাকা মেয়েলি প্রোফাইল পিক দেই, তাহলে সবার কনফিউশন দূর হবে। পরে মনে হলো, সেটা খুব জরুরি না। আমি মেয়ে সেটা প্রমাণের এত চেষ্টার প্রয়োজন নেই। আমার কয়েকটি লেখা পড়লেই মানুষ বুঝে যাবে। কেননা মেয়েদের কথার, লেখার ধাঁচই আলাদা হয়। আর না জানলেও আমার কোন সমস্যা নেই। আমাকে কেউ ছেলে ভাবলে কি আমার ছেলেদের মতো গোঁফ গজিয়ে যাবে নাকি? ব্লগার ব্লগারই! ছেলে হোক আর মেয়ে হোক!
নিক পরিবর্তন করিনি কারণ এই নিকটির সাথে অনেক মায়া, স্মৃতি জড়িয়ে গেছে। আর এমনিও আমার এমন খারাপ অভ্যাস হয়ে গিয়েছে যে দু একজন ভাই, ভাইয়া না বললে মনেই হয়না সামু ব্লগে আছি! ;)
জীবনে সবচেয়ে বেশি বকা সামুতেই খেয়েছি। বাস্তব জীবনে কেউ আমাকে এত কড়া কথা বলেনি। কিন্তু সামুতে নিক নেইমের কারণে প্রচুর কনফিউশনে পড়ত অনেকে প্রথম প্রথম। সেজন্যে আজেবাজে বকাঝকা করত।
পরে দেখলাম যারা আমাকে বাজে কিছু বলছে তারা অন্যদেরও বলছে। অনেকে বাস্তব জীবনে মিনমিনে স্বভাবের হয় বিধায় ব্লগে এসে সব রাগ ঢেলে দেয়! তেমন ব্লগারের সংখ্যা খুবই কম, বা তারা আসলে ব্লগার গোত্রীয় না। তাদেরকে এভয়েড করা আর তাদের কথাগুলো সিরিয়াসলি না নেওয়াটা ব্লগ থেকে শিখেছি। এই শিক্ষা বিরাট কাজের শিক্ষা বোথ ভার্চুয়াল এবং রিয়েল লাইফে।


ওপরের কথাগুলো সাথে আরো কিছু এড করি আপু। যারা আপনি ছেলে না মেয়ে এ বিষয়টি নিয়ে লাফালাফি করছে তারা অবশ্যই অভদ্র, এবং ব্লগে লেখা পড়া তাদের উদ্দেশ্য নয়। মেয়েদের সাথে ভাব জমাতেই আসেন। তাদেরকে ইগনোর করুন, বলুন "আপনি যা ভাবার ভাবতে পারেন, ধন্যবাদ।" একদমই কথা বাড়াবেন না, বেশিকিছু ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবেন না, খুব ছোট প্রতিমন্তব্য করবেন, তার উত্তরটা দিয়ে দেবেন, যাতে আবারো না আসে। তবে খুব সংক্ষেপে এবং এমনভাবে যে আপনি কথা বলায় আগ্রহী নন। বাস্তবে ছেলেরা পেছনে লাগলে যেসব করতে হয় সেসব আরকি।
একটা মেয়ে ও একটা ছেলে যেভাবে আলাদাভাবে কথা বলে, সেটা লেখাতেও ফুটে ওঠে। বিশেষত মন্তব্যে কেননা মন্তব্য কথার মতোই। সেগুলো খেয়াল করলে কারো এত কনফিউশন থাকার কথাই না। এগুলো সব শয়তানি।

আর আপনি যদি দেখেন যে একদমই পিছু ছাড়ছে না তবে ব্লক করে দিন। তখন সেই ব্লগার আর কমেন্ট করতে পারবেনা আপনার ব্লগে। ব্লক করলে আবার অন্য নিকে আসবে যদিও, তখন আবারো ব্লক করতে হবে। আসলে ইগনোরিং ইজ দ্যা বেস্ট পলিসি।

এভাবে করতে করতে একটু সিনিয়ার হয়ে গেলে মানুষজন আর আজেবাজে কথা বলার সাহস পাবেনা। ছবি দিয়ে, ব্যক্তিগত তথ্য জানিয়ে মেয়ে প্রমাণ করার কোন চেষ্টা বিপদ ডেকে আনবে। আর লেখা ডিলিট করে কাকে শাস্তি দিচ্ছেন? আপনারই সৃষ্টি ধ্বংস হলো, তারা যা পায় তাই তাদেরকে দেওয়া হলো। "এটেনশন!" ডোন্ট গিভ দেম এনি নেগেটিভ এটেনশন, দে ডোন্ট ডিজার্ভ ইট!

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে থ্যাংকস এ লট আপু।
ভীষন ভালো থাকুন।

১৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বেশ চমৎকার উপস্থাপন। আপনার বাবা মায়ের ক্লাসমেট হওয়াটা দারুণ একটা বিষয়।
ব্যাস্ততার মধ্যে যতটুকু মনোনিবেষ দেওয়ার কথাছিল তা না দিয়েই আপনার সাবলিল সুন্দর লিখনী পড়ে নিলাম। ভাল থাকবেন। আরো নতুন কোন পর্বে নতুন কোন বিষয়ের সাথে পরিচিত হবো। সাথেই আছি ম্যাডাম।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সুজন ভাই! ব্যস্ত সময়গুলোও উত্তেজনা, আনন্দে কাটছে বোধ করি।

এত ব্যস্ত সময়েও লেখা পড়ে আবার কমেন্ট করে গেলেন! আমি ভীষনভাবে কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ অশেষ।

আপনার বাবা মায়ের ক্লাসমেট হওয়াটা দারুণ একটা বিষয়।
হাহা, একদম ঠিক!

নতুন সব পর্ব সময়মতো এসে যাবে, এভাবেই সাথে থাকুন।
সকল শুভেচ্ছা রইল আপনার ও আপনার পরিবারের জন্যে।

১৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আহা! একশব্দের এই মন্তব্যটির ঠিক মানে বোঝা একটু কঠিন। কিন্তু ধন্যবাদ মন্তব্যে।
শুভেচ্ছা।

আপনার এই লেখাটি আমার ভীষন প্রিয়।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: থ্যাংকস এ লট রাজীব নুর। খুবই খুশি হলাম জেনে।

শুভকামনা!

১৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: রসে টইটুম্বুর লেখা। তোমার বাবার বাসন মাজা আর বাবা মার মধ্যে কথাবার্তাগুলো খুব উপভোগ করলাম। আহা! বেশ, বেশ, বেশ। কুইজের উত্তর একটা গেস করছি বটে, তবে বলবো না। সব সময় সব কথা বলতে নেই। হে হে হে। :P

লিখে যাও আর হার্ড বা সফট কপিতে লেখাগুলো সংরক্ষণ করো। নিশ্চয় একদিন প্রয়োজন হবে। ব্লগের স্থায়িত্ব নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। তাই আগে থেকে সতর্ক করলাম। তোমার ল্যাপটপ বা পিসিতে সংরক্ষণ করাও খুব বেশি নিরাপদ নয়। সিডি, পেন ড্রাইভ বা আরও আধুনিক কোন ডিভাইসে (আমার জানা নেই) লেখাগুলো তুলে এয়ার টাইট করে সংরক্ষণ করলে বছরের পর বছর অবিকৃত অবস্থায় থাকবে। আর কাগজে লিখে রাখতে পারলে তো কোন কথাই নেই।

ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই হেনাভাই!

আমার বাবা আর মার কথায় আমিও ভীষন হাসি।

হেনাভাই, বিষয়টি আমারো মাথায় এসেছে। কিন্তু খুব আসলেমী লাগে, এতগুলো লেখা সেভ করা অন্যখানে! প্রচুর কাজ! তবে করতে হবেই, নাহলে লেখাগুলো হারিয়ে যাবে। প্রথম আলো ব্লগ যখন বন্ধ হয়েছিল, তাদের অনেকে সামুতে এসেছিল এবং বলেছিল যে লেখা হারিয়ে ফেলেছেন। সামু হারিয়ে যাবে সেটা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনা। কিন্তু সবকিছুর জন্যে প্রস্তুত থাকতে হবে সবাইকেই।

কাগজে লেখা? আমি তো পড়াশোনাও কম্পিউটারে সারার চেষ্টা করি। আমার কাটাকাটি করে কাগজে লিখতে একদমই ভালো লাগেনা। সেই পরিশ্রমী অপশনটা বাদ। হাহা।

পাঠ ও আন্তরিক মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ হেনাভাই।
ভীষন ভালো থাকুন।

আর সর্দারের সাথে গলা মিলিয়ে বলি, আহা! বেশ, বেশ, বেশ।

১৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার লেখনি। আপনার আগেও কিছু পোস্ট পড়েছিলাম। কী চমৎকার করে লেখেন? :D

আর ব্লগার আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম এর মন্তব্য ভালো লাগল।

শুভকামনা।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: চমৎকার লেখেন এমন পড়া পর্যন্ত খুব খুশিই হয়েছিলাম, ইমো দেখে কনফিউজড এন্ড স্যাড হয়ে গেলাম! ফাজলামি করে বলছেন!!! হাহা।

হেনাভাই হচ্ছেন গ্রেট বস, তার মন্তব্য ভালো না লেগে পারেই না। :)

পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

১৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: মিঃ বোকা ভলোই আছে। :) শুধু একবার প্রশংসায় আপনার মন ভরবে না, আপনার লেখার প্রশংসা বারবার করতে হবে এটা বুঝতে পারলাম। :P
আহ্! কি দারুণ লেখা! খুব ভালো লিখছেন আপনি মিস বোকামতী! :P

বাই দ্য ওয়ে, আপনার লেখার কতগুলো সিরিজ আছে?

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মিঃ বোকা ভলোই আছে।
মিস্টার বোকামতী জানিয়া আনন্দিত হইল। :)

শুধু একবার প্রশংসায় আপনার মন ভরবে না, আপনার লেখার প্রশংসা বারবার করতে হবে এটা বুঝতে পারলাম।
বাহ! একদম ঠিক বুঝেছেন। হাততালি আপনার জন্যে! এইটুকু একটা ব্যাপারও যাকে বোঝাতে হয় সে কত বোকা! আর যে বোঝাতে যায় সেও বিরাট বোকামতী! ;)

আহ্! কি দারুণ লেখা! খুব ভালো লিখছেন আপনি মিস বোকামতী!
সহমত পোষন করছি আপনার বক্তব্যের সাথে। :P

মাফ করবেন, আমি প্রশ্নটি বুঝতে পারিনি। সামনে আর কি লিখব সেটা জানতে চেয়েছেন নাকি আগে কতগুলো লিখেছি সেটা?

২০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আখেনাটেন বলেছেন: লেখক বলেছেন: চমৎকার লেখেন এমন পড়া পর্যন্ত খুব খুশিই হয়েছিলাম, ইমো দেখে কনফিউজড এন্ড স্যাড হয়ে গেলাম! ফাজলামি করে বলছেন!!! হাহা। -- এডা কি কন? :(( আমি বলি কি আর আমার সারেং বলে কি!! আমি করলাম সারেং এর প্রশংসা হাসিটাকে চওড়া করে কান পর্যন্ত ঠেকিয়ে আর আমার সারেং... না থাক। ওরে মনু, কষ্টে বুকডা ফাডি ফাডি গেল... |-)

এরকম বললে আপনার সাথে আর খেলমু না কয়ে দিলুম কিন্তু... :(

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহাহা! হিহিহি! এই ভাষাটি কি আপনার নিজ এলাকার ভাষা নাকি ব্যাস মজা করে বললেন? যাই হোক, ব্যাপুক পৈশাচিক বিনুদুন দিলেন।

আরেহ আপনি খেলতে না চাইলেই হবে নাকি? দুজনের খেলায়, চলে যাবার ডিসিশন একজনের হয়না। আমি তো খেলব আর খেলাব! ;)

২১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: মাফ করবেন, আমি প্রশ্নটি বুঝতে পারিনি। সামনে আর কি লিখব সেটা জানতে চেয়েছেন নাকি আগে কতগুলো লিখেছি সেটা?

বলছিলাম যে পর্ব পর্ব করে ভাগ ভাগ করে লেখা আরও কোন পোস্ট আছে নাকি?

মিস্টার বোকামতীর আনন্দে মিস্টার বোকাও যারপরনাই আনন্দিত হইল! :P

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এই লেখায় পূর্বের পর্বগুলোর লিংক এবং পূর্বের সিরিজগুলোর লিংক নামে একটি অংশ আছে। চোখ বুলিয়েছিলেন তো শুধু, তাই চোখে পড়েনি। ঠিকঠাক একটু দেখলেই প্রশ্নের উত্তর পোস্টেই পেয়ে যাবেন ডিয়ার জিসান সাহেব! ;)

বাহ! বোকায় বোকায় ভাব কতো! আবেগে আমার কান্না এসে যাচ্ছে। আমার এতো আবেগ ক্যানে? :D

২২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৩

আখেনাটেন বলেছেন: এই ভাষাটি কি আপনার নিজ এলাকার ভাষা নাকি ব্যাস মজা করে বললেন? যাই হোক, ব্যাপুক পৈশাচিক বিনুদুন দিলেন। --যাক্! বাঁচলুম! একজনকে অন্তত হাসাতে পেরেছি লেখার দ্বারা। মানুষগুলো কেমন যেন ইদানিং গোমড়ামুখো থাকে। কাতুকুতু-গাদুভুতু দিলেও হাসতে চায় না। হাসলে মনে হয় বাড়ির বউ পালাবে! কি অদ্ভুত অবস্থা! X(

আপনি হেসেছেন দেখে আমিও একটু হেসে নিলুম। =p~ আর ঐ ভাষা বাপ জন্মেও আমার ভাষা নয়। দাদা, পরদাদারা এই ভাষায় কথা বলেছে বলে কখনও শুনে নি। এটা আমার জিনের মিউটেশনের কুফল। :P

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হ্যাঁরে আমিও খেয়াল করেছি। বড়দের কথা তো বাদই দিন, ছোটরাও গম্ভীর, সিরিয়াস চোখমুখ করে ফোন টেপে! তাদের বয়সে আমরা খিলখিল করে হেসে যেতাম, বড়রা থামাতে চেয়েও পারতনা। "আচ্ছা কেন মানুষগুলো এমন হয়ে যায়?" গানটি মনে পড়ে গেল।

আর হ্যাঁ, আপনি আবার যেখানে সেখানে কাতুকুতু, এবং গাদুভুতু (ইহা কি জিনিস আল্লাহ জানেন) দিয়েন না। তারা তো হাসবেনা, উল্টো গণপিটুনির কারণে আপনি হাসা ভুলে যাবেন। :D

হাহাহা। জানানোর জন্যে থ্যাংকস। কুফল না সুফল বলুন। নিজে হাসছেন অন্যকে হাসাচ্ছেন। আর কি চাই জীবনে? :)

২৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৫

আখেনাটেন বলেছেন: গাদুভুতু (ইহা কি জিনিস আল্লাহ জানেন) -- গাদুভুতু মানে হচ্ছে গায়ের উপর ভূতের মতো উল্টে পড়ে, কারিকুরি ও কসরতের মাধ্যমে ছুটু ছুটু পোলাপানদের হাসানোর চেষ্টা করা। (আখেনাটেন স্পেশাল, পিচ্চি ভাগ্না-ভাগ্নিদের উপর এক্সপিরিমিন্তির ফল)। :P =p~

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার ভাগ্না ভাগ্নিদের জন্যে সমবেদনা রইল! কি অত্যাচারের মধ্যে দিয়েই না যায় তারা! ;)

তবে আমি শিখে রাখলাম, কাজে লাগবে। মুখস্ত করছি: গাদুভুতু - গায়ের উপর ভূতের মতো উল্টে পড়ে, কারিকুরি ও কসরতের মাধ্যমে ছুটু ছুটু পোলাপানদের হাসানোর চেষ্টা করা। :)

২৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপু, ছয় বছর পুর্তি উপলক্ষে যা লিখেছিলেন তা আগেও পড়েছিলাম । কিন্তু আপনার প্রতিমন্তব্যে পড়ার সময় মনে হল যেন এই লেখাটা আপনি মাত্রই আমার জন্য লিখেছেন । বুঝতে পারছি বাজে মন্তব্যের স্বীকার আমিই প্রথম হয়নি, বাজে মন্তব্যদাতা এই গার্বেজম্যানগণ ছয় বছর আগে থেকেই ব্লগে আছেন ।
আপনার মন্তব্য পড়ে আমার মনটা অনেক হালকা হল, মনে হচ্ছে যেন ব্লগিং করতে এখন আর আমার কোন ভয় নেই ।
অন্তত বিশ মিনিট সময় ব্যয় করে আমাকে পরামর্শ দিলেন । আপনি এতটুকু আশা দিতে পারবেন বুঝিনি । ধন্যবাদ দিলে আপনার আন্তরিকতাকে ছোট করে দেখা হবে ।
ব্লগের অন্য সিনিয়র আপুরা কেমন যেন একটু কোল্ড, একারনে উনাদের কারো কাছে পরামর্শের জন্য নক করতে আমার সাহস হয়না । হয়ত এটা আমার ভুল ধারণা, হয়ত যথেষ্ট সময়ের অভাবেই ব্লগে উনারা ইন্ট্রোভার্ট হয়ে আছেন । আমার মনে হচ্ছিল আপনিই আমাকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারেন । আমার ধারণা ভুল নয় ।
অনেক যন্ত্রনার স্বীকার হয়ে ফেসবুক ছেড়েছিলাম । ভয় হচ্ছিল বুঝি ব্লগ জিনিসটাও ছেড়ে দিতে হবে । এখন তো ভাবছি যে যাই বলুক মাটি কামড়ে ব্লগে পড়ে থাকবো ।
মাঝে মাঝে এভাবে যদি আপনাকে একটু বিরক্ত করি তবে ছোট বোন হিসেবে প্লিজ একটু হেল্প করবেন । আমি ব্লগে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী পাচ্ছি, কিন্তু কিছু সমস্যা তো পুরুষ শুভাকাঙ্ক্ষীগণ বুঝবেন না । আমি এরকম সমস্যায় পড়লে আপনাকে একটু নক করব ।
অনেক ভালো থাকুন আপু, আপনার সকল প্রিয়জন ভালো থাকুক ।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হৃদি আপু, আবারো পেয়ে ভালো লাগল।

প্রতিমন্তব্যে পড়ার সময় মনে হল যেন এই লেখাটা আপনি মাত্রই আমার জন্য লিখেছেন ।
হাহা, আসলে অনুভব করে পড়লে এমনই মনে হয়। কষ্টের গান মন খারাপের সময়ে শুনলে মনে হয় যেন আমার জন্যেই লেখা!

মন হালকা করতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি। আর একটা কথা, ভার্চুয়াল লাইফের কারণে মন ভারী করবেন না। আপনি যার কমেন্ট পড়ে মন ভারী করছেন সে খুব মাস্তি নিয়ে স্ক্রিনের ওপাশে আপনাকে জ্বালাচ্ছে। সে যখন দেখবে আপনি তার কথায় আনএফেক্টেড তখনই শুধু তার মুখ থেকে হাসি উধাও হবে।

আর ছয় বছর না, আমি শিওর ব্লগের শুরু থেকেই এসব মানুষ ছিল। আর আমার অনুমান আরো বেশি ছিল কেননা নিশ্চই তখন ব্লগে নারীদের ভার্চুয়াল উপস্থিতি এখনকার চেয়ে কমই ছিল।
আপনি যে কারো কাছে পরামর্শ চাইলে দেবার চেষ্টা করবেন, কিন্তু কেউ যদি সমস্যাটার মধ্যে দিয়ে না যান তবে আপনার অবস্থান সেভাবে রিয়ালাইজ করতে পারবেন না। আর কোল্ড একদমই না, আপুরা বেশি বেশি সুইট। কিন্তু ঘর বাইর সামলাতে গিয়ে তারা হাঁফিয়ে ওঠেন। আমার এক প্রিয় ব্লগার আপু কাজী ফাতেমা ছবির কিছু কথা দেই।
"চাকুরী সংসার স্কুল বাচ্চা সব মিলিয়ে সময় আমাকে চিবিয়ে খায়। অনেকের পোস্টে তাই মন্তব্য করতে পারি না সরি। নিজের পোস্টের উত্তর দিতে দেরী হয় সেজন্যও সরি।"
আপুর এই অবস্থা বেশিরভাগ নারী ব্লগারের। মেয়েদের দায়িত্বই সবকিছুতে বেশি থাকে। এজন্যে অনেকে সেভাবে সময় দিতে পারেন না, কিন্তু সবাই শিক্ষিত, ভালো মনের মানুষ।

অনেক যন্ত্রনার স্বীকার হয়ে ফেসবুক ছেড়েছিলাম । ভয় হচ্ছিল বুঝি ব্লগ জিনিসটাও ছেড়ে দিতে হবে । এখন তো ভাবছি যে যাই বলুক মাটি কামড়ে ব্লগে পড়ে থাকবো ।
উফফ! অনলাইনেও শান্তি নেই মেয়েদের। মাটি কামড়েই পড়ে থাকতে হবে। একদম ঠিক। আমি থেকেছি না? আজেবাজে কমেন্টের কারণে যদি প্রথম পোস্টের পরেই চলে যেতাম তবে কি আপনাদের ভালোবাসা পেতাম? চলে গেলে নিজেরই লস হয়, আর শত্রুপক্ষ জিতে যায়।

মাঝে মাঝে এভাবে যদি আপনাকে একটু বিরক্ত করি তবে ছোট বোন হিসেবে প্লিজ একটু হেল্প করবেন । আমি ব্লগে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী পাচ্ছি, কিন্তু কিছু সমস্যা তো পুরুষ শুভাকাঙ্ক্ষীগণ বুঝবেন না । আমি এরকম সমস্যায় পড়লে আপনাকে একটু নক করব ।
অবশ্যই সাহায্য করব। কোন সমস্যা, হেজিটেশন বোধ করার কিছু নেই। আমার যেকোন পোস্টে কমেন্ট ছেড়ে যাবেন। নিজ অভিজ্ঞতায় যা জানি বলব। নিজে না জানলে কারো কাছ থেকে জেনে নেব।

আমার প্রিয়জনদের জন্যেও শুভকামনার জন্যে থ্যাংকস। একই দোয়া আপনার জন্যেও। আপনজনদের নিয়ে ভীষন ভালো থাকুন।

২৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৬

আখেনাটেন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার ভাগ্না ভাগ্নিদের জন্যে সমবেদনা রইল! কি অত্যাচারের মধ্যে দিয়েই না যায় তারা! -- হা হা হা; মোটেও ঘটনা তা না। ঐ খাটাসগুলো এগুলোর জন্যই উন্মূখ হয়ে থাকে কখন মামা আসবে আর গাদুভুতু দিবে। =p~ =p~

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহাহা! আমি সেটা পুরোপুরি বিশ্বাস করছি। গুল্লুগুল্লু বাচ্চারা দুষ্টুদুষ্টু মামার গাদুভুতু ভীষনই পছন্দ করে! :)

২৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২১

শামচুল হক বলেছেন: এই সিরিজটির অপেক্ষায় থাকি, পুরোটাই পড়লাম। খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৪২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার মতো সহব্লগারদের অপেক্ষাই আমাকে সামনে লিখে যাবার তাগিদ দেয়। অনেক ধন্যবাদ এভাবে উৎসাহ দিয়ে যাবার জন্যে।
শুভেচ্ছা।

২৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৫৯

সোহানী বলেছেন: আরে সবাই না চিহ্নিত কয়জন আমার উপর ব্যাপক গবেষনা চালাচ্ছে........হাহাহাহাহাহ। নিজেকে কেমন যেন ভিআইপি ভিআইপি মনে হচ্ছে। আমি কে পোস্ট দেই, কি মন্তব্য করি, কার পোস্টে কি মন্তব্য করি.......... বিশাল গবেষনা।

চলুক... ওরা যদি ভাবে আমি ওদের কথায় রাগ করে ব্লগ ছেড়ে দিবো যা ওরা এরকম অনেকের সাথে করেছে তাহলে সম্পূর্ণ ভুল। আই নেভার কেয়ার দেম। কারো খাই না পড়ি না, নিজের ভালোলাগায় আর দায়বদ্ধতা থেকে ব্লগ লিখি। সেখানে এদেরকে পাত্তা দেবার কোন কারন দেখি না।

অনেক ভালো থাকো..... লাভ ইউ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৫০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ মনে হওয়াহয়ির কিছুই নেই আপু, আপনি ভিআইপি ই! এজন্যেই তো নানা কোটায় আপনার ওপরে গবেষনা চালানো হচ্ছে। আপনি প্রবাসী হয়েছেন সেই দোষে বা কারণে, আপনি ভিআইপি সেজন্যে, আপনি নারী বলেও হতে পারে। গবেষকদের তো কারণ খুঁজতে কষ্ট হয়না।

ওরা যদি ভাবে আমি ওদের কথায় রাগ করে ব্লগ ছেড়ে দিবো যা ওরা এরকম অনেকের সাথে করেছে তাহলে সম্পূর্ণ ভুল। আই নেভার কেয়ার দেম। কারো খাই না পড়ি না, নিজের ভালোলাগায় আর দায়বদ্ধতা থেকে ব্লগ লিখি। সেখানে এদেরকে পাত্তা দেবার কোন কারন দেখি না।
ইয়েসসস! এক্স্যাক্টলি। আমারো কথা তাই। এসব প্রাণী না নিজে ব্লগিং করে ঠিকভাবে, না অন্যকে করতে দেয়। এদেরকে এটেনশন দেবার কিচ্ছু নেই। কথাগুলোয় +++!

আপনিও ভালো থাকবেন, লাভ ইউ টু আপু!

২৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখা পড়ে মন্তব্যে যা লিখব ভেবেছিলাম- দারুন দারুন সব মন্তব্য আর প্রতিমন্তব্য পড়তে পড়তে পুরাই ভূলে গেছি :-/
এখন কি হবে সখি! :-B

একটা পরিবারের রুপান্তরের দারুন এক সমৃদ্ধ কাহিনী।
স্ব-দেশ ছেড়ে নতুন স্ব-দেশে থিতু হবার টানাপোড়েন, পথ, পদ্ধতি, কষ্ট আবেগ স্মৃতি
আ কমপ্লিট হিষ্টরি অব মাইগ্রেশন :) না না তারচেও বেশি কিছু।

জন্মান্তরে বারবার থিতু হতে হতে
আবার, বারবার চক্রাবর্তন ~~~
অস্তিত্বের গহনেই লুকানো
পরিযায়ী মন ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:১২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সখা! সত্যিই তো! এখন কি হবে? আপনার সুন্দর মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকে সখি, আপনিই যদি ভুলে যান, আমার কি হবে? :)

না আপনি হতাশ করেন নি, ভোলেননি, বরাবরের মতোই সুন্দর মন্তব্যে হাজির হয়েছেন।

আসলেই একদম ঠিক বলেছেন। পরিবারের রুপান্তর! সেটা সামনের পর্বে আরো আসবে। প্রতিটি চরিত্র, ও পরিবারটির নানা ধরণের পরিবর্তন, ঘটন অঘটন, পরিণতি সবকিছু সামনে আসতে থাকবে। সাথে পাব আশা করি।

+++ চারটি লাইনে।

ধন্যবাদ অসাধারণ মন্তব্যে।
ভীষন ভালো থাকুন।

২৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মেম সাহেব দারুন লেখা!পড়ে অনেক ভাল লাগল।
ভৃগুদার মতই বলি,লেখা পড়ে মন্তব্যে যা লিখব ভেবেছিলাম- দারুন দারুন সব মন্তব্য আর প্রতিমন্তব্য পড়তে পড়তে পুরাই ভূলে গেছি :-/

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: থ্যাংকস এ লট মোস্তফা সোহেল। ভালো লাগায় উৎসাহিত হলাম!

হাহা, আমি লাকি যে পোস্টে খুব ভালো কিছু মন্তব্য এসেছে। সকল ব্লগারকে ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা আপনার জন্যে।

৩০| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কুইজের উত্তর: আগের পর্ব যারা পড়েছেন এবং এ পর্বের সারসংক্ষেপেও জেনে থাকবেন যে এখানে এপার্টমেন্ট ম্যানেজারের কাছে চাবি থাকে। তারা হুটহাট ঢুকে পড়তে পারেন ঘরে। পূর্বের পর্বে মা ব্যাংকে যাবার সময়েও আমাকে ছাড়তে চাননি বাড়িতে একারণে। সবকিছু একটু ভাবলেই পেয়ে যেতেন যে মায়ের চিন্তা ছিলাম আমি! :) ভিনদেশে মেয়েকে একা বাড়িতে রেখে লম্বা সময় ক্লাস করতে যেতে মা ভীষন ভয় পাচ্ছিল। কোন বিপদ আপদে তো কারো সাহায্যও নিতে পারবনা ভাষায় সমস্যা এবং সবাই অপরিচিত হওয়ায়। সবমিলে মা কোনভাবেই রাজি ছিলনা, তাকে কি বলে রাজি করানো হলো তা জানতে পরের পর্বে দেখা হবে। :)

৩১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩০

শিখা রহমান বলেছেন: পাগলী রাজকন্যা প্রত্যেক পর্ব পড়েই ভাবি এটা আগেরটার চেয়ে ভালো। দারুন লিখছো। প্রত্যেকটা পর্ব আলাদা করে পড়লেও ভালো লাগে আর ধারাবাহিক ভাবেও।

অষ্টম পর্বটা পড়লেও মন্তব্য করা হয়নি। ট্রাভেল করছিলাম আর মোবাইল থেকে বাংলায় মন্তব্য করতে ঝামেলা হয়। এই পর্বে বাবা মায়ের মাঝে সম্পর্ক এবং ভূমিকা কিভাবে একটা নতুন দেশ ও তার জীবনযাপনের ধারা বদলে দিতে পারে তা খুব সুন্দর করে এঁকেছো। আমি এক বছরের বাচ্চাকে নিতে বিদেশে পড়তে এসেছিলাম আর তাই খুব বুঝতে পারছি দাম্পত্য সম্পর্কের সীমারেখা ও সংজ্ঞা কিভাবে বদলে যেতে পারে (ভালোর দিকেই বদলেছে :) )।

ভালো থেকো বরফের দেশে। অনেক ভালোবাসা আর শুভকামনা ব্লগের পাগলী মেয়ে। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: শিখা আপু! পোস্টে পেয়ে অনেক ভালো লাগল।

ভীষন ভাবে অনুপ্রাণিত হলাম। থ্যাংকস এ লট। আমার খুব চেষ্টা থাকে যেন প্রতিটি পর্ব আলাদা করে পড়েও পাঠক সব বুঝতে পারে। আশা করি, সফল হচ্ছি, হবো।

আমারো এমন হয়, কোন কারণে মোবাইল থেকে পড়লে কমেন্ট করা হয়না অনেকসময়। কেননা মোবাইলে বাংলায় লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করিনা। পড়েছেন এবং নীরবে পাশে থেকেছেন সেটা জেনে ভালো লাগল।

হুমম, আপনি তো আমার চেয়েও বেশি বুঝবেন। আমি শুধু দেখেছি, আপনি তো জানেন। আসলেই বদলে যায় অনেককিছু।
সো ফার, ভালোর দিকে বদলেছে। খারাপ আসতে কতক্ষন? সাথে থাকুন, ভালো খারাপ জীবনের বাঁকে বাঁকে মিশে আছে।

হুমম, তুষার দেশে ভালো থাকার চেষ্টা করব আপনার শুভকামনা নিয়ে।

সময়মতো পরের পর্ব এসে যাবে, পাশে থাকুন।
আপনিও ভীষন সুখ ও শান্তিতে থাকুন মাই সুইট আপু!

৩২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

নিওফাইট নিটোল বলেছেন: শিরোনাম দেখেই 'টেনসিত' হয়ে পড়েছিলাম.....মাত্র স্কুলে গেলেন আর বই পড়া শুরুর আগেই কিনা প্রেমকে পড়া শুরু করে দিলেন?.......পরে মনে হল ইটিশ-পিটিশের কোন পূর্ব ইতিহাস বলেননি, তাই এই প্রেম অন্য কারো হতেও পারে......শেষে এসে এমন প্রেমোপাখ্যান ভালোই লাগছে- ....আর আমার বাবা মা বিয়ের এতদিন পরে ক্লাসমেট হতে যাচ্ছে! :D

দুনিয়ার নানা কিসিমের বিষয়াবলীতে আার আগ্রহ, কিন্তু রান্নার ব্যাপারে কেন জানি আগ্রহটা ঠিক জমেনি আমার!! মেসে থাকতে ভাত-ডিমভাজি-আলুসিদ্ধ পর্যন্তই দৌড় ছিল- কিন্তু তখনও মনে একটা সুপ্ত ইচ্ছার অস্তিত্ব টের পেয়ে পুলকিত হতাম.....আর এখন ওয়ালপেপার দেখতেই ভাল লাগে খালি- যদিওবা ফাস্টফুড বা ছোটখাট নাস্তাজাতীয় খাবারের ভিডিও দেখতে ভালোই লাগে, কিন্তু রান্নাঘরে সেটার চূড়ান্ত পরিণতি দেওয়ার ইচ্ছাই হয় না এখন!! :(

......এখানে দুজনকেই জব করতে হতে পারে
'যস্মিন দেশে যদাচার' মানতে গিয়ে আমরা ঘাড়ত্যাড়া বাঙালী সবসময়ই শেষমেষ সোজা হয়ে যাই.....দেশে থাকলে আমাদের মায়েরা টাকার প্রয়োজন হত না দেখে, নিজের পেশাভিত্তিক কাজ দূরে থাক, শখের কাজটাও কোন সময় করত না আগেকার দিনে- পাছে লোক/সমাজ বলে বসে যে বাইরের কাজ করতে গিয়ে সংসারটাই লাটে উঠছে!.......অথচ বিগড়ে যাওয়া কুলাঙ্গার সন্তানদের প্রায় সব ক'টার মা-ই গৃহিণী.....বাবার দোষতো এখানে ভুলেও গণ্য করা হয় না.......আর হাজারে একটা এমন চাকরীজীবী মা-র সন্তান হলেই প্রতিবেশী/সুশীল/ধর্মান্ধ সমাজ গালি দিতে ছাড়ে না- এখনও!!
ঠিক এই ঘটনাই বিদেশে ঘটলে লোকে টাকার প্রয়োজনকে বিশাল অজুহাত বানাতে কালবিলম্ব না করেই অনুমোদন দিয়ে দেয়......তখন সংসারে মায়েদের প্রয়োজন যদি দেশের পরিস্থিতির থেকে অনেক বেশীও হয়, তবুও এই হিপোক্রিট বাঙালী সমাজ দুই বার চিন্তা করে না........বিদেশ যে, আধুনিক যে!.......আমার মা-ও যদি এ ব্যাপারটা বুঝত আর পারিপার্শ্বিক সহায়তা পেত, তাহলে অনেক পরে হলেও সংসারের বাইরে আলাদা একটা পরিচয় থাকত তার- সেটা অর্থনৈতিক হওয়াটা খানিক জরুরি ছিল- বেশি ছিল সামাজিক/আত্নিক হওয়াটা, যা সংসারের লাভ বৈ ক্ষতি করত না /:)

কুইজের উত্তরটা মেলেনি আমার- ভেবেছিলাম আপনাকে স্কুলে নেয়াটা কিংবা রান্নার কাজে বিঘ্ন ঘটা কারণ হবে হয়তো......তবে সলিউশনটা গেস করি এবার- আপনি হয়তো স্কুলে ভর্তি হয়ে গিয়েছিলেন এরই মধ্যে, সো আপনাকে নিয়ে 'টেনশিত' হওয়া লাগত না :D

পড়তে দেরি করে ফেলার দোষটা সম্পূর্ণ আপনার- আমি সময় করে সামুতে আসতে পারিনি কারণ আপনিই ইরেগুলাররি 'এই রেগুলার টাইমেই' পোষ্ট দেন- মনেও থাকে না মাঝে মাঝে X(

দিনের শেষে আড্ডাময় সন্ধ্যায় শলাকার ধোঁয়ায় আমার কাটানো মোহনীয় মুহূর্তের শুভেচ্ছা :P

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই মাস্টারসাহেব!

হাহা! হিহি! বই পড়ার আগে প্রেমে পড়া! কি কথা!

আপনার সব ফাজলামি টাইপ বিষয়তে আগ্রহ, রান্নার মতো শৈল্পিক কাজে আপনার কিভাবে আগ্রহ থাকবে? ;)

মজার ব্যাপার কি কানাডাতেও অনেক কানাডিয়ান এবং নানা দেশী গৃহীনি আছে। এখানে স্টে এট হোম মমের মতো স্টে এট হোম ড্যাডও আছে। স্বামী স্ত্রী ডিসাইড করে নেয় কে বাইর সামলাবে, কে ঘর। তবে বেশিরভাগ সময়ে মেয়েরাই গৃহিনী হয়। এখানে সংসারের মধ্যে থাকাটাও একটা বিরাট পরিচয় নারীর। আমার এক পরিচিতর তিনটি বাচ্চা, তার বউ কাজ করেনা। স্বামী একাই বেশকিছু জব করছে। বাচ্চাদেরকে ডে কেয়ারে দিয়ে শান্তি পাচ্ছিল না, কোন না কোন ঝামেলা সেখানে লেগেই ছিল। সেই ভদ্রলোক সারাক্ষন নিজের বউয়ের প্রশংসা করে, তার বউ যেভাবে বাচ্চাদের সামলায় সেটা নিয়ে গর্ববোধ করে। বারবার বলে "গ্রেটই ওম্যান, গ্রেইট ওম্যান!" হাহা। যদি স্বামী স্ত্রী দাদা দাদী, নানা নানী কাছে বাচ্চাদের রাখতে পারেন, তবেও দুজনে নিশ্চিন্তে থাকেন। ডে কেয়ার অপশনটাকে সবচেয়ে অপছন্দ করেন। তবুও প্রচুর বাচ্চা ডে কেয়ারে থাকে, কিন্তু প্যারেন্টস মনে শান্তি পান না। মানে আমাদের মতোই সব, সন্তানের প্রতি বাবা মার ভালোবাসা, নিজ সংসারের প্রতি একজন নারীর ভালোবাসা, সহনশীলতা সবই এক!
আমি এটা ওদের সাথে মিশে মিশে বুঝেছি এবং অবাক হয়েছি।
কানাডায় বেশিরভাগ নারী বাইরে কাজ করলেও, কানাডিয়ান গৃহীনিও সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু এখানে বাংলাদেশী গৃহিনী পাওয়া কঠিন। দেশে সুযোগের অভাবে, সারাক্ষন স্বামীর "ঘরে বসে করোটা কি?" খোঁটা পাওয়া নারীটি নিজেকে প্রমাণের জন্যে উঠে পরে লেগে যায়। একজন গৃহিনীকে কেন এতটা ইনসিকিউর হতে হবে? তার পরিবারের উচিৎ তাকে স্পেশাল এবং রেসপেক্টেড ফিল করানো।
একজন মেয়ের পরিচয় গৃহিনী হওয়াটা খারাপ কিছুনা, সেটাও স্ট্রং একটা পরিচয়, কঠিন একটা পেশা। হাউজওয়াইফস আর ওয়ার্কিং ওম্যান, দে ওয়ার্ক হার্ড! যারা বাইরে কাজ করে তারাও কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। একজন নারী বাইরে কাজ করুক বা ঘরে, বাড়ির জন্যে কিছু করা, নিজেকে নিংড়ে দেওয়াটাই তার সহজাত প্রবৃত্তি। এজন্যে স্বামী, সন্তান, শ্বশুড়বাড়ি, সমাজের মানুষের উচিৎ তাকে সম্মান করা।

অথচ বিগড়ে যাওয়া কুলাঙ্গার সন্তানদের প্রায় সব ক'টার মা-ই গৃহিণী.....বাবার দোষতো এখানে ভুলেও গণ্য করা হয় না আর হাজারে একটা এমন চাকরীজীবী মা-র সন্তান হলেই প্রতিবেশী/সুশীল/ধর্মান্ধ সমাজ গালি দিতে ছাড়ে না- এখনও!!

আমি বিশ্বাস করি যে মা বা বাবা কেউ একজন যদি বাড়িতে থাকার সিদ্ধান্ত নেয় বাচ্চাদের জীবন সহজ হয়ে যায়। নাহলে অনেক দূরত্ব তৈরি হয়ে যায় পরিবারের সাথে এবং বাচ্চাটি একা একাই বড় হয় একপ্রকার। বাচ্চাকে পৃথিবীতে আনলে ক্যারিয়ারের ব্যাপারে কাউকে না কাউকে একটি পেছাতেই হয়। ফুল টাইম না করে পার্ট টাইম জব করুক অথবা কোন নিকট আত্মীয়ের কাছে রাখুক। কিডস আর এ বিগ জব!
হ্যাঁ, আমার এক দেশী পরিচিত ছিল ভীষনই রুড, বেয়াদব টাইপের। আমার সামনে তো বেয়াদবী করে কেউ পার পায়না, খুব কথা শোনালাম একদিন। বলে কি, আসলে আমার মা বাবা দুজনেই চাকরি করত, কারো সংগ পাইনি। মা সেভাবে টেক কেয়ার করেনি, এজন্যে এমন তাড়ছিড়া হয়ে গেছি।
আই ওয়াজ লাইক হোয়াট? মা কেন? বাবাকেও দোষ দিতে পারত। সমাজই তাকে শিখিয়েছে তোমার জীবনে যা খারাপ হয় মা, বউয়ের ওপর দিয়ে দাও। যত্তসব!


কুইজের উত্তরটা মেলেনি আমার- ভেবেছিলাম আপনাকে স্কুলে নেয়াটা কিংবা রান্নার কাজে বিঘ্ন ঘটা কারণ হবে হয়তো......তবে সলিউশনটা গেস করি এবার- আপনি হয়তো স্কুলে ভর্তি হয়ে গিয়েছিলেন এরই মধ্যে, সো আপনাকে নিয়ে 'টেনশিত' হওয়া লাগত না :D

বাব্বাহ কি হনেস্ট! উত্তর ফাঁস হবার পরেও নিজে যে ভুল ছিল জানিয়ে দিলেন! হাততালি! :)
না স্কুল শুরুর কিছু দেরী আছে। দেখা যাক কিভাবে কাহিনী এগোয়!

পড়তে দেরি করে ফেলার দোষটা সম্পূর্ণ আপনার- আমি সময় করে সামুতে আসতে পারিনি কারণ আপনিই ইরেগুলাররি 'এই রেগুলার টাইমেই' পোষ্ট দেন- মনেও থাকে না মাঝে মাঝে X(
না আমি তো আজকাল রেগুলারলি পোস্ট দিয়ে যাচ্ছি। লাস্ট পোস্টের পরে সামুতে ব্লগিং জীবনের কিছু বিশেষ দিন ছিল, সেগুলো নিয়ে রাইট ডেটে পোস্ট দিতেই হতো। তাই পরপর এটা লেখা হয়নি। আশা করছি এরপরের পর্বটিও টাইমমতো এসে যাবে।
হ্যাঁ, আমার টাইম রেগুলার হয়, যেহেতু আমার ব্লগে আসার সময় এক, হয় রাতে একটা টাইমে আসি অথবা দিনে।
সব দোষ আসলে আপনার। ভীষনই ইরেসপন্সিবল পাঠকের মতো কাজ কারবার। জাতি আপনার প্রতি ক্ষুব্ধ, ত্যক্ত বিরক্ত! :P

দিনের শেষে আড্ডাময় সন্ধ্যায় শলাকার ধোঁয়ায় আমার কাটানো মোহনীয় মুহূর্তের শুভেচ্ছা :P
হাহা, গুড ওয়ান! বেশতো! হুমম, আপনাকে সন্ধ্যাবাতির মায়াবী আলোর শুভেচ্ছা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.