![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
1- عن أبي هريرة رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( ما من أيام أحب إلى الله أن يتعبد له فيها من عشر ذي الحجة ، يعدل صيام كل يوم منها بصيام سنة ، وقيام كل ليلة منها بقيام ليلة القدر ) رواه الترمذي
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “এমন কোন দিন নেই যে দিনগুলোর (নফল) ইবাদাত আল্লাহ্ তা'আলার নিকট যিলহাজ্জ মাসের দশ দিনের ইবাদাত হতে বেশী প্রিয়। এই দশ দিনের প্রতিটি রোযা এক বছরের রোযার সমকক্ষ এবং এর প্রতিটি রাতের ইবাদাত কাদরের রাতের ইবাদাতের সমকক্ষ।” যঈফ, তিরমিযি (৭৫৮), ইবনু মাজাহ (১৭২৮)
হাদীস সম্পর্কে সংকলকের উক্তি :
১—আবূ ঈসা ইমাম তিরমিযি হাদীসটি বর্ণনা শেষে বলেন, “এই হাদীসটি গারীব। আমরা হাদীসটি (মাসউদ ইবন ওয়াসিল তিনি নাহহাস থেকে) সূত্র ছাড়া অন্য কোনো সূত্রে জানতে পারিনি।”
পর্যালোচনা : এটি হাদিসের একটি দোষ। কেননা গুরুত্বপূর্ণ হাদীস গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনাকারীদের নিকট থাকাটা স্বাভাবিক। এটির ক্ষেত্রে সেরূপ ঘটেনি।
২— ইমাম তিরমিযি আরও বলেন, “আমি মুহাম্মাদ (ইবন ইসমাইল বুখারী)-কে এই হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি এই সনদ ছাড়া অন্য কোনো সনদে এই জাতীয় হাদীস জানেন না।”
পর্যালোচনা : ইমাম তিরমিযি এ কথা উল্লেখ করে হাদীসটির আরেকটি দুর্বলতা প্রকাশ করেছেন। অর্থাৎ
কোনো রাতকে কদরের রাতের সমকক্ষ প্রমাণকারী হাদীসই নেই। অধিকন্তু এটি মানলে হাদীসটিকে সূরা কদরের সমতূল্য মর্যাদা প্রদান করা হয়!
এ কারণে কতক লোক লোক কুরআনের বিষয়কে গুরুত্ব না দিয়ে দুর্বল, জাল, ভিত্তিহীন কথাবার্তাকে গুরুত্ব প্রদান করছে। অনুরূপভাবে কুরআনুল কারীমের পর সবচেয়ে বিশুদ্ধ দু’টি কিতাবের প্রতিও বৃদ্ধাঙ্গী প্রদশন করা হয়েছে যে, তারা এই হাদীসটি উল্লেখ করেননি, কিংবা তারা এটি জানতেন না। এখান থেকে আমাদের এক শ্রেণীর লোকের বুখারী-মুসলিমের ওপর অন্যান্য গ্রন্থাদিকে প্রদান্য দেয়ার মানসিকাত তৈরি হয়েছে।
৩—ইমাম তিরমিযি আরও বলেন, “বুখারী বলেছেন কাতাদাহ থেকে, তিনি সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যেব থেকে তিনি নবী সা. থেকে মুরসাল হিসেবে এই হাদীসের অংশ বিশেষ বর্ণনা করা হয়েছে।”
৪— ইমাম তিরমিযি আরও বলেন, “ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ নাহহাস ইবন কাহমের স্মৃতিশক্তি বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন।”
আলেম হিসেবে আমাদের একটি দোষ হচ্ছে, আমরা মুহাদ্দিসের বর্ণিত হাদীস দেখি, কিন্তু তিনি কী উদ্দেশ্য হাদীস বর্ণনা করেছেন সেটা দেখি না। হাদীস শেষে চোখ বন্ধ করে নেই। এমনটি করেছেন আমাদের মসজিদের ইমাম হাফিজ, মাওলানা ও মুফতি... সাহেব। ঢাকার মিরপুরের প্রসিদ্ধ এক মাদ্রাসার উস্তাদ।
প্রশ্ন জাগে : এ জাতীয় দুর্বল, জাল ও বানোয়াট হাদীসগুলো কী করব : ছুড়ে ফেলে দিব, না বুকে আগলে রাখব, যদিও তার কারণে কুরআন ও সহীহ হাদীসগুলো ছুটে যায় ও তাতে সন্দেহের সৃষ্টি হয়?
আবার ইমাম তিরমিযি কেনই বা এটি উল্লেখ করেছেন?
এসব প্রশ্নের উত্তর একটু দীর্ঘ, তবে সংক্ষেপে বলছি যে, ইমাম তিরমিযি তার সুনান গ্রন্থে সব সহি ও আমলযোগ্য হাদীস বর্ণনা করবেন এমন শর্ত করেননি, বরং তার শর্ত হচ্ছে, তিনি মানুষের আমল যার ওপর রয়েছে সে সম্পর্কে হাদীস উল্লেখ করবেন। অতঃপর কোনটি সহীহ ও কোনটি সহীহ নয় সেটি বর্ণনা করে যাবেন। এই নীতির উদ্দেশ্য হচ্ছে, মানুষ চোখ-কান খোলা রেখে সহীহ হাদীসের ওপর আমল করবে আর দুর্বল, জাল ও বানায়োট কথা-বার্তাগুলো পরিহার করবে।
এই হাদীসটি লক্ষ্য করুন, তিরমিযি প্রথম হাদীস সম্পর্কে নিজের মত গরীব প্রকাশ করেছেন। অতঃপর তার উস্তাদ ইমাম বুখারীর মত উল্লেখ করেছেন। ইমাম বুখারী তাকে আরেকটি কথা বলেছেন যে, হাদীসটি কাতাদাহ থেকে মুরসাল হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে। আর মুরসালে সাহাবীর উল্লেখ থাকে না। তারপর হাদীসটির রাবী নাহহাস সম্পর্কে বলেন, ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ তার স্মৃতিশক্তি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এই চারটি দোষ তিনি হাদীসটির উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ তিরমিযি চেয়েছেন মানুষ যেন জেনে-বুঝে হাদীসটির ওপর আমল করা পরিত্যাগ করুক।
প্রিয়পাঠক, আপনি চাইলে এটিকে বুকে আগলে রেখে কুরআন ও সহীহ হাদীসকে অবজ্ঞা করতে পারেন, আর চাইলে কুরআন ও সহীহ হাদীস বুকে আগলে রেখে এটিকে ছুড়ে ফেলতে পারেন। তবে আমি হাদীসটির দুর্বলতা বর্ণনা করা ছাড়া এটিকে রাসূল সা. এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হালাল জানি না।
১—১০জিল হজের ফজিলত সম্পর্কে দুর্বল, জাল ও ভিত্তিহীন হাদীসসমূহ।
২| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১২
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইমাম তিরমিজি ভালো উদ্দেশে এই দুর্বল হাদিস বর্ণনা করেছেন যেন মানুষ এটার আমল থেকে বিরত থাকে। কিন্তু আমরা করছি তার উল্টা। আমাদের হাদিসের ব্যাপারে আরও সতর্ক থাকতে হবে। ধন্যবাদ সতর্ক করার জন্য।