নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১১ টি। (৮টি কবিতার বই, ২টি উপন্যাস ও একটি ছোটগল্পের বই।)

সানাউল্লাহ সাগর

সৃজনশীল লেখালেখি, গবেষণা ও সম্পাদনা

সানাউল্লাহ সাগর › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘গুহা’ যৌন বিশ্বাস, ব্যক্তি চিন্তার স্বাধীনতা, সমকালীন পীড়া ও নারীবাদ-নারী সামাজ চিন্তা ভিত্তিক একটি রোমান্টিক পত্রোপন্যাস...

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৬

তখন মিরপুর-১১ তে থাকতাম। বাসার পরিবেশটা শিল্প চর্চার অনুকূলে ছিলো। যেটা ছিলো আমার মতো শিল্প আগ্রহী মানুষের জন্য বাড়তি পাওয়া। বাসার অন্যান্য সদস্যরাও ছিলো শিল্প চর্চার সাথে যুক্ত। আর প্রতিবেশী সাহিত্য যোদ্ধা বন্ধুরাও ছিলো আড্ডা প্রবণ। মিরপুর থেকে সপ্তাহে ছয়দিন ধানমন্ডি-৫ এ এসে অফিস করতাম। যে কারণে প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে সাড়ে তিনঘন্টা জার্নি করতে হতো। তবে এই জার্নির সময়টা পেইনের হলেও বৃথা যায়নি। বাসে ঝিমুনির সাথে সাথে তৈরি হয়েছে ‘গুহা’র মতো উপন্যাসের খসড়া। প্রথমে মাথায়। তারপর কাগজে কলমে। তারপর কম্পিউটারে। পঁয়ত্রিশ হাজার শব্দের এই উপন্যাস [ পত্রোপন্যাস ] তেরোটি আবেগঘন চিঠি দিয়ে সাজানো হয়েছে। যার পুরাটাই লেখা হয়েছে আমার কর্মক্ষেত্রে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে। লেখাটি শেষ হওয়ার পর পেড়িয়ে গেছে প্রায় তিন বছর। এই তিন বছরে এডিট করেছি অন্তত চৌদ্দ বার। হয়তো আরো ভালোভাবে এডিট করতে পারলে কিংবা আরো সময় নিয়ে কাজ করতে পারলে ভালো হতো। শিল্পে যেমন স্রষ্টার তৃপ্তি থাকে না। ঠিক তেমনই মনের মধ্যে এক ধরণের খুঁতখুঁত রয়েই গেলো। ইস্‌ যদি আর একবার এডিট করতে পারতাম ! সেটা হয়তো পরবর্তী সংস্করণে করা যাবে। কারণ ‘গুহা’র প্রিন্ট ভার্সন আর মাত্র দুই দিনের মধ্যেই হাতে পেয়ে যাবো। দীর্ঘ যন্ত্রণা থেকে বের হয়ে আসবে ‘গুহা’। অথবা সময়ের যন্ত্রণা...

‘গুহা’ উপন্যাসের ফ্ল্যাপে ব্যবহার করা আমার প্রিয় একটি আলোকচিত্র ২০১৭ সালে তুলে দিয়েছিলেন কবি শামীম আরেফীন। বইয়ের ফ্ল্যাপে ছবিটির যুক্ত হওয়া প্রিয় এই ছবিটির একটা সংরক্ষণের ব্যবস্থা হলো। আর অসাধারণ প্রচ্ছদটি করে দিয়েছে প্রিয় ছোট ভাই Al Noman। বরাবরই যার কাজের মুগ্ধ দর্শক আমি। আর পিছন থেকে স্বঘোষিত না-পাঠক কিন্তু পাঠ শ্রোতা আমার বউ তৃষা হক সব সময় উৎসহ দিয়েছে, বাধ্য করেছে এই উপন্যাস প্রকাশ করতে। এবং সকল আয়েজন সার্থক করে গুহাকে অালোর মুখ দেখাতে সাহস করেছেন অনুপ্রাণন প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী আবু মোহাম্মদ ইউসুফ যার কাছে অগণন কৃতজ্ঞতা। এমন অশ্লীল অভিধা পাওয়া ও মুক্তবোধের একটি চিন্তাকে অালোতে আনার ব্যবস্থা করার জন্য।
.............

‘গুহা’ উপন্যাস থেকে...

‘‘এই কুত্তা ! এতো আবেগী কথা বলছি বলে মনে করিস না—আমি তোর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি। আমার এখন একটাই রাজকুমার। ওই পাগলাটা। যে কোনো কিচ্ছু ভয় পায় না। আমার মতো রাগী মহিলাকে কে কি করে যে বশ করে ফেলেছে সেটা ভেবে মাঝে মাঝে হাসি। হায়রে ভালোবাসা। যেখানে কোনো জাত পাত নেই বয়স যেখানে কোনো ব্যাপারই না। কেবল কাছে টানার মন্ত্র জানলেই হয়ে যায়। কি হয় রে ! তোর তো জানার কথা। তুই জানবি না তো কে জানবে। তুই তো আমার মাষ্টার। তোর হাতেই তো আমার হাতেখড়ি।
জানিস? জামাই মাঝে মাঝে আমাকে গান শোনায়। সে তো ভালো গান গায়। ছাত্র জীবনে গান গেয়ে অনেক প্রাইজ পেয়েছে। কিন্তু তার কণ্ঠে যখন ‘এসো প্রিয়া তোমার খোঁপায় দিবো তারার ফুল...’
আমি হারিয়ে যাই। সেখানে পাগলার মুখ থাকে। সেখানে তোর মুখ থাকে। সেখানে শাদা চামড়ার টানে কপোকাত হারামিটার মুখও থাকে। তুই কেনো এতো জ্বালাস আমাকে বলতো? তোকে তো আমি বারবার মন থেকে বিদায় করে পুত পবিত্র হতে চাইছি। চেষ্টা করছি। পারছি না কেনো বলতো! তোর কাছে কি কোনো আলাদিনের যাদু আছে? ‘’

'' আমি বলে এসেছিলাম সে মারা গেলে যেন অন্তত একবার আমাকে খবর দেয়। তাকে যেন আমি দেখতে পারি। তার ছেলেরা সে কথা রেখেছিলো। আমি ঢাকা থেকে ছুটে গিয়ে তাকে নিজ হাতে কবরে শুইয়ে দিয়েছিলাম। সেদিন আমি কাঁদিনি। একটুও কাঁদিনি। আজ কেনো এতো কান্না পাচ্ছে বলো তো। আমি মাকে আসলে সত্যিই অনেক ভালোবাসি। সেতু অনেক ভালোবসি। মাকে জোর করে কি ঢাকা নিয়ে আসা উচিত ছিলো? মায়ের বিপক্ষে যেমন অনেক অভিযোগ আছে। তেমন তার পক্ষেও অনেক যুক্তি আছে। যেগুলো নিয়ে আমি অনেক বছর ধরেই ভেবেছি। আজ সারাটি বিকেল মায়ের গোসল করার পর মারহীন কাপড়ে জড়ানো দাঁত পড়ে যাওয়া মুখটা আমার সাথে কথা বলেছে। আমি শুধু কেঁদেছি। একটুও কথা বলতে পারিনি। একটা কথার জবাব দিতে পারি নি। কি হয়েছে আমার—বলো তো। তোমাকেও বা আজ কেনো এতো মিস করছি। তুমি আসলে প্রেমিকার পাশাপাশি একটু একটু করে আমার মা হয়ে উঠতে ছিলে! যেখানে আমি নিঃসঙ্গ একা। যেখানে আমি কাউকেই দাঁড় করাতে পারি না। সেখানে তুমি নিজের যোগ্যতায় অকপটে ঢুকে গিয়েছিলে। আমি তোমাকে স্বাগত জানিয়েছি। তোমার মুখে নাকঘষে শরীর থামিয়েছি। আবার তোমার বুকে মাথা রেখে ঘন্টার পর ঘন্টা কেঁদেছি। ''

‘‘...এতো তাড়াতাড়ি তোমার চিঠি পাবো বুঝতে পারি নি। হঠাৎ করে তুমি আবার কেনো আমার কাছে খুলে পড়ছো! সেটা হিসেব করছি। আমি যুক্তিবাদী মানুষ। সব কিছুকে যুক্তি দিয়ে বিচার করতে চেষ্টা করি। তোমার এই খুলে পড়ার অভ্যাসটা প্রথমবার যখন আমাদের রিলেশনটা ভেঙে গিয়েছিলো তখন পেয়েছিলাম। এইবার আবার দেখি তেমন করে তুমি খেলছো। তোমাকে আমি হাড়ে হাড়ে চিনি। তোমার মায়ের কথা বলো আর যাই বলো বউ বিদেশে পিএইচডি করছে এই সুযোগে আমাকে বাড়তি পাওনা হিসেবে লাগানোর ধান্দা করলে ভুল করবে শুভ্র। তোমার প্রতি এখনো আমার টান আছে। সেটা আমি অস্বীকার করছি না। তোমার মতো একজন মানুষের শূন্যতা আমি সব সময় ফিল করি। এর মানে এই নয় যে আবার তোমার বুকে আমার বুক খেলাবো। অন্য পুরুষের কাছে সব বিলিয়ে দিলেও আমি আর তোমার সাথে আর শুবো না। সেটা আবার ভালো করে বলে দিলাম। তাতে যদি তুমি আমাকে নারীবাদী বলো তো বলতে পারো। অপমানে যোগাযোগ না রাখতে চাও—সেটাও করতে পারো। ’’
...................................
গুহা উপন্যাসের ফ্ল্যাপ

সৌখিন ফটোগ্রাফার শুভ্র। তার পৃথিবী মমতাহীন শূন্যতায় ভরা। একে একে কাছের মানুষদের প্রস্থান তার জীবনকে ক্যামেরার ক্লিকের সাথে বন্দি করে ফেলে। এক সময় তার নিঃসঙ্গ জীবনে আসে দুঃখ ভাগ করে নেয়ায় আগ্রহী মানুষেরা। হয়তো তারা একই মানুষ। ভিন্ন তাদের নাম। তারা সেতু-ঋতু-রূপা অথবা স্বাতী। যারা শুভ্র’র মনস্তাত্ত্বিক ভাবনা-যৌন বিশ্বাস-উড়ন্ত নেশা ও বিপন্ন ক্ষতের সাথে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় জড়িয়ে যায়। অথবা তারা কেউ না। শুধু শুভ্র। শুধু নিঃসঙ্গ একজন মানুষ। নিজস্বতায় নিমগ্ন। যে ক্রমশ ঢুকে যায় অচেনা এক জগতে! নিষিদ্ধ ভাষা ও চিঠির ভাঁজে...

‘গুহা’ যৌন বিশ্বাস, ব্যক্তি চিন্তার স্বাধীনতা, সমকালীন পীড়া ও নারীবাদ-নারী সামাজ চিন্তা ভিত্তিক একটি রোমান্টিক পত্রোপন্যাস...

প্রকাশনী: অনুপ্রাণন প্রকাশন
প্রচ্ছদ : আল নোমান
ধরন : পত্রোপন্যাস
পৃষ্ঠা : ১১২
মলাট মূল্য : ২৪০ টাকা

‘গুহা ’ ঘরে বসে পেতে চাইলে ক্লিক করুন এই লিংকে-

#rokomari.com থেকে'গুহা' প্রি-অর্ডার করতে...
লিংক: https://www.rokomari.com/book/176452/guha

#Boibazar.com থেকে 'গুহা' প্রি-অর্ডার করতে...
লিংক: https://www.boibazar.com/book/guha-hardcover?

#boiutshob.com থেকে 'গুহা' প্রি-অর্ডার করতে...
লিংক:https://www.facebook.com/…/a.10115318423…/1275560069263978/…

#bibidhshop.com থেকে'গুহা' প্রি-অর্ডার করতে...
লিংক:https://www.facebook.com/…/a.36917129981…/2403099339760389/…

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৮

হাবিব বলেছেন: আপনার জন্য শুভ কামনা

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৬

সানাউল্লাহ সাগর বলেছেন: ভালোবাসা জানবেন।

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: শুভকামনা থাকবে। এগিয়ে যাক পথচলা।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২৭

সানাউল্লাহ সাগর বলেছেন: ভালোবাসা জানবেন।

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: শুভকামনা আপনার জন্য।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০৪

সানাউল্লাহ সাগর বলেছেন: ভালোবাসা জানবেন।

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই সংগ্রহ করবো।
সেদিন অনুপ্রানন এ গিয়েছিলাম।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০৪

সানাউল্লাহ সাগর বলেছেন: ভালোবাসা জানবেন।

৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৭

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


সংগ্রহের চেষ্টা করব

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০৫

সানাউল্লাহ সাগর বলেছেন: ভালোবাসা জানবেন।

৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অভিনন্দন ও শুভকামনা ভায়া :)

+++

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০৭

সানাউল্লাহ সাগর বলেছেন: ভালোবাসা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.