নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৃজনশীল লেখালেখি, গবেষণা ও সম্পাদনা
প্রকাশিত হলো সানাউল্লাহ সাগর প্রণীত কবিতার বই (সাগরীয় সনেট) ‘অনার্যের সাইকেল’। আগ্রহীরা অনুপ্রাণন প্রকাশন কাঁটাবনস্থ বিক্রয়কেন্দ্র থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
শুরুর কথা...
নিজের কাছে ফিরতে দেরি হয়ে যায়। তবুও ফিরতে হয়। হাত-পা কিংবা চোখের সামনেও নিজেকে ছোট লাগে। চুপচাপ নাকের অভ্যন্তরে বসে থাকি। চিন্তার পুকুরে ঘেউ দেয়া কান্নাকে জাপটে ধরে থাকি। নিজস্ব কোরাসে ল্যাপটে দিই অনাগত সবুজের মৃত্যু সংবাদ। এই তো সম্ভোগ লিপ্সার প্রণয় বিন্যাস। বিস্তৃত কৃতিকারদের প্রেমালাপ।
নিজস্ব এইসব প্রেমালাপ থেকে জীবনের দূরত্ব কতটুকু? কিংবা জ্ঞানের মুখোশ ফেলে দিলে ছাতিম গাছের কাছাকাছি কারা থাকে? এইসব প্রশ্নের উত্তর আমার কিংবা আমার কবিতার জানা নাই। এখানে ফুটপাতহীন রাজপথে হেঁটে আসা তারুণ্যের গন্তব্যরা আছে। যাদের পোশাকে নির্মিত হয় জীবনের লোভ! কিংবা অনাগত চোখের গভীর কোনো বৃত্তান্ত মুখর সন্ধ্যা।
কথা হচ্ছে—এগুলোকে কি সনেট বলা যায়? হয়তো হ্যাঁ। হয়তো না। কিন্তু সনেটই কেন বলতে হবে? আর সহীহ সনেট হওয়ার জন্য যেসব লেজ-কোর্তা থাকা জরুরী সেসব সব ক্ষেত্রে রাখাকে সবাই কর্তব্যজ্ঞান করবেনা এটাও স্বাভবিক। আমি বিশ্বাস করি আশ্চর্য বা অস্বাভাবিক বলে কিছু নেই। জগতে যা ঘটে সবই স্বাভাবিক। তবে এ প্রশ্ন হওয়াটাও সহজ যে এগুলো কবিতা কিনা? আমি এগুলোকে কবিতা বলছি—আপনি নাও বলতে পারেন। কারণ কোনো কিছু মানতে বাধ্য করানো শিল্পি বা শিল্পের কাজ নয় বলে আমি মনে করি। বরং এটা বিশ্বাস করি যে, চিন্তায় নামানো শিল্পির কাজ। সে কারণে ওই অর্থে ডিসিশন দিতে চাই না। আবার কারো ডিসিশনের অপেক্ষাও করি না। কারো মনে হতে পারে সনেটের আদলে এগুলো সচেতন নির্মাণ। আমি বলবো জগতের কোনো কিছুই নির্মাণের বাইরে নয়। কেনো শরীর এমনি এমনি তৈরি হয় না। তেমন আমি কিংবা এই খণ্ড খণ্ড আমিও নির্মিত সত্য—ঠিক আমার ছায়ার মতন।
বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে...
নিজস্ব অন্ধকার থেকে ছড়িয়ে যাচ্ছে ঢেউ—চারিদিকে অনাহুত স্বপ্নের প্রলাপ। তুমুল তীব্রতায় প্রবাহিত স্বপ্নের মতন হাজির হয় আর্য-অনার্যের প্রতিবিম্ব। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকে অসমাপ্ত সিঁড়ি। সেখান থেকেই শুরু হয় ‘অনার্যের সাইকেল’। চলতে থাকে। চলতেই থাকে। সহস্র অশ্বখুর আর মায়ার বাঁধন কেটে নিজস্ব আয়নার দিকে। এমন বিসর্জন কিংবা আত্মআবিষ্কারের প্রলোভন নিয়ে হাজির হয়েছে বাংলা অঞ্চলের পুরাকীর্তি ও সাগরীয় সনেটের কাঙ্ক্ষিত একগুচ্ছ সিঁড়ি। নির্দ্বিধায় উড়াল দেয়া যায় সে পথে—ফেলে আসা ঠিকানার দিকে কিংবা সমসাময়িক তৈলচিত্রের অভ্যন্তরে। প্রস্তুুতি পর্ব পেরিয়ে আসা অগ্রসর ক্ষুধার পথিককে এই সচেতন নির্মাণের তীব্র দহন ও সাইকেলের রূপ-রস আরো উজ্জ্বল করে তুলবে।
‘অনার্যের সাইকেল’ বই থেকে একটি কবিতা...
তিলোত্তমা বিষয়ক
তিলোত্তমা, আমি আর কতোদূর যেতে পারি! রোদ
শুকিয়ে সড়ক বাতিতে উঠেছি গোপনে। শিথানে
রেখেছি গোলাপ; পাপের প্রাচীর থেকে ফিরে এসে
দেখেছি তোমার পাজরে কোলাহলপূর্ণ তাথই।
আগাছার ভেতর রঙধনু কাঁদে মলিন জলে,
ভিজে যায় তব্দা খাওয়া হাহাকার। ছুটেছি, রঙ
পাখিদের পিছু পিছু স্বদেশ—অজানাই থেকে
গেল পুষ্পিত রেহেলে খশবু ছড়ানো অধ্যায়।
ভুলে ভুলে চাঁদ-নদী-পাখি লিখে দৌড়ে গেছি স্রোতে;
কাঁটাগান শুনে তন্দ্রা ভেঙেছে জুঁই। লাটাই হাতে
ছেড়ে দিয়েছি কান্নার ঘুড়ি। যেতে পারিনি অন্ধের
বুক বরবার; কোলাহল রঙা পিপাসার ঘরে।
তিলোত্তমা, মদিরার মক্তব ছুটি। ফেরারি তুমি
লাল-নীলে। আমি আর কতদূর যেতে পারি বলো?
...................
মূল্য: ১৫০ টাকা। (২৫% ছাড়ে)
যোগাযোগ:
বি/৬৩-৬৪ কনকর্ড এম্পোরিয়াম কমপ্লেক্স,
কাঁটাবন (এলিফেন্ট রোড) ঢাকা।
ঘরে বসে সংগ্রহ করতে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন
https://anupranon.com/product/à¦
নারà§à¦¯à§à¦°-সাà¦à¦à§à¦²/
#সানাউল্লাহ_সাগরের_কবিতা
#অনার্যের_সাইকেল
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
শুভকামনা ও অভিনন্দন।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:২৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: শুভকামনা