![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছুদিন আগে রথযাত্রার সময় নিরাপত্তার অজুহাতে যাত্রা সীমিত আকারে করা হলো।
দুর্গা পুজায় সাউন্ড সিস্টেমের পর কড়াকড়ি আরোপ করা হলো।
পহেলা বৈশাখ পালনে বিশেষ নিয়ম জারি করা হলো।
কয়দিন আগে মিউজিক ফেস্টিভ্যাল স্থগিত করা হইছিল
এবং
ইংরেজী বর্ষবরণে আবারো প্রশাসন থেকে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আসলো,
'এই করা যাবেনা, সেই করা যাবেনা, খোলা জায়গায় অনুষ্ঠান করা যাবেনা, সন্ধ্যার পর বের হওয়া যাবেনা ইত্যাদি।
ব্রিটিশ আমলে ছিল সূর্যাস্ত আইন। আর এখন হইছে সান্ধ্য আইন। টিএসসিতে পারলে ১৪৪ ধারা জারি করে বিশেষ বিশেষ দিনে ।
অজুহাত একটাই।
নিরাপত্তা ।
প্রশ্ন হলো কিসের অথবা কাদের ভয়ে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা?
উত্তর সবাই জানি।
নাশকতা ।
নাশকতা কারা করে?
- ইসলামিক উগ্রপন্থীরা
ইসলামিক উগ্রপন্থী কারা?
- যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠায় নাশকতা করে।
ইসলামিক উগ্রপন্থীরা কিভাবে তৈরি হয়?
- এদেরকে ট্রেইন্ড করা হয়। ব্রেইন ওয়াশ করা হয়।
কারা ব্রেইন ওয়াশ করে?
- জংগী নেতারা, ওয়াজকারী মোল্লারা।
তা জনাব, এই পর্যন্ত এই ওয়াজের বিষয়ে সরকার কি কি নজরদারি করছে? কেন এদের বেলায় কোনো আইন প্রযোজ্য হয় না! প্রতিটা পাড়ায় মহল্লায় এইবারের ওয়াজ এবং তালিমের রেকর্ড অতীতের যে কোন বারের তুলনায় অনেক বেশি। এবং এসবই হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়।
বিষগাছে বিষফল হয়। বিষগাছে নিয়মিত সার, পানি দেই যত্ন করি কিন্তু গাছের ফল পাঁকলে ফলের দোষ কেন হবে?
ওয়াজ, তালিম, খুতবায় কি বলা হয় তার ভিডিও অনলাইনে কম নাই। হিংসা, ধ্বংস এগুলাই ওয়াজের মাল-মশলা। সাথে হালকা যৌণ সুড়সুড়ি এবং বিধর্মীদের গীবত। ফলাফল এক একটা ইসলামিক বম্ব। ইগনাইট করলেই ব্লাস্ট।
একবারে হুট করে আজকের পাকিস্তান-আফগানিস্তান হয় নাই। আমাদের মতো করেই হইছে। আস্তে আস্তে সব কিছু বন্ধ করতেছি। এসব বিধিনিষেধ মানেই জংগীদের উৎসাহী করা। তাদের উদ্দেশ্য সফল। আস্তে আস্তে দেখা যাবে সব কিছু বন্ধ। বিয়া বাড়িতে গান-বাজনা করলেও বিশেষ অনুমতি নিয়া পুলিশের পাহারায় করা লাগবে।
ভাস্কর্যের চুলকানি বাড়ার সাথে সাথে সিলেটে বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি নিয়া চুলকানি শুরু। ছবিগুলা মুছে ফেলা হলো। এভাবেই সব কিছু ইসলামিকরণ তথা সাংস্কৃতিক মরুকরণ হচ্ছে। আপনি যতই দেবেন তারা ততই চাবে। এবং এটা চলমান ধারা।
এখন যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও পর্যাপ্ত আবেগ অনুভূতির সহিত থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।
এ উপলক্ষে ভেন্যু নীতিমালার পর এবার পানীয় নীতিমালা ঘোষণা করা হয়েছে।
০ থার্টি ফার্স্ট নাইটে যে কোন ধরণের পানীয় পানের সময় বিসমিল্লাহ পড়ে পান করবেন।
০ বাম হাতে পাত্র ধরে পান করা যাবে না। অবশ্যই ডান হাতে ধরে পান করতে হবে।
০ দাঁড়িয়ে পান করা যাবে না। এটা শয়তানের কাজ। বসে অথবা শুয়ে পান করতে হবে।
০ থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে গোঁফ ছাঁটাই করতে হবে। পানপাত্রে গোঁফ চুবিয়ে পান করা যাবে না।* এটা হারাম।
০ পান শেষে ফেসবুক লাইভে এসে তওবা করতে হবে। এবং ১২ ঘন্টার মধ্যে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার/কাউন্সিলরের সুপারিশপত্র ও দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ সেই লাইভ ভিডিওর লিংক নিকটবর্তী থানায় সেন্ড করে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে আসতে হবে। পরবর্তী থার্টি ফার্স্ট নাইটে পান করার সময় এই ক্লিয়ারেন্সের দরকার হবে।
* গোঁফের ব্যাপারটা নারীদের জন্য শিথিলযোগ্য। কিন্তু কোন নারীর স্বামী বা বয়ফ্রেন্ড যদি গোঁফ না ছাঁটে, তাহলে ওই নারীকেও অভিযুক্ত বলে গণ্য করা হবে।
প্রচারে - আছাদুজ্জামান ফ্যান ক্লাব
আমরা যা করতে পারি থার্টি ফাস্ট নাইটে বায়তুল মুকারম মসজিদে সমাবেত হয়ে দুই রাকাত তাহাজ্জুত ও দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে গোটা দুনিয়ার মানব কল্যানের জন্য দোয়া খায়েশের আয়োজন করার আহবান জানাই।
অথবা
থার্টি ফার্স্ট নাইটের অনুষ্ঠানকে পর্দা পরাতে হবে। খোলা ও প্রশস্থ যায়গা যেমন মাঠে, রাস্তায়, অফিসে, থিয়েটারে, বাড়ির উঠানে, ছাদে, বারান্দায়, ড্রয়িং রুমে, বেডরুম, কিচেন রুমে কোন অনুষ্ঠান করা যাবে না।
তবে বাথরুম, স্টোর রুমে, লিফট, ওয়ারড্রব, আলমারি, রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন, বড় ব্রিফকেস, ট্রলি ব্যাগের ভেতর অনুষ্ঠান করা যাবে। দয়া করে বাথরুমে অনুষ্ঠান করার সময় ভেন্টিলেটর বন্ধ রাখবেন। গ্লাস ভাঙ্গা থাকলে এক টুকরো কাপড় দিয়ে ঢেকে দিবেন।
আনন্দ উৎসব সকলের নাগরিক অধিকার। কিন্তু আমাদেরকে দায়িত্বশীল হতে হবে, সবকিছু বুঝতে হবে। মনে রাখতে হবে, উৎসব যার যার ধর্ম আছাদুজ্জামান ভাইদের।
পরিশেষে থার্টিফার্স্টে ছাদে পার্টি করতে নিষেধ করেছে।ব্লাউজ-পেটিকোট রোদে শুকাতে নিষেধাজ্ঞা দেয় নাই।
খুশী থাকেন।
লেখাটি সংকলন করা হয়েছে-
(আকাশলীনা,সবাক,বীমান ধর,আশানুর )
২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৩
বিজন রয় বলেছেন: বিদায় ২০১৭, স্বাগতম ২০১৮,......... নতুনের শুভেচ্ছা রইল।
৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৬
জাহিদ অনিক বলেছেন:
হা হা হা হা
স্যাটায়ার !!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার ,
প্রথমাংশে ঠিকই বলেছেন ।
বুড়িগঙ্গা একদিনে নষ্ট হয়ে পঁচে যায়নি । তাকে পঁচানো হয়েছে ধীরে ধীরে ।
বাকীটুকুর জন্যে হা.........হা...........হা...............