নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেমন ইচ্ছে লেখার আমার ব্লগের খাতা।

Never argue with idiots. They bring you down to their level and then beat you with experience

সন্দীপন বসু মুন্না

অন্য সবার মতোই জীবনে স্বপ্ন ছিল অনেক। তবে আপাতত বাসা টু অফিস টু ক্লাস টু ঘুম। এক সময়ের স্বপ্ন গল্পকার হওয়া আজ গল্পের মতোই লাগে। বাংলার সাহিত্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা ! ;) ;) তারপরও ভাবি...এই বেশ ভালো আছি... সামু বা অন্যান্য ব্লগ সাইটগুলোতে প্রায়ই ঘোরঘুরি হয়। অনেক কিছুর পরও এই বিলাসিতাটুকু বাদ দিতে পারিনি। তবে শৌখিন ব্লগ লেখালেখি আপাতত বন্ধ। তবুও কাজের খাতিরে লেখাগুলো দিয়ে আপলোড চলছে-চলবে (একই সাথে পাঠকের বিরক্তি উৎপাদনও সম্ভবত!)। ছবিসত্ত্ব: গুগল ও ইন্টারনেটের অন্যান্য ইমেজ সাইটস। যোগাযোগ - ফেইসবুক: https://www.facebook.com/sandipan.Munna ইমেইল: sbasu.munna এট্ gmail.com

সন্দীপন বসু মুন্না › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজা রামমোহন রায়; বাংলার নবযুগের নায়ক

২২ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:২৫





রাজা রামমোহন রায় ছিলেন অবিভক্ত বাংলার নবজাগরনের অগ্রদূত। তিনি ছিলেন একাধারে সমাজ, শিক্ষা ও ধর্মীয় সংস্কারক। এই মনীষী ১৭৭২ সালে হুগলি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। রামাকান্ত রায় ছিলেন তার বাবা এবং তারিণী দেবী ছিলেন তার জননী। রাজা রামমোহন রায় সংস্কৃত, আরবী, ফারসী, ইংরেজি ভাষায় পান্ডিত্য লাভ করেন। হিব্রু, গ্রিক, সিরীয় প্রভৃতি ভাষায়ও দক্ষতা অর্জন করেন। ইসলাম ধর্ম, খ্রিস্ট ধর্ম ও বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে তার গভীর জ্ঞান ছিল। তিনি প্রথমে কোম্পানির চাকুরীতে যোগদান করেন এবং দায়িত্বপূর্ণ পদে উন্নীত হন। তিনি একসময়ে রংপুর কালেক্টরেটে কর্মরত ছিলেন।



রাজা রামমোহন রায় এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের পক্ষাপাতী ছিলেন।

এছাড়া রামমোহন রায়ের বিপ্লবী চিন্তার ফসল হিন্দুধর্ম সংস্কার আন্দোলন। তিনি প্রতিমা পূজা বর্জন করেন এবং বিশ্বাস করতেন এক সর্বজনীন ঈশ্বরপূজায়। তিনি ১৮২৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ব্রাহ্মসভা, যা পরবর্তী সময়ে ব্রাহ্মসমাজ নামে পরিচিতি লাভ করে। রামমোহন রায়ের সমাজ সংস্কার আন্দোলনের সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি হলো সতীদাহ প্রথা উচ্ছেদ। সনাতন হিন্দুধর্মে প্রচলিত অমানবিক ও নির্মম সহমরণ প্রথার বিরুদ্ধে তিনি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলেন। তার অক্লান্ত চেষ্টার ফলে ১৮২৯ সালে লর্ড বেন্টিঙ্ক আইন পাশ করে সতীদাহ প্রথা রহিত করেন। রামমোহন রায় স্বীয় ধর্মমত ও ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি প্রচারের জন্য ১৮২১ সালে সংবাদ কৌমুদী নামে একটি বাংলা সংবাদপত্র প্রকাশ করেন।



বাঙালির মধ্যে জাতীয় চেতনার উন্মেষ সাধনে রামমোহন রায়ের ভুমিকার কথা আজও সশ্রদ্ধচিত্তে উচ্চারিত হয়। তাঁর মাধ্যমেই বাঙালি সর্বপ্রথম মতৈক্য পোষণ করে সংঘবদ্ধ হয় এবং তাঁদের নিজস্ব মতামত প্রদানে সক্ষম ও উৎসাহী হয়। রামমোহন রায় বাঙালিকে জাতি হিসেবে আÍপরিচয় সমৃদ্ধ করতে চেষ্টা করেছেন। এই মনীষী ১৮৩৩ সালে ইংল্যান্ডের ব্রিষ্টল শহরে ইহলোক ত্যাগ করেন। আজ ২২ মে বাংলার নবযুগের প্রথম ও প্রধান নায়ক কীর্তিমান পুরুষ রাজা রামমোহন রায়ের ২৩৯তম জন্মবার্ষিকী।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৭

মো: ইমতিয়াজ আল্‌-হারুন বলেছেন: রাজা রামমোহন রায় কে আমার পক্ষ থেকে শুভ জন্মদিন........ :-B :-B :-B

২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৯

সন্দীপন বসু মুন্না বলেছেন: জন্মদিনে রাজা কি খাওয়াইতে পারে তাই ভাবতেছি। ;)

২| ২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৯

তৌফিকতুহিন বলেছেন: প্রথমেই পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

রাজা রামমোহন রায় কেবল নবযুগের নায়কই নয়,বস্তুত সমগ্র আধুনিক বাঙ্গালী সমাজের একজন প্রধান সমাজ সংস্কারক।

আর বিশেষ করে আরেকজন আছে, যিনি আমি মনে করি অন্তত আমার দৃস্টিতে হাজার বছরের শ্রেস্ট বাঙ্গালী তিনি হলেন ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।এ দুজনের মত অসাম্প্রদায়িক ,মহান ব্যক্তি আমরা আর একটিও পায় নি,এখন পর্যন্ত।

অথচ কি পরিহাস !আমরা আজ এদেরকে প্রায় স্মরন করাই ভুলে গেছি।বাঙ্গালীর স্মরন শক্তি কি চমতকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.