নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Shondhi Muhid

সন্ধি মুহিদ

ভেতরে বৈরাগ্য, বাইরে সংসারী মুখোশ!

সন্ধি মুহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাঝরাতে কত কথা যে মনে আসে!

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৭

মানুষ সাধারণত একটা তথ্য জানা মাত্র সেই মতে নিজের মনকে ঠিক করে নেয়। অন্তত নেওয়া উচিত।

ধরা যাক, কোনো লোকের বাবা অসুস্থ। ডাক্তার বলে গেল, বাঁচবে না! লোকটা কান্নাকাটি করতে পারে কিছুক্ষণ। তারপর কিন্তু তাকে ভাবতে হবে যে বাবার মৃত্যুর পর তাকে কী কী কর্তব্য পালন করতে হবে। এই চিন্তায় সে শোক কমিয়ে ফেলবে।

ধরা যাক, সেই লোকের একটা দামী মোবাইল ছিল। চুরি হয়ে গেল। সে প্রথমে মন খারাপ করবে, তারপর ভাববে এখন মোবাইলের কাজ কীভাবে চালানো যায়। দরকারী মানুষদের জানাতে তো হবে যে ফোন নেই! আবার নতুন আরেকটা ফোনের যোগাড় তো করতে হবে!



কিছু লোক আবার করে কী, আশ্চর্য আশা নিয়ে বসে থাকে। কোন লোক হয়ত আশা নিয়ে বসে থাকলো, তার বাপ বেঁচে উঠবে। মিরাকল ঘটবে। আবার আশা করতে পারে যে চোর মোবাইল ফেরত দিয়ে যাবে!



আমি তাকে বললাম, আমি ঘুমিয়ে যাব। আশা করেছিলাম, সে আমাকে চেনে! আমি যে ঘুমাই না। এডমিশনের আগের রাতেই আমি ঘুমাই নি! আর আজ! কিন্তু সে ভাবলো, আমি ঘুমিয়ে যাব। সে সেই মত মাইন্ড সেট আপ করে নিল! আমি ক্যান এখন তাকে ফোন করব? প্রথমে হয়ত তার খারাপ লেগেছে। কিন্তু সে হয়ত এখন সময়টাকে এনজয় করতে শুরু করেছে।



এটা আমি করি। সে বলে, সে কাজে ব্যস্ত। তখন আমি নিজের মনকে ফর্ম্যাট করি। কারণ ফিলিংস নিয়ে বসে থাকলে আমার কষ্ট হয়। তার চেয়ে আমি নির্লিপ্ত হয়ে যাই। কিন্তু দেখা যায় তার ব্যস্ততা শেষে যে যখন ফিরে আসে, তখন আমি আর মনকে তার কাছে আগের মত করে ফিরিয়ে দিতে পারি না! আমার কাছে তখন মনে হয়, ধুর, ভালই তো ছিলাম। আবার আসলো কেন? এটা নিয়ে প্রতিদিন ক্যাঁচাল হয়।



এখানে তারও দোষ নাই। পরিবারের কাজে তাকে সামান্য ব্যস্ত থাকতে হতেই পারে। আবার আমিও যে কাজ করি আমার মন নিয়ে, সেটাও আমার জন্য অস্বাভাবিক না। অপরাধ না। এমন আজব আজব ব্যাপার ঘটে!



ভেবেছিলাম, বুঝি মনের মত কাউকে পেয়ে গেলেই সুখ আসবে। কিন্তু চরম সুখ, চরম প্রাপ্তি, অর্থাৎ আর কিছু চাওয়ার নেই, পাওয়ার নেই, এই অনুভূতি থেকেও যে তীব্র বৈরাগ্য আসতে পারে, তা আগে বুঝি নি।



গৌতম বুদ্ধ কি সাধেই সব ছেড়ে গৃহত্যাগ করলো? আসলে প্রকৃত সুখ সেখানেই, যেখানে দুঃখের সাথে মোকাবেলা করতে হয়। আমি অনেককেই বলি, এমন কী নিজের প্রেমিকাকেও বলি, আমাকে ফুল কন্ট্রোল দিও না! এতে আমার ইন্টারেস্ট চলে যাবে! এটা আগেও দেখেছিলাম, যতদিন প্রেমিকা সিরিয়াস, ততদিন প্রেমিক উদাসী। যখন প্রেমিক উদাসী, তখন প্রেমিকা বোঝে, আরে! ছুটে গেল নাকি? এইবার সেও সিরিয়াস হয়।



ভাই রে, জটিলতার জাল খুলে খুলে দেখছি। শিখছি। শেখার শেষ নেই। এবং শেখাচ্ছি। আশেপাশের অনেকজনকেই অনেক 'থেরাপি' দিয়েছি আমার কথা দিয়ে, যে তাদের মানসিক কষ্ট, কনফিউশন দূর হয়ে গেছে!



জগতের সকল প্রাণি সুখী হোক। -_-

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪৬

জেরিসেল বলেছেন: ভাইরে আমিও সেইম প্রবলেমে আছি.............

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯

সন্ধি মুহিদ বলেছেন: :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.