নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Shondhi Muhid

সন্ধি মুহিদ

ভেতরে বৈরাগ্য, বাইরে সংসারী মুখোশ!

সন্ধি মুহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাব্যোমা ৩৬

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৬

১.
এই শীতে তুমি আমি কুয়াশার মাঝে হেঁটে বেড়াবো,
শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে,
আমি লিপজেল মাখাতে ভুলে যাবো।
তারপর তোমার ঠোঁট থেকে মেখে নেবো।
তুমি শীতে কাঁপলে আমার চাদরের মধ্যে চলে আসবে।
এই শীতে আমরা একসাথে ঘেমে যাবো পরস্পরের তাপে।

২.
তারপর একদিন হুট করে নেমে আসলো শীত,
হুঁ হুঁ করে নেমে আসলো কুয়াশার আবরণ,
তোমাকে খুঁজে পেলাম না হাতড়ে।
অথচ এই শীতে হাতে হাত রেখে হাঁটার কথা ছিল আমাদের।

৩.
ঝড় হোক আর মড়ক লাগুক,
অথবা ইস্রাফিল বাঁশি বাজাক,
আমার কিছু যায় আসে না।
প্রিয় কেউ চলে যাক, মরে যাক,
অথবা স্বয়ং ঈশ্বর নেমে আসুক।
আমার কিছুই আসে যায় না।
প্রিয় বলতেই যার আর কিছু বাকি নেই,
ঝড়ে উড়ে যাবার মত যার কিছু নেই,
তার নির্লিপ্ততা ছাড়া আর কিছু থাকে না।

৪.
আমি এখন হাসির পাত্র।
আমার নীলাভ লাশ দেখেও,
হা হা করে হাসবে তুমি।
আবার দরদ করে কবর দেবে,
আহা কী সুন্দর, কী সুন্দর!

৫.
ভালোবাসো আমাকে, নারী,
পবিত্র হও।
ডুব দাও আমাতে, জলজ হও।
যেন এক বিকেল মুখ তুললেই
দম আটকে মরতে হয়।
স্থলজ হবার সকল পথ অবরুদ্ধ করো নারী।

৬.
আমার অশ্রুর শপথ আমি শুধু তোকেই চাই

৭.
তোর চারপাশ ঘৃণায় থকথকে পিচ্ছিল,
তোর মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদ করবো যখন,
উড়ন্ত মাছিগুলো ঢোক গিলবে ভয়ে,
কী বীভৎস হৃদপিণ্ড তোর বুকের ভেতর,
দেখবো আমি, কেটেকুটে, কী করে তুই নির্দয় হলি,
কী এমন ভিন্ন ছিল তোর, আমার চেয়ে...

৮.
তীব্র গরমেও স্নান করি না ভয়ে,
যদি গায়ে লেগে থাকা তোমার ঘ্রাণ ধুয়ে যায় জলে...

৯.
মেয়েটা লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদে,
ফুঁপিয়ে কেঁদে বালিশ ভেজায়।
ছেলেটা নিতান্ত উদাসীন ইদানিং।
ছেলেটা শেষ কবে কবিতা লিখেছিলো
তাও তার মনে পড়ে না এখন আর।
জীবন এখন জীবনের মত কেটে যায়।
ব্যস্ততার নিচে চাপা পড়ে যায় অনুভূতি।

১০.
ভাতের সাথে মাখিয়ে মাখিয়ে খাচ্ছি কষ্ট,
খাওয়া শেষে কষ্টের বালিশে মাথা রেখে ঘুম।
স্বপ্নে আমার কষ্টদের সাথেই দেখা হয়।
ঘুম থেকে জেগে কষ্টের হাত ধরে হেঁটে বেড়াই।
কষ্টের ঠোঁটে চুমু খাই ক্ষণে ক্ষণে।
ব্রাশে খানিকটা কষ্ট মেখে দাঁত মাজি।
স্নান করি কষ্টের জলে, সাঁতার কাটি কষ্টের পুকুরে।

১১.
পঁয়তাল্লিশ বার জন্মালেও আমি তোমার যোগ্য হবো না।
তুমি বলেছিলে।
আশা করি ছিচল্লিশতম জন্মে তোমার যোগ্য হবো।
তুমি নিশ্চই তখন এতো অবহেলায় আমার হাত ছেড়ে দিবে না।
হাতটা ধরে নিশ্চই একবার সজল চোখে পিছু ডাকবে।
দূর থেকে তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে আমার পঁয়তাল্লিশবার মরণ ও পুনর্জন্ম হোক।
ততোদিন ভালো থেকো দেবী।
ভালো আছোই অবশ্য জানি।

১২.
- ওষুধ খেয়েছো?
- আমার ওষুধ তো তুমি!

১৩.
অথচ তোমার হাত হতে
বিষ গ্রহণ করতেও আপত্তি ছিল না।
খুশিমনে গিলে নিতুম,
তবুও তোমার দান,
এই ভেবে!
তুমি অস্বীকৃতি জানালে মধু অথবা বিষ সবতাতেই,
বিষের পাত্র পর্যন্ত শুন্য এখন,
ঘুরে বেড়চ্ছে কমলা রঙের শুঁয়োপোকা।
আমার হাতে লেগে থাকা তোমার হাতের সুগন্ধী
বুক ভরে টেনে টেনে আমি আকাশের চাঁদ দেখি।
এক ফালি চাঁদ এবং আধ ফালি আমি,
দুজনেই হাজার তারার মাঝে থেকেও একা।
একা এবং একক।
তোমার স্পর্শ অথবা স্মৃতি সবই গেঁথে থাকবে,
যতদিন না এই জ্যান্ত ক্যাডাভারে পঁচন ধরবে!

-------------------------------------
মার্চ থেকে নভেম্বর : ২০১৫
সন্ধি মুহিদ

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৭

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: চমৎকার কাব্যমালা।রোমান্টিকতার প্রকাশ।বেশ ভালো লাগল কবি+

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:০৩

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: ভালো লাগলো, ধন্যবাদ।

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩০

অপ্রকাশিত ৩ বলেছেন: অসাধারন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.