নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সন্যাসীর স্বপ্ন

শিক্ষা যেখানে অসম্পূর্ণ, জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

সন্যাসী

পরিবর্তন চাই- আপদমস্তক পরিবর্তন চাই। কুঠারাঘাত দিয়ে হলেও ভাঙতে চাই স্থবিরতার শৃঙ্খল।।

সন্যাসী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুজুর কেবলা-আবুল মনসুর আহমদ। যারা এই ছোটগল্পটি পড়েননি তাদের জন্য কপি পেস্ট করে ব্লগাইলাম

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:০৪

গল্পটি অনেক বড়। একটু সময় করে পড়তে হবে। দ্বিতীয়ত, আমি আর্মিতে চাকুরী না করলেও বর্তমানে আর্মির একটা বড়সড় পোস্ট দখল করে আছি। মানে আমি এখন জেনারেল। তাই নিজে কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে না।



এমদাদ তার সবগুলি বিলাতি ফিনফিনে ধুতি, সিল্কের জামা পোড়াইয়া ফেলিল; ফেক্সের ব্রাউন রঙের পাম্পশুগুলি বাবুর্চিখানার বঁটি দিয়া কোপাইয়া ইলশা-কাটা করিল। চশ্মা ও রিস্টওয়াচ মাটিতে আছড়াইয়া ভাঙ্গিয়া ফেলিল; ক্ষুর স্ট্রপ, শেভিংস্টিক ও ব্রাশ অনেকখানি রাস্তা হাঁটিয়া নদীতে ফেলিয়া দিয়া আসিল; বিলাসিতার মস্তকে কঠোর পদাঘাত করিয়া পাথর বসানো সোনার আংটিটা এক অন্ধ ভিক্ষুককে দান করিয়া এবং টুথক্রিম ও টুথব্রাশ পায়খানার টবের মধ্যে ফেলিয়া দিয়া দাঁত ঘষিতে লাগিল।

অর্থাৎ এমদাদ অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করিল! সে কলেজ ছাড়িয়া দিল।

তারপর সে কোরা খদ্দের কল্লিদার কোর্তা ও সাদা লুঙ্গি পরিয়া মুখে দেড় ইঞ্চি পরিমাণ ঝাঁকড়া দাড়ি লইয়া সামনে-পিছনে সমান-করিয়া চুলকাটা মাথায় গোল নেকড়ার মতো টুপি কান পর্যন্ত পরিয়া চটিজুতা পায়ে দিয়া যেদিন বাড়িমুখে রওনা হইল, সে দিন রাস্তার বহুলোক তাকে সালাম দিল।

সে মনে মনে বুঝিল, কলিযুগেও দুনিয়ায় ধর্ম আছে।

কলেজে এমদাদের দর্শনে অনার্স ছিল।

কাজেই সে ধর্ম, খোদা, রসূল কিছুই মানিত না। সে খোদার আরশ, ফেরেশ্তা, ওহী, হযরতের মেরাজ লইয়া সর্বদা হাসিঠাট্টা করিত।

কলেজ ম্যাগাজিনে সে মিল, হিউম, স্পেন্সার, কোমতের ভাব চুরি করিয়া অনেকবার খোদার অস্তিত্বের অসারতা প্রমাণ করিয়াছিল।

কিন্তু খেলাফৎ আন্দোলনে যোগদান করিয়া এমদাদ একেবারে বদলাইয়া গেল।

সে ভয়ানক নামাজ পড়িতে লাগিল। বিশেষ করিয়া নফল নামাজ সে একেবারে তন্ময় হইয়া পড়িল।

গোল-গাল করিয়া বাঁশের কঞ্চি কাটিয়া সে নিজ হাতে একছড়া তস্বিহ তৈরি করিল। সেই তস্বির উপর দিয়া অষ্টপ্রহর অঙ্গুলি চালনা করিয়া সে দুইটা আঙ্গুলের মাথা ছিঁড়িয়া ফেলিল।

কিন্তু এমদাদ টলিল না। সে নিজের নধর দেহের দিকে চাহিয়া বলিল : হে দেহ, তুমি আমার আত্মাকে ছোট করিয়া নিজেই বড় হইতে চাহিয়াছিলে! কিন্তু আর নয়।

সে আবার দ্বিগুণ উৎসাহে তস্বিহ চালাইতে লাগিল।



দুই

দিন যাইতে লাগিল।

ক্রমে এমদাদ একটা অস্বস্তি বোধ করিতে লাগিল।

বহু চেষ্টা করিয়াও সে এবাদতে তেমন নিষ্ঠা আনিতে পারিতেছিল না। নিজেকে বহু শাসাইল, বহু প্রক্রিয়া অবলম্বন করিল; কিন্তু তথাপি পোড়া ঘুম তাকে তাহাজ্জতের নামাজ তরক্ করিতে বাধ্য করিতে লাগিল।

অগত্যা সে নামাজে বসিয়া খোদার নিকট হাত তুলিয়া কাঁদিবার বহু চেষ্টা করিল। চোখের পানির অপেক্ষায় আগে হইতে কান্নার মতো মুখ বিকৃত করিয়া রাখিল। কিন্তু পোড়া চোখের পানি কোন মতেই আসিল না।

সে স্থানীয় কংগ্রেস ও খেলাফৎ কমিটির সেক্রেটারি ছিল।

সেখানে প্রত্যহ সকাল-বিকালে চারিপাশের বহু মওলানা মওলবী সমবেত হইয়া কাবুলের আমিরের ভারত আক্রমণের কতদিন বাকি আছে তার হিসাব করিতেন এবং খেলাফত নোট-বিক্রয় লব্ধ পয়সায় প্রত্যহ পান ও র্জদা এবং সময়-সময় নাশ্তা খাইতেন।

ইহাদের একজনের সুফী বলিয়া খ্যাতি ছিল। তিনি এক পীর সাহেবের স্থানীয় খলিফা ছিলেন এবং অনেক রাত পর্যন্ত ‘এলহু’ এলতু করিতেন।

অল্পদিন পূর্বে ‘এস্তেখারা’ করিয়া তিনি দেখিয়াছিলেন যে, চারি বৎসরের মধ্যে কাবুলের আমির হিন্দুস্থান দখল করিবেন।

তাঁহার কথায় সকলেই বিশ্বাস করিয়াছিলো; কারণ মেয়েলোকের উপর জিনের আসর হইলে তিনি জিন ছাড়াইতে পারিতেন।

এই সুফী সাহেবের নিকট এমদাদ তার প্রাণের বেদনা জানাইল।

সুফী সাহেব দাড়িতে হাত বুলাইয়া মৃদু হাসিয়া ইংরাজী-শিক্ষিতদের উদ্দেশ্য করিয়া অনেক বাঁকা বাঁকা কথা বলিয়া উপসংহারে বলিলেন : হকিকতান যদি আপনি রুহের তরক্কী হাসেল করিতে চান, তবে আপনাকে আমার কথা রাখিতে হইবে। আচ্ছা; মাস্টার সাহেব, আপনি কার মুরিদ?

এমদাদ অপ্রতিভভাবে বলিল : আমি ত কারো মুরিদ হই নাই।

সুফী সাহেব যেন রোগ নির্ণয় করিয়া ফেলিয়াছিলেন এইভাবে মাথা নাড়িতে নাড়িতে বলিলেন : হ-ম্, তাই বলুন। গোড়াতেই গলৎ। পীর না ধরিয়া কি কেহ রুহানিয়ৎ হাসেল করিতে পারে? হাদীস শরীফে আসিয়াছে : [এইখানে সুফী সাহেব বিশুদ্ধরূপে আইন-গাইনের উচ্চারণ করিয়া কিছু আরবী আবৃত্তি করিলেন এবং উর্দুতে তার মানে-মতলব বয়ান করিয়া অবশেষে বাংলায় বলিলেন] : জয্বা ও সলুক খতম করিয়া ফানা ও বাকা লাভে সমর্থ হইয়াছেন এরূপ কামেল ও মোকাম্মেল, সালেক ও মজ্যুব পীরের দামন না ধরিয়া কেহ জমিরের রওশনী ও রুহের তরক্কী হাসেল করিতে পারে না।

হাদীসের এই সুস্পষ্ট নির্দেশের কথা শুনিয়া এমদাদ নিতান্ত ঘাবড়াইয়া গেল।

সে ধরা-গলায় বলিল : কি হইবে আমার তাহা হইলে সুফী সাহেব?

সুফী সাহেব এমদাদের কাঁধে হাত রাখিয়া বলিলেন : ঘাবড়াইবার কোন কারণ নাই। কামেল পীরের কাছে গেলে একদিনে তিনি সব ঠিক করিয়া দিবেন।

স্বস্তিতে এমদাদের মুখ উজ্জ্বল হইয়া উঠিল।

সে আগ্রহাতিশয্যে সুফী সাহেবের হাত চাপিয়া ধরিয়া বলিল : কোথায় পাইব কামেল পীর? আপনার সন্ধানে আছে?

উত্তরে সুফী সাহেব সুর করিয়া একটি ফরাসী বয়েত আবৃত্তি করিয়া তার অর্থ বলিলেন : জওহরের তালাশে যারা জীবন কাটাইয়াছে, তারা ব্যতীত আর কে জওহরের খবর দিতে পারে? হাজার শোকর খোদার দরগায়, বহু তালাশের পর তিনি জওহর মিলাইয়াছেন।

সুফী সাহেবের হাত তখনও এমদাদের মুঠার মধ্যে ছিল। সে তা আরো জোরে চাপিয়া ধরিয়া বলিল : আমাকে লইয়া যাইবেন না সেখানে?

সুফী সাহেব বলিলেন : কেন লইয়া যাইব না? হাদীস শরীফে আসিয়াছে : (আরবী ও উর্দুু) যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় আসিতে চায়, তার সাহায্য কর।

সংসারে একমাত্র বন্ধন এবং অভিভাবক বৃদ্ধা ফুফুকে কাঁদাইয়া একদিন এমদাদ সুফী সাহেবের সঙ্গে পীর-জিয়ারতে বাহির হইয়া পড়িল।



তিন

এমদাদ দেখিল : পীর সাহেবের একতলা পাকা বাড়ি। বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। অন্দরবাড়ির সব ক’খানা ঘর পাকা হইলেও বৈঠকখানাটি অতি পরিপাটি প্রকা- খড়ের আটচালা।

সে সুফী সাহেবের পিছনে পিছনে বৈঠকখানায় প্রবেশ করিল। দেখিল : ঘরে বহু লোক জানু পাতিয়া বসিয়া আছেন। বৈঠকখানার মাঝখানে দেওয়াল ঘেঁষিয়া অপেক্ষাকৃত উচ্চ আসনে মেহেদি-রঞ্জিত দাড়ি বিশিষ্ট একজন বৃদ্ধ লোক তাকিয়া হেলান দিয়ে আলবোলায় তামাক টানিতেছেন।

এমদাদ বুঝিল : ইনিই পীর সাহেব।

‘আসসালামু আলাইকুম’ বলিয়া সুফী সাহেব সোজা পীর সাহেবের নিকট উপস্থিত হইয়া হাঁটু পাতিয়া বসিলেন। পীর সাহেব সম্মুখস্থ তাকিয়ার উপর একটি পা তুলিয়া দিলেন। সুফী সাহেব সেই পায়ে হাত ঘষিয়া নিজের চোখে মুখে ও বুকে লাগাইলেন।

তৎপর পীর সাহেব তাঁর হাত বাড়াইয়া দিলেন। সুফী সাহেব তা চুম্বন করিয়া দাঁড়াইয়া উঠিলেন এবং পিছাইয়া-পিছাইয়া কিছু দূর গিয়া অন্যান্য সকলের ন্যায় জানু পাতিয়া বসিলেন।

পীর সাহেব এতক্ষণে কথা বলিলেন : কিরে বেটা, খবর কি? তুই কি এরই মধ্যে দায়েরায়ে হকিকতে মহব্বত ও জয্বায়েযাতী-বনাম হোব্বে এশ্ক হাসিল করিয়া ফেললি নাকি?

পীর সাহেবের এই ঠাট্টায় লজ্জা পাইয়া সুফী সাহেব মাথা নিচু করিয়া মাজা ঈষৎ উঁচু করিয়া বলিলেন, হযরত, বান্দাকে লজ্জা দিতেছেন!

পীর সাহেব তেমনি হাসিয়া বলিলেন : তা না হইলে নিজের চিন্তা ছাড়িয়া অপরের রুহের সুপারিশ করিতে আমার নিকট আসিলেন কেন? কই তোর সঙ্গী কোথায়? আহা! বেচারা বড়ই অশান্তিতে দিনপাত করিতেছে।

এই বলিয়া পীর সাহেব চক্ষু বুজিলেন এবং প্রায় এক মিনিট কাল ধ্যানস্থ থাকিয়া চক্ষু মেলিয়া বলিলেন: সে এই ঘরেই হাজির আছে দেখিতেছি।

উপস্থিত মুরিদগণের সকলে বিস্ময়ে মুখ যাওয়া-চাওয়ি করিতে লাগিল। এমদাদ ভক্তি ও বিস্ময়ে স্তব্ধ হইয়া একদৃষ্টে পীর সাহেবের মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। মেহেদি-রঞ্জিত দাড়ি-গোঁফের ভিতর দিয়া পীর সাহেবের মুখ হইতে এক প্রকার জ্যোতি বিকীর্ণ হইতে লাগিল।

সুফী সাহেব এমদাদকে আগাইয়া আসিতে ইশারা করিলেন। সে ধীরে ধীরে পীর সাহেবের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া সুফী সাহেবের ইঙ্গিতে অনভ্যস্ত হাতে কদম-বুসি করিয়া উঠিয়া দাঁড়াইয়া রহিল।

পীর সাহেব “বস বেটা, তোর ভাল হইবে। আহা, বড় গরীব!” বলিয়া আলবোলার নলে দম কষিলেন।

সুফী সাহেব আমতা-আমতা করিয়া বলিলেন : হযরত এর অবস্থা তত গরীব নয়। বেশ ভাল তালুক সম্পত্তি

পীর সাহেব নলে খুব লম্বা টান কষিয়াছিলেন; কিন্তু মধ্যপথে দম ছাড়িয়া দিয়া মুখে ধোঁয়া লইয়াই বলিলেন : বেটা, তোরা আজিও দুনিয়ার ধন-দওলত দিয়া ধনী-গরীব বিচার করিস। এটা তোদের বুঝিবার ভুল। আমি গরীব কথায় দুনিয়াবী গোরবৎ বুঝাই নাই। মুসলমানদের জন্য দুনিয়ার ধন-দওলত হারাম। এই ধন-দওলত এন্সানের রুহানিয়ত হাসেলে বাধা জন্মায়, তার মধ্যে নফসানিয়াত পয়দা করে। আল্লাহতালা বলিয়াছেন : (আরবী ও উর্দু) বেশক দুনিয়ার ধন-দওলত শয়তানের ওয়াস-ওয়াসা, ইহা হইতে দূরে পলায়ন কর। কিন্তু দুনিয়ার মায়া কাটান কি সহজ কথা? তোদের আমি দোষ দিই না। তোদের অনেকেই এখন যেকেরের দরজাতেই পড়িয়া আছিস। যে করে জলী ও যেকরে খফী। এই দুই দরজার যেকের সারিয়া পরে ফেকেরের দরজায় পৌঁছিতে হয়। ফেকের হইতে যহুর এবং যহুর হইতে মোরাকেবা-মোশাহেদার কাবেলিয়ত হাসেল হয়। খোদার ফজলে আমি আরেফিন, সালেহীন ও সিদ্দিকিনের মোকামাতের বিভিন্ন দায়েরার ভিতর দিয়া যেভাবে এলেম-লাদুন্নির ফলেজ হাসেল করিয়াছি, তোদের কলব অতটা কুশাদা হইতে অনেক দেরি অনেক। বলিয়া তিনি হুক্কার নলটা ছাড়িয়া দিয়া সোজা হইয়া বসিলেন এবং চোখ বুজিয়া ধ্যানস্থ হইলেন।

কিছুক্ষণ চোখ বুজিয়া থাকিয়া হাসিয়া উঠিলেন এবং চিৎকার করিয়া বলিলেন : কুদরতে-ইয্দানী, কুদরতে-ইয্দানী। মুরিদরা সব সে-চিৎকারে সন্ত্রস্ত হইয়া উঠিলেন।

কিন্তু কেহ কোনও কথা জিজ্ঞাসা করিতে সাহস করিলেন না।

পীর সাহেব চিৎকার করিয়াই আবার চোখ বুজিয়াছিলেন। তিনি এবার ঈষৎ হাসিয়া চোখ মেলিয়া বলিলেন : আমরা কত বৎসর হইল এখানে বসিয়া আছি?

জনৈক মুরিদ বলিলেন : হযরত, বৎসর কোথায়? এই না কয়েক ঘণ্টা হইল।

পীর সাহেব হাসিলেন। বলিলেন : অনেক দেরি। অনেক দেরি। আহা বেচারারা চোখের বাহির আর কিছুই দেখিতে পায় না।

অপর মুরিদ বলিলেন : হুজুর কেবলা, আপনার কথা মোটেই বুঝিতে পারিলাম না।

পীর সাহেব মৃদু হাসিয়া বলিলেন : অত সহজে কি আর সব কথা বুঝা যায় রে বেটা? চেষ্টা কর, চেষ্টা কর।

মুরিদটি ছিলেন একটু আবদেরে রকমের। তিনি বায়না ধরিলেন : না কেবলা, আমাদিগকে বলিতেই হইবে। কেন আপনি বৎসরের কথা জিজ্ঞাসা করিলেন?

পীর সাহেব বলিলেন : ও-কথা আমাকে জিজ্ঞাসা করিস না। তার চেয়ে অন্য কথা শোন। এই যে সাদুল্লাহ (সুফী সাহেবের নাম) একটি ছেলেকে আমার নিকট মুরিদ করিতে লইয়া আসিল, আমি সে-কথা কি করিয়া জানিতে পারিলাম? আজ তোমরা তাজ্জব হইতেছ। কিন্তু ইন্শাআল্লাহ, যখন তোমরা মোরাকেবায়ে-নেসবতে বায়নান্নাসে তালিম লইবে, তখন অপরের নেসবত সম্বন্ধে তোমাদের কলব আয়নার মতো রওশন হইয়া যাইবে। আল্গরয ইহাও খোদার এক শানে-আযিম। সাদুল্লাহ যখন আমার দস্ত-বুসি করে, তখন তার মুখের দিকে আমার নজর পড়িল এবং সঙ্গে সঙ্গে আমার রুহ সাদুল্লাহর রুহের দিকে মোতাওয়াজ্জাহ হইয়া গেল। সেখানে আমি দেখিলাম, সাদুল্লাহ্র রুহ আর একটা নূতন রুহের সঙ্গে আলাপ করিতেছে। উহাতেই আমি সব বুঝিয়া লইলাম। আল্লাহু আযিমুশ্শান।

বলিয়া পীর সাহেব একজন মুরিদকে হুক্কার দিকে ইঙ্গিত করিলেন।

মুরিদ হুক্কার মাথা হইতে চিলিম লইয়া তামাক সাজিতে বাহির হইয়া গেল।

পীর সাহেব বলিলেন : তোমরা আমার নিজের নুৎফার ছেলের মতো। তথাপি তোদের নিকট হইতে আমাকে অনেক গায়েবের কথা গোপন রাখিতে হয়। কারণ তোমরা সে-সমস্ত বাতেনি কথা বরদাশ্ত করিতে পারিবে না। যেকের ও ফেকের দ্বারা কলব কুশাদা করিবার আগেই কোনও বড় রকমের নূরে তজল্লী তাতে ঢালিয়া দিলে তাতে কলব অনেক সময় ফাটিয়া যায়। এলমে-লাদুন্নি হাসেল করিবার আগেই আমি একবার লওহে-মাওফুযে উপস্থিত হইয়াছিলাম। তখন আমি মাত্র দায়েরায়ে-হকিকতে-লাতা আইউনে তালিম লইতেছিলাম। সায়েরে-নাযাবীর ফয়েজ তখনও আমার হাসেল হয় নাই। কাজেই আরশে-মওয়াল্লার পরদা আমার চোখের সামনে হইতে উঠিয়া যাইতেই আমি নূরে-ইয্দানী দেখিয়া বেহুশ হইয়া পড়িলাম। তারপর আমার জেসমের মধ্যে আমার রুহের সন্ধান না পাইয়া আমার মুর্শেদ-কেবলা, তোরা তো জানিস আমার ওয়ালেদ সাহেবই আমার মুর্শেদ লওহে মাহফুজ হইতে আমার রুহ্ আনিয়া আমার জেসমের মধ্যে ভরিয়া দেন, এবং নিজের দায়রার বাহিরে যাওয়ার জন্য আমাকে বহুৎ তম্বিহু করেন। কাজেই দেখিতেছিস, কাবেলিয়ত হাসেল না করিয়া কোনও কাজে হাত দিতে নাই। খানিকক্ষণ আগে আমি জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম : আমরা কত বৎসর যাবত এখানে বসিয়া আছি? শুনিয়া তোরা অবাক হইয়াছিলি। কিন্তু এর মধ্যে যে ঘটনা ঘটিয়াছে, তা শুনিলে তো আরো তাজ্জব হইয়া যাইবি। সে জন্যই সে কথা বলিতে চাই না। কিন্তু কিছু কিছু না বলিলে তোরা শিখবি কোথা হইতে? তাই সে কথা বলাই উচিত, মনে করিতেছি। সাদুল্লাহ এখানে আসিবার পর আমি আমার রুহকে ছাড়িয়া দিয়াছিলাম। সে তামাম দুনিয়া ঘুরিয়া সাত হাজার বৎসর কাটাইয়া তারপর আমার জেসমে পুনরায় প্রবেশ করিয়াছে। এই সাত হাজার বৎসরে কত বাদশাহ ওফাত করিয়াছে, কত সুলতানাৎ মেস্মার হইয়াছে, কত লড়াই হইয়াছে; সব আমার সাফ-সাফ মনে আছে। সেরেফ এইটুকুই বলিলাম; ইহার বেশি শুনিলে তোদের কলব ফাটিয়া যাইবে।

ইতিমধ্যে তামাক আসিয়াছিল।

পীর সাহেব নল হাতে লইয়া ধীরে ধীরে টানিতে লাগিলেন।

সভা নিস্তব্ধ রহিল। কলব ফাটিয়া যাইবার ভয়ে কেহ কোনও কথা জিজ্ঞাসা করিল না।

এমদাদ পীর সাহেবের কথা কান পাতিয়া শুনিতেছিল। কৌতূহল ও বিস্ময়ে সে অস্থিরতা বোধ করিতে লাগিল।

সে স্থির করিল, ইহার কাছে মুরিদ হইবে।



চার

পীর সাহেব অনেক নিষেধ করিলেন। বলিলেন : বাবা, সংসার ছাড়িয়া থাকিতে পারবে না, তাসউয়াফ বড় কঠিন জিনিস ইত্যাদি।

কিন্তু এমদাদ তাওয়াজ্জোহ লইল।

পীর সাহেব নিজের লতিফায় যেকের জারি করিয়া সেই যেকের এমদাদের লতিফায় নিক্ষেপ করিলেন।

এমদাদ প্রথম লতিফা যেকরে-জলী আরম্ভ করিল।

সে দিবানিশি দুই চোখ বুজিয়া পীর সাহেবের নির্দেশমত ‘এল্হু এল্হু’ করিতে লাগিল।

পীর সাহেব বলিয়াছিলেন : খেলওয়াৎ-দর-অঞ্জুমান দ্বারা নিজের কলবকে স্বীয় লতিফার দিকে মুতাওয়াজ্জাহ করিতে পারিলে তার কলবে যাতে আহাদিগয়াতের ফয়েজ হাসেল হইবে এবং তার রুহ ঘড়ির কাঁটার ন্যায় কাঁপিতে থাকিবে।

কিন্তু এমদাদ অনেক চেষ্টা করিয়াও তার কলবকে লফিতায় মুতাওয়াজ্জাহ করিতে পারিল না। তৎপরিবর্তে তার চোখের সামনে পীর সাহেবের মেহেদি-রঞ্জিত দাঁড়ি ও তার রূপা-বাঁধানো গড়গড়ার ছবি ভাসিয়া উঠিতে লাগিল।

ফলে তার কলবে যাতে-আহাদিগয়তের ফয়েজ হাসেল হইয়া তার রুহ্কে ঘড়ির কাঁটার মতো কাঁপাইবার পরিবর্তে ফুফু-আম্মার স্মৃতি বাড়ি যাইবার জন্য তার মনকে উচাটন করিয়া তুলিতে লাগিল।

দিন যাইতে লাগিল।

অনাহারে অনিদ্রায় এমদাদের চোখ দুটি মস্তকের মধ্যে প্রবেশ করিল। তার শরীর নিতান্ত দুর্বল ও মন অত্যন্ত অস্থির হইয়া পড়িল।

সে বুঝিল, এইভাবে আরও কিছুদিন গেলে তার রুহু বস্তুতই জেস্ম হইতে আযাদ হইয়া আল্মে-আমরে চলিয়া যাইবে।

সে স্থির করিল : পীর সাহেবের কাছে নিজের অক্ষমতার কথা নিবেদন করিয়া সে একদিন বিদায় হইবে।

কিন্তু বলি বলি করিয়াও কথাটা বলিতে পারিল না।

একটা নূতন ঘটনায় সে বিদায়ের কথাটা আপাতত চাপিয়া গেল! দূরবর্তা একস্থানে মুরিদগণ পীর সাহেবকে দাওয়াত করিল।

প্রকা- বজরায় একমণ ঘি, আড়াই মণ তেল, দশ মণ সরু চাউল, তিনশত মুরগী, সাত সের অম্বুরি তামাক এবং তেরজন শাগরেদ লইয়া পীর সাহেব ‘মুরিদানে’ রওয়ানা হইলেন।

পীর সাহেবের ভ্রমণ বৃত্তান্ত ইংরাজীতে লিখিয়া কলিকাতার সংবাদপত্রে পাঠাইবার জন্য এমদাদকেও সঙ্গে লওয়া হইল। নদীর সৌন্দর্য, নদীপারের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য এমদাদের কাছে বেশ লাগিল।

পীর সাহেব গন্তব্যস্থানে উপস্থিত হইলেন।

তিনি মুরিদগণের নিকট যে অভ্যর্থনা পাইলেন, তাহা দেখিলে অনেক রাজা-বাদশাহ রাজত্ব ছাড়িয়া মোরাকেবা-মোশাহেদায় বসিতেন।

পীর সাহেব গ্রামের মোড়লের বাড়িতে আস্তানা করিলেন।

বিভিন্ন দিন বিভিন্ন মুরিদের বাড়িতে বিরাট ভোজ চলিতে লাগিল।

পীর সাহেবের একটু দূরে বসিয়া গুরুভোজ করিয়া এমদাদ এত দিনের কৃচ্ছ্র সাধনার প্রতিশোধ লইতে লাগিল। ইহাতে প্রথম প্রথম তার একটু পেটে পীড়া দেখা দিলেও শীঘ্রই সে সামলাইয়া উঠিল এবং তার শরীর হৃষ্টপুষ্ট ও চেহারা বেশ চিকনাই হইয়া উঠিতে লাগিল।

পীর সাহেবের ভাত ভাঙিবার কসরত দেখার সুযোগ ইতিপূর্বে এমদাদের হয় নাই। এইবার সে ভাগ্য লাভ করিয়া এমদাদ বুঝিল : পীর সাহেবের রুহানীশক্তি যত বেশিই থাকুক না কেন, তাঁর হজমশক্তি নিশ্চয়ই তার চেয়ে বেশি।

সন্ধ্যায় পুরুষদের জন্য মজলিশ বসিত।

রাতে এশার নামাজের পর অন্দর মহলে মেয়েদের জন্য ওয়াজ হইত। কারণ অন্য সময় মেয়েদের কাজে ব্যস্ত থাকিতে হয়।

সেখানে পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ ছিল।

স্ত্রীলোকদিগকে ধর্মকথা বুঝাইতে একটু দেরী হইত। কারণ মেয়েলোকের বুদ্ধিসুদ্ধি বড় কম, তারা নাকেস-আকেল।

কিন্তু বাড়িওয়ালার ছেলে রজবের সুন্দরী স্ত্রী কলিমন সম্বন্ধে পীর সাহেবের ধারণা ছিল অন্যরকম। মেয়ে-মজলিশে ওয়াজ করিবার সময় তিনি ইহারই দিকে ঘন-ঘন দৃষ্টিপাত করিতেন।

তিনি অনেক সময় বলিতেন : তাসাউওয়াফের বাতেনী কথা বুঝিবার ক্ষমতা এই মেয়েটার মধ্যেই কিছু আছে। ভাল করিয়া তওয়াজ্জোহ দিলে তাকে আবেদা রাবেয়ার দরজায় পৌঁছাইয়া দেওয়া যাইতে পারে।

এশার নামাজের পর দাঁড়িয়ে চিরুনি ও কাপড়ে আতর লাগান সুন্নত এবং পীর সাহেব সুন্নাতের একজন বড় মো’তেকাদ ছিলেন।

ওয়াজ করিবার সময় পীর সাহেবের প্রায়ই জয্বা আসিত।

সে জয্বাকে মুরিদগণ ‘ফানাফিল্লাহ’ বলিত।

এই ফানাফিল্লাহ্র সময় পীর সাহেব ‘জ্বলিয়া গেলাম’ ‘পুড়িয়া গেলাম’ বলিয়া চিৎকার করিয়া চিৎ হইয়া শুইয়া পড়িতেন। এই সময় পীর সাহেবের রুহ আলমে-খাল্ক্ হইতে আলমে-আমরে পৌঁছিয়া রুহে ইয়াদানির সঙ্গে ফানা হইয়া যাইত এবং নূরে ইয়াদানি তাঁর চোখের উপর আসিয়া পড়িত। কিন্তু সে নূরের জলওয়া পীর সাহেবের চক্ষে সহ্য হইত না বলিয়া তিনি এইরূপ চিৎকার করিতেন।

তাই জয্বার সময় একখ- কাল মখমল দিয়া পীর সাহেবের চোখ-মুখ ঢাকিয়া দিয়া তাঁর হাত-পা টিপিয়া দিবার ওসিয়ত ছিল।

এইরূপ জয্বা পীর সাহেবের প্রায়ই হইত।

এবং মেয়েদের সামনে ওয়াজ করিবার সময়েই একটু বেশি হইত।

এই সব ব্যাপারে এমদাদের মনে একটু খট্কার সৃষ্টি হইল।

কিন্তু সে জোর করিয়া মনকে ভক্তিমান রাখিবার চেষ্টা করিতে লাগিল।

সে চেষ্টায় সফল হইবার আগেই কিন্তু ও-পথে বাধা পড়িল। প্রধান খলিফা সুফী বদরুদ্দীন সাহেবের সঙ্গে পীর সাহেবকে প্রায়ই কানাকানি করিতে দেখিয়া এমদাদের মনের খট্কা বাড়িয়া গেল। তার মনে পীর সাহেবের প্রতি একটা দুর্নিবার সন্দেহের ছায়াপাত হইল।

এমন সময় পীর সাহেব অত্যন্ত অকস্মাৎ একদিন ঘোষণা করিলেন : তিনি আর দু-এক দিনের বেশি সে অঞ্চলে তশরিফ রাখিবেন না।

এই গভীর শোক সংবাদে শাগরেদ-মুরিদগণের সকলেই নিতান্ত গম্গিন হইয়া পড়িল।

জনৈক শাগরেদ সুফী সাহেবের ইশারায় বলিলেন : হুজুর কেবলা আপনি একদিন বলিয়াছিলেন; এবার এ-অঞ্চলের মুসলমানগণকে কেরামতে-নেস্বতে বায়নান্নাস দেখাইবেন? তা না দেখাইয়াই কি হুজুর এখান হইতে তশরিফ লইয়া যাইবেন? এখানকার মুরিদগণের অনেকেই বলিতেছেন : হুজুর মাঝে মাঝে কেরামত দেখান না বলিয়া উম্মী মুরিদগণের অনেকেই গোমরাহ হইয়া যাইতেছে। মওলানা লকবধারী ঐ ভ-টা ও-পাড়ার অনেক মুরিদকে ভাগাইয়া নিতেছে; সে নাকি বৎসর বৎসর একবার আসিয়া কেরামত দেখাইয়া যান।

পীর সাহেব গম্ভীর মুখে বলিলেন : (আরবী ও উর্দু) আল্লাহ্ই কেরামতের একমাত্র মালিক, মানুষের সাধ্য কি কেরামত দেখায়? ও-সব শয়তানের চেলাদের কথা আমার সামনে বলিও না। তবে হ্যাঁ, মোরাকেবায়ে-নেস্বতে বায়নান্নাস-এর তরবিক দেখাইব বলিয়াছিলাম বটে, কিন্তু তার আর সময় কোথায়?

সমস্ত সাগরেদ ও মুরিদগণ সমস্বরে বলিয়া উঠিলেন : না হুজুর, সময় করিতেই হইবে, এবার উহা না দেখিয়া ছাড়িব না।

অগত্যা পীর সাহেব রাজি হইলেন।

স্থির হইল, সেই রাত্রেই মোরাকেবা বসিবে।

সারাদিন আয়োজন চলিল।

রাত্রে মৌলুদের মহফেল বসিল। হযরত পয়গম্বর সাহেবের অনেক অনেক মোওয়াজেযাত বর্ণিত হইল।

মৌলুদ শেষে খাওয়া-দাওয়া হইল এবং তৎপর মোরাকেবার বৈঠক বসিল।



পাঁচ

পীর সাহেব বলিলেন : আজ তোমাদের আমি যে মোরাকেবার তরকিব দেখাইব, ইহা দ্বারা যে-কোনও লোকের রুহের সঙ্গে কথা বলিতে পারি। আমি যদি নিজে মোরাকেবায় বসি, তবে সেই রুহ গোপনে আমার সঙ্গে কথা বলিয়া চলিয়া যাইবে। তোমরা কিছুই দেখিতে পাইবে না। তোমাদের মধ্যে একজন মোরাকেবায় বস, আমি তার রুহের দিকে তোমরা যার কথা বলিবে তার রুহের তাওয়াজ্জোহ দেখাইয়া তারই রুহের ফয়েজ হাসিল করিব। তৎপর তোমরা যে-কেহ তার সঙ্গে কথা বলিতে পারিবে।

সকলে মুখ চাওয়া-চাওয়ি করিতে লাগিল।

কেহই কোন কথা বলিল না, মোরাকেবায় বসিতে কেহই অগ্রসর হইল না।

এমদাদ দাঁড়াইয়া বলিল : আমি বসিব।

পীর সাহেব একটু হাসিলেন।

বলিলেন : বাবা, মোরাকেবা অত সোজা নয়, তুই আজিও যেকরে খফা-আম করিস নাই, মোরাকেবায় বসিতে চাস?

বলিয়া তিনি হো হো করিয়া হাসিয়া উঠিলেন।

দেখাদেখি উপস্থিত সকলেই হাসিয়া উঠিল।

লজ্জায় এমদাদের রাগ হইল। সে বসিয়া পড়িল।

পীর সাহেব আবার বললেন : কি, আমরে মুরিদগণের মধ্যে আজও কারও এতদূর রুহানী তরক্কী হাসেল হয় নাই, যে মোরাকেবায় বসিতে পারে? আমার খলিফাদের মধ্যেও কেহ নাই?

বলিয়া তিনি শাগরেদদের দিকে দৃষ্টি ফিরাইলেন।

প্রধান খলিফা সুফী সাহেব উঠিয়া বলিলেন : হুজুর কেবলা কি তবে বান্দাকে হুকুম করিতেছেন? আমি ত আপনার আদেশে কতবার মোরাকেবায়-নেস্বতে-বায়নান্নাসে বসিয়াছি। কোনও নূতন লোককে সবাইলে হইত না?

সুফী সাহেব আরও অনেকবার বসিয়াছেন শুনিয়া মুরিদগণের অন্তরে একটু সাহসের উদ্রেক হইল।

তারা সকলে সমস্বরে বলিল : আপনিই বসুন, আপনিই বসুন।

অগত্যা পীর সাহেবের আদেশে সুফী সাহেব মোরাকেবায় বসিলেন।

পীর সাহেব উপস্থিত দর্শকদের দিকে চাহিয়া বলিলেন : কার রুহের ফয়েজ হাসিল করিব?

মুরিদগণের মুখের কথা যোগাইবার আগেই জনৈক সাগরেদ বলিলেন : এই মাত্র মৌলুদ-শরীফ হইয়াছে; হযরত পয়গম্বর সাহেবের মোয়াজেযা বয়ান হইয়াছে। তাঁরই রুহ আনা হোক।

সকলেই খুশী হইয়া বলিলেন : তাই হউক, তাই হউক।

তাই হইল।

সুফী সাহেব আতর-সিক্ত মুখম-লের গালিচায় তাকিয়া হেলান দিয়া বসিলেন। চারিদিকে আগরবাতি জ্বালাইয়া দেওয়া হইল। মেশক্ যাফরান ও আতরের গন্ধে ঘর ভরিয়া গেল।

পীর সাহেব তাঁর প্রধান খলিফার রুহে শেষ পয়গম্বর হযরত মোহাম্মদের রুহ-মোবারক নাযেল করিবার জন্যে ঠিক তাঁর সামনে বসিলেন।

শাগরেদরা চারিদিক ঘিরিয়া বসিয়া মিলিত-কণ্ঠে সুর করিয়া দরুদ পাঠ করিতে লাগলেন। পীর সাহেব কখনও জোরে কখনও বা আস্তে নানা প্রকার, দোওয়া কালাম পড়িয়া সুফী সাহেবের চোখে-মুখে ফুঁকিতে লাগিলেন।

কিছুক্ষণ ফুঁকিবার পর শাগরেদগণকে চুপ করিতে ইঙ্গিত করিয়া পীর সাহেব বুকে হাত বাঁধিয়া একদৃষ্টে সুফী সাহেবের বুকের দিকে চাহিয়া রহিলেন।

সুফী সাহেবের বুকের দুইটা বোতাম খুলিয়া তাঁর বুকের খানিকটা অংশ ফাঁক করিয়া দেওয়া হইয়াছিল। পীর সাহেব তাঁর দৃষ্টি সেইখানেই নিবদ্ধ করিলেন।

অল্পক্ষণ মধ্যেই সুফী সাহেবের শরীর কাঁপিতে লাগিল। কম্পন ক্রমেই বাড়িয়া গেল। সুফী সাহেব ঘন ঘন নিঃশ্বাস ফেলিতে লাগিলেন এবং হাত পা ছুঁড়িতে ছুঁড়িতে মূর্ছিতের ন্যায় বিছানায় লুটাইয়া পড়িলেন।

পীর সাহেব মুরিদগণের দিকে চাহিয়া বলিলেন : বদর বাবাজীর একটু তদ্লিফ হইল!

কি করিব? পরের রুহের উপর অন্য রুহের ফয়েজ হাসেল আসানির সঙ্গে করে বেলকুল না-মোমকেন। যা হউক, হযরতের রুহ তশরিফ আনিয়াছেন। তোমরা সকলে উঠিয়া কেয়াম কর।

বলিয়া তিনি স্বয়ং উঠিয়া পড়িলেন। সকলেই দাঁড়াইয়া সমন্বরে পড়িতে লাগিল : ইয়া নবী সালাম আলায় কা ইত্যাদি।

কেয়াম ও দরুদ শেষ হইলে অভ্যাসমত অনেকেই বসিয়া পড়িল।

পীর সাহেব ধমক দিয়া বলিলেন : হযরতের রুহে পাক এখনও এই মজলিশে হাজির আছেন, তোমরা কেহ বসিতে পারিবে না। কার কি সওয়াল করিবার আছে করিতে পার।

এমদাদ একটা বিষয় ধাঁধায় পড়িয়া গেল। সে ইহাকে কিছুতেই সত্য বলিয়া মানিয়া লইতে পারিল না।

মাথায় এক ফন্দি আঁটিয়া অগ্রসর হইয়া বলিল : কেবলা আমি কোন সওয়াল করিতে পারি?

পীর সাহেব চোখ গরম করিয়া বলিলেন : যাও না, জিজ্ঞাসা কর না গিয়া!

বলিয়া কণ্ঠস্বর অপেক্ষাকৃত মোলায়েম করিয়া আবার বলিলেন : বাবা সকলের কথাই যদি রুহে পাকের কাছে পৌঁছিত, তবে দুনিয়ার সব মানুষই ওলি-আল্লাহ হইয়া যাইত।

এমদাদ তথাপি সুফী সাহেবের দিকে চাহিয়া বলিল : আপনি যদি হযরত পয়ম্বর সাহেবের রুহ হন, তবে আমার দরুদ-সালাম জানিবেন।

হযরতের রুহ কোন জবাব দিলো না।

পীর সাহেব এমদাদের কাঁধে হাত দিয়ে তাকে একদিকে ঠেলিয়া দিয়া বলিলেন : অধিকক্ষণ রুহে পাককে রাখা বে-আদবি হইবে। তোমাদের যদি কাহারও সিনা সাফ হইয়া থাকে, তবে আসিয়া যে কোন সওয়াল করিতে পার।

বলিতেই পীর সাহেবের অন্যতম খলিফা মওলানা বেলায়েতপুরী সাহেব আসর হইয়া ‘আস্সালামো আলায়কুম ইয়া রসূলুল্লাহ’ বলিয়া সুফী সাহেবের সামনে দাঁড়াইলেন।

সকলে বিস্মিত হইয়া শুনিল সুফী সাহেবের মুখ দিয়া বাহির হইল : ওয়া আলায়কুমস্ সালাম, ইয়া উম্মতী।

মওলানা সাহেব বলিলেন : হে রেসালাত-পনা, সৈয়দুল কাওনায়েন, আমি আপনার খেদমতে একটা আরজ করিতে চাই।

আওয়াজ হইল : শীগগির বল, আমার আর দেরী করিবার উপায় নাই।

মওলানা : আমাদের পীর দস্তগির কেবলা সাহেব নূরে-ইয-দানির জওয়াশা সহ্য করিতে পারেন না, ইহার কারণ কি? তার আমলে কি কোনও গলৎ আছে?

কঠোর সুরে উত্তর হইল : হ্যাঁ, আছে।

পীর সাহেব শিহরিয়া উঠিলেন। তিনি কাঁদ-কাঁদ সুরে নিজেই বলিলেন : কি গলৎ আছে, ‘ইয়া রসূলুল্লাহ? আমার পঞ্চাশ বৎসরের রঞ্জ-কশি কি তবে সব প- হইয়াছে? বলিয়া পীর সাহেব কাঁদিয়া ফেলিলেন।

সুফী সাহেবের অচেতন দেহের মধ্যে হইতে আওয়াজ হইল : হে আমার পিয়ারা উম্মৎ, ঘাবড়াইও না। তোমার উপর আল্লাহর রহমৎ হইবে। তুমি মারফৎ খুঁজিতেছ। কিন্তু শরীয়ত ত্যাগ করিয়া কি মারফৎ হয়?

পীর সাহেব হাত কচলাইয়া বলিলেন : হুজুর, আমি কবে শরীয়ত অবহেলা করিলাম?

উত্তর হইল : অবহেলা কর নাই, কিন্তু পালনও কর নাই। আমি শরিয়তে চার বিবি হালাল করিয়াছি। কিন্তু তোমার মাত্র তিন বিবি। যারা সাধারণ দুনিয়াদার মানুষ তাদের এক বিবি হইলেও চলিতে পারে। কিন্তু যারা রুহানী ফয়েজ হাসিল করিতে চায়, তাদের চার বিবি ছাড়া উপায় নাই! আমি চার বিবির ব্যবস্থা কেন করিয়াছি, তোমরা কিছু বুঝিয়াছ? চার দিয়াই এ দুনিয়া, চার দিয়াই আখেরাত। চারদিকে যা দেখ সবই খোদা চার চিজ দিয়া পয়দা করিয়াছেন। চার চিজ দিয়া খোদাতা’লা আদম সৃষ্টি করিয়া তার হেদায়েতের জন্য চার কেতাব পাঠাইয়াছেন। সেই হেদায়েত পাইতে হইলে মানুষকে চার এমামের চার তরিকা মানিয়া চলিতে হয়। এইভাবে মানুষকে চারের ফাঁদে ফেলিয়া খোদাতা’লা চার কুরসির অন্তরালে লুকাইয়া আছেন। এই চারের পরদা ঠেলিয়া আলমে-আমরে-নূরে-ইয্দানিতে ফানা হইতে হইবে, দুনিয়াতে চার বিবির ভজনা করিতে হইবে।

পীর সাহেব সকলকে শুনাইয়া হযরতের রুহের দিকে চহিয়া বলিলেন : এই বৃদ্ধ বয়সে আবার বিবাহ করিব?

তুমি বৃদ্ধ? আমি ষাট বৎসর বয়সে নবম বার বিবাহ করিয়াছিলাম।

পীর সাহেব মিনতি ভরা কণ্ঠে বলিলেন : না রেসালাত-পানা আমি আর বিবাহ করিব না।

না কর, ভালই। কিন্তু তোমার রুহানী কামালিয়ত হাসেল হইবে না, তুমি নূরে ইযদানির জলওয়া বরদাশত করিতে পারিবে না। তোমার মুরিদানের কেহই নফসানিয়তের হাত এড়াইতে পারিবে না।

পীর সাহেব হাঁটু গাড়িয়া বসিয়া বলিলেন : আমি নিজের জন্য ভাবি না ইয়া রসূলুল্লাহ; কিন্তু যখন আমার মুরদিগণের অনিষ্ট হইবে, তখন বিবাহ করিতে রাজি হইলাম। কিন্তু আমি এক বুড়িকে বিবাহ করিব।

তুমি তওবা আসতাগফার পড়। তুমি খোদার কলম রদ করিতে চাও? তোমার বিবাহ ঠিক হইয়া আছে। বেহেশতে আমি তার ছবি দেখিয়া আসিয়াছ।

সে কে, ইয়া রসূলুল্লাহ?

এই বাড়ির তোমার মুরিদের ছোট ছেলে রজবের স্ত্রী কলিমন।

ইয়া রসূলুল্লাহ, আমি মুরিদের স্ত্রীকে বিবাহ করিব? সে যে আমার বেটার বউ-এর শামিল।

ইয়া উম্মতি, আমি আমার পালিত পুত্র যায়েদের স্ত্রীকে নিকাহ্ করিয়াছিলাম, আর তুমি একজন মুরিদের স্ত্রীকে নিকাহ্ করিতে পারিবে না?

ইয়া রসূল্লাহ, সে যে সধবা।

রজবকে বল স্ত্রীকে তালাক দিতে। কলিমন তোমার জন্যই হালাল। এ মারফতি নিকায় ইদ্দত পালনের প্রয়োজন হইবে না। আমি আর থাকিতে পারি না। চলিলাম। অররহহুমাতুল্লাহ আলায়কুম, ইয়া উম্মতি।

মূর্ছিত সুফী সাহেব একটা বিকট চিৎকার করিলেন। পীর সাহেবের অপর অপর শাগরেদরা তাঁকে সজোরে পাখার বাতাস করিতে লাগিলেন।

মুরিদগণের সনির্বন্ধ অনুরোধ সত্ত্বেও পীর সাহেব মাথা নাড়িয়া বলিতে লাগিলেন : চাই না আমি রুহানী কামালিয়ত। আমি মুরিদের বউকে বিবাহ করিতে পারিব না।

গ্রাম্য মুরিদগণ আখেরাতের ভয়ে পীর সাহেবের অনেক হাতে-পায়ে ধরিল। পীর সাহেব অটল।

এই সময় প্রধান খলিফা সুফী সাহেব স্মরণ করাইয়া দিলেন : এই নিকাহ না করিলে কেবল পীর সাহেবের একারই রুহানী লোকসান হইবে না, তাঁর মুরিদগণের সকলের রুহের উপরও বহুত মুসিবত পড়িবে। তখন পীর সাহেব অগত্যা নিজের রেজামন্দী জানাইয়া দাঁড়িতে হাত বুলাইতে বুলাইতে বলিতে লাগিলেন ছোবহান আল্লাহ! এ সবই কুদরতে এলাহী! তাঁরই শানে-আজিম! আল্লাহ্ পাক নিজেই কোরান-মজিদ ফরমাইয়াছেন (আরবী ও উর্দু)…।

বাপ-চাচা পাড়া-পড়শীর অনুরোধে, আদেশে, তিরস্কারে ও অবশেষে উৎপীড়নে তিষ্টিতে না পারিয়া রজব তার এক বছর আগে বিয়া-করা আদরের স্ত্রীকে তালাক দিল এবং কাপড়ের খুঁটে চোখ মুছিতে মুছিতে বাড়ির বাহির হইয়া গেল।

কলিমনের ঘন-ঘন মূর্ছার মধ্যে অতিশয় ত্রস্ততার সঙ্গে শুভকার্য সমাধান হইয়া গেল।

এমদাদ স্তম্ভিত হইয়া বর বেশে সজ্জিত পীর সাহেবের দিকে চাহিয়া ছিল। তার চোখ হইতে আগুন ঠিক্রাইয়া বাহির হইতেছিল।

এইবার তার চেতনা ফিরিয়া আসিল। সে এক লাফে বরাসনে-উপবিষ্ট পীর সাহেবের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া তাঁর মেহেদি-রঞ্জিত দাড়ি ধরিয়া হেচ্কা টান মারিয়া বলিল : রে ভ- শয়তান! নিজের পাপ-বাসনা পূর্ণ করিবার জন্য দুইটা তরুণ প্রাণ এমন দুঃখময় করিয়া দিতে তোর বুকে বাজিল না?

আর বলিতে পারিল না। শাগরেদ-মুরিদরা সকলে র্মা র্মা করিয়া আসিয়া এমদাদকে ধরিয়া ফেলিল এবং চড়-চাপড় মারিতে লাগিল।

এমদাদ গ্রামের মাতব্বর সাহেবের দিকে চাহিয়া বলিল : তোমরা নিতান্ত মূর্খ। এই ভ-ের চালাকি বুঝিতে পারিতেছ না? নিজে শখ মিটাইবার জন্য যে হযরত পয়গম্বর সাহেবকে লইয়া তামাসা করিয়া তাঁর অপমান করিতেছে। তোমরা এই শয়তানকে পুলিশে দাও।

পীর সাহেবের প্রতি এমদাদের বেয়াদবিতে মুরিদরা ইতিপূর্বে একটু অসন্তুষ্ট হইয়া ছিল। এবার তার মস্তিষ্ক বিকৃতি সম্বন্ধে তারা নিঃসন্দেহ হইল। মাতব্বর সাহেব হুকুম করিলেন : এই পাগলটা আমাদের হুজুর কেবলার অপমান করিতেছে। তোমরা কয়েকজন ইহাকে কান ধরিয়া গ্রামের বাহির করিয়া দিয়া আস।

ভূলুণ্ঠিত পীর সাহেব ইতিমধ্যে উঠিয়া ‘আস্তাগফেরুল্লাহ’ পড়িতে পড়িতে তাঁর আলুলায়িত দাঁড়িতে আঙ্গুল দিয়া চিরুনি করিতেছিলেন। মাতব্বর সাহেবের হুকুমের পিঠে তিনি হুকুম করিলেন : দেখিস বাবারা, ওকে বেশি মারপিঠ করিস না। ও পাগল। ওর মাথা খারাপ। ওর বাপ ওকে আমার হাতে সঁপিয়া দিয়াছিল। অনেক তাবিজ দিলাম। কিন্তু কোনও ফল হইল না। খোদা যাকে সাফা না দেন, তাকে কে ভালো করিতে পারে?

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +২৬/-৫

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:১৩

প্রভাষক বলেছেন: ভাই... দিয়েছি... আমার একটি লেখা আছে... পড়ে মন্তব্য করুণ...
Click This Link

ধন্যবাদ...

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:২৮

সন্যাসী বলেছেন: ধন্যবাদ। প্রভাষক ভাই।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫৩

সজীব আকিব বলেছেন: এটি ছোটবেলায় পড়েছিলাম। তারপর বহুদিন মনে মনে খুঁজেছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

+

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:১৫

সন্যাসী বলেছেন: ধন্যবাদ সজিব আকিব।

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:২৫

পদ্মাচরের লাঠিয়াল বলেছেন: খুব ছুডো বেলায় এক আত্মীয়ের ডিগ্রি বইতে গল্পডা পড়ছিলাম। এইটা, পরশুরাম (নাকি বনফুল!) এর ভুষণ্ডির কাক। সেইরম মজা পাইছিলাম। আব্বারে জিগাইলাম মনসুর ক্যাডা? আব্বা তহন তার আরো কিছু কাহিনী শুনাইছিলেন। অত্যন্ত তীক্ষ্ণ স্যাটায়ার ল্যাহক ইনি।

পুরান স্মৃতি মনে করাইন্যার লাইগ্যা ধইন্যা।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:১৭

সন্যাসী বলেছেন: আপনাকেও ধইন্যা।

৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:২৯

প্রভাষক বলেছেন: ভাই... বৈজ্ঞানিক আবিস্কার-ও এর কাছে কিছু-না...
Click This Link

ধন্যবাদ...

৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:৩১

যাযাবর শফিক বলেছেন: সজীব আকিব বলেছেন: এটি ছোটবেলায় পড়েছিলাম। তারপর বহুদিন মনে মনে খুঁজেছি।


++++++++++++++++++++++++++++++

আমিও অনেক আগে পড়েছিলাম এবঙ মনে মনে খুঁজেছি। ভাইজানের সঙগ্রহে কি ফুড কনফারেন্স আছে। ঐটাও খুঁজতাছি..........

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:৩৪

সন্যাসী বলেছেন: ফুড কনফারেন্স খুজেঁ পেলাম না। পেলে লিংক দিয়ে দিব। ধন্যবাদ।

৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:৩৫

তাশমিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য।

আবুল মনসুরের আরো কিছু লেখা পড়েছিলাম।তখনো তার ধারালো লেখনী এবং তীক্ষ্ণ সেন্স অফ হিউমারে মুগ্ধ হয়েছিলাম।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪১

সন্যাসী বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:১৬

রাজসোহান বলেছেন: এত বড় ! পরে পড়ুম X(

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৫১

সন্যাসী বলেছেন: হুমম....বিশাল বড় লেখা। উনি যদি ব্লগের জন্য লেখতেন, তাহলে এত্ত বড় লিখতেন না নিশ্চয়ই।

আপনার পোস্ট পড়তে গেলে দেখি কমেন্টের লাইন মনিটর থেকে কীবোর্ড ভেদ করে আমার পা পর্যন্ত নেমে যায়......... । তাই আর কমেন্ট করা হয় না। ধন্যবাদ। পরবর্তীতে পড়ে নিয়েন।

৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৪১

ধীবর বলেছেন: ্ব্যাস হয়ে গেলো। ঘৃণাবাদিরা একটা স্যাটায়ার পেয়েই আনন্দে দিগম্বর হয়ে নৃত্য শুরু করে দিয়েছে। সাথে আবার হু আযাদ আর তসলিমাকেও টেনে আনছে। কোথায় মদ্যপ আযাদ, আর আধুনিক ছেনাল তসলিমা আর কোথায় আবুল মনসুর আহমেদ ! সাথে আচিফ বাম হাত দেওয়াতে মনে হলো, লেখায় ছাগু মুখ দেয়াতে পুরো লেখার তাৎপর্যটাই নস্ট হয়ে গিয়েছে।

জীবনে আবুল মনসুর আহমেদের অন্যান্য লেখাগুলি পড়েছে কিনা সন্দেহ। কিন্ত যেহেতু এখানে ইসলামের অপব্যাবহার নিয়ে স্যাটায়ার লেখা হয়েছে, সেটাকেই সমালোচনার অস্র হিসেবে খাড়া করে এক একজন বেশ বিদ্যান হয়ে গিয়েছে দেখছি।

অবার্চিনের দল যদি কস্ট করে আবুল মনসুর আহমেদের সময়কালে বাংলাদেশের সামাজিক অবস্থাটা নিয়ে খানিকটা পড়াশোনা করতো, তাহলে এই লেখা ভিন্ন উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হতো। জেনারল তো ভালো জমাদার বানালেও কম হয়। (লেখককে মাইনাস, লেখায় প্লাস।)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩১

সন্যাসী বলেছেন: অবার্চিনের দল যদি কস্ট করে আবুল মনসুর আহমেদের সময়কালে বাংলাদেশের সামাজিক অবস্থাটা নিয়ে খানিকটা পড়াশোনা করতো, তাহলে এই লেখা ভিন্ন উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হতো।

বর্তমানে কি সামাজিক অবস্থা তার চেয়ে ভাল নাকি? নাকি দেশে ইসলামী জঙ্গীবাদের উত্থানকে আপনি ভাল অবস্থা বলছেন? লেখকের উদ্দেশ্য মোটেই ভিন্ন ছিল না। যদি আপনি তার উদ্দেশ্য ধরতে না পারেন, সেটা আপনার ব্যর্থতা।

৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২১

টানজিমা বলেছেন: এক টানে পরে ফেললাম...............:)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৪

সন্যাসী বলেছেন: ধন্যবাদ, টানজিমা।

১০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩৩

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ''(লেখককে মাইনাস, লেখায় প্লাস।)'' এতেই কমেন্টকারীর চিন্তার পরিধি স্পষ্ট, চিন্তার পরিধিও নয় আসলে, সামন্যতম কমনসেন্স। এটা পুরোই স্ব-বিরোধি। কেমন করে, এর বিস্তারিততে গেলাম না, কারণ, ধীবরকে এসব বলে কী হবে!! কিছু কিছু ব্লগার আছে, জীবনে বিকৃত আনন্দই যাদের ধ্যন-জ্ঞান। তাদের সাথে কথা বলার কোনো মানে নেই। তার কথায় কোনো যৌক্তিকতা নেই, আছে গালাগালি : ''মদ্যপ আযাদ / ঘৃণাবাদিরা...''

ভয়াবহ লেখা। ওদের মুর্খতা এতোই প্রকট যে, এখানে ধর্মকে নয়, ধর্ম নিয়ে ভণ্ডামিকে আক্রমন করা হয়েছে, তা ওরা বুঝবে না, বুঝতে চাইবে না।

আবুল মনসুর আহমদ কে? তার লেখা আর কোথায় পাবো? অনেক ভালো লাগা সন্নাসী ভাই।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৩৩

সন্যাসী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, রাশেদীন ভাই। আমি তার সাথে কখনোই তর্কে যাব না। এই লেখাটি পোস্টানোর উদ্দেশ্য মোটেই সফল হয়নি। ব্লগের বেশিরভাগ আস্তিকই পড়াশোনা খুব কম করে। যা পড়ে তা কোরান হাদিসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তাদের কাছে কোরাণই সকল জ্ঞানের আধার। তাদের কাছে আবুল মনসুর আহমদের এই গল্পটা তুলে ধরাই আমার উদ্দেশ্য ছিল। তারা দেখুক ব্লগে দু'একজন যে মুহম্মদের জীবনাচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলে তা অনেক আগেই একজন প্রতিথযশা সাহিত্যিক তুলেছেন। এই গল্পটি ডিগ্রীর বাংলা বইতে দেখেছি।

আবুল মনসুর আহমদের বই আপনি লাইব্রেরীতে খুজলেই পাবেন। বাংলা একাডেমীতে পাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।

১১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫৯

ধীবর বলেছেন: ঘৃণাবাদি ছাগুর কন্ঠে বিদ্যার অহংকার দেখে অবাক হইনি। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতা যাই থাক, তার সুশিক্ষার প্রাপ্তি যে ঘটেনি, সেটা নিশ্চিত। শিক্ষা যেখানে মানুষকে আলোকিত করে, তখন আধারের শিক্ষা নেয়ারাই ভিনমতলম্বিকে একটি বিশেষ ধর্মের শিক্ষায়তনে শিক্ষিত বলে ট্যাগিং করতে পারে। হু আযাদ মাদ্রাসায় পড়তো, খবরটা কি তিনি রাখেন?

@লেখক... সত্যি কি আমাদের সমাজ বদলায়নি? আপনি অন্ধ কিংবা সময়ে স্থবির হয়ে পড়ে না থাকলে, এই অদ্ভুত কথাটা বললেন কি করে? তাছাড়া "ইসলামিক জঙ্গিবাদ" কথাটির প্রথম উৎপত্তি চরম সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসি বুশের মুখ থেকেই উচ্চারিত। যদি নিজেকে মুক্তমনা এবং ধর্মমুক্ত দাবি করে থাকেন, তাহলে কেন সাম্প্রদায়িক ওই অশুভ শক্তির প্রতিভুর গলার সাথে গলা মেলালেন? তাছাড়া বাংলাদেশে ওই জঙ্গিবাদের সাথে সংক্লিস্ট বলে যাদের চেহারা দেখা যায়, তাদের ধোপ দুরস্ত কাপড়ে দাত কেলানো তোতাপাখির মত বুলি দেখলে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, এরা কতটা ভুয়া। পশ্চিমের দেবতারা যখন যেটা চান, সেভাবে তাদের বেদিমুলে উৎসর্গ দিতে হয়। সেই কাজটি করেই হাসিনার ক্ষমতায় আরোহন। স্বাধীনতা সংগ্রাম কিংবা দখলদারিত্ব অবসানে যেখানে যেখানে মুসলমানদের প্রতিবাদ, সেখানেই দখলদারি আগ্রাসি শক্তি একে ইসলামি জঙ্গিবাদ বলে প্রচার করে, বিশ্বজনমতকে প্রভাবিত করার চেস্টা করছে।

বাংলাদেশে যে জিনিসের অস্তিত্ব নেই, যে বাংলাদেশে আবহমানকাল ধরে অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা চলছে, সেখানে কাদের স্বার্থ রক্ষায় এ ধরণের অপপ্রচার চলছে, সেটা বুঝতে রকেট বিজ্ঞানি হবার প্রয়োজন নেই। আপনাদের মত মানুষেরা সেই ঘৃণার আগুনে ঘৃতাহুতি দিচ্ছেন। আপত্তিটা সেখানেই।

হানিফ রাশেদিন, ব্লগে প্রায় এক বছর থাকার পরেও কোনদিন আমার কোন পোস্টে আপনাকে দেখিনি। খন্ডিতভাবে একজনের সমন্ধে অদ্ভুত ধারনা করাতে, আপনার বুদ্ধি বিবেচনার প্রশংসা করতেই হচ্ছে। কার নিক আপনি? খুব বেকায়দায় না পড়লে আসল নিকটা প্রকাশ করতে পারেন। মদ্যপকে অন্য কোন নামে ডাকতে হবে? যিনি সস্তা হাততালি আর পশ্চিমা দেবতাদের নেকনজরে পড়ার জন্য তসলিমাকে অনুসরন করেন, তাকে যাই হোক শ্রদ্ধা করা যায় না। তসলিমাকে নকল করে লেখার কথাটি আমি বলিনি। উক্তিটি করেছেন নির্মলেন্দু গুন। পোস্টদাতাকে তার মন্তব্য এবং উদ্দেশ্যের জন্য মাইনাস দান করা হয়েছে। আর যেহেতু লেখাটির লিখেছেন আমার প্রিয় লেখক আবুল মন্সুর আহমেদ, সেইজন্য লেখাকে প্লাস দেওয়া হয়েছে। মানসিকভাবে নিতান্ত বালক বলে সব কথা ভেঙ্গে ভেঙ্গে বুঝিয়ে দিতে হচ্ছে।












০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১৪

সন্যাসী বলেছেন: বাংলা ভাই গংদের ফাসিতে ঝুলিয়ে মারা হল কেন? ইসলামী জঙ্গীবাদের জন্যই তো? নাকি সমাজসেবামূলক কাজের জন্য? অন্ধ কে? তার দায়ভার পাঠকের উপর দিলাম। আমি সময়ে স্থবির? এইটা কী বললেন? স্থবিরতাই ধর্মের ঈমান। ১৪০০ বছর আগে তখনকার এবং আরব সমাজ ব্যবস্থায় প্রযোজ্য এক গ্রন্থ এবং অন্যান্য নিয়মাবলি নিয়ে আপনারা পড়ে আছেন আর আমাদের বলেন স্থবির। যদি আমাকে স্থবির বলেন তাহলে আপনাকে ডিজুস আস্তিকই বলতে হবে। অবশ্য বর্তমানে লেখাপড়া জানা আস্তিকগুলো সব ডিজুইস আস্তিকই। অবশ্য আপনারা যেহেতু মোহাম্মদের অনুসারী তাই এটা হওয়াই স্বাভাবিক। যে ব্যাটা পুত্রবধু বিয়ে করার জন্য আয়াত নাজিল করায় তার অনুসারীরা আর কী হবে বলাই বাহুল্য। একবার ভেবে দেখবেন আল্লাহর কী দায় পড়েছে যে মোহাম্মদকে পুত্রবধু বিয়ে করার দায় থেকে মুক্ত করার জন্য আয়াত নাজিল করবে?

সাম্প্রদায়িকতা শব্দটাকে টানলেন কেন? ইসলামী জঙ্গীরা তো ইসলামের অনুসারীদেরই মারে বা মারছে। সারা পৃথিবী জুড়েই। আমাদের মত মানুষই সেই ঘৃণার আগুনে ঘৃতাহুতি দিচ্ছে। ভালই বললেন। আমরা ঘৃতাহুতি দিচ্ছিনা, আপনারা আত্মাহুতি দিচ্ছেন। নাস্তিকতা ঘৃণা শেখায় না। ধর্মের অসঙ্গতিগুলো আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেই আপনারা তাকে ঘৃণা বলবেন আবার আমাদের স্থবিরও বলবেন, এটা ক্যামনে কী?

পশ্চিমের দেবতারা কখন কী চাইবেন আর আপনারা তা করবেন আর করার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করবেন, তাহলে আমরা ধর্মের দোষ দেবনা দোষ দেব কি তালগাছের? ইসলাম যদি এত অল্পতেই টলে যায় তাহলে ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব কোথায় থাকে? ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব শুধু মুখেই, তার প্রকাশ নেই, প্রমাণ নেই।

হানিফ রাশেদীন সম্পর্কে আপনার জানার ভুল আছে। আপনার মত না হলেও আপনার দলের লোকদের নীচতার জন্যই সে ব্লগ ছেড়েছিল। সব লেখাগুলো মুছে দিয়েছে।

ঘৃণাবাদি ছাগুর কন্ঠে বিদ্যার অহংকার দেখে অবাক হইনি। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতা যাই থাক, তার সুশিক্ষার প্রাপ্তি যে ঘটেনি, সেটা নিশ্চিত। শিক্ষা যেখানে মানুষকে আলোকিত করে, তখন আধারের শিক্ষা নেয়ারাই ভিনমতলম্বিকে একটি বিশেষ ধর্মের শিক্ষায়তনে শিক্ষিত বলে ট্যাগিং করতে পারে।

কোরাণকে ঠোটস্থ করাই যদি সুশিক্ষার একমাত্র স্কেল হয়, তাহলে আমার সুশিক্ষা হয়নি। আর আসিফের ওটাও হয়েছে। কোনটা যে আলো আর কোনটা যে আধার তা আপনার মত আধারে বাসকারীদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়।

১২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৩০

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ধীবর, নির্মলেন্দু গুন একটা কথা বললেই হয়ে যাবে এমন কোনো কথা নেই, আজাদ গুনকে অতো গুরুত্ত্বপূর্ণ ভাবতেন না, বা আরো অনেক কারণে তিনি এমন বলতে পারেন। আর হুমায়ুন আজাদ তসলিমাকে নকল করার প্রশ্নই উঠে না। ''মদ্যপকে অন্য কোন নামে ডাকতে হবে?'' কেনো মদ্যপ তা আপনি বলেন নি। সস্তা জনপ্রিয়তার যে প্রসঙ্গটি এনেছেন এর সাথে আমি একমত। আর এর দায় আজাদ একা নন, আমাদের এ সোসাটি ও ইন্টেকচুয়াল লেবেলও। এমকি ধর্ম নিয়ে তাঁর যে অবস্থান তার সাথেও, আমি নাস্তিক হলেও একমত নই। যেমন ধরুন, আমি একজন বিশ্বষী। তো, হুমায়ুন আজাদ যে-ভাবে নাস্তিকতা প্রচার করেছেন, সে কোনো দায়িত্ত্ব নেন নি, কেবল আমার সমালোচনা করেছেন, কিন্তু তা তিনি করতে পারেন না। আমি যে সোসাইটিতে আছি, সেই জায়গা থেকে আমাকে বিশ্লষন করে সঠিক পথ দেখানে, তা তিনি করেন নি। আমাদের সাহিত্যেও তিনি কিছু ক্ষতি করেছেন। দেখেন, কী নির্মম সমালোনা আমি করলাম। হঠাৎ করে এটি কেউ দেখলে সে ভাবতেও পারবে না যে, হুমায়ুন আজাদকে আমি কতোটা শ্রদ্ধা করি। সামনে এগিয়ে যেতে আমাদের এই বোঝাপরার জায়গাটা থাকা দরকার। তা আমাদের সোসাইটিতে নেই।ধরুন, আপনি আস্তিক, আমি নাস্তিক; তাই বলে আমরা পরস্পরকে গালাগালি করবো তা কেনো হবে, বলেন? (আনার ১১নং কমেন্টের ১ম প‌্যারা)। আমি একেবারেই বিরক্ত, দেখবেন, ব্লগে নাস্তিক-আস্তিক পোস্ট নিয়ে কী মূর্খ নেংরামী! কেমন বিকৃত আনন্দ পেতে একেকজনকে দেখা যায়। আমি এ-ভাবে আপনাকে বললাম, কারণ, আপনার ১৫ নং কমেন্টে আপনি বোঝাপরার জায়গা থেকে কমেন্ট করেছেন, যদিও গালাগালিও আছে। বলেছেন, ''কার নিক আপনি?'' এমন করে বলার জন্যেও কেবল আপনি দায়ি নন, যেমন আমার আগের কমেন্টে আমি যা আপনাকে বলেছি তার জন্যেও কেবল আমি দায়ি না। দায়ি না বলতে, ব্লগে আমাদের যে অভিজ্ঞতা 'নিক' নিয়ে লুবোচরি, পরস্পরের প্রতি অশ্রদ্ধা, তা দেখতে দেখতে খুব দ্রুতই আমাদের একজন আরেকজনের প্রতি বিতৃষ্ণা জন্মে।

আচ্ছা, আযাদ মাদ্রাসায় পড়তেন কীনা এটি গুরুত্ত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্ত্বপূর্ণ হচ্ছে তিনি কী? তাঁর ফিলোসফি? আর পড়তেন যে, আপনি এই তথ্য কোথায় পেলেন, তা বলেন নি। ধরে নিলাম যে পড়তেন। তাহলেও এটি দোষের তো কিছু না, আমাদের দেখতে হবে তিনি কোন সোসাইটিতে বেড়ে উঠেছেন, বিদ্যমান যে সোসাইটি এর বাইরে তো আমরা কেউ পুরোপুরি যেতে পারি না। হুমায়ুন আজাদ অন্য কোথাবো জন্ম নিলে অবশ্যই তিনি আরো অনেক বড়ো হতেন।

জঙ্গিবাদ নিয়ে যেটা বলেছেন, এতে রাজনীতি তো অবশ্যই একটি কারণ, আর এটি বিচ্ছিন্ন নয়। পৃথিবীর সব খানেই ধর্ম নিয়ে রাজনিতী হয়, বুশ-হাসিনা, আর আমাদের আশপাশের ছোটখাট নেতারা, শিল্পপতিরা ধর্ম এরা ব্যবহার করে। ধর্ম আসলে কেবল মাত্র এদের জন্যেই টিকে আছে। আপনি এটি কোন প্রসঙ্গে এনেছেন বুঝলাম না। তবে আপনার কথাতে ধর্মের সত্যতা প্রমানিত হয় না, আর আমার কথাতে ধর্মের অসত্যতা প্রমানিত হয় না। কিন্তু আমরা পরস্পরের সাথে আমাদের জানাশোনা আর বোঝাপরার জায়গা থেকে কথা বলতে পারি। কিন্তু এখানে দেখা যায় কেবল পরস্পরের প্রতি এতো অশ্রদ্ধা। এই কমেন্টে কিছু নেতিবাচক দিক আমি এড়িয়ে গেলাম। আরেকটা কথা অনেক নাস্তিকদের প্রতি কিন্তু আমি বিরক্ত, কিছু আস্তিকদের বেলায় যেটা বললাম কিছু নাস্তিকরাও তা-ই। কারো সাথে আমার দ্বিমত থাকতে পারে, তা-ই বলে নগ্নভাবে আক্রমণ করতে হবে। এটি মুর্খতা আর অসুস্থতা ছাড়া আর কিছু না।

এই তো... ধীবর।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩৭

সন্যাসী বলেছেন: আপনাকে ধইন্যা। আপনার মন্তব্যগুলো খুব ভাল লাগে। কেমন একটা গান্ধীজির জীবনীগ্রন্থের স্বাদ পাই।

১৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪১

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দীন, ''এই গল্পের সাথে মুহাম্মদের জীবন একদম খাপে খাপে মেলে।'' ঠিক, এছাড়াও আমি এই পোষ্টের আপনার সব কমেন্টের সাথে আমি একমত। ১২ নং কমেন্ট যেমন। আপনি অন্যদের মত গালাগালি করেন না, ভালো, একটু স্যটেয়ার করে তো বলা যেতেই পারে। ''ছাগল গুলায় কোপাকুপি করলো....'' এখানে 'ছাগল' বলা হচ্ছে সেইসব জঙ্গি মনোভাব সম্পন্ন ধার্মিকদের বা ভণ্ডদের, এখানে তো অবশ্যই আপনি আরো কিছু বললেও সাতখুন মাফ। কিন্তু ব্লগের আস্তিকরা এমন ভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় যে, এটি তাদের নিজেদের গায়ে লেগেছে।

আসল কথা হচ্ছে, আমি আপনাকে যে জন্যে বলছি, বিশ্লষন এক জায়গা থেকে কথা বলা যেতে পারে, আর যারা বুঝতে চায় না তাদের সাথে না লেগে, বরং বয়কট করা। আপনার ব্লগ বিপ্লব কান্তিকে দেয়া রিপ্লাই দেখলাম, চমৎকার।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪০

সন্যাসী বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দিন এবং আপনি দুজনকেই জাঝা।

১৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৪০

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: মনসুর সাহেবের পৌত্রিরে ভালা পাই। :-*

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২২

সন্যাসী বলেছেন: সেইটা কেডা? জানতে মঞ্চায়। সামুতে ব্লগায় নাকি?

মনে হয় আমার মাথায় ধরেনি।

১৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২৫

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: আপ্নে আছেন কুন্জায়গায়?

মনসুর সাবের ফ্যামিলি সম্পর্কে ধারণা আছে কিছু?

তাহমিমা আনাম।

এইবার ফ্যামিলির বাকীদের খুইজা এইখানে কইবেন, কয়জনরে চিনলেন।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩২

সন্যাসী বলেছেন: সত্যিই ধারণা নাই, দুরন্ত ভাই। তাহমিমা আনাম মানে মাহফুজ আনামের মেয়ে? ঐ যে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বই লিখেছিল, সে নাকি? তারে একদিন টিভিতে দেখেছিলাম। বাংলা কইতে পারেনা। ইংরেজগো মত কয়। যদি সে হয়, তাইলে আমিও.......

১৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫৮

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: সম্পূর্ণ একমত আসিফ ভাই। ১৮ নং-এ এমন ভাবে বলেছেন, দেখবেন তবুও ওরা বুঝবে না, যেন দুনিয়াতে ওরা পণ করেই এসেছে যে, অন্ধকারে আছি, অন্ধকারেই থাকবো, চোখ মেলে তাকাবো না। ওরা যাতে চোখ মেলে তাকায় সে-জন্যে কিছু করতে পারলে ভালো, তবে বিষয়টি গালাগালি পর্যায়ে গেলে কিছু না করাই ভালো ; কিছু কিছু পোষ্টে দেখেছি ভয়াবহ গালি। এতে আস্তিকদের চেয়ে নাস্তিকদের প্রতিই আমার রাগ হয়। কতিপয় আস্তিকদের বিকৃত মানসিকতার সাথে, নাস্তিকরা যোগ দিলে খারাফ লাগে।

সন্নসী ভাই কী খবর? কোথায়?

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৯

সন্যাসী বলেছেন: দুনিয়াতে ওরা পণ করেই এসেছে যে, অন্ধকারে আছি, অন্ধকারেই থাকবো, চোখ মেলে তাকাবো না। খাটি কথা কইছেন, রাশেদীন ভাই। (দুক্কে হাসি পাওয়ার ইমো হইবে)

১৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৮

লিচুগাছ বলেছেন: আবাল এত বড় পোস্ট তর কোন শালায় পড়ব? বলদ তরে না পইড়াই মাইনাস দিলাম

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২১

সন্যাসী বলেছেন: আপনাকে ব্লক করা হলো। ক'দিন থেকে আপনাকে খেয়াল করেছি। আপনি মন্তব্যে সবাকেই তুই বলে সম্বোধন করেন। আপনাকে দেখে যদি আমি আস্তিকদের বিচার করি তাহলে সবাইকে চারপেয়ে জীব বলতে হবে। বাবা-মা যাদের ভদ্রতা শিখাতে পারেনি, ধর্ম তাদের তা কোনদিনই শিখাতে পারবে না।

১৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৬

কমুনা বলেছেন: ঝাক্কাসৈসে ;)

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪১

সন্যাসী বলেছেন: থ্যাংকু।

১৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩৯

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: http://en.wikipedia.org/wiki/Tahmima_Anam

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪৬

সন্যাসী বলেছেন: ধইন্যা। তার বইটা পড়েছেন? আমি পত্রিকায় বইটা সম্পর্কে লেখা দেখেছিলাম। শুরুটা বোধ হয় মুক্তিযুদ্ধে চলে যাওয়া স্বামীকে লেখা স্ত্রীর চিঠি দিয়ে। টিভি সাক্ষাতকারে প্রথম কিছু অংশ তাহমিমা আনাম নিজেই পড়ে শুনিয়েছিল।

২০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:২৪

ধীবর বলেছেন: তর্কের বিপক্ষ্যে অবস্থানকারিরে আগেই অন্ধকারের মানুষ বলে তর্ক শুরু করার অর্থ হলো যে যাই বলুক, তালগাছটা আমার। এরকম প্রি কন্সিভড নোশন নিয়ে যাই হোক, তর্ক বেশিদুর যেতে পারে না।

বাংলা ভাইয়ের উত্থানের পেছনে ইসলাম নয়, সর্বহারাদের উত্থান দায়ি। সে সর্বহারা নির্মুল করছিল। ফলে রাজশাহির ওই অঞ্চলে সর্বহারাদের উপদ্রব খুব দ্রুত কমে গিয়েছিল। গাত্রদাহটা বেশি হয়েছিল, সর্বহারাদের চাদাবাজির টাকায় চলা ওয়াকার্স পার্টির মেনন আর ফজলে হোসেন বাদশাদের। আর মিডিয়া সুশিলদের বড় একটা অংশ বামপন্থি হওয়ায় মিডিয়ার কল্যাণে বাংলা ভাই হয়ে গিয়েছিল আলোচনার বিষয়। যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসি তাই বাংলা ভাইয়েরা টিকে থাকেনি। এবং ফাসি হয়ে যাওয়াতেও বাংলাদেশে মানুষের সমর্থন ছিল। তাই বাংলা ভাইকে দিয়ে বাংলাদেশে জঙ্গি আবিস্কারের চেস্টা খুব হাস্যকর।

আপনাকে সাম্প্রদায়িক বলার মুল কারণ হলো, আপনি ইস্যুভিত্তিক নয়, বরং ইসলাম পালনকারি সবাইকেই একাধারে সমালোচনা করে যাচ্ছেন।আর সমালোচনার সেই ভাষাটিও যুক্তিহীন কদর্য। অথচ এর বিপরীতে আপনার কাছে অধিক গ্রহনযোগ্য কোন জীবন পন্থার (যা রাস্ট্রনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি সব কিছু কভার করে) কোন প্রস্তাব নেই। এমনকি উদাহারণও নেই। সনাতন ধর্ম, ইহুদি ক্রিস্টান এসব ধর্মের অবতারণা ১৪০০ বছরের অনেক আগে হলেও, সেখানে আপনার সমালোচনার তীর ছোড়া হয় না। তাছাড়া সাম্প্রদায়িক বুশ যেদিন থেকে মুখ দিয়ে ইসলামি জঙ্গিবাদের কথা বলা শুরু করলো, সেদিন থেকে আপনাদের সমালোচনার তীর ইসলামের উপরেই গিয়ে পড়তে থাকলো। চরম সাম্প্রদায়িক দৃস্টিভঙ্গির পশ্চিমা মিডিয়ার সাথে তাল মেলানোরা কেন সাম্প্রদায়িক হবেন না তাহলে?

যে ধর্মের জিগির তুলে ইসলামকে সন্ত্রাসিরুপ অপপ্রচার করা হচ্ছে, আপনি সত্যি নাস্তিক হলে, সেই ধর্মের মানুষদের সমালোচনা করতে পারতেন। সেটা না করে ওদের সুরে তাল মেলানোতে আপনার নাস্তিকতার দাবি কি অক্ষুন্ন থাকলো?


নাস্তিকতা কি শেখায় জানি না। তবে তাদের কৃতকর্মে দায়বদ্ধতা কার কাছে থাকে, সেটা জানতে চাচ্ছি। যদি সেটা সমাজ আর আইন কানুনের প্রতি হয়, সেগুলির উৎপত্তি কিন্ত অন্তত নাস্তিকতা প্রসুত নয়, সেটা বলা যায়। আর বিবেকের কাছে হলে জানতে চাইবো, ষড়রিপুকে জয় করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি নাস্তিকতায় কোথা থেকে আসলো?

আমার মত লোকেদের বলে কি বোঝাতে চাইছেন জানি না। তবে আমার বিশ্বাস আপনার বিশ্বাসের সাথে মেলে না বলে, আপনি অকথ্য ভাষায় যা খুশি বলবেন, এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই আপনি ধরে নেবেন যে বিপরীত পক্ষ্যের মানুষটি অপদেবতা, যুক্তিধারি কারো পক্ষ্যে এমনটি ভাবা সম্ভব না।

হানিফ রাশেদিন সমন্ধে ভুল ধারনাপ্রসুত কিছু বলা হলে, তিনি যদি মনে আঘাত পেয়ে থাকেন, তবে অবশ্যই সে জন্য আমি দুঃখপ্রকাশ করবো।

আপনি যে বিশাল সাম্প্রদায়িক, তার আরেকটা প্রমান হলো, শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে আমি কিছু না বললেও, শ্রেফ তাচ্ছিল্য করার জন্য আপনি কোরান মুখস্তের কথাটা বললেন। আর যার প্রসঙ্গে আমার সেই উক্তি, সে লোকের অনেক মন্তব্য পড়ে তবেই সে কথাটি বলেছি। আপনি তাকে সমর্থন করলে, বলতে হবে আপনাদের দুজনের পথ একই। সেটা নির্জলা ঘৃণাবাদ।


পুত্রবধুকে বিয়ে করার আয়াত তো অন্যদের উপর নাযিল হয়নি। এখন তো দেখি কন্যাও আপন পিতা কর্তৃক গর্ভবতি হচ্ছে। আর মাও ছেলের সাথে যৌনক্রিয়া করছে। শিক্ষক শিক্ষিকারা ছাত্রছাত্রিদের সাথে রতিরসের মজা নিচ্ছে। ভাই বোনের সাথে ... তা ভাই এগুলি কোন আয়াতের ফল, বলতে পারেন?


@হানিফ রাশেদিন, আপনার সুন্দর করে লেখা প্রতিমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। কিছু মনে করবেন না। গুণ যদি সেকথাগুলি না বলতেন, তাহলে নিশ্চই গূনের বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে আপনার সংশয় থাকতো না? অর্থাৎ আপনি যা শুনতে পছন্দ করেন, তার বিরপীত ধর্মি কথা শুনলেই আপনি সংশয়ে ভোগেন। সে রকম করে কি মুক্তমনের অধিকারি হওয়া সম্ভব? তাছাড়া পর্যবেক্ষণ করে দেখুন। তসলিমা ইসলাম বিদ্বেষি লেখাগুলি, তাকে কুখ্যাতি এনে দেবার পর পর, ইসলাম বিদ্বেষকে পুজি করে লেখা শুরু করেন হু আযাদ। তাই এই ব্যাপারে আপনার অনাপত্তিকে গ্রহন করা সম্ভব হচ্ছে না।

আজীবন নিভৃতচারি হু আযাদের পরিমন্ডলের সীমানার পরিধি ছিল সংক্ষিপ্ত। তাই তার চারিপাশের এই সীমাবদ্ধগন্ডিকেই পরম সীমা জ্ঞান করে, তিনি যা লিখেছেন, তাকেই আপন সীমা বলে বিশ্বাস করাটা সুবিবেচনাপ্রসুত কি? আর সেই সীমাবদ্ধ জীবনের জন্য তার ব্যাক্তিত্ব দায়ি। সমাজ নয়। সেজন্য তার মদ্যপানে আসক্তির জন্য অন্য কেউকে দায়ি করাটাও ঠিক না।

আমি কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে "আপনি কার নিক" বলিনি। যেহেতু আপনার ব্লগীয় বয়স প্রায় বছর ছুই ছুই, তাই নিতান্ত কৌতুহলে জানতে চাচ্ছিলাম, যে আপনার সাথে আগে আমার কথা হয়েছে কি না। কেননা, যারা আমার পোস্টে আসেন, তার মধ্যে সবাই আমার বক্তব্যের সাথে সহমত হন না। তারা আসেন, একারনে যে আমি সুস্থভাষায় প্রকাশিত ভিন্নমতের পরম শ্রদ্ধা করে থাকি।


আসিফ মহিউদ্দিনের মত ঘৃণাবাদিদের হাততালি দেয়াতে মনে হচ্ছে, আপনিও ঘৃণাবাদকে সমর্থন করেন। যুক্তিহীন সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যপ্রসুত গালাগালিকে কোন যুক্তিকে আপনার কাছে সঠিক মনে হচ্ছে জানি না। তবে কোন কারণে আপনার স্ট্যান্ডার্ড এত নীচুতে নামিয়েছেন, সেটা জানার আগ্রহ হচ্ছে। ধন্যবাদ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৫০

সন্যাসী বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে বাবরের কথা মনে পড়ল। "উই আর লুকিং ফর শত্রুজ"। আপনি বাবরের চাচতো ভাই টাই নাকি? বাবরের পরিণতি তো দেখেছেন। কোরাণের সত্যতাকে উন্মোচন করলেই সাম্প্রদায়িকতা হয়-হালার আবাল কয় কারে। জীবনে প্রথম কেউ সাম্প্রদায়িক ট্যাগিং করল। এটা যদি শৈল্পিক বা আন্ধা ছাগুর দল করত, তাহলেও মানা যেত।

আমার ব্লগীয় অবস্থান পড়তে এই পোস্টটা একটু দেখে আসতে পারেন।

২১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:১৭

ছন্নছাড়ার পেন্সিল বলেছেন: ধীবর বলেছেন: তর্কের বিপক্ষ্যে অবস্থানকারিরে আগেই অন্ধকারের মানুষ বলে তর্ক শুরু করার অর্থ হলো যে যাই বলুক, তালগাছটা আমার

ধীবর বলেছেন: ...সাথে আবার হু আযাদ আর তসলিমাকেও টেনে আনছে। কোথায় মদ্যপ আযাদ, আর আধুনিক ছেনাল তসলিমা আর কোথায় আবুল মনসুর আহমেদ !

====

ধীবর, কিছুদিন আগে আপনিই আমাকে এক কমেন্টে বলছিলেন যে ঘৃণাবাদীদের ভালো লাগে না। অথচ একজন স্কলার এবং যশস্বী লেখককে প্রমাণ বা বক্তব্য ছাড়াই 'মদ্যপ' বললেন। আরেক সাহিত্যিককেও 'ছেনাল' বললেন। এই দু'জনের কারো সাথেই আপনার সরাসরি পরিচয় ছিলো না।


এইটা দেখে বুঝা যাচ্ছে তালগাছ কে আঁকড়ে ধরে থাকতে চাইছে...

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০৯

সন্যাসী বলেছেন: ধন্যবাদ, ছন্নভাই। তাদের মুখে সব জায়েজ। আমরা কিছু বললেই তা নাজায়েজ হয়ে যায়। উনারা আজাদকে, তসলিমাকে ওনাদের মনগড়া ট্যাগিং করতে পারেন। হোকনা আজাদ স্যার মদ্যপ কিংবা তসলিমা ছেনাল। তারাতো আর একখান ধর্ম প্রচার করছে না। হু আজাদ কিংবা তসলিমা তাদের লেখা কোন বইকে বলেনি যে এইটাই পরিপূর্ণ জীবন বিধান। ওনাদের নবীই এটা বলেছে এবং সামাজিক অনাচারও করেছে। এবং বর্তমানেও তার দ্বারা উৎসাহিত অনুসারীগণ তার জীবনাচরণকে অনুসরণ করতে গিয়ে সামাজিক অনাচার করছে।

এইসব ধীবররা 'লালসালু' পড়ে যদিবা কিছু বোঝে তাহলে বলবে ব্যাটা মজিদ লোকটা খুব খারাপ, এখানে ধর্মের দোষ নেই। ধর্মটা এদের কাছে ধোয়া তুলসী পাতা। দোষ সব ধর্মপালনকারীদের। "বিশুদ্ধ পানি খেয়ে যদি সকল পানকারীদের ডায়রিয়া হয়, তখন বুঝতে হবে পানিটা বিশুদ্ধ নয়" তারা এটুকু বুঝতে শিখলেই হত।

২২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:১৯

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ধীবর, ছন্নছাড়ার পেন্সিল এর কমেন্ট পড়ে আমার মনে হলো, আপনার সাথে আমার কথা বলা উচিৎ হয় নি; যে-আপনি বক্তব্য ছাড়াই হুমায়ুন আজাদকে 'মদ্যপ' বলেন, তসলিমাকে 'ছেনাল'। কথা যখন বলেই ফেলছি, তো... অবশ্য সন্নাসী ভাইর ব্লগ না হলেও কথা বলা হতো না।

আচ্ছা, আপনার ২৫ নং কমেন্ট দেখেন, রিপ্লাইতে সন্নাসী ভাই কিন্তু আপনার বক্তব্য ধরে কথা বলে নি, কেউ যখন এতো মিনিংলেস, উদ্দেশ্যপ্রবন আর ফাঁকা কথা বলে তার সাথে কথা বলা যায় না। আমি বিচ্ছিন্ন ভাবে একটু বলি। আপনি সন্নাসী ভাইকে বলেছেন :

''আপনাকে সাম্প্রদায়িক বলার মুল কারণ হলো, আপনি ইস্যুভিত্তিক নয়, বরং ইসলাম পালনকারি সবাইকেই একাধারে সমালোচনা করে যাচ্ছেন।''

কিন্তু দেখেন, ঠিক এই পোস্টেই ১৮ নং কমেন্টের রিপ্লাই, ''এইটাই ধর্ম এবং এইটাই ইসলাম। হিন্দুদের অবস্থাও একইরকম।''

বুঝতে হবে, এখানে ইসলাম যেহেতু প্রভাবশালি ধর্ম, সম্ভবত ৮০ ভাগ মানুষের ধর্ম ইসলাম। তাই ইসলাম নিয়েই কথা হয় বেশী। আপনি যা বলেছে তা অতী সরণিকলন, আপনার সব কথাই। যেমন হুমায়ুন আজাদ ও তসলিমকে নিয়ে। আবার কে উঁচু আর কে নিচু তা-ও বলেছেন।

''....সর্বহারা নির্মুল করছিল।'' কারা সর্বহারা জানেন? বামপন্থীদের ব্যকরাউন্ড জানেন? আপনার কথাগুলো এতো মনগড়া যে, এই নিয়ে কথা বলাই বিরক্তিকর ও সময়ের অপচয়!

আর আপনার প্রায় কথার কোনো প্রসঙ্গিকতা নেই, এখানে এটি আরেক সমস্যা, প্রসঙ্গ ধরে কেউ
কথা বলে না।

বলেছেন, ''পুত্রবধুকে বিয়ে করার আয়াত তো অন্যদের উপর নাযিল হয়নি। এখন তো দেখি কন্যাও আপন পিতা কর্তৃক গর্ভবতি হচ্ছে। আর মাও ছেলের সাথে যৌনক্রিয়া করছে। শিক্ষক শিক্ষিকারা ছাত্রছাত্রিদের সাথে রতিরসের মজা নিচ্ছে। ভাই বোনের সাথে ... তা ভাই এগুলি কোন আয়াতের ফল, বলতে পারেন?''

সন্নাসী ভাই বলেছে যে, ''একবার ভেবে দেখবেন আল্লাহর কী দায় পড়েছে যে মোহাম্মদকে পুত্রবধু বিয়ে করার দায় থেকে মুক্ত করার জন্য আয়াত নাজিল করবে?''

এখানে আপনি আসলে তার কথাটা ধরতেই পারেন নি।

আমাকে বলেঝেন, ''অর্থাৎ আপনি যা শুনতে পছন্দ করেন, তার বিরপীত ধর্মি কথা শুনলেই আপনি সংশয়ে ভোগেন। সে রকম করে কি মুক্তমনের অধিকারি হওয়া সম্ভব?''

কী বলবো ধীবর? এসন কথায় কী বলতে হয় আমি জানি না। আমি অনেক কিছুই সংশয়ের চোখে দেখি, এটুকুই বললাম, আর কিছু বললাম না।

হুমায়ুন আজাদকে নিয়ে আর কথা বললাম না, কেউ যখন এতো ফাঁকা আলোচনা করে, সেখানে আমি অসহায়।

বলেছেন, ''আসিফ মহিউদ্দিনের মত ঘৃণাবাদিদের হাততালি দেয়াতে মনে হচ্ছে, আপনিও ঘৃণাবাদকে সমর্থন করেন।''

এটি কিন্তু আপনার আক্রমানত্মক বা যদি আমি বলি যে বিকৃত... এই মানসিকতা উম্মেচিত হয়। এটা কি স্বাভাবিক নয় যে, যাদের সাথে আমার ফিলোসোফিকাল দিক থেকে মিলবে তাদেরই আমি সমর্থন করবো। আর ''উদ্দেশ্যপ্রসুত গালাগালি'' কারা করে তা বোঝার জন্যে অন্য কোথাও যাওয়ার দরকার নেই, এই পোষ্টটিই যথেষ্ঠ।

ভালো থাকবেন ধীবর।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১০

সন্যাসী বলেছেন: রাশেদীন ভাই, এই লোকটার উদ্দেশ্য ভাল না। একে ইগনোর করেন।

২৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:২৩

রাতমজুর বলেছেন: লেখক, অনুরোধ, উস্কানীদাতার মন্তব্য উপেক্ষা করুন।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১১

সন্যাসী বলেছেন: ধন্যবাদ, রাতমজুর ভাই। তাকে আগেই ইগনোর করা উচিত ছিল।

২৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৫২

সজীব আকিব বলেছেন:
আমি কি কৃতজ্ঞতা-প্রকাশ পূর্বক এটি মুক্ত-মনায় দিতে পারি?

আর হ্যা, মাঝে মাঝে মুক্ত-মনায় আইসেন।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২১

সন্যাসী বলেছেন: সজীব ভাই, এটা যেহেতু একজন বিখ্যাত লেখকের গল্প। তাই আমার কাছে অনুমতি চাওয়ার কি দরকার আছে? আমিইতো কোন কপিরাইট আছে কি নেই তা না ভেবেই এখানে কপি করে দিয়েছি। আমি মনে করি সমাজ পরিবর্তনমূলক লেখাগুলো কপিরাইটের উর্ধে থাকা উচিত। মানুষ না পড়লে সমাজের পরিবর্তন আসবে কী করে! ধন্যবাদ।

২৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:৫৯

নির্ণয় বলেছেন:
সত্যি, দারুন ভাল লেগেছে। ভাল লাগাটার উসিলা হওয়ায় আপনারে ধন্যবাদ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৫৬

সন্যাসী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:২১

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: কমেন্ট সহ পরে পড়বো এখন এতবড় লিখা পড়ার সময় নাই।

২৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২১

আহমাদ জাদীদ বলেছেন: তোমরা নিতান্ত মূর্খ। এই ভ-ের চালাকি বুঝিতে পারিতেছ না? নিজে শখ মিটাইবার জন্য যে হযরত পয়গম্বর সাহেবকে লইয়া তামাসা করিয়া তাঁর অপমান করিতেছে। তোমরা এই শয়তানকে পুলিশে দাও

২৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৫:৫৬

এস্কিমো বলেছেন: এই গল্পের নাট্যরূপ দেখার পর যারা বাড়ীঘরে আগুন দিছে এরাতো আসিফ মহিউদ্দিন গং দের মতোই মাথামোটা। বাড়ীঘরে আগুন দেওয়া লোকজন যেমন স্যাটায়ার বুঝে নাই - তেমনি আসিফ মহিউদ্দিন গংরাও স্যাটায়ার না বুঝেই লাফাচ্ছে।

আল্লাহ বাংলাদেশকে মাথামোটা গোষ্ঠীর হাত থেকে রক্ষা করুন।

২৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১২:০৩

ডাইস বলেছেন: এইটা আগে পড়িনাই...ভালো লাগল

৩০| ২৮ শে মে, ২০১২ রাত ১:৫২

মাসুদ মারুফ বলেছেন: ইসরালীদের প্রথম এবং প্রধান টার্গেট হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের মূল শক্তি তথা কেন্দ্রবিন্দু বায়তুল মোকাদ্দাস বা আল কুদ্স। ১৯৬৭ সালের জুন যুদ্ধের পরে ইসরাইলীগণ “হাইকালে সোলায়মানী' খোঁজার নাম করে ১০ পর্যায়ে খনন কার্য চালিয়েছে। এর উদ্দেশ্য একটাই, বায়তুল মোকাদ্দেসকে ধ্বংস করা। ১৯৬৭ সালে প্রথম পর্যায়ে বাবুল মাগরেবা পর্যন্ত ১৪ মিটার গভীরতায় খনন করেছে। ২য় পর্যায়ে ১৯৬৯ সালে ব্যাপকভাবে মুসলমানদের উৎখাত করা হয় এবং মসজিদুল আকসায় অগ্নি সংযোগ করা হয়। এ সময়ে মসজিদে আকসার ৮০ মিটার দূরে ব্যাপকভাবে খনন কার্য চালানো হয়। ১৯৭০ থেকে ৭২ পর্যন্ত ৩য় পর্যায়ে মসজিদে আকসার দেয়ালের নিচে দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে খনন করা হয় ইসলামী কোর্ট এবং মুসলমানদের বাড়িঘর দখল করে নেয়া হয়। ৪র্থ পর্যায়ে ১৯৭৩ সালে মসজিদের পশ্চিম দেয়ালের নিচে ১৫ মিটার গর্ত করে খনন করা হয়। ৫ম পর্যায়ে ১৯৭৪ সালে পশ্চিম দেয়ালের গর্তকে খননের মধ্যে আরো সম্প্রসারিত করা হয়। ৬ষ্ঠ পর্যায়ে ১৯৭৫-৭৬ সালে পশ্চিম দেয়ালের গর্ত আরো সম্প্রসারিত করা হয় এবং প্রখ্যাত সাহাবীদ্বয় উবাদাহ বিন সামেত এবং শাদ্দাদ বিন আউসের (রা.) কবর থেকে হাড়গোড় সরিয়ে ফেলা হয়। ৭ম পর্যায়ে আকসার আঙ্গিনায় মহিলা মসজিদের নিচ পর্যন্ত খনন করা হয়। ১৯৭৯ সালে ৮ম পর্যায়ে পশ্চিম দেয়ালের নিচেও বোরাক দেয়ালের পার্শ্বে খনন করা হয়। ইহুদীরা সুরঙ্গটি পাকা করে তাদের উপাসনালয় নির্মাণ করলে তদানিন্তন প্রসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী তা উদ্বোধন করেন। ৯ম পর্যায়ে ১৯৮৬ সালে ব্যাপক খনন কার্য চালানো হয়। এ সময় জেরুসালেম থেকে বহু মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়। সেখানকার ফিলিস্তিনি হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়া হয়। ১০ম পর্যায়ে ১৯৮৮ সালে মসজিদ সংলগ্ন ওয়াদী এলাকায় ব্যাপক খনন শুরু করলে মসজিদের নিরস্ত্র রক্ষীরা বাধা দেয়। বাঁধা উপেক্ষা করে ব্যাপকভাবে খনন কাজ চলে। এদের লক্ষ্য ছিল মসজিদ আকসা এবং মসজিদে সাহারার নিচের সকল মাটি ফেলে দেয়া। যাতে করে মসজিদদ্বয় সামান্য ভূকম্পন কিংবা এমনিতেই ধ্বংস হয়। মূলত খনন কাজের এটাই হচ্ছে মূল উদ্দেশ্য। হাইকালে সোলায়মানী খোঁজাটা বাহানা মাত্র।

জনাব, সব দোষ মুসলমানদের, আর এগুলো কি?
ও,হীরার দেশ আফ্রিকায় দখলদার কারা?
কলকাতার চালের দাম বেশ সস্তাই দেকচি,
হ্যা, আফগানিস্তানে কি রকম ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জানেন তো? নিজের বোন সাদা চামড়াদের হাতে পড়লে অবশ্য জানতেন

৩১| ২৮ শে মে, ২০১২ রাত ১:৫৩

মাসুদ মারুফ বলেছেন: ইসরালীদের প্রথম এবং প্রধান টার্গেট হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের মূল শক্তি তথা কেন্দ্রবিন্দু বায়তুল মোকাদ্দাস বা আল কুদ্স। ১৯৬৭ সালের জুন যুদ্ধের পরে ইসরাইলীগণ “হাইকালে সোলায়মানী' খোঁজার নাম করে ১০ পর্যায়ে খনন কার্য চালিয়েছে। এর উদ্দেশ্য একটাই, বায়তুল মোকাদ্দেসকে ধ্বংস করা। ১৯৬৭ সালে প্রথম পর্যায়ে বাবুল মাগরেবা পর্যন্ত ১৪ মিটার গভীরতায় খনন করেছে। ২য় পর্যায়ে ১৯৬৯ সালে ব্যাপকভাবে মুসলমানদের উৎখাত করা হয় এবং মসজিদুল আকসায় অগ্নি সংযোগ করা হয়। এ সময়ে মসজিদে আকসার ৮০ মিটার দূরে ব্যাপকভাবে খনন কার্য চালানো হয়। ১৯৭০ থেকে ৭২ পর্যন্ত ৩য় পর্যায়ে মসজিদে আকসার দেয়ালের নিচে দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে খনন করা হয় ইসলামী কোর্ট এবং মুসলমানদের বাড়িঘর দখল করে নেয়া হয়। ৪র্থ পর্যায়ে ১৯৭৩ সালে মসজিদের পশ্চিম দেয়ালের নিচে ১৫ মিটার গর্ত করে খনন করা হয়। ৫ম পর্যায়ে ১৯৭৪ সালে পশ্চিম দেয়ালের গর্তকে খননের মধ্যে আরো সম্প্রসারিত করা হয়। ৬ষ্ঠ পর্যায়ে ১৯৭৫-৭৬ সালে পশ্চিম দেয়ালের গর্ত আরো সম্প্রসারিত করা হয় এবং প্রখ্যাত সাহাবীদ্বয় উবাদাহ বিন সামেত এবং শাদ্দাদ বিন আউসের (রা.) কবর থেকে হাড়গোড় সরিয়ে ফেলা হয়। ৭ম পর্যায়ে আকসার আঙ্গিনায় মহিলা মসজিদের নিচ পর্যন্ত খনন করা হয়। ১৯৭৯ সালে ৮ম পর্যায়ে পশ্চিম দেয়ালের নিচেও বোরাক দেয়ালের পার্শ্বে খনন করা হয়। ইহুদীরা সুরঙ্গটি পাকা করে তাদের উপাসনালয় নির্মাণ করলে তদানিন্তন প্রসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী তা উদ্বোধন করেন। ৯ম পর্যায়ে ১৯৮৬ সালে ব্যাপক খনন কার্য চালানো হয়। এ সময় জেরুসালেম থেকে বহু মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়। সেখানকার ফিলিস্তিনি হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়া হয়। ১০ম পর্যায়ে ১৯৮৮ সালে মসজিদ সংলগ্ন ওয়াদী এলাকায় ব্যাপক খনন শুরু করলে মসজিদের নিরস্ত্র রক্ষীরা বাধা দেয়। বাঁধা উপেক্ষা করে ব্যাপকভাবে খনন কাজ চলে। এদের লক্ষ্য ছিল মসজিদ আকসা এবং মসজিদে সাহারার নিচের সকল মাটি ফেলে দেয়া। যাতে করে মসজিদদ্বয় সামান্য ভূকম্পন কিংবা এমনিতেই ধ্বংস হয়। মূলত খনন কাজের এটাই হচ্ছে মূল উদ্দেশ্য। হাইকালে সোলায়মানী খোঁজাটা বাহানা মাত্র।

জনাব, সব দোষ মুসলমানদের, আর এগুলো কি?
ও,হীরার দেশ আফ্রিকায় দখলদার কারা?
কলকাতার চালের দাম বেশ সস্তাই দেকচি,
হ্যা, আফগানিস্তানে কি রকম ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জানেন তো? নিজের বোন সাদা চামড়াদের হাতে পড়লে অবশ্য জানতেন

৩২| ২৮ শে মে, ২০১২ রাত ১:৫৪

মাসুদ মারুফ বলেছেন: ইসরালীদের প্রথম এবং প্রধান টার্গেট হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের মূল শক্তি তথা কেন্দ্রবিন্দু বায়তুল মোকাদ্দাস বা আল কুদ্স। ১৯৬৭ সালের জুন যুদ্ধের পরে ইসরাইলীগণ “হাইকালে সোলায়মানী' খোঁজার নাম করে ১০ পর্যায়ে খনন কার্য চালিয়েছে। এর উদ্দেশ্য একটাই, বায়তুল মোকাদ্দেসকে ধ্বংস করা। ১৯৬৭ সালে প্রথম পর্যায়ে বাবুল মাগরেবা পর্যন্ত ১৪ মিটার গভীরতায় খনন করেছে। ২য় পর্যায়ে ১৯৬৯ সালে ব্যাপকভাবে মুসলমানদের উৎখাত করা হয় এবং মসজিদুল আকসায় অগ্নি সংযোগ করা হয়। এ সময়ে মসজিদে আকসার ৮০ মিটার দূরে ব্যাপকভাবে খনন কার্য চালানো হয়। ১৯৭০ থেকে ৭২ পর্যন্ত ৩য় পর্যায়ে মসজিদে আকসার দেয়ালের নিচে দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে খনন করা হয় ইসলামী কোর্ট এবং মুসলমানদের বাড়িঘর দখল করে নেয়া হয়। ৪র্থ পর্যায়ে ১৯৭৩ সালে মসজিদের পশ্চিম দেয়ালের নিচে ১৫ মিটার গর্ত করে খনন করা হয়। ৫ম পর্যায়ে ১৯৭৪ সালে পশ্চিম দেয়ালের গর্তকে খননের মধ্যে আরো সম্প্রসারিত করা হয়। ৬ষ্ঠ পর্যায়ে ১৯৭৫-৭৬ সালে পশ্চিম দেয়ালের গর্ত আরো সম্প্রসারিত করা হয় এবং প্রখ্যাত সাহাবীদ্বয় উবাদাহ বিন সামেত এবং শাদ্দাদ বিন আউসের (রা.) কবর থেকে হাড়গোড় সরিয়ে ফেলা হয়। ৭ম পর্যায়ে আকসার আঙ্গিনায় মহিলা মসজিদের নিচ পর্যন্ত খনন করা হয়। ১৯৭৯ সালে ৮ম পর্যায়ে পশ্চিম দেয়ালের নিচেও বোরাক দেয়ালের পার্শ্বে খনন করা হয়। ইহুদীরা সুরঙ্গটি পাকা করে তাদের উপাসনালয় নির্মাণ করলে তদানিন্তন প্রসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী তা উদ্বোধন করেন। ৯ম পর্যায়ে ১৯৮৬ সালে ব্যাপক খনন কার্য চালানো হয়। এ সময় জেরুসালেম থেকে বহু মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়। সেখানকার ফিলিস্তিনি হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়া হয়। ১০ম পর্যায়ে ১৯৮৮ সালে মসজিদ সংলগ্ন ওয়াদী এলাকায় ব্যাপক খনন শুরু করলে মসজিদের নিরস্ত্র রক্ষীরা বাধা দেয়। বাঁধা উপেক্ষা করে ব্যাপকভাবে খনন কাজ চলে। এদের লক্ষ্য ছিল মসজিদ আকসা এবং মসজিদে সাহারার নিচের সকল মাটি ফেলে দেয়া। যাতে করে মসজিদদ্বয় সামান্য ভূকম্পন কিংবা এমনিতেই ধ্বংস হয়। মূলত খনন কাজের এটাই হচ্ছে মূল উদ্দেশ্য। হাইকালে সোলায়মানী খোঁজাটা বাহানা মাত্র।

জনাব, সব দোষ মুসলমানদের, আর এগুলো কি?
ও,হীরার দেশ আফ্রিকায় দখলদার কারা?
কলকাতার চালের দাম বেশ সস্তাই দেকচি,
হ্যা, আফগানিস্তানে কি রকম ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জানেন তো? নিজের বোন সাদা চামড়াদের হাতে পড়লে অবশ্য জানতেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.