নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোননেটসানটো

কবি লেখক

সোননেটসানটো › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানসিকতার অবক্ষয় নাকি বিবর্তন! (সনেট সেন্টু)

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

মনে করেন আমাদের চোখে একটু প্রভলেম হলেই চোখের ডাক্তার দেখাতে ব্যাস্ত হয়ে যাই। এই বুঝি আমার চোখ শেষ হয়ে গেলো। ডাক্তার অনেক পরিক্ষা নিরিক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্নয় করেন। প্রয়োজনীয় ঔষধ সেবন করার নিয়ম কানুন পেসক্রিপশন এ লিখে দিয়ে একটা নির্দিষ্ট পাওয়ার এ চশমা ধরিয়ে দিবেন।

এইযে ডাক্তার দেখানো উচিত বোধ করার ক্ষমতাই হলো স্বাভাবিক এবং সুস্থ মানসিকতা। আর এ ক্ষেত্রে চক্ষু ডাক্তার না দেখিয়য়ে গাদার মতো ঘুরে বেড়ানো অস্বাভাবিক মানসিকতা। আমাদের ফেইস একটু কালো হলেই বিউটিশিয়ান বা যার যার সাধ্য অনুযায়ী বিশেষজ্ঞের কাছে দৌড় ঝাপ দেই এটাই স্বাভাবিক। আর এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহণ না নেয়া অস্বাভাবিক।
জ্বরে জ্বরঘ্ন হলে নিজেই পাকামো করে ডাক্তারের পরামর্শ ছারা প্যারাসিটেমল তিন বেলা, সেবন করি এটাই স্বাভাবিক স্বাভাবিক ফ্যাক্ট। আর এ ক্ষেত্রে ডাক্তার না দেখানো বা ঔষধ সেবন করা হতে বিরত থাকা অস্বাভাবিক ফ্যাক্ট।

গলা শুকিয়ে এলে বা তৃষ্ণা পেলে পানি পাণ করি নিজের ইচ্ছে থেকে এটাই স্বাভাবিক। আর এ ক্ষেত্রে পানি পান না করে বোকার মতো বসে থাকা অস্বাভাবিক ফ্যাক্ট।
একাকিত্ব কাটিয়ে উঠার জন্যে বন্ধু বান্ধুবীদের দ্বারা নিজেকে নায়ক বা নায়িকার জায়গায় দাঁড় করিয়ে জীবন সঙ্গি খুঁজে নেই এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। আর এ ক্ষেত্রে যে জীবন সঙ্গীরর প্রয়োজন মনে করেনা সে অস্বাভাবিক।
রাতে বিছানায় ঘুমতে গেলে একটু শীত অনুভব হলে পুরো গায়ে কাথা মুড়িয়ে নেই এটা স্বাভাবিক। যদি শীতের মধ্যে গা থেকে কাথা নামিয়ে নেই এটা অস্বাভাবিক।

কোন কার্য সাধন করতে করতে ক্লান্ত হলে আমরা একটু জিরিয়ে নেই এটা খুবই স্বাভাবিক ফ্যাক্ট। কিন্ত কোন মানব বা মানবী যদি একটানা বিরামহীন কার্য চালিয়ে যায় সেটা স্রেফ অস্বাভিক।
খাদ্য-দ্রব্য গ্রহন করতে করতে একটা নির্দিষ্ট টাইমে মেদ বেড়ে যাবে এটা অতি স্বাভাবিক। পর্যাপ্ত খাবার গ্রহনের পরেও মেদ বর্ধিত না হওয়াটা অস্বভাবিক। মেদ কমিয়ে আনার তাগিদে একটু ব্যায়াম করে নেই এটাই স্বাভিক আর এটাই করা উচিত।

প্রতি দিন নিয়মিত নিজের থেকেই গোসল করি পরিচ্ছন্ন হওয়ার জন্যে এটা স্বাভিক। দিনের পর দিন গোসল না করে জীবনযাপন করাটা অস্বাভাবিক। সকালে ব্রাশ করি জীবানু থেকে রক্ষা পেতে এটা স্বাভাবিক। ব্রাশ না করে খাবার গ্রহন করা অস্বাভাবিক।
সব গুলো প্রয়োজনীয় কাজ আমরা নিজের থেকেই করি কেউ আমাদের ফোর্স করেনা। ছোট বেলায় বাবা মা ফোর্স করে শিখিয়ে দিযেছে। কারন এগুলো সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্যে জরুরী।

কিন্তু আমরা যে নানান ভাবে নিজেদের মানসিকতা কে নিজের অবহেলার দ্বারা একটু একটু করে অসুস্থ করে রেখেছি এবং এই মানসিক রোগের যে সঠিক সষ্ঠু চিকিৎসা প্রয়োজন এই ব্যাপার টা কেনো যেনো আমরা স্বাভাবিক ভাবে আমলে নেইনা।
মানসিক ভাবে অসুস্থ বোধ করার ক্ষমতা আমারা গলা টিপে মেরে ফেলেছি।

তাই মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েও বুঝার চেষ্টা করিনা আমরা যে অসুস্থ। আমাদের সকল প্রয়োজন বোধের মধ্যে আমি মনে করি মাঝে মাঝে মানসিক ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহনটা বেশি জরুরী। মানসিক ডাক্তার দেখানো মানেই আপনি পাগল না। এটা সচেতন মনে নিজের ভালো চাওয়াকে বুঝায়। মানসিক ডাক্তারের কাচে কেউ যাইনা বলেই সমাজের আজ এতো অবক্ষয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২০

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:২৩

সোননেটসানটো বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.