![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্লাস নাইনের শুরুতে, মাস খানেক পর- টাইফয়েড হয়ে আরও মাস দেড়েক ক্লাস না করে ফার্স্ট টার্ম পরীক্ষায় ম্যাথে ৩২ পেয়ে ফেইল করলাম! লাইফে প্রথম ফেইল! মুখ কালো করে বসে রইলাম! স্যার তখন ছিলেন বাসায় ব্যাচ পড়ানোর তালে, বললেন তোদের দয়া করে পাশ করাতে পারি কিন্তু ব্যাচে পড়তে আয়। “দয়া করে পাশ” করতে ইচ্ছা হল না, তাই ফেইল মেরে মুখ ভোঁতা করেই থাকলাম। তারপর শুরু হল রোজ ম্যাথ করা। নিয়ম করে রোজ রাতে ৯টা থেকে ১০.৩০ পর্যন্ত ম্যাথ করতাম। ঝড় বৃষ্টি ঈদ মেহমান যাই হোক না কেন, ম্যাথ করা কখনই ছাড়তাম না! এরপর অবশ্য ওই স্যারের ব্যাচেও গিয়েছিলাম, স্যার কিন্তু খুব চমৎকার পড়াতেন। সূত্র মু্খস্ত না করিয়ে বরং হাতে কলমে বুঝিয়ে দিতেন কেমন করে বৃত্ত, বেলন, আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল, আয়তন,ইত্যাদি পরিমাপ করতে হতো, কেন এভাবেই করতে হতো! ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ায়, অনার্সের প্রথম চারটা টার্ম ম্যাথ ছিল, শেষ পরীক্ষায় জাফর ইকবাল স্যারের গল্পের চরিত্তের মতন করে যে ম্যাথ কেউ টাচও করে নাই, তা করে আসলাম, এবং যার দরুন শেষ করতে পারলাম না আরও দুইটা ম্যাথ। কিন্তু ৩-ডি সল্ভ করে আসায় আমার খুশি দেখে কে!
সর্বশেষ এমবিএ ক্লাসে স্যার কে কঠিন ভাবে আটকে দেয়া এবং এক ঘণ্টার পরীক্ষা ২২ মিনিটে শেষ করে পুরো ক্লাসকে বিপদে ফেলে (এই রকম কাজ আর করব না, এই মুচলেকা দিয়ে সেই বার সহপাঠীদের তীব্র রোষের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলাম) আমার ম্যাথ প্রীতির প্রমান রেখেছি! সামনে আবার এক্সাম, স্যার ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন, এই বার ১৫তে কেউ ১৫ পাবেন না, দেখা যাক কি করতে পারি! (এর একটা খারাপ দিকও আছে, পুরো ক্লাসকে ম্যাথ করিয়ে দিতে হয়, এবং আমি তা হাসি মুখেই করি)
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৫
ইয়েন বলেছেন: ভাই কি শুনাইলেন!! আমি এই একটা জিনিসরে বাঘের চেয়েও ভয় পাই :/ ........এমবিএ ভর্তি হওয়ার সবচেয়ে বড় অন্তরায় এই বাজে জিনিসটা :/