![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু শৈশব শিরোনামের লেখাগুলা লিখার পিছনের কাহিনী হল- সারাদিন এত ব্যাস্ত থাকি, পড়াশোনা, চাকরী ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে যে, একটা সময় যখন আমার ছেলেপেলেকে গল্প শোনানোর টাইম আসবে, তখনও হয়তো এমনিভাবে ব্যাস্ত থাকবো। তাই ভুলে যাবার আগেই এখনি লিখে রাখছি।
স্কুলে আমার সবচেয়ে অপছন্দের সাবজেক্ট ছিল, ক্যামেষ্টি। পানি হল এইচ-টু-ও, মানে এক অনু অক্সিজেন দুইটা হাইড্রোজেন এর হাত ধরাধরি করে থাকে। ভালো কথা! থাকুক না, আবার এই পানিই ভারি পানি নামে ডি-টু-ও হয়ে যায়! এটা তো সবচেয়ে সহজটার উধাহরন দিলাম! বাকি আর গুলা তো মনেই নাই!
মূল গল্পে আসি। ক্লাস নাইন-টেনে কেমন করে যেন সেমিস্টার এক্সামগুলোতে ক্যামেষ্টিতে পার পেয়ে গেলাম, তাও ৩৩ থেকে ৪০ এর মধ্যেই নাম্বার থাকতো, আবার দুইটা টিউটর ছিল এক ক্যামেষ্টি পড়ানোর জন্য! প্রিটেস্টে গিয়ে আর পার পেলাম না, ২৭ পেয়ে ফেইল! খুব নাম করা স্কুল ছিল, তাই তারা তাদের নাম বাঁচাতে আমার উপর ক্যামেষ্টির বিশেষ নজরদারি শুরু করলো। আমাকে ক্যামেষ্টি ক্লাসের “স্ট্যান্ডিং গ্রুপ” এর সম্মানিত(!) সদস্য বানানো হল। স্যার ক্লাসে ঢোকা মাত্র আমি দাঁড়িয়ে পড়তাম, আবার আমাকে প্রতি ক্লাসে পড়া ধরতেন! একবার ক্লাস শুরুতে আরেকবার ক্লাস শেষে! মোটামুটি আমার স্কুল লাইফটা তেজপাতা হয়ে গেলো! আবার স্যার ক্লাসে বলতেন (তাও ক্যাবল আমাকে, অন্য স্ট্যান্ডিং গ্রুপ সদস্যদের না) আমি ক্যামেষ্টিতে এতই খারাপ যে, কলেজে উঠেও আমাকে স্ট্যান্ডিং অবস্থায় ক্লাস করতে হবে!!!! কি দুঃখই না পেতাম সেইসব দিনে, ক্লাস ভর্তি সব ছেলেদের সামনে (মেয়েদেরকে কি আমি ইমপ্রেস করতে চাইতাম নাকি!) আবার বাসাতেও টিউটর রোজ একটা করে এক্সাম- কোয়েসশেন সল্ভ করাতেন! কি দুর্বিষহ’ই না ছিল সেইসব দিন!
যাইহোক, এসএসসি পরীক্ষার পর হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম! অবশ্য স্যারদেরকে ধন্যবাদ, আমার ক্যামেষ্টিতে এ+ পাবার পুরো কৃতিত্ব তাঁদের। কলেজে উঠার পর প্রথম ক্যামেষ্টি ক্লাসে স্যারকে বলেছিলাম এখনও আমি দাঁড়িয়ে ক্লাস করব কিনা? স্যার উত্তরে সবগুলো দাঁত বের করে হেসে বলেছিলেন না রে পাগলা!
(ইউনিভার্সিটির ২য় বর্ষে পড়বার সময় আমার এই স্যার মারা যান দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগে )
যাইহোক, ইউনিভার্সিটির অ্যাডমিশন টেস্টে ক্যামন করে যেন আমি ক্যামেষ্টিতে টিকে গেলাম! আমার তো মুখ শুকিয়ে গেলো! বাবাতো খুবই খুশি হলেন, মেয়েকে ক্যামেষ্টিতে পড়াবেন ভেবে! মজার ব্যাপার হল, ইজতেমার জন্য আমি ২ দিন পর গেলাম ভাইভা দিতে(যেহেতু ভাইভা ছিল টোটাল ৪দিন, আমি গিয়েছিলাম শেষ দিন!) গিয়ে দেখি আগের দিন সবার ভাইভা নেয়া শেষ। ডিপার্টমেন্টে কেউ নাই। একজন শিক্ষকে খুঁজে বের করলাম, উনি সব শুনে খুব বিরক্ত হলেন! কিন্তু আমার পরীক্ষা তো নিতেই হবে! তাই শুরু করলেন ভাইভা নেয়া!
শুরুতেই ধরা খেলাম, আমি কলম নেই নাই! উনি খুব অবাক হলেন কলম ছাড়া আমি ভাইভা বার্ডে ক্যামনে গেলাম! আমি বিরস মুখে বসে রইলাম! (এছাড়া তো আর কোন উপায়ও ছিল না) তারপর বললেন “বোরন” এর সংকেত কি! কি আর বলবো, ভয়ে আমার মাথায় দীর্ঘ ৩ মিনিট কিছুই আসে নাই! স্যার যখন মহা বিরক্ত তখন আমি উত্তর দিলাম “বি”!!!!!!!!!!
বলাই বাহুল্য ক্যামেষ্টি ভাইভা থেকে যে একজন বাদ গিয়েছিল সেই মানুষটা কে!!
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৩
স্বপ্নছায় বলেছেন: থাঙ্কু থাঙ্কু । এস্টারের সুবাস মিশ্রিত- ভাই এস্টার সঙ্কেতটা কি আবার!
২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৫
বোকামন বলেছেন:
পোস্ট পড়ে মজা পেলুম ! প্লাস :-)
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০২
স্বপ্নছায় বলেছেন: থাঙ্কু থাঙ্কু
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৪
রসায়ন বলেছেন: আহারে আপ্পি
কেমিষ্ট্রিটা একটু জটিলই , বিশেষত ORGANIC বা বায়োকেমিস্ট্রিতো ভয়াবহ এক জিনিস !
যাই হোক, আপনার পোস্ট পড়ে মজা পেলাম । এজন্য আমি "রসায়ন" আপনাকে জানাচ্ছি এস্টারের সুবাস মিশ্রিত এক ফ্লাস্ক অভিনন্দন