![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বসন্তকালে গাছে গাছে ফুল, পাখি। প্রকৃতি অপরুপ সাজে সজ্জিত হয়। প্রকৃতির এ সজ্জা কিন্তু আমাদের শরীরের রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এ সময়টিতে গাছে গাছে ফুলের পরাগ রেণু ছাড়ে বলে বসন্তকালে বাতাসে প্রচুর অ্যালার্জেন-এর আধিক্য পরিলক্ষিত হয়। বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জেনের মধ্যে অ্যালার্জিজনিত হাঁপানি রোগের জন্য ফুলের পরাগ রেণু অন্যতম। এজন্য এ সময়টিতে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, হেফিভার এবং হাঁপানির তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।
বসন্তকালে কিছু ভাইরাস জাতীয় রোগ যেমন: হাম, জলবসন্ত, ভাইরাস জ্বর প্রভৃতি হতে দেখা যায়। এই জ্বরে ঘরের একজন আক্রান্ত হলে দেখা যায় আস্তে আস্তে অন্য সদস্যরাও আক্রান্ত হওয়া শুরু করে। এমন করে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে, অন্য বাড়ী থেকে আরেক বাড়ী এই চক্রে ছড়িয়ে যায়।
বসন্তকালে শীতের আবহাওয়ার সময়কার ঘুমন্ত ভাইরাসগুলো একটু গরম পাওয়ায় বাতাসের মাধ্যমে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। জলবসন্ত এবং হাম ভাইরাস জনিত রোগ। এগুলোকে আমরা সংক্রামক ব্যািধ বলে থাকি। কারণ এগুলো খুবই ছোঁয়াচে। জলবসন্ত তেমন মারাত্মক রোগ নয় যদিও যার কোনদিন এ রোগ হয়নি তার জন্য ছোয়াঁচে। সেজন্য এ রোগ হলে যার জীবনে এ রোগ হয়নি তাকে রোগীর কাছ থেকে দূরে রাখা উচিত।
সরাসরি সংস্পর্শে এবং রোগীর হাঁচি-কাশির মধ্য দিয়ে এ রোগ পরিবেশে ছড়িয়ে যায়। জলবসন্ত এবং হাম হলে রোগীকে কখনো ঠান্ডা লাগাতে দিবেন না। কারণ এ দু’টি রোগেই ঠান্ডা লেগে নিউমোনিয়া কিংবা ব্রংকো-নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে। হাম পরবর্তী শিশুর ব্রংকো-নিউমোনিয়া শিশুর জন্য প্রাণঘাতী সমস্যায় পরিণত হতে পারে। এখনও আমাদের দেশে কুসংস্কার রয়ে গেছে যে, জলবসন্ত এবং হাম হলে তাকে ঠান্ডা খাবার খাওয়াতে হবে। এটা একটা ভয়ংকরধর্মী কুসংস্কার। তাই এ ব্যাপারে সকলের সচেতনতা থাকা প্রয়োজন।
আরেকটি ব্যাপার দেখা যায়, পানি বসন্ত এবং হাম রোগীকে তার আত্মীয়-স্বজন মাছ, মাংস খেতে দেননা। এটাও একটা ভ্রান্ত ধারণা। কারণ এ দু’টি রোগেই শরীরে প্রচন্ড আমিষের ঘাটতি হয়, তার উপর যদি তাকে আমিষ থেকে বঞ্চিত করা হয়, তাহলে তার জন্য হয়ে দাড়াবে অতিরিক্ত বিপদের ঝুকি। মনে রাখবেন রোগীকে পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। রোগীকে মাছ, মাংস ডিম, দুধ, ফলমূল খেতে দিন। এতে বসন্তের ঘা পাকবে না।
ভাইরাস জ্বরের সাথে সাথে বসন্তকালে কিছু কিছু টাইফয়েড এবং প্যারাটাইফয়েড হতে দেখা যায়। ভাইরাস হলে সাধারণত একটু যদি কাশি থাকে তার উপর থাকে শরীর ব্যথা এবং মাথাব্যথা। প্রথম দিকে জ্বরের শুরুতে ভাইরাস ফিভার এবং টাইফয়েড জ্বর পার্থক্য করা কষ্টকর হয়ে দাড়ায়। জ্বরের ধরন এবং রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে এবং রোগীকে ভালমত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কিছুটা সন্দেহ করা যায়। আমরা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই রোগীকে বিশ্রাম এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরী। যদি জ্বরের মাত্রা না কমে তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
©somewhere in net ltd.