নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
The inspiration you seek is already within you. Be silent and listen. (Mawlana Rumi)
১. ইয়েমেন, ইন্দোনেশিয়ান, ইথিওপিয়ান ছেলে মেয়েরা তাদের নিজস্ব স্টলে, নিজস্ব ভাষায়, নিজস্ব ঢংয়ে গানের তালে তালে নাচছে। অন্যদেশের শিক্ষার্থীরা তা উপভোগ করছে।ইয়েমেনিদের এরাবিয়ান নাচই অতিথিদের নজর কাড়ছে বেশি।আমার চোখে এর সবটাই নবরুপে ধরা পরছে।
ইস্তাম্বুলে আন্তর্জাতিক ছাত্রদের 'পরিচিতি মেলা' শুরু হলো আজ।পৃথিবীর প্রায় ১৭৬টির এর মতো দেশের ছাত্ররা এতে অংশ নিচ্ছে।প্রতিটি দেশ একটি স্টলের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরছে।এক দেশের শিক্ষার্থীরা অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের সাথে পরিচিত হচ্ছে।আসলে দুনিয়ার কতকিছু যে একদমই অজানা রয়ে গেছে তা এ মেলায় না আসলে বুঝতে পারতাম না।তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি হচ্ছে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত।
কী অদ্ভূত না! একদল ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন ভঙিতে গাইছে, নাচছে।আর একদল ভিন্ন মানুষ তা প্রোগ্রাসে গিলছে। এখানে ভাষা বা উদযাপনের ধরণে পার্থক্য আছে ঠিকই, আনন্দ-উপভোগে সবাই সমান। হাসি কান্নার আসলে ভিন্ন কোনো ভাষা হয় না?
শিক্ষা মানুষকে মিলিয়ে দিয়েছে মানুষে। সংস্কৃতি মিশে গেছে সংস্কৃতির পেটে। উসকুদারের ছোট একটি মাঠ আবির্ভূত হয়েছে সমগ্র পৃথিবীরুপে।আনন্দের খবর, আমার বাংলাদেশও এই পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ এক গ্রাম হয়ে আছে!
২. ইস্তাম্বুলে এখন সন্ধ্যা।মেলা থেকে আমরা কয়েকজন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী চলে এসেছি ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আফজিলার ক্যাম্পাসে(সর্ব মোট ক্যাম্পাস, আটটি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ছয়দিনব্যাপী বসন্তবরণ উৎসবের শেষ দিন আজ। পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে সুস্থ উৎসবের আমেজ। এখন চলছে কনসার্ট।শিল্পীদের গানের তালে তালে মেয়েরাই নাচছে বেশি।উপস্থিতী হিসাব করলেও মেয়েরাই বেশি হবে। ওরা এখানে থাকবে রাত ১১টা অবধি। অথচ কোনো অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কাতো দূরের কথা কোনো মেয়ে ইভটিজিংয়ের শিকার হবে এটা আপনি এখানে কল্পনাও করতে পারবেন না!
আসলে ইস্তাম্বুলের সমাজে সব মানুষের অধিকারকে সম্মান করার সংস্কৃতি বিদ্যমান।সুতরাং এখানে নারী মানুষও সম্মানিত হয়, নিরাপদে চলাফেরা করার সুযোগ পায়।
১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৪৫
সরোজ মেহেদী বলেছেন: ঠিক বলেছেন।আসলে পুরো দুনিয়াটাকে কিছুটা হলেও একসাথে দেখার সুযোগ হয়েছে।সময় করে চলে আসতে পারেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৩৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ওখানে থাকতে পারলে বেশ হত।