নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
The inspiration you seek is already within you. Be silent and listen. (Mawlana Rumi)
প্রিয় বাংলাদেশী ভাই ও বোনেরা, আপনারা যারা নিজেদের সুন্দর মনে করেন, যারা নিজেদের শ্যামলা সুন্দর বা শ্যামলা ভাবেন।আর যেসব মানুষ নিজেদের কালো ভেবে কষ্ট পান। তাদের সবারই জানা উচিৎ, পশ্চিমা দেশের সাদা চামড়ার মানুষেরা আমাদের সবাইকেই(কথিত সুন্দর, শ্যামলা, কালা) ব্ল্যাক পিপল মনে করে।
সম্প্রতি আফ্রিকা ফেরৎ আমাদের সভ্যতার জ্ঞানদানকারী এমপি সাহেবেরও জানা উচিৎ, বাংলাদেশকে অনেক পশ্চিমাই আফ্রিকার একটা 'ব্ল্যাক', অত্যন্ত 'পোর কান্ট্রি' ভাবেন।বাংলাদেশ যে এশিয়ার একটি দেশ এটা তারা আমাদের মুখে প্রথম শুনেন।কেউ কেউ অবাকও হন।
আমি এখন ইউরোপ-এশিয়ার সংযোগ সেতুর শহর ইস্তাম্বুলে বাস করছি।তুর্কির সব মানুষই সাদা চামড়ার, এদের অধিকাংশই শিক্ষিত, চলনে বলনে আধুনিক।পর্যটন নগরী বলে প্রতিদিন হাজার হাজার বিদেশী আসে শহরটিতে।এছাড়া অগুণতি বিদেশী শিক্ষার্থীর কলোরল শহরটির সৌন্দর্য্য বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।
এদের যাদের সাথেই পরিচয় হয়েছে, পরিচয়ের প্রথম ক্ষণটা ছিল বেশ বিব্রতকর।
অধিকাংশই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির নাম জানে না। 'বাংলাদেশ কোথায়' ওদের কমন প্রশ্নগুলোর একটি।যারা জানে তাদের একটি অংশ এটিকে আফ্রিকার কোনো একটি কালো মানুষের অসভ্য জনপদ হিসেবে জানে।
যারা এশিয়ার একটি দেশ হিসেবে বিডিকে চিনে, তাদের ধরণা বাংলাদেশ বন্যা খরায় জর্জরিত একটি দেশ।দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন একটি দেশ।রাজনৈতিক সহিংসতার একটি দেশ।তার্কিশদের বিশাল একটি অংশ দেশটিকে মুসলমানদের দুশমন জাহেল দেশ হিসেবে চেনে? এদের ছোট একটি অংশ বাংলাদেশকে একটি হিন্দু রাষ্ট্র ভাবে!
এ পর্যায়ে এসে লব্ধ অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি, একবার এক রাশিয়ান বন্ধুকে কথায় কথায় জিজ্ঞাসা করেছিলাম, বাংলাদেশ সম্পর্কে রাশিয়ানদের ধারণা কী।ও উত্তরে বলল, অধিকাংশ রাশিয়ানই বাংলাদেশ নামে যে একটি রাষ্ট্র আছে তা জানে না। যারা জানে তাদের ধারণা এটা খুব গরীব একটা দেশ।তারা টি শার্ট বানিয়ে জীবন চালায়।গত কয়েকদিন আগে, আমার এক জার্মান ফ্রেন্ড আমাকে প্রশ্ন করেছে, বাংলাদেশের মানুষ কি এখন ঠিক করে খেতে পায়!
লেখাটা এ পর্যন্ত পড়ে কেউ যদি প্রশ্ন তুলেন, আমাদের কি কোনো অর্জন নেই।আমি বলব অবশ্যই আমাদের অর্জন আছে।আরও অনেক অর্জন থাকতে পারত। একটা গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হচ্ছে পশ্চিমা মিডিয়ায় আমাদের নিয়ে পজিটিভ খবর প্রকাশিত হয় না বললেই চলে।
এক ড. ইউনূসকে নিয় কত জায়গায় কত যে গর্ব করেছি।আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের ছবি দেখিয়ে বলেছি, এই মানুষটিকে শিক্ষায় নোবেল দেয়া না হলে নোবেলের গৌরব কমে যাবে...
আর একটু বলি,
দেশের বাইরে আসার পর উপলদ্ধি করলাম, আমরা যেন খোদার পালক বা বৈমেত্রিয় সন্তান! আমরা একদিকে যেমন কালো, অন্যদিকে ক্ষীণকায় দুর্বল।এ জন্যে বোধহয় আমাদের মানসিকতাও খুব ছোট।অপরের সুখ দেখে কষ্ট পাই আর অপরের দুঃখ দেখে সুখ পাই আমরা বাঙালিরা।
আফ্রিকানরা আমাদের চেয়ে কালো এ কথা সত্য তবে ওদের একটাকে ভাগ করলে আমাদের তিনটার চেয়ে বেশি হবে।ফলে বিশাল বডির গুণে ওরা ক্ষেত্রবিশেষে পার পেয়ে যাচ্ছে।সুতরাং চামড়া বা ছোট বডি হওয়ার অপরাধে আমাদের টুকটাক বৈষম্যের শিকার হতে হয়।
প্রথম প্রথম এসব ভেবে আমার খুব খারাপ লাগত।ভাবতাম পশ্চিমারা বর্ণবাদী।কিন্তু পরে চিন্তা করে দেখলাম আসলে একজন মানুষ হিসেবে তার্কিশ বা পশ্চিমারা আমাদের চেয়ে হাজার গুণ ভাল। ভাল বলেই ওরা আমাদের মতো মানুষদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করে, এক টেবিলে বসে খায়।আমাদের দেখে অন্তত ঘৃণায় নাক ছিটায় না।
শিমুর বরের রং নিয়ে চলমান বিতর্ক আমাকে আর একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেল যে আসলে আমরা এখনো সভ্যতা শিখতে পারিনি।আমাদের কিছু নেই, তারপরও আমরা অহংকারী, বর্ণবাদী।
আমরা এখনো এ বাস্তবতা উপলদ্ধি করতে শিখিনি যে, দুনিয়ার তুলনায় আমরা সত্যিই অনেক কালো, বিশ্রী ও ক্ষীণকায়।আমরা যারা বিডিতে বসে নিজেদের গরীব ভাবি, যারা নিজেদের বড়লোক দাবি করে উদ্ধত্য দেখাই তারা সবাই বিদেশীদের চোখে ফকির।বিদেশিদের তুলনায় নিঃস্ব।আসলে পশ্চিমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে তুলনা করলে আমাদের জীবন কোন প্রাণীর জীবন সংগার মধ্যে ফেলা মুশকিল হবে।
বসুন্ধরার মালিকের সাথে কাকরাইল বস্তির এক বাসিন্দার যে পার্থক্য বাংলাদেশের সাথে পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক পার্থক্য এরচেয়েও বেশি।সুতরাং সাধু সাবধান। বড়াই করার আগে একবার উপরে তাকান। আপনি যে সৌন্দর্য নিয়ে অহমিকা দেখাচ্ছেন পশ্চিমাদের, আরবদের বালের আলোর কাছে আপনার সে সৌন্দর্য মলিন হয়ে যায়...
সবার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।কালার নয়, ক্যাপাসিটি, ক্যাপাবিলিটিই হোক মূল্যায়নের একমাত্র মাধ্যম।
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:০৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরা এখনো এ বাস্তবতা উপলদ্ধি করতে শিখিনি যে, দুনিয়ার তুলনায় আমরা সত্যিই অনেক কালো, বিশ্রী ও ক্ষীণকায়।আমরা যারা বিডিতে বসে নিজেদের গরীব ভাবি, যারা নিজেদের বড়লোক দাবি করে উদ্ধত্য দেখাই তারা সবাই বিদেশীদের চোখে ফকির।বিদেশিদের তুলনায় নিঃস্ব।আসলে পশ্চিমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে তুলনা করলে আমাদের জীবন কোন প্রাণীর জীবন সংগার মধ্যে ফেলা মুশকিল হবে।
বসুন্ধরার মালিকের সাথে কাকরাইল বস্তির এক বাসিন্দার যে পার্থক্য বাংলাদেশের সাথে পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক পার্থক্য এরচেয়েও বেশি।সুতরাং সাধু সাবধান। বড়াই করার আগে একবার উপরে তাকান। আপনি যে সৌন্দর্য নিয়ে অহমিকা দেখাচ্ছেন পশ্চিমাদের, আরবদের বালের আলোর কাছে আপনার সে সৌন্দর্য মলিন হয়ে যায়...
সবার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।কালার নয়, ক্যাপাসিটি, ক্যাপাবিলিটিই হোক মূল্যায়নের একমাত্র মাধ্যম।
কঠীন হলেও নিমর্ম সত্য।
আমাদের জাতিগত উন্নতির ভাবনা কারো মাঝেই দেখা যাচ্ছে না!!! রাজণিতির বিদরাতো বাদই - তথাকথিত সুশিল গংরাও যেন এই বিষয়টি নিয়ে ভাবতেও নারাজ! ঐ মনে মনে মন কলা খেয়ে সূখে আছে!
দেশের পজিটিভ ব্রান্ডিং কি জিনিষ তা বোঝাবে কে তাদের?
৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১৮
সরোজ মেহেদী বলেছেন: জীবনে চলার পথে সব মানুষকে ধরতে হয় না, সব মানুষের কথায়ও কান দিতে হয় না।শুধু বলছি, আপনার চোখ এখনো ফোটে নাই বা ফোটার সুযোগ পান নাই।আমার লেখাটা আপনি পড়েন নাই এ সন্দহও করলাম।
৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১৯
সরোজ মেহেদী বলেছেন: দুঃখ করে কী হবে বিদ্রোহী।উল্টো গালাগাল খাবেন।তারচেয়ে তাল মেলানোটাই নিরাপদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
শোনেন, কোন কারনে বেকুবেরাই আপনার বন্ধু, সাথী হচ্ছেন; আপনার চলাফেরার মাঝে গন্ডগোল আছে।