নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ

সরোজ মেহেদী

The inspiration you seek is already within you. Be silent and listen. (Mawlana Rumi)

সরোজ মেহেদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্নো, খার, বরফ বা তুষারের দেশ থেকে

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩১

তাপমাত্রা মাইনাস ৫/১০/১৫ বা ২০ ডিগ্রী। পুরো দেশ যেন একটা সাদা চাদরে ঢাকা। দেশে বসে আমরা হয়তো এমন আবহাওয়া কল্পনাও করি না। কিন্তু পুরো ইউরোপ জুড়ে এটাই স্বাভাবিক। গত’কদিন ধরে টানা তুষার পড়ছে ইস্তাম্বুলে। গতকাল সারাদিন উপোস ছিলাম এই তুষার ঝড়ের মধ্যে শুধু খাওয়ার জন্য বেরুব না বলে। কিন্তু আজ একাডেমিক কাজে বের হতেই হলো।

হঠাৎ মাথায় এলো দেশের মানুষের সাথে তুষারের কিছু ছবি শেয়ার করি। নিজের ফোন দিয়ে কিছু ছবিও তুললাম। কিন্তু বরফে ঢাকা রাস্তায় হাঁটাই যেখানে পুলসিরাত পার হওয়া সেখানে ছবি তুলা খুবই মুশকিল। ২/১ মিনিটের মধ্যে পুরো হাতে রক্ত জমে টকটকে লাল, যেন এখনই ফেটে রক্ত বেরুবে।



এই ছবিগুলোর বেশ কয়েকটা মহল্লার ফাঁড়ি রাস্তা থেকে তোলা। আর কয়েকটা আমার প্রফেসরের কাছ থেকে নেওয়া। ২০১৫ সালে ঠিক এই সময়ে প্রথম তুষার দেখার আনন্দ ফ্রেম বন্দী হয়েছিল, সেখান থেকেও তিনটা শেয়ার করলাম।


আজ তুষার ঝড়ে ভিজতে ভিজতে ভাবছিলাম। স্রষ্টা, আল্লাহ, ভগবান, ইশ্বর বা প্রকৃতি যে শব্দেই পেছনের কারিগরকে অভিহিত করি না কেন তিনি বেশ বুদ্ধিমান। একবারও ভেবে দেখেছেন আমার দেশের রাস্তা তুষারে ঢাকা পড়লে কত শত মানুষ শুধু ঠাণ্ডায় মারা যেত!!!


তার্কিশে তুষারকে বলা হয় খার। পুরো দেশটা ছোটখাট পাহাড় কেটে বানানো। সুলতান সুলেমানের এ ভূমিকে যেন প্রকৃতি ভালোবেসে নিজের মতো করে সাজিয়েছেন। তার্কির মধ্যে ইস্তাম্বুলের আবহাওয়াকে সহনশীল ও স্থিতিশীল বলা হয়। অন্য শহরগুলো অধিক তুষারের কারণে জনজীবন বীপর্যস্ত হলেও ইস্তাম্বুলে তেমন একটা হয় না। ও, ২৪ ঘন্টাই সিটি কর্পোরেশন নিয়োজিত ক্লিনাররা কাজ করে রাস্তা সচল রাখার জন্য!

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



"গতকাল সারাদিন উপোস ছিলাম এই তুষার ঝড়ের মধ্যে শুধু খাওয়ার জন্য বেরুব না বলে। "

-ভালো হলো আপনি তুরস্কে গিয়ে, দেশ থেকে অলস একজন কমেছে!

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৯

সরোজ মেহেদী বলেছেন: হাহা। অলসদের জয়হোক।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০১

অশ্রুত প্রহর বলেছেন: ছবি গুলো দেখে বহুত ঠাণ্ডা লেগে গেল। :P

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪০

সরোজ মেহেদী বলেছেন: আইসক্রিম খান, গরম লাগবে।

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০১

রাতুল_শাহ বলেছেন: সুন্দর..........

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪১

সরোজ মেহেদী বলেছেন: আপনিও সুন্দর।

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৮

কালীদাস বলেছেন: মেলাদিন আগে টার্কিশ এয়ারলাইনসে চড়েছিলাম, এক ক্রু বলেছিল ব্যাপক ঠান্ডা পড়ে ইস্তানবুলে; এতটা স্নো আশা করিনি। আমি স্নো মিস করছি, আমার শহরে সবসময় বিলো জিরো থাকে কিন্তু স্নো এরকম মারদাঙাভাবে পড়ে না।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪২

সরোজ মেহেদী বলেছেন: অন্য শহরগুলোতে অনেক বেশি ঠাণ্ডা। ইস্তাম্বুল তুলনামূলক গরম শহর! যাইহোক, কোন শহরে থাকেন আপনি?

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: #:-S দেশে সুলতান সুলোমন আর ওড়না নিয়ে অনেকের চান্দি এখন গরম আছে। তাই জাতির এই ক্রান্তিকালে জরুরি ভিত্তিতে তুরস্ক থেকে কিছু ফ্রি বরফ পাঠিয়ে আপাতত কালীন টেনশন মুক্ত করতে পারেন।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৩

সরোজ মেহেদী বলেছেন: পাঠাই দিছি ;)

৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৪

সোহানী বলেছেন: মাত্র মাইনাস ২০ তে ক্ষিদা পেটে ঘরে বসেছিলেন। আসেন কানাডায়........... মাইনাস ৪০ তে ও আমরা দিব্বি ঘুরে বেড়াই.... দেখেন এই ঝড়েও আমার মেয়ে দিব্বি স্কুলে যাচ্ছে...

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৩১

সরোজ মেহেদী বলেছেন: ব্যাচেলরের মাহাত্ম্য বলে একটা কথা আছে না! যাইহোক তরুণী-তুর্কি বলে কথা। এই মামনীদের হাতেইতো আমাদের আলোর মশাল। নিরন্তর শুভকামনা দু'জনের জন্যই।

৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন: মেহেদী ভাই,
দারুন জিনিষ শেয়ার করেছেন! সৃষ্টি জগতের সীমাহীন বিস্ময়রাজীর মধ্যে এটিও আমার কাছে অন্যতম মনে হয়। কবে যে কাছে থেকে শুভ্র তুষার দেখার আর ছুঁয়ে দেয়ার অনুভূতিটা পরখ করতে পারব।

আমার ক্ষুদ্র ব্লগ। একটুখানি ঘুরে আসার দাওয়াত দিতে পারি কি?

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন: @বোন সোহানী,

সোহানী বলেছেন: মাত্র মাইনাস ২০ তে ক্ষিদা পেটে ঘরে বসেছিলেন। আসেন কানাডায়........... মাইনাস ৪০ তে ও আমরা দিব্বি ঘুরে বেড়াই.... দেখেন এই ঝড়েও আমার মেয়ে দিব্বি স্কুলে যাচ্ছে...
আশ্চর্য হলাম। জানা ছিল না। মাইনাস ৪০! তাতেও আপনার সোনামনি হেটে যাচ্ছে! বুঝলাম না, জনৈক ব্যক্তির বিষ খেয়ে মরতে গিয়ে কোন ক্রিয়া না পেয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়ে যেমন জানতে পারল বিষে ভেজাল মিশ্রিত রয়েছে তেমনি এখনকার দিনে তাপমাত্রায়ও কি দিনে দিনে ভেজাল ঢুকতে চলেছে নাকি?

শুভ কামনা নিরন্তর।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৪

সরোজ মেহেদী বলেছেন: অবশ্যই আসা হবে। মধ্য এশিয়ার কিছু দেশ যেমন, কাজাখাস্থান, তাজাখাস্থান, রাশিয়ার বিভিন্ন এলাকায় সারাবছরই তাপমাত্রা -৪০ বা তার কমবেশি থাকে।

৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬

আজীব ০০৭ বলেছেন: :-*

১০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: আমার দ্যাশে ১৫ চলে। তাও প্লাস। তাতেই অবস্থা কাহিল! :( :( :(

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫

সরোজ মেহেদী বলেছেন: ১৫ মানে ওদের এখানে সামার।

১১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পড়ে আর দেখে শিত শিত লাগছে-- =p~

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৫

সরোজ মেহেদী বলেছেন: একটা আইসক্রিমই দিতে পারে আপনাকে উষ্ণতা।

১২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তুরস্ক তে ও এত বরফ !!
বাহ অনেক সুন্দর :)

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৬

সরোজ মেহেদী বলেছেন: এই সুন্দরে জীবন বিপন্ন আপা।

১৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৬

কালীদাস বলেছেন: আলপাইন লাইনের গোড়ার এক শহরে থাকি। সেজন্যই স্নো এর কোয়ান্টিটি দেখে অবাক লাগে।

১৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৩৩

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: তুরস্কে এত স্নো পরে জানা ছিল না !!! আমেরিকাতেও এখন স্নোর পরিমান অনেক কমে গেছে , তবে পরলেও কিছু করার নাই উহার ভিতরেই দৌড়ের উপর থাকতে হয় -২০/-৪০ ব্যাপার না /:) !!!


ভাগ্যিস আপনি আলাস্কা থাকেন না , বেঁচে গেছেন !! :P

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

সরোজ মেহেদী বলেছেন: বেঁচে যেহেতু আছি মরার আগে একবার আসব হয়তো আমেরিকা। কোন এক গ্রীষ্মে কিউবা-আমেরিকার সীমান্তে রাত কাটাবো।

১৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৬

চাঁদের অরণ্য বলেছেন: জানুয়ারি মাস তবুও ঢাকা শহরে শীতের নাম গন্ধটিও নেই। কিছু স্নো ডিএইচএল এ করে পাঠিয়ে দেন

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৯

সরোজ মেহেদী বলেছেন: দিলাম। পাওয়ার পর পত্র মারফত জানাবেন কিন্তু।

১৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

মোজাহিদুর রহমান ব বলেছেন: শিত লাগছে

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৯

সরোজ মেহেদী বলেছেন: কুসুম গরম পানিতে গোসল করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.