নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন একটি মুখোশ

শেরিফ আল সায়ার

মানুষ। বড় আজব এই মানুষ। মানুষ নাকি ফানুষ তাও এখন আর বোঝার ক্ষমতা আমি রাখি না। সব ক্ষমতা হারিয়ে গেছে। হারিয়ে দিন যাচ্ছে নির্জনে। নির্জনে থাকি নিজের সাথে। ধীরে ধীরে নির্জনতা প্রিয় মানুষে রুপান্তরিত হচ্ছি। হয়তো হয়েও গেছি। ইদানিং চলাফেরা করতেও ভয় হয়। চারিপাশে মানুষ দেখি না। দেখি শুধু মুখোশ। মুখোশে-মুখোশে ছেয়ে গেছে গোটা পৃথিবী। নিজের বিভৎস চেহারা সামনে একটি মসৃন আবরন। সেটাই মুখোশ। নিজেকে লুকিয়ে রেখে ভালো মানুষি মুখোশটাকে ইদানিং দেখা যায় বেশী। স্বার্থ এমনই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। স্বার্থ ফুরালেই সব শেষ। মুখোশটা ঠিক তখনই উন্মোচন হয়। বিভৎস সেই চেহারা দেখে বমি চলে আসে। থুথু ছিটিয়ে প্রতিবাদ করতেও উদ্ধত হই। কিন্তু তাও পারি না। এত কাছের মানুষকে তাও করা সম্ভব হয় না। তাইতো নির্জনে চলে গেছি। একদম নির্জনে। হাজার অবিশ্বাস নিয়ে এখন আমিও মুখোশধারীদের মতো হয়ে গেছি। মুখোশটাই হয়ে গেছে জীবনের মূলমন্ত্র। কারণ, জীবন একটি মুখোশ।

শেরিফ আল সায়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতা কিংবা কয়েকটি লাইন ধরে রাখতে পারে একটি মানুষের দীর্ঘশ্বাস!

১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ৭:১২

সবারই হঠাৎ হঠাৎ কবিতা লিখতে ইচ্ছে করে। এমন একটি কবিতা যা দুটি লাইন দিয়েই বুঝিয়ে দেবে অনেক কিছু। আমার এক বন্ধু প্রায়ই বলে, একটি বিষয় বলার জন্য হাজার হাজার লাইন লিখে একটি উপন্যাস লেখা যায় আবার সেই একই বিষয়টি কবিতার মাধ্যমে বলা যায় মাত্র গোটা দশেক লাইনে কিংবা তারও কম। তাই কবিতার মর্মত্ব কিংবা গভীরত্ব অনেক!! কবিতা না বুঝলেও অনেক কবিতা অনেকেরই ভালো লাগে। আবার কবিতা না লিখতে জানলেও অনেকেই কবিতা লিখে ফেলে। এই রোগে অনেকেই পড়েছেন নিশ্চই? এমন অনেকেই আছেন, যে একটি কবিতা হয়তো কখনো কোনো এক সময় তিনি গভীর অনুভূতি থেকে লিখেছেন কিন্তু কয়েকবছর বছর পর সেই কবিতাটি পড়তে গেলে তিনিই হাসতে হাসতে লুটোপুটি খেয়েছেন।

মানুষ এমনই। আজকের ক্ষ্ট আগামীকাল ছেলেমানুষি মনে হতেই পারে। নাহলে কি এতো কষ্ট বুকে নিয়েও কি মানুষ বেঁচে থাকতে পারতো?

সে যাই হোক। এমনই গভীর অনুভূতি নিয়ে কোন এক রাতে আমি দুটি কবিতা লিখেছিলাম। আসলে কবিতাও বলা যায় না, বলা যায় কয়েকটি লাইন। কবিতা আরও বড় কিছু। এগুলোকে কবিতার কাতারে না নেয়াই ভালো। আজ হঠাৎ পুরোনো কাগজের সরাতে গিয়ে এগুলো বেরিয়ে আসলো। পড়ে মনে মনে হাসলাম। তাই এতো বক বক করলাম।





স্বপ্নের হঠাৎ কেঁদে ওঠা



একদিন রাতে স্বপ্নরা আমার কাছে এসে কান্না শুরু করলো,

আমিও বললাম-

কি হলো? তোমরা কাঁদছো কেনো?

স্বপ্নরা তখন বলল-

আমরা তোমার কাছে যেতে পারছি না,

আমরা তোমার হতে পারছি না,

আমরা সত্যি হয়ে যেতে পারছি না,

তাই খুব কষ্ট হচ্ছে,

তোমার চোখের জল আমাদের কাঁদাচ্ছে।



এগুলো শুনে, আমারও চোছে পানি আসলো।

তাপরও সুখ খঁজে পেলাম,

এই ভেবে যে-

স্বপ্নরা আমার হতে পারবে না বলে কাঁদলো!!!




ভালোবাসা এবং একাকিত্ব



ভালোবাসা একাকিত্বকে বলে-

আমি যদি না থাকতাম

তাহলে মানুষকে তো তুই মেরেই ফেলতি!

একাকিত্ব তখন হাসে আর বলে-

আরে বোকা; আমি যদি মানুষের উপর ভর না করতাম

তাহলে ও'রা তোকে খুঁজতোই বা কেনো?




-----------------------------------------------------------------

এভাবেই মানুষ একা একা কিংবা আড়ালে তার অনুভূতি লিখে রাখে। কেউ কাগজে লিখে, কেউবা মনের অন্তরালে কথাগুলো জমিয়ে রাখে। কারও কারও হঠাৎ সেই অনুভূতিগুলো ফিকে হয়ে যেতে শুরু করে। আর তা থেকে লেখা, কবিতা-গল্প রয়ে যায় কিন্তু অনুভূতিরা বদলে যায়। কয়েকটি শব্দ কিংবা বাক্য হয়ে যেতে পারে কালজয়ী!

মানুষ মরে যাবে, অনুভূতিও মৃত্যুর সাথে মাটি চাপা পড়বে। রয়ে যাবে শুধু বাক্যগুলো, রয়ে যাবে শব্দগুলো। কাগজবন্দী কথাগুলো প্রকাশ করবে একটি মানুষের কোনো একসময়ের দীর্ঘশ্বাস।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-১

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ৭:৪২

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: সুন্দর অনুভব আর সুন্দর কবিতা........।
এভাবে লিখতে সবাই পারে না.....
খুব ভালো লাগলো।
শুভেচ্ছা রেখে গেলাম।

১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ৭:৫৩

শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। আপনাকেও শুভেচ্ছা।
ভালো থাকবেন।

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ৮:৩৮

মানচুমাহারা বলেছেন: আপনার লেখার টাইটেলটাইতো একটা কবিতা। আমার কাছে কবিতা লেখা মানে হলো কিছু অনুভূতি প্রসব করা। আগে মাঝে মাঝে লেখার চেস্টা করতাম। কিছু একটা লেখা হলেই মনে হতো বেশ হালকা হালকা লাগছে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪

শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: আমার কাছে কবিতা লেখা মানে হলো কিছু অনুভূতি প্রসব করা।

সহমত।

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ৯:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার ন্যারেশন ভালো লেগেছে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:২২

শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা রইলো।

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১০:৫৭

কঁাকন বলেছেন: অসাধারন
মন ছুঁয়ে গেলো
ভালো থাকুন

১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮

শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: এধরনের মন্তব্য উৎসাহ জনক। আপনাকে ধন্যবাদ।

৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:২০

নিবিড় বলেছেন: মানুষ এমনই। আজকের ক্ষ্ট আগামীকাল ছেলেমানুষি মনে হতেই পারে। নাহলে কি এতো কষ্ট বুকে নিয়েও কি মানুষ বেঁচে থাকতে পারতো.......কথা খুবই সত্য

কিছু অনুভূতির প্রকাশ নেই.....শুধু অনুভূত অনুভূতি...।
আজ তার বহিঃ প্রকাশ দেখলাম....সুন্দর

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:৪৬

শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:৫০

প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব বলেছেন: সুন্দর বলেছো... "সুন্দর অনুভব আর সুন্দর কবিতা......."


শুভ কামনা তোমার জন্য

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:৫৪

শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: ধন্যবাদ প্রত্যুদা।

আপনার জন্যও শুভকামনা।

৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: আজকের কষ্ট আগামীকাল ছেলেমানুষী হয় ...কথা খুব সত্য। ছোটবেলা আমার অনেক বড়ো একটা কষ্ট ছিল, সেটা মনে হতেই ঐ বয়সে হাসি বন্ধ হয়ে যেত। সেটা কি জানেন?
হাতের কাছে বল, পাশেই স্ট্যাম্প। দূর থেকে ব্যাটসমেন ছুটে আসছে, নিশ্চিত রানআউট। অথচ আমি বাইনমাছের মতো বল নিয়ে জাগলিং করছি, স্ট্যাম্পে আর লাগাতে পারলাম না। এই দুঃখ কই রাখি?

এখন ওই দুঃখ ছেলেমানুষী বলা চলে।

২১ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: হা হা হা.......এমন অনেক কষ্ট আমারও আছে। একবার একটি ম্যাচে ১৮ বলে ১২ রান দরকার। লাস্ট উইকেট। আমি প্রথম বলেই একটা ছক্কা মারলাম। দ্বিতীয় বলে বোকার মতো ডাওন দ্যা উইকেটে খেলতে গিয়ে স্ট্যাপ্ড হলাম। সে কি কান্না আমার। আমার বন্ধুরা সেদিন থেকেই খালি বলতো, শালা তোর জন্য ম্যাচটা হারলাম। প্রায় দুইমাস আমি মাঠেই যাই লজ্জায়। ঘরে বসে বসে শুধু কেদেছি।
আর এখন মনে পড়লে এতো হাসি পায়!!! হা হা হা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.