![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি সাধারন মানুষ। লিখার চাইতে পড়তে ভালোবাসি। যা বলি তা সরাসরি বলতে ভালোবাসি। মানুষকে বিশ্বাস করি, পুরোপুরি বিশ্বাস করি। কেউ বিশ্বাস ভঙ্গ করলে তাকে আবার নতুন করে বিশ্বাস করতে আমার সংকোচ হয়না। নটর ডেম কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর সাইপ্রাস কলেজের দিনগুলোকে মনে হয় এক একটি অপার আনন্দের স্বপ্ন। যদি সেই দিনগুলোতে ফিরে যাওয়া যেত!! এক জীবনে অনেক কিছু করেছি। কবিতা লিখেছি, স্টেজ ডিজাইন করেছি, গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে খুব খারাপ না আর চাকুরী করেছি পুরোদস্তুর বিশ্বাসী কেরানীর মত। প্রচুর কঠিন সময় পার করেছি। তার কিছু গরীব বেলার স্মৃতিতে লিখেছি। তখনও বলতাম বেশ ভালো আছি। এখন পুরোপুরি ব্যবসায়ী আর এখনও বলি বেশ ভালো আছি। ব্যবসা একটু গুছিয়ে নিলে নিয়মিত লিখার আশা আছে। বাচ্চাদের সাথে খুব সহজে ভাব জমাতে পারি। এখন অফিসের বাইরে সন্তান মুমিতকে ঘিরেই আমার বিশাল পৃথিবী। প্রতিদিন ও একটু একটু করে বড় হয় আর আমি আবিষ্কার করি এক নতুন মুমিতকে। প্রতিদিন যে আমার কাছে নতুন, আমার চির সাধনার ধন। ইচ্ছে আছে শুধু ছোটদের জন্য লিখবো।মুমিতের জন্য লিখবো অথবা মুমিতদের জন্য লিখবো। কিন্তু লিখার বিষয়ে সীমা ভেঙে ফেলি বারবার। তাই এলোমেলো অনেক বিষয়ে লিখি। সবসময় ভালো থাকার অদ্ভূত একটা ক্ষমতা আমার আছে। আমি প্রচন্ডভাবে বিশ্বাস করি যেটুকু পেয়েছি তা আমার আর যা পাইনি তা আমার নয়। যা বলার তা সরাসরি বলতে ভালোবাসি। নিজের ব্যর্থতা বা ভুল অকপটে মেনে নিয়ে ক্ষমা চাইতে পারি। সতত শুভ কামনা সকলের জন্য।
আজ প্রথম আলো পত্রিকায় মতিউর রহমানের "প্রধানমন্ত্রী, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কবে ‘আইএসআই-মডেল’মুক্ত হবে?" শীর্ষক একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি আইএসআই মডেলমুক্ত গোয়েন্দা সংস্থা চেয়েছেন। তার লেখাটির কিছু অংশ নিচে উদ্ধৃত করলাম এবং একজন অতি নগন্য পাঠক হিসেবে আমার মন্তব্য গুলো তুলে দিলাম। জানি আপনি পড়বেননা। তবে ভোরের কাগজ থেকে আপনার যেমন প্রস্থান ঘটেছিলো প্রথম আলো থেকে হয়তো ঘটবেনা। আপনি যে পথে চলছেন বা যে পথ বেছে নিয়েছেন তাতে অদূর ভবিষ্যেতে প্রিয় পত্রিকা প্রথম আলো পরিণত হবে দৈনিক জণকণ্ঠ অথবা দৈনিক ইনকিলাবে।
মতিউর রহমান: সম্পাদক, প্রথম আলো: "এক বছর ধরে পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে জনমনে প্রশ্ন। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কেন বারবার ব্যর্থ হচ্ছে? কোথায় গলদ? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, এনএসআই ও ডিজিএফআই পাকিস্তানের আইএসআইয়ের মডেলে তৈরি।
আমার ব্ক্তব্য:
শেখ হাসিনা বলেছিলেন এনএসআই ও ডিজিএফআই পাকিস্তানের আইএসআইয়ের মডেলে তৈরী। একটি প্রতিষ্ঠান কি মডেলে তৈরী সেটি প্রশ্ন নয়, প্রশ্ন হলো প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্ষম এবং লক্ষ্য অর্জনে দক্ষ কিনা। শেখ হাসিনা বললেই আইএসআই খারাপ হয়ে যায়না। মাননীয় সম্পাদক বিষয়টি পরিষ্কার না করে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একজনের বক্তব্যকে উপস্থাপন করা কতটা যুক্তি সংগত।
আইএসআই মুসলিম জঙ্গীদের সহায়তা করে। এটাই মূল সমস্যা। পার্শ্ববর্তী দেশের গোয়েন্দা সংস্থা র- শ্রীলংকায় কি করেছে তা নিশ্চয়ই আপনি জানেন। সবাই কিন্তু সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তৎপর। যুক্তরাস্ট্রের স্বার্থ রক্ষার কারনে আইএসআই-কে মুসলিম জঙ্গীদের সহায়তা দিতে হয়। ভারত তার নিজের অর্থনৈতিক স্বার্থে শ্রীলংকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জোয়ারের সময় তামিল সমস্যাকে প্রকট করে তুলেছে। অথচ বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ক্ষমতাসীন সরকারের মনোরঞ্জনে ব্যস্ত থাকে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, বিশ্বাঘাতক মোশতাক, প্রয়াত রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিচারপতি সাত্তার, হোমো এরশাদ, খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনা অর্থাৎ সকল সরকারের মনোরঞ্জনেই ব্যস্ত ছিলো। সরকার সঠিক তত্ব চায়না, চায় মুখস্থ প্রশংসা। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাই করে।
আপনার পত্রিকা মুসলিম জঙ্গীবাদের তত্ব প্রতিষ্ঠায় অতি তৎপর। অথচ প্রধানমন্ত্রী যখন বলেন, বর্তমান সরকারের সময় সবাই ভালো আছে। সাধারন জনগন সন্তুষ্ট। বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম স্থিতিশীল। তখন কিন্তু আপনি মন্তব্য প্রতিবেদনে লিখেন না সাধারন মানুষের নাভিশ্বাসের কথা, ছিনতাই-এর ঘটনা বৃদ্ধির কথা অথবা অযোগ্য বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান আর অদক্ষ স্বরাস্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের অযোগ্যতার বিষয়ে দলমত নির্বিশেষে সাধারন মানুষের ঐক্যমতের কথা।
ওয়ান ইলেভেনে যখন এই দুটি গোয়েন্দা সংস্থা যা খুশি তাই করার কাজে লিপ্ত ছিলো তখন মাননীয় প্রথম আলো সম্পাদক আপনি এবং আপনার পত্রিকা ছিলো তাদের উদার সমর্থনের ডুগডুগি বাজনেওয়ালা।
মতিউর রহমান: সম্পাদক, প্রথম আলো: বাংলাদেশের এসব রক্তাক্ত ঘটনার পেছনে সরকার, রাজনৈতিক শক্তি ও প্রশাসন এবং সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বের ব্যর্থতা প্রকটভাবে দেখা যায়। তবে সবকিছু ছাপিয়ে যেটা বড় হয়ে দেখা দেয় সেটা হলো, প্রতিটি রক্তাক্ত অভ্যুত্থান ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পেছনে রয়েছে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর চরম ব্যর্থতা। এসব নিয়ে বহু আলোচনা ও তর্ক-বিতর্ক রয়েছে; কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। আর, পিলখানার ঘটনাবলির আগাম তথ্য সংগ্রহ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যর্থতার প্রধান দায়ভার এসে পড়ে দেশের সামরিক ও বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ওপর।
আমার বক্তব্য:
আপনি বলেছেন 'পিলখানার ঘটনাবলির আগাম তথ্য সংগ্রহ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যর্থতার প্রধান দায়ভার এসে পড়ে দেশের সামরিক ও বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ওপর।;- অর্থাৎ সরকারের কোন দায়ভার নেই। আপনার পত্রিকায় ঘটনার পরের কয়েকদিনের রিপোর্টগুলো প্রকাশিত হয়েছিলো তা কষ্ট করে একটু পড়েন। সেই রিপোর্টগুলোর কোন একটাতে উল্লেখ ছিলো বিডিআর-এর তৎকালীন মহাপরিচালক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলেন বিডিআর জোয়ানদের সমস্যাগুলো সমাধানের বিষয়ে জোয়ানদের সামনে কথা বলতে।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর উপর দোষ চাপানোর কৌশল কি কারনে!! সরকারের কোন দায় দায়িত্ব নেই। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কি সরকারের অধীন না সরকার গোয়েন্দা সংস্থার অধীন। মাননীয় সম্পাদক আপনার ধারনাটি কি!!
মতিউর রহমান: সম্পাদক, প্রথম আলো: সে জন্য পিলখানার হত্যাকাণ্ডের পর সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনিস-উজ-জামান খানের নেতৃত্বে গঠিত সরকারি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে (পৃষ্ঠা-১৭) সরাসরি বলা হয়েছে, ‘বর্ণিত অবস্থাগুলো জাতীয় দুর্যোগকালে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অদক্ষতা, অপেশাদারি ও অমার্জনীয় ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরেছে।’ এবং একই সঙ্গে পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের ‘সকল গোয়েন্দা সংস্থা ও তাদের কার্যপদ্ধতি ঢেলে সাজানোর জন্য’ পরামর্শ দেওয়া হয়। আর সরকারি তদন্ত কমিটির ‘সীমাবদ্ধতা’ বলতে গিয়ে তাঁরা বলেছেন, ‘তদন্তের স্বার্থে এ কমিটি কয়েকটি সংস্থার প্রধান ও কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা আবশ্যক বলে মনে করেছে। কিন্তু পর্যাপ্ত সহযোগিতার অভাবে এ কাজগুলো করা সম্ভব হয়নি। ফলে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণসহ এ বিদ্রোহ এবং হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারীদের শনাক্ত করা এবং ঘটনার পেছনের মূল কারণ বা মোটিভ উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়নি।’ (পৃষ্ঠা-৫)।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘কমিটি সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেমন এনএসআই, ডিজিএফআই, র্যাব, সিআইডি ও পুলিশের এসবিকে তাদের সংগৃহীত বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য ও প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি পেশাগত দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করে কমিটির কাছে সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ করেছিল। কিন্তু বর্ণিত সংস্থাগুলো থেকে ঈপ্সিত সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।’ (পৃষ্ঠা-৫)।
সবকিছুর পর সরকারি তদন্ত কমিটির ‘বর্ণিত সংস্থাগুলো হতে ঈপ্সিত সহযোগিতা পাওয়া যায়নি’ মন্তব্যটি আমাদের যারপরনাই বিস্মিত করেছে। কারণ, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মতো একটি জাতীয় দুর্যোগ সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যদি সরকারের তদন্ত কমিটিকেই সহযোগিতা না করে, তাহলে এর চেয়ে খারাপ দৃষ্টান্ত আর কী হতে পারে? তাহলে কি এটাই আমরা ভেবে নেব যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেকোনো ধরনের জবাবদিহির ঊর্ধ্বে?
আমার ব্ক্তব্য:
"আমরা ভেবে নেব যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেকোনো ধরনের জবাবদিহির ঊর্ধ্বে?" -সত্যকে পাশ কাটানোর চমৎকার কৌশল। সরকার যদি চায় তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যে কোন জবাবদিহির উর্দ্ধে থাকেনা। সরকার যে বিডিআর হত্যাকান্ডের সঠিক তদন্ত চায়না তা তদন্তকমিটি সমূহের সমন্বয়কারী কর্ণেল ফারুকের আচরন লক্ষ্য করলেই পষ্ট হয়ে ওঠে। মাননীয় সম্পাদক, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে আরো বিতর্কিত করতে হবে। সকল প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাবমূর্তি ধূলোয় মিশিয়ে দিতে হবে। এই কর্মযজ্ঞে আপনার কি ভুমিকা আপনি পরিষ্কার করবেন কি!!
মতিউর রহমান: সম্পাদক, প্রথম আলো: ‘ঘটনার শুরু থেকে বিভিন্ন বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গোয়েন্দা তথ্যের কোনো বিকল্প নেই। আলোচ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও বিডিআরের নিজস্ব গোয়েন্দা ইউনিটগুলোর ভূমিকা কী ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নীতিনির্ধারণী অথবা কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্রোহীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনায় বসার ক্ষেত্রে এবং সর্বোপরি, সরকারপ্রধানের সঙ্গে বিদ্রোহী দলের নেতাদের বৈঠকের আগে আলোচনায় সহায়ক তথ্য কি সরবরাহ করা হয়েছিল? বিদ্রোহের পরপরই কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল কি না, যাদের জিম্মি করা হয়েছে, তাদের কোথায় ও কী অবস্থায় রাখা হয়েছে ইত্যাদি বিষয়ে সংগৃহীত তথ্য সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থার সরকারপ্রধানের কাছে অবশ্যই উপস্থাপনীয় ছিল। কিন্তু তা করা হয়নি বা এ ধরনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’
আমার বক্তব্য:
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে দোষ দিতে ভালোই লাগে। আপনি কি তখনকার ঘটনাপ্রবাহ ভুলে গেছেন বা ভুলে যেতে চেস্টা করছেন!! বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সারারত বিদ্রোহ শান্ত করলেন আর সারারাত অস্ত্র জমা নিলেন। অথচ পরদিন সকালবেলা দেখা গেল অবস্থা অপরিবর্তিত। তিনি সরকার প্রধানকে কি তথ্য উপস্থাপন করেছিলেন তাকি আমরা জানতে পারোবে!! কেন তাকে পিলখানার পাশের মিষ্টির দোকানে সভা করতে হয়েছিলো তা কি প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছিলো!!
মাননীয় সম্পাদক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর চরম ব্যর্থতার দায়ভার অন্যের কাঁধে চাপানোর কাজটি ফারুক খানের মত আপনি কেন মনোযোগী হলেন। আমরা কি জানতে পারবো!!
মতিউর রহমান: সম্পাদক, প্রথম আলো: তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে ‘জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা মহাপরিচালকের দপ্তর থেকে প্রধানমন্ত্রীর পিলখানা সফর উপলক্ষে একটি প্রতিবেদন (সংযোজনী-১৩) ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ তারিখে এসএসএফের কাছে পাঠানো হয়। এ প্রতিবেদনে বলা হয় যে “বর্ণিত কর্মসূচিতে যোগদানের ক্ষেত্রে ভিআইপির ব্যক্তি নিরাপত্তায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হুমকিসংক্রান্ত কোনো তথ্য আপাতত নেই।” প্রতিবেদনে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলা হয়, “ভিআইপি কর্তৃক অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান ও গমনাগমন পথে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের নাশকতামূলক তত্পরতার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না বিধায় ভিআইপির নিরাপত্তাব্যবস্থায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা সমীচীন।” এ ছাড়া এনএসআই ভিভিআইপির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কিছু রুটিন সুপারিশ করেছে। বিদ্রোহ চলাকালে এবং বিদ্রোহ-পরবর্তী সময়েও এ সংস্থার তেমন কোনো তত্পরতা পরিলক্ষিত হয়নি।
‘সরকারপ্রধানের পিলখানা আগমন উপলক্ষে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ তারিখে একটি প্রতিবেদন মহাপরিচালক, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) কাছে পাঠায়। এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে সন্ত্রাসী চক্রের সংঘবদ্ধ বা বিচ্ছিন্নভাবে আক্রমণের সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকির আশঙ্কা নেই।’
আমার বক্তব্য:
মাননীয় সম্পাদক, এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ অথচ ভয়ংকর একটি তথ্য আপনি প্রকাশ করে ফেলেছেন। তথ্যটি এই- "ভিআইপির ব্যক্তি নিরাপত্তায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হুমকিসংক্রান্ত কোনো তথ্য আপাতত নেই।" সত্যিই ভিআইপি ব্যক্তি উপস্থিতকালীন সময়ে কোন অঘটন ঘটেনি। যদি সরকার পতন বা সরকারকে অস্থিতিশীল করবার পরিকল্পনা থাকতো তবে ভিআইপি ব্যক্তির উপস্থিতকালীন সময়েই ঘটতো। মাননীয় সম্পাদক, এক্ষেত্রে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাফল্যে আপনার ঈর্ষা জাগেনা!!
পুনশ্চ:
আমরা এখন দুই মতিউরের খপ্পরে। একজন ইসলামের ফায়দা লুটে যা খুশী তা করার ক্ষমতাধারী মতিউর রহমান নিজামী আর একজন বিশাল ক্ষমতার অধিকারী কর্পোরেট পত্রিকা প্রথম আলোর সম্পাদক জনাব মতিউর রহমান। ওয়ান ইলেভেনের সময় এক মতিউরের সম্পাদিত পত্রিকায় কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলে সেদিনই দেখা যেত তত্বাবধায়ক সরকারের তৎপরতা। আর এক ধর্মব্যবসায়ী মতিউর তত্ববধায়ক সরকার প্রধানের সাথে নির্বিঘ্নে সভা করেছেন। অথচ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্বেও পুলিশ তাকে আশ্চর্যজনক কারনে খুঁজে পায়নি। একইভাবে বিডিআর ঘটনার তদন্তকে প্রভাবিত করার জন্য কখনই কর্ণেল ফারুককে দায়ী করে তাকে পরিবর্তনের কথা কর্পোরেট পত্রিকাটি বলেনি।
শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:১১
আবু সাঈদ আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ।
তাদের উদ্ধেশ্য শুধু এটুকুতে সীমাবদ্ধ হলে ভালো হতো। তারা নতুন প্রজন্মকে মগজ ধোলাই করছে। অর্থাৎ যখন শোষণকারীরা আসবে তারা যেন নির্বিঘ্নে কাজ করে যেতে পারে। প্রতিবাদের কেউ নেই। কারণ সবাই বদলে যাও আর বদলে দাও-এর শ্লোগানে বদলে দিবে দেশপ্রেম, ঐতিহ্য, সঠিক ইতিহাস আর নৈতিকতা।
সতত শুভ কামনা আপনার জন্য, সকলের জন্য।
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:০৯
নষ্ট কবি বলেছেন: ভালোই বলেছেন........
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:১২
আবু সাঈদ আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভালো বলেছি কিনা জানিনা। তবে যা অনুধাবন করেছি তাই বলেছি।
সতত শুভ কামনা আপনার জন্য, সকলের জন্য।
৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:১৫
স্বপ্নীলবেষ্ট বলেছেন: সুন্দর লেখেছেন।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:১৩
আবু সাঈদ আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ।
সতত শুভ কামনা আপনার জন্য, সকলের জন্য।
৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:২০
অদ্বিতীয়া সিমু বলেছেন: গুড.....+
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:১৫
আবু সাঈদ আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
সতত শুভ কামনা আপনার জন্য, সকলের জন্য।
৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:২০
দ্যা আহমেদ মামুন বলেছেন: এরা সব সময় দালালি করে এসেছে।
একজন পত্রিকার সম্পাদক এত দামী গাড়ি পায় কোথায়?
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:২০
আবু সাঈদ আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ।
দামী গাড়ি বা রাজপ্রাসাদের মত বাড়ি মূল বিবেচ্য নয়, বিবেচ্য হলো এরা এত স্পর্ধা পায় কোথা থেকে। কাদের স্বার্থ বাস্তবায়নে তারা সব বদলে দিতে চায়....!!!!
সতত শুভ কামনা আপনার জন্য, সকলের জন্য।
৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৪৬
রাহিদুল সামান্না রকি বলেছেন: আমাদের বদলে যাওয়ার স্বপ্নগুলো এখন হাঁসের খামারের ছাউনি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে । [
আমরা আরো বদলাতে চাই। সব বদলিয়ে দিতে চাই। দেশ, চরিত্র, সংস্কৃতি, সত্য,...............................[
অবস্থান: হোটেল মিশুক এর পিছনে, লাবনী মোড় , কক্সবাজার।
Click This Link
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:২৫
আবু সাঈদ আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ।
এই ছবিগুলো্ প্রথম আলোর লোক দেখানো কার্যক্রমের বিষয়ে সরাসরি চপেটাঘাত।
সতত শুভ কামনা আপনার জন্য, সকলের জন্য।
৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৪৭
উদাসবাউল বলেছেন: ভাই, আপনি প্রথম আলো, ডেইলী ষ্টার কেন পড়েন? দৈনিক সংগ্রাম, নয়া দিগন্ত, এসবই পড়তে থাকুন। সম্ভব হলে আমার দেশও পড়তে পারেন।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:০৮
আবু সাঈদ আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ।
উপদেশ দানের জন্য ধন্যবাদ।
দৈনিক সংগ্রাম এবং নয়া দিগন্ত একটি রাজনৈতিক দলের দৈনিক পত্রিকা আর আমারদেশ বিএনপির পত্রিকা -এটা সবাই জানেন। কিন্তু যা কিছু ভালো তার সাথে প্রথম আলো- নামক পত্রিকাটি যে বিশেষ মিশনে কাজ করে তা সচেতন যে কারো কাছে বোধগম্য হবে। কারণ তত্ববাধয়াক সরকারের দুই বছরের সময়ে উপদেষ্টাদের কার্যক্রম বিশেষ সেনা প্রধানের কার্যক্রম নিয়ে তারা কোন রিপোর্ট প্রকাশতো দূরের কথা প্রত্যক্ষ সমর্থন দিয়ে গেছে। আজও প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে দিচ্ছে। আপনি যদি ভাবেন পত্রিকাটি আওয়ামী লীগের বা বিএনপির সমর্থক তবে ভুল করবেন কারণ মাইনাস টু ফর্মূলা বাস্তবায়নে এই কর্পোরেট পত্রিকাটির ভূমিকা সর্বজন জ্ঞাত।
আসুন সচেতন হই। নিরপেক্ষতার নামে বিশেষ স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত পত্রিকা সম্পর্কে সাবধান হই।
সতত শুভ কামনা আপনার জন্য, সকলের জন্য।
৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:২৯
আবু সালেহ বলেছেন:
আসুন প্রথম আলোকে না বলি এবং শেষ আলোতে পরিণিত করি......
৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ২:১২
বিডিওয়েভ বলেছেন: আবু সালেহ বলেছেন:
আসুন প্রথম আলোকে না বলি এবং শেষ আলোতে পরিণিত করি......
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:৫৫
অগ্রজ বলেছেন: মতিউর রহমান মাহফুজ আনামরা বাংলাদেশে আলকায়েদা ভরে গেছে প্রমান করে মার্কিন হামলার প্রেক্ষাপট তৈরি করতে চায়। তারা দেশের সেনাবাহিনীর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে। সেনাবাহিনী আধুনিকায়ন করলে বিরক্ত হয়। মাহফুজ আনামরা দেশে তালেবান ভরে গেছে প্রমাণ করে আফগানস্থানের মতো মার্কিন হস্তক্ষেপ কামনা করে। গতকাল ডেইলিস্টারের ম্যাগাজিনে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন দেখলে স্পস্ট বুঝা তারা কোন প্রভুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাচ্ছে। কাওরান বাজারের তাদের ব্লিডিং এর ছাদে প্রচ্ছদ ছবিটির মঞ্চায়ন করা হয়েছে। আল্লাহ এ দেশকে ভন্ড মুখোশধারী ‘দেশপ্রেমিক’ দের ষড়যন্ত্রকারীদের থেকে রক্ষা করুন।