নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ শুধু মানুষের জন্য না, জগতের সকলের জন্য

গরল

জগতের সকল প্রাণী শান্তি লাভ করুক

গরল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ন্যানো পার্টিক্যাল - সস্তা নবায়নযোগ্য পরিবেশবান্ধব জ্বালানীর নতুন দুয়ার খুলে দিল

১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:২১

সস্তা, পরিবেশবান্ধব এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানী যে উদ্ভাবন করা সম্ভব তা প্রমাণ করল নতুন একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার। রেমন্ড শাক, পেন স্টেট ইউনিভারসিটি এর ক্যামিস্ট্রির অধ্যাপক এর নেতৃত্বে একটি গবেষক দল এই অসাধ্য সাধন করেছেন। উনারা দেখেন যে নিকেল ও ফসফরাস এর যুক্ত যৌগের একটি ন্যানো পার্টিক্যাল পানির সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে হাইড্রজেন ও অক্সিজেনকে মুক্ত করে দেয় পানির বন্ধনি থেকে।নিকেল ও ফসফরাস উভয়ই পৃথিবীতে প্রচুর পরিমানে রয়েছে এবং খুব অল্প খরচেই তা সংগ্রহ করা যায়।



পানিকে ভেঙ্গে হাইড্রজেন ও অক্সিজেন সংগ্রহের চেস্টা অনেক আগে থেকেই বিঞ্জানীরা চালিয়ে আসছিলেন তবে তেমন একটা সাফল্য পাচ্ছিলেন না।খরচের দিক দিয়ে সেটা ততটা উপযোগী হচ্ছিল না। এরকম একটি পদ্ধতি হচ্ছে ফুয়েল সেল। এই পদ্ধতিতে ইলেকট্রিসিটি প্রোয়োগের মাধ্যমে পানি থেকে হাইড্রজেনকে মুক্ত করা হয় তবে ব্যাপক হারে এর কার্যকরীতা কম এবং বেশ ব্যায়বহুলও বটে। অতএব ন্যানো পার্টিক্যাল যে এই ক্ষেত্রে পৃথবীর ভবিষ্যত পাল্টে দিতে পারে তা নিস্বন্দেহে বলে দেওয়া যায়।



হাইড্রজেনকে জ্বালানী হিসাবে ব্যাবহারের সুবিধা হল এটা পুড়ে আবার পানি তৈরী হয় এবং ফসিল ফুয়েলের চেয়ে বেশী তাপ উৎপন্ন করতে সক্ষম। অতএব পানি থেকে জ্বলানী এবং তা পুড়ে আবার পানি যে চক্রের কোন শেষ নাই। পৃথিবীতে কোনোদিন জ্বালানীর অভাব হবে না এবং পরিবেশেরও কোন ক্ষতি হবে না। সেই সুদিনের অপক্ষায় রইলাম যেদিন এর বানিজ্যিক ব্যাবহার শুরু হবে।



এখানে দেখুন আসল সংবাদ

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১২

ক্ষণিকের আগুন্তক বলেছেন: অনেক কাজে আসার মত একটা ব্যাপার।

১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

গরল বলেছেন: ঠিক বলেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে এটা উপলব্ধি করার জন্য। আমরা অনেক খেল বিষয় নিয়ে সময় ও অর্থ অপচয় করি কিন্তু সত্যিকার কাজের জিনিষ নিয়ে মাথা ঘামা্ই না বা গুরুত্ব বুঝি না।

২| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:২০

ভারসাম্য বলেছেন: হাইড্রোজেন পুড়ে যে একই পরিমাণ পানি হবে, পানিচক্র স্বাভাবিক থাকবে এতটা সরল নয় হয়তো ব্যাপারটা। বায়ুমণ্ডলে সরাসরি তাপীয় প্রভাবেও হাইড্রোজেন জ্বালানী আলাদা কোন ভূমিকা রাখবেনা।

তবে হাইড্রোজেন পোড়ালে কার্বণ নিঃসরণ না হওয়ায় বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তরের নিরাপত্তা বাড়বে। তাছাড়া ন্যানো টেকনোলজির দ্বারা সহজেই যদি পানির অনু ভাঙা যায় তাহলে জ্বালানী চাহিদা পূরণে গাছ পোড়ানো, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদির কু-প্রভাব কমে আসবে অনেক।

দারুন আশাব্যাঞ্জক একটা ব্যাপার শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। +++

২৩ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

গরল বলেছেন: একমত, পানি ভাঙ্গার সময় কিছুটা লস হবে এবং তাপীয় প্রভাবে কোন ভুমিকা রাখবে না। তবে অন্য সুবিধাগুল আপনি ঠিকই ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.