নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেই প্রচীন কাল থেকেই বলী দেওয়ার প্রথা চলে আসছে বিভিন্ন সমাজে এবং সেটা সময়ের বিবর্তনে উচ্চ স্তরের প্রণী মানুষ থেকে শুরু করে একেবারে নিম্ন স্তরের প্রাণী মুরগী পর্যন্ত পৌছেছে। অতি প্রাচীন কালে শুধু মাত্র মানুষকেই বলী দেওয়া হত। তবে সমাজভেদে তা মানুষের সম্পর্কের ভেদে বিবেচিত হত, যেমন ছেলে, মেয়ে, বউ, জামাতা, চাকর বা দাস এসব। প্রাচীন যুগের মায়ান সভ্যতার লোকেরা নিজেদের গোত্রের মানুষ বলী দিতে দিতে যখন আর কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না তখন আসেপাশের কাছের এবং অবশেষে দুরের পথে অভিযান চালিয়েও মানুষ ধরে আনত বলী দেওয়ার জন্য। এভাবে পুরো জাতি এবং সভ্যতাই ধ্বংস হয়ে যায়।
যুগের বিবর্তনে মানুষ যখন সভ্য হতে শুরু করে তখন মানুষ বলী দেওয়ার প্রথা চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে গেলেও বলী প্রথাটা টিকিয়ে রাখে পশু বলী দেওয়ার প্রচলন শুরু করা হয় মধ্য যুগ থেকে। বিভিন্ন সমাজে বিভিন্ন ধরণের পশু বিভিন্ন সময় ও পরিস্থিতি ভেদে বলী দেওয়া হয়। তবে উদ্দেশ্য মোটামুটি একই থাকে। মনবাসনাটাও প্রাচীন থেকে যায়, শুধু পদ্ধতিটা ভিন্ন। তবে এর আধুনিকতম সংস্করণ হচ্ছে পশু বলী দেওয়ার মহোৎসব। একযোগে সারা দেশে বা বিশ্বে পশু বলী দেওয়া। উদ্দেশ্য ও মনবাসনা সেই প্রাচীন যুগের মতই তবে পদ্ধতিটা মধ্য যুগের। অনেক সমাজেই আর এখন এই প্রথা পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে মনবাসনার পরিবর্তনের ফলে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে আমরা কি এখনও মধ্যযুগে না আরো দুরে সেই প্রচীন যুগে?..
©somewhere in net ltd.