নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ শুধু মানুষের জন্য না, জগতের সকলের জন্য

গরল

জগতের সকল প্রাণী শান্তি লাভ করুক

গরল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিহারীদের নাগরিকত্বের পক্ষে তসলিমা নাসরিনের সাফাই - বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদকীয়

১৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭

বিহারীরা যতদিন ধরেই বাংলাদেশে বসবাস করুক না কেন তাদেরকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কোন যুক্তি নাই কারন এখনও তারা মনে প্রাণে পাকিস্তানি। এর প্রমাণ হল এখনও বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের খেলা হলে একশত ভাগ বিহারী পাকিস্তানের সাপোর্ট করে। তারা এখনও বাংলাদেশ বিদ্বেষী এবং এখনও তাদের ক্যাপ্মের ঘরে ঘরে এবং সমস্ত ক্লাব বা সমিতী, যাই আছে ওদের সবজায়গায় পাকিস্তানের পতাকা লাগানো। অতএব ওদের নাগরিকত্ব দেওয়া একটা ভুল সিদ্ধান্ত। নিরাপরাধ নারী ও শিশু হত্যার জন্য নিন্দা জানানো উচিৎ কিন্তু তাদের নাগরিকত্বের পক্ষে সাফাই গাওয়া শুধু মাত্র সস্তা জনপ্রীয়তা বা বিএনপির কৃপা লাভের অযুহাত ছাড়া কিছু না। সেদিনও তারা স্লোগান দিচ্ছিল "বাঙ্গাল হামারা দুশমন", "পুলিশ হামার দুশমন" বলে।



বিহারি সমস্যা - বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদকীয়, ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০১৪, ৫ আষাঢ় ১৪২১



আমরা যারা মিরপুর বা মো:পুরে বিহারীদের কাছাকাছি বসবাস করি তারা জানি যে ওরা কত ভয়ংকর। ফেনসিডিল, গাজা, চুরি, অস্ত্র বহন, ককটেল বানানো, এমন কোন বাজে কাজ নাই এরা করে না। অনেকেই হয়ত জানে না যে ককটেল বা এধরণের বিস্ফোরক বানানো শিখিয়েছে বিহারীরা এবং মজুদও করে ওরা। গত ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনের আগেও র‍্যাব কতৃক সবচেয়ে বড় ককটেল উদ্ধারের ঘটনা ঘটে মো:পু বিহারী ক্যাম্প থেকে। সবচেয়ে আশ্চর্য্যের ব্যাপার হল পুলিশ কখনও বিহারী ক্যাম্পে অভিযান চালায় না নাকি চালাতে পারে না। কেন সেটা বোঢগম্য নয়। আর একারণে ওরা এতটাই ভয়ংকর হতে পেরেছে। পুলিশ যেখানে পারে না সেখানে কয়েকজন বাঙ্গালী যেয়ে ওদের ক্যাম্পে গোলমাল করা আমার ধারণায় অসম্ভব। বাঙ্গালীরা যদি ইছ্ছা করত তাহলে তো ওদের ক্যাম্প গুড়িয়ে দিতে পারত। সেটা না করে কয়েকটা নিরীহ ঘরে কেন আগুন দিবে? আসল ঝামেলাতো হয়েছে পুলিশ আর বিহারীদের মধ্যে, কয়েকজন বাঙ্গালীকে দেখা গিয়েছে শুধু ঢিল ছুড়তে। এত সকালে এত বাঙ্গালী কোথা থেকে আসল যে ওদের ঘিরে ধরে আগুন দিল। ওদের ক্যাম্পে হামলা করতে হলে কয়েক হাযার বাঙ্গালী দরকার, কয়েকজন এমনকি ৫০-৬০ জনবা একশ বাঙালীদের পক্ষেও সম্ভব না ওদের ক্যাম্পের ভেতরে ঢুকে হামলা করার। কারন যারা বিহারীদের এলাকায় থাকে তারাই যানে বিহারী ক্যাম্প কি জিনিষ আর তারা কতটা ভয়ংকর। আর আপনার তথ্য ভুল যে এরা বাংলাদেশের নাগরিক না। বিএনপি সরকার এদেরকে নাগরিকত্ব দিয়েছে ভোটের রাজনিতীতে ব্যাভারের জন্য আর এটাই এদের উগ্রতাকে অপ্রতিরোধ্য পর্যায়ে নিয়ে গেছে।



সেদিনের ঘটনায় বাঙ্গীলরা ছিল অসংগঠিত এবং তাদের হামলা বা ভাঙচুর ছিল তাৎখনিক এবং সীমিত। আর বিহারী ক্যাম্পের প্রতিটা বাসা বাজি পটকার আড়ৎ। এবং এরা সেই জাত যারা পরিবারের সম্মান রক্ষায় নিজের মেয়েকে পাথর ছুড়ে হত্যা করতে পারে, অতএব এরা এতই উগ্র যে নিজেদের ঘরে আগুন দিয়ে ঘটনা উস্কে দিয়ে যে কোন ফায়দা হাসিল করতে উদ্যত হবে এটা খুবি স্বাভাবিক। এবং এতে এরা প্রমাণ করতেও সমর্থ হয়েছে যে এরা নির্যাতিত ও এদের আরও সাহায্য দরকার কারণ নাগরিত্ব পাওয়ার পর এদের জাতিসংঘ থেকে সাহায্য প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে কারণ ওরা এখন আর রিফুজী না। এবং সৌদি থেকে প্রাপ্য সাহায্যও বন্ধ হবার পথে। সুতরাং এই ঘটনা ওদেরকে আবার সে সাহাজ্য ফিরে পাওয়ার জন্য একটা যৌক্তিক কারণ হিসাবে দাড় করাতে পারবে।



কে কবে বিহারীদের নির্যাতন করেছে, আর তারা তো নিরীহ না যে তাদের কেউ নির্যাতন করবে। ৭১ এর পর এদের কেউ নির্যাতন করা তো দুরে থাক চর থাপ্পর মেরেছে কিনা সন্দেহ। এবারকার এই ঘটনা ছাড়া কেউ আর কোন নজির বা উদাহরন দেখাতে পারবে না যে তাদের কেউ নির্যাতন করেছে। অথচ ওরা যেভাবে বাঙ্গালীদের উত্যাক্ত করে তা যারা তাদের আশেপাশে থাকে তারাই জানে। রাস্তায় চুরি, বাসা বাড়িতে ঢুকে চুরি, যখন তখন যেখানে সেখানে পটকা বাজি ফুটান, মাইকে উচ্চ স্বরে গান বাজান বা চিৎকার করা, সম্পদের ক্ষতি করা, রাস্তা-ঘাট দখল করে তাদের আসবাবপত্র রাখা, রাস্তায় পশুপালন করা, রাস্তায় ময়লা আবর্জনা ফেলে নোংরা করা, রাস্তায় মলমূত্র ত্যাগ করা এমন আরও অনেক বিরক্তিকর কাজ তারা করে থাকে যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এসব বলতে গেলে উল্টা তারাই বাঙ্গালীদের উপর চড়াও হয় এবং আরও বেশি উত্যাক্ত করতে থাকে। এরা পাকিস্তানের উৎসব, ইরানের উৎসব, ভারতের উৎসব, আরবের উৎসব সব পালন করে শুধু বাঙ্গালীদের উৎসব ছাড়া এবং তা অত্যান্ত জোড়েসোরে যা প্রচন্ড বিরক্তি সৃস্টি করে। তারপরেও বাঙ্গালীরা তাদের কিছু বলে না। এসব বাড়াবাড়ি সবাই এতদিন সয্য করেই আসছিল তবে এখন বোধ আর করবে না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৯

গরম কফি বলেছেন: আরও সুনির্দিষ্ট করে বলুন । ব্যাপারটা সবার জানা উচিত ।

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: কিছু টা জানি
তাই বাকি টা আর ও জানতে চাই

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪২

গরল বলেছেন: আসলে বিস্তারিত লিখতে সময়ের প্রয়োজন, সেই সময়টা পাই না তাছাড়া আমি গুছিয়ে লিখতেও পারি না। তাই যতটুকু দরকার ততটুকুই লিখি। ব্লগিং এ নতুন তো তাই।

৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: নতুন তো কি হয়েছে। আপনি লিখেন।

আমরা আছিতো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.