নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ শুধু মানুষের জন্য না, জগতের সকলের জন্য

গরল

জগতের সকল প্রাণী শান্তি লাভ করুক

গরল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরবানী, ত্যাগের পাশাপাশি সমাজের শ্রেণীবিন্যাসের একটি নির্দেশক

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:০৭


কোরবানী বা পশু জবাই আমাদের একটি বৃহৎ বা বলা যেতে পারে বৃহত্তম উৎসব। উৎসবের পাশাপাশি এটা একটা সামাজিক স্ট্যাটাস, বিলাসিতা বা উচ্চাভিলাস দেখানোর প্রতিযোগীতাও বলা যেতে পার। কোরবানী যারা দেয় তারা অবশ্যই ভাগ্যবান, কারণ যথেস্ঠ আয় না থাকলে কেউ কোরবানী দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে না। কিন্তু যথেস্ঠ আয় করেও আয়কর প্রদান করেন কয়জন। আয়করের আওতায় না আশা মানে যথেস্ঠ আয় নাই, সোজা কথা গরীব। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে তারা কোরবানী দেয় কিভাবে, অবৈধ আয়ে নাকি শুধুমাত্র স্ট্যাটাস রক্ষার জন্য। তবে যাই হোক এর মাধ্যমে সমাজের শ্রেণীগুলো স্পষ্ট ভাবেই ধরা পড়ে। কোরবানীর মাধ্যমে সমাজের শ্রেণী বিন্যাসটা এবং এই বিন্যাস অনুযায়ী যদি আয়কর ক্যাটেগরী তৈরী করা যায় সেটা হবে নিম্নরুপ।

উচ্চশ্রেণী - দুই বা ততোধিক গরু বা নূন্যতম একটি উট কোরবানী - আয়কর ক্যাটেগরী ১
মধ্যম শ্রেণী - একটি গরু অথবা সাথে একটা ছাগল - আয়কর ক্যাটেগরী ২
নিম্নশ্রেণী - যৌথভাবে একটি গরুর ভাগ নেওয়া বা একটি ছাগল দেওয়া - আয়কর ক্যাটেগরী ৩
শ্রেণীহীন/গরীব - কোরবানী দিতে না পারলেও মাংস কিনে খেতে সমর্থ্য - আয়কর ক্যাটেগরী ০ (আয়করযোগ্য নয়)
সর্বহারা/নিস্ব - মাংস কিনে খাওয়ার সামর্থ্য নাই, দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোরবানীর মাংস সংগ্রহ - কল্যান ক্যাটেগরী ১ (সাহায্য/ভাতা প্রার্থী)

এই শ্রেণীগুলোর আবার উপশ্রেণী থাকতে পারে গরুর দাম বা কোরবানীর বাজেট এর উপর ভিত্তি করে। এবং প্রত্যেক উপশ্রেণীর জন্য একটি অগ্রীম আয়কর নির্ধারণ করা যেতে পারে যা গরু কেনার সময় প্রদানযোগ্য। যেমন গাড়ীর কাগজ নবায়ণ করার সময়ও গাড়ীর মালিককে গাড়ীর শ্রেণী অনুযায়ী নির্ধারিত অগ্রীম আয়কর প্রদান করতে হয়। কারণ ধরে নেওয়া হয় যে যার গাড়ী আছে সে অবশ্যই আয়কর প্রদান যোগ্য। অতএব যে কোরবানী দেয় তাকেও আয়কর প্রদানযোগ্য ধরে নিয়ে একটা অগ্রীম আয়কর নির্ধারণ করাটা অযৌক্তিক হবে না এবং এতে সরকারেও আয় বাড়বে।

বি:দ্র: কাউকে হেয় করার জন্য এই লেখা নয় কারণ আমিও নিম্নশ্রেণীভুক্ত যদিও আমি আমার কোরবানীর বাজেটের ১০ গুন আয়কর প্রদান করি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৫:৪৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: কোরবানীর বাজেটের ১০ গুন, মানে আপনি ১০ লাখ টাকা আয়কর দেন?

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৪১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: দিনটা ত্যাগের একইসাথে উৎসবের ও আনন্দের । কোরবানির মাংস কিভাবে ভাগ করা হয় জানেন কি ? তিনভাগ । একভাগ কোরবানি যিনি দিবেন তার , আর একভাগ আত্মীয় স্বজনদের ও আর একভাগ গরীব দুখির জন্য , আপনার প্রোফাইল ইনফোতে লেখার মতো করেই বলেই 'সমাজের সকল মানুষ ঈদের আনন্দ ভোগ করুক'

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩২

মেংগো পিপোল বলেছেন: কোরবানীটা কেবল উৎসব না এটা মানুষ করে আল্লাহতালাকে খুশি করার জন্য, নিছক আনন্দ কারার জন্য কোরবানী দেয়া হয়না। আর কিছু মানুষ চোর বলে সমাজে কোন ধর্মপ্রান নেই এটাও ভাবা ঠিক না।

ভাই আপনার হাসিল সম্পর্কে ধারনা আছে, এবার প্রতি হাজারে ৫০টাকা হারে হাসিল নেয়া হচ্ছে। এবং আমার ধারনা মতে কোনো বাপের ব্যাটা বা আপনার ক্যাটাগরী মোতাবেক কারো সাধ্য নেই হাসিল ফাকি দেয়। আবার তার সাথে সিটি কর্পরেশন নীল পলিথিন ধরিয়ে দিয়ে নিচ্ছে ১০০ টাকা (অথচ পলিথিন নিষিধ্ব ) যাক কোরবানীর ময়লা অবস্য চটের বস্তায় ফালানো সম্ভবও না।

৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৭

গরল বলেছেন: আমার কোরবানীর বাজেট মাত্র ২০,০০০ টাকা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.