নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ শুধু মানুষের জন্য না, জগতের সকলের জন্য

গরল

জগতের সকল প্রাণী শান্তি লাভ করুক

গরল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইলিশ রক্ষার জন্য অপপ্রচার নাকি রফ্তানির পায়তারা? ইলিশ ধরা তো নিষিদ্ধ না!

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:১৫

ইলিশ যদি বাঙ্গালী বা বাংলাদেশীদের ঐতিহ্য না হয় তবে তা কোন দেশ বা জাতির ঐতিহ্য তা আসলে জানতে চাই। মাছ ভাত বাঙ্গালীর ঐতিহ্য আর মাছের মদ্ধ্যে ইলিশই একমাত্র যা বাঙালীর এবং বাংলাদেশের পরিচয় বহন করে। এক শ্রেণীর বুদ্ধিজিবী ও সরকার মিলে বোঝানোর চেষ্টা করছে যে পহেলা বৈশাখ এর সাথে নাকি ইলিশের কোন সম্পর্ক নাই তাহলে কিসের সাথে আছে? ইন্ডিয়ান বা মিয়ানমারের রুই, আফ্রিকান মাগুর, থাইল্যান্ডের কৈ, আফগানী কাবাব নাকি মোঘলদের কাচ্চি বিরিয়ানী? নাকি তারা চাচ্ছে পহেলা বৈশাখে সবাই নামিদামী ও বিদেশী চেইন রেস্টুরেন্টগুলোতে যেয়ে সবাই ভীর করুক অথবা কেক, বিস্কুট ও প্যাকেটজাত খাবার এবং জুস এর ব্যাবসা বাড়ুক।

ইলিশ বাচানোে জন্যই যদি এই অপপ্রচার তাহলে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করে না কেন? ইলিশ এই সময়েই যদি বংশ বিস্তার করে থাকে তাহলে এই সময় নিষিদ্ধ করল না কেন বা মাত্র দুই মাস না করে সেটা চার বা পুরো ছয় মাস করতে পারত। তাহলে বাকি সময় যে ইলিশ ধরা পড়বে তা হিমায়িত করে বাকি ছয় মাস খাওয়া যাবে। সেটা না করে অপপ্রচার, মিথ্যা ভুয়া তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা বা স্রেফ ভন্ডামি করছে কেন

আর বাংলাদেশে কি নিয়ে বানিজ্য না হয়, অতএব ইলিশ নিয়ে হওয়াটাই স্বাভাবিক। রোজার সময় পেয়াজ, ছোলা, কোরবানীর সময় গরু ছাগল এমনকি গরমের সময় পানি, পরীক্ষার সময় সিএনজি ভাড়া, বৃষ্টির দিনে রিক্সা ভাড়া যেখানে যেটার চাহিদা সেটা নিয়েই। তাহলে তো সব বন্ধ করে দিতে হবে। এসব উদ্ভট প্রলাপ যে কোন উদ্দেশ্যে প্রচার করা হচ্ছে বুঝতেছি না। নাকি এর পেছনে কোন সুদুরপ্রসারী দুরভীসন্ধী আছে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইলিশ যারা ধরে, তারা তো এক্সপোর্ট করতে পারে না; ফলে, কি পরিমাণ ধরা হয়, কি পরিমাণ এক্সপোর্ট হয়, কোনটাই পরিস্কার নয়; ইলিশ এক্সপোর্টে জেলেদের সমবায়কে যুক্ত করার দরকার।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫৬

গরল বলেছেন: ইলিশ খুব শীঘ্রই বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে, সম্ভবত এই শতাব্দী পরে আর ইলিশ খুজে পাওয়া যাবে না। এক সময় পুরো ভারতবর্ষে ইলিশ পাওয়া যেত এবং উইকিপিডিয়াতে দেখেছি পারস্য ও আরবের ইয়েমেনেও অন্য এক প্রজাতির ইলিশ পাওয়া যেত। এখন তা শুধু বাংলাদেশেই পাওয়া যায় এবং তাও কতদিন পাওয়া যাবে বলা মুশকিল। তাই এর জন্য আন্তর্জার্তিক উদ্যোগ দরকার যদি ইলিশ রক্ষা করতে হয়। ইলিশকে এনডেন্জার্ড প্রজাতি হিসাবে ঘোষণা করে ইউনেস্কোর সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে। কারন গবেষণা করে উপযুক্ত ব্যাবস্থা না নিলে ইলিশ রক্ষা করা যাবে না। সেরকম কোন উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকে দেখি না, যা আছে তা হচ্ছে শুধু লোক দেখান ইলিশ বর্জনের আহবান। যদি স্বদিচ্ছা থাকত তাহলে তো শুধু বর্জনের আহবান না জানিয়ে অন্তত ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করতে পারত মে মাস পর্যন্ত। ধরতে মানা করবে না কিন্তু খেতে মানা করবে এটা কি ধরণের হাস্যকর পদক্ষেপ?

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


" তাই এর জন্য আন্তর্জার্তিক উদ্যোগ দরকার যদি ইলিশ রক্ষা করতে হয়। "

-প্রত্যেককে নিজের ঘর ঠিক রাখতে হয়।

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসরায়েলের নির্বাচনের উপর পোস্ট দিয়েছিলেম; ৬০০ বারের চেয়ে বেশী ক্লিক হয়েছিল, ৬০ জন মন্তব্য করেছিলেন; আপনি পড়েছিলেন? আমি সরায়ে ফেলেছি

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫৯

গরল বলেছেন: দু:ক্ষিত ভাই, আমি বেশ কয়েকবার আপনার ব্লগে ঢু মেরেছি কিন্তু লেখাটা আমার চোখে পড়েনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.