![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্ম বলতে আসলে কি বুঝায় সেটা আমি এখন পরিস্কার না। মায়ের গর্ভে যেদিন ভ্রুন সৃস্টি হয় সেদিন বা অন্য কিছু প্রাণী যেমন পাখির ক্ষেত্রে ডিম সৃষ্টির দিন থেকেই বায়োলজিক্যাল জন্ম হলেও আমরা জন্ম ধরি যেদিন পৃথিবীতে ভূমিষ্ট হয় অথবা ডিমের খোলস ভেঙে যেদিন বের হয়। একটা জীব দেহের প্রতিটা কোষ জীবিত ধরলে ভ্রূনটাও জীবিত।আর জীবিত মানে তার জন্ম হয়েই গেছে। যদিও কোন ধর্ম বা সমাজ তা স্বীকার করে না। অতএব জন্মের সঙ্গা ধর্ম বা সমাজে বিজ্ঞান সম্মত না। এমনকি এখনকার যুগেও সমস্ত দেশের সরকারও এই নিয়মে চলছে। এটা গেল জন্ম নিয়ে বিতর্ক।
এখন আসি মৃত্যু কথা নিয়ে যার অনেক রকম মতবাদ আছে তবে এক্ষেত্রে মোটামুটি ভাবে বিজ্ঞান সম্মত মতবাদকেই সমর্থন করে সবাই। তবে আমার দ্বীমত আছে। স্বভাবিক ভাবে মৃত্যু বলে কিছু আছে বলে আমার কাছে মনে হয় না। আমি বলতে পারি ধ্বংস হয়ে যায় সবাই। একটু ব্যাখ্যা করি তবে আশা করব যারা এই বিষয়ে অনেক জ্ঞান রাখেন পারলে আমার ভুল ভাঙ্গিয়ে দেবেন।
এক কোষী প্রাণীর আসলে কোন স্বাভাবিক মৃত্যু নাই এবং বিজ্ঞানের কথা আমার না। এক কোষী প্রণী পরিণত হলে ভেঙ্গে দুটো হয়, দুটো থেকে চারটা এভাবে বাড়তেই থাকে ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত। কিন্তু আমার প্রশ্ন বহুকোষী প্রাণী যেমন মানুষ নিয়ে। মানুষকে কখন আমরা মৃত বলি? যখন সে নড়াচড়া করে না, কথা বলে না বা উত্তর দেয় না, কোন আবেগ বা অনুভুতি থাকে না। নিথর হয়ে পড়ে থাকে। তবে নড়াচড়া করলেও কিন্তু মৃত হতে পারে যেটাকে ক্লিনিক্যাল ডেড বলে মেডিক্যাল এর ভাষায়।
মানুষের শরীর অনেকগুলো অঙ্গপ্রতঙ্গ নিয়ে গঠিত যাদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা জীবন ও কার্যক্রম রয়েছে। যেমন ঋদযন্ত্র, কিডনী, ফুসফুস, যকৃৎ ইত্যাদি। এছাড়াও মানুষের শরীরের কোটি কোটি কোষেরও আলাদা আলাদা জীবন আছে। যেকারনে কোন একটা অঙ্গ বা কোষ কাজ না করলে আমরা প্রতিস্থাপন করে আবার মানুষকে সচল করতে পারি। সুতরাং একটা মৃত বলে যে মানুষটাকে ফেলে রাখি তার শরীরের ৮০ শতাংশ মটামুটি ভাবে ৬ ঘন্টা পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে। সমস্যাটা হয় তখন যখন মস্তিষ্ক অকার্য্যকর হয়ে সমস্ত অঙ্গপ্রতঙ্গ পরিচালনা বন্ধ করে দেয় অথবা অন্য কোন অঙ্গের অকার্যকারীতার কারনে মস্তিষ্ক কায করা বন্ধ করে দেয়। বা আঘাত জনিত কারনেও হতে পারে। মস্তিষ্কের অনেকগুলো কাজের মধ্যে দুটো প্রধান বৈশিষ্ঠ্য হল পরিচালনা বা প্রসেসিং ও অন্যটা হল তথ্য সংরক্ষন বা ডাটা স্টোরেজ। মূল সমস্যাটা হয় যখন প্রসেসিং ইউনিট অচল হয়ে যায়। এতে ঋদযন্ত্র ও ফুসফুস বন্ধ হয়ে গেলে রক্তবাহিত অক্সিজেনের ও খাদ্যের অভাবে অন্য সব অঙ্গপ্রতঙ্গ ও কোষগুল ধীরে ধীরে অকেজ হয়ে জেতে থাকে। এটাকেই আমরা মৃত্যু বলে চালিয়ে দেই। তবে একমাত্র মস্তিষ্ক অচল না হলে কৃত্তিম ভাবে যন্ত্রের সাহায্যে মানুষকে বাচিয়ে রাখা সম্ভব। মস্তিষ্ক অচল হলেও বাচিয়ে রাখা সম্ভব তবে আবেগ ও হুষ না থাকায় তাকে ক্লিনিক্যাল ডেড বলে। তবে এরকম মৃত অবস্থায়ও অনেকে বড় হয় এমন কি সন্তানও জন্ম দেয়।
এখানেই আমার প্রশ্ন যে মৃত হলে আবার সন্তান জন্ম দেয় কেনো, এটা কি মৃত মানুষের কাজ হতে পারে নাকি। অনেক অঙ্গই ডাক্তাররা প্রতিস্থাপন করতে পারলেও অনেক গুলো এখনো পারে না। এর জন্য যদি অন্য অঙ্গ অকার্যকর হয়ে মানুষের কার্য্যকারীতা বন্ধ হয়ে যায় তাকে আমরা মৃত বলব কেন। এটাত আমাদের ব্যার্থ্যতা যে আমরা ঐ বিষেশ কিছু অঙ্গ এখনো প্রতিস্থাপন করতে শিখি নাই। যখন শিখে যাব তখন কি হবে। তাহলে মৃত্যুটা কোথায় যাবে।
০২ রা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০
গরল বলেছেন: অনেক প্রাণীর অঙ্গপ্রতঙ্গ আবার নতুন করে জন্মায়, যেমন টিকটিকির লেজ, স্যালাম্যান্ডার তার পা হারালে আবার তৈরী করতে পারে নতুন টিস্যু তৈরীর মাধ্যমে। বিজ্ঞানীরা চেষ্টা চালাচ্ছেন সেই প্রক্রীয়া মানব দেহে প্রচলণের।
২| ০২ রা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষ ও টিকটিকির "ডিএনএ" হাজার গুণে আলাদা; মানুষের নখ, চুল, লিভার ও ত্বকের সেল ও টিস্যু নিজেই গজায় ; কিন্তু ভাইটাল টিস্যুসমুহ( মস্তিস্ক, হার্ট, ফুসফুস, টেন্ডস( জয়েন্টস) ) এক সময় ক্লান্ত হওয়ার শুরু করে, এগুলোকে রিপেয়ার করা সম্ভব নয়।
০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ১:২২
গরল বলেছেন: ক্লান্ত হওয়া শুরু করে কারণ সেল রিকভারী হয় না এবং সেটা হয় একটা হরমোন নিস্বরণ বন্ধ হয়ে যায়। সোমাট্রপিন বা গ্রোথ হরমোন নি:স্বরণ বন্ধ হয়ে যায়। আরও কিছু হরমোন আছে যা পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে নি:স্বরিত হয়ে থাকে। যার ফলে স্টেম সেল উৎপাদন ও গ্রোথ ফ্যাক্টর যেমন IGF1 ও IGF2 এরও উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় যা মূলত সেল রিপায়ারের বা নতুন সেল তৈরীর কাজে ব্যাভহৃত হয়। নির্দিষ্ট কিছু প্রোটিন যেমন l-arginine, l-glutamine, l-ornithine, lysine, glycine ইত্যাদি রেগুলার গ্রহণ করলে গ্রোথ হরমোন ও গ্রোথ ফ্যাক্টর উৎপাদন বাড়ান যায় এবং যৌবন দীর্ঘহায়িত করা যায়। কিন্তু সমস্যা হল ক্যান্সার, যা মূলত ফ্রী-র্যাডিক্যাল দ্বারা সৃষ্টি হয় ৯০% ক্ষেত্রে এবং খাদ্য ও পানীয়র মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে যা আর শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়া দ্বারা বের করা যায় না। ল্যাব সিনথেসাইজড বা ক্যামিক্যাল এর ব্যাবহারের কারণে এর পরিমান বহুগুন বেড়ে গেছে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গ্রহণে এগুলোও শরীর থেকে বেড় করে দেওয়া যায়। গবেষণা আরো এগোলে এধরণের আরও কার্য্যকরী ক্যামিকেল আবিষ্কার সম্ভব হবে।
৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬
মোঃ কামরুল ইসলাম ৯৬৬ বলেছেন: মানুষ ও টিকটিকির "ডিএনএ" হাজার গুণে আলাদা; মানুষের নখ, চুল, লিভার ও ত্বকের সেল ও টিস্যু নিজেই গজায় ; কিন্তু ভাইটাল টিস্যুসমুহ( মস্তিস্ক, হার্ট, ফুসফুস, টেন্ডস( জয়েন্টস) ) এক সময় ক্লান্ত হওয়ার শুরু করে, এগুলোকে রিপেয়ার করা সম্ভব নয়।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৬
গরল বলেছেন: ঠিক বলেছেন, মস্তিস্ক, হার্ট, ফুসফুস, টেন্ডস( জয়েন্টস) এক সময় ক্লান্ত হওয়ার শুরু করে। কিন্তু কেন সেটা জানাটাই হচ্ছে গবেষণার কারন। ক্লান্ত হয় কারণ হচ্ছে হরমন, বয়স বাড়ার সাথে সাথে মস্তেষ্কের পিটুইটারি গ্লান্ড স্টিমুলাস হরমন কমিয়ে দিয়ে গ্রোথ হরমন, সেক্স হরমন নিস্বরণ কমিয়ে দেয়, এবং এক সময় বন্ধ করে দেয়। তাই রিপেয়ারিংও ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায় বলেই মানুষ বুড়া হয়। তবে কৃত্তিম হরমন প্রয়োগ করে বডিকে ধোকা দেওয়া যায়, যেমন স্টেরয়েড, সোমাট্রপিন(গ্রোথ হরমন) ইত্যাদি। তবে সব ধরণের হরমন আবার সহজলভ্য না, অনেক দামিও বটে, যেমন সোমাট্রপিন ১ মিলিগ্রাম এর দাম প্রায় ৪০,০০০ টাকা।
৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৪
মানিজার বলেছেন: আশা জাগানীয়া পোস্ট ।
৫| ২০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: কজন মানুষ কর্ম দ্বারা মহান হন, জন্মের দ্বারা নয় (চানক্য)।
সত্যসংকল্পঃ
লজ্জা, ঘৃনা ও ভয়; তিন থাকতে নয় (রামকৃষ্ণ পরমহংস)
২০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০৩
গরল বলেছেন: চানক্য এর সাথে একমত তবে রামকৃষ্ণ কথা মানতে পারলাম না। লজ্জা, ঘৃনা ও ভয় এই তিনটা শুধু মানুষের বৈশিষ্ঠ, অতএব এগুলো না থাকলে মানুষ হয় কিভাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রতিস্হাপনের পর, যেমন হার্ট, সময়ের সাথে কাজ করবে না, টিস্যুগুলো কার্যক্ষমটা হারিয়ে ফেলবে।