নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ শুধু মানুষের জন্য না, জগতের সকলের জন্য

গরল

জগতের সকল প্রাণী শান্তি লাভ করুক

গরল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাপানের শিক্ষা ব্যাবস্থা হতে পারে আমাদের জন্য অনুকরনীয় - পর্ব ১ প্রাইমারি

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪

বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে যা চলছে তাকে কোনভাবেই শিক্ষা বলা যায় না, রিতীমত তামাশা চলছে। আমরা নিজেরা যেহেতু কিছু বানাতে পারি না, অতএব নতুন আবিষ্কারের কিছু এখানে আছে বলে আমার মনে হয় না। তার চেয়ে যেসব দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা উন্নত তা হুবহুব বাস্তবায়ন করা যায় কিনা সেটা নিয়ে ভেবে দেখা যেতে পারে। জাপানীজ শিক্ষা ব্যাবস্থা সম্বন্ধে যা জেনেছি সেটা মূলত সারা বিশ্বেই সমাদৃত আর একারণে তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষত কাটিয়ে উঠেও একটা অর্থনৈতিক সুপার পাওয়ারে পরিণত হতে পেরেছে। চাকুরী সুত্রে বেশ কিছুদিন, প্রায় আড়াই বছরের মত টোকিওতে থাকার সুবাদে কাছ থেকেও কিছু দেখার সুযোগ হয়েছিল।

স্কুলের বাচ্চাদের একটা জিনিষে খুবি মিল ছিল যেটা হল যে প্রায় একি সময়ে সবাই স্কুল ড্রেস পড়ে পাবলিক ট্রান্সপোর্টেই স্কুলে যায় এবং খেলাধুলার জার্সি গায়ে সন্ধায় ঘরে ফেরে। এটা খুবি কমন এবং একদিনও এর কোন ব্যাত্যয় দেখিনি, শুধু সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে সকালেই খেলার জার্ষি পড়ে যেতে দেখতাম। আমার কৌতুহল থেকেই জানতে পারলাম যে স্কুলগুলোতে খেলাধুলা বাধ্যতামূলক। এমনকি এলিমেন্টারি(প্রাইমারি ক্লাস ১-৬) স্কুলে কারিকুলামে খেলাধুলার অংশ থাকে ৬০%, লোয়ার সেকেন্ডারী (ক্লাস ৭-৯) ৫০% এবং আপার সেকেন্ডারী (ক্লাস ১০-১২) ৪০%। আর কিন্ডারগার্টেন (৩-৫ বছর বয়স পর্যন্ত) এ কোন লেখাপড়াই নাই। খেলাধুলা ওদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ কেন সেটা হয়ত আমরা কোনদিনও বুঝব না কারণ আমাদের দেশের কিন্ডারগার্টেনের শিশুরাও খেলার সময় পায় না। আমার পরিচিতদের কিন্ডারগার্টেন পড়ুয়া ছেলে-মেয়েরাও নাকি ২টার দিকে বাসায় ফিরে আবার সন্ধা পর্যন্ত প্রাইভেট পড়ে তারপরেও আবার বাসায় পড়াশুনা করে রাত ১০টা পর্যন্ত। আমাদের ঘরে ঘরে আইনষ্টাইন তৈরী হচ্ছে, তাই নয় কি?

এরপর আসি কিন্ডারগার্টেন এ তারা কি পড়ে, জাপানিজরাতো আমার প্রশ্ন শুনে আকাশ থেকে পড়ছে। কিন্ডারগার্টেন কি আবার লেখাপড়ার যায়গা নাকি, ওটাতো ডে কেয়ার সেন্টার। পাশাপাশি তারা আচার ব্যাবহার, হাটা চলা, খাওয়া দাওয়া শিখে আর ফুল, পাতা, পশু-পাখি চিনে। আমার প্রশ্ন ছিল হাটা-চলা বা খাওয়া দাওয়া আবার শেখার কি আছে, ওরা বুঝিয়ে বলল যে রাস্তায় হাটা, পার্কে হাটা, কোন শপিং সেন্টারে হাটার কিছু নিয়ম আছে, এমনকি এসকেলেটারে উঠা, লিফট ব্যাবহার করা এসব শিখে কারণ সব যায়গার আলাদা আলাদা ভদ্রতা আছে। সিম্পল উদাহরণ, এসকেলেটারে ডানা পাশে সরে দাড়ানো যাতে যাদের দ্রুততা আছে তারা যেন বাম পাশ দিয়ে হেটে তাড়াতাড়ি নেমে যেতে পারে। কয়েকজন একসাথে ফুটপাথে হাটলে রাস্তা যেন ব্লক না হয় সেদিকে খেয়াল করতে হয়, আবার ওরা ডিজেবলডদের প্রতি খুবি সদয়। তাই তাদেরকে প্রাধান্য দিয়ে কিভাবে রাস্তায় বা বাসে ও ট্রেনে চলতে হয় এসব শেখায়। এর সাথে আচরণ, বিভিন্ন রকম সম্ভাষণ, কোথায় কখন কোনটা ব্যাবহার করতে হয়। খাওয়া, উঠা, বসা, হাটা-চলা সবকিছুর মধ্যেই ওদের যেন ভদ্রতা আর সভ্যতা প্রকাশ পায় সেটাই মূখ্য বিষয়। তাছাড়া যারা বায়োমেকানিক্স পড়েছে তারা জানে যে হাটা-চলাও যদি বিজ্ঞানসম্মত না হয় তাহলে শরীরের কি ক্ষতি হয় এবং ভবিষ্যতে স্থায়ী বৃকিতি হয়ে যাওয়ার সম্ভবনাও থাকে যেমন একটা হল স্পন্ডলাইসিস। শুধু তাই না, যাবতীয় গৃহের কাজ যেমন কাপড় ধোয়া, থালা বাসন ধোয়া, গোছ গাছ করা, ঘর পরিষ্কার করা, নিজের জিনিষ নিজে করা, নিজে নিজে কাপড় পরা, জুতার ফিতা বাধা এসবের ধারণা দেওয়া হয় এবং এলিমেন্টারি স্কুলের প্রথম তিন বছর এসব প্রাকটিক্যালি শিখান হয়। যাতে প্রত্যেকে স্ববলম্বী বা স্বনির্ভর হতে পারে। আমাদের দেশে অভিজাত পরিবারে এসব নিজে করাতো রিতীমত মানসম্মানের ব্যাপার যে আমার বাচ্চা কাপড় ধুবে, ঘর পরিষ্কার করবে? তারা তো নিজেরা খেতেই পারে না, খাইয়ে দিতে হয়।

এছাড়াও রাস্তা পার হওয়া, ট্রাফিক রুলস, পাবলিক ন্যুইসেন্স, পরিষ্কার পরিছন্নতা, সাতার শেখা, সাইকেল চালনা, হালকা শারিরীক কছরত বা ব্যায়াম, কিছু সাধারণ খেলাধুলা, এসবই শেখান হয় কিন্ডারগার্টেন এ। খাতা কলমের কাজ বলতে প্রধান শিক্ষা যেটা কিন্ডারগার্টেন এ শেখান হয় তা হল আঁকাআকি বা অঙ্কন। এটাতে জাপানীজরা পটু, অঙ্কনের সাথে সাথে তারা শিখে Visualization বা দৃশ্যায়ন। মানে হচ্ছে তারা যা কল্পনা করে তা যেন ছবিতে প্রকাশ করতে পারে আর সেখান থেকেই এসেছে Emocon(Emotional Icon) যা আমরা মেসেঞ্জারে ব্যাবহার করি। এছাড়াও আছে Gesture বা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে কিছু বর্ণনা করা। আর একটা বাধ্যতামূলক শিক্ষা হচ্ছে অরিগ্যামি বা কাগজ দিয়ে বিভিন্ন জিনিষের যেমন পশু-পাখির মডেল বানান। এসব আমাদের কাছে হয়ত কোন শিক্ষা মনে হবে না কারণ আমরা আইনষ্টাইন তবে ওরা বলে যে এসব ওদের শিশুদের মনবিকাশের জন্য জরুরী কারণ তারা চায় ওদের ছেলেমেয়েরা যেন সৃষ্টিশীল হয় এবং তারা নতুন কিছু সৃষ্টি করতে না পারলেও যা আছে তার যেন উন্নতি সাধন করতে পারে।

এবার আসি এলিমেন্টারি (ক্লাস ১-৬) এ কি পড়ানো হয়। ক্লাস ১-৩ পর্যন্ত আসলে কোন লেখাপড়া বা পরীক্ষা বলতে তেমন কিছু নাই। কিন্ডারগার্টেন এ যা শিখেছিল তারই কিছু উন্নত লেভেলের কাজ শেখান হয় এবং এর পাশাপাশি ওদের বর্ণমালা, কিছু বেসিক গণিত মানে যোগ, বিয়োগ, গুন ও ভাগ শেখান হয়। মজার ব্যাপার হল এইসময় পর্যন্ত কোন বিদেশী ভাষার বর্ণমালা শেখান হয় না। খেলাধুলার ওনেক কসরত শেখান হয় এবং বলা বাহুল্য যে তাদের জন্য প্রাতাষ্ঠানিক খেলাধুলা এখন থেকেই শুরু হয়ে যায়। আমরা কি এসব কল্পনা করতে পারি যে আমাদের প্রাইমারির শিক্ষাত্রীরা সবাই খেলাধুলা শিখছে? আসল পড়াশুনা শুরু হয় ক্লাস ৪ থেকে বা ৯ বছর বয়স থেকে। তবে শর্ত থাকে যে তাকে যে কোন একটা খেলাধুলা এবং এর সাথে সাথে যে কোন একটা সংস্কৃতিক বিষয়েও পারদর্শী হতে হবে। তার মানে হচ্ছে যে এলিমেন্টারি পর্যায় শেষ করে একজন শিক্ষাত্রী তার লাইফের যেন একটা লক্ষ খুজে পায় যে ভবিষ্যতে কোন ধরণের যোগ্যতা অর্জন করতে চায়। কারণ ওদের দেশে শুধু ডাক্তার, ইঞ্জিনীয়ার বা মাষ্টার্স, পি এইচ ডি করলেই যে সফল ব্যাক্তি হতে পারবে, অন্য কিছু করলে সফল হবে না এই ভূলটাই ভেঙ্গে দেওয়া হয়। শিক্ষা বলতে ওরা শুধু আর্টস, কমার্স বা সাইন্স বুঝে না, এর চেয়েও অনেক বেশী কিছু বুঝান হয়।


যারা ভেবেছেন যে আমি শুধু ধারণা থেকে লিখেছি তাদের জন্য একটা পিডিএফ লিংক দিলাম, পড়ে দেখবেন।
Program for International Students Assessment - PISA 2012 - Japan

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: পোস্টটি ভালো লাগলো। আপনার সাথে একমত।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১০

গরল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আরও দুইটা পর্বে শেষ করব। আশা করছি সাথে থাকবেন।

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন: আপনার জাপান সম্পর্কে ধারণা আংশিক। পুরোটা জানলে হয়তো তাদের অনুকরণ করতে চাইতেন না।
সিস্টেম অর্ধেক দেখে আপনি যতটা মুগ্ধ, পুরোটা দেখলে হয়তো এতোটা হবেন না।
এরবেশী কিছু বলার ইচ্ছা নেই।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

গরল বলেছেন: আমি আসলে পুরো জাপানকে দেখি নাই, এটা সম্ভবও না, আমার এক মামি ও আর এক বন্ধুর স্ত্রী এলিমেন্টারি ও সেকেন্ডারী স্কুলের টিচার, এক বন্ধু টোকিও ইনস্টিটিউট এর এবং আর এক বন্ধু ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাডুয়েট স্কুল অব ইনফোরমেশন, সিস্টেম এন্ড ইঞ্জিনীয়ারিং এর টিচার। এবং আমার সাথে নোকিয়াতে বেশ কিছু পিএইচডি গবেষক কাজ করত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের। তাদের কাছ থেকে যা জেনেছি সেসব থেকেই লেখা।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

গরল বলেছেন: আপনি হয়ত জাপানীজদের কালচারের কথা বলছেন যেটা ছিল আসলেই নির্মম ও বর্বর, আমি যতদুর শুনেছি। তবে আমার লেখার বিষয় হচ্ছে শিক্ষা ব্যাবস্থা যা ওরা তৈরী করেছে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর।

৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের শিক্ষা ব্যবস্হা বলতে কিছু নেই, কোন রিসার্চ গ্রুপ থেকে বর্তমান ব্যবস্হা আসেনি, এটা একটা চলমান ব্যবস্হা, যা চলে আসছে।

আমাদেরকে কারো না কারো মডেল ব্যবহার করতে হবে, সেক্ষেত্রে জাপান একটা মডেল জাতি।

আমাদের প্রথম কাজ হবে, টাকা খরচ করে, সবশিশু ও সব কিশোর কিশোরীকে স্কুলে আনতে হবে, ১৮ বছর অবধি ধরে রাখতে হবে, আমাদের সেই সম্প ও রিসোর্স আছে

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের প্রথম কাজ হবে, টাকা খরচ করে, সবশিশু ও সব কিশোর কিশোরীকে স্কুলে আনতে হবে, ১৮ বছর অবধি ধরে রাখতে হবে, আমাদের সেই সম্পদ ও রিসোর্স আছে

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

গরল বলেছেন: কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন একটা রোডম্যাপ দিয়েছিল যা কোনকালেই বাস্তবায়ন করা সম্ভম হয় নাই কারণ জেনারেল জিয়া তার পরবর্তী শাসকরা ছিল মিলিটারি যারা শিক্ষার গুরুত্ব বুঝত না আর তার পর আসল খালেদা জিয়া যিনি আর এক মিলিটারি প্রডাক্ট। আর হাসিনাতো ক্ষমতা পাকাপাকি করতেই ব্যাস্ত, শিক্ষার পেছনে সময় দেওয়ার সময় কোথায়।

৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ড: কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন যে রোডম্যাপ দিয়েছিল, উহা ছিলো বড়লোকদের বাচ্চাদের পড়ালেখার মান উন্নয়নের জন্য; উনারা মানুষের পড়ালেখার কথা বলেননি; উনারা অনেক কিছু জানতেন না, বুঝতেন না; উনারা মনে করতেন যে, ব্যুরোক্রেটদের ছেলেমেয়েরাই দেশের পড়ুয়া

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১

গরল বলেছেন: সেটা ঠিক বলেছেন, আমাদের জাতির মিশন ও ভিশন যেহেতু ঠিক নাই তাই এই চিন্তা কেউ করে নাই। এমনকি আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মিশন ভিশন আছে কিনা সেটাও আসলে জানি না।

৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জাপানী বা কানাডিয়ান যে কোন উন্নত দেশের একটা মডেলকে দেশীয় আঙ্গিকে মডিফাই করে নেয়া যেতেই পারে।

করবেটা কে?

চলুক সিরিজ

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

গরল বলেছেন: আমরা অন্তত আমাদের বাচ্চাদের যেন এই অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নামিয়ে না দেই সেই চেষ্টাতো অন্তত করতে পারি।

৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন: তবে আমার লেখার বিষয় হচ্ছে শিক্ষা ব্যাবস্থা যা ওরা তৈরী করেছে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর।
জ্বী আমি ওটাই বলছিলাম আরকি। আপনার পুরোটা সম্পর্কে ধারণাও নেই ভাইজান। খালি বাইরে থেকে দেখে ধারণা নিতে যাবেন না।

৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২০

রিফাত হোসেন বলেছেন: + খারাপ হোক আর ভাল হোক ২য় মহাযুদ্ধের পর ঘুরে উঠা! এটাই প্রধান ব্যাপার। ভাল ব্যাপারগুলো গ্রহণ করতে সমস্যা নেই, খারাপগুলো না করলেই হল। কি বলেন?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৫

গরল বলেছেন: জ্বী সহমত আপনার সাথে, একটা ধ্বংস স্তুপ থেকে ওদের ঘুরে উঠাটাই আমাকে খুবি অনুপ্রাণিত করে। ওরা একটা জিনিষ বুঝে যে শিশুরাই জাতির মেরুদন্ড এবং তাদেরকে কিভাবে গড়ে তুলতে হয়।

৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৮

জনদরদী বলেছেন: প্রাইমারী লেভেলের শতকরা ৯০ ভাগ শিক্ষকের শিক্ষক হবার যোগ্যতা নাই । তবে সেই শিক্ষকরা চাইলেই নিজেদের যোগ্য করে তুললে পারে । দুর্বলতাগুলো কাটানোর কোন আগ্রহ বা প্রচেষ্ঠা তাদের মধ্যে নাই । আমাদের দেশের শিক্ষাবিদরা এবং আপনাদের মত কিছু আগ্রহীরা বিভিন্ন রকম পদ্ধতি নিয়ে এসে কিছুই করতে পারবেন না, যতক্ষন পর্যন্ত তারা সেই পদ্ধতিগুলোর যোগ্য হয়ে উঠে । সরকার হয়ত তাদের বিভিন্ন ট্রেনিং দিতে পারে, কিন্তু সেই প্রাপ্ত নলেজটা প্রয়োগ করা আগ্রহ বা ইচ্ছা না থাকলে কখোনই সেই ট্রেনিংটা কাজে আসবে না । সবচেয়ে বড় সমস্যা সরকারী চাকুরীর নিশ্চয়তা !!! যদি অযোগ্যদের চাকুরীচূর্ত করার কোন সিস্টেম চালু করা যায় এবং সেটা বাস্তবায়ন করা যায় তবেই সফল হওয়ার পথটা সুগম হবে । কিন্তু সেটা কি আসলে সম্ভব আমাদের দেশে ??

দ্বিতীয় সমস্যাটা হল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের । তারা সর্টকাট পদ্ধতি ও দূনীর্তির মাধ্যমে ভাল ফলাফলে খুব বেশি আগ্রহী ।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

গরল বলেছেন: চমৎকার বলেছেন, আমি আসলে অভিভাবকদের সচেতনতার জন্যই এসব লিখছি। শিক্ষা ব্যাবস্থার কথা বাদ দিলাম কারণ ওটা একটা অসুস্থ বলয়ে পড়ে গেছে। কিন্তু আমরা অভেভাবকরাই বা কতটুকু সচেতন বাচ্চাদের নিয়ে। সেটাই আসলে মূখ্য উদ্দেশ্য কারণ বাচ্চাদের মূল্যবান শৈশবটা আমরা নষ্ট করে ফেলছি যার মূল্য একদিন সবাইকে দিতেই হবে।

১০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৩৭

মলাসইলমুইনা বলেছেন: "কুইনাইন জ্বর সারাবে কিন্তু কুইনাইন সারাবে কে" বহু বছর আগে এই প্রশ্নটা সম্ভবত সৈয়দ মুজতবা আলী করেছিলেন তার কোনো বইয়ে | আমাদের দেশে এই প্রশ্নটার উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি | যারা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের কাজ করবে গলদটা তাদের মধ্যেই | নাহিদ সাহেবের মতো মন্ত্রী যদি দশ বছর শিক্ষা মন্ত্রী থাকে কোনো দেশে তাহলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়া ছাড়া আমিতো আর কোনো অল্টারনেটিভ দেখিনা আমার সুখতম স্বপ্নেও | শুধু জাপান কেন অন্য অনেক দেশের সফল মডেলই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় হয়তো ব্যবহার করা সম্ভব কিন্তু তার জন্য যোগ্য লোক চাই আগে | কিন্তু আমাদের এই লোকদের দিয়ে আর আমাদের এই সিস্টেমের ভেতর থেকে সফল কিছু করাই অসম্ভব |

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

গরল বলেছেন: আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে, আমরা অভেভাবকরাই বা কতটুকু সচেতন। শিশুদের উপড় যে চাপ দেওয়া হয় তা দেখলে আমার আসলেই কান্না পায়। আমরা ভূলে যাই তাদের একটা শৈশব আছে, তাদের এই বয়সটা শুধু পড়ার বই এর মধ্যে বন্দী থাকার জন্য না। পরিবেশ ও প্রকৃতিকে বই এ পড়ে না চিনে অবলোকনের মাধ্যমে চেনাটাই কি বেশী ভাল না? আমরা কেন শিশুদের এনসাইক্লোপিডিয়া কেন মুখস্ত করাব? পাট পাতা, কুড়ে ঘড় বই পড়ে কেন চিনবে? চাল, ডাল, মাছ, মাংস যা খাই তা কোথা থেকে কিভাবে আসে এগুলো বইয়ে পড়বে কেন। Observation capability তৈরী না হলে সব কিছু যদি পড়ে শিখতে হয় তা হলে নতুন কোন পরিবেশে যেয়ে খাপ খাওয়াবে কিভাবে। এর জন্য অভিভাবকদেরও অনেক কিছু করার আছে।

১৯ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৪

গরল বলেছেন: কুইনাইনও কিন্তু সারিয়েছে বিজ্ঞানীরা আর তার ফলেই আমরা পেয়েছি অ্যামোক্সসিলিন, অ্যাজিথ্রমাইসিন ইত্যাদি ইত্যাদি।

১১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯

সোহানী বলেছেন: মলাসইলমুইনা এর মন্তব্যে সুপার লাইক।

আপনি যা বলেছেন এটাই সত্যিকারের শিক্ষা ব্যবস্থা। কিন্তু কে শুনে কার কথা, বা কার আছে মাথাব্যাথা্। যাদের চিন্তা করার কথা তারা এ নিয়ে খুব একটা চিন্তিত বলে মনে হয় না...........

++++++++ চলুক। অন্তত সবাই জানুক শিশু শিক্ষা কি?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

গরল বলেছেন: বলেছেন: আমার আসলে উদ্দেশ্য শিক্ষকদের ও অভিভাবকদেরকে সচেতন করা, সরকারের ঘুম ভাঙানো যাবে না এটা আমরা সবাই বুঝি। অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নামিয়ে বাচ্চাদের যেন অসুস্থ না বানিয়ে ফেলি। আমার মনে হচ্ছে অভিভাবকরা আরও বেশী অসুস্থ।

১২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন ও বাস্তবসম্মত করা যুগের দাবী।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

গরল বলেছেন: সহমত, একই দাবী আমাদের সকলের। তবে অভিভাবকদেরও একটা কর্তব্য ও দায়িত্ব আছে, সেটাই বা কতটুকু পালন করছি।

১৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:১২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমাদের কিছুই হবে না। এ জাতির জন্য যাদের ভাবার কথা তারা ভাবছেন না।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

গরল বলেছেন: আপনি সচেতন হোন, আপনার সন্তানের জন্য ভাবেন। আপাতত এইটুকুই যথেষ্ট, সন্তানকে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় ঠেলে দেবেন না দয়া করে। তাকে তার শৈশব উপভোগ করতে দিন।

১৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৩৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অব্যাহতভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে থাকলে এবং ফালতু কোটাপদ্ধতি নিয়ে সরকার গোঁয়ার্তুমি করতে থাকলে জাপান/জার্মান/আমেরিকা সহ মহাবিশ্বের সর্বোন্নত শিক্ষাব্যবস্থা চালু করেও কোন কাজ হবে না - বিদ্যালয়গুলো থেকে ঠিক একই নিম্ন মানের প্রোডাক্টই বের হবে

২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১৩

গরল বলেছেন: বলেছেন: আপাতত আপনি সচেতন হোন, আপনি যেন আপনার সন্তানকে প্রশ্নপত্রের পেছনে লাগিয়ে না দিন। তাতেই যতটুকু লাভ হবার হবে।

১৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০০

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: চমৎকার বিষয়ের অবতারণা করেছেন।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

গরল বলেছেন: ধন্যবাদ সাথে থাকবেন, আরও পর্ব আছে সামনে।

১৬| ০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:১২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চলমান শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত মান নিয়ে অসন্তোষ আছে।কর্তৃপক্ষ এর থেকে উত্তরণের বিষয়ে কতুটুকু আন্তরিক সে বিষয়ে ব্যাপক সন্দেহ বিরাজমান । ভালো বিষয়ে আলোকপাত করেছেন ।

০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৩

গরল বলেছেন: ধন্যবাদ, সাথে থাকবেন আর সবাইকে সচেতন করবেন। বিশেষ করে অীভাবকদের, তারা যেন বাচ্চাদেরকে অমানবিক প্রতিযোগিতায় ঠেলে না দেয়।

১৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:২০

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: আমি জাপানে খুব কম সময় ছিলাম মাত্র তিন মাস। ওদের শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে আমারও লিখার ইচ্ছা ছিল। পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে লিখা হয় নাই। আপনি ভাল লিখেছেন । অনেক ধন্যবাদ ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬

গরল বলেছেন: আপনিও লিখুন কারণ আমার লেখায় হয়ত অনেক কিছুই নেই যা আপনি লিখতে পারবেন। শুভকামনা রইল, ভাল থাকবেন।

১৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ভালো লিখেছেন। আসলেই আমাদের উচিত এগুলি আমাদের দেশের আলোকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করা।

ওরা একটা শিশুর সার্বিক উন্নয়নকে মাথায় রেখে শিক্ষাক্রম এবং স্কুলের নিয়ম কানুন নির্ধারণ করে থাকে। এই কারণে শুধু পুঁথিগত লেখাপড়া নয় বরং শারীরিক, মনস্তাত্ত্বিক, বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ লাভ করে একটা বাচ্চা যেন সমাজে ভালোভাবে বাঁচতে পারে সেইভাবে শিক্ষা পদ্ধতি প্রণয়ন করে থাকে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:৫৩

গরল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আগ্রহ নিয়ে আমার ব্লগ পড়ার জন্য, আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল শিক্ষটাকে উপভোগ্য করতে হবে। আমাদের দেশের শিক্ষা একটা ভিতীকর ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে, বাচ্চাদের জ্বর চলে আসতে দেখেছি পরীক্ষার আগে। বেশীর ভাগ বাচ্চাকে দেখেছি স্কুলে না যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করে, অথচ আমার মেয়ে একদিন স্কুলে কোন কারণে যেতে না পারলে কেদেকেটে একাকার করত। নিজের বাচ্চাদের ব্যাপারে সতর্ক হউন সবার আগে। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.