নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ শুধু মানুষের জন্য না, জগতের সকলের জন্য

গরল

জগতের সকল প্রাণী শান্তি লাভ করুক

গরল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ে কিছু ভূল প্রচারণা ও উচ্চাশা - এটা মূলত টিভি ব্রডকাষ্টিং স্যাটেলাইট

১৩ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

স্যাটেলাইটের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ অত্যান্ত ব্যায়বহুল ও ধীরগতির, যার কারণে পৃথিবীর কোন দেশই আর স্যাটেলাইট ব্যবহার করে না, সাবম্যারিন কেবল ও টেরেস্ট্রিয়াল ফাইবার কেবল ইউজ করে। শুধুমাত্র জাহাজ ও বিমান এরকম দুরভিজান করে এরকম ক্ষেত্রেই কেবল স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যাবহার করা হয় তবে আমাদের স্যাটেলাইট দিয়ে টেলিযোগাযোগ সম্ভব না। কারন টেলিযোগাযোগের জন্য ট্রান্সিভার দরকার হয় আর আমাদের স্যাটেলাইটে আছে ৪০টা ট্রান্সপন্ডার যা শুধুমাত্র ব্রডকাষ্টেই ব্যাবহৃত হয়, যেমন টিভি ব্রডকাষ্টিং।

ট্রান্সিভার মাল্টিপল সেন্ডারের কাছ থেকে সিগন্যাল গ্রহন করে ও প্রত্যেকটা সেন্ডারের জন্য আলাদা আলাদা রিসিভারের কাছে সিগন্যাল পৌছে দেয়। আর ট্রান্সপন্ডার সেন্ডারের সিগন্যাল গ্রহন করে ও তা অ্যাম্পলিফাই (বিবর্ধন) করে আবার ফেরত পাঠায় যাতে বহু সংখ্যক গ্রাগক ঐ একই সিগন্যাল গ্রহন করেতে পারে। অনেকটা টিভি বা রেডিও রিলে ষ্টেশনের মত। এবং মাঝখানে কানেকশন কেটে গেলে পরবর্তী সময় থেকেই সিগন্যাল গ্রহন করতে পারে গ্রাহক, বিরতীর সময়টুকুর সিগন্যাল আর পায় না। কিন্তু ট্রান্সিভার নির্দিষ্ট কোন গ্রাহক কোন সিগন্যাল মিস করলে তাকে ঐটাই আবার পূনরায় পাঠায়।

এবার আসি আবহাওয়া ও দূর্যোগ মোকাবিলা। আবহাওয়া পর্যবেক্ষনের জন্য দরকার হয় হাই রেজুল্যুশন ক্যামেরা, রাডার ও Visible and Invisible Electromagnetic Spectrum Sensor, মানে দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান আলোক বা তাপ তরঙ্গ ধারণ করার মত সেন্সর ডিভাইস যা আমাদের স্যাটেলাইটে নেই কারণ আমাদেরটা ওয়েদার স্যাটেলাইট না আর ওগুলো হয় Geostationary and Polar Orbital, কিন্তু আমাদেরটা Geosynchronous। অতএব টেলিযোগাযোগ, আবহাওয়া ও দূর্যোগ পর্যবেক্ষন বা পূর্বাভাষ, এসব সুবিধা কোনভাবেই আমরা পাব না।

মূলত এটা টিভি ব্রডকাষ্টিং এর জন্যই ব্যাবহার করা হবে এবং সে লক্ষ্যেই এটাকে পাঠান এবং এ দিয়ে হয়ত বৈদেশিক মূদ্রা আসলেও আসতে পারে যদি কোন বিদেশী টিভি চ্যানেল আমাদের ট্রান্সপন্ডার ভাড়া নেয়।

এরপর যেটা বলছে যে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ, এটা সম্ভব না কারণ এর জন্য দরকার ট্রান্সিভার আর স্যাটেলাইটের ব্যান্ডউইথ অনেক ধীরগতির ও ব্যায়বহুল যার থেকে সাবম্যারিন কেবল অনেক সস্তা ও দ্রুত গতির। অতএব এই উপকারে এটা কখনই আসবে না।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১

নাঈম আশফাক বলেছেন: ভালো লিখেছেন

১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:২০

গরল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৩ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জানার আছে অনেক
বোঝার তার চেয়েও বেশী্র্
আমাদের দেশের ল-মেকাররা কি করে?
তারা আগে বোঝেনা কেন?
১৯৯৯ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎ্ক্ষেপন
চেষ্টা চলছে, ১৯ বছর পর সফল হলো, আপনি
এতদিন চুপ করে ছিলেন কেন/

১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৩

গরল বলেছেন: এতদিন কেউ জানত না আসলে কি ধরনের স্যাটেলাইট পাঠান হচ্ছে, এবং সজিব ওয়াজেদ জয় এর বক্তব্য থেকে আমি জা জেনেছি তা থেকেই লিখেছি। স্যাটেলাইটের স্পেসিফিকেশন না জানলে কিভাবে লিখব, এখন জেনেছি তাই লিখেছি। ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:০০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এতো কিছু বুঝিনারে ভাই তাইতো আমি হাবা।

১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৫

গরল বলেছেন: যে যত হাবা সে তত সুখী, আমিও হাবা থাকতে চাই।

৪| ১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধন্যবাদ, টেকনিক্যাল দিক ব্যাখ্যা করার জন্য; টাকাগুলো পানিতে ফেলা হয়েছে।

১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৯

গরল বলেছেন: পুরো স্পেসিফিকেশন তো সরকার কখনই দেয় নাই, সজিব ওয়াজেদ জয় এর বক্তব্য থেকে জতটুকু জেনেছি তা থেকেই লিখেছি। এর আগে জয় যখন ওয়াইম্যাক্স নিয়ে আসে তখনও বলেছিলাম যে এটা কিছুদিনের মধ্যেই অকার্য্যকর হয়ে পড়বে থ্রিজি চলে আসলে। শুধু শুধু হাযার কোটি টাকা খরচ করেছিল ওয়াইম্যাক্সের পেছনে।

৫| ১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:১৩

অক্পটে বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার ব্যখ্যায় মনের ভেতর জমে থাকা অনেক কিছু পরিস্কার হলো। টাকা গুলো জলেই গেছে। হাবাগোবা জনগণের কাছে হাসিনা একটা সুপার পাওয়ারের নাম তিনি যা ইচ্ছে তাই করে ফেলতে পারেন। আপনি যেই ব্যখ্যা দিলেন তাতে করে সুপার পাওয়ারের কর্মী বাহিনী ইতি মধ্যেই আপনাকে রাজাকার দলের অন্তর্ভূক্ত করেছে। কিছুক্ষণ পরে এই ট্যাগেই আপনার পরিচিতি রেজিষ্ট্রি হবে।

১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

গরল বলেছেন: স্যাটেলাইট পাঠানো ভালো না খারাপ হয়েছে, লাভ না ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে আমি কিছু বলি নাই। শুধু শুধু মানুষ বেশী আশা করবে তাই টেকনিক্যাল দিকটা বুঝিয়ে দিলেম আর কি। তবে রাজাকার বলার লোকের অভাব নাই, আবার নাস্তিক বলার লোকেরও অভাব নাি। অতএব ওসব ভেবে বসে থাকলেতো জীবন চলবে না। একটা বিখ্যাত উক্তি আছে উইনসটন চার্চিলের "You will never reach your destination if you stop and throw stones at every dog that barks"। সুতরাং অতসত না ভেবে যার যার কাজ সে সে করে যাই, কি বলেন, অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৬| ১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:১৭

তার ছিড়া আমি বলেছেন: ধন্যবাদ, বুঝিয়ে বলার জন্য। সরকার আমাদেরকে এইভাবে বুঝিয়ে বলে না।

১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪০

গরল বলেছেন: সরকার বুঝিয়ে বললেতো আর চমক থাকবে না, সামনে নির্বাচন। ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সরকার নিজের ইচ্ছেমত যা-তা করতে পারে বলেই আমাদের এই অবস্থা। মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত ফ্যামিলির প্রাপ্তবয়স্ক প্রায় সবাই দিনরাত খেটেও শান্তির দেখা পাচ্ছে না। আর সরকার....!

ধন্যবাদ ব্যাখা করে বলবার জন্য।

১৪ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

গরল বলেছেন: সহমত, আমরা আসলে শান্তির পেছনে না ছুটে টাকার পেছনে ছুটছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

৮| ১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের নিজস্ব স্যাটেলাইট হয়েছে অনেক গর্বের বিষয়। এটা অবশ্যই খুবই সাহসী উদ্যোগ....। আমার দেশের নিজেদের প্রথম স্যাটেলাইট নিয়া আমার উৎসাহের কোন সীমা পরিসীমা নাই। ঈদ ঈদ লাগতেছে।

সমুদ্র বিজয় থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত যা করেছেন তার অনেক কিছুই যুগান্তকারী পদক্ষেপ। নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।

সারা বিশ্ব দেখে যাও, মহাকাশে আমরাও...

সমালোচনা সকল কাজের গতি আনে, তবে তা যদি হয় গঠন মুলক।

১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯

গরল বলেছেন: ভাই ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন ছাত্র নিজেরা কম পয়সায় ন্যানো স্যাটেলাইট বানালো, নাসা তাদের খরচে সেটা মহাকাশেও পাঠাল সেটা নিয়ে কেন কারো গর্ব হল না। সরকার তাদের নুন্যতম সম্মান জানাল না, কোন অনুদান তো দুরের কথা। আমরা আসলে কি নিয়ে গর্ব করতে হয় সেটাই জানি না। সরকারের উচিৎ ছিল তাদেরকে এই প্রজেক্টে আত্মীকরণ করা কারণ তাদের স্যাটেলাইট আফ্রিকার গরীব দেশগুলো কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে। বাংলাদেশের জন্য কি এটা কোন সম্ভবনা নিয়ে আসত না?

৯| ১৪ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ টেকনিক্যাল বিষয় গুলো নিয়ে সুন্দর ব্যাখ্যা দেবার জন্য।
অতি আশা আর অতি নিরাশা দুটাই ভাল না।
তবে আমি মনে করি এর মাধ্যমে আমরা একটা ধাপে এগিয়েছি। লাভ ক্ষতি টাকার অঙ্কে বিবেচনা না করে সুদুর প্রাসারী চিন্তায় মনোযোগ দেই। অন্তত এই টেকনোলজীর সাথে পরিচিত হতে পারছি। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে আমরা নিজেরাও স্যাটেলাইট বানাতে পারবো। এদিক থেকে তো এগিয়ে গেছি !!!

সরকারি নীতিনির্ধারকদের গাফিলতির কারনে সাবমেরিন ক্যাবল স্থয়াপনে রাজি না হয়ে বিএনপি আমলে আমরা অলরেডী নিজেদেরকে কয়েক বছর পিছনে পড়ে গেছি। না হলে আইটি সেক্টরে আর আঊট সোর্সিং এ আমরা এখন আরো উপরে উঠে যেতে পারতাম। যাই হোক যা হয়ে গেছে তা নিয়ে কান্না কাটি না করে সামনে এগিয়ে যাই। আর ঢালাও ভাবে নেগেটিভ না হয়ে ভালো মন্দ সব দিক বিবেচনা করে আশার সঞ্চার করি বুকে। দেশটা এগিয়ে যাবে। যে সরকারই আসুক, নিজেদের গুন গান সবাই গাইবে। তাই বলে সব কিছুর বিরোধিতায় অবগাহন করে শান্তি খোজায় কোন দেশ প্রেম হয়না।

১৪ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

গরল বলেছেন: অনেক সুন্দর কথা বলেছেন, একটু হলেও তো এগিয়ে গেলাম। আমি শুধু টেকনিক্যাল দিকটা নিয়ে বললাম কারণ কারোই আসলে এই বিষয়ে কোন আইডিয়া নেই বলে মনে হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

১০| ১৪ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রজেক্ট টা লস হবে বোঝাই যাচ্ছে। চিরাচরিত নিয়মে এটা নিয়ে দূর্নীতিও হবে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, কোন কিছুই পরিস্কার করে না বলা। যত গোপনীয়তা, ততই দূর্নীতির আশংকা।
আমাদের ক্রিকেট টীম হারলেও যেভাবে পজিটিভ দিক খুজে বের করে, আমাদেরও এখন সেভাবে এর পজিটিভ দিকগুলো দেখতে হবে। এছাড়া অবশ্য আর কোন উপায়ও নাই! টেকনিক্যাল দিকগুলো জানলাম। অনেক ধন্যবাদ।

১৪ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

গরল বলেছেন: আসলেই তাই, নিজেদের একটা স্যাটেলাইট আছে এটা ভেবে ভেবে সুখ পাই। সেই সুখে অন্যসব ভুলে যাই যাতে অনেক কিছু ঢাকবার জন্য এটা একটা মোক্ষম হাতিয়ার হয় সরকারের। শুভকামনা রইল আপনার প্রতি।

১১| ১৪ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

শরীফুর রায়হান বলেছেন: বিষয়টা এতদিনে ক্লিয়ার হল। ধন্যবাদ

১৪ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

গরল বলেছেন: আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

১২| ১৪ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আরেকটু বিস্তারিত লিখলে ভালো হত। আচ্ছা এটা দিয়ে কী উপকার হবে আমাদের? কোন উপকারই কি হবে না?

১৪ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

গরল বলেছেন: এটা মূলত একটা টিভি ব্রডকাষ্টিং স্যাটেলাইট আর তাও আবার রেঞ্জ ইন্দোনেশিয়া থেকে সৌদিআরব পর্যন্ত। নিচে ভোরের সূর্যের কমেন্টটা পড়লেই বুঝবেন কি লাভ হবে। তবে আবহাওয়া পর্যবেক্ষন বা টেলিযোগাযোগ হবে না এটা দিয়ে। লাভের মধ্যে লাভ হল একটা স্যাটেলাইট আছে এই ভেবে সুখ পাওয়া। ধন্যবাদ।

১৩| ১৪ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

ভোরের সূর্য বলেছেন: বঙ্গবন্ধু-১ উপগ্রহটির রেঞ্জ ইন্দোনেশিয়া থেকে সৌদিআরব পর্যন্ত।তার মানে সে এই রেঞ্জের মধ্যে থেকে পাওয়া আবহাওয়া,টেলিযোগাযোগ ইত্যাদির তথ্য দিতে পারবে।কিন্ত বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলো আফ্রিকা,ইউরোপ,আমেরিকা এবং ওশেনিয়া পর্যন্ত সার্ভিস দিয়ে থাকে তাই পুরোপুরি স্যাটেলাইট ভাড়া বাবদ ডলার দেশে থাকবে এটা ভুল।আর এটা দিয়ে আবহাওয়ার কোন আভাস পাওয়া যাবেনা কারণ এতে কোন ক্যামেরা নেই।

এখন পযন্ত যা বুঝেছি তাতে ৩০০০কোটি(এর সাথে ১৫ বছরের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ যোগ হবে) টাকা খরচ করে আমাদের দেশের একটি স্যাটেলাইট আছে এটা গর্বে করে বলা ছাড়া আর কাজের কাজ কিছুই হবে না।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

গরল বলেছেন: পুরোপুরি একমত, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

১৪| ১৪ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮

বিষাদ সময় বলেছেন: বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটালাইট মূলত একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এর পক্ষে ঢোল পিটানো বা এর বিপক্ষে বেহুদা কথা বলার লোকের অভাব নাই। তারপরও মনে হয় বাঙালী জাতি এ নিয়ে গর্ব করতেই পারে। আপনি এর টেকনিকাল দিক চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন, সেজন্য ধন্যবাদ।

আওয়ামী ঘরনার বাইরের অনেক টেকনিকাল পারসন এ ব্যাপারে মোটিমুটি নিরপেক্ষ মত দিয়েছেন। তাদের ব্ক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে আবহওয়ার পূর্বাভাস এ স্যাটালাইট দিতে পারবে না। তবে দুর্যোগ ব্যস্থাপনার কাজে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে এ স্যাটালইট ব্যবহার করা যাবে। কিন্ত আপনি বলছেন-

এরপর যেটা বলছে যে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ, এটা সম্ভব না কারণ এর জন্য দরকার ট্রান্সিভার আর স্যাটেলাইটের ব্যান্ডউইথ অনেক ধীরগতির ও ব্যায়বহুল যার থেকে সাবম্যারিন কেবল অনেক সস্তা ও দ্রুত গতির। অতএব এই উপকারে এটা কখনই আসবে না।

আশা করি এখানে একটি বিষয় ক্লিয়ার করবেন যে এই স্যাটালইট দিয়ে ইন্টারনেট সেবা দেয়া সম্ভব না, নাকি ব্যায়বহুল?

১৪ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

গরল বলেছেন: টেলিযোগাযোগ, মানে ভয়েস এবং ডাটা কমিউনিকেশন বা ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সম্ভব হবে না কারণ এর ট্রান্সিভার নেই। শুধু যেটা পারবে সেটা হল SOS বার্তা বা টেলিযোগাযোগের কিছু সিগন্যাল ব্রডকাষ্ট করতে পারবে এবং সেগুলো সব ওয়ান ওয়ে যোগাযোগ যেমন রেডিওতে মেসেজ ট্রান্সমিট করার মত। অতএব এগুলো কোন ভ্যালু অ্যাড করবে না।

১৫| ১৫ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১

হাঙ্গামা বলেছেন: স্যাটেলাইট নিয়া গর্বের কি আছে বুঝি না।
গরিবের ঘোড়া রোগ। আজিব বাঙ্গালী।

১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬

গরল বলেছেন: যে গ্রামে কোন টিভি নাই সেই গ্রামে কেউ একটা টিভি কিনলে গ্রামের সবাই যেমন গর্ববোধ করে, এখানেও ব্যাপারটা সেরকমই। ধন্যবাদ মন্ত্ব্যের জন্য।

১৬| ১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:২২

বিষাদ সময় বলেছেন: নিচের লিন্কটি থেকে ঘুরে আসার অনুরোধ রইল।
Bangabandhu Satelite-1

১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫২

গরল বলেছেন: ফয়েজ আহম্মেদের ব্লগ আইডি "এক নিরুদ্দেশ পথিক" এবং উনার ব্লগে আমি যেটা কমেন্ট করেছিলাম উনি সেটাই হুবহুব প্রথম আলোতে তুলে দিয়েছেন। উনার ব্লগের লিংকটা দিলাম, দেখে নিবেন। অনেক ধন্যবাদ খবরের লিংকটার জন্য।

http://www.somewhereinblog.net/blog/fateee/30239891#c12194316

১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩

গরল বলেছেন: বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বিজনেইস কেইসের একটি নির্মোহ বিশ্লেষণ- প্রত্যাশার ফানুশ বনাম নিরেট বাস্তবতা

১৯ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩

গরল বলেছেন: আচ্ছা আপনার কনফিউশনটা বুঝতে পেরেছি, ফয়েজ আহম্মেদ বলেছেন যে BS-1 দিয়েও ইন্টারনেট সেবা দেওয়া সম্ভব। এটা একধরণের জরুরী ব্যাবস্থা যাতে করে টিভি ডিশ দিয়ে ডাটা শুধু ডাউনলোড করা যায়। একসময় ভিস্যাট এর ইন্টারনেট খুব ব্যায়বহুল ছিল তাই তখন ভিস্যাট আপলিংক হিসাবে ব্যবহার করত মানে শুধু আপলোড করত কারণ ইন্টারনেটের আপলোড সাইজ ডাউনলোড এর মোটামুটি আট ভাগের এক ভাগ হয় যদি না ভয়েস বা ভিডিও কল বা কনফারেন্স হয়। আর ডাউনলোড করার জন্য টিভি স্যাটেলাইট ব্যাবহার করে ডিশ এন্টেনা দিয়ে শুধু ডাউনলোড করা হত এবং তাতে কম খরচ হত। এটা অনেকটা অপ্রচলিত ও
অনুপযোগী পদ্ধতি যা বর্তমানে অচল। তবে বাধ্য হলে বা সেরকম গরুরী প্রয়োজনে করা যেতে পারে। আমি কিন্তু বলেছি যে SOS বার্তা বা টেলিযোগাযোগের কিছু সিগন্যাল ব্রডকাষ্ট করতে পারবে এবং সেগুলো সব ওয়ান ওয়ে যোগাযোগ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.