নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ শুধু মানুষের জন্য না, জগতের সকলের জন্য

গরল

জগতের সকল প্রাণী শান্তি লাভ করুক

গরল › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে দেশগুলো তাদের শিশুদের সবচেয়ে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলছে বৈশ্বিক কর্মক্ষেত্রের প্রতিযোগিতা মোকাবিলায়

২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬



যখন কোন দক্ষতার কথা বিবেচনা করা হয় কর্মক্ষেত্রে টিকে থাকার জন্য যা এই অটোমেশনের যুগে নিয়োগকর্তারা কিন্তু সফট স্কিলের মত সামাজিক দক্ষতাগুলোই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে যেমন নেটওয়ার্কিং, যোগাযোগের দক্ষতা, নেগোশিয়েশন দক্ষতা, দলগত সাংগঠনিক দক্ষতা ও অজানা সমস্যা সমাধানের দক্ষতা। কারণ এখনও সফট স্কিলগুলো অটোমেট করা যায় না কিন্তু অনেক পেশাগত দক্ষতার লোকজন এখন আর প্রয়োজন হয় না সেগুলো অটোমেশন হয়ে যাবার কারণে। আর তাই উন্নত দেশগুলো তাদের শিশুরা শিশুকাল থেকেই যেন সফট স্কিলগুলো নিয়ে বেড়ে উঠে সে চেষ্টায় উঠে পড়ে লেগেছে। এবং এই কাজে বা এই শিক্ষায় অগ্রগামী বা সফল দেশগুলোর তালিকে তাদের সুচক সহ লিস্ট উপড়ে দেওয়া হয়েছে।

এরকম একটা বিশ্লেষধর্মী গবেষণায় যেটা করেছে PISA report (Programme for International Student Assessment), যা মূলত ১৫ বছর বয়সী শিশুদের উপর যেখানে তাদের বিজ্ঞান, গণিত ও পড়ে বুঝার দক্ষতার সমন্বয়ে এটা সমস্যা সমাধানে তারা কিভাবে দলগতভাবে সহযোগীতার ভিত্তিতে “collaborative problem-solving” দক্ষতা দেখাতে পারে তার মাপকাঠির উপরই ঐ স্কোরিংগুলো করা হয়েছে।


The Hamilton Project, যা ইউএসএর চিন্তাধারা যোগানদাতাদের একটা অর্থনৈতিক গবেষণার ফলাফল নিয়ে একটা রোপোর্টে দেখা গেছে যে, আমেরিকার এইচ আর ম্যানেজার রা “cognitive” স্কিল যেমন গণিত বা ভাষা দক্ষতার পাশা পাশি “non-cognitive skills” যা আসলে সফট স্কিল বলে কথিত তার উপরও সমান ভাবে গুরুত্ব আরোপ করছে।

রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে যে ২০% এইচ আর ম্যানেজার মনে করে যে সদ্য পাশকৃতদের পেশাগত দক্ষতার অভাব যেখানে অর্ধেকের বেশী ম্যানেজার মনে করে যে পেশাগত দক্ষতার চেয়ে তাদের কোন সমস্যার আদ্যপান্ত বুঝতেই বেশি সমস্যা হচ্ছে। সমান সংখক ম্যানেজাররা বলেছে লিখিত দক্ষতা ও যোগাযোগ দক্ষতার কথা - এখানে অবশ্য cognitive ও non-cognitive স্কিলকে আলাদা করে উনারা বলেন নি। এক তৃতিয়াংশ ম্যানেজার বলেছেন যে সদ্য পাশকৃতদের মধ্যে তথ্য বিশ্লেষণ ও দলগত কর্মদক্ষতার যথেষ্ট অভাব আছে।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর Future of Jobs Report ২০১৬ ইতিমধ্যেই নাকি বিতর্কিত হয়ে গেছে ২০২০ দ্বারা। ভবিষ্যতে সৃজনশীলতাই নাকি হবে চাকুরী প্রর্থীদের এক নম্বর দক্ষতা। সব কিছুই ধ্বসে যাবে নতুন পণ্য, প্রযুক্তি, চিন্তাধারা ও নতুন নতুন কর্মপদ্ধতির কাছে। তাই সৃজনশীলতা ছাড়া সম্পূর্ণ অজানা, আনকোরা নতুন জিনিষকে বুঝা ও সেটা নিয়ে কাজ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।

বিশ্ব আজ শিক্ষাকে কোন মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে আর আমরা এখনও কোথায় পড়ে আছি। আমরাতো এখনও পুথিগত শিক্ষটাই ভাল করে দিতে পারলাম না, সৃজনশীল শিক্ষা কবে দিব। তাহলে কি আমরা যুগ যুগ পিছিয়ে যাব?

These countries are best at preparing kids for the jobs of the future

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

সিগন্যাস বলেছেন: সুন্দর বলেছেন

২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

গরল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য, ভাল থাকবেন।

২| ২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



সৃজনশীলতার জন্য সায়েন্স, টেকনোলোজী, আর্টস, ফাইন্যান্স ও সাথে সাথে মানবতার সমন্ময় ঘটানোর দরকার; লজিক্যাল রিজনিং, লারনিং (মেশিন লারলিং টাইপের হয়তো) প্রসেস, সাথে সাথে সব ধরণের এ্যাপলিকেশন নিয়ে খেলার সুযোগ দেয়ার দরকার শিশু, কিশোর ও তরুণদের।

২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

গরল বলেছেন: আমাদের স্কুলের শিক্ষকরাতো সায়েন্স, আর্টস, কমার্সও ঠিক মত পড়াতে পারে না, লজিক্যাল রিজনিং আর ম্যাশিন লার্নিংতো তাদের কাছে রকেট সাইন্স।

৩| ২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের সায়েন্স ও টেকনোলোজীর লোকদের এসব নিয়ে কথা বলতে হবে, স্কুল অবধি এসব ধারণা পৌঁছতে অনেক সময় লাগবে।

২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

গরল বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন, এসব নিয়ে কথা না বললে কেউ জানবে না কি হচ্ছে সারা বিশ্বে আর আমরা কি করছি বা কোথায় আছি। পড়াশুনা বলতে এখনও আমরা নোট আর গাইড এর বেশি কিছু বুঝি না। বাচ্চারাতো তাদের টেক্সট বুক চিনেই না কারণ তারা টিচারের নোট আর গাইড বই পড়ে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০% ছাত্র ভর্তি হওয়ার পর থেকে পাশ করা পর্যন্ত শুধু বিসিএস গাইড ছাড়া আর কিছু তেমন পড়েই না।

৪| ২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১০

রাকু হাসান বলেছেন: আমাদের এমন টার্গেট করে এগিয়ে যাওয়া উচিত । আমরাও এগিয়ে যাচ্ছি কিন্ত যুগের চাহিদায় অতি মন্থর

২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

গরল বলেছেন: আমাদেরও টার্গেট আছে, স্কুলের ছাত্রদের টার্গেট জিপিএ ৫ আর বিশ্ববেদ্যালয়ের ছাত্রদের বিসিএস। এই হল আমাদের অবস্থা।

৫| ২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক গুলো বানান এডিট করে ঠিক নিন।

২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

গরল বলেছেন: ভাই বানানগুলো ধরিয়ে দিলে শোধরাতে সুবিধা হত কারণ বানান আসলে জানিই না তাই কোনটা ঠিক করব তাও বুঝতে পারছি না।

৬| ২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬

নাজিম সৌরভ বলেছেন: শিক্ষা নাকি জাতির মেরুদণ্ড ! কবে আমরা মেরুদণ্ড সজা করে দারাতে পারবো ?

২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

গরল বলেছেন: আমরাতো গড়িয়ে গড়িয়ে হলেও এগিয়ে যাচ্ছি তাই আপাতত সোজা হওয়ার দিকে কেউ মনোনিবেশ করছে না, এগিয়ে যাওয়াটাই মূল লক্ষ।

৭| ২৩ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২

কাইকর বলেছেন: বাহ..ভাল বলেছেন

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:০৩

গরল বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।

৮| ২৩ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আহা! আমাদের অবস্থানটা কই?
সুন্দর বিষয় তুলে ধরেছেন গড়ল ভাই।
আমরা পারি কোটি টাকা খরচ করে সোফিয়াকে আনতে। পরকে দিয়ে স্যাটেলাইট বানিয়ে আকাশে উড়িয়ে তালি বাজাতে। দেশকে স্বাবলম্বী করার জন্য সুনাগরিক গড়ার দিকে আমাদের নজর নেই।
একটা সময় উপলব্ধি করে সরকার এ বিষয় ভাববেন। শিক্ষাপদ্ধতির আমূল সংস্কার করে, বিজ্ঞানভিত্তিক ও মানবিক শিক্ষা প্রবর্তন করে উত্তর প্রজন্মকে গড়ে তুলবো আমরাই। আমাদের তরুণ প্রজন্ম দেশটাকে প্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, এই স্বপ্ন একদিন সত্যি হবেই হবে।

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:০৪

গরল বলেছেন: আমিও আশাবাদি আপনার সাথে যে একদিন আমরা প্রতির দিকে এগিয়ে যাব। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.