![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফুটবল খেলা হোক, রাজনিতী হোক বা ক্রিকেট খেলাই হোক, সমর্থদের মধ্যে একটা অদ্ভুত মিল লক্ষ করলাম। সবাই তার প্রতিপক্ষ দলকে শুধু নিজের চেয়ে নীচে নামিয়েই প্রমাণ করতে চায় যে তারাই সেরা। নিজেদের বড় প্রমাণের একটাই মাধ্যম তা হল প্রতিপক্ষকে কত নিচে নামাতে পারে।
আর একটা বড় মিল হল বিদ্বেষ, প্রতিপক্ষের প্রতি এত ঘৃণা ও বিদ্বেষ যেন তারা জন্মগত শত্রু। আর কোন ভাল বিকল্প না থাকা স্বত্তেও তারা কখনওই প্রতিপক্ষ দলকে সমর্থন করবেতো নাই উল্টো তাদের বিরোধিতা করবে। এবং প্রতিপক্ষের দু:সময়ে উল্লাস প্রকাশ করবে।
প্রতিপক্ষ যতই ভাল কাজ করুক বা ভাল খেলুক, এক দলের সমর্থকরা সেটা স্বিকার করবে না বা অভিনন্দনতো জানাবেই না বরংচ সেটাতে খুত বের করার বা অন্য কারো প্রভাব খাটানো বা অন্য কোন শক্তির বা হাতের কাজ বলে ধরে নিবে।
নিজের দল খারাপ করলেও সেটা হবে অন্য কোন হাত বা শক্তির কাজ যেমন রেফারী, আম্পায়ার বা টাকার কারসাজী।
কখনই তারা প্রতিপক্ষ দলের সাথে মুখোমুখি হতে চায় না, তারা চায় তাদের প্রতিপক্ষ অন্য কারো কাছে হেরে খেলা থেকেই বা রাজনিতী থেকেই বিদায় নিক।
এসব আসলে আমাদের সংস্কৃতিরই অংশ, আমরা আসলে অন্যকে ছোট করে বড় হতে চাই, কারো ভালো দেখতে পারি না এমনকি অন্য কেউ ভাল করলে সেটাও গ্রহণ করার মানসিকতা রাখি না। এটা আসলে আমাদের কে ছোট বেলা থেকেই শেখানো হয়। আমরা আসলে প্রতিযোগী না হয়ে প্রতিপক্ষ হয়ে যাই। এই মানসিকতা নিয়ে কি কোন জাতি কখনও বড় হতে পারবে? এমনকি খেলার সময়ও নিজের ভাই, বন্ধু, আত্মীয়, প্রতিবেশী সবাই যেন সবার প্রতিপক্ষ হয়ে যাই এবং খেলাটা উপভোগ না করে প্রতিপক্ষকে পচানোতেই বেশী আনন্দ পাই।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪২
গরল বলেছেন: কেনো ভাই, একটু বুঝিয়ে বলবেন?
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯
একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: একটা গামলাতে অন্যে গুলো কাঁকড়া রেখে দিন। দেখবেন যখনি একটা কাঁকড়া গামলার গা বেয়ে ওঠার চেষ্টা করে, তখনি অন্য কাঁকড়া তার দাঁড়া দিয়ে সেটাকে নিচের দিকে টেনে নামিয়ে আনে
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০১
গরল বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহহা, ভালোই বলেছেন ।
৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০২
রাজীব নুর বলেছেন: গত পাঁচ বছর ধরে মানুষ খুব বেশি হিংস্র হয়ে গেছে। মন মানসিকতা হয়ে পড়েছে নোংরা। এর থেকে পরিত্রানের কোনো উপায় নাই। দিন দিন এটা বাড়বেই। বেড়েই যাবে। কাজেই সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য উন্নত কোনো দেশে চলে যেতে হবে।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১২
গরল বলেছেন: দু:খজনক হলেও সত্য ও কঠিন কথা বলেছেন, মানুষজন কেমন যেন উগ্র হয়ে যাচ্ছে দিন দিন, এমনকি শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না নৃসংশতা থেকে।
৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিদেশের ফুটবল সাপোর্টারদের মাঝে শতকরা ৮০-৯০ জন ফুটবল খেলেছে বা হেলে; বাংলাদেশের সাপোর্টারদের মাঝে হাজারে ১ জনের কম ফুটবল খেলে; ফলে, এরা নিজেরাই অনেকটা আবর্জনা
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭
গরল বলেছেন: তার কারণও আছে, সেসব দেশে খেলাধুলাতো স্কুলের কারিকুলামের অংশ আর আমাদের দেশের শিক্ষক ও বাবা মায়েরা মনে করে খেলাধুলা হচ্ছে দুষ্ট ছেলেদের কাজ যারা পড়াশুনা করে না আর মেয়েদের জন্যতো খেলাধুলা একেবারেই নিষিদ্ধ।
৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬
রাকু হাসান বলেছেন: এ মানসিকতা থেকে আমরা কবে বের হয়ে আসবো ? বের হয়ে আসা টা অতিব জরুরি বলে মনে হয় ।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০১
গরল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিষয়টা অনুধাবন করার জন্য।
৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১
কিশোর মাইনু বলেছেন: আসলেই ঠিক বলেছেন ভাই।
আমরা আসলে কাধে কাধে মিলিয়ে চলার চেষ্টা করিনা।বরং আরেকজনের পা ধরে নিচে নামিয়ে তার কাধে পা দিয়ে উপরে উটে যাওয়ার চেষ্টা করি।
০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬
গরল বলেছেন: আমাদের স্কুল জীবন থেকেই একে অপরের সাথে একটা প্রতিদ্বন্দিতা তৈরী করে দেয় পরীক্ষ নামক প্রতিযোগীতার মাধ্যমে। টিমওয়ার্ক বা দলগত সাফল্য লাভ করা শেখানো হয় না তাই আমরা সবাই মিলে কোন কাজ করতে পারি না।
৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এগুলো সামগ্রিক অসুস্থ পরিবেশের প্রভাব। সুশাসন নেই, ঘুষ ছাড়া চাকুরি হয় না, পদে পদে ঘুষ, দুর্নীতি। হতাশ জাতি...
০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬
গরল বলেছেন: সহমত আপনার সাথে, অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯
একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: কথায় বলে বাঙ্গালী কাঁকড়ার জাত।