নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সারাদিন শুধু একা একা ভাবি!!!!!

রাইতের কইতর

নিজের সম্পর্কে বলার মতো যোগ্যতা এখনও অর্জন করিনি, চলছি সেই গন্তব্যের পথে, অজানা সেই গন্তব্য, এবং সেই গন্তব্যে পৌঁছার জন্যে আমার বিরামহীন প্রয়াস এবং সেখানটাতেই আমার আনন্দ।

রাইতের কইতর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রায়ের একটি অনুলিপি তুলতেই লাগবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা!

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

পিলখানায় বিডিআর হত্যা মামলার আসামিদের নিজ খরচে রায়ের একটি অনুলিপি তুলতে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করে খরচ লাগবে। আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামীম সরদার এ তথ্য জানিয়েছেন।

পিলখানা হত্যা মামলার এ আইনজীবী জানান, ‘জজ আদালত কর্তৃক আসামিদের দেয়া সাজার বিপরীতে হাইকোর্টে আপিল করতে রায়ের সার্টিফায়েড কপির (সত্যায়িত অনুলিপি) প্রয়োজন হয়। পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলাটির প্রায় ৪ হাজার পৃষ্ঠা। আদালতে মামলার সার্টিফায়েড কপি (সত্যায়িত অনুলিপি) তুলতে গেলে প্রতি পৃষ্ঠায় আমাদের ৩০ টাকা করে দিতে হয়। সে হিসেবে প্রত্যেক আসামিকে নিজ খরচে একেকটি রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি তুলতে হলে এ বাবদ খরচ পড়বে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।’

তিনি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৭১ ধারার বিধানমতে বিনামূল্যে রায়ের অনুলিপি চেয়ে আবেদন করেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১৩৯ জন আসামি। রায় প্রদানের তারিখ থেকে সাত দিনের মধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিলের কথা রায়ে বলা হয়েছে। কিন্তু রায়ের অনুলিপি না পাওয়ায় তারা এখন পর্যন্ত আপিল দায়ের করতে পারছেন না।’

রোববার আসামিপক্ষের আইনজীবী শামীম সরদার, ফারুক আহম্মেদ, রমজান আলী, এমদাদুল হক লালসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী আদালতের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন। মামলাটির বিচারিক আদালত ড. মো. আখতারুজ্জামান তাদের বলেন যে, রায়ের অনুলিপি পেতে দেরি হলেও আপিল দায়েরে সমস্যা হবে না। কেননা যেদিন রায়ের অনুলিপি সরবরাহ করা হবে অনুলিপিতে সেদিনের তারিখ থাকবে। ওই তারিখ থেকে সাতদিনের মধ্যে আপিল করা যাবে।

অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক বলেন, ‘আদালত যথাসম্ভব দ্রুত রায়ের কপি সরবরাহের কথা জানালেও কবে নাগাদ তিনি এ কপি সরবরাহ করতে পারবেন তা বলেননি।’

এরপর আইনজীবীগণ মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হকের কাছে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, ‘মামলাটির রায় বিশাল হওয়ায় সময় লাগবে। কেননা, ৪ হাজার পৃষ্ঠার রায় ৮৫০ আসামিকে দিতে হলে ৩৫ লাখ স্ট্যাম্প কাগজের প্রয়োজন হয়। তাতে কম্পোজ করা লাগে। এছাড়া রায়ের তুলনাকারককে ৩৫ লাখ কাগজের প্রত্যেক পাতায় স্বাক্ষর করতে হবে। এতে অনেক টাকার প্রয়োজন, লোকবল প্রয়োজন। আদালতের সীমিত লোক ও সামর্থ্য দিয়ে এত দ্রুত সবাইকে রায়ের কপি দেয়া সম্ভব হবে না। তবে কীভাবে রায়ের কপি দ্রুত সরবরাহ করা যায় তা তিনি দেখবেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১৫২ আসামির মধ্যে ১৩ জন পলাতক আছেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলায় ১৫২ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের রায় প্রদান করেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।

এছাড়াও ৪১৭ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ২৭৭ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৪১৭ আসামির মধ্যে ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।



সূত্তঃআমার দেশ

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

মদন বলেছেন: অনুলিপি দিয়া কি হবে? উচ্চ আদালতের বিচার? সে তো একই রেজাল্ট। সো দরকার কি ভেজাল করার?
আওয়ামীলীগ বাদে পুরো বাংলাদেশ ঝুলিয়ে দেয়া হোক।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯

রাইতের কইতর বলেছেন: শেষ চেষ্টাটা অন্তত করা উচিত।
এমনও ত হতে পারে এদের মধ্যে থেকে অনেক নিদোষ ব্যক্তি বের হয়ে আসবে। :(

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

খাটাস বলেছেন: চার হাজার পৃষ্ঠার রায়, ৩৫ লাখ পেজ আসামিদের দিতে হবে !!!! :|| :|| :|| ধারাবাহিক উপন্যাস ও মনে হয় এত বড় হয় না। B:-)

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

রাইতের কইতর বলেছেন: ঠিক বুইলছেন :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.