নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজ্জাদ হোসেন

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ

জানতে ও জানাতে আমার খুব ভাল লাগে।

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আয়কর ও কিছু টুকরো ভাবনা

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪

আয়কর বা Income Tax - কথাটা শুনলেই সবার কেমন যেন একটু অন্যরকম একটা ভাব চলে আসে। একটা "নিয়ে গেল, শেষ করে ফেলল" টাইপের অবস্থা পরিলক্ষিত হয়।



ব্যাপারটা আসলে কিন্তু স্থান, কাল, পাত্রভেদে অনেক ভিন্ন হয়। ছোটবেলায় যখন এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হত, তখন কিছুই বুঝতাম না। এখন বুঝি। আর আমাদের দেশে ব্যাপারটায় অনেকটা ট্যাবু টাইপের অবস্থা এখনও রয়েছে। এব্যাপারে কেউ কথা বলে না, তর্ক করে না। অর্থনীতি পড়তে গিয়ে বুঝলাম যে কেন অদক্ষ লোকদের পোষা হয়। মূলত ২ টা কারণঃ
১। না খেয়ে মরবে
২। উদাহরণের ও শিক্ষা দেবার জন্য অন্যদের

এর বাইরে আরও কারণ বিদ্যমান, সে আলোচনায় না যাই।
এবার আসি, মূল কথায়। আমরা ট্যাক্স নিয়ে এত সংকায় কেন? - অনেক কারণই আছে, এর মধ্যে আইনগত জটিলতা, প্রশাসিনক ও পদ্ধতিগত জটিলতা, লোকবলের অভাব ও সর্বোপরি সমষ্টিক অর্থনীতি ও দূরদর্শিতার অভাব রয়েছে।
যেমন, একজন ব্যক্তিকে ১০%-৩০% সরাসরি কর দিতে হয় তার আয়ের উপর। আর তার ব্যয়ের উপর ০%, ১৫%-৬০০% বা ততোধিক কর দিতে হয়। এতে করে তার জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে মান কমে যাচ্ছে। ফলে, সমষ্টিকভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি, যেটা কেউ দেখছে না। কোম্পানিগুলোও ৩৫%, বা ততোধিক সরাসরি করসহ আরও কর দিচ্ছে। ফলে, তার নিট আয় মোট আয়ের ৫% - ১০% এর মধ্যেই থাকছে, প্রবৃদ্ধি হচ্ছে না। দারস্থ হচ্ছে ঋণের।
যদি সরাসরি ও অন্যান্য কর আরও কম হত, ধরুন ব্যক্তি কর, যাইই আয় হোক না কেন, ২%, কোম্পানির ৫%, তাহলে সরকারি রাজস্ব কিছুটা শুরুতে কমলেও সমষ্টিকভাবে অনেক বাড়ত। কারণ, লোকজন তখন আরও বেশি আয় ও ব্যয় করতে পারত নিজেদের জন্য। বিভিন্নখাতে ভর্তুকি দেয়া লাগত না। কারণ, জনগণই নিজের খরচ চালাতে পারত।
আমি অনেককে চিনি যারা ব্যবসায় আসেন না এই কর সংক্রান্ত জটিলতার জন্য। যে পরিমাণ লাইসেন্স, অনুমতি নেয়া লাগে, এরসাথে যে পরিমাণ ঝামেলা ও ঘুষ দেয়া লাগে, সেটা বলার আর কোন অপেক্ষাইই থাকে না।
সরকারি সেবা নিতে গেলে কি পরিমাণ দুর্ভোগ, সেটা সবারই জানা, আর বেসরকারি খাতে খরচ বেশি। মোট হিসেবে - ২টাই সমান।

সামনেই আসছে ৩০ নভেম্বর, ট্যাক্স ডে। যারা জমা দিতে যাবেন, তারাই বুঝেন কি পরিমাণ লাইন থাকে।
যাইই, হউক, মোদ্দাকথা, বিভিন্ন করহার যদি সর্বোচ্চ ৬ বা ৭ টির মধ্যে হত, তবে এ নিয়ে ঝামেলা হতই না। জনগণ ও সরকারের ঝামেলা কম হত। জনগণও কর নিয়ে উদ্বিগ্ন হত না।

সাজ্জাদ হোসেন
ইনকাম ট্যাক্স প্র্যাকটিসনার

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪

রক বেনন বলেছেন: ভালো লিখেছেন। ট্যাক্স আসলেই ভীতিকর বেশিরভাগ মানুষের কাছে। আর আমাদের দেশে উৎসে কর কর্তনের প্র্যাকটিস খুবই কম তাই এ নিয়ে ঝামেলার পরিমাণ ও বেশি। সব থেকে বড় কথা, কর অফিসে টাকা ছাড়া কোন কাজ হয়না বললেই চলে। আর গত বছর থেকে করের অধিক্ষেত্র বাড়ানোর ফলে দেখেছি সাধারন মানুষের দুর্ভোগ।

১৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:২২

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ বলেছেন: কর অফিস নিয়ে কি আর বলব, আয়করের সাথে অর্থনীতি, রাজনীতি, হিসাববিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, ব্যবসায়ের জ্ঞান - এসব জড়িত যা কিনা এ বিষয়ের স্নাতকই নয়, সনদপ্রাপ্ত হিসাববিদের দরকার পরে। আক্ষেপের ব্যাপার এই যে, এই বিষয়ভিত্তিক এই জ্ঞানের কদর এখনও জাতীয়ভাবে স্বীকৃত নয়।

২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমার কোনো সম্পদ নেই।
তাই আমার কোনো ঝামেলাও নাই।

০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১০

তারেক ফাহিম বলেছেন: আগামীতে বিসিএস (কর) এর চাহিদা বেশি থাকবে মনে হচ্ছে।

০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ বলেছেন: দুখের বিষয় এখনকার করকর্মকর্তারা এসব নিয়ে পড়ালেখায় আরো বেশি মনোযোগী হবার দরকার থাকলেও হয়ত সময় করে উঠতে পারেন না।

৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫২

আমি মুক্তা বলেছেন: আমার কোন সম্পদ নেই নেই কর দেয়ার মত আয়, তাই আপাতত এ নিয়ে মাথাব্যথাও নেই। তবে আপনার পোষ্টে দারুণ কিছু যুক্তি আপনি দেখিয়েছেন, যাতে একটি দেশের সামগ্রিক উন্নতি সাধিত হয়। কিন্তু ভাই আমাদের নীতিনির্ধারকগণ তো এ নীতিতে চলবে না কারণ তাহলে যে পকেট থাকবে গড়ের মাঠ। তাইতো এখন আমাদের পরবর্তী তিন প্রজন্ম পর্যন্ত বিশাল ঋণের বোঝা চাপিয়ে তারা ইউরোপ বা আমেরিকা বা অন্যান্য দেশে টাকা-গাড়ি-বাড়ি করে বিলাসী জীবন যাপন করে।

ধন্যবান সুন্দর পোষ্টের জন্য।

০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৪৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আয়কর সরাস‌রি ব্যাংক থে‌কে কে‌টে নেয়া উ‌চিত। তা‌তে ফা‌কির প্রবণতা কম‌বে।

০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ বলেছেন: এতে জটিলতা আছে।

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের ট্যাক্স- জি ডি পি রেশিওর অবস্থা খুবই করুণ। এর কারণ বাংলাদেশে মধ্যবিত্তদের উপর করের বোঝা আয় অনুপাতে বেশী হলেও বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রকৃত করের ৪ ভাগের ১ ভাগও দেয় না। অনেক পাইকারি ব্যবসায়ী হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করে কিন্তু নামে মাত্র কর দেয়। কর বেশী আসতে হবে ব্যবসায়ীদের থেকে। অডিট ফার্ম গুলি ট্যাক্স চুরিতে সাহায্য করছে। তবে আহরিত ট্যাক্স থেকে জনগণ খুব সামান্য সুবিধা পাচ্ছে দেশের দুর্নীতির জন্য।

০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫০

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ বলেছেন: না জেনেই অডিট ফার্মের দোষ দিয়ে দিলেন। একটাও ত প্রমাণ দিতে পারবেন না আপনার কথার পক্ষে।

৭| ০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই লিংকটা দেখতে পারেন। অডিট ফার্ম নিষিদ্ধ হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে দুর্নীতিগ্রস্ত কোম্পানিগুলো

এফ আর সি এবং সিএ ইন্সটিটিউট কতগুলি অডিট ফার্মের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে খবর নিয়ে দেখেন। কোম্পানিগুলি ব্যাংক ঋণের জন্য একটা ফার্ম থেকে অডিট করে আর ট্যাক্সের জন্য আরেকটা ফার্ম থেকে অডিট করে। বাংলাদেশের ৯০% সিএ ফার্মের আয়ের সিংহভাগ আসে ট্যাক্সের কাজ করে। ট্যাক্সের কাজ মানে মুলত লাভ কম দেখিয়ে ফাইনানশিয়াল স্টেটমেনটে সাইন করা। গত ৫ বছরে কতগুলি সিএ ফার্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে দেখে নেবেন। উপরের লিংকে দেখবেন বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর অনেক ফার্মের নাম আছে। এক বছরে ২ হাজার কোম্পানির অডিট করেছে এরকম ফার্মও আছে। এই লিংকটাও দেখেন। এক বছরে ২ হাজার কোম্পানির নিরীক্ষা করেছে এ মতিন অ্যান্ড কোম্পানি! । ব্যাংকের অডিটে যারা এদিক ওদিক করতে পারে তারা কি আপনি মনে করেন ছোট কোম্পানির ট্যাক্সের অডিট সঠিকভাবে করবে।

০৩ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৩৫

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ বলেছেন: দেখেন যারা ট্যাক্সের কাজ করে আর অডিট করে দুইটা কি এক কাজ?
আপনি কিন্তু একই বলছেন।
আপনি হয়ত জানেনই না যে হিসাব তৈরি করার কাজ অডিট ফার্মের না, কোম্পানির।
কোম্পানিগুলোতে "একাউন্টেন্ট" বলতে যারা আছে তাদের অবস্থা দেখেছেন?
এই যে রেগুলেটর যে কাজটা করল, সেটার সাথে আরও একটা কাজ যুক্ত করতে পারত; জানুয়ারি ১৫ মানে ১৫ই, এর ১ দিনও এদিক সেদিক না। আপনি ঢালাওভাবে সব দোষ অডিট ফার্মেকে দিলেন। আমি আপনাকে চ্যালেন্জ দিলাম, মাল্টিন্যাশনাল আর কতক বড় কোম্পানিগুলাকে বাদ দিয়ে বাকী যারা আছে, যাদের অডিটরের ফি ৮০ হাজার টাকার নিচে; এদেরকে ঠিকমত অডিট করতে গেলে সব কোম্পানি "এডভার্স রিপোর্ট" পাবে, না হলেও "অবশ্যই কোয়ালিফাইড" হবে। এর গ্যারান্টি দিচ্ছি ১০০ ভাগ।
সমস্যাটা কই?
প্রথমেই আসবে একোম্পানিগুলার কোন একাউন্টিং সিস্টেমই নাই।
যাইই হোক, আপনি যে রিপোর্টের লিংক দিলেন আর যা বলললেন সেটায় কোন মিল নাই।

আমার মতে কোম্পানি যেমনই হোক, তার নূন্যতম অডিট ফি ১০ লাখের নিচে না হওয়া উচিৎ। আর আইসিএবির ফি সিডিউল অনুযায়ী করলেও হয়। পারবেন কি এই টাকা অডিটরকে দিতে?
যদি না পারেন,অডিটরকে দোষ দেয়া বাদ দেন। দিনশেষে আমাদেরও পরিবার আছে, আমরাও মানুষ, হাওয়া খেয়ে কি বাঁচতে পারব?

৮| ০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: [link|https://cutt.ly/YmfaY0r|link 1

Link 2

৯| ০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.