নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিঙ্গিতকে আমরা টাকা বলি

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৬



আমরা যারা প্রবাসে শ্রম বিক্রি করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার কে শক্তিশালী করি তারা পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছি।

আমরা যারা মালয়েশিয়াতে আছি তারা মালয়েশিয়ার মুদ্রা রিঙ্গিতকে টাকা বলে ডাকে।

এক সময় রিঙ্গিত খুবই শক্তিশালী একটি মুদ্রা ছিল বলা যেতে পারে। ২০১৩/১৪ সালেও এক রিংগিত এর বিনিময় বাংলাদেশের ২৬/২৭ টাকার মত পাওয়া যেত। এরপর ধীরে ধীরে রিংগিত এর মান কমতে থাকে। এক পর্যায়ে উহা বাংলাদেশের টাকায় প্রায় ১৭ টাকাতেও নেমে আসে।

মালয়েশিয়াতে প্রবাসী শ্রমিকরা বেতন পায় রিংগিত হিসাব। আগে যারা মাসে ১০০০ রিঙ্গিত বেতন হিসেবে পেতেন তারা সেটা টাকাতে পরিবর্তন করলে ২৬ থেকে ২৭ হাজার টাকা পেতেন। কিন্তু তাদের বেতন আগের মতো থাকলেও বাংলাদেশী টাকায় তা এখন খুবই কম। আজকের মুদ্রা বিনিময় হার অনুযায়ী উহা ২০ হাজার টাকার সামান্য একটু বেশি।

শ্রমিকরা দেশে টাকা পাঠানোর জন্য বেশি নির্ভর করে অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউস এর উপর। এটি বাংলাদেশের অগ্রণী ব্যাংকের একটি কোম্পানি। রাজধানী কুয়ালালামপুরে বন্দরনগরী ক্লাং, জহরবারু, বুকিত মারতাজাম ইত্যাদি জায়গায় অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউজের শাখা অফিস আছে। এই সব অফিসে বাংলাদেশের কর্মকর্তা ছাড়াও মালয়েশিয়ান কর্মচারীরাও কাজ করে। এখানে টাকা পাঠাতে গেলে মালয়েশিয়ান কর্মীরা জিজ্ঞেস করেন, ভাই কত টাকা পাঠাবেন?

গত বছর থেকে সরকার একটি নিয়ম চালু করেছিল। এটা হচ্ছে বিদেশ থেকে কোন নাগরিক বাংলাদেশের ব্যাংক চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা পাঠালে ২% অতিরিক্ত পাবেন। অর্থাৎ কেউ যদি একশ টাকা পাঠায় বাংলাদেশে পাবে ১০৩ টাকা।

এখানে হুন্ডি ব্যবসায়ীদের ও আনাগোনা আছে। হুন্ডি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে অনেকে টাকা পাঠালেও হুন্ডি ব্যবসায়ীরা মূলত উপকার করে কালো টাকার মালিক দের। ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কালো টাকা বিদেশে আনা অনেকটাই কষ্টকর । তাই তারা হুন্ডির আশ্রয় নেয় কিংবা মাঝে মাঝে এলসি জালিয়াতির সাহায্য নেয়। যারা কালো টাকার মালিক ও অবৈধ ইনকাম আছে তারা মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম ইত্যাদি করে বসেছে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



মালয়েশিয়ায় বাংগালীরা কি ধরণের ব্যবসা করছেন?

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এখানে সব চেয়ে বড় ব্যবসা হচ্ছে আদম ব্যবসা । এ ছাড়া যারা ভাল ব্যবসা করতে চায় তারা কেউ কেউ গার্মেন্টসের ব্যবসা করছেন । অনেকে আবার এই দেশে বিবাহিত হয়ে ছোটখাটো ব্যবসা করছেন।

যারা সেকেন্ড হোম প্রোগ্রামে থাকছেন তাদের টাকার কোন সমস্যা নেই । তারা দেশ থেকে টাকা আনেন আর খরচ করেন।

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কথা ঠিক বলেছেন । মধ্যপাচ্য হতে লোক দেশে আসে টাকাকে বলে রিয়াল ।

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমেরিকাতে যারা থাকেন তারা ডলারকে টাকা নামে ডাকেন। ব্যতিক্রম কেবল ভারত। ভারতের মুদ্রা রুপি হলেও পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তাকে টাকা নামে ডাকে।

৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: মালোশিয়াতে বাঙ্গালী বেশী না চায়না বেশী?

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এখানকার চাইনিজরা মালয়েশিয়ার নাগরিক। তাদের মালয়েশিয়ার পাসপোর্ট এবং আইসি আছে।

এখানকার বাঙালির সংখ্যা 10 লাখের উপরে যারা বাংলাদেশ থেকে এখানে এসেছে কামলা দিতে। তাদের অনেকেরই তিন-চারটা করে পাসপোর্ট আছে। তবে সেগুলো বাংলাদেশী পাসপোর্ট।

সংখ্যার হিসাব চিন্তা করলে চাইনিজরা তো অবশ্যই বেশি । সারা দেশেই তাদের বসবাস। মালয়েশিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে চাইনিজরাই।

৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কেউ যদি একশ টাকা পাঠায় বাংলাদেশে পাবে ১০৩ টাকা। ???
মালয়েশিয়াতে নাকি তামিলদেরও আধিপত্য, এরা নানা ক্রাইমের সাথে জড়িত বলে শুনেছি।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৭:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: গতবছর সরকারি প্রণোদনা ছিল ২ শতাংশ । শুনেছি এবছর এটা ৩% করেছে। সেই কারণে এখানে থেকে 100 টাকা পাঠালে 103 টাকা পাবে।

ক্রাইম এর ব্যাপারে যেটা শুনেছেন তো সেটা ঠিক আছে। তবে যত বেশি শোনা যায় তত বেশি না।

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:০১

ওমেরা বলেছেন: টখকা বলে কেন ? হয় টাকা বলবে না হয় রিঙ্গিত বলবে ।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৭:৪৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঠিকই তো।

৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ২:০৯

রাফিন৯৯ বলেছেন: ভাই অফ টপিকে একটা হেল্প চাই, মালয়শিয়া থেকে মাসিক ১/২ কেজি পণ্য বেক্তিগত ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে কম খরছে কিভাবে আনতে পারি? কাইন্ডলি আই তথ্যটা জানালে খুব উপকৃত হব। এয়ার/ সী এইসব মাধ্যমে সিপিং কিভাবে করে বা খরচ কেমন পরে?

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৭:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এস এ পরিবহনের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন।
কাকরাইলে তাদের অফিস। মালয়েশিয়ার কোতারায়াতেও তাদের শাখা আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.