নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
বাংলাদেশে বিশেষত ঢাকা শহরে যা দেখছি তাদের আমার কাছে মনে হয়েছে- গাড়ীতে উঠে ড্রাইভিং সিটে বসেই ৫/৭ বার হর্ণ বাজানোই নিয়ম। তারপর গাড়ী/বাস/ট্রাক ইত্যাদি চলতে শুরু করলে প্রতি ৩/৪ মিনিট পরপর হর্ণ বাজাতেই হবে। নইলে গাড়ীর মান থাকে না।
দেশে অনেক মানুষের হাতে এখন টাকা আছে । ফলে ব্যক্তিগত গাড়ীর সংখ্যা শা শা করে বাড়ছে। বিগত ১০ বছরে ঢাকা শহরে তো বটে দেশের জেলা উপজেলা শহরেও এখন গাড়ীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে বলে মনে হয়। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শব্দ দূষণ।
ঢাকা শহরে কেউ বসবাস করলে অল্প দিনের ভেতরেই তিনি যে তার শ্রবণ শক্তির সমস্যায় পরবেন তা বলাই বাহুল্য।
আমি বুঝি না এতো জোরে কেন হর্ণ বাজাতে হবে? হর্ণ না বাজালে কি যারা গাড়ী ড্রাইভ করেন তাদের পেটের ভাত হজম হয় না?
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এখানে কেউই অন্যকে কোন প্রকার গুরুত্ব দেয় না।
কে বিরক্ত হলো বা কার সমস্যা হলো এটা নিয়ে কেউ ভাবে না।
২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৭
বিষাদ সময় বলেছেন: হর্ন বাজানোর মুজেজাটা সম্ভবতঃ আপনি এখনও বুঝতে পারেননি?
ঢাকা শহরে হর্ন বাজনোর নানা কারণ এবং ফজিলত আছে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
জানি না।
তবে মানুষ যে খুব তাড়াতাড়ি বয়ড়া হয়ে যাবে তাতে কোন প্রকার সন্দেহের অবকাশ নেই।
৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৭
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: এটা আমাদের অনেক পুরোনো ঐতিহ্য। আপনি যখন ড্রাইভিং শিখতে যাবেন ইন্ট্রাক্টর আপনাকে প্রথম যে কথাটা বলবে তা হল, "ষ্টিয়ারিং যখন ধরবেন তখন হাতের বুড়ো আঙ্গুল হর্ন এর উপর রাখবেন এবং একটু পর পর হর্ণ বাজাবেন।"
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমি ২০১৩ সাল থেকে গাড়ী চালাই।
৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:০৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হর্ন গাড়ির গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।
আমেরিকায় হর্ন বাদে কোন গাড়িকে ফিটনেস দেওয়া হয় না। এরপরেও আমেরিকার রাস্তায় কোন হর্নের শব্দ শোনা যায় না।
আমি আমেরিকায় এসে তিন মাস পর্যন্ত কোন হর্ননের শব্দ শুনি নি।
এরপর হর্ন দেওয়া হয় সাবধানতার জন্য, কোন মাতাল এলোমেলো গাড়ি চালালে তাকে হর্ন দেওয়া হয় সাবধানতার জন্য।
এদেশে অকারণে হর্ন দিলে মানুষ ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়। অনেকে গাড়ি থামিয়ে গাড়ির কাঁচে গুলি করে দিয়েছে এমন ঘটনাও শোনা যায়
২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:২৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনার মন্তব্য থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৭:৩৮
শার্দূল ২২ বলেছেন: হাসান ভাইয়ের কথা ঠিক আমেরিকাতে আমরা যখন হর্ণ শুনি তখন বুঝি বড় ধরণের কোন বিপদ সংকেত। যদিও নিউইয়র্কে ঘন বসতি এখানে একটু আধটু হর্ণ শোনা গেলেও এমন কিছু রাজ্য আছে যেখানে আমি ১৫ দিন টানা থেকেও হর্ণ শুনিনি।
আমাদের ধর্য্য ক্ষমতা অনেক কম, আস্তে আস্তে বদলাবে সব। সময় লাগবে।
২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৩০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি সঠিক বলেছেন।
৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:০৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যখন সিগনাল উঠে যায়, তখন সবাই এক যোগে এমনভাবে হর্ন বাজায় মনে হয় যেন, সে একাই সামনে যাবে, সামনে যে গাড়ি আছে সেটা যাবে না...
২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৩১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ঢাকাতে এটাই আসল চিত্র।
রোজই দেখি।
আমরা অসহায়।
৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা নিয়ন্ত্রণ করতে ১ সপ্তাহই যথেষ্ট। দেশের ট্রাফিক আইনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া থাকলে আর ট্রাফিক পুলিস সতর্ক হলে এটা নিয়ন্ত্রণ করা কোন ব্যাপার না। ঢাকায় এখন যেখানে সেখান গাড়ি পার্ক করা যায় না, সিট বেল্ট ছাড়া গাড়ি চালানো যায় না। কেস হয়ে যায়। এক সময় যেত। হর্ন বাজানোর ক্ষেত্রেও এটা সম্ভব। ঢাকা সেনানিবাসে গাড়ি অনেক শৃঙ্খলার মধ্যে চলে। কাজেই চাইলেই করা সম্ভব। দোষ জনগণের না দোষ যারা দেশ চালাচ্ছে তাদের। আপনারা শুধু জনগণের দোষ দেখেন। দেশের শাসক ঠিক হলে জনগণও ঠিক হয়ে যাবে। শাসক যদি ডাকাত হয় সেটার প্রভাব সব জায়গায় পড়ে।
২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৩২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
হলে তো ভালোই।
বদলানো খুব জরুরী।
আর কতকাল মানুষ ভোগবে?
৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৩১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে, হেলমেট ব্যবহার না করলে মামলা হয়ে যায়। অকারণে হর্ন দিলে সাথে সাথে মামলা দিয়ে দিলে এরা ঠিক হবে।
২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এটা ঠিক বলেছেন।
খুবই দ্রুতই এটা হওয়া দরকার।
৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: ইতর লোক অকাররনে হর্ন বাজায়।
২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
হর্ণ বাজানো খুব বেশী জরুরী না।
এতে শব্দ দূষণ হয়।
মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব পরে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪
বনজোসনা বলেছেন: খুবই বিরক্তিকর কানের কাছে এমন হর্ণ বাজানো। কিন্তু আমরা পথচারীদের যতো বেশি গাড়িঅলারা বিরক্ত করবে ততোই তাদের বড়লোকয়ানা বাড়ে বোধহয়। কাজেই বড়লোকদের এমন যন্ত্রণা নীরবে সহ্য করা ছাড়া আর কী করার আছে।