নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চোখ মেলে তাকাতেই লোকটি বলল- আমার বখশিশ কই? **************************************************

২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৫

চোখ মেলে তাকাতেই লোকটি বলল- আমার বখশিশ কই?
*********************************************************
কোন ডাক্তারেই কাজ হচ্ছে না। গেলাম দেশের সেরা হাসপাতালটিতে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একজন সহযোগী অধ্যাপক আমাকে অনেকগুলো টেস্ট দিলেন। এর মধ্যে একটি টেস্ট আমার কাছে খুবই জটিল মনে হচ্ছিল। কেননা, এই টেস্টটি করাতে নাকি অ্যানেসথেসিয়া দিতে হয়। এটা করাতে আমার কেমন যেন ভয় ভয় লাগে। কেবলই মনে হয় আর যদি জ্ঞান না ফিরে!

সে যাই হোক। শুভ দিন দেখে ধানমন্ডির ২ নম্বর সড়কের একটি বিখ্যাত ডায়াগস্টিক সেন্টারে চলে গেলাম যার নামের প্রথম অক্ষর প ( ইংরেজিতে P) দিয়ে শুরু। রিসেপশন থেকে বলে দিল লিফট ধরে ৬ তলায় চলে যেতে।

লিফটে উঠাও এক মহা বিড়ম্বনার ব্যাপার। কেউই লাইনে দাঁড়িয়ে কিউ মেনটেইন করতে চায় না। সবাই ঠেলাঠেলি করে উঠতে চায় । কেউ কারো জন্য সামান্যতম সৌজন্য দেখাতেও নারাজ। বড়ই অস্থির সবাই।

যাক কোনমতে নির্ধারিত তলায় গিয়ে দেখি আমার মতো আরও শ’ খানেক লোক/রোগী বসে আছেন। অনেক ক্ষণ অপেক্ষার পর আমার পালা এলো। কর্তব্যরত ব্যক্তিটি আমার কাগজপত্র দেখে বললেন- আপনি যদি অ্যানেসথেসিয়ার অষুধ আর সিরিঞ্জ বাইরে থেকে কিনে নিয়ে আসেন তাহলে এক রকম খরচ আর যদি আমাদের কাছ থেকে নেন তাহলে অন্য রকম খরচ। কোনটা করবেন সেটা আপনার বিবেচনা।

আমি একে তো রোগী মানুষ। তারউপর ওই জায়গার দোকান পাট তেমন কিছু চিনি না। চিনি কেবল সিটি কলেজ। তাই উনাদের সাপ্লাই থেকেই নিব বললাম। টাকা পরিশোধ করে আমি অপেক্ষা করতে থাকলাম। অনেক প্রতীক্ষাল পর এক সময় আমার পালা এল। আমি নির্ধারিত জায়গায় শুয়ে পড়লাম। আমাকে ইনজেকশন দেয়া হলো। ধীরে ধীরে এক সময় আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। যেন এক দীর্ঘ কাল সময় কেটে গেল। মনে হলো আমার কোন অসুখই নেই। আহা কি শান্তির ঘুম।

এক সময় আমার ঘুম ভাঙ্গলো। চোখ খুলে আমি অবাক হয়ে তাকালাম। একটু পরেই সব মনে পড়লো। সামনে তাকিয়ে দেখলাম এক লোক। তিনি সাদা এপ্রোন পরিহিত।

আমার সামনে এসে আগ্রহ সহকারে বলল- আমার বখশিশ কই?
আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না। কই আছি। চারিদিকে এতো মানুষ কেন। সহসাই সম্বিত ফিরে পেলাম।

- কিসের বখশিশ? কেন বখশিশ? আমি কি সুস্থ হয়ে গেছি!
- আপনার টেস্ট করা শেষ হয়েছে। বখশিশ দিবেন না??

বড়ই আচানক ঘটনা তো। আমি জানতাম- বাংলাদেশের যে কোন সরকারী অফিস, হাসপাতাল, থানা মানা এই সব জায়গায় গেলে চেয়ার টেবিল এমনকি ঘরের দেয়ালও বখশিশ চায়। কিন্তু বেসরকারী ডায়াগস্টিক সেন্টারে গেলেও বখশিশ চাইবে এটা আমার জানা ছিল না।
জীবনে কত কিছুই যে জানি না। এতো কম বুদ্ধি নিয়ে টিকে আছি কি করে। ডারউইনের থিওরী তো আমার দ্বারাই প্রমাণ করা যেতে পারে। মানুষ এতো বোকা হয় কি করে।
আফসোস!

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৪

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পোস্টটি পড়ে খুবই কষ্ট লাগলো। এরা রোগী নিয়ে যেন খেলা করে। কত বড় স্পর্ধা এদের যে বখশিশ চায় ! কেমন ম্যানেজমেন্ট !!!! এখন কি সরকারী বা কি বেসরকারী সব স্থানই প্রায় একই। এ যেন মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ--------

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মানুষ জনকে আমরা যতটা সহজ সরল মনে করি আসলে তত সহজ সরল নয়।
খুবই জটিল মানুষে ঠাসা পুরো দেশ।

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:০২

শেরজা তপন বলেছেন: ভাগ্য ভাল যে আপনার মানিব্যাগ নিয়ে যায় নি!

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:১৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নিয়ে নিতে পারতো।
কিন্তু কেন যে নিল না সেটাই তো অবাক করা ব্যাপার।

৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৫

সোনাগাজী বলেছেন:



জাতি নষ্ট হয়ে গেছে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ধর্মের আগাছায় ছেয়ে গেছে পুরো দেশ ।
আর ধর্মের আড়ালে মানুষের শয়তানি বেড়েছে অনেকগুণ।

৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:



টেষ্টের রেজাল্ট তো ভালো!

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:১৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

টেস্টের রেজাল্ট আমি কয়েক জন বিশেষজ্ঞকে দেখিয়েছি।
সবাই বলেছেন- টেস্টটা ত্রুটি পূর্ণভাবে করা হয়েছে। তারা পুনরায় টেস্ট করার পরামর্শ দিলেও আমি আর ঝুকি নিইনি।

৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২০

ঢাবিয়ান বলেছেন: ভয়ঙ্কর অবস্থা। মানুষের আচার আচরন জঘন্য পর্যায়ে পৌছিয়ে গেছে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:২০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

ভাইরে, আমার কাছে এখন পানিপড়া আর তাবিজ-কবচই সেরা চিকিৎসা মনে হয়।

৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: সব কিছু মেনে নিন। যেহেতু অন্য কোনো উপায় নেই।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:২৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

এই সমাজ বদলাতে হবে।
গড়তে হবে নতুন সমাজ।

৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:০৮

সোহানী বলেছেন: কি ভয়ংকর, সাজ্জাদ।

কেমন আছেন আপনি? কি হয়েছে? এখন কি দেশে?

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:২৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

জীবনে এখন চলছে লোকাল ট্রেনের মতো।
আপাতত ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক সহকারী অধ্যাপকের চিকিৎসা নিচ্ছি।
আমার কানাডার ভাগ্য খুলল না। এখনো আশায় আছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.