নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রামের মানুষ কেন শাকসব্জি কিনে খাবে? **************************************************

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪


ভুক্তভোগী মাত্রই এখন জানেন যে বাংলাদেশের ইতিহাসে এখনকার মতো শাকসব্জির উচ্চ দাম কখনোই ছিল না। বেশীর ভাগ শাক সব্জির দামই এখন কেজি প্রতি ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকার মধ্যে আছে। যদিও আলুর দাম এর প্রায় অর্ধেক (৫০/৬০ টাকা কেজি) তারপরও আলুর দামও ইতিহাসের সর্বোচ্চ এখন। কিছু দিন আগে কাচা মরিচের কেজিও ১০০০ টাকা ছুঁয়েছিল।

বাংলাদেশে শাকসব্জির দাম অনেক বেড়েছে। এটা খুবই সত্যি কথা। সাধারণ মানুষ এখন এগুলো কিনতে হিমশিম খায়। তবে আমার কাছে একটি ব্যাপার খুবই আশ্চর্য লাগে যে, এখন গ্রামেও নাকি বেশীর ভাগ মানুষ শাকসব্জি কিনে খেতে আরামবোধ করে। অথচ একটু ইচ্ছা করলেই গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে শাকসব্জি চাষ করে বাড়ির চাহিদা মিটিয়ে বিক্রিও করা সম্ভব।

গ্রামেও অনেক পয়সাওয়ালা লোকজন বসবাস করেন। তারা এটা কিনে খেতেই পারেন। কিন্তু যাদের খুব বেশী পয়সা নেই তার শাকসব্জি কিনে খেলে বিষয়টা খুব একটা ভালো লাগে না।

এমন একটা সময় ছিল যখন গ্রামের মানুষ সরিষার তেল, লবণ এই জাতীয় জিনিস ছাড়া খুব একটা বাজার নির্ভর ছিল না। উল্টা প্রতিটি বাড়ি থেকেই শাকসব্জি হাটে বাজারে বিক্রি হতো।

এখন মানুষের প্রেস্টিজ একটা বিরাট ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষ চাষবাস করতে লজ্জা পায়। এমনকি শখের কৃষিও অনেকে কাছে প্রেস্টিজের ব্যাপার হয়ে গেছে। কিন্তু শহরে কিন্তু যাদের নিজস্ব দালান আছে তারা ছাদ কৃষি করে উপকৃত হচ্ছেন।

গ্রামেও মানুষ এখন আবার হাটতেও লজ্জা পায়। সামান্য একটু পথও তারা হেঁটে যেতে চায় না। রিক্সা বা ব্যাটারি নির্ভর মোটর চালিতে ইজি বাইকে চলতে তারা খুবই আরামবোধ করে। এমনও হয়েছে যে, বিকাল বেলায় থানার মোড়ের চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে যাবে তখনও হেঁটে যেতে শরম লাগে। অথচ সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য হাঁটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৮

মিরোরডডল বলেছেন:




একদম যে হচ্ছে না তা কিন্তু না। এখনো হয়, তবে আগের মতো না।

ছোটবেলায় দেখেছি গ্রামের বাড়িতে নানারকম শাকসব্জি ফল ফুলের গাছ, কিন্তু এখন ওগুলো করার কোন লোক নেই।

বাড়ি ভর্তি মানুষ ছিলো, এখন মানুষই নেই, আর গাছ গাছালি!


২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

মানুষের হাতে এখন নগদ টাকা থাকায় তারা বেশীর ভাগই দারুণ অলস হয়ে গেছে।
তারা কাজ করতে লজ্জা পায়।

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৫

শিশির খান ১৪ বলেছেন: সময়ের সাথে সাথে মানুষের জীবন যাত্রার মান পরিবর্তন হয় এটাই স্বাভাবিক আপনার দাদা বা বাবা যে পেশায় জীবন জীবিকা নির্বাহ করতো আপনি নিশ্চই সেই একই পেশার মাধ্যমে জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন না। দেখেন জনসংখ্যা অনুযায়ী আমাদের দেশের আয়তন খুবই ছোট। কৃষি জমির আয়তন দিন দিন কমছে শিল্পায়ন বাড়ছে ফলে জীবন জীবিকায় পরিবর্তন আসাটাই স্বাভাবিক। মূল সমস্যা কেদ্রীয় ব্যাংক প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা ছাপিয়েছে ফলে মূল্যস্ফীতি তৈরী হয়েছে এবং টাকা তেজপাতা হওয়া গেছে মানুষ এতো কষ্ট কইরা কৃষি কাজ কইরা যে পয়সা পাবে তার চে ব্যাটারি রিকশা চালাইলে বেশি পয়সা যায় । তে হইলে আর কৃষি কাজ করবে কেনো ?

২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আসল কথা আমরা ফুটানী দেখাতে বেশী পছন্দ করি।
বিদেশীরা এটা করে না বলেই তাদের জীবন উন্নত।
তাদের দেশ উন্নত।

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:


চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে চাষবাস করার মতো তরুণরা ও যুবারা আরব ও মালয়াশিয়া চলে গেছে; তাদের স্ত্রীরা স্বামীর টাকায় ভালো খেয়ে রাতে একলা ঘুমায়।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আমি মালয়েশিয়াতে দেখেছি বাংলাদেশীরা প্রচুর পরিমাণে বাংলাদেশী সবজি চাষ করছেন। তাদের কারণেই মালয়েশিয়া আর সিঙ্গাপুরে শাকসব্জির কোন ঘাটতি নেই।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও বাংলাদেশীলা প্রচুর পরিমাণে শাকসব্জি উৎপাদন করছে। তারা কামলা দিয়ে দেশে টাকা পাঠায় । তাদের সেই টাকায় পরিবারের লোকেরা ফুটানী দেখায়। আফসোস!

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রাম তো আর গ্রাম নাই। ইংলিশ মীডিয়াম স্কুল হয়েছে। বিউটি পার্লার হয়েছে। কমিউনিটি সেন্টার হয়েছে।
বেশির ভাগ পবিবার এখন চাষবাস করে না। বাজার থেকে কিনে খায়।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আপনি গ্রামে বসবাস করলে কি করতেন?
আমি গ্রামে গেলে চাষবাস করতাম।
পৃথিবী টিকে আছে চাষবাসের উপর।
ফুটানীর উপর পৃথিবী টিকবে না।

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:০২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দেশের মানুষ কিন্তু দিন দিন অলস হয়ে যাচ্ছে এটা সত্য, মানুষ এখন হাঁটতে চায় না। আর মানুষ যদি একটু চেষ্টা করে তাহলে কিন্তু নিজদের খাবার কিন্তু নিজেরাই উৎপাদন করতে পারে। আমার মনে হয় এক সময় মানুষ আবার কৃষিকাজের দিকে ঝুঁকবে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

অবারিত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে দেশে জমির পরিমাণ অনেক অনেক কমে গেছে।
তাই এখন টুকটাক সামান্য পরিমাণ জমিও ফেলে রাখা উচিত না।
চাষ করা উচিত।

৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:২৩

কাঁউটাল বলেছেন: ফুটানি দেখানো বন্ধ করার উপায় কি? ফুটানি তো সবাই দেখায়।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৩০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

যার যার উপায় তার তার খুঁজে বের করতে হবে।
এছাড়া আর বিকল্প কোন উপায় নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.