নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
বেশ কিছু দিন আগের কথা। ডাক্তার সাহেব আমাকে লিভারের একটি টেস্ট দিলেন। পরিচিত অনেক জনের সাথে আলাপ করলাম- কোন সেন্টারে টেস্টটি করালে ভালো হয়। কয়েক জনই বললেন- ইবনে সিনায় করাতে পারেন। জামাতী প্রতিষ্ঠান। লীগের আমলে দুই নম্বরী কাম নাও করতে পারে। কথাটি আমার মনে ধরলো।
সেই মোতাবেক এক দিন গেলাম ধানমন্ডির ইবনে সিনায়। গিয়ে দেখি প্রচুর রোগী । গিজ গিজ করছে। টাকা পরিশোধ কাউন্টারে গেলাম এবং টাকা পরিশোধ করে রশিদ নিলাম। কাউন্টারের ভদ্রলোক বলে দিলেন টেস্টটি করাতে পাশের ভবনে যেতে হবে।
দৌড় দিলাম পাশের ভবনে। সেখানেও অনেক লোক। আমার টেস্টের মেশিন নাকি উপরের কোন তলায়। গেলাম সেখানে। গিয়ে দেখি মেশিনের অপারেটর ভদ্র মহিলা এক রাজ্যের বিরক্তি চোখে মুখে ধারণ করে বসে আছেন। তাঁকে বিনয় সহকারে আমার আর্জি পেশ করলাম।
তিনি জানালেন তার মেশিনে সমস্যা আছে। এখন টেস্ট হবে না। বিকালে যেতে হবে। হতাশ হলাম। বিকালে আবার যেতে হবে। আবার রিক্সা ভাড়া। আবার বিরক্তি। কি আর করা দায় যখন আমার দায়িত্বও তো নিতে হবে।
বিকাল প্রচুর সময় নিয়ে রওনা দিলাম। কমপক্ষে আধাঘন্টা আগেই পৌছে গেলাম। গিয়ে অসহায়ের মতো বসে রইলাম। কেননা, আমাকে জানানো হলে বেশ খানিকটা সময় লাগবে মেশিন রেডি করতে। সে যাই হোক। এক সময় মেশিন রেডি হয়ে গেল। আর আমি তো রেডি ছিলাম সকাল থেকে। কেননা, ফাস্টিং এর একটা ব্যাপার তো ছিলই।
কক্ষের ভেতরে একটা ছোট্ট খাটের মতো, তাতে বিছানা পাতা। কিন্তু তাতে কোন বালিশ নেই। অপারেটর মহিলা বললেন- শন, মেশিন চালু হইচে।
আমি বললাম- শুব কি করে ? কোন বালিশ তো নেই।
- বালিশ নাই তো কি অইচে। দুই হাত মাথার নিচে দিয়া শন।
কি আর করা । মাথার নিচে দুই হাত দিয়ে শুয়ে রইলাম। দায় যখন আমার দায়িত্ব তো নিতেই হবে।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
না লাগার কি কোন কারণ আছে?
নাকি অবহেলা?
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:০২
বাকপ্রবাস বলেছেন: মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: শব আসন শোয়াতে বালিশ লাগে না।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
শব আসন শোয়াতে বালিশ লাগে না কারণ এই আসনে মানুষকে শোয়ানো হয় মারা যাবার পর
৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: বহুদিন পর আপনাকে ফিরে আসতে দেখে ভালো লাগছে। তবে কিছুটা ভাবনায় পড়লাম, ইদানিং আপনার সমস্ত পোস্ট হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করার। এর আগে লিখেছিলেন পপুলারে সম্ভবত কোলোনোস্কোপি করার কথা এবার লিখছেন ইবনে সিনায় লিভারের টেস্ট করার কথা। আশা করি এগুলো সব অতীতের কথা, এখন আপনি সুস্থ আছেন।
ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এখানো চিকিৎসার উপরে আছি।
কবে যে ভালো হতে পারবো বুঝতে পারি না।
৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:১০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সব সময়।
৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:০১
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার খাবার কি হজম হচ্ছে না? কি রকম রান্না খাচ্ছেন সিদ্ধ, নাকি মসলার রান্না?
৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
খাবারের বাজেট ফেল।
বাজারে গেলে কিছুই কিনতে পারছি না।
৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কেন বাসা থেকে বালীশ নিয়ে যাননি??
৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্ট করাতে গেলেও যে বাসা থেকে বালিশ নিয়ে যেত হয় এই অতি অভিনব তথ্য আমার আগে জানা ছিল না।
৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি অনেক কিছুই জানেন না।
আসলে দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে আপনার অনেক কিছু আউলায়ে গেছে। এটা বঙ্গদেশ। মালোশিয়া না।
০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
যেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাধারণ একটা বালিশ রাখার মতো আর্থিক ক্ষমতা তাদের ভিক্ষায় নেমে পরা উচিত ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: শব আসন শোয়াতে বালিশ লাগে না।